এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • বই এবং সি এস এর কনভারসেশন- পূর্ব পাকিস্তান এবং বাংলাদেশী লেখক দের সম্পর্কে

    bai-si-es
    বইপত্তর | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২০১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • prastaabanaa | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০৪729198
  • দমু/সৈকত(২য়)/সোমনাথ/এলেবেলে ইত্যাদি, ১৯৭১ এর আগে আর জীবনানন্দের পরে, মানে ধরো ১৯৪০স অনোয়ার্ড্স, পূর্ব পাকিস্তানের কাদের লেখা পড়া উচিত। আমাদের বাড়িতে সংশপ্তক আর পদ্মা মেঘনা যমুনা এসব বইয়ের কথা ভেগলি মনে আছে কিন্তু পড়ি নি এবং কার লেখা কিসুই মনে পড়ছে না। আমার ইন্টারেস্ট হল, ৫২ থেকে ৭১ এর মধ্যে ফিকশন এ কি হচ্ছে? কারণ খিলাফত থেকে ভাষা আন্দোলন টা মোটামুটি নতুন গতি ঘাটলে পাবা যাচ্ছে। তার পরে আমার ব্যক্তিগত সোর্স ভেগ।

    ---
  • বই | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০৫729209
  • name: বই mail: country:

    IP Address : 236712.158.565623.225 (*) Date:03 Dec 2019 -- 11:17 AM

    ৫২ থেকে ৭১ এর মধ্যে ওয়ালীউল্লাহকে ধরতে হবে বোধহয়। 'কাঁদো নদী কাঁদো' (১৯৬৮) নামের স্ট্রীম অফ কনশাসনেস স্টাইলে লেখা উপন্যাসটা বাংলা সাহিত্যে একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখা। যতদূর মনে পড়ছে শহীদুল জহির তাঁর লেখায় জাদুবাস্তবতা কী করে এল সে নিয়ে বলতে গিয়ে মার্কেজের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি এই উপন্যাসটারও উল্লেখ করেছিলেন।
  • সিএস | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০৬729217
  • name: সিএস mail: country:

    IP Address : 236712.158.566712.203 (*) Date:03 Dec 2019 -- 12:47 PM

    ওয়ালীউল্লাহ, আবু ইসহাক আর শওকত ওসমান - ৭১-র আগের লেখকদের মধ্যে এই তিনজনের সম্বন্ধেই আমার কিছু জানা আছে। এর মধ্যে অবশ্য শওকত ওসমান পড়িনি। সংশপ্তক মনে হয় শহীদুল্লাহ কায়সর নামে এক্জনের (পড়িনি)। আর বিশেষ লেখাপত্তরের সম্বন্ধে জানা নেই, এই সময়ের। সূক্ষ্মভাবে হিসেব করলে, যারা মূলতঃ ৭১ পরবর্তী লেখক, তাদের মধ্যে কয়েকজনের লেখা ষাটের দশকের শেষের দিকেই, তাদের যূবাবয়সে প্রকাশিত হচ্ছে। আল মাহমুদের কবিতা, আবদুল মান্নান সৈয়দের কবিতা-গল্প এবং দ্য গ্রেট মাহমুদুল হকের প্রথম উপন্যাসটাও। ইলিয়াসের গল্পও মনে হয় ষাটের শেষের দিকেই বেরোচ্ছে।
  • সিএস | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০৭729218
  • name: সিএস mail: country:

    IP Address : 237812.68.674512.43 (*) Date:03 Dec 2019 -- 02:34 PM

    কাঁদো নদী কাঁদো উপন্যাসটিকে ঠিক স্ট্রীম অফ কনশাসনেস বলতে আমার আপত্তি আছে। ঐরকম লেখায় চরিত্রের মাথার ভেতরে একটি মাইক্রোফোন বসানো হয়, যাতে সে যা ভাবছে বা দেখছে সেসবই বেরিয়ে আসে, লিওপোল্ড ব্লুমের মাথার ভেতরে যেমন জয়েস মাইক্রোফোনটি রেখে দিয়েছিলেন যাতে রিয়ালিটির আরো কাছাকাছি যাওয়া যায়। ওয়ালীউল্লাহর লেখাটিতে ঠিক সেরকম নেই মনে হয়, কিন্তু যেটা আছে বলে মনে করি সেটা হল - অনেকগুলি গল্প আর চরিত্র আর স্থান ব্যবহার করে যা করা হয়েছে - যে উপন্যাসটির কোন একজন কথক বা সর্বজ্ঞ কথক নেই। উপন্যাসটির টোনটি এক যৌথ স্মৃতি থেকে তৈরী হচ্ছে যেন, যাকে বাংলাদেশ বলতে পারি। শহীদুল জহিরের ভূতের গলির গল্পগুলিতেও এই ব্যাপারটি আছে, যে গল্পগুলো যেন কারোর একার গল্প নয়, একটা কমিউনিটির গল্প। বিদেশী লেখার মধ্যে মার্কেজের 'ক্রনিকল অফ এ ডেথ ফোরটোল্ড'-এ এই টোনটি পেয়েছি, খুনের ঘটনার বিবরণ যেন কোন একজন দিচ্ছে না, নদীর পারের বসতিটির সবাই তার কথক কারণ সবাই ঐসকল ঘটনার সাথে যুক্ত।
  • বই | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:০৮729219
  • name: বই mail: country:

    IP Address : 237812.69.2323.235 (*) Date:03 Dec 2019 -- 03:54 PM

    হ্যাঁ, একদম ঠিক। ঃ-) যদিও এই যৌথ স্মৃতি ব্যাপারটা শহীদুল জহিরে যতটা আছে, কাঁদো নদী কাঁদোতে ততটা প্রকট লাগে নি।

    জহির খুব প্রিয় লেখক বলে হাবিজাবি লিখতে ইচ্ছে করছে। একটু লিখি। জহিরের লেখার তিনটে বৈশিষ্ট্যের মধ্যে এইটা একটা, মহল্লার মানুষের যৌথ স্মৃতি - আমরা দেখতে পাই, আমরা শুনতে পাই ঃ-)) দ্বিতীয়টা হচ্ছেঃ 'হয়তো এই, অথবা সেই' করে প্রব্যাবিলিস্টিক একটা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরী করা যাতে পাঠকের মনে হয় সে ব্যাপারটা ধরি ধরি করেও ধরতে পারছে না। উনি ফটোগ্রাফির স্পষ্ট লাইনগুলোকে খানিকটা আবছা আবছা করে দিতে চান। এইটা মনে হয় মার্কেজের চেয়ে আলাদা। মার্কেজের প্রতিটা বাক্য নিস্পৃহ এবং স্পষ্ট, যেন যা কিছু ঘটছে সবকিছু বাস্তব আর কোনোকিছু নিয়ে কোনো ধোঁয়াশা নেই। জহিরের তৃতীয় বৈশিষ্ট্যটা হচ্ছে একই ঘটনার কাছে বারবার ফিরে আসা আর প্রতিবার ঘটনার বর্ণনা একটুখানি করে পাল্টে দেওয়া। এইটা একটা ফটোগ্রাফের ওপর বারবার ওভারল্যাপ করে তাকে হেজি করে তোলার মত একটা কায়দা। এই ফটোগ্রাফের কথাটা কোথাও উনি বলেছিলেন মনে হচ্ছে।

    ওনার তিনটে গল্পকে এই তিনটে বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায় বলে আমার মনে হয়। প্রথম ধরুন 'আমাদের কুটির শিল্পের ইতিহাস'। গোটা গল্পটা একটা অসম্পূর্ণ বাক্যে লেখা, 'আমরা, আমরা' করে, কারণ ইতিহাসের শুরু বা শেষ নেই। শুধু তাই নয়, ব্যাপারটা আমার সার্কুলার লাগে। শেষটা এরকমঃ "।।।এই শেফালি ফুল গাছ, আমরা তাকে আর পাই না, আমরা তাকে হারাই," আর শুরুটাঃ "আমাদের মহল্লা, দক্ষিণ মৈশুন্দির শিল্পায়নের ইতিহাস আমাদের মনে পড়ে;"। শুনেছি জয়েসের ফিনেগানস ওয়েকে এরকম কায়দা ছিল। জয়েস পড়ার মত ইংরেজী জানি না অবশ্য। ঃ-))

    দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যটার জন্য ধরুন 'ডলু নদীর হাওয়া' গল্পটা। শুরুর লাইনটাই এরকমঃ "ডলু নদীতে এখন অনেক পানি, অথবা হয়তো পানি তেমন নেই"। ব্যাস, এইবার চলল এরকম। গপ্পোটা কি নিয়ে? তৈমুর আলির বউ তাকে সারাজীবন খাবার পর দুই গ্লাস জল এনে দেয়। একটায় বিষমেশানো থাকে। সারাজীবন তৈমুর সঠিকভাবে বিষহীন গ্লাসটা বেছে নিতে নিতে একদিন ভাবে বোধহয় কোনো গ্লাসেই বিষ নেই। সেদিন দুই গ্লাস জল খেয়ে সে মরে যায়। গোটা গল্পটায় জহির যাকে বলেন 'পাঠকের বেছে নেওয়ার জন্য অপশন' তা ছড়িয়ে থাকে 'হয়তো' আর 'অথবা'গুলোর ফাঁকফোকরে।

    আর তৃতীয় গল্পটা হচ্ছেঃ 'কাঁটা' যেখানে ভুতের গলিতে একই নামের দম্পতি - সুবোধ ও স্বপ্না রানী বারবার ভাড়াটে হয়ে আসে ১৯৬৪ সালে দাঙ্গার সময়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়। তিনবারই তারা আত্মহত্যা করে তাদের উঠোনের কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে। এইভাবে যেন একই ঘটনা পুনরাবৃত্তির মধ্যে ধরা থাকে উপমহাদেশের ঘেঁটে যাওয়া ইতিহাস। কেমন যেন মনে হয় দেশভাগ, মুক্তিযুদ্ধ, আর্মি সব মিলিয়ে বাংলাদেশের টালমাটাল রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে লাতিন আমেরিকার একটা হালকা মিল আছে এবং সেই মিলটার প্রেরণায় 'এল বুমের' মত আমাদের পাশের দেশটাতেও সাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, শহীদুল জহির, মাহমুদুল হক, ইমতিয়ার শামীম এঁরা সকলে একটা ছোটোখাটো বুম ঘটিয়ে দিলেন। কই, এপারে কলকাতার প্রতিস্পর্ধী লৌকিক বাংলার জাদুবাস্তব উঠে এল না তো সাহিত্যে? রহু চন্ডালের হাড় ধরনের কয়েকটা লেখা বাদ দিলে হাতে কী পড়ে থাকে? এখনও রাঢ় বাংলা চিনতে তারাশংকরই ভরসা নয় কি?
  • | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:১৯729220

  • হ্যাঁ, স্ট্রীম অফ কনশাসনেস এর সঙ্গে ওয়ালীউল্ল্লাহ এর কোন সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না। উনি খুব ই স্পেসিফিক পুরোনো ধরণের রিয়ালিস্ট। ওনার যেটা স্ট্রাইকিং সেটা হল, মডার্নাইজিং প্রোজেক্ট টাকে উনি গ্রামে ফেলছেন, এবং নিজের গ্রাম কে তালুর মত চেনার ফলে, লাল শালু লিখতে বা একজন ধার্মিক সাধু পুরুষ গোছের লোক কে অপরাধী হিসেবে দাঁড় করিয়ে রহস্যোপনাস লিখতেও অসুবিধে হচ্ছে না। এটা মনোজ দাস দের উলটো। মনোজ দাস নিজে প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের বামপন্থী হওয়া সত্ত্বেও, সোশাস্লিট রিয়ালিজম এর লোক হওয়া সত্ত্বেও, গ্রাম সম্পর্কে, গ্রামের পুরোনো নলেজ সিস্টেম সম্পর্কে নরম।

    যৌথ স্মৃতি টাই জহির মেন জঁর। একদম ই একমত।

    উত্তর দেওয়ার জন্য কোন সাহিত্য তৈরী হয় না সেরকম ভাবে, যে ভাবে যে লেখক তাঁর প্রায়োরিটি ঠিক করেন, সেটা আলাদা আলাদা। তারাশংকর পরবর্তী রাঢ় সাহিত্য টাই আমার প্র্যাকটিকালি গবেষণার ( ব্যক্তিগত উদ্যোগ) বিষয়। অবশ্য স্থানিক চিহঁঅ নতুন রাষ্ট্রের নতুন সামাজিক শক্তির উত্থানে ক্রমাগত সীমানা বদলাচ্ছে, বা অন্তত সীমানা চিহ্ন বদলাচ্ছে। কিছু মাল পত্র পাওয়া গেছে। সুযোগ সুবিধে মত হবে। তবে উচ্চ বর্ণের সামাজিক দুশ্চিন্তা টাই মেন বিষয়, তারাশংকরের দুর্বলতম দিকটাই প্রধান অবলম্বন হয়ে উঠলে যা সমস্যা হয় তা আছে। এবং সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং লেখা আর্বানাইজেশনের পরেই হচ্ছে, সেটা সামাজিক উইস্ডম লোকেল টা বদলে যাচ্ছে বলেই মনে হয়।
  • | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:৫০729221


  • জহির এর লেখায় এক ধরণের আশ্চর্য্য গ্লানি বোধ আছে, যেটা মার্কেজের মধ্যে অনুপস্থিত (লিফ স্টর্ম ছাড়া)। কারণ সময় টা আলাদা। সাউথ আমেরিকান ক্যারিবিয়ান এ কলোনী স্থাপনের এবং তার পরের একটা মিশ্রিত জীবনটা তাঁর আধার, মার্কেজের পক্ষে আক্রমণের লক্ষ্য যেহেতু শুধুই রাজনৈতিক শক্তি গুলি না, সামাজিক রক্ষনশীল শক্তিগুলো ও, তাই তার মধ্যে চার্চ এর ছায়ায় তৈরী হওয়া মরালিটি কে অ্যাটাক করছেন, দুপুর বেলা বাগানে বা বারান্দায় টাংআনো দোলনায় উদ্দাম সঙ্গম দৃশ্য দেখে পাঁচিলের ওপার থেকে পাগলাগারদ এর মেয়েরা তালি দিচ্ছে বা একজন সাদা হাতির মত দেখতে ঠাকুমা বাঠ টাবে বসে, দেহ ব্যবহাসায় নামানো কিশোরী আত্মীয়া কে হত্যার পরিকল্পনা করছেন বা একটা মুখের কথার জেরে, এক যুবক খুন হচ্ছে , ভবিতব্যের মত ২৭ বার ছুরিকাঘাত হচ্ছে, এই বিচিত্র অ্যামরাল জগত টার একটা প্রতিবেদন তৈরী করছেন। শহিদুল জহির অনেক বেশি বুকের মোচড় দেওয়া লোক। কয়েকটা ছারখার হয়ে যাওয়া স্বপ্নের রাষ্ট্র, সংখ্যা লঘু কে হায়নার মত ঘিরে ধরে হত্যা করছে বার বার, এবং এতে ক্ষুব্ধ বিশ্লেষক এর ও গ্লানির থেকে মুক্তি পাবার চান্স কম, এইটেই তাঁর বিষয়। আমি জানি না কেন জহির কে এই সব যাদু বাস্তবতা এই সব ক্যাটিগোরি তে ফেলা হয়। অন্তত বাঙালি উত্তর ৭১ বাস্তবতা আর কি। মার্কেজ নিজেও খুব পসন্দ করতেন না টার্ম টা। মার্কেজ এর আক্রমণের লক্ষ্য ইতিহাসের কলোনাইজিং পিরিয়ড আর সামাজিক রক্ষনশীলতা, স্মল টাউনের আশ্চর্য্য ক্রিমিনালিটি, জহির এর ক্ষেত্রে সেটা মূলত হৃদয় বিদারক স্বপ্নভঙ্গ। এবং ইতিহাসের দূরত্ব সেখানে কোন প্রলেপ দেয় নি।
  • বই | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৪৬729222
  • হ্যাঁ, অসীম চট্টরাজকে নিয়ে লেখাটা পড়েছিলাম। ওরকম আরো লিখুন। ঃ-)

    ঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য সাহিত্য চাইছি না, 'আহা গো গ্রামগুলো কী ছিল আর কী হল' টাইপেরও নয়। বরং তার চেয়ে গভীর কিছু দরকার, যার মধ্যে ক্ষমতা/অথরিটিকে প্যাঁক দেওয়া হবে কিন্তু মানুষগুলোও ধরা থাকবে তাদের অশ্রু-ঘাম-খচরামি সমেত। একধরনের ইতিকথা আবেগহীনভাবে লেখা যেভাবে স্প্যানিশ কলোনিয়ালিজমের রূপটা ধরা থাকে ঐ ঠাকুমা আর এরেন্দিয়ার গল্পটায়। অসাধারণ গল্প ওটা, পরে কখনো লেখবার ইচ্ছে আছে গল্পটাকে ধরে ধরে। প্যাঁক তো থাকবেই, যেমন বললেন চার্চকে প্যাঁক দেওয়া, ফাদার গোঞ্জাগা হতাশ হচ্ছেন বুড়ো দেবদূত ল্যাটিন বলছে না দেখে বা ডাক্তার অবাক হয়ে যাচ্ছে দেবদূতের অ্যানাটমি দেখে ইত্যাদি।

    বাংলাদেশের এক-একটা লেখা পড়ে মাঝেমাঝেই চমকে উঠেছি। এই যে 'আমাদের চিঠিযুগ কুউউ ঝিকঝিক' বলে ইমতিয়ার শামীমের বইটা, সামরিক শাসনের সময় নিয়ে লেখা। জীবনানন্দের প্রভাব আছে, কিন্তু খুবই ভালো লেখা। লোকে মারা যাচ্ছে ক্রস ফায়ারে, সেটাই যেন স্বাভাবিক পরিণতি। পড়তে পড়তে ঝট করে মনে পড়ে গেছিল কর্নেলের কথাটা যে তাদের শহরে অনেকদিন পর কারুর স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল। এই সব আর কি।
  • | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:২৮729223
  • এরশাদ আমলের ক্রসফায়ার, একরণের ক্যালাস ক্যারিকেচার টাইপ ব্যপার থেকে হিম আতঙ্ক - এর জন্য ইমতিয়ার শামীম পড়তেই হবে।
    'আমাদের চিঠিযুগ' তোমায় অনেকদিন আগে রেকো দিছলাম @বোধি
  • b | ***:*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪৫729199
  • আচ্ছা, ইয়ে, নাদান টাইপসের প্রশ্ন করি। এই বইগুলি কি দে'জ এ পাওয়া যাবে? ওয়ালিউল্লাহ আর ইলিয়াস এমনিতে পড়েছি। বাকিদের?
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৩৫729200
  • দমু, হ্যাঁ কিন্তু পরিবার এই বক্তৃতা উপলক্ষে একেবারে সম্প্রতি ঢাকায় খোঁজ কইরাও পায় নাই। বাংলাদেশ বইমেলাতেও পাইলাম না। যোগাড় করতে হবে, পরিচিত প্রায়-স্মাগলার টি ও আর ফোন ধরেন নাঃ-))) আমার যেটা বক্তব্য সেটা আগে বলেছি। মূল আগ্রহ, কালচারাল কন্টিনিউইটির ইসু টা। এই যেমন পাকিস্তান আমলে রেডিও তে কি গান বাজতো। বা কি গল্প উপন্যাস কবিতা লেখা হত। মানে ধরো ৪০ থেকে ৫২ শুধুই ইসলামিক আইডেন্টিটি, আর ৫২ থেকে ৭১ শুধুই বাঙালি আইডেন্টিটি নিয়ে কাজ হত, পোলিটিকাল অর্থে নাকি জেনেরাল কাজ কর্ম, পরে বাংআলি মুসলমান এর ন্যাসেন্ট নেশন এর আইডেন্টিটি চাপাচ্ছেন সমালোচক রা। কালচারাল আইডেন্টিটির আউটপোরিং এর সবচেয়ে অথেন্টিক রেফারেন্স হিসেবে আমরা এপারে যেমন চলতি কথা বার্তায় ঊনবিংশ শতক কে ধরি, বাংলা সেকুলার আকাডেমি কে তার থেকে পেছনে যেতে হয়েছে, এবং সেটা ব্যাপকতায় বাড়াতে হয়েছে, কারণ টা স্বাভাবিক, কিন্তু ৫২ থেকে ৭১ তো তেমন কভার নাই, সবাই ঢাকা আকাদেমির ইতিহাস ও পড়ি নাই। চালু কথায় আসে নাই। তাই ঐ সময় টা নিয়ে আগ্রহ বেশি। ওয়ালীউল্লহ ত স্পট অন মডার্নিস্ট বলতে যা বোঝায় তাই, বাকিরা কি। মেয়েরা কি লিখলেন ইত্যাদি। এটা বুঝতে চাইছি এই কারণে কারণ ৭১ এর পরে, সেটাই স্বাভাবিক, সিভিল ওয়ার/স্ট্রাইফ সংক্রান্ত ই বেশি আসছে এবং বিশ্বাসী/রাষ্ট্রীয় সেকুলার সামাজিক ফল্ট লাইন টা ই প্রকটতম, কিন্তু বিষয় হিসেবে আর কিছু কি নাই, থাকলে কি আছে। মানে ধরো তারেক যে সাইকো সেকসুয়াল গল্প টা লিখলো, তার ট্র্যাডিশন টা কি সেখানে আছে না কি জাস্ট ফ্রিক ফেনোমেনন। ইত্যাদি। এই যে ধর আজম খান এর গান। সেটা কি পয়েন্টে বাংলা আধুনিক গানের থেকে আলাদা হল। একটা ধনঞ্জয় মানবেন্দ্র শোনা লোক, কেন রেল লাইনের ধারে ল্যাংটো ছেলে নিয়ে গান লিখলো, কোথায় মনে হল তার একটা ডিসকন্টিনিউইটি দরকার ইত্যাদি। ৫২, যোগেন মন্ডল, ভাসানীর পাঞ্জাবে কৃষক সম্মেলনে বক্তৃতা এবং অবশেষে ৭১ যদি পূর্ব পাকিস্তানের পোলিটিকাল ডিসকন্টিনিউইটি হয়, কালচারাল ডিসকন্টিনিউইটি টা কোথায়। এই হল প্রশ্নাবলী। সুতরাং আই হ্যাভ টু ক্যাচ আপ অন আ লট। আমার ওখানে যেতে ইচ্ছে করত না আগে, আই ডোন্ট ফিল দ্য ফ্যামিলি থিং, পিট্রিদেব সম্পূর্ণ স্মৃতি ও বাচন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার আগে যখন হ্যালুসিনেট করত তখন একটু মনে হত এই যে দেশের কথা বলে প্রক্ষিপ্ত ভাবে চিৎঅকার করে, ভুল ভাল অচেনা লোক কে ডাকে, তখন একটু মনে হত, এই জগৎঅ টা তো আমি চিনি ই নি। তো সেটা অবশ্য তেমন কিসু না, কারণ কে কোত্থেকে কি বিষয় নিয়ে হ্যালুসিনেট করবে সেটার খবর রাখা একটু টাফ, কিন্তু এখন পবন্দো লেখার শখ ওদিকে ফিল্ড ওয়ার্ক করুম না তা তো হয় না, যাইতে হবে এইসব যোগাড় করতে।

    ব্যাক টু দ্য ওরিজিনাল ইসু ঃ মার্ক্সবাদী সমালোচক দের কয়েনেজ "ফর্ম আর কনটেন্ট", জয়েস প্রসংগে "স্ট্রীম অফ কনশাসনেস", আর মারকেজ প্রসঙ্গের 'ম্যাজিক রিয়ালিজম' এই টার্ম গুলি আমাদের প্রজন্মের সাহিত্যপাঠের সবচেয়ে ওভারইউজ্ড এবং মিস ইউজ্ড টার্ম গুলোর মধ্যে রয়েছে। এইটার একটা বিহিত দরকার। আমাদের কেই করতে হবে।

  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৭:৪১729201
  • হুঁ ইমতিয়ার শাম্যীম কলকাতায় পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ঢাকা থেকে আমি বন্ধুদের দিয়ে আনিয়েছি খানকয়েক। তাও দুই একটা মনে হয় আউট অব প্রিন্ট।

    বি, শহীদুল জহীর সফট কপি নেটে পাওয়া যায়।
  • বই | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৫729202
  • ইমতিয়ার শামীম একটা পেলাম গুগলেঃ আমরা হেঁটেছি যারা
    https://drive.google.com/file/d/1eiFWukcpKICPD9IZCJ5uZEg2H31uT5T_/view?usp=drivesdk

    জাদুবাস্তব নিয়ে তক্কটার দুটো দিক আছে। প্রথমটা হচ্ছে আউটসাইডারের চোখে লাতিন আমেরিকা। মার্কেজ নিজেও বলেছিলেন যে ইগুয়ানার জন্ম দেওয়া, তিন মাথাওয়ালা কুকুর ইত্যাদি সব লাতিন আমেরিকার বাস্তব কিন্তু বাইরের লোকের চোখে অবাস্তব। তো সে বক্তব্য ঠিকই আছে। তাছাড়া বোর্হেস, কোর্তাজার, মার্কেজ, ফুয়েন্তেস এঁদের লেখা এতই আলাদা যে ওরকম জাদুবাস্তবতার ক্যাটেগরিতে ফেলে দেওয়া যায় না। কিন্তু ক্যাটেগরি তো তৈরী করা হয় মোটাদাগে রেফার করার সুবিধের জন্যই। কিছু একটা বলে ডাকতে হবে তো :-) আমার পয়েন্ট হচ্ছে যদি মার্কেজকে নিয়ে কোনো আলোচনায় শুধু জাদুবাস্তবতার উল্লেখ করে থেমে না যাওয়া হয় এবং লেখার গভীরে ঢুকে লেখা নিয়ে বিস্তারিত কথাবার্তা বলা হয়, তাহলে জাদুবাস্তবতার ট্যাগটায় আপত্তি করার কারণ দেখি না।

    এই তক্কটার অন্যদিকটা হচ্ছে মার্কেজকে সমালোচনা করে লাতিন আমেরিকান লেখকদের নতুন প্রজন্মের অনেকে হার্ড রিয়েলিটি নিয়ে লিখছেন। একজনের কথা জানি, গাব্রিয়েল ভাসকোয়েজ।

    Of García Márquez, Vásquez once declared: “I want to forget this absurd rhetoric of Latin America as a magical or marvelous continent. In my novel there is a disproportionate reality, but that which is disproportionate in it is the violence and cruelty of our history and of our politics. Let me be clear about this. . . . I can say that reading ‘One Hundred Years of Solitude’ . . . in my adolescence may have contributed much to my literary calling, but I believe that magic realism is the least interesting part of this novel. I suggest reading ‘One Hundred Years’ as a distorted version of Colombian history.”

    এই বুক রিভিউটাঃ
    https://www.nytimes.com/2013/08/04/books/review/the-sound-of-things-falling-by-juan-gabriel-vasquez.html

    সাধারণত যেকোনো সাহিত্যধারাতেই খুব বড় বড় সাহিত্যিকদের পরে তাঁদের সঙ্গে নতুন লেখকদের একটা দূরত্ব তৈরী করার প্রয়োজন পড়ে। লাতিন আমেরিকার সাহিত্যে ব্যাপারটা কীরকমভাবে হচ্ছে সেটা নিয়ে আরো জানতে আগ্রহী।
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫০729203

  • ( এর পরের পোস্ট টা কেউ সরিয়ে দিলে ভালো হয়, বাংলা দেশের টই লিখে ফেলেছি ভুল করে, কিন্তু এখন লম্বা হয়ে গেছে সরানো যাস্সে না)।

    বই একদম খাঁটি কথা লিখেছেন। দূরত্ত্বের প্রয়োজন আছে। 'ডিসটর্টেড' হিস্টরি কিনা জানি না, বা যতটুকু ডিসটর্শন আছে সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলা যায়। কলোনীর বিকল্প ইতিহাস লেখার প্রোজেক্ট নিয়ে লিখতে বসে ছিলেন বলে কোঅন এভিডেন্স নেই, কিন্তু ঘটনা ক্রম মোটামুটি এরকম। পো, ফকনার ইত্যাদি দের প্রভাবে বড় পোলিটিকাল কালচারাল সেন্টার গুলোর বাইরের লোকেলে মডার্নিজম কে নিয়ে যাওয়ার একটা প্রয়াস মার্কেজ দের প্রজন্মে এসেছিল। কারণ সেটা ইউরোপ থেকে স্প্যানিশ সাহিত্য এ বের করার একটা পোলিটিকাল প্রয়াসের পার্ট। সিনিয়র হয়েও বোরহেস সে চেষ্টা করাকে রেজিস্ট করেছিলেন, বুয়েনাস এয়ারেস এর মিউনিসিপাল লাইব্রেরী কে একটি সংরক্ষনযোগ্য ইউরোপের টুকরো হিসেবে দেখার ইচ্ছা তাঁর ছিল, কিন্তু দূরত্ত্ব বড় বালাই তাঁর ই লেখা কাউবয় ক্যান্টার গোছের 'গউচো' গল্প গুলোয় অতি-স্থানীয় অতি-পৌরুষ উপস্থিত। একটা মজার ব্য়্বাপার হল, বোরহেস কিছু ফকনার অনুবাদ করেছিলেন, ১৯২১ থেকে ১৯২৩ এর মধ্যে সেগুলো বুয়েনাস এয়ারেস এবং সান্তিয়াগো তে বেরোয় একটু হই হই হয়, ওকাম্পোর পত্রিকা তে সম্ভবত সেটা নিয়ে কিছু লেখাও হয়েছিল। এইবার সম্ভবত ১৯২৮ এ জন্মানো মার্কেজ ইংরেজি জানতেন না, ছোটোবেলায় অন্তত জানতেন এরকম কোন খবর নেই, তাই একটা রোমহর্ষক সম্ভাবনা হল, মার্কেজ ফকনার পড়ছেন বোরহেস এর হাত ধরে। কিন্তু যাই হোক, আমি সৈকত চট্টো পাধ্যায় এর সূত্রে মাচাদো দি আসিসি দের কথা পড়েছি। ঊনবিংশ শতকের লেখক, ঊনবিংশ শতকের রোমান্টিক এবং পিকারেস্ক দু রকম ট্র্যাডিশন ই মার্কেজ দের প্রজন্মে আসছে। এই বার বিংশ শতকের প্রজন্ম গুলোর মধ্যে তিন চারটে বড় নাম হল , মিহুয়েল আস্তুরিইয়াস, নেরুদা, কার্পেন্তিয়ের, রুলফো এবং গুরুদেব কোর্তাজার। আরোতো অনেকে আছেন, কিন্তু এনাদের কথাটা বলা মূলত কয়েকটা কারণে।
    হুয়ান রুলফো (মেক্সিকো) প্রচন্ড ঢপ দিতেন। অ্যাপারেন্টলি বলতেন, উনি বিশেষ কিছু সাহিত্য টাহিত্য জানেন না, ওনার এক কাকা বা মামা (সম্পূর্ণ ঢপ) ওনাকে গপ্প বলতেন, উনি জাস্ট লিখে রাখতেন, তার পরে উনি মারা যাওয়ায় আর লেখেন না। নিউ ইয়র্কে কুইন্স এ থাকতেন বলে শোনা যায় মিটি মিটি হাসতেন। ইনি কিন্তু মার্কেজ দের সমসাময়িক, যদিও সিনিয়র হিসেবে একটু খাতির করতেন গাবো।
    কোরতাজার হলেন সেই শিল্পী প্রজন্ম যাঁরা মূলত প্যারিসে আসতে চেয়েছিলেন। এবং ইউরোপের সঙ্গে শেয়ার্ড ভাষা র এক্সপেরিয়েন্স টা অথচ ইউরোপে কঠিন বহিরাগত হবার চাপ টা এনাদের হন্ট করত। আর স্থানীয় পোলিটিকাল নিষ্ঠুরতা, ডিকটেটরশিপ ইত্যাদিকে একটা সাইকোলজিকাল দৃষ্টিকোণ থেকে চেষ্টা করতেন। প্রচন্ড স্টাইলিশ। এবং সবচেয়ে বেশি খান্টি সায়েব বলতে যা বোঝায়।
    মিগুয়েল আস্তুরিয়াস (সম্ভবত গুয়াতেমালা) ছিলেন নেরুদা আর ফুয়েন্তেস দের বন্ধু। প্যারিসে বসে নানা রকম এমিগ্রে লিটেরেচার করতেন আর ছোটো ছোটো পিস লিখতেন। কিন্তু এঁর একটা ফেবল ধর্মী লেখার প্রতি আকর্ষণ ছিল, যদিও তার মানেই শুধুই ট্র্যাডিশনাল উইসডম কে আগ্রহ ছিল, মডার্নিজম কে কলোনীর কারণে দু চোক্ষে দেখতে পারতেন না এরকম কোন এভিডেন্স নেই, ভাষা ও বিষয়ের বাউন্ডারি গুলো কে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে নানা বিষয়ের অবতারণা করছেন।
    কারপেন্তিয়ের ই সবচেয়ে পোলিটিকাল, সরাসরি ডিকটেটরশিপের বিরুদ্ধে লেখালিখি করছেন এবং সর্বময় কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার নিষ্ঠুরতা অ্যাবসার্ডিটি টা টাই মূল বিষয়। আর তাছাড়া নেরুদা তো আছেন ই, বড়দা তো ভালোমানুষী, প্রচন্ড দেশপ্রেম, খচরামো, এস্টাবলিশমেন্ট হয়ে ওঠার ঝোঁক, রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন করে ব্রিফলি রাষ্ট্র ক্ষমতার ভাগীদার হয়ে যাওয়া থেকে কালজয়ী কবিতা রচনা, সব ই করেছেন। সম্পূর্ণ লাড়ার দ্যান লাইফ। এদের প্রত্যেকেই মার্কেজ দের প্রজন্ম টাকে বা তার পরের প্রজন্ম দের নানা ভাবে প্রভাবিত করছেন। ফুয়েন্তেস এবং আস্তুরিয়াস প্রথম তেড়ে অনুবাদ করছেন দেশের গুরু আর বন্ধু বান্ধব দের, এবং আমেরিকা ও প্যারিসে একটা হই হই পড়ছে , এটা উচ্চতায় উঠছে শাটের দশকে, ৫০ এর দশকে ফ্রান্জ ফ্যানন দের হাতে পূর্বাপর কলোনী র ইনটেলেকচুয়াল রা যখন একটা ধাক্কা দিচ্ছেন। আর আমাদের দেশে মানব বাবু দের মত বামপন্থী অনুবাদক দের হাত ধরে বিষয় টা আসছে। এবং কলোনীর ইতিহাস শুধুই ঘটনাক্রম বা প্রশাসনিক হবে না, দখলদার রা যে একেক্টা ভাষা অদ্বি গিলে ফেলেছে বা আরো জটিল করে দখলদার দের বংশধর রা যখন স্থানীয় হয়ে উঠছে, তখন একটা বোস্টন টি পার্টি গোছের নতুন ম্যাচিজমো তৈরী হচ্ছে, স্বাধীনতা আকাংখার আগে, সেটার একটা রেকর্ড করছে এই সব সাহিত্য।

    কিন্তু এই লিটেরারি বুম , 'এল বুম' এর যা যা সমস্যা হয় তা হয়েছে। লোকে লাতিন আমেরিকান সাহিত্য পড়তে শুরু করেছিল, মূলত ম্যাজিক দেখবে বলে।
    সেটা অনেকের ই সহ্য হয় নি। আরেকটা কারণ (ব্যক্তিগত ভিত্তিহীন খচরা সংযোজন;-) ) সম্ভবত কথা নেই বার্তা নেই, নেকু টাইপ্স কোয়েলহো , ইসাবেল আয়েন্দের আবির্ভাব এর জন্য ;-)
    তো তার পরে মানুয়েল পুইগ, ভাসকোয়েজ, মার্টিনেজ, নিকানর পারা, এবং বোলানো দের জেনারেশন টা শুরু হয়। যাঁরা ইতিহাস এবং সাংবাদিকতা কে মোড অফ এক্সপ্রেশন হিসেবে একটু সরিয়ে দিচ্ছেন, সিনেমা এবং কবিতা কে তুলে নিচ্ছেন, একটা ইমিডিয়েসি কে অ্যাড্রেস করার জন্য। এটাই তাঁদের নতুন সেন্সিবিলিটি। অথেন্টিসিটির বিতর্কে বড় শহর, বা আর্বানিটি ফিরে আশ্ছে। এবং এঁদের হাতেই নতুন করে বোরহেস অক্টাভিও পাজ বা ভার্গাস লোসা রা নেরুদা ফুয়েন্তেস, কার্পেন্তিয়ের দের বদলে ফাউন্ডেশনাল রাইটার হিসেবে সমাদৃত হচ্ছেন।

    আর দুটো জিনিস হচ্ছে , ক - আমেরিকায় অভিবাসিত ডোমিনিকান রিপাবলিক আর পুয়ের্তো রিকান লেখক রা একটা ইমিগ্রান্ট ওয়ার্কিং ক্লাস পার্সপেক্টিভ থেকে একটা নতুন নিউ জার্সি বা ক্যালিফোর্নিয়ার কথা লিখছেন, যেটা আমেরিকার লিটেরেচার কে জেউইশ অভিবাসনের পরের প্রজন্মের (পোস্ট হ্যারল্ড ব্লুম ও সোল বেলো এবং ফিলিপ রথ) অথেন্টিসিটি দিচ্চ্ছে। খ - স্প্যানিশ মেন ল্যান্ডে, একটা রিক্লেমেশন হচ্ছে দুটো দিক থেকে, মনে করা হচ্ছে, স্পেনের সাহিত্য কে সিভিল ওয়ার এর ছায়া থেকে বেরোতে হবে, অস্বীকার না করেই, আর মনে করা হচ্ছে, ইউরোপীয় স্প্যানিষ ভাষার নিজস্বতা টা কে , কাটাউনিয়ান সহ অসংখ্য বৈচিত্র কে আলাদা করে ট্রিট করতে হবে এবং তার একটা অংশ স্বীকৃত ভাবেই হবে স্থানীয় আরেকটা হবে ইউরোপ প্রোজেক্ট এর সঙ্গে একাত্মীভূত। কার্লোস রুই জাফো এবং এনরিক ভিয়া মাতাস এর দুটো উদা যথাক্রমে।

    এও এই তো গেল প্যাচাল। ক্লিয়ারলি নেশন স্টেট এর গতি প্রকৃতি যা বদলাবে, মাইগ্রেশন যা হবে, সেই অনুযায়ী এসব বদলাবে।

    এই সামারি তে নতুন কথা কিসু বিশেষ নাই। সকলেই জানেন। তাছাড়া এই খানেই কিছুদিন আগে শাক্য, মাঝে মাঝে সৈকত (দ্বিতীয়), অনেক দিন আগে সৈকত প্রথম বা আমি বা আরো অনেক নানা লোক নানা কথা বলে গেছে। এটা একটা সামারি মাত্র।
    একটা চাপ অবশ্য আছে। লাতিন আমেরিকান লোকেরা প্রচন্ড ঢপ দেন। গপ্প করতে বসে গেলে কি বলবে কোনো ঠিক নেই। তাই তাঁদের লেখা নানা জিনিস থেকে ইনটেলেকচুয়াল ট্র্যাডিশন কে পোলিটিকাল হিস্টরি র সঙ্গে রিলেট করে যা বললাম, সেটা হয়তো শুনে কিছুদিন পরে নিজেকেই খ্যা খ্যা করতে হবে। যে সব মেমোয়ার বা অ্যানালিসিসে এগুলো পড়েছি, হয়তো নিজেরাই কদিন বাদে ডিসক্রেডিট করে দিল। বহুত হারামী টাইপের। মূল বিষয় টা লিভ্ড ইমিডিয়েসির দিকে একটা এম্ফাসিস বাড়ছে, প্রথমত পিনোশে, বা ব্রাজিলিয়ান ডিক্টেটর গুলো জাবার পরেও যে সুখের সময় এসেছে তা তো না প্লাস ভয়ানক দারিদ্র্য আর নিরুপায় ইমিগ্রেশন এর রিয়ালিটি ও বেড়েছে।
    পার্সোনালি মনে হয় ফুয়েন্তেস আর মার্কেজ দের জেনারেশন এর সঙ্গে নব্বই দশক পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে একটা বড় ওটারশেড হল, বোলানোর স্যাভেজ ডিটেকটিভ, আর ফুয়েন্তেস এর ক্রিটাল ফ্রন্টিয়ার্স এবং পুইগ এর হার্টব্রেক ট্যাঙ্গো। ইতিহাস , ইনটেলেকচুয়াল ট্র্যাডিশন আর লিভ্ড এক্সপেরিয়েন্স এর ব্রুটাল ইমিডিয়েসি, এই গুলোর মাঝে দাঁড়িয়ে লেখা।
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৫729204
  • আরেকটা কথ বলা হয় নি, নেরুদা দের জেনারেশনে, সাইমন বলিভার এর একটা অ্যাক্রস নেশন খাতির ছিল। সেই অকারণ পৌরুশ টা ওনাদের স্বাধীনতা আকাংখার সঙ্গে জুড়ে গেছিল, এবং শীল ইউরোফিল লিটেরেচার এর কাউন্টার পার্ট হিসেবে কাজ করেছিল। কারণ তখন পোলিটিকাল কারেক্টনেস এর বালাই কম ছিল, কিন্তু নারীবাদের কারেকশন টা দরকার ছিল, তো সেটা যাঁরা এনেছিলেন তাঁদের মধ্যে অনেক কেই রাখা হয়, ক্ল্যারিস লিস্পেক্টর কে সবচেয়ে গুরুত্ত্ব পূর্ণ ধরে সম্ভবত।

  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:১১729205
  • এবার একটা পার্সোনাল কমোডে হাগা আনেকডোট। ২০০৩ এর ফেব্রুয়ারি তে আমার জীবনে তিনটি বিচিত্র ঘটনা ঘটে। বৌ এর জন্ম দিনে নর্থ লন্ডনে, একটা ঘিঞ্জিতম শস্তার পোর্তুগীজ রেস্তোরায় , পাশে বসা এক বিশাল দেহী টুপি পড়া আমেরিকান যেচে আলাপ করেন, এবং বুশ র যুদ্ধের বিরুদ্ধে কেন পথে নামা উচিত বলে আধা ঘন্টা মত একটা র‌্যান্টিং করেন এবং বার বার আমায় বলেন, আমাদের মত অল্প বয়সী ইমিগ্রান্ট ছাত্র ছাত্রী বা ওয়ার্কার দের কেন আম্রিকান ইম্পেরিয়ালিজম বিরুদ্ধে পথে নাম তে হবে, এবং আমেরিকা ভারতের ডাব্লিউ টি ও করে ভারতের কি সর্বনাষ করছে ইত্যাদি। আমার হ্যালু নং এক হল, পরে ভালো করে মনে করে আমার মনে হয় ইনি ছিলেন মাইকেল মুর। এবং সম্ভবত পরের দিন বা আগের দিন লন্ডনের যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে যোগ দিতে এসে বৌকে নিয়ে খেতে বেরিয়েছিলেন, ঐ রেস্তোরায় ওনার আসার কথা না, হয় খিদে নয় হাগা পেয়েছিল। তো এর পরের হ্যালু হল, পরের দিন বড় মিছিলের পরে যারা বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে ছিলেন যুদ্ধ বিরোধী ইসলিংটনের এম পি জেরেমি কোরবিন। এটা হ্যালু না সত্যি ঠাহর করতে পারি না, কারণ সে "ছেলে" যে এদ্দূর যাবে বুঝি নি ;-) এর পরের হ্যালুটাই ঘটনাক্রমের দিক দিয়ে প্রথম। ঐ ফেব্রুয়ারি র ই শুরু দিকে লাতিন আমেরিকান কালচারাল নাইট বলে একটা বস্তু হয়েছিল মেকলেন্বার্গ স্কোয়ারের হস্টেলে। গুডএনাফ হল না ওরকম একটা কি নাম ছিল। সেখানে একটা সরু ও বেঁটে ইন্দো মত লাতিন আমেরিকান গোল গোল চষ্মা পড়া এক লোক এসে মার্কেজ এবং ফুয়েন্তেস কে প্রভূত গালাগাল দিয়ে আমাদের নিকানর পারা পড়তে ও অ্যামোরেস পেরোস দেখতে বলে একটি ঝাড়া দেড় ঘন্টা দ্যান। আমার ফাইনাল ও পবিত্রতম হ্যালু হল, ইনি ই হয়তো বোলানো ছিলেন। কিন্তু পরে মিলিয়ে দেখেছি, ২০০৩ এ ওনার লন্ডনে থাকার কথা না, ২০০৩ এর অল্প আগে পরে মারাও গেছেন, তবে অসুস্থ ছিলেন, ৫০ এর অল্প উপরে বয়স, এবং সেদিনের বক্তাও বড্ড রুগ্ন ও একটু রাগী চিঁ চিঁ টাইপের ছিলেন, ইন্দোর সঙ্গে সে ব্যাপারে কোন মিল ছিল না। কিন্তু শি সোয়ার্স ইট ওয়াজ বোলানো, গিভেন দ্য ফোটোগ্রাফ্স উই স লেটার।

    ;-)

  • রিকোয়েস্ট | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:২৪729207
  • রিকোয়েস্ট।

    থ্যাংক ইউ।

    হুতো/ইশান কে রিকোয়েস্ট। দমু/বই/সি এস/সোমনাথ এর বাংলাদেশের লেখা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে যাদু বাস্তবতা প্রসঙ্গে বে ফাল্তু লাটিন আমেরিকা চলে এসেছে। তাতে টই টার একটু ক্ষতি হচ্ছে। লাতিন আমেরিকা সম্পর্কিত পোস্ট গুলো কে আলাদা টই করে দিয়ে এই পোস্ট গুলো এই থ্রেড থেকে উড়িয়ে দেবা যাবে? বা হাইড?
  • b | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৩৮729208
  • আরে না না। ল্যাটিন গ্রীক সবই থাকুক। আড্ডার জল তো। রমতা যোগী, বহতা পানি।
  • lcm | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৩:৫২729210
  • মহঃ শহীদুল্লা, আর, জসিমুদ্দিন - এই দুজনও কিন্তু ঐ ১৯৪৭-১৯৭১ এই টাইম পিরিয়ডের মধ্যে লেখালেখি করেছেন। প্রথমজন সাহিত্যপন্ডিত, প্রাবন্ধিক - আর অন্যজন পল্লীকবি।
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:১৫729211
  • জসীমুদ্দিন কে নিয়ে আমি কনফিউজড, বিশাল কবি হলেও জীবনানন্দ পরবর্তী কিনা বুঝতে পারি না।
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৫২729212
  • একটা সময়ের গন্ডোগোল হয়েছে। মনে হচ্ছে ১৯৩৫-৩৬ নাগাদ আস্তুরিয়াস এবং কে যেন (সেটা ফুয়েন্তেস কিনা মনে নেই, ওনার বয়সে কুলোনোর কথা না) প্যারিসে নানা পত্রিকায় নানা রকম আনফিনিশ্ড ওয়ার্ক বের করতেন। এটা আমি নেরুদার কোন লেখায় পেয়েছি (আর পরে ফুয়েন্তেস এর কোন একটা পোবোন্দে পেয়েছি), কারণ উনি তখন স্প্যানিশ ডিক্টেটরশিপ এর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য লোকজন কে স্পেন থেকে পালাতে সাহায্য করছিলেন, প্রায় হাজার লোক কে পালাতে সাহায্য করেন। তো যাই হোক সেসব আনফিনিশ্ড লেখা পড়েও একটু আভাগার্দ মহলে হৈ হৈ হত। ৫০ এর দশকে সেখানে কোর্তাজার রা আসছেন এবং এই এগজাইল বা দেশ হীন ভাষার একটা স্প্যানিশ এক্সপেরিয়েন্স টাকে অমর করে রাখছেন। এটাই হপস্কচ উপন্যাসের বিষয়।

    পরে ফুয়েন্তেস , ডিপ্লোমাসির জগতের লোক কলাম্বিয়া তে পড়ানোর সময় সম্ভবত লাতিন আমেরিকান লিটেরেচার পপুলারাইজ করার একটা তেড়ে চেষ্টা করেন। তবে মাঝে কিন্তু কোর্তাজার বার্কলি তে কিছু বক্তৃতা দিয়েছেন। এল বুমে এই সব নানা ফ্যাক্টর আছে। খ
  • b | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:০৪729213
  • এপারে একদম চেষ্টা হয় নি, তা কি বলা যায়।
    তিস্তাপারের বৃত্তান্ত আছে। দেবেশ রায়েরই অন্য উপন্যাস আছে, (নামটা ভুলে যাচ্ছি, একটা খেতে না পাওয়া চাষী পরিবারের সারাদিন নিয়ে)।
  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:৫৯729214
  • আমি মার্কেজ দের কারা ভাবিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে রুলফো র নাম বলেছি। কিন্তু কেন বলেছি সেটা দেখছি লিখতে ভুলে গেছি, শুধু ওঁর খচরামো র একটা টেন্ডেন্সি ছিল এটা ছাড়া। রুলফোর শ্রেষ্ঠ কীর্তি পেদ্রো পারামো নামে একটা নভেলা, সম্ভত ১৯৫৯ বা ১৯৬০। স্টাইলিস্টিকালি 'স্পেয়ার' বলতে যা বোঝায়। ঘন বুনোটের না মার্কেজ ফুয়েন্তেস দের মত। গল্প টা মোটামুটি এই, পেদ্রো পারামো র ছেলে তার মৃত্যুর পরে তার লেজেন্ড আবিষ্কার করতে আসছে আদিবাড়ির অঞ্চলে। এবং গল্পটা এগোচ্ছে একটা পার্টে মৃতদের সঙ্গে কথোপকথনে, আরেকটা অংশে পেদ্রোর ছেলে বাপের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে, আত্মীয় অনাত্মীয় দের সঙ্গে খোঁজ খবর নিতে যা করছে বর্তমানে সেটা কে কেন্দ্র করে। আমি উল্লেখ করছি এই কারণে, সেটা হল একটা বিস্মৃত ইতিহাস কি ভাবে মানুষ্কে হন্ট করতে পারে এবং মৃত্যু এবং যুদ্ধ এবং অনাচার এর ইতিহাস যে আর যাই হোক কথোপকথনে কোন বাধা না, এই বিচিত্র বিশ্বাস নিয়ে গপ্প টা। তো এই টা সকলকে চমকে দিয়েছিল। আর ম্যাজিক বানাতে ওনাকে গদ্যের গতি বাড়াতে হয় নি, আশ্চর্য্য ডেলিবারেটলি শ্লথ এবং সে কারণেই অদ্ভুত, সিনিস্টার ইজ দ্য ওয়ার্ড। ম্যাজিকাল রিয়ালিজম প্রচলিত ধারণায় এটা যায় না, কিন্তু ঐ আর কি অলটারনেটিভ রিয়ালিটি তৈরী তে আশ্চর্য্য টেকনিক।

  • | ***:*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:১১729215
  • এপার ওপার এর তুলনা টা মনে হয় অপ্রয়োজনীয়। একেক জন তার দেশের তার সমাজের রিয়েলিটি কে কনফ্রন্ট করেছে, তার কল্পনার ট্র্যাডিশন কে বহন করেছে। এই সব তুলনার কোন মানে হয় না। আমাদেরে যেটা হয়, আবাপ র ৮০-নব্বই-২০০০ এর ডমিনান্স এর ফলে ওঁচা জিনিসকে 'এপারের' প্রতিনিধিত্ত্ব মূলক কাজ মনে হয়। কিন্তু অ্যাকচুয়াল এভিডেন্স ইস ওভারহেল্মিং অন দ্য কন্ট্রারি। এম্ফাসিস গুলো আলাদা।

    আর ওয়ার্ল্ড লিটেরেচার এর নানা (সমান্তরাল) ইপোক এর আমলে নানা লেখক আসছেন, তাঁদের টেকনিকাল প্রেফারেন্স , মতাদর্শগত পজিশনিং বদলাচ্ছে, দুনিয়া বদলাচ্ছে, মানুষ গুলো আলাদা , এসব তুলনা কইরা লাভ নাই। বাংলা সাহিত্য এই বৈচিত্রে এনরিচ্ড হচ্ছে এই টেই সবচেয়ে বড় কথা। প ব র রিয়ালিটি যদি বাংলাদেশের থেকে আলাদা হয়, আলাদা লেখা হবে, ক্লিয়ারলি, সেটা রাষ্ট্র গঠনের ইতিহাসের একটা প্রোজেকশন তো হবে, কিন্তু সেটা তো আর লেখক রা দুম করে বদলাবেন না, প্লাস স্থানীয় নানা অসংখ্য বিশেষত্ত্ব রয়েছে।

  • Atoz | ***:*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২৯729216
  • বাপরে এও তো দেখি নেরুদা দেরিদা কামু কাফকা লোরকা গোর্কি মার্কেজে ভরে গেল! তা এঁরা কি সব বাংলাদেশী লেখক? ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন