এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হে মার্কেট এবং রোবটিক বিপ্লব

    bip
    অন্যান্য | ০১ মে ২০১৬ | ৮২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • bip | 81.244.***.*** | ০১ মে ২০১৬ ১১:৫২707127
  • আজ পয়লা মে। ফেসবুকে কমরেডদের লাল বিপ্লবের ডাক। আমি অবশ্য বহুদিন থেকেই লিখে আসছি ইহা আরেকটি পবিত্র কমিনিউস্ট তিথি- যাহা বাম শব সাধনার পুণ্যলগ্ন।

    আজ সকালে ন্যাশানাল ইলেকট্রনিক্স মিউজিয়ামে রোবোটিক্স ফেয়ারে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য আমার ছেলে, ভাগ্নে ভাগ্নীরা যেতে অটোমেশন ব্যপারটা কি -একটু এক্সপোজার পায়। অটোমেশনের জন্য সেন্সর বানানো আমার পেশা-সেই সূত্রে কিভাবে আস্তে আস্তে শ্রমিক শ্রেনীর বিলোপ ঘটছে বা ঘটবে-সেটা আমার কাছে খুবই পরিস্কার। কিন্ত পৃথিবীর অধিকাংশ বামপন্থীর বিদ্যে বইতেই সীমাবদ্ধ-ফলে তাদের পক্ষে বোঝা মুশকিল কিভাবে ১৯৮০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকাতে ফ্যাক্টরি শ্রমিক কমেছে ৯০% ( হ্যা, এখন ১৯৮০ সালের এক দশমাংশ শ্রমিকেই কাজ চলে যায় ), অথচ প্রোডাকশন বেড়েছে প্রায় আড়াইগুন।

    কিছুদিন আগে জামসেদপুরে টাটা স্টীলে গিয়েছিলাম। সেখানেও এক গল্প। ১৯৯০ সালে টিসকোতে ছিল সত্তর হাজার শ্রমিক । আজকে প্রায় চোদ্দ হাজার। তার মধ্যেও দশ হাজার উদবৃত্ত।

    তাও ত এখনো ফ্যক্টরিতে রোবটের ব্যবহার খুব কম-সবে শুরু হয়েছে। তাতেই এই হাল।

    গুগল, আমাজনে সেলফ ড্রাইভিং কারের জন্য আগামী দুই দশকে চাকরি হারাবে প্রায় ৭০% ড্রাইভার। অবশ্য আমেরিকাতে। ভারতের রাস্তায় সেলফ ড্রাইভিং কার কাজ করবে কি না কে জানে।

    ডোমেস্টিক রোবট-যা বাড়ির ঝাঁড়পোছ, রান্না করতে পারবে-মানে ডোমেস্টিক মেইড-সেটা ব্যাপক স্কেলে আসতে এখনো পনেরো কুড়ি বছর লাগবে। সেটা হলে রেস্টুরেন্ট, হোটেল ইত্যাদি ব্যবসায় যে কোটি কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়, তাদের অধিকাংশই বেকার বসে যাবে। আরো চল্লিশ বছর বাদে, ভারতেও সব ঘরে ঘরে কাজের মাসির বদলে ডোমেস্টিক রোবট থাকবে।

    প্রশ্ন হচ্ছে ২০৫০ সালে বামপন্থীরা কি রোবটদের স্বার্থে মেদিবস পালন করবে? শিক্ষক, নার্স, উকিল , ডাক্তারদের চাকরি যাবার ভয় নেই । কিন্ত অটোমেশনের জন্য এই সব সেক্টরেও চাকরি কমবে। ইউটিউব এবং উইকির চেয়ে ভাল শিক্ষক হওয়া মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

    আগের বার মে দিবসেও এই প্রশ্নই তুলেছিলাম। বাসু আমাকে একটা বই এর পিডিএফ দিয়েছিল। নামটা মনে নেই। তবে বইটার প্রতিপাদ্য ছিল এই যে–

    প্রযুক্তি উন্নত হলে শ্রমিকের ডেজিগনেশন চেঞ্জ হয়। শোষনের বদল হয় না। যেমন আই টি কর্মীরা নাকি আরো বেশী শোষিত। তাদের কাজের ঘন্টার শেষ নেই। কিন্ত লেখক যেটা বেমালুম ভুলে গেলেন কোডিং এর ক্ষেত্রে দক্ষতার দাম ওপেন মার্কেটে খুব বেশী- দক্ষ কোডাররা কোন কোম্পানীর হয়ে কাজ করেন না সাধারনত-তারা নিজেদের মতন কনসাল্টিং করেন এবং সেক্ষেত্রে তারা যদি সপ্তাহে ষাট ঘন্টা খাটেন, তাহলে সেটাই বিল করবেন এবং তাদের স্টান্ডার্ড অব লিভিং মালিক শ্রেনীর কাছাকাছিই। কোন টপ কোডার এই সব ইনফোসিস টিসিএসের হয়ে কাজ করে না। কারন এসব কোম্পানীর মাইনে টপ কোডারদের থেকে অনেক অনেক কম। আই টি তে যেসব কর্মীদের ওপর শোষন হয়, তাদের অধিকাংশই আসলে গ্লোরিফায়েড ক্লার্ক। এবং আরো মুশকিল হচ্ছে, এই সব লো এন্ড আই টির কাজ ও অটোমেশনের দৌলতে উঠেই যাবে। আগামী দিনগুলিতে আই টিতেও লো এন্ড স্কিলের কর্মী ঊঠে যাবে-একমাত্র হাইলি পেইড টপ কোডার বা আর্ক্টিটেক্টদেরই চাকরি থাকবে।

    মোদ্দা কথা শ্রমিক বলে কিস্যু থাকবে না।

    আরেকটা ট্রিভিয়া। হে মার্কেটের ঘটনা ঘটে ৪ঠা মে, ১৮৮৪। ওই সময়টা (১৮৮০-১৯১০) আমেরিকার শ্রমিক ইতিহাসের সব থেকে টার্বুলেন্ট অধ্যায়। অসংখ্য শ্রমিক-মালিক সংঘাত হয়েছে এই সময়। হে মার্কেটের ঘটনা খুব ছোট সেই স্কেলে। হোমস্টেড স্টিলের শ্রমিক মালিক সংঘাত এর থেকেও বড় ঘটনা ছিল -যেখানে শ্রমিকদের ওপর মেশিন গান দিয়ে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। এবং হোমস্টেড স্টিলে শ্রমিক নিধন, আমেরিকার ক্যাপিটালিজমের সব থেকে বড় কলঙ্ক। হে মার্কেটের ঘটনা , আমেরিকার শ্রম ইতিহাসে কেউ মনে রাখে নি । হোমস্টেড স্টীলের ঘটনা এখানে অনেক বেশী চর্চিত -কারন ওই ঘটনা পরবর্তীকালে অনেক শ্রম আইন নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত।

    ছোটবেলা থেকে মেদিবস নিয়ে আরেকটা রূপকথার গল্প ফেঁদেছে কমিনিউস্টরা। আমার বহুদিন ধারনা ছিল হে মার্কেটের ঘটনা থেকেই আট ঘন্টার কাজ বাধ্যতামূলক করতে বাধ্য হয় সরকার। এটা ডাঁহা মিথ্যে।
    ১৮৮০ সাল থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে শ্রমিকদের সাপ্তাহিক কাজের লোড বৃদ্ধি পেয়েছিল। কমে নি। মোদ্দা কথা শ্রমিক আন্দোলন ছিল গ্রসলি ইনএফেক্টিভ।

    তাহলে দৈনিক আটঘন্টা কাজের আইন বা শ্রম সুরক্ষা আইনগুলোর উৎস কি?

    আমেরিকাতে শ্রমিকদের রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন এফ ডি আর বা প্রেসিডেন্ট ফ্রাংলিন রুজভেল্ট (১৯৩৩-৪৫)। এবং তা করা হয়েছিল মূলত আন্টিট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে মর্গ্যান বা রকাফেলারদের মনোপলি ভেঙে। বাজারে বড় কোম্পানীগুলোর মনোপলি ভেঙে, শ্রমিকদের নুন্যতম বেতন এবং সুরক্ষার নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হোন রুজভেল্ট। তার সাথে হে মার্কেটের কোন সম্পর্ক নেই। সেটা আরেকটা ইতিহাস। এবং সেই ইতিহাসের দাবী শ্রমিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা করতে গেলে দরকার রুজভেল্টের মতন দক্ষ রাজনৈতিক নেতা-যিনি মার্কেটের দক্ষতা বাড়িয়েও শ্রম সুরক্ষা দিতে পারবেন।

    তবে হে মার্কেটের ঘটনা আমেরিকাতে কেউ মনে রাখে নি-লেবার ইউনিয়ানগুলোও এখানে পয়লা মে পালন করে না। এখানে অনেক বেশী আলোচিত হোমস্টেড স্টীলের শ্রমিক প্রতিরোধের ইতিহাস।
  • সঠিকভাবে বলতে গেলে | 99.187.***.*** | ০১ মে ২০১৬ ১৫:৪২707128
  • বিপ, টি.আর. -- থিওডোর রুজভেল্ট (১৮৫৮-১৯১৯, ১৯০১-১৯০৯ প্রেসিডেন্ট ছিলেন) এর সাথে ফ্রাংকলিন ডিলানো রুজভেল্টকে গুলিয়ে ফেলেছেন। টিআর মনোপলি, এন্টিট্রাস্ট ভেঙ্গেছিলেন ও ইউএস ন্যাশনাল পার্কের পত্তন করেছিলেন আর এফডিআর ২৯ এর মহামন্দার পরে 'নিউডিল' এনেছিলেন।

    টি. আর. মনোপলি ভাংলেও মোটেই মোটেই আটঘন্টা শ্রমের নিশ্চয়তা দেননি। ১৯১২ সালে রি ইলেকশনের সময়, জিতলে আটঘন্টা সর্বোচ্চ শ্রম (তখন প্রেসিডেন্টদের সর্বোচ্চ দুইটার্ম বাধ্যতামূলক হয় নি) এরকম প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন।

    প্রেসিডেন্ট উইলসনের সময় ১৯১৬ সালে শুধু রেলওয়ে শ্রমিকদের জন্য আটঘন্টা শ্রমআইন (অ্যাডামসন অ্যাক্ট) পাশ হয়।

    ১৯৩৭ সালে 'ফেয়ার লেবার অ্যাক্টস' এফডিআর এর সময় পাশ হয়, যাআ আটঘন্টা শ্রম, ওভারটাইম বাদে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

    আর হ্যাঁ, এইসব আইনের পেছনে সবসময়েই মিলিট্যান্ট শ্রমিক রাজনীতি (এবং কমিউনিজম এর দুস্বপ্ন) গরম নিশ্বাস ফেলে এসেছে। নট আউট অভ গুডনেস অভ দেয়ার হার্ট, মার্কিনি পলিটিশিয়ানরা এসব পাশ করেননি। আর ১৮৮৬ সালে হে মার্কেট ম্যাসাকার এর প্রভাব পরের পঞ্চাশ বছরের শ্রমিক রাজনীতিতে পড়েনি এটা সবচেয়ে ইগনোরেন্ট লোকও বলবে না।

    =====

    আর রোবট এসে দুনিয়ার সব শ্রমিককে হটিয়ে দেবে এসব নিয়ে কিছু বললাম না।
  • Arpan | 24.195.***.*** | ০১ মে ২০১৬ ১৫:৫০707129
  • এইত্তো, ঠিক লোককে পেয়েশি।

    বিপ কি রোবোটিক প্রসেস অটোমেশন নিয়ে কিছু ফান্ডা দেবে?
  • Ekak | 53.224.***.*** | ০১ মে ২০১৬ ১৫:৫৭707130
  • এই আট ঘন্টা লেবার ল্য ব্যাপারটা একটু অল্টারনেটিভ মডেল দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় কি ?

    মানে এই যে লীগাসী মডেল টা বাজারে চলে যে: আহা শ্রমিক শ্রেণী শোষনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংগ্রাম করে আট ঘন্টা শ্রমের দাবি প্রতিষ্ঠা করলো । এটা যেমন আছে থাক ।

    আমরা একটা অন্য মডেল ভাবতে পারি : যেখানে "শ্রমিক শ্রেণী " এই কালেকটিভ আদৌ সকলেই নিজেদের শোষণ কমানোর জন্যে আট ঘন্টা শ্রম চায়নি । আসলে বারো বা চোদ্দ ঘন্টার জায়গায় শ্রম এর সময় কমিয়ে আনলে আরও বেশি শ্রমিক নিযুক্ত হতে পারেন তাই এরকম একটা দাবিদাওয়া উঠতে শুরু করেছিল । যারা কাজ পাচ্ছিলেন না তাঁরা চাপ দিচ্ছিলেন যে কিছু লোক বারো চোদ্দ ঘন্টা খাটবে আর কিছু লোক কাজ পাবেনা এটা হতে পারেনা । এখন সেইসব দাবিদার কে নিজেদের দলে আনা জরুরি ছিল কাজেই তাদের দাবি মেনে কাজ পাচ্ছেন এমন প্রত্যেক কেই নিজেদের শ্রম ঘন্টা থেকে কিছু স্যক্রিফাইস করতে হত ।

    মানে আমি একটা সিস্টেম ভাবছি যেখানে একদল শ্রমিক ভাবছে কিভাবে বারো -চোদ্দ ঘন্টা খেটে বেশি রোজগার করব আরেকদল বেকার ভাবছে কিভাবে আমরাও কিছু শ্রম ঘন্টা অর্জন করতে পারি । এই দুদলের অভ্যন্তরীণ লড়াই এর ফসল হচ্ছে আট ঘন্টা তে এসে কাঁটা টা ফিক্স হওয়া । একটা ইকুইলিব্রিয়াম স্টেট ।

    মডেল টা ক্যামন ? :) কাইন্দলি "ইতিহাসে " কবে কি হয়েছিল ওসব টানবেন না । ইতিহাস তাই যা ফিট করে । এটা কতটা ফিট করছে ?
  • দেব | 127.248.***.*** | ০১ মে ২০১৬ ১৬:২৪707131
  • "আর হ্যাঁ, এইসব আইনের পেছনে সবসময়েই মিলিট্যান্ট শ্রমিক রাজনীতি (এবং কমিউনিজম এর দুঃস্বপ্ন) গরম নিশ্বাস ফেলে এসেছে। নট আউট অভ গুডনেস অভ দেয়ার হার্ট, মার্কিনি পলিটিশিয়ানরা এসব পাশ করেননি।"

    বিপদা, এই বাক্যটা কয়েক বার মন দিয়ে পড়ুন। তারপর আরো কয়েকবার পড়ুন।
  • bip | 81.244.***.*** | ০১ মে ২০১৬ ১৯:০৩707132
  • (1) ১৯৩৭ সালের নিউ ডিলের [ এফ ডি আর) আগে, আট ঘন্টা কাজের অধিকারের প্রতিটা আইন ই ইনএফেক্টিভ ছিল
    (২) আট ঘন্টা কাজের আইন এফ ডি আর আনতে পারতেন না এফেক্টিভ এন্টি ট্রাস্ট আইন ছাড়া যা রকাফেলার এবং মর্গানের একাধিপত্য ভেঙে ছিল
    (৩) হে মার্কেটের ঘটনা যদি এফেকটিভ ছিল তাহলে এটা হল কেন? ইনফ্যাক্ট এটা মনে রেখে ১৮৯০-১৯১৪ সালের মধ্যে অন্তত তিনটে বড় আইন আনার চেষ্টা হয়েছে আট ঘন্টা কাজেড় জন্য

    ১৮৯০ থেকে ১৯১৪ ইউনিয়ান শ্রমিকদের মাইনে বাড়ে ঘন্টায় ১৭ থেকে ২১। শ্রম ঘন্টা কমে ৫২ থেকে ৪৯। আন ইউনিয়ান শ্রমিকদের মাইনে বাড়ে ১২ থেকে ১৫। ইনফ্লেশন আডজাস্ট করলে, যা নেগেটিভ।
  • বিপ | 81.244.***.*** | ০১ মে ২০১৬ ১৯:২৩707133
  • হে মার্কেটের সম সামইয়িক আরো অনেক রক্তাত্ব শ্রমিক মালিক সংঘর্ষ হয়েছে আমেরিকাতে। অনেক বড় রেল রোড ধর্মঘট হয়েছে। কিন্ত এই সব আন্দোলনের নীট ফল কি? শুনতে খারাপ লাগলেও এসব আন্দোলনের ফলে সরকার শ্রমিক দের জন্য আইন আনার চেষ্টা করত-কিন্ত মর্গ্যান এবং রকাফেলারের একাধিপত্যের জন্য কোন শ্রমিক আইন ই ফলপ্রসূ হয় নি। মর্গ্যান এবং রকাফেলারকে ভেঙে ছোট করার পরেই একমাত্র শ্রম আইন এফেক্টিভ করা সম্ভব হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন