এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জাগো ভারতবাসী, জাগো

    Dipankar Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ৩১ অক্টোবর ২০১৬ | ২৬৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipankar Mukhopadhyay | ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০৬726455
  • সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ-শাসকের 'ডিভাইড অ্যান্ড রুল'-এর অব্যর্থ চালে ভারতবর্ষকে ছেঁটে ইসলামিক পাকিস্তানের জন্ম হয়। এই বিভাজন অবধারিত ছিল বলে মনে করতেন মহম্মদ আলি জিন্না। কিন্তু, দেশভাগের জন্য তাঁকে দায়ী করা যায় না। তিনি পরিস্হিতির শিকার। মহাত্মা গান্ধীর কাছে হিন্দু-মুসলমান এই দুই সম্প্রদায় ছিল একই-বৃন্তে-দুটি-কুসুম। সেই কারণেই ব্যথিত, যন্ত্রণা-কাতর মহাত্মা বলেছিলেন, "My whole soul rebels against the idea that Hinduism and Islam represent two antagonistic cultures and doctrines. To assent to such a doctrine is for me a denial of God." তবে কি স্নেহ, বাৎসল্যের বশবর্তী হয়েই শেষ পর্যন্ত তিনি দেশভাগে সম্মত হয়েছিলেন? কোনও কোনও ঐতিহাসিক এই ধারণার সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে, কাঠগড়ায় তুলতে চান জওহরলাল নেহেরুকে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে আবার মনে করেন, খিলাফৎ আন্দোলনের সময়ে কিংবা তারও বহু আগে ধর্মভিত্তিক দেশভাগের বীজ প্রোথিত হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে নানা মুনির নানা মত। এ সব বিচার-বিশ্লেষণের দায়িত্ব ইতিহাসবিদ্‌দের।
    তবে, পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলেও, স্বাধীন ভারতের জন্ম হয়েছিল ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে। দেশভাগের পর গঙ্গা-যমুনায় বিস্তর জল গড়িয়েছে। স্বাধীনতার পরেও, একাধিকবার, ভারতের মাটি ধর্মীয় সংঘাতের জেরে রক্তাক্ত হয়েছে। ধর্মান্ধ বিভিন্ন গোষ্ঠী এই দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতিকে নানা সময়ে, নানা ভাবে কলুষিত করতে চেয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বের দরবারে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিটি নষ্ট হয়নি।
    স্বাধীন ভারতে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, সেই কংগ্রেস দলটিকে, আর যাই হোক, অ-সাম্প্রদায়িক বলা চলে না কোনওমতেই। এর মানে এই নয় যে, সংখ্যালঘুদের প্রতি এই সরকার সব সময়ই দায়বদ্ধ থেকেছে, বা ন্যায়বিচার করেছে। মুসলমান সম্প্রদায়ের উন্নয়নে রাজনৈতিক দলগুলির উদাসীনতা চোখে পড়ার মতো। পরবর্তী সময়ে, মূলত ভোটবাক্সের প্রয়োজনেই, এই সম্প্রদায়ের গুরুত্ব কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও, ভারতীয় মুসলমানদের সার্বিক উন্নয়নে কারও কোনও মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না।
    এই মুহূর্তে রাষ্ট্রক্ষমতা যাদের হাতে, সেই ভারতীয় জনতা পার্টি দেশকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে। বকলমে দেশ চালাচ্ছে সংঘপরিবার। প্রতিবেশীদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আপাতত তলানিতে। দেশবাসীকে অচ্ছে দিনের টোপ দেখিয়ে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র দামদর মোদী, জঙ্গি দমনের নামে পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো ‘চমকপ্রদ সাফল্যে’র স্টান্টবাজি দেখিয়ে, সরকারের ‘অপদার্থতা’ লুকোনোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। দেশে কায়েম হয়েছে ফ্যাসিস্টরাজ। চোখ রাঙিয়ে, মৃত্যু ভয় দেখিয়ে শিল্পীর স্বাধীনতা খর্বই শুধু নয়, নস্যাৎ করে দেওয়া হচ্ছে। বলিউডের একটি চলচ্চিত্রে এক পাকিস্তানী অভিনেতার যুক্ত হওয়াকে কেন্দ্র করে অভূতপূর্ব সব কাণ্ডকারখানা শুরু হয়েছে, যা ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ, সহনশীল বলে পরিচিত রাষ্ট্রের পক্ষে নিতান্তই লজ্জার বিষয়। সব মিলিয়ে এ বড় সুখের সময় নয়!
    দেশের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলির একজোট হওয়ার সময় এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেস নাকি ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। কংগ্রেস-হাইকমান্ডের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর কথাবার্তাও হয়েছে। এমনটাই খবর।
    দেশের বামদলগুলি কী করছে? ক্ষমতা দখলের লোভে, এ রাজ্যে, ‘চিরশত্রু’ কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট বাঁধতে দ্বিধাবোধ করেনি সিপিএম। এখন, ধর্মনিরপেক্ষ জোটের প্রশ্নে, এই দলটির কিংবা অন্যান্য বামদলের ভূমিকা কী হয়, তাই দেখার!
    ধর্মান্ধ, ফ্যাসিস্ট, সংঘপরিবারের পদানত, জনস্বার্থবিরোধী এই কেন্দ্রীয় সরকারকে আর কতদিন সহ্য করবেন দেশবাসী? দেশের প্রতিটি পাড়ারই এখন জেগে ওঠার সময়, ঐক্যবন্ধনের সময়, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময়। নইলে দেশ বাঁচবে না!
    দীপঙ্কর
    ২৩ অক্টোবর, ২০১৬
  • s | 108.209.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৫১726456
  • মহাত্মা গান্ধীর কাছে হিন্দু-মুসলমান এই দুই সম্প্রদায় ছিল একই-বৃন্তে-দুটি-কুসুম।
    ------------------------
    একদম বাজে কথা। ৪৬এর দাঙ্গার সময় ওনার গতিবিধি দেখলেই সেটা স্পষ্ট হয়।
  • revolutionary | 222.117.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:১৫726457
  • ধর্মনিপেক্ষ জোটে যে সব আঞ্চলিক পার্টি যোগ দিতে পারে তাদের মধ্যে একমাত্র তৃণমূলেরই দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস আছে। পশ্চিমবঙ্গে বামেদের ধ্বংস করে তৃণমূলনেত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি শুধু জননেত্রী নন, তিনি প্রতিবন্ধকতার মুখে দাঁতে দাঁত দিয়ে লড়ে যেতে পারেন। বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই রকম একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ধরে নিয়ে নির্বাচনের অনেক আগে থেকে লড়াইয়ে যেতে হবে। আর যারা প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার আছেন তাদের বোঝাতে হবে মমতার প্রধানমন্ত্রীত্বে তারা রাজ্যে আরো অনেক বেশী ক্ষমতা ভোগ করবেন। ভারতবর্ষে প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো গড়ার লক্ষ্যে যুক্ত কর্মসূচী নিতে হবে। যাবতীয় করসংগ্রহের ক্ষমতা রাজ্যের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। তারপর রাজ্যগুলি স্থির করবে কেন্দ্রকে সেই করের কতটা দেওয়া হবে। রাজ্যগুলি সিদ্ধান্ত নেবে মিলিটারি বা পররাষ্ট্রীয় যোগাযোগ কতটা রক্ষা করা হবে বা হবে না। এমনকি কেন্দ্রীয় আমলাদের মাইনে, পেকমিশন রিপোর্ট এইসব দুই-তৃতীয়াংশ রাজ্য অনুমোদন করলে তবেই গৃহীত হবে।

    এইসব সংস্কার করলে তবেই যোগ্য লোকের প্রধানম্ন্ত্রী হবার পথ পরিষ্কার হবে।
  • s | 108.209.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৪২726458
  • তৃনমূল ধর্মনিরপেক্ষ দল হলে, আইসিস শান্তিপ্রিয় সংগঠন।
  • ranjan roy | 132.162.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ২৩:২৪726459
  • কার নাম দুন্দুভি কাকে বলে অরণি?
  • ট্রিডিঙ্গিপিডি | 127.194.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০১৬ ০৮:১২726460
  • রঞ্জনদার "ট্রোল চিনিবার ক্র্যাশকোর্স" লাগবে।
  • PP | 86.175.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৬ ১১:৫৩726461
  • উহু! নোটবই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন