এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আইটি-তে ইউনিয়ন নিয়ে কি মত?

    Arjit
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ | ৮৪৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • J | 160.62.***.*** | ১০ নভেম্বর ২০০৬ ২১:১৪695910
  • আইনত: তো কতো কিছুই করতে পারে না। তবু তো করে, করেনা?
    চাকরীর প্রথম বছরে ছুটি নিতে পারে না চাকুরে, এটসেটরা এটসেটরা।
    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, আইন কি অলরেডী বলবৎ হয়েছে? নাকি হচ্ছে-হবে কচ্ছে?
  • du | 67.***.*** | ১০ নভেম্বর ২০০৬ ২১:৫১695911
  • J অনেক দিন পরে 'মা দেখা দে' মার্কা সেই সব আবেগের দৃশ্যের কথা পড়ে খুব মজা পেলাম।
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:১১695912
  • ফ্রন্টলাইন থেকে দুটো আর্টিকল -

    http://www.flonnet.com/stories/20061201002503300.htm
    http://www.flonnet.com/stories/20061201002903500.htm

    দ্বিতীয়টা শ্যামল চক্রবর্তির ইন্টারভিউ - সেখান থেকে একতা অংশ তুলে দিচ্ছি: "Let us take the case of only software developers. Here 90 per cent of the employees are engineers or highly skilled technicians. They don't fall under the purview of unions. According to the rules in the State, engineers, officers and executives have neither the legal right to form unions nor any scope to ensure eight hours a day of work. It is a fact that IT professionals are paid a decent remuneration and we are not thinking of forming a union only with them. They would not fall under the Industrial Disputes Act. The section that is speaking to the media that they don't need to be unionised is the section that has no scope to do so. There can only be an `association' with them, not a union. As far as associations are concerned, negotiations can be bipartite, while under the Industrial Disputes Act one can move the tribunal and the Labour Department."

    ব্যাস, সব তক্কো শেষ - অন্তত পিওর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট লাইনে:-( কি আইন রে বাবা।
  • J | 160.62.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ১৭:৫১695913
  • ব্যাস তাহলেতো সব সমস্যারই সমাধান। যারা ইউনিয়নের কথায় ভয় পেয়েছিলো, তারাও নিশ্চিন্তি।
  • Ishan | 130.36.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:২৩695914
  • অ্যাই তো, বেসিক কোচ্চেনটার অ্যাদ্দিনে উত্তর পেলাম, যে, কাদের নিয়ে ইউনিয়ন।

    কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারদের আর এক্সিকিউটিভদের বাদ দিলে কাদের নিয়ে ইউনিয়ন হবে তথ্যপ্রযুক্তিতে?
  • Samik | 125.23.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:৩৬695915
  • ক্যানো? গ্রেড ফোর স্টাফ? সিকিউরিটি এজেন্সি?
  • Arjit | 82.39.***.*** | ২৩ নভেম্বর ২০০৬ ০১:৫৭695916
  • ধুত্তোর - ওদের সাইটে গিয়েই দ্যাখো না - বেসিক্যালি ITES
  • Lyadosh Chandra Mitra | 24.5.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৩:৫৮695918
  • র - থ্যাংকু লিংক দুটোর জন্য।

    দ্বিতীয় লিংক-টাতে এক জায়গায় রয়েছে - '... ...(আই.টি.-র চাকরিতে ) মারাত্মক খাটতে হয় নিবিষ্ট মনে। যথেষ্ট টেনশন। সেই জন্যই জিম, কফি, স্ন্যাক, দেওয়ালের ছবি...' ।

    যারা আমাকে চুড়ান্ত ল্যাদ, ফাঁকিবাজ বলে আওয়াজ দেয়, তাদেরকে refer করব এই লিংকটা।

  • b t | 61.95.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৪:২৮695920
  • আর্টিকল দুটো পড়ে ভেবলে গেলাম। কী লিখেছে? কী লিখতে চেয়েছে? এ তো গরুর রচনাও হয় নি।
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:০০695921
  • একটা পোশ্নের উত্তর দাও দেখি বে-থে - ইউনিয়ন/অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হলে চাকরি যাবে - এরকম কথা বলা কতটা যুক্তিযুক্ত? গরুর রচনা হয়েছে কি হয়নি পরের কথা, ইউনিয়ন বা অ্যাসোসিয়েশন আমার অধিকারের মধ্যে পরে, যতক্ষণ আমি সদস্য হয়েও আমার কাজ করছি, ততক্ষণ আজিম প্রেমজির কি ছেঁড়া যাচ্ছে যে সে বলতে পারে যে আমার চাকরি যাবে? হ্যাঁ, আই টি-তে এরকম বহু নিদর্শন আছে যে কাজ করলেও বলবে নন-পারফরমেন্স - সেরকম অজুহাত দেবেই, কিন্তু একদম প্রকাশ্যে এই ছাঁটাইয়ের কথা বলেই নিজেদের ভয়টাকে আরো খোলসা করে দিলো।

    আর, এরা নিজেরাও কি অ্যাসোসিয়েশন করে না? ফিকি, সি-আই-আই - এগুলো কি গাছ থেকে পড়েছে? নাকি শুধু ম্যানেজমেন্টেরই অধিকার আছে, কর্মীদের নেই?
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:৩৪695922
  • কিন্তু এই লিংকদুটো থেকে আসল যে কোচ্চেনটা ওঠে সেটা হল দুজনে কি দুজনকে কনসাল্ট করে লিখেছে? দেবেশ রায়ের লেখায় যে যুক্তিগুলো রয়েছে, অন্যটাতে ঠিক সেগুলোকেই খিল্লি করা...কিন্তু দেবেশ রায় "গাখাতকু" শুনেও চুপ মেরে রইলেন?
  • b t | 61.95.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:৫৪695923
  • আচ্ছা, এই 'চাকরি যাবে' এ রকম কোনও সার্কুলার বা মৌখিক নির্দেশ কি সত্যিই কেউ দিয়েছে? কোনও প্রমাণ আছে? নাকি এটা পুরোটাই মিডিয়ার অপভ্রংশ? যদ্দূর জানি, নিলেকানি আর টিসিএস কলকাতার হেড জনসমক্ষে বলেছিলেন, আমাদের এমপ্লয়িদের ওপর আমাদের আস্থা আছে, এরা এ সব ব্যাপারে জড়াবে না। এটাকেই সম্ভবত সিটুর কোনও নেতা বিকৃত করে জানান যে, 'চাকরি যাবে' বলা হয়েছে।

    আমার অধিকারটাও সত্যি, লজিকালি দেখতে গেলে। আবার উইপ্রো আজিম প্রেমজির বাপের সম্পত্তি, ইনফোসিস নারায়নমূর্তির বাপের সম্পত্তি, সে যদি বলে চাকরি যবে, বলতেই পারে, তারও অধিকার আছে।

    বাম ইউনিয়নের কোনও সদর্থক স্টেপ জীবদ্দশায় দেখি নি, তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে ইউনিয়নের বিপক্ষে। কিন্তু ঐ ফিকি সিআইআইয়ের কথা যদি বলো, ওগুলো বড়মাপের অ্যাসোশিয়েশন, সে রকম অ্যাসোশিয়েশনের সাথে আমরাও যুক্ত, গ্রিনপীস, ইন্ডিয়ানব্লাডডোনার্স, ওরেটর্স ক্লাব, এগুলোও অ্যাসোশিয়েশন। এগুলো ইউনিয়ন নয়।

    ম্যানেজমেন্টরাও কর্মী। আজ যে পাতি টিম মেম্বার, কাল সে প্রজেক্ট ম্যানেজার, পরশু সে ডিসি হেড বনে যেতেই পারে।
  • S | 61.95.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:৫৮695924
  • অশোকবাবু দুজনকে দুটো রচনা লিখতে দিয়েছিলেন, ডিবেট স্টাইলে। একজন ফর দ্য মোশন, আরেকজন আগেইনস্ট। ফরে জিনি লিখেছেন, তিনি তবু কিছু পড়েছেন, কিন্তু আইটি আর আইটিইএস-এর মধ্যে তফাৎটা এখনও ভালো করে বোঝেন নি। আর দেবেশ রায় তো যা খুশি লিখেছেন, মোবাইল ফোনে ভিডিও ডাউনলোড করাও নাকি আইটি, তাই নিয়ে খিল্লি করা।
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:০৮695925
  • প্রথম কোচ্চেন - তুমি কি ফ্লিপফ্লপ? দুটো পোস্টে একটা b-t আরেকটা S ;-)

    দ্বিতীয় কোচ্চেন - কোম্পানিগুলো প্রেমজি বা মূর্তির বাপের সম্পত্তি হলেও সাংবিধানিক অধিকারের বাইরে যেতে পারে না। আমি শালা বিসিসিআই ইলেভেন বল্লে দেশদ্রোহী হতে পারলে ওরা তাইলে আরো বড়, সাংবিধানিক অধিকার মানে না।

    তৃতীয় কোচ্চেন - ফর আর এগেনস্টে বল্লেও কনসাল্ট করার তো নিয়ম নেই। একজনের যুক্তি আরেকজন জেনে গেলে ডিবেট হবে কি করে?

    চার নম্বর - ফিকি/সি আই আই কোম্পানিগুলোর স্বার্থ দেখে (এবং সেটা খুবই স্বাভাবিক) - ওইরকম একটা কর্মী অ্যাসোসিয়েশন হলে তো দোষের কিছু দেখি না। আমাগো তো ট্রেড ইউনিয়ন আছে, ইউনিভার্সিটিতে, রীতিমতন জঙ্গি, কই কেউ তো চাকরি যাবার কথা বলে না।

    এর পরেরটা উত্তর - IT firms strike back বলে TOI-তেই সম্ভবত একটা আইটেম বেরিয়েছিলো। TOI এক্ষেত্রে ইউনিয়নের পক্ষে পোঁ ধরবে না, কারণ TOI-এর চরিত্র। এবং সেটা ছাড়াও - আড়ালে আবডালে ছিঁচকেপোনা শুরু হয়ে গেছে সে খবর পেয়েছি (ছোট ম্যানেজারদের দিয়ে হুমকি দেওয়ানো)।
  • r | 61.95.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:২৯695926
  • এই খেয়েসে! অজ্জিৎ আবার ডিবেটের এই সব নিয়ম কোথা থেকে বের কল্ল? চিরকাল ডিবেটের সময় বিপক্ষের কতা শুনেই তো আমার যুক্তি সাজালাম। এমন কি বি ই কলেজের ফেস্টেও ;-)। একে অন্যের যুক্তি জানবে না কেন?

    দেবেশ দিনকেদ্দিন ভুলভাল হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে পরে বলছি।
  • S | 61.95.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৩১695927
  • কে জানে ভাই, ভারতের সংবিধান একেবারেই পড়া নেই। ইউনিয়নবাজি যদি ফরবিডেন ব্যাপার না-ই হবে তা হলে এখেনে মিনিস্ট্রির অফিসগুলোতে সরকারি হুকুমে কেন ইউনিয়ন করা নিষিদ্ধ? এখানে নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক কর্মী মানে পার্টি ওয়ার্কার ছাড়া এমনি কোনও লোকই কখনও র‌্যালিতে বেরোয় না। অফিস কেটে ইন্টার মিনিস্ত্রি হিন্দি বক্তৃতা প্রতিযোগিতা বা ফুটবল ম্যাচ খেলতে যাওয়া যেতে পারে কিন্তু কোনও পার্টির অধিবেশনে বা র‌্যালিতে যাওয়া নিষিদ্ধ।

    কেন্দ্রীয় সরকারও কি সংবিধান মানে না?
  • S | 61.95.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৩৮695928
  • ছোট ম্যানেজারদের দিয়ে হুমকি দেওয়ানো? ও সব আগেও দেখেছি। নাইন ইলেভেনের পরে দুর্গত অ্যামেরিকানদের সাহায্যার্থে একদিনের স্যালারি দান করার কথা হল ইনফিতে। এক সপ্তাহ পরে দেখা গেল অনেকেই দেয় নি, কারণ সবারই জানা, আমার একদিনের স্যালারিতে একজন আমেরিকানের একদিন চলে না। তখন ঐসব চোরাগোপ্তা হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছিল। কে দিচ্ছে না, দেখে নেব, ওকে আমার সাথে অফলাইন দেখা করতে বোলো ইত্যাদি। আসল উদ্দেশ্য তো ক্লায়েন্টদের তুষ্ট রাখা। ইনফি নিজে কত কোটি যেন দিয়েছিল রিলিফে। দেখানো: এমপ্লয়িরা দিয়েছে।

    গুজরাটে দাঙ্গার পর কিন্তু কেউ রিলিফ পাঠায় নি। অবশ্য সুনামিতে পাঠিয়েছে। সেখানেও অনেকে একদিনের স্যালারি দিতে রাজি হয় নি। নিজের দেশের ব্যাপারেও নয়। সেখানেও ঐ চোরাগোপ্তা হুমকি দিয়ে টাকা তোলা হয়েছিল।

    এতসব চলতে পারলে ইউনিয়নের জন্য হুমকি দিলে কী মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে?

    পরিষ্কার কথা, আমি প্রেমজির জায়গায় থাকলে আমিও ঐ হুমকিই দেব, তাতে সংবিধান অমান্য হয়, হোক।
  • d | 202.54.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৪৭695929
  • দেবেশবাবুর লেখাটা একেবারে ভুলভাল। ভদ্দরলোক হকার উচ্ছেদের সময় ও পোচ্চুর ভুলভাল বকেছিলেন। আর অজ্জিত আবার আজকালের কাছে এচ্চেয়ে বেশী কি আশা কচ্ছে? ওরা কি আর গুছিয়ে আবাপ্র মত বিতর্ক বা আলোচনা ফর্মে লেখাতে পারবে নাকি?

    দ্বিতীয় লেখাটা বেশ ভাল। IT আর ITES এ অল্প মাখিয়েছে, তাছাড়া ঠিক ই আছে।

    কথা হল, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই এইসব চোরাগোপ্তা হুমকী টুমকী দিতে হচ্ছে? বাকী জায়গায়?
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৫৩695931
  • সরকারি (রাজ্য এবং কেন্দ্রীয়) কর্মচারিদের ক্ষেত্রে "রাজনৈতিক অ্যাফিলিয়েশন" নিষিদ্ধ, তাই সিটু বা আইটাক করা যায় না - মানে অফিসিয়ালি। তবে অ্যাসোসিয়েশন নিষিদ্ধ নয়। যতটুকু জানি।
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৫৫695932
  • র - যুক্তি শুনে উল্টো বক্তব্য রাখলে সেটা ঠিক। কিন্তু একইদিনে দুটো লেখা বেরোলো, সেখানে কি করে একজন আরেকজনের কথা জেনে যায়? তাছাড়া, ডিবেটে আরেকটা নিয়ম ছিলো যে পক্ষে প্রথম বক্তা সবার শেষে আরেকবার বলবে (ছোট করে) - সেটাও হয়নি:-)
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ১৬:৫৯695933
  • "আমি প্রেমজির জায়গায় থাকলে আমিও হুমকি দেবো" - সেই জন্যিই তো বে-থে পোতিক্কিয়াশীল।

    :-))
  • Ishan | 130.36.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০০৬ ২৩:০৫695934
  • একটা ব্যাপার অজ্জিত একদম ঠিক বলেছে। যে, দেবেশবাবুর লেখাটা তপনবাবু পড়েছেন, পড়ে খিল্লি করেছেন, কিন্তু তপনবাবুর লেখাটা দেবেশবাবু পড়েননি, -- এরকম একটা ইম্প্রেশন হয় লেখাদুটো পড়ে।

    সত্যিই সেটা হলে খুব আনফেয়ার।

    আর আরও ইন্টারেস্টিং জিনিস হল, তপনবাবুর হঠাৎ বুদ্ধ-প্রশংসায় ঢুকে পড়া :-)
  • dhaal | 61.246.***.*** | ২৯ নভেম্বর ২০০৬ ০৯:৩৭695935
  • এদের প্রধান চিন্তা মনে হচ্ছে ১৪ তারিখের ধর্মঘটে আই টি ওয়ালারা সবেতন ছুটি পাবে কি পাবে না -- সেই নিয়েই। তো, আমার প্রশ্ন হল এই যে নিয়ম করে বছরে দুটো ধর্মঘট হয়, যার একটাও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিশেষ কোথাও হয় না, তাতে করে লাভটা কি হয়? ইউনিয়ন করার অধিকার থাকা উচিৎ --- ইত্যাদি খুবই ভাল কথা। কিন্তু যাদের অধিকার আছে, যারা নিয়মিত বন্ধ ডাকে -- তারা বছরে দুবার করে বন্ধ ডেকে ডেকে এতদ্বারা কি অ্যাচিভ করেছে আজ পর্যন্ত? আমরা দেখি কেন্দ্রিয় সরকার থেকে শুরু করে টিমবাকটুর বির্জোয়া পুঁজিপতি, ইত্যাদি বিবিধ শত্রুপক্ষকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে ষান্মাষিক বন্ধের আয়োজন হয়। তাতে পশিমবঙ্গে একটা নির্ভেজাল ছুটির দিন পাওয়া ছাড়া আর কোথায়ও কিস্যু হয় না। যথারীতি কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রলের দাম ১ পয়সা বাড়ালে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী বাস, ট্যাক্সির ভাড়া, ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন, ইউনিয়নের সহায়তায়। বেশ বোঝা যায়, কেন্দ্রীয়সরকার, রাজ্যসরকার, ইউনিয়ন সব্বাই খুশী।
    প্রাইভেট বাসের হেল্পার, কন্ডাকটর এদের বাৎসরিক মায়না বাড়ে কি?
    খাতায় কলমেও?
    এদের আয় মূলত কমিশানভিত্তিক। তো, ভাড়া বাড়লে এদের কমিশান বাড়ে কি? কিম্বা ষান্মাষিক বন্ধের ফলেও বাড়ে কি?
    কাজের সময় কমে কি? একজনেরও স্বাস্থ্যবীমা আছে?

    এগুলো কোনটাই যদি ইউনিয়ন অ্যাচিভ করতে না পেরে থাকে, তাহলে আইটি তে এসেই এরা কোন ইস্ত্রী চালিয়ে অন্যায়ের খাঁজখোঁজ সমান করে দেবে বলে ভাবছে?

    নাকি বন্ধ্‌ বন্ধ্‌ খেলায় সব্বাইকে যোগ দিতে বাধ্য না করলে এদের ইগোর ছ্যাঁদা সেলাই হচ্ছে না? নাকি আই টি সেক্টরে টাকা বেশী দেখেই ইউনিয়ন ন্যাতারা এইদিকে আকৃষ্ট হচ্ছেন, ভাল মালকড়ি খেঁচা যাবে - এই আশায়।

    আজিম প্রেমজির হুমকীর কথাটা কাল আজকালেই দেখলাম, আর কোথায়ও এখনও দেখি নি। অত ঝানু ব্যবসায়ী কি এতই বোকা, যে এটা পাবলিকলি বলবেন? যেখানে Attitude problem বলে ছাঁটাই করা সোজা, সেখানে এরকম কথা কেন বলবেন? TOI তে যাঁর কথা বলেছিল, তাঁর নাম উল্লেখ করে নি। তাহলে কি ধরে নেব যে প্রেমজি, নারায়নমুর্তি ইত্যাদি জানেন যে তাঁরা এগুলো নির্দ্বিধায় বলতে পারেন। সরকারী আইন তাঁদের কিস্যু করবে না। যেমন সিঙ্গুরে রতন টাটার ইচ্ছামতই সব হচ্ছে, সেরকম? তাহলে কিন্তু ঘুরেফিরে আবার সেই টাকা খিঁচবার সম্ভাবনাটাই এসে যাচ্ছে।

  • dam | 61.246.***.*** | ২৯ নভেম্বর ২০০৬ ০৯:৩৮695936
  • উফ্‌ শেষ পোস্টটা আমার। নামের জায়গায় অনিচ্ছাকৃত টাইপো। :-))
  • S | 61.95.***.*** | ২৯ নভেম্বর ২০০৬ ১১:২০695937
  • বলতে হত না। 'মায়না' দেখেই বুঝেছি এটা দময়ন্তী :-)

    আমার বক্তব্যটাও এখানেই। আমি প্রেমজির জায়গায় থেকে আইটিতে ইউনিয়নকে স্বাগত জানালে কিংবা এ ব্যাপারে ইনডিফারেন্ট থাকলে সেটা 'পোগোতিশীল' হত কি? কিছু প্রগতি হত? সেই তো বাংলা বন্‌ধ হত কদিন পরে, তারপর আভ্যন্তরীণ রাজনীতি আরও নোংরা আকার ধার যায় না।

    সবচেয়ে মুশকিল হত আমাদের মত বেচারাথেরিয়ামদের যারা রাজনীতির সংস্পর্শে থাকা পছন্দ করে না। তখন ঐ ... একটা না একটা খাতায় নাম লেখাতেই হত, না লেখালেই হাজার রকমের বাঁশ, সরকারি অফিসে যেমন হয় আর কি, নাম না লেখালে, মিছিলে পা না মেলালে, পার্টি ফান্ডে চাঁদা না দিলে এমন জায়গায় বদলি যে চাকরি ছেড়ে দেওয়া নয় তো পার্টির বশ্যতা স্বীকার করার মধ্যে কোনও একটা আলটিমেটলি বেছে নিতেই হয়। সেটা আইটিতেও হবে। অ্যাপ্রেইজালে খুল্লমখুল্লা ধর্ষণ হবে জুনিয়রদের, অনসাইট হবে না, মাইনে বাড়বে না, অন্যদিকে পার্টির পা চাটলেই এই সব আরামসে হবে, তখন আর ঘিলুর প্রতিভায় নয়, জিভের প্রতিভায় জনতার উন্নতি হবে। যার জিভ পা চাটায় যত অনভ্যস্ত সে তত আনএক্সপেক্টেড।

    ইউনিয়ন করা যেমন গণতন্ত্রিক অধিকার, ইউনিয়নে যোগ না দেওয়াও তেমনই গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটা কিন্তু সেদিন আর স্বীকৃত হবে না। এই যেমন ঈশ্বরবিশ্বাসীরা মাইক বাজিয়ে তারস্বরে তাদের ভক্তি অনিচ্ছুক অবিশ্বাসীদের কানেও পৌঁছে দেয়, বোঝে না যে এতে তাদের বিশ্বাসবোধকেও আঘাত দেওয়া হয়, তেমনি ইউনিয়নওলারা জোর করে চাইবে সবাইকে ইউনিয়নের আওতায় আনতে, অনিচ্ছুককেও। তার গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু সম্মান পাবে না।
  • Arjit | 128.24.***.*** | ২৯ নভেম্বর ২০০৬ ১৫:০০695938
  • বিপক্ষ যুক্তিগুলো কিন্তু শুধু এমনই দাঁড়াচ্ছে - যে অমুকটা করে কিছু হয়নি, বা হয়না, সুতরাং সেটা করা ভুল - মানে পিতিবাদ করলে কিছু হয়না, সুতরাং করা ভুল...ইত্যাদি। সেই মার্টিন নিয়েমোলারের উক্তিটা মনে পড়ছে আবার...

    এই "(প্রাগ)ঐতিহাসিক" সংগঠন-বিরোধী যুক্তি ছাড়া আর কিছুই কিন্তু তোমরা বা ইউনিয়ন/অ্যাসোসিয়েশন বিরোধীরা দিতে পারছো না। আইন, সংবিধান, অধিকার, প্রয়োজনীয়তা - এগুলোর বিপক্ষে কিছুই নাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন