এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • আমাদের এই আশ্চর্য্য মহাজগৎ

    tan
    বইপত্তর | ০৮ অক্টোবর ২০০৬ | ২৯৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • tan | 131.95.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ০০:০১669573
  • কামুর নির্বেদী দর্শন বলে জগৎ ও জীবন সম্পর্কে আমাদের ক্রমপ্রসারিত জ্ঞান আমাদের জন্য তেমন কিছুই করতে পারে না।আমরা যেমনকে তেমন থেকে যাই,একই দু:খ আমাদের পীড়িত করতে থাকে,বিশেষ ভালোত্ব কিছু হয় না আমাদের মধ্যে,বাস্তবতা একই থেকে যায়। কামুর বাস্তবতা হলো বাস্তবতা যা আমরা পাই আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে।
    টিনেজের কিশোরকে কামুর এই বইটি দারুণ প্রভাতিত করে। প্রায় দশক জুড়ে থেকে যায় এর অভিঘাত।
    ইতিমধ্যে সেই কিশোর বড়ো হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স চর্চা শুরু করেছেন,আস্তে আস্তে এইবারে এনার মত বদলাতে থাকে।
    এনার নিজের কথা থেকেই বলি-""Yet, in the decades since first encountering Camus'text,I've learned that modern science tells a very different story.The overarching lesson that has emerged from scientific inquiry over the last century is that human experience is often misleading guide to the true nature of reality.Lying just beneath the surface of the everyday is a world we'd hardly recognize.""
  • tan | 131.95.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ০০:২০669574
  • এই যে প্রতিদিনের চেনা জীবনের চেনা জগতের পরতের পর পরত খুলে খুলে রহস্যের পর রহস্য উন্মোচন করে আশ্চর্য্য এক জগতের সত্যে উপনীত হওয়া-এই যাত্রাটির কথাই চেনা ভাষায় কোমল সুরে বলে গেছে এই বই।উপরি পাওনা হলো যে এগুলি সত্যি সত্যি পরীক্ষা করে দেখা জিনিস,ফিকশন নয়,কিন্তু স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন।
    আবার এনার নিজের কথাতে বলি-""Breakthroughs in physics have forced,and continue to force,dramatic revisions to our conception of the cosmos. I remain as convinced now as I did decades ago that Camus rightly chose life's value as the ultimate question,but the insights of modern physics have persuaded me that assessing life throgh the lens of everyday experience is like gazing at a Van Gogh through an empty coke bottle.Modern science has spearheaded one assault after another on evidence gathered from our rudimentary perceptions,showing that they often yield a clouded conception of the world we inhabit.And so whereas Camus separated out physical questions and labeled them secondary, I've become convinced that they're primary.""

  • tan | 131.95.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ০০:৫৫669575
  • আমাদের অস্তিত্বের রহস্য ও তার ভালোমন্দবিচার করতে গেলে একে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক সত্যকে অস্বীকার করে বা বাদ দিয়ে সেটা করতে যাওয়া হবে অন্ধকার ঘরে অজানা বিপক্ষের সঙ্গে কুস্তিলড়ার মতন।
    এরপরে আস্তে আস্তে বিশদ হন লেখক, মানবজাতির বিরাট সেই অভিযাত্রার কথায়। প্রাচীন অরিস্তোতোলিয় দর্শন থেকে আধুনিক যুগের আইনস্টাইনীয় মত,অ্যাস্ট্রোলোব থেকে বর্তমানের হাবল টেলিস্কোপ, পিরামিড থেকে আজকের সব উন্নত অবজার্ভেটরিগুলো--এইসবই উঠে আসে স্পেসটাইমের কথায়। এইসবই আটকে আছে দেশকালকে জানতে চাওয়ার সেই অখন্ড অভিযাত্রাপথে।
    আইজ্যাক নিউটনের কাছে স্পেসটাইম ছিলো নিষ্ক্রিয়,স্থির একটি মঞ্চ যার উপরে ঘটনাবলী ঘটতে থাকতো।ওনার সমসাময়িক লিবনিজের কাছে স্পেস টাইম ছিলো আরো কম গুরুত্বের,ওনার কথায় এ দুটো ছিলো শুধু "কোথায়" কোনো বস্তু ছিলো আর ও "কখন" কোনো ইভেন্ট ঘটলো,এই বোঝানোর দুখানা শব্দ মাত্র।কিন্তু আইনস্টাইনের তত্বে স্পেসটাইমের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেলো,দেশকাল আর নিষ্ক্রিয় মঞ্চ নয় আর,এরাই প্রধান অভিনেতা।

  • tan | 131.95.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ০২:২৯669576
  • বহুরকমের বাস্তবতার কথা লেখক বলেছেন-ক্লাসিকাল রিয়েলিটি, রিলিটিভিস্টিক রিয়েলিটি,কোয়ান্টাম রিয়েলিটি,কসমোলজিকাল রিয়েলিটি-এগুলোর পরে আসে এগুলোকে কিভাবে মিলিয়ে দেওয়া যাবে,পৌঁছানো যাবে একীভূত বাস্তবতায়,ইউনিফাইড রিয়েলিটিতে,সেই নিয়ে আলোচনা রয়েছে।তারপরে আছে বাস্তবতার অতীত ও ভবিষ্যৎ।
    গ্যালিলিও,ডেকার্টেস,নিউটনের আমলের বিজ্ঞান তুলে ধরেছে এই ক্লাসিকাল রিয়েলিটিকে।নিউটনের গতীয় সমীকরণসমূহ-যা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক,সবই এই ক্লাসিকাল রিয়েলিটির জিনিস।কোথায় বস্তুরা নড়াচড়া করে? কোথায় ঘটনাসমূহ ঘটে? স্পেস আর টাইম বলতে আসলে কি নির্দেশ করা হয়? এগুলো কি কোনো এনটিটি নাকি অ্যাবস্ট্রাকশন? নিউটনের কাছেও এই প্রশ্নগুলো এসেছিলো,এগুলোর গুরুত্ব ওনার কাছে অনেক ছিলো,কিন্তু এগুলোর যথার্থ উত্তর ওনার কাছেও ছিলো না।
    নিউটন ওঁর প্রিন্সিপিয়া ম্যাথেমেটিকায় এক জায়্‌গায় লিখেছেন যে স্পেস আর টাইম হলো অ্যাবসোলুট আর অপরিবর্তনীয় এন্টিটি, যা কিনা মহাবিশ্বকে আকার ও গঠন দিয়েছে।কিন্তু স্পেস আত টাইম অদৃশ্য আর অনুভব-অযোগ্য দুখানা এনটিটি।
    সবাই একমত হন নি কিন্তু পরবর্তী ২০০ বছর এই ধারণাই চলে এসেছে।ওনার নির্ভুল ক্লাসিকাল সমীকরণগুলির শক্তি ই সমস্ত বিরুদ্ধ সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছে।সত্যি তো,অংকে আর পরীক্ষায় যদি মিলে যায়,কিই বা আর বলার থাকতে পারে শুধু একটা সামান্য খটকা নিয়ে?
  • tan | 131.95.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ০২:৩৯669577
  • নিউটনের সমীকরনগুলো আর পরবর্তীকালে ম্যাক্সওয়েলের চারখানা সমীকরণ-এইগুলো আবিষ্কার হয়ে যাবার পরে অনেকেই মনে করেছিলো তাত্বিক পদার্থবিদ্যার আর নতুন কিছু পাবার নেই,প্রায় সবই হয়ে গেছে,বাকী যা আছে তা হলো শুধু ডিটেল,আরো আরো নিঁখুত করে বিভিন্ন মান বের করা,কিছু কিছু লুপহোল ভরাট করা-ব্যস!
    আলোর গতি আর উত্তপ্ত বস্তুর বিকিরণ এই দুখানা জিনিস ঠিক খাপে খাপে মিলছিলোনা,তা বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছিলেন ঠিকই,কিন্তু ভেবেছিলেন এগুলো সামান্য লুপহোল,ভরাট করে দেওয়া যাবে।
    এই ছিদ্র দিয়েই বেহুলার বাসরে ঢুকে পড়লো কালনাগিনী।
    (ভাগ্যিস! নইলে এত লোকের রুটি মারা যেতো!)
  • tan | 131.95.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ০২:৫৫669578
  • আলোর গতির ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করলো রিলেটিভিটি। ১৯০৫ থেকে ১৯১৫ এই সময়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে গেলো রিলেটিভিটি-অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের হাত ধরে। এতে নিউটনীয় স্পেসটাইম বদলে গেলো অবিরত পরিবর্তনশীল পরস্পর-সাপেক্ষ স্পেসটাইমে,বস্তু ও স্পেসটাইমের ক্রমাগত মিথস্ক্রিয়ায় নির্মিত এই রিয়েলিটি হলো রিলেটিভিস্টিক রিয়েলিটি, এটি অনেক ডাইনামিক ও ফ্লেক্সিবল।
    জেনারেল রিলেটিভিটির সাহায্যে নিউটনের গ্রাভিটেশন সমীকরণও বদলে গেলো রিলেটিভিস্টিক ইকোয়েশানে।
    কিন্তু ক্লাসিকাল রিলেটিভিটি আর এই নতুন রিলেটিভিটির পার্থক্য অনুভূত হয় কেবল অতি তীব্র গতিবেগের ক্ষেত্রে অতি সাংঘাতিক বেশী ভর ও ঘনত্বে-চরম সব অবস্থায়-তাই আমাদের প্রতিদিনের কার্যকলাপে ক্লাসিকাল রিয়েলিটি দিয়েই চলে যায় আমাদের যদিও আসলে বাস্তবতা হলো রিলেটিভিস্টিক।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০০৭ ০৩:১৪669579
  • উত্তপ্ত বস্তুর বিকিরণের ছিদ্র দিয়ে ঢুকলো আরেক রিয়েলিটি- কোয়ান্টাম বাস্তবতা। ১৯৩০ এর দশকে পদার্থবিজ্ঞানীরা বাধ্য হলেন কোয়ান্টাম ধারনা গ্রহণ করতে,কারণ কেবলমাত্র ঐ ধারণাসমূহই নানা পরীক্ষায় পাওয়া নানারকম গন্ডগোলগুলো মেটাতে সক্ষম হচ্ছিলো।পরীক্ষায় পাওয়া বিভিন্ন তথ্যের সঙ্গেও নির্ভুলভাবে মিলছিলো এই তত্বের প্রেডিকশান।
    কিন্তু এই তত্বের বাস্তবতা খুব প্রচলিত ধারণাবিরোধী। কিকরে মানুষ মেনে নেবে একটি কণা একই সময়ে সর্বত্র উপস্থিত যতক্ষণ না মাপা হয় ততক্ষণ সম্ভবনাতরঙ্গ সে!
    রিলেটিভিটি ক্লাসিকাল বাস্তবাতাকে পাল্টিয়েছিলো বটে,কিন্তু এমনভাবে সব লেপেপুঁছে দেয় নি।প্রথমদিকে কোয়ান্টামধারনার বিরোধী ছিলো এমনকি এর আবিষ্কারকরাও,পাগলামো ধরনের ব্যাপার বলে নিজেদের অংকপাতি নিজেরা অবিশ্বাস করছিলো,কিন্তু বারে বারে মিলে গেলে কিকরে অবিশ্বাস আর কতদিন ধরে রাখবে? আসলে আমাদের মনের মধ্যে এমনভাবে ক্লাসিকাল ধারণা খোদাই হয়ে আছে যে কোয়ান্টামের ছায়াজগৎ এর কন্সেপ্ট এই মনের কাছে একটা প্রচন্ড অস্বস্তিকর ব্যাপার।অদ্ভুত! অস্বাভাবিক! কিন্তু অংক মিলে যায়,বারে বারে মিলে যায়!
    আইনস্টাইন নিজে এই তত্বের আবিষ্কারকদের একজন-কিন্তু মানতে পারেননি এই দোদুল্যমান বাস্তবতাকে,একে ভুল প্রমাণ করার জন্য যুক্তি দিয়েছেন,কাল্পনিক থট এক্সপেরিমেন্টের কথা বলেছেন,তাতে কি অদ্ভুত সব ব্যাপার হতে পারে কোয়ান্টাম মেনে নিলে,তা বর্ণনা করেছেন।
    বহু বছর পরে ঐ থট এক্সপেরিমেন্টের সমতুল্য পরীক্ষা যখন করা হয়েছে,দেখা গেছে সেইসব অদ্ভুত ব্যাপারগুলোই হয়েছে!!!!!
  • Tim | 204.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০০৭ ০৬:১১669580
  • দারুন হচ্ছে। সহজ কথায় কঠিন বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে বলছো। চালিয়ে যাও।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৬:৪২669581
  • কোয়ান্টাম বাস্তবতাকে ক্রমে মেনে নিলো মানুষ,এর হাত ধরে বহু নীরব বিপ্লব ঘটে গেলো।আজকের ট্রান্সিস্টার লেজার আইসি চিপের জগতে এসে পড়া আমাদের,এতো তো এই কোয়ান্টামের হাত ধরেই, সঙ্গে অবশ্য এসেছে হিরোশিমার হলাহলও। কিন্তু সে অন্য থ্রেডের বিষয়।
    কথা হলো যে এর পরেও কথা আছে।এই রিলেটিভিস্টিক আর কোয়ান্টাম বাস্তবতা দুইকেই মেনে নিলেও একটা অতি প্রাচীন প্রশ্নের কিছুতেই উত্তর মেলেনা, সময় কেন সর্বদা অতীত থেকে বর্তমান ছুঁয়ে ভবিষ্যতের দিকে চলে? না কোয়ান্টাম, না রিলেটিভিটি-কেউই এর কোনো সদুত্তর দিতে পারে না।এর উত্তরের ধরতাই পেতে গেলে আমাদের তাকাতে হবে মহাবিশ্বের দিকে, এর হাত ধরেই আসবে আরেক বাস্তবতা-কসমোলজিকাল রিয়েলিটি।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৬:৫৬669583
  • হাত থেকে পড়ে চীনেমাটির প্লেট ভেঙে যায়,জোড়া লাগে না আপনা-আপনি।ডিম ভেঙে যায়,জোড়া লাগে না,মোমবাতি জ্বলতে জ্বলতে গলে পড়তে থাকে,উল্টোটা হয় না।মানুষের বয়স বাড়ে,বয়স কমে না।আমাদের থাকে অতীত স্মৃতি আর ভবিষ্যতের আশা,উল্টোটা নয়।
    সময়ের একমুখিতা আমরা অনুভব করি প্রতি অভিজ্ঞতায়। একেই এডিংটন সাহেব বলেছিলেন Arrow of Time।কিন্তু এর কারণ কি? সময়ের এই অ্যাসিমেট্রির?
    পদার্থবিদ্যার মূল সূত্রগুলি সব টাইম-সিমেট্রিক,সময় এগোলো না পিছোলো তার কেয়ার করে না।এটাই খটকার কারণ।বাস্তব জগতে তো এরকম হয় না!
  • tan | 131.95.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৭:০৬669584
  • ভাবা যায়,আমাদের প্রতিদিনের এই বয়স বেড়ে চলা, মোমবাতি গলে যাওয়া,ডিম ভেঙে যাওয়ার মতন অতি তুচ্ছ সব মামুলি অভিজ্ঞতার মধ্যে নিহিত আছে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্যের ইঙ্গিত?
    উনিশ শতকের বিখ্যাত পদার্থবিদ লুডভিগ বোলটজম্যানের কাজ থেকে প্রথম এই মিল পাওয়া যায়। সময়ের একমুখিতা আর মহাবিশ্বের আরম্ভ নিয়ে প্রথম একটা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের পথ-পরবরতীকালে অন্যন্য গবেষকেরা অনেক কাজ করেছেন এই নিয়ে।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৭:২৬669585
  • এনারা যা বলে থাকেন সেটাকে সরল ভাষায় সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয় অত্যন্ত সুশৃংখল হাইলি অর্ডারড অবস্থা থেকে যেকোনো সিস্টেম কেবলই বিশৃংখল অবস্থায় চলে যেতে থাকে,এনট্রপি মানে মোট বিশৃংখলা কেবলই বেড়ে যেতে চায়,এটা কখনোই কমে না।সুশৃংখল অবস্থা থেকে শুরু হয়ে আমাদের মহাবিশ্ব কেবলই এনট্রপি বাড়িয়ে চলেছে,এইদিকেই নির্দেশ করছে সময়ের তীর।
    যদিও এটি সময়ের একমুখিতার রহস্য পুরোপুরি মোচন করেনা,কিন্তু আমাদের উপহার দেয় আরেক বাস্তবতা-কসমোলজিকাল রিয়েলিটি।আজকের জগৎ কিভাবে এলো সেই সদ্যসৃষ্ট মহাবিশ্ব থেকে বিবর্তিত হতে হতে-সেই উত্তেজক সত্যকে অপাবৃত করে এই বাস্তবতার অনুসন্ধান।আসে বিগ ব্যাংগ তত্ব,আসে ইনফ্লেশন তত্ব,কসমিক মাইক্রো-ওয়েভ ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশান খুঁজে পাওয়া যায় যা নাকি সেই মহাসৃষ্টির সাক্ষর।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ০৭:৪৫669586
  • এদিকে এই ইনফ্লেশনারি সৃষ্টিতত্ব অনেক কিছুর সন্তোষজনক ব্যখ্যা দিলো বেটে কিন্তু এক ঘোরতর সংকট এর রয়ে গেলো। এই তত্বটি আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা আশ্রিত-তাই সৃষ্টিমুহূর্তে যখন কিনা স্পেসটাইমের কার্ভেচার অসীম তখন সমস্ত তত্ব কোলাপ্স করে যায়,কোনো সমীকরণ আর কোনো সদর্থ বহন করেনা,ঐ অবস্থাকে বলে সৃষ্টিমুহূর্তের সিংগুলারিটি-তাত্বিক পদার্থবিদের এটি দু:স্বপ্ন-এমন একটা অবস্থা যাকে গণিতের আওয়াতায় আনা যায় না।
    কিন্তু এর থেকে বেরিয়েই বা আসা যাবে কিকরে?
  • tan | 131.95.***.*** | ০৭ আগস্ট ২০০৭ ২২:০০669587
  • এই খানেই আসছে ইউনিফাইড থিওরির আশা-তাত্বিকেরা বলছেন এই রিলেটিভিটি বা কোয়ান্টাম--এরা আংশিক তত্ব,সত্য তবে কিনা আংশিক সত্য। পূর্ণ সত্যকে দিতে পারে ইউনিফাইড তত্ব, তারই সন্ধানে নিয়োজিত হোক আমাদের সন্ধানীরা,তাইলে ঐ সিংগুলারিটি যাকে কিনা গণিতের আওতায় আনা যাচ্ছে না, তাকেও বোঝা যাবে। যেসব অসীম সংখ্যা দেখা দিচ্ছে অবিশ্বাস্যভাবে,সেইসব কেও পোষ মানিয়ে সসীম করে দেবে সেই একীভবন, সেই আশাতেই এগিয়ে যাচ্ছেন বহু তাত্বিক।
    আমাদের জগতের বহুবিচিত্র ও আপাতবিচ্ছিন্ন ঘটনাবলী ব্যখ্যাত হবে একগুচ্ছ সূত্র দিয়ে অথবা একটিমাত্র সূত্র দিয়ে-এই আশা খুবই শক্তিশালী আশা।
  • Tim | 204.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ০৪:৪২669588
  • অবশ্যই শক্তিশালী আশা, এবং খুবই যুক্তিপূর্ণ আশা। দুইদল বিজ্ঞানীর মধ্যে মতভেদটা আসলে একীকরণের উপায় ও সঠিক রূপ নিয়ে, সম্ভাবনা নিয়ে নয়।
    দারুণ হচ্ছে ট্যান, লিখতে থাকো।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ০৫:০৩669589
  • সেই কোন্‌ বেদের যুগ থেকে আমরা বলে আসছি-পূর্ণম ইদম পূর্ণস্য পূর্ণমাদায়...
    পূর্ণভাবে আদায় না করে ছাড়ছি না!:-))))
    ভুমৈব সুখম নাল্পে সুখমস্তি-অল্পে আমাদের সুখ নাই,খন্ড জগতের টুকরা টুকরা আয়নায় মুখ দেখে আমাদের সন্তুষ্টি হবে না,আমরা পুরো চাই চাই চাই।একসঙ্গে সব,সবাইকে।
    এই অতি পুরাতন আকাঙ্ক্ষারই নতুন রূপ হলো ইউনিফাইড তত্বের সন্ধান-একীভূত বাস্তবতাকে পাবার চেষ্টা।
  • Tim | 204.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ০৫:১৫669590
  • নেহেরুসাব আর পূর্ণদাসবাউল পর্যন্ত এই কথা বলে থাকেন ট্যান। কি আশ্চর্য্য ভেবে দেখো!! :-)))
    তত্ব কখনো-ই উপলব্ধির থেকে বড় হতে পারেনা। এইটাই বিজ্ঞানীদের টেনে রেখেছে পূর্ণতার প্রতি। প্রকৃতি অখন্ডভাবেই ধরা দেয় আমাদের কাছে, তাই সত্যি সত্যি তাকে বোঝার কোন সূত্র থাকলে তাও একটাই সাধারণ তত্ব থেকে আসা উচিত। সেই বলে না , সমস্ত মহৎ আবিষ্কারের মূলে আছে একটি কথা, simplicity, এ হল তারই বহি:প্রকাশ।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ০৫:৩২669591
  • এই কোয়ান্টামের অণোরণীয়ানের সঙ্গে আপেক্ষিকতার মহতোমহীয়ানকে মেলানোর প্রচেষ্টায় বহু বহু বছর কোনো বিশেষ ফল হয় নি। একসময় তো হতাশ হয়ে অনেকেই সে পথ ছেড়ে দিচ্ছিলেন,কিন্তু তলায় তলায় ফল্গুধারার মতন এই চেষ্টা ঠিকই চলছিলো।
    তবে এ মেলানোর পথ বড়ো কঠিন,বড়ো বন্ধুর,বহুরকমের গন্ডগোলে ভরা।অদ্ভুত অদ্ভুত সব ব্যাপার হতে থাকে।অসীম সংখ্যারা সব দেখা দিতে থাকে নানা সসীম জিনিসের জন্য। আমরা জানি প্রোব্যাবলিটি তো কিছুতেই ১০০% এর বেশী হতে পারে না,কম হবে।অথচ আপেক্ষিকতার সঙ্গে কোয়ান্টাম লাগাতে গেলে কিছু কিছু প্রসেসের প্রোব্যাবলিটি হয়ে যায় অসীম।কী সাংঘাতিক বিচ্ছিরি উদ্ভুট্টে কান্ড!
  • tan | 131.95.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ০৫:৪৫669592
  • এই গরমিল দূর করতে নানা প্রস্তাবনা চলছিলো,নানা মত ও পথের দ্বন্দও চলছিলো,যেমন চলে।
    একসময় জোর পেয়ে উঠলো স্ট্রিং থিওরি।তারপরে বন্যার মতন অসংখ্য পেপার বেরুতে শুরু করলো এই তত্বের নানাদিক নিয়ে, চারপাঁচটা ভার্সন পাওয়া গেলো,একজন পরে প্রমাণ করে দিলো এরা একই থিওরির বিভিন্ন রূপ। এখন একটু সংশোধন করে তত্বটিকে বলা হয় সুপারস্ট্রিং তত্ব।তবে এটিই সেই বহুসাধের ইউনিফাইড তত্ব কিনা সে জানা এখনো দূর অস্ত।
    আকজের এই বন্যাসম জোরালো তত্ব কিন্তু শুরু হয়েছিলো খুব নিরীহভাবে-অতি প্রাচীন একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে।প্রশ্নটি হলো: বস্তুর সূক্ষ্মতম অবিভাজ্য অংশ কি?
  • tan | 131.95.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ০৫:৫৩669594
  • বস্তুর সূক্ষ্মতম অবিভাজ্য অংশ? কেন,কণা? মৌলকণারা? তারা তো অবিভাজ্য! পরীক্ষা করেও দেখা যায়! সেই যে ছয়টা কোয়ার্ক ছয়টা লেপ্টন...সেসব কি তাইলে ঠিক না?
    সুপারস্ট্রিং থিওরি বললো পরীক্ষা করে এদের বিন্দুকণা মনে হলেও আসলে এরা তা নয়।এরা আসলে অতিশয় ক্ষুদ্র তন্তু। ইলেকট্রন মিউয়ন টাউ অথবা সব কোয়ার্করা-এরা প্রত্যেকে আসলে বিন্দুবৎ কণা মনে হলেও তা নয়,এরা পরমাণুর কোটি কোটি ভাগের একভাগের চেয়েও ছোটো ক্ষুদ্র সুতোর মতন দুইদিক খোলা বা গোল গার্ডারের মতন বন্ধ তন্তু।

  • d | 192.85.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ১৭:২৮669595
  • পুরোটা আবার প্রথম থেকে পড়তে হল!! এতদিন বাদে বাদে লেখে!!
    যাই হোক আমি এটাও অনুবাদের দাবী জানিয়ে রাখলাম।
  • DM | 81.204.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ২০:০০669596
  • লেখার মধ্যে মাদকতার গন্ধ কেন? সুস্থ মস্তিস্কে লিখুন মহাশয়গন।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ২০:০৩669597
  • DM,মাদকতা কোথায় দেখলেন মশয়?

  • Tim | 204.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০০৭ ২২:০৪669598
  • মাদকতা??
    ভূমিকম্প! জলোচ্ছাস!!
  • tan | 131.95.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০০৭ ০৫:২০669599
  • হ্যাঁ,এইবারে আবার একটু আলোচনায় টেনে আনা যাক।
    এইসব স্ট্রিংগুলোর নানারকম ভাইব্রেশনে নানাধরনের ম্যাস ইলেকট্রিক চার্জ এইসব তৈরী হয়,অন্য কথায় বলতে গেলে---নেপথ্যে আছে অভিন্ন তন্তু,মৌলকণারা এদের ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশমাত্র।
    এই ধারণা কাজে লাগিয়ে সব অংকপাতি করে ফেলে কোয়ান্টাম আর রিলেটিভিটির মিলমিশ ঘটাতে গেলে আরেকটি চমকপ্রদ ব্যাপার দেখা দেয়, আমাদের চেনা দেশ ত্রিমাত্রা আর একটি কালমাত্রা চাড়াও আরো অনেক নতুন মাত্রা দেখা দেয়।ফোর-ডাইমেনশনাল স্পেসটাইমে আর চলে না, বহুমাত্রিকতার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
    সুপার স্ট্রিং থিওরির শক্তিশালী ভার্সনকে নাম দেওয়া হয়েছে M থিওরি,এই M থিওরিতে স্পেসের দশমাত্রা আর টাইমের একমাত্রা মিলে মোট এগারোমাত্রার দরকার পড়ে।
    আমরা তো এত মাত্রা দেখিনা আমাদের চেনা জগতে,তাই এই নতুন তত্ব আমাদের কয় যে প্রকঋত রিয়েলিটির একটা ক্ষুদ্র অংশই আমরা বুঝতে পারি।এই যেমন আমরা যদি পর্দার উপরের ছায়াছবির মানুষ হতাম,তাহলে এই ত্রিমাত্রিক ভুবনের দ্বিমাত্রিক একটা স্লাইসই আমরা পেতাম।
  • tan | 131.95.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০০৭ ২৩:১৪669600
  • এই যুক্তিপূর্ণ ও শক্তিশালী স্ট্রিং ধারণা খুবই উৎসাহের সৃষ্টি করলো বটে,কিন্তু মুশকিল হলো এই তত্ব এত ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের(মানে, খুব উঁচু শক্তিস্তর,ফিল্ড তত্বে দৈর্ঘ্য আর শক্তি পরস্পর এর ব্যস্তানুপাতে থাকে) কথা বলছে,যে পরীক্ষা করে দেখার উপায় নেই। এত উঁচু শক্তিস্তরে পৌঁছতে পারে বা আমাদের পার্টিকল অ্যাক্সিলারেটারগুলো।
    তো,এসব কথা আগেও হয়ে গেছে এই আলোচনায়।ঐ ক্ষুদ্র স্কেলে প্রোব করা যাবে না ঠিক কথা,কিন্তু অন্য কম শক্তির প্রেডিকশানগুলো কিছু যদি থাকে,তাকে তো মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করা যেতে পারে! ঐভাবেই তো ওয়েইনবার্গ-সালাম-গ্ল্যাশোর তত্ব (ইলেকট্রো-উইক তত্ব) মিলিয়ে দেখা হয়েছিলো!
    আর সেই অতিরিক্ত মাত্রাগুলো? তারই বা কি হবে? কেন কেবলমাত্র সময়ের একমাত্রা আর স্থানের তিনটে মাত্রা আমাদের অনুভবে আসে?বাকীরা যদি থেকে থাকে, গ্যালো কোথা?
  • tan | 131.95.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০০৭ ২৩:৪০669601
  • তত্বে বলা হচ্ছে অতিরিক্ত মাত্রাগুলো খুব গুটিয়ে ছোট্টো হয়ে আছে,এত ছোট্টো যে ধরা যাবে না।আবার আরেক ভার্সনে বলা হচ্ছে কিছু কিছু অতিরিক্ত মাত্রা খুবই বড়ো,কিন্তু ধরা যাচ্ছে না কারণ ওরা আমাদের কাছে অদৃশ্য। আমাদের চেনাজানা প্রোবিং কৌশলের দ্বারা ওরা অলভ্য।
    এইসব কথাগুলো যদি ঠিক হয় তাহলে আমাদের জগৎ হয়ে ওঠে আরো অসীম সম্ভাবনায় ও উত্তেজক রহস্যে ভরা।হয়তো আরো বহু বহু সব লোক-আলোকপরিপূর্ণ দুনিয়া আমাদের খুব কাছে, কিন্তু আমাদের সম্পূর্ণ অজানা, কারণ ওরা সেইসব অতিরিক্ত মাত্রায় রয়েছে, আমাদের চেনাজানা উপায়ে ওদের প্রত্যক্ষ করা অসম্ভব।
    এইখানে বিজ্ঞানের সত্য কল্পনাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে,কামুর অভিজ্ঞতা-বাস্তবতা র অতিরিক্ত বাস্তবতা দেখা দিচ্ছে আমাদের জগতে।
  • tan | 131.95.***.*** | ১০ আগস্ট ২০০৭ ০৫:১২669602
  • এই পর্যন্ত বলে এইবারে আমার বিদায় নেওয়া দরকার। কারণ, এ এক অনন্তবিস্তৃত ব্যাপার, ক্রমপ্রসারণমান দিগন্ত। কেবলই ছড়িয়ে পড়ছে, আরো আরো বড়ো হয়ে।
    এই সমুদ্রে অবগাহন করতে হলে হে প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ, জলে নেমে পড়ুন।
    সেই কবেই তো কবি বলে গেছেন,
    ""যদি গাহন করিতে চাও এসো তবে ঝাঁপ দাও...
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন