এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ভূত এবং বাংলার রাজনৈতিক ভবিষ্যত

    bip
    অন্যান্য | ২০ মে ২০১৬ | ১১৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 81.244.***.*** | ২০ মে ২০১৬ ০৯:৫০716693
  • (১) বিরোধি রাজনীতির ভবিষ্যতরেখা ঃ

    জোট ঘোঁটে সিপিএমের লাভ-ক্ষতি নিয়ে চারিদিকে প্রচুর জটলা। কিন্ত কঠিন বাস্তবটা সিপিএমের কেউ মেনে নিতে চাইছে না।

    একজন নির্বোধ ও বোঝে, পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতি এখন বাই-পোলার। হয় মমতার পক্ষে নইলে বিপক্ষে। আগে যেমন ছিল হয় সিপিএম না হলে এন্টিসিপিএম। এর মাঝখানে হিন্দুত্ববাদি, দিল্লীর কংগ্রেস, বিশুদ্ধ বিপ্লবী কমি-কেউ হুল ফোটাতে পারে নি। কারনটাও স্বাভাবিক। বাইপোলার রাজনৈতিক বিন্যাসে ভোটের ময়দানে টিকতে গেলে, দুই পোলের মধ্যেই থাকতে হবে। নইলে আউট।

    সুতরাং বৃন্দাকারাত, বিমান বোস চান বা না চান-সিপিএমকে মমতা বিরোধি জোটে থাকতেই হবে। আর যদি সেই জোটে সিপিএম না যায়, তাদের ভবিষ্যত সুসি। ২০২১ এ একটাও সিট পাবে না। ওইসব বালছালের কমি আদর্শ দেখে এই রাজ্যে ভোট হবে না-হবে আপনি মমতার পক্ষে না বিপক্ষে। সিম্পল-ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট। মমতার পক্ষে-বিপক্ষের বাইরের কোন স্পেক্ট্রাম পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতিতে আর নেই-আগে যেমন সিপিএমের পক্ষে-বিপক্ষের বাইরে কিছু ছিল না। এটাই পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতির আজ শেষ কথা।

    একই কথা বিজেপির জন্যও সত্য। অমিত শাহ পরিস্কার ভাবেই তিনো বিরোধিতায় যেতে চান না। ফলে এই রাজ্যে বিজেপির ভবিষ্যত শুন্য। আবার যদি ধরা হয় বিজেপি আলাদা ভাবে তিনো বিরোধিতায় নামল। তাহলে যদ্দিন না পর্যন্ত, তারাই ক্রেডিবল মমতা বিরোধি পার্টি-তদ্দিন পর্যন্ত কিস্যু হবে না। কারন মমতা বিরোধিরা চাইবে, বিরোধি ভোট একটা বাক্সে জমা হোক।

    সিপিএম এন্টি-সিপিএমের দিনেও বিজেপির হাল ছিল একই। ওই বাই-পোলার রাজনীতির দুনিয়ায়, দুটোপোলের মধ্যে একটাতে না থাকলে ১০% ভোট আর ৫ টা সিটই অনেক বেশী। এর বেশী এগোবে না পার্টি।

    মমতা এবং মমতা বিরোধি এই বাইপোলার জগতে মমতার কিছু আনফেয়ার এডভ্যান্টেজ আছে। যেমন তৃণমূল আঞ্চলিক দল-এবং মমতার সিদ্ধান্তই ফাইনাল। ফলে তৃনমূল কখনোই দিল্লী, সেন্ট্রাল কমিটি এইসব নিয়ে টাইম নষ্ট করে না। বাকী অধীর, সূর্য্যকান্ত এবং দিলীপের অনেক দিল্লী ট্রাকশন।

    সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি-কেওই আলাদা ভাবে মমতাকে হারাতে সক্ষম না। অন্যদিকে বিজেপির ১০% ভোট ব্যাঙ্কটা দরকার মমতা বিরোধি শিবিরের।

    তাহলে ভবিষ্যতে মমতা বিরোধি পোলের বিবর্তন কি ভাবে হবে?

    ইনফ্যাক্ট -একটাই সমাধান আছে। সেটা হচ্ছে অধীর বা অশোকের নেতৃত্বে বাংলা বাঁচাও মঞ্চ টাইপের মমতা বিরোধি "পার্টী" ।

    জোটের ঘোঁটে কিছু হবে না। নতুন আঞ্চলিক পার্টি না হলে মমতাকে রোখা অসম্ভব। কংগ্রেস বা বিজেপির কেও কোনদিন সিপিএমকে ভোট দেবে না। সেটা এই জোটেই পরিস্কার। নিজেদের পার্টিতে থাকলে অধীর এবং অশোকের কোন রাজনৈতিক ভবিষ্যত নেই। এই ধরনের বাংলা বাঁচাও পার্টি হলে, সেই পার্টিটা মমতা বিরোধি ভোটের সবটা পাবে। ঠিক যেমন ভাবে মমতা সিপিএম বিরোধি ভোট নতুন পার্টির তলায় একত্র করেছিলেন-তাতে বাম, ডান, বুর্জোয়া সবাই সামিল হতে পেরেছিল। জোটে বিরোধি ভোট একত্র করা মুশকিল আছে। কিন্ত নতুন একটা পার্টি তৈরী হলে-যার একমাত্র বুলস আই মমতা বিরোধিতা-সেই পার্টি কিন্ত হিন্দুভোট, বামভোট , বুর্জোয়া ভোট একত্র করতে পারে।

    মমতাকে হারাতে চান ২০২১ সালে? ওয়েল মমতাকেই অনুসরন করুন। মার্ক্স, গান্ধী, শ্যামাপ্রসাদের ভূতেদের সাহায্যে বিরোধিরা জিতবে না।

    (২)

    বিজেপির ভবিষ্যত ঃ
    নেই। আগেই লিখেছি-বাংলা এখন মমতা বনাম মমতা বিরোধিদের বাইপোলার ওয়ার্ল্ড। আপনি হয় এর ভেতরে নইলে বাইরে। কালিয়াচকের দাঙ্গার কারনে একটা সিট তুলেছে মুসলিম ভোটের বিভাজনের কারনে। ওই একটা সিটেই হিন্দুভোট কনসলিডেশনের আভাস আছে। সেটা ভবিষ্যতের মডেল হতে পারে ? মনে হয় না।

    আরএসপি, সিপিয়াই, ব্লক-সরকারি বামেরা ?

    মমতা বিরোধি বাংলা বাঁচাও পার্টি তৈরী না হলে , এদের বিধায়কদের প্রায় সবাই মমতা ক্যাম্পেই জয়েন করবে। যেখানে রাজনৈতিক ভবিষ্যত নেই সেখানে কেউ থাকে না।

    বিপ্লবী বামেরা ?
    কিস্যু যায় আসে না। তারা তাদের <১% ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতে দেখতে স্কুল কলেজে নতুন মুর্গীর সন্ধানেই বাকী জীবন কাটাবেন।

    কংগ্রেস ?
    গোটা দেশে কংগ্রেস এবং গান্ধী ফ্যামিলি ভিত্তিক রাজনীতি এখন অপ্রাসঙ্গিক। বাংলা বাঁচাও টাইপের নতুন পার্টি ছাড়া কংগ্রেসের নেতাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত শুন্য।

    সিপিএম ?
    এ রাজ্যে সিপিএমের এখনো ১৫-২০% কমিটেড ভোটবেস আছে। সেটা কম না। কিন্ত এই বেসটা মমতা বিরোধি রাজনৈতিক পোলের অংশ না হতে পারলে, টিকবে না। এবং জোট তার সমাধান না। পার্টিটা খোল নলচে বদলাতে হবে। সম্পূর্ন ভাবে প্রথম থেকে শুরু করতে হবে এদের। যার ভিত্তি হোক কোয়াপরেটিভ মুভমেন্ট, লোকাল গভর্ন্যান্স, সরকারি চিকিৎসা এবং সরকারি শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন। এই মহুর্তে সিপিএমের নেতৃত্ব এবং বেসটি একটি সুবিধাবাদি ভদ্রলোক ক্লাসের লোকজন-যারা স্কুলের চাকরি চান। এই অবস্থা চলতে থাকলে পার্টিটা তুলে দেওয়া ভাল। গৌতম দেব, অশোক বাবুরা যদি এটা বোঝেন-পার্টির ভবিষ্যত নেই-সুতরাং তাদের নিজেদের ভবিষ্যত হচ্ছে একটা মমতা বিরোধি পার্টি তৈরী করা সমভাবাপন্ন কংগ্রেসীদের নিয়ে-তবেই সিপিএমের সমর্থকদের কিছু আশা ভরসার স্থল তৈরী হতে পারে। আদারওয়াইজ সিপিএম ইজ ডেড।

    (৩)

    শিল্প এবং চাকরির ভবিষ্যত ঃ
    অবশ্যই ভাল হবে। আমি চাইনা কোলকাতায় সবুজ ধ্বংস করে ব্যাঙ্গালোর গুরগাঁও এর মতন গুচ্ছ গুচ্ছ কোম্পানী এবং ভাল চাকরি আসুক। এবং তারপরে মাত্র দশ বছরে জলের লেভেল নেমে গিয়ে শহরটাই ধ্বংশ হৌক।

    গত ৩৪ বছরে সিপিএম রাজ্যটাকে ছিবড়ে করে দিয়েছিল শ্রমিক আন্দোলনে। সবাই এই রাজ্যকে ভয় পেত শ্রমিক আন্দোলনের কারনে। স্ট্রাইকের পর স্ট্রাইক ডেকে রাজ্যের কর্ম সংস্কৃতি ধ্বংস করা হয়েছে। কে আসবে এই রাজ্যে শিল্প গড়তে?

    মমতা ব্যানার্জি শ্রমিক আন্দোলন এবং নির্বোধের বন্ধ সংস্কৃতি আটকেছেন সফল ভাবে। শিল্প স্থাপনের এটা ছিল প্রথম শর্ত। সেই শর্ত এখন পশ্চিম বঙ্গে বিদ্যমান। পশ্চিম বঙ্গে বামেরা ধ্বংশ না হওয়া পর্যন্ত কিস্যু হত না। সেটা হয়েছে। এখন ইনভেস্টমেন্ট আসবে।

    এবার দরকার দ্বিতীয় শর্তে। আইন শৃঙ্খলা এবং সিন্ডিকেটের হাত থেকে শিল্পকে বাঁচানোর। শেষের দিকে এই কাজটিও ভাল ভাবেই করেছেন মমতা। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। শিল্প না আসলে সিন্ডিকেটের ও ইনকাম নেই। কোলকাতার রিয়াল এস্টেট মার্কেট ধ্বংস। ৪০ থেকে ৬০% দাম কমেছে বাড়ির। স্পেকুলেশনের জন্য কেউ আর ফ্ল্যাট বানাচ্ছে না। সিন্ডিকেটই বা টাকা পাবে কোথাথেকে?

    সুতরাং এস এই জেড মানা ছাড়া মমতার হাতে দ্বিতীয় কোন গতি নেই। পার্টির্ব আভ্যন্তরীন চাপেই উনি সিলেক্টিভলি মেনে নেবেন।

    যেটা বেশী দরকার-সেটা হচ্ছে বাঙালীদের মধ্যে থেকে আন্তারপ্রেনার তুলে আনা-উদ্যোগপতি তৈরী করা। প্রান্তিক শহর গুলিতে ছোট ছোট কারখানা খুলুক। ৩৪ বছর ধরে লাল ঝান্ডার ভয়ে সেসব হয় নি। অনেকে ভয়ে তাদের ছোট কারখানা সম্প্রসারন করতেন না। তারা আশাকরি এবার সাহস পাবেন যে সিপিএম এখন শেষ-শ্রমিক আন্দোলনের ভয় নেই।

    এই রেজাল্ট পশ্চিম বঙ্গের জন্য পজিটিভ। ভীষন ভাবেই পজিটিভ। বাম শক্তির সম্পূর্ন ধ্বংস ছাড়া রাজ্যের প্রগতি ছিল অসম্ভব। সেটা এখন ১০০% এচিভড। সুতরাং এবার শুধু গড়ার পালা।
  • :) | 165.136.***.*** | ২০ মে ২০১৬ ০৯:৫৭716704
  • কাদায় পড়লে হাতি
    বিপেও মারে লাথি :)
  • বিপ | 81.244.***.*** | ২০ মে ২০১৬ ১০:১৭716715
  • বাম বিরোধিতার বাংলা সংকলনে, আমার থেকে কন্ট্রিবিউশন কার বেশী আছে ?
  • Bip | 81.244.***.*** | ২১ মে ২০১৬ ০৮:৫৬716716
  • সিপিএম -আত্মঘাতি বাঙালীর ইতিহাস
    (১)
    ২১ ই আগস্ট, ১৯৯১। মস্কোতে ট্যাঙ্ক ঘিরে ফেলেছে ক্রেমলিনের প্রাসাদ। হার্ডলাইন কমিনিউস্ট নেতারা গর্বাচেভকে তার ক্রিমিয়ার সামার রিসর্টে গৃহবন্দি করে বিশুদ্ধ কমিনিউজম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মিলিটারী ক্যু ঘটিয়েছেন। জনগণ পালা করে পাহারা দিচ্ছে বরিস ইয়েটসলিনের গণতন্ত্রপ্রেমী রাজনৈতিক নেতাদের। কেজিবির ওপর নির্দেশ এল, মেশিনগান নিয়ে ঢুকে বিদ্রোহি গণতন্ত্রকামী নেতাদের ১০০% ডাইল্যুউশনের। ফিনিশ দেম। সেভ কমিউনিজম!

    এই অধ্যায়ে কেজিবির হেড তাদের কমরেডদের জিজ্ঞেস করলেন-তোমরা কি চাও? সেই কমিনিউস্ট জমানায় ফিরে যেতে যেখানে পার্টির অঙ্গুলি হেলনে কারনে অকারনে খুন করতে হয়, বন্দি করতে হয়-নাকি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাশিয়া? কজন বরিস ইয়েসলিনের ( তখন বরিস ইয়েসলিন রাশিয়ান ফেডারেশনের হেড) দলবলকে খুন করতে রাজী আছ?

    একজন কেজিবি এজেন্ট ও এগিয়ে এল না।

    কি করে আসবে? তারা দেখেছে রাশিয়া দুরাবস্থা। কোথাও খাবার নেই। সর্বত্র স্ট্রাইক। গত কুড়ি বছর ধরে একটা দেশের অর্থনৈতিক প্রগতি নেগেটিভ।

    সেই মুহুর্তটাই কমিনিউস্ট নামক দানবটির মৃত্যুক্ষন। এরপর যা ঘটেছে সোভিয়েতের পতন, ইস্টার্ন ব্লকের পতন,পশ্চিম বঙ্গের কমিনিউস্টদের পতন-সবটাই সেই মৃত্যুর পরে, দানবটার আস্তে আস্তে একেকটা অর্গান শুকিয়ে আসা। নতুন করে মৃত্যু না। মৃত্যু অনেক আগেই ঘটেছে। সেই ২১শে আগস্ট, ১৯৯১।

    এর আগে পর্যন্ত, মিথ্যে প্রচারে আমরা বিশ্বাস করতে শিখেছিলাম সোভিয়েত ইউনিয়ান হচ্ছে স্বর্গরাজ্য। কেন কমিউনিজম? ছোটবেলায় আমাদেরকে দেখানো হত -সোভিয়েত ইউনিয়ান। এক স্বপ্নরাজ্য। সেই প্রপাগান্ডার জন্য মির পাবলিকেশন থেকে আসত বাংলায় অনুদিত প্ত্রিকা সোভিয়েত ইউনিউয়ান। বিনা পয়সায় মাসে একদিন। অবিশ্বাস্য পেপার এবং প্রিন্টিং কোয়ালিটি। ওই প্রিন্টিং কোয়ালিটি দেখেই কমিনিউজমের প্রতি বিশ্বাসে মাথা নীচু হয়ে আসত! তার ওপরে আছে অবিশ্বাস্য সব ছবি সোভিয়েতের লাইফ-স্টাইলের। সুইমিং পুল, টেনিস , ডিস্কো-রেস্টুরেন্ট। কে জানত তখন ওই লোকগুলো মাত্র দুশো গ্রাম বাটারের জন্য রেশনের লাইনে মারামারি করে মাথা ফাটাচ্ছে?

    অথচ কোনদিনই তখন জানতাম না, যাসের অবিশ্বাস্য পরিশ্রমে বেড়োচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়ান, তাদের পেটে রুটি নেই। খাদ্য সংকট এত তীব্র হয় রাশিয়ায়, ১৯৮৯ সাল থেকে রেশন চালু করতে বাধ্য হয়েছিল সরকার ।

    ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ান ধ্বংস হয়, পৃথিবীর সমস্ত দেশের কমিনিউস্ট পার্টিগুলির মৃত্যুদিন সেদিনই লেখা হয়ে গিয়েছিল। ওই ১৯৯১ সালের পরেও যে পশ্চিম বঙ্গে একটা কমিনিউস্ট পার্টি এখনো ২৫ বছর টিকে আসে-এই বিশ্লেষনটা করা দরকার আছে। কমিনিউজমের মৃত্যু মানে অবশ্যই বামপন্থার মৃত্যু না। কিন্ত ওই লেনিনবাদি পার্টি স্বর্গ, পার্টি মর্ত্য টাইপের আবাল আদর্শবাদ পয়দা করে একটা জাতিকে সম্পূর্ন ধ্বংশ করার আত্মঘাতি রাজনীতি ১৯৯১ সালের পরেও কিভাবে ২৫ বছর বাংলায় টিকে গেল-তার সম্পূর্ন কৃতিত্ব প্রাপ্য ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের।

    (২)
    ১৯৯১ সালের মধ্যেই, জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়ানের দৌড়াত্মে পশ্চিম বঙ্গের শিল্প সম্পূর্ন মৃত্যুমুখে পতিত। ব্যান্ডেল থেকে হাওড়া যেতে গঙ্গার দুইধারে সারি সারি কারখানার কংকাল। ট্রেনে ভর্তি ভিখিরী-হকার। যারা এককালে ছিল কারখানার শ্রমিক। কিন্ত ১৪ বছরের বামফ্রন্ট শাসনে পুলিশ, এডমিনিস্ট্রেশনে সর্বত্র সিপিএম। কেন্দ্রের কংগ্রেসের কোন দায় নেই সিপিএমকে বাংলা থেকে সরানোর। কারন লোকসভায় কংগ্রেসের দিল্লী হাইকমান্ডের কাছে জ্যোতিবাবু যতটা প্রিয়ছিল- প্রিয়রঞ্জনরা ছিলেন না। বাংলার লোকেরাও যে তরমুজ কংগ্রেস নেতাদের ওপর ভরসা করতে পারছে -এমন না। ব্যাপক ছাপ্পা আর পঙ্গু কংগ্রেস নেতৃত্বের ফলে জ্যোতি বসুর মতন একজন মধ্যম মেধার মাথামোটা লোক, পশ্চিম বঙ্গে রাজত্ব করে গেল কুড়ি বছর। জ্যোতি মোষ ( ওটাই আমাদের চালু নাম) রাজত্ব করেছে বললে ভুল হবে। জংগী ট্রেড ইউনিয়ানের বুলডোজার চালিয়ে পশ্চিম বঙ্গকে ধ্বংস করছে। ওই লোকটাই পশ্চিম বঙ্গের শিল্পের কালাপাহাড়।

    আমরা বড় হচ্ছি-ক্লাস সিক্স থেকে ইংরেজি। তার থেকেও মারাত্মক, সব কারখানাতেই লক আউট। নতুন কোন শিল্প আসছে না। যেগুলো ছিল, সব আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এইঅবস্থায় কিছুটা আশার সঞ্চার হয় কম্পিউটার এবং সফটোয়ার আউটসোর্সিং এ। কিন্ত বাধ সাধলেন জ্যোতিবসু। পশ্চিম বঙ্গে কম্পিউটার ব্যবহারে অলিখিত নিশেধাজ্ঞা আসে ট্রেড ইউনিয়ানের মাধ্যমে। উনি জানালেন কম্পিউটারের ব্যবহারের ফলে প্রচুর কেরানী চাকরি হারাবে।

    এই সময়ের একটা ঘটনা বলি। আমি তখন আই আই টিতে দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র। আমার এক বন্ধু কোলকাতার একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে ইন্টার্নশিপ করছে সামারে। আমি ইন্টার্নশিপ করতাম সাহা ইন্সিটিউটে। ওর কারখানাতে গেছি একদিন। দেখি ও ফার্মের কম্পিউটারে চুটিয়ে ভিডিও গেম খেলছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম -কিরে এই কোম্পানীতে লোকে কম্পিউটার ব্যবহার করছে না?

    ও বললো, না। ট্রেড ইউনিয়ানের নির্দেশ আছে-কেউ যেন কম্পিউটার ব্যবহার না করে। তাই কর্মীরা এতে ভিডিও গেম খেলে। ফলে যা হওয়ার তাই হল। আই টি শিল্পে এগিয়ে গেল ব্যাঙ্গালোর, নয়দা, হায়দ্রাবাদ। কোলকাতা পেল শুন্যে শুন্য।

    আশা করি বুঝতে পারছেন জ্যোতি বসু এবং অশোক মিত্রের মতন বামপন্থী নেতারা সেকালে কি লেভেলের গাধা ছিল এবং কিভাবে তাদের একের পর এক আত্মঘাতি সিদ্ধান্তের খেসারত দিয়েছে আমাদের প্রজন্ম। বামপন্থী তাত্ত্বিক গাধামো এতটাই ক্ষতিকর, এবং আমাদের প্রজন্ম সেই গাধামোর জন্য এতটাই সাফার করেছে, পশ্চিম বঙ্গের শাসন ক্ষমতা থেকে এই "ভদ্রলোক" বামপন্থী বুদ্ধিজীবি ক্লাসটাকে ছুঁড়ে না ফেলে দিলে, এই রাজ্যের কোন ভবিষ্যত থাকা সম্ভব না।

    ভাববেন না আমি বামপন্থী বিরোধি কেউ। কিন্ত পশ্চিম বঙ্গে সিপিএমের মাধ্যমে যে বামপন্থী ক্লাসের সৃষ্টি হয়েছে, সেটি আদ্যপান্ত একটি পরজীবি বুর্জোয়া ক্লাস । যাদের পেটে না আছে বিদ্যা । মাথায় না আছে বুদ্ধি। না আছে চাষের জমিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা। না কারখানায় কাজ করার শিক্ষা। না কিভাবে ব্যবসা করতে হয়, তার নো-হাও। এদের মোক্ষ স্কুল কলেজের একটি সিকিউরড চাকরি! সেটা বাগিয়ে সর্বত্র সাংস্কৃতিক বালামো করা-এই হচ্ছে তখনকার এবং বর্তমানের সিপিএমের পেডিগ্রি।

    এই নয় যে গ্রাম খুব এগোচ্ছে তখন । ওপারেশন বর্গার ফলে একটা স্বচ্ছল কৃষি সমাজ তৈরী হয়েছে। কিন্ত সবার ছোট ছোট জমি। কারুর হাতে পুঁজি নেই যে গ্রামে ছোট ছোট কৃষি ভিত্তিক কারখানা করবে। কৃষি থেকে কৃষি ভিত্তিক শিল্পের উত্তোরনের জন্য দরকার ছিল কোয়াপরেটিভের। সেসব হল না । ফলে গ্রামে যাদের তিনটে চারটে করে ছেলে মেয়ে-অনেকেই বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে অন্য রাজ্যবাসী হতে বাধ্য হয়েছে বহুকাল আগেই।

    এর পরেও সিপিএম টিকেছে বেশ কিছুদিন। বুদ্ধ এসে অবস্থা আঁচ করেছিলেন। ভদ্রলোক ভালোই চেষ্টা করেছিলেন। জনগণ তাকে দুহাত তুলে ভোট ও দিয়েছিল। কিন্ত যারা ব্যবসা বোঝেনা, তারা যদি রাতারাতি শিল্প তৈরী করতে যায়, দালালদের খপ্পরে যাবেই। বুদ্ধর ও সেই হাল হল। কোলকাতার শহর তলিতে গজিয়ে ওঠে জমি হাঙর। যারা পার্টির সিলমোহরে, চাষীদের ভয় দেখিয়ে জমি কারতে শুরু করে। তবে সব থেকে বড় ক্ষতিটা তদ্দিনে করে দিয়েছেন প্রকাশ কারাত। ইউএস ভারত নিউক্লিয়ার ডিলে জন্য ইউ পি এ থেকে বেড়িয়ে এসে।

    প্রকাশ কারাতের মতন সিপিএমের নেতারা কতটা নির্বোধ-সেটা যদি জানতে চান-শুধু এই তথ্যটা জানুন। আমেরিকা-ভারত নিউক্লিয়ার ডিল সাইনের ১০ বছরের পরেও কোন আমেরিকান বহুজাতিক ভারতে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট খোলে নি। অথচ এই আমেরিকান বহুজাতিকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন, প্রকাশ কারাত। সাথে সাথে সিপিএম। এদিকে ডিল সাইনের দশ বছর বাদেও কোন আমেরিকান বহুজাতিকদের দেখা নেই নিউক্লিয়ার সেক্টরে!!

    অর্থাৎ ভুতের সাথে যুদ্ধ করে আত্মঘাতি হয়েছিলেন প্রকাশ কারাত। ডুবিয়েছিলেন বুদ্ধকে। সিপিএম পার্টিটাকে।

    এই সব বাম নির্বোধরা, তাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য ডুবলে আনন্দই পাই। কিন্ত মুশকিল হয় যখন এই নির্বোধরা ক্ষমতায় বসে সফটোয়ার শিল্পকে শুরুতেই ধ্বংস করে।

    আমি এই জন্যেই লিখেছিলাম-পশ্চিম বঙ্গের উন্নতির প্রথম শর্ত সিপিএম "ভদ্রলোক" মুক্ত পশ্চিম বঙ্গ। সেটা এই নির্বাচনে ঘটেছে। এবার এগোবে পশ্চিম বঙ্গ।
  • Arpan | 24.195.***.*** | ২১ মে ২০১৬ ০৯:০৩716717
  • ১৯৯৬ সালে ইনফি কলকাতায় ডেভেলপমেন্ট সেন্টার খুলতে চায়, তাতে বাগড়া দেন স্বয়ং জ্যোতি বসু। ইনফি চলে যায় ভুবনেশ্বরে। বিপের লেখায় আশা করছিলাম এই পয়েন্টটা থাকবে।
  • bip | 81.244.***.*** | ২১ মে ২০১৬ ০৯:২৬716718
  • আত্মঘাতের কথা আর কত লেখা যায়?
  • S | 108.127.***.*** | ২১ মে ২০১৬ ১০:৩৮716719
  • কিন্তু তখন তো বামেরা বহাল তবিয়তেই থেকে গেছে। যখন শিল্প করতে গেলো তখনই তো ডুবলো। আরেকটু ভেবে চিন্তে লিখলে ভালো হয়।
  • Arabul | 12.223.***.*** | ২১ মে ২০১৬ ১৩:৫৫716720
  • চিপিয়েম Aar বাংলাদেশ কে হারানোর থেকে ওদের অজুহাত শোনা টা সবসময়েই বেশি নির্মল আনন্দের সন্ধান দিয়ে থাকে
  • lcm | 83.162.***.*** | ২২ মে ২০১৬ ০১:০২716721
  • সিপিএম শিল্প করতে গিয়ে ডোবে নি, ১৪টা চাষীর বুকে বুলেট ঢুকিয়ে শিল্প করতে গিয়ে ডুবেছে।
  • Arabul | 92.132.***.*** | ২২ মে ২০১৬ ০১:১৩716694
  • আজ আবার প্রিয় বান্ধবী দল ও chotto করে 'ও আমার কেউ নয় পিসতুতো ভাই হয় ' এইসব বলে দিল্লি চলে গেল.
  • bip | 81.244.***.*** | ২২ মে ২০১৬ ১৭:৪১716695
  • সিপিএমের পতনে যাদের দুঃখে পেট এবং হৃদপিন্ড ফেটে যাচ্ছে, তাদের জন্য দুচার লাইন !
    ************
    আমি মনে করিনা, ১৯৭৭ সালে যে পার্টিটাকে চিনতাম এটা সেই পার্টি। ১৯৭৭ সালে সিপিএম যখন ক্ষমতায় আসে আমার বয়স চার। তখনো পার্টিতে শিক্ষকদেরই প্রাধান্য। কিন্ত এইসব শিক্ষকরা চরম দারিদ্রের মধ্যে লড়াই করতে করতে উঠে এসেছেন। আমার বাবা মাও ছিলেন সেই কাতারের শিক্ষক যারা জীবন সংগ্রামের শিক্ষা বই এর পাতা থেকে না-জীবন থেকেই নিয়েছেন । তখন কংগ্রেসের আমলে শিক্ষকদের বেতন ছিল খুব কম এবং তাও চার থেকে ছমাস বাদে পেত শিক্ষকরা।

    যেহেতু শিক্ষক শ্রেনী ছিল সিপিএমের ভিত্তি,বামফ্রন্ট ক্ষমতায় এসে প্রথমেই শিক্ষকদের বেতনক্রম এবং নিয়মিত বেতনের ওপর জোর দেয়। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কারন প্রতিটা পার্টীই তার বেসকে দেখে ( আমেরিকাতেও )। তাছারা শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। এগুলো সিপিএমের ভাল কাজ।

    কিন্ত সিপিএম যেটা ভুল করে বসল-সেটা হচ্ছে পার্টির কোটেরি বা ভরকেন্দ্র-সেখানে না থাকল ব্যবসায়ী, না শিল্পপতি, না শ্রমিক, না কৃষক। এজ ইফ শিক্ষকরা সব জানেন। ভাল ভাল সব পরিকল্পনা হয়েছে-কিন্ত কোনটাতেই লিডারশিপ বা প্ল্যানিং ছিল না। কারন শিক্ষক নেতৃত্বের পক্ষে ওসব লিড করা সম্ভব ছিল না।

    আরেকটা মারাত্মক ভুল, হাসপাতালের মতন সার্ভিস সেক্টরে তাদের পেটোয়া কোয়ার্ডিনেশন কমিটিগুলির হাতে পরিচালনার ভার সম্পূর্ন তুলে দেওয়া। অবস্থা এতটাই বাজে ছিল-আমার যারা ডাক্তার আত্মীয় ছিলেন, তারা ক্লাস ফোর স্টাফ বা নার্সদের বকতে ভয় পেতেন। সরকারি হাসপাতালগুলো মাত্র পাঁচ বছরের মধেই নরকে পরিণত হয়-কারন সরকারি স্টাফেরা বুঝে গেছে পার্টিতে মিটিং এ মিছিলে মুখ দেখাতে হবে। কাজের কোন দাম নেই। আর এর পরিনতি হল, মহান কমিনিউস্ট নেতা জ্যোতিমোষ সহ পার্টির উচ্চনেতাদের কেওই সরকারি হাসপাতালে নিজেরাই ভর্তি হতে সাহস পেলেন না! ফলে সিপিএমের ওই আইডিওলজিক্যাল গ্রাউন্ড যে সম্পূর্ন পাতলা পায়খানা সেটা কিন্ত বামফ্রন্ট শাসনের প্রথম দশ বছরেই পরিস্কার হয়। মুখে বলব সমাজতন্ত্রের কথা, আর এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও নিজেরা যাব প্রাইভেট হাসপাতালে-আর ছেলে মেয়েদের পড়াবো প্রাইভেট স্কুল কলেজে-এই ধরনের কাজ করলে, একজন সমাজতন্ত্রী আর ক্লাউনের মধ্যে কি পার্থক্য থাকে? আপনি আচরি ধর্ম না হলে সবটাই জোকারগিরি।

    প্রথম দুই বামফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় দুবৃত্তায়ন হয় নি। কিন্ত বাজারে চাকরি ত নেই। সব অফিস কোলকাতা ছেড়ে মুম্বাই এ চলে গেছে প্রথম পাঁচ বছরেই। এদিকে স্কুলের চাকরি লোভনীয়। ফলে স্কুল কলেজের চাকরিতে স্বজন পোষন শুরু হল । এইখান থেকেই পার্টির পচনের ১০০% শুরু। এইখান থেকেই পার্টির সম্পূর্ন ফোকাস হয়ে দাঁড়াল কিভাবে নিজেদের লোকেদের চাকরি দিয়ে ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়। শিল্পায়ন নিয়ে কোন চিন্তাই নেই! প্রগতিশীল চিন্তাভাবনাকে ছড়ানোর অনেকগুলো মঞ্চ প্রথম এবং দ্বিতীয় বামফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় কাজ করেছে । যেমন যুবকল্যান মঞ্চ। এরা বহুদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রগতিশীল আদর্শগুলোকে ছড়ানোর চেষ্টা করেছে এক সময়। কিন্ত ওই যে-আস্তে আস্তে পচন শুরু হওয়ার পরে-সব কিছুই ধ্বংস হয়। আলটিমেটলি পার্টিটা ছিল-কিভাবে রিগিং করে জিততে হবে-আর নিজেদের ছেলেমেয়েদের সরকারি চাকরি পাওয়াতে হবে। শিক্ষা, কৃষি, প্রগতিশীল চিন্তা-এই সব নিয়ে একটু আধটু হোলদোল প্রথম দশ বছরে দেখতাম। আস্তে আস্তে সব কিছু হারিয়ে সিপিএম মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকদের স্কুল আর সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার পার্টিতে পরিণত হয়।

    একেতে অশোক মিত্রর মতন মহান পন্ডিতরা তাত্ত্বিক ভাবে পশ্চিম বঙ্গের ভবিষ্যত প্রজন্মের পেছন মেরে গেছেন- তবে পার্টির লোকগুলো তখনো ভদ্রলোক। কিন্ত ১৯৮৮-৯০ এর পরে যেসব ক্যাডার ঢুকল বেনোজলের মতন-সব হার্মাদ। ১৯৯৬ সালে এস এফ আই এর জাতীয় সম্মেলনে গিয়ে উঠতি ছাত্রনেতাদের সাথে তিনদিন থাকার অভিজ্ঞতা হয়। সব থেকে নিকৃষ্ট মানের ছাত্রপ্রতিনিধি ছিল পশ্চিম বঙ্গের। যেগুলো পাতি পাড়ার মস্তান। কিন্ত পাঞ্জাব, কেরল, অন্ধ্রের কমরেড ছাত্ররা ছিলেন বেশ আদর্শবাদি এবং শিক্ষিত। আমি সেদিনই বুঝেছিলাম, পশ্চিম বঙ্গে সিপিএম একদিন না একদিন শেষ হবেই। তবে ভারতে শেষ হবে না। এমন গরীব দেশে কমিনিউজমের একটা প্রয়োজনীয়তা এবং এপিল থেকে যাবেই।

    যে সিপিএম এখন টিকে আছে তা ১৯৭৭ এর ছায়া ছাড়া কিছু না। সেই ১৯৭৭ সালেও সিপিএম যে খুব কর্মদক্ষ পার্টি ছিল তা না। কারন পার্টির র‍্যঙ্ক আন্ড ফাইলে ব্যবসা, শিল্প এবং কৃষি বোঝার মতন নেতা তখনো ছিল না। কিন্ত তখন লোকগুলো সৎ ছিল-জেনুইন দারিদ্রের সাথে যোগ ছিল তাদের।

    যাইহোক, সিপিএমের পক্ষে আর ফেরা সম্ভব না এই রাজ্যে। কারন তাদের বাম স্পেসটা মমতা ব্যানার্জি সম্পূর্ন ভাবেই নিয়ে নিয়েছেন। সিপিএমের বেসটাই চলেগেছে তৃনমূলে এবং রিভার্স সিফটের সম্ভাবনা নেই-কারন সিপিএম তার বেসটাকে ইগনোর করেছে প্রায় কুড়ি বছর।

    সব পার্টিরই মৃত্যু হয়। সিপিএম তার ব্যতিক্রম হতে পারে না। ডেভিল হ্যাজ প্লেইডস ইটস রোল। পার্টি অফিস গুলো, যার অধিকাংশ বেয়াইনি, সেগুলো পার্টির তরফ থেকেই কোচিং সেন্টার বা বিজনেস সেন্টারে পরিনত করার অনুমতি দিক পার্টি। জনগণের বিরুদ্ধে যে পাপ তারা করেছেন, পার্টিঅফিস গুলো জনগনের ব্যবহারের জন্য খুলে দিয়ে, পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুন তারা।
  • PT | 213.***.*** | ২২ মে ২০১৬ ১৭:৫০716696
  • বোঝ কান্ড। যাঁর পেটে ও হৃদপিন্ডে বেদনা সব চাইতে কম, তিনিই বাইটের পর বাইট কাঁদুনি গাইছেন।
  • Rejjak | 12.223.***.*** | ২২ মে ২০১৬ ১৭:৫৩716697
  • কি গাওয়া উচিত ছিল ?
    ওরা আমাদের গান গাইতে দেয়না?
    বা
    জাগো সর্বহারা ধর অধীর দা র হাত ?
  • dc | 120.227.***.*** | ২২ মে ২০১৬ ১৮:৫৭716698
  • সিপিএম আর পবতে রাজনৈতিক ভাবে রেলিভ্যান্ট হয়ে উঠতে পারবেনা, এটা আমারও মনে হয়। ১৫-২০ বছর পরে দেখব ঠিক বলেছিলাম না ভুল।
  • Chiru Mukherjee | ২৩ মে ২০১৬ ০০:৫৭716699
  • বাংলা কথায় জ্যোতিবাবুর সময়কার সিপিএমের আইডিয়াগুলো হাইজ্যাক করে তার সঙ্গে তামিলনাডুর এটা সেটা দেবার রাজনীতি , সাউথের ফিল্মস্টার রাজনীতি ব্লা ব্লা দিয়ে মিশিয়ে মুড়িঘন্ট বানিয়েচে তৃণমূল ।

    আর বুদ্ধদেবের সেজনির্ভর শিল্পায়ন, বিগ টিকিট ইনভেস্টমেন্টের আইডিয়াগুলোর সঙ্গে হিন্দুত্ব মিশিয়ে এবিপিপাচ্য ভেলপুরি বানিয়েছে বিজেপি ।

    মাঝখানে ছাগলের তৃতীয় সন্তান আজকের সিপিএম । রাজনীতি করার মত আইডিওলজিকাল স্পেস নেই । সরকারি চাকরি হাতাতে নিজেদের লোক পাবলিক ভাবে - ডিএ না দেওয়া নিয়ে ফেসবুকে চেঁচানোই হচ্ছে বিপ্লব । গোদের ওপর বিষফোঁড়া ৩৪ বছরের অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি ( আরও বেটার টার্ম বোধহয় পিটিএসডি ) ।

    যাকগে, ভালই হবে । "সাম্রাজ্যবাদ ......কোঁত কোঁত দু ঢোক পেপসি ...... নিপাত যাক " স্লোগান দিয়ে দিয়ে বড়ই পরিশ্রান্ত বাছারা । দুদন্ড জিরোক ।
  • sm | 53.25.***.*** | ২৩ মে ২০১৬ ০১:২২716700
  • কোন একটা কাগজে দেখলুম, সরকারী চাকুরেরা ঢেলে তিনদের ভোট দিয়েছে!সত্যি কারণডা, বুইতে পারলুম না।
  • bip | 81.244.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ০৯:৩৬716701
  • সিপিএম জমানার গপ্পো
    *********************
    (১)
    সেটা ১৯৮৩ কি ৮৪। দ্বিতীয় বামফ্রন্ট জমানা। ব্যান্ডেল থেকে ট্রেনে হাওড়া যাচ্ছি। তখন ক্লাস ফাইভ কি সিক্সে।

    জঙ্গী ট্রেড ইউনিয়ানের দাপটে ব্যান্ডেল হাওড়া লাইনে তখন প্রায় সব কারখানায় লক আউট। তাদের অনেকেই ট্রেনের হকারি করে কোন রকমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। কিন্ত সেটাও বেশ টাফ লাইফ। যারা একটু আধটু হিন্দি বা চটুল গান করতে পারত, তাদের অনেকেই ট্রেনে গান বাজনা করে ভিক্ষা করতে লাগল। শ্রমিক থেকে ভিখিরিতে অধঃপতন ইতিহাসে মোটেও বিরল না-বরং পৃথিবীর সর্বত্রই হয়। বাম জমানার জঙ্গী ইউনিউয়ানবাজিতে পশ্চিম বঙ্গে ১৯৭৭ থেকে ৮৭ এর মধ্যে প্রায় ৮০% মেজর প্রোডাকশন ইউনিট হয় বন্ধ হয়, নইলে তালা ঝোলে। ছাঁটাই, লক আউট শ্রমিকদের যে কি হাল হয়েছিল-সেগুলো চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আমি খুব অবাক হই -যখন দেখি বাংলার সাহিত্য, রাজনীতি কোন কিছুইতেই এই সব ছাঁটাই বাতিল শ্রমিকদের কোন স্থান নেই।

    এই ঘটনা তাদের একজনকে নিয়েই।

    শ্রমিক থেকে ভিখিরি-ট্রেনে গান গাচ্ছে-ভিক্ষে করছে-এসব তখন বিরল দৃশ্য না। সব ট্রেনেই দেখতাম। এই ঘটনাটা উল্লেখ করছি-কারন এখনো ভুলি নি।

    সেদিন ও এক বছর ত্রিশের যুবক তখনকার হিট হিন্দি গানগুলো গাইছিল। সামনে গামছা -যে এক দুটাকা দিতে চায় দিক।

    এক বয়স্ক ভদ্রমহিলা-খানিকটা স্বগতোক্তির ঢংএ বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন-জোয়ান মরদ, এইভাবে কখনো ভিক্ষে করে? গতর লাগালে পারে ত!!

    ছেলেটা ভালোই গাইছিল-হয়ত গান করে, কারখানার শ্রমিকদের থেকে আনন্দ অনেক বেশীই পায়। কথাটা কানে যেতেই -গানফান থামিয়ে চিৎকার করে উঠল ,

    ---আরে মাসীমা-এমন করছেন যেন আপনার ঘরে কোন বেকার নেই!!! আপনার ছেলে, ভাইপো , বোনপোর যে আমার হাল হবে না, গ্যারান্টি আছে মাসীমা?????

    গোটা ট্রেনে পিন-ড্রপ সাইলেন্স। বোধ হয় মুহুর্তের জন্য হলেও গোটা কামরার লোকজন অনুভব করল-সব ঘরেই সক্ষম শিক্ষিত যুবক-অথচ পশ্চিম বঙ্গে তখন চাকরি নেই! চারিদিকে শুধু বেকারি।

    পুরো ঘটনাটাই আমার কাছে এত শকিং- এখনো ভুলি নি।

    (২)

    ছোটবেলায় সিপিএম জমানার স্মৃতিচারন করতে গেলে প্রদীপকাকুর কথা সবার আগে মনে আসে। উনি আগে বাবার স্কুলের শিক্ষক সহকর্মী ছিলেন, পরে ট্রান্সফার নিয়ে মুর্শিদাবাদের লালবাগে যান। বাবা এবং প্রদীপ কাকু-দুজনেই খুব আদি কমরেড, সিপিএমের জন্মলগ্ন থেকেই একসাথে ছিলেন সিপিএমে।

    যদ্দুর মনে আছে উনি জেলাকমিটিতে তখন-পার্টি কাজে করিমপুরে আসতেন। আসলে আমাদের বাড়িতেই থাকতেন ।

    প্রদীপ কাকু আসলেই ছোটবেলায় বিশাল আনন্দ হত। কারন অন্য কিছু না-উনি প্রচুর গল্প শোনাতেন আমাকে। ব্যাটল অব স্টালিনগ্রাড, বলশেভিক রিভ্যলুউশন, লং মার্চের সব গল্প উনার কাছ থেকে ক্লাস ফাইভ সিক্সেই শুনেছিলাম। সেসব একেকজন শ্রমিক কৃষকের আত্মবলিদানের গল্প-কিভাবে তারা আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজের দেশকে রক্ষা করেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।

    সিপিএম ফ্যামিলিতে যেসব ছেলেমেয়েরা বেড়ে ওঠে এই সব রূপকথার গল্প শুনত শুনতে তাদের মনে কমিনিউজম, লেনিন, স্টালিন নিয়ে খুব উচ্চ ধারনার জন্ম হয়। স্বভাবতই তারা কমিউনিজমে আকৃষ্ট হয়ে ওঠে এটা না জেনে বা বুঝেই যে, এই সব আসলেই আষাঢ়ে গল্প- ঐতিহাসিক স্ক্রুটিনি করলে অন্য সত্য সামনে আসে।

    যেমন হিটলারের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য স্টালিনকে হিরো বানানো। ইনফ্যাক্ট প্রদীপকাকু যে গল্পগুলো আমাকে ছোট বেলায় বলতেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও -- এই ফেসবুকের জমানাতেও দেখি লাখে লাখে কমিরা ওইসব রূপকথায় বিশ্বাস করে। কেউ ইতিহাসটা একটুও ঘাঁটতে রাজী না। আজ ইন্টারনেটের জমানায় একটু ইতিহাস ঘাঁটলেই যেকেউ জানতে পারবে

    (ক) ১৯৩১ সালের জার্মান নির্বাচনে স্যোশাল ডেমোক্রাট এবং কমিনিউস্টরা একসাথে হলেই, হিটলারের নাজি পার্টির উত্থান আটকে দিতে পারত। কিন্ত স্টালিনের মনে হয়েছিল স্যোশাল ডেমোক্রাটরা হিটলারের থেকেও বেশী খতরনাক!! ফলে তখন জার্মানিতে , হিটলারের বিরুদ্ধে বামেদের জোট হয় নি। এর মূল কারন স্টালিনের ভূল রাজনীতি। কেন না তখন জার্মানির কমিনিউস্ট পার্টিও স্টালিনের অঙ্গুলিহেলনেই চলত।

    (খ) ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত মিলিটারি এবং মিলিটারি টেকনোলজি দুটোই জার্মানির থেকে অনেক এগিয়ে। এর প্রমান স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধে পাওয়া যায় যেখানে সোভিয়েত বিমান বাহিনী, জার্মান বিমান বাহিনীকে প্রায় ৭ ঃ ১ রেশিওতে হারিয়েছিল। কিন্ত ১৯৪২ সালে হিটলার যখন সোভিয়েত আক্রমন করে, তখন সোভিয়েত মিলিটারী খরখুটোর মতন উড়ে যায়। কি করে মাত্র পাঁচ বছরে জার্মান মিলিটারি সোভিয়েতের চেয়ে এত এগিয়ে গেল?? এর মূল কারন স্টালিন নিজে। উনি সেনাবাহিনীর বিশুদ্ধিকরন করতে গিতে ৯০% সক্ষম জেনারেলদের খুন করেছিলেন, যা ইতিহাসে গ্রেট পার্জ নামে খ্যাত। শুধু তাই না-সোভিয়েতের সক্ষম বিজ্ঞানীদের ও সাইবেরিয়াতে পাঠিয়েছিলেন। স্টালিনের হঠকারি কমিনিউস্ট কাজে শক্তিশালী সোভিয়েত বাহিনী অনেক দুর্বল হয়ে ওঠে-যার নমুনা হিটলার পেলেন যখন সোভিয়েত ফিনল্যান্ড আক্রমন করে নাকানি চোবানি খেল। ফিনল্যান্ডের যুদ্ধে সোভিয়েত সেনাদের বাজে পারফর্মেন্সের ফলে হিটলার বুঝতে পারেন, গেট পার্জের ফলে সোভিয়েত মিলিটারীর ভগ্নদশা। ফলে উনি আক্রমনে উৎসাহি হলেন। যদি স্টালিন গ্রেটপার্জের মতন কমিনিউস্ট কালিদাসি বুলডোজার না চালাতেন, সোভিয়েত ইউনিয়ান ১৯৪২ সালে জার্মানীর থেকে অনেক বেশী শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসাবেই থাকত-হিটলার কোন মতেই সোভিয়েত আক্রমনের সাহস পেতেন না।

    অর্থাৎ হিটলারের উত্থান এবং সোভিয়েত আক্রমনের পেছনে স্টালিনের অবদান সর্বাধিক। স্টালিন সেই অর্থে আরেক ভিলেন-হিরো নন। অথচ গল্পগাছা রূপ কথা আধাসত্য চালিয়ে, তাকে হিরো বানিয়ে দিল কমিনিউস্টরা।

    আমি শুধু কমিনিউস্টদের দোষ দিই না। হিন্দু ফ্যামিলিতেও এই ভাবে হিন্দুবীরদের নিয়ে মিথ ছড়ানো হয়। মুসলমান ফ্যামিলিগুলোতেই তাই। বাংলাদেশে বখতিয়ার খিলজীর মতন লুঠেরা ডাকাত হচ্ছে জাতীয় বীর!! এই ভাবে আস্তে আস্তে বাল্যমনে গেঁথে দেওয়া হয় "সুপিরিওরিটির" মিথ-কল্পকাহিনী। এইভাবেই ফ্যামিলি কালচারে তৈরী হয় কমিনিউস্ট হিন্দুত্ববাদি এবং ইসলামিস্টরা। কারন পরবর্তীকালে কেউই আর ধৈর্য্য ধরে ইতিহাসটা ঘেঁটে পড়ার চেষ্টা করে না।

    তবে আশার কথা জমানা পালটাচ্ছে। আমাদের ছেলে মেয়েদের কাছে জ্ঞানের সোর্স গুগল, ইউটিউব এবং উইকিপেডিয়া-যা অনেক বেশী নিরেপেক্ষ এবং যেখান থেকে তারা সব ধরনেই পারস্পেক্টিভ পাবে।

    ফলে আগামী প্রজন্মে এইসব কমিনিউস্ট, হিন্দুইস্ট, ইসলামিস্ট -ইত্যাদি ইস্ট দেবতায় তুষ্ট বালকের দল থাকবেন না বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কারন এদের অস্তিত্ব মিথের -রূপকথার গল্পের ওপর দাঁড়িয়ে।
  • সে | 198.155.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১২:১২716702
  • এই পোস্টটা আপনি "পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থার ভবিষ্যৎ" টইয়েও কপি পেস্ট করেছেন দেখছি।
  • cb | 208.147.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১২:৫০716703
  • হিটলারের উত্থান এর জন্য দায়ী এক পারভার্ট নরাধম, অমানুষ শুয়ারের বাচ্ছা, যার নাম অ্যাডলফ হিটলার। ঐরকম ওরেটরিতে লোক খ্যাপানো যার আয়ত্বে, কোন কিছু দিয়েই তাকে আটকানো যেত না। লোকের ইম্যাজিনেশন ঠিকঠাক ট্যাপ করলে কি হতে পারে, হলোকাস্ট তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ

    কি করলে কি হত, ঐ রাধা আর তেলের গপ্প
  • lcm | 83.162.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৩:০৪716705
  • আইসব্রেকার - ভিক্টর সুভোরভ (এক রাশিয়ান লেখক)-এর লেখা একটি বই, এতে কিছু ইন্টারেস্টিং জিনিস আছে হিটলার-স্তালিন নিয়ে।
    ...
    Suvorov claims that Stalin successfully manipulated Hitler into removing the "buffer zone" (Poland) between Europe and the USSR. ...Once Hitler 'broke the ice', Soviet victory in the large-scale war that followed would enable the USSR to impose Stalinist regimes on most of Europe. In this theory, Nazi military aggression would ironically form the icebreaker for a communist invasion.

    Suvorov is often accused (or praised by historical revisionists) of shifting the blame of World War II on Stalin and thus removing the blame from Hitler. However, the actual content of Icebreaker contains no praise of Hitler or justification of his terror. In his later books, Suvorov insists that Stalin was a true evil genius (although unlucky), while describing Hitler as evil but grossly incompetent....
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৫:৫০716706
  • হিটলারের উত্থানের জন্যে সব কৃতিত্ব হিটলার কে দেওয়া হাত ধুয়ে ফেলা যুক্তি ছাড়া কিছুই নয় । একা হিটলার কোনদিন হিটলার হত না জার্মানরা সঙ্গে না থাকলে । জার্মানরা হুলিয়ে এক্সট্রিমিস্ট ফিলোসফিতে বিশ্বাসী । হিটলার ওয়ার্কিং ক্লাসের আস্থা অর্জন করেছিল কারণ জিউ প্রেস রাত্রদিন ন্যাশনালিস্ট পার্টির নিন্দা আর স্কন্দলাইসেশোনে ব্যস্ত থাকত । ন্যাশনালিস্ট পার্টির পেছনে লাগতে যে পরিশ্রম তারা করেছিল তার ফিফটি পার্সেন্ট ওয়ার্কিং ক্লাসের সমস্যা সমাধান করায় দিলে হিটলার উঠে আস্ত না । আর হিটলারের সময়ের নির্যাতন ? হত্লার নিজে কোনদিন কোনো ক্যাম্প ভিসিট করেনি । সামনে থেকে নির্যাতন দেখতে ভয় পেত । ভেগলি নির্দেশ দিত আর বাকি জার্মান রাই নানারকম কৌশল মাথা থেকে বের করে নির্যাতন চালাত ।

    এর মানে হিটলার দোষী নয় তা বলা হচ্ছেনা , কিন্তু এই যে জার্মান দের একটা অসস্য ন্যাকামো , এস ইফ হিটলার নাইম একটা লোক এসে সবাইকে ভুলিয়ে ভালিয়ে খারাপ করে দিল এইটা কমপ্লিটলি মিথ্যে । ওরা ওরকমই এক্সট্রিমিস্ট । সেই জন্যেই এখনো মেইন কেম্ফ ব্যান করে রেখেছে এদিকে নিও নাজি বেড়ে চলেছে । একবার চূড়ান্ত নাতসিসম আরেকবার সৌখিন মূলটিকুল্তুর এই দুই এক্স্ত্রিমের মাঝে ওরা দুলে যাবে আর বড় ঝামেলা পাকলেই একটা করে হিটলার কে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে দিয়ে নিজেরা হাত ধুয়ে ফেলবে ।
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৬:০০716707
  • খানিক টা কোট করি । পেজ নাম্বার ৩৯৭ -৯৮ । এই বইটা সঙ্গেই থাকে ।

    "Our meetings suddenly became packed with work-people fully three-quarters of an
    hour before the proceedings were scheduled to begin. These gatherings resembled a
    powder cask ready to explode at any moment; and the fuse was conveniently at hand.
    But matters always turned out differently. People came as enemies and left, not perhaps
    prepared to join us, yet in a reflective mood and disposed critically to examine the
    correctness of their own doctrine. Gradually as time went on my three-hour lectures
    resulted in supporters and opponents becoming united in one single enthusiastic group
    of people. Every signal for the breaking-up of the meeting failed. The result was that the
    opposition leaders became frightened and once again looked for help to those quarters
    that had formerly discountenanced these tactics and, with some show of right, had been
    of the opinion that on principle the workers should be forbidden to attend our
    meetings.
    Then they did not come any more, or only in small numbers. But after a short time the
    whole game started all over again. The instructions to keep away from us were ignored;
    the comrades came in steadily increasing numbers, until finally the advocates of the
    radical tactics won the day. We were to be broken up.

    Yet when, after two, three and even eight meetings, it was realized that to break up
    these gatherings was easier said than done and that every meeting resulted in a decisive
    weakening of the red fighting forces, then suddenly the other password was
    introduced: 'Proletarians, comrades and comradesses, avoid meetings of the National
    Socialist agitators'.

    The same eternally alternating tactics were also to be observed in the Red Press. Soon
    they tried to silence us but discovered the uselessness of such an attempt. After that
    they swung round to the opposite tactics. Daily 'reference' was made to us solely for the
    purpose of absolutely ridiculing us in the eyes of the working-classes. After a time these
    gentlemen must have felt that no harm was being done to us, but that, on the contrary,
    we were reaping an advantage in that people were asking themselves why so much
    space was being devoted to a subject which was supposed to be so ludicrous. People
    became curious. Suddenly there was a change of tactics and for a time we were treated
    as veritable criminals against mankind. One article followed the other, in which our
    criminal intentions were explained and new proofs brought forward to support what
    was said. Scandalous tales, all of them fabricated from start to finish, were published in
    order to help to poison the public mind. But in a short time even these attacks also
    proved futile; and in fact they assisted materially because they attracted public attention
    to us.

    In those days I took up the standpoint that it was immaterial whether they laughed at
    us or reviled us, whether they depicted us as fools or criminals; the important point was
    that they took notice of us and that in the eyes of the working-classes we came to be
    regarded as the only force capable of putting up a fight. I said to myself that the
    followers of the Jewish Press would come to know all about us and our real aims.
    One reason why they never got so far as breaking up our meetings was undoubtedly
    the incredible cowardice displayed by the leaders of the opposition. On every critical
    occasion they left the dirty work to the smaller fry whilst they waited outside the halls
    for the results of the break up. "
  • সে | 198.155.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৬:২৭716708
  • "মাইন কাম্ফ" এখন আর ব্যানড নয়।

    য়িহুদিদের প্রতি বাকিদের এক ধরণের রাগ ছিল, সেটা হিটলার ভাঙিয়ে কার্যসিদ্ধি করেছিল। য়িহুদিদের হাতে প্রচুর পয়সাকড়ি ছিল, কারণ মহাজনি কারবার ওদের ধর্মে গর্হিত কাজ নয়, কিন্তু খৃষ্টধর্মে টাকা কর্জ দিয়ে সুদ নেয়া খারাপ কাজ। ইতিহাস না জানলে কাব্য/ সাহিত্য পশ্য - মার্চেন্ট অফ ভেনিস। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে জার্মানির ইকোনমি খারাপ এদিকে সংখ্যালঘু য়িহুদিদের হাতে প্রচুর টাকা, এইবারে ওদের প্রতি ঘৃণা উগরে দেবার কাজটা হিটলার করেছিল, ভোটে জিতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আলাদা কোনো যুদ্ধ নয়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী পর্যায় মাত্র - কন্টিনিউয়েশন বলা চলে।
  • সে | 198.155.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৬:৩২716709
  • এই যে, প্রমাণ। কয়েক মাস আগে খবরেও বলেছে।
    "In 2016, following the expiry of the copyright held by the Bavarian state government, Mein Kampf was republished in Germany for the first time since 1945.
    https://en.m.wikipedia.org/wiki/Mein_Kampf
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৬:৪৭716710
  • এরকম কার্জসিধ্ধি তো সবাই করে । বড়লোকদের প্রতি শ্রমিক শ্রেনীর রাগ ভাঙ্গিয়েই লাল পার্টি কার্জসিধ্ধি করেছিল । জারের উপর রাগ , ফরাসী রাজবংশের উপর রাগ এরকম কিছু না কিছু ট্রিগার থাকবেই । কার্জসিধ্ধি করার নামই রাজনীতি । প্রশ্ন হলো কার্জসিধ্ধি করা সম্ভব হলো ক্যানো । কারণ ওয়ার্কিং ক্লাস হিটলারের পক্ষে চলে যায় এবং রেড পার্টি তখন সোশালিস্ট রা কত খারাপ এই নিয়ে বক্তৃতা -ব্যানিং এ এত মত্ত ছিল যে ওয়ার্কিং ক্লাসের কীসে ইনসেনটিভ হয় সেদিকে নজর দেয়নি । হিটলার সেই সুযোগ নেই দক্ষ রাজনীতিক এর মত ।

    আর এরা মানে এই কমী -শোসু ভাই ভাই । এইযে টিপিকাল মিথ টা কমীরা বানিয়েছে যে সোশু মানে শুধু ন্যাসনালিস্ম এটা ব্লাড ব্রাদার হেত্রেদ । হঠাত করে আমি বলে দিলুম দুনিয়ার মজুর এক হোও এটা সব মজুর শুনবে এরকম আদৌ না । কারণ "দুনিয়ার " শব্দ টায় একটা ষড়যন্ত্র আছে , একটা কোনো কমী রাষ্ট্রের আন্ডারে সবাইকে জড়ো করার ষড়যন্ত্র । যেটা বিপ্লবের গল্পের আড়ালে লোকানো । বরং ন্যাসনালিস্ম অনেক বেটার জেলিং ফ্যাক্টর অনেক শ্রমিকের কাছে । এটা হিটলারের সময়ে সত্যি ছিল , এখনো সত্যি । যদিও বর্তমান রাজনীতি অনেক জটিল এবং টিপিকাল হিটলার হওয়া আর সম্ভব না , কিন্তু শ্রমিকরা ন্যাশনালিস্ট পলিটিক্স এ সাবস্ক্রাইব করার সম্ভাবনা একশো ভাগ রয়েছে । আর কমীরা যদ্দিন শুধুই ন্যাশনালিস্ট দের গাল পেড়ে অথচ শ্রমিক স্বার্থে কাজ না করে এর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবে , আরও বেশি এটা বাড়বে । একটা দিন আসবে যেদিন কমীরা দাবি করবে সব শ্রমিক তাদের শত্রু কারণ তাদের মাথায় ধর্ম /ন্যাসনালিস্ম ঢুকিয়ে ন্যাশনালিস্ট রা মাথা খেয়ে নিলো । এটা একদম বাজে ভাট । ওরা এটা নিজেদের অযোগ্যতা থেকে দৃষ্টি সরাবার জন্যে বলে ।
  • Ranjan Roy | ২৫ মে ২০১৬ ১৬:৫৮716711
  • পারিপার্শ্বিক কারণঃ
    সে সময় ভাইমার রিপাবলিকের ব্যাড গভর্নেন্স, হাইপার ইন্ফ্লেশন, বেকারি, করাপশন এবং কমিন্টার্নের নির্দেশে কমিউনিস্টদের যুক্তফ্রন্টকে মায়ের ভোগে যেতে দেওয়া ইঃ!
  • সে | 198.155.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৭:০০716712
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের টাইমে বইটা প্রচণ্ড পপুলারিটি অর্জন করেছিল। বিয়েতে বা জন্মদিনে প্রেজেন্ট হিসেবে এই বই দেওয়া হতো। লোকে একাধিক মাইন কাম্ফ উপহার পেত। ঠিক যেমনটি আগে বাঙালীরা বিয়েতে/উপনয়নে/জন্মদিনে গীতবিতান/সঞ্চয়িতা/সঞ্চিতা/শেষের কবিতা ইত্যাদি উপহার পেত।
    তারপরে অবিশ্যি ১৯৪৫ নাগাদ লোকে বইগুলো ধ্বংস করে ফেলে বা লুকিয়ে ফেলে। রাতারাতি হিটলার নামক পদবী বিলুপ্ত হয়। জার্মানীতে বা অস্ট্রিয়াতে ঐ পদবীর লোকেরা পদবী বদলে হিলিয়ার বা হেটলার বা ঐধরণের কিছু পদবী নেয়। ওসব দেশে ১৯৪৫ এর পরে কোনো পুত্রসন্তানের নাম অ্যাডল্ফ রাখা হয় নি। পাবলিক খুব সুবিধেবাদী হয়। সর্বত্রই। পাপের ভাগীদার কাও হতে চায় না। সময় বুঝে দলবদল করে থাকে। কোনোভাবে যদি নাৎসীপার্টির পুনরুত্থান ঘটে বা তারা ক্ষমতায় আসে, অমনি সুড়সুড় করে পাবলিক তাদের সেন্টিমেন্ট ঢেলে দেবে। শুকিয়ে যাওয়া ফোঁড়া পাঁচড়া ব্রণ খুজি ছুলির দাগও পুরোনো অত্যাচারের প্রমাণ হিসেবে চালাতে চাইবে। এরকম কিছু আমার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখা। জার্মানীতে নয়। সোভিয়েত দেশে। সমাজতন্ত্রের পতনের পরপরই কীভাবে লোকে দল বদলায়, সত্তর আশি বছরের পুরোনো ইতিহাস খুঁটে ঘেঁটে বের করে সুবিধেমত নিজেদের পূর্বপুরুষদের চাষা/শ্রমিক/প্রোলেতারিয়াতের বদলে জমিদার/অ্যারিস্ট্রোক্র্যাট প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগে তা জানবার জন্য খুব বেশি খাটতে হয় নি।
  • সে | 198.155.***.*** | ২৫ মে ২০১৬ ১৭:১০716713
  • হিটলার অত্যন্ত পাজী লোক তো বটেই, কিন্তু লোকটার মারাত্মক ভুল হয়েছিল টাইমিং এ। ১৯৩৯।
    সারা দুনিয়া থেকে তখন কলোনিয়ালিজমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে। দুনিয়ার কলোনিয়ালিস্ট দেশগুলো ইংলণ্ড ফ্রান্স স্পেইন এদের হালুয়া টাইট হয়ে যাচ্ছে সব সামলাতে, এরম সময় হিটলার ভেবে বসল রাশিয়া দখল করবে (১৯৪১)। পূর্ব ইয়োরোপিয়ানদের দখল করে দাস বানাবে। হাইট অফ ইম্যাজিনেশান। ভিশনের অভাব।
    আজকের দিনের রাইট উইং পার্টিদের ভিশন অন্যরকম।
    এইরকম ভিশনারি ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাবলিকের সেন্টুর পেছনে সুড়সুড়ি দিতে জানে। অল্প করে চুলকে দেয়। বেশি চুলকে ঘা করে না।
  • Ranjan Roy | ২৫ মে ২০১৬ ১৭:১২716714
  • একককে,
    আমি পেনাল্টি কিক নিলাম ও মিস করলাম,এর জন্যে কে দায়ী?
    --- দায়ী অনেকে। একা ও অনেকে।
    একনম্বর দোষীঃ ওদের গোলকিপার! ও ক্যানো আমার চুক্কি বুঝে যেদিকে শট নিলাম সেদিকেই ডাইভ মেরে আটকে দিল! এরকম তো কথা ছিল না।
    দুনম্বরঃ বলটা। জলে বা শিশিরে ভিজে ভারী হয়ে গেছিল। ফলে শটটা--।
    তিননম্বর দোষীঃ মাঠ। এবড়ো খেবড়ো ক্যানো?
    চারনম্বর দোষীঃ গোলপোস্ট। মাপ ঠিক নয়।
    পাঁচ নম্বর দোষীঃ রেফারি। সাততাড়াতাড়ি বাঁশি কেন বাজিয়ে দিল? বলটা নিঘ্ঘাৎ গোললাইন ক্রস করেছিল। আমি মেরেছিলাম যে!
    ছয় নম্বর দোষীঃ দর্শকেরা। আমার শট নেওয়ার সময় কেন চেঁচাচ্ছিল?
    সাত নম্বর দোষীঃ মাঠের গ্রাউন্ডসম্যান। পেনাল্টি বক্স আরো ছোট হওয়ার কথা। ঠিকমত দাগ দেয় নি।
    আট নম্বর দোষীঃ আমাদের দলের অন্য প্লেয়াররা। ওরা কেন আরো গোল করতে পারল না? টিম জিতলে তো পেনাল্টি মিস নিয়ে এত কথা হত না!
    নয় নম্বর দোষীঃ কোচ। ও কেন আমাদের ভালো করে পেনাল্টি প্র্যাকটিস করায় নি? আর আমাকে কেন শট নিতে বলল? আর কেউ নেই নাকি?
    দশ নম্বরঃ ভগবান! আজ আমাদের 'ব্যাড লাক খারাপ' ছিল।

    কী বলছেন? আমি? আমি কেন? আমি তো প্রাণপণে শট মেরেছিলাম। ওদের গোলি আটকে দিল--- সেটাও আমার দোষ? আপনারাই বলুন!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন