এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিটু আর জ্যোতি বসু চৌত্রিশ বছরে পশ্চিম বঙ্গের কর্মসংস্কৃতির বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে

    বিকাশ
    অন্যান্য | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ | ৫৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ? | 198.138.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:৫৬655858
  • কম্ম সোমোস্কিতি? পোস্চিমবংগে? কবে ছিল?
  • Ekak | 24.99.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:৩৩655869
  • এটা একটা চতুর প্রস্তাবনা । এস ইফ ,সিপিআইএম এর রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়েই তর্ক হলে হওয়া উচিত । ঘুঘুর বাসা নিয়ে নয় । এই ফাঁদে অনেকেই পা দিয়ে প্রচুর তর্ক করেন এবং সিপুএম রা বেশ একটা লেভেল গ্রাউন্ড পান কোথায় বামপন্থা কী হয়েছে তাই নিয়ে ভাট মারার । তারপর আবার খুঁচিয়ে দিলে :ওরা আরও টাকা মেরেছে আমরা কম সেই তত্ব আসে এস ইফ শুধু পরিমানে বেশি টাকা মারতে পারাটাই মার্কেট করাপশনের একমাত্র প্যারামিটার । এবং তখন আবার পিঠ বাঁচাতে গরিব মানুষের দোহাই দিয়ে তত্বে ফিরে যাবার চেষ্টা । ভালই নাটক বানিয়েছেন আপনারা । এর মধ্যে আবার কমেডি কসেন্ট বুজিরা ।
  • পোশ্নো | 188.33.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:৫৮655873
  • না, এরকম কোনো ব্যাপার কী সত্যিই ছিল? ষাটের দশকে সায়েব বসে নীচে সদাগরী হৌসে 'কভেন্যান্টেড' (বু.গু. স্যারের নবেল পড়ে জেনেছি) ঘানি ঠেলেছেন এমন কেউ কী আছেন? (বা সত্তরের দশকে সত্যজিতের ছবিতে 'জন অরন্য' না কী যেন, যেমন এগজিকিউটিভ দেখানো হয়েছে)
  • PT | 213.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৪৫655874
  • মমির গেরেপতারের পরে এইজাতীয় আলোচনা আবার কবর খুঁড়ে উঠিয়ে আনা জরুরী।
  • cm | 127.247.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:৫৫655875
  • যে শিশু গুণতে শেখেনি সেও যখন গম্ভীর গম্ভীর কথা কয় তখন আলতো করে তার গাল টিপে দিতে ইচ্ছে করেনা।

    এই বাজারে সরাসরি প্রচারে না নামলে কাজ দেবে বলে মনে হয় না।
  • কোশ্ন | 60.7.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:১৩655876
  • ভামদুটো এত রেগে গেল কেন?
  • একক | 24.96.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:২২655877
  • বাগান থেকে বিষাক্ত সাপ তাড়াবার সঙ্গে সঙ্গে ছুঁচোর গর্ত গুলোও বন্ধ করতে হয় যে :)

    খুব টাইমমতো গরমজল ঢেলেছি বোঝা যাচ্ছে । একেবারে মুখেবুকে অবধি এনিমাল রাইটস এর পোস্টার ঝুলিয়ে কিচমিচ :)))) সারাদিন গান শুনছি মস্তিতে আর এসে দেখে যাচ্ছি "আমরা সাপ নই " দের স্পট জাম্পিং। কেষ্টর জীব । মায়াও লাগে :/
  • cm | 127.247.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:৫১655878
  • ছুঁচো নাই, বিষাক্ত সাপ নাই, রয়ে যায় শুধু ঢ্যামনার দল।
  • একক | 24.96.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:৫৪655879
  • হ্যা, পশুপ্রেমী রাও তাই বলেন । তবে এটা আমার পেস্ট কন্ট্রোল মেসার । ঢ্যামনা দের বিরুদ্ধে PETA য় মামলা করুন :(
  • jenegan | 122.79.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:৩১655859
  • খিক খিক।
  • বিনয় | 87.95.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:১৯655860
  • আসলে ক্ষমতায় আসার আগে যেসব দল-বা ইনস্টিটিউটের দরকার হয়, ক্ষমতায় বসার পরে অনবেক সময়ে সেসব বাহুল্য বা অকেজো হয়ে পড়ে। বনধ -অবরোধ-ধর্মঘট ডেকে, মালিকপক্ষকে শত্রুজ্ঞান করে, পুঁজির মালিক শ্রেণীশত্রু দাগিয়ে দিয়ে যে আন্দোলনের মহান ধারা সিপিআইএম তার এক মহান উত্তরাধিকারী। ৭৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তাদের আউটলুক স্ট্র্যাটেজি কী হবে সেটা জ্যোতিবাবু ও সঙ্গীরা কখনো ঠিকমতো ডিফাইন করতে পারেন নি।

    জ্যোতি বাবু তাঁর সময়ের মানুষ। ১৯১৩ সালে জন্ম ও জীবদ্দশায় ব্রিটিশ কলোনিয়ালিজম এর শীর্ষাবস্থান থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তার অস্তাগমন দেখেছেন, একই সাথে দেখেছেন দ্বিতীয় সুপারপাওয়ার হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান। ওই জেনারেশনের লোকেদের পাঁচসালা পরিকল্পনা, স্টেট ওউন্ড এন্টারপ্রাইজ, সেন্ট্রাল ব্যুরোক্র্যাটিক্যালি কন্ট্রোল্ড এজেন্সির উপরে অগাধ আস্থা ছিল। পঞ্চাশ ষাট ও সত্তরের দশকে যেসব পালাবদল দেখেছেন তাতে এইসব প্রত্যয় বদলের বিশেষ কোনো ইনসেন্টিভ পান নি। এমন কী তাঁরা এও দেখেছেন যে নেহরু ও ইন্দিরার কংগ্রেসও এইসব সিউডো কমিউনিস্ট রেটোরিক চমৎকারভাবে আয়ত্ব করে বুকনি ঝাড়ছে। তো সোভিয়েতের মডেল এর উপরে গড়ে ওঠা সিপিএম কীভাবে এর অন্যথা করে?

    তারপরে গদিতে বসার পরে সিপিএমের কৌশল দাঁড়াল প্রশাসনেও আছি, আবার প্রতিবাদেও আছি এরকম একটা দু'নৌকায় পা দিয়ে চলা পজিশন। প্লাস সিটু একটা শক্ত পাওয়ারবেস। লোকবল, অর্থবল, ইলেকশন মেশিনারি এই তিনধারী তরবারীকে তো সিপিএম ফেলে দিতে পারে না। এইভাবে সত্তরের শেষ আশিরদশকের পুরোটা সিপিএম পার করে দিল, দু'দিকে বাতাস দিয়ে। কম্পিউটর আসতে বাঁধা দেয়া, নতুন বিনিয়োগ আনতে কোনো লক্ষ্য না থাকা, অত্যন্ত নড়বড়ে বিদ্যুত ও পরিবহন কাঠামো যে প্রয়োজনী সংস্কার ও সম্প্রসারণের অভাবে একটু একটু করে ভেঙ্গে পড়ছে সেদিকে নজর না দেয়া।

    ৯১-৯২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার পরে প্রায় একদশকে অবশ্যই নতুন করে চিন্তা করার অবকাশ ছিল। কিন্তু আশির ঘরে পা দেয়া জ্যোতিবাবু সেই রিস্কি রাস্তায় না হেঁটে এখানে ওখানে প্যাচওয়ার্ক করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের পথ ধরলেন।

    স্থিতাবস্থা অল্প সময়ের জন্য ধরে রাখা যায়, সত্যি বলতে এটা অনেক সংকট সময়ে খুবই জরুরী একটা কৌশল। কিন্তু কোনো দল দশকের পর দশক এই পুরাতনস স্ট্যাটাস কুয়ো মেইনটেইন করার চেষ্টা করলে যে অনেক সময় পুরো সিস্টেম ফেইলিওর ঘটে পশ্চিমবঙ্গ তার এক মর্মান্তিক সাক্ষী।
  • . | 59.207.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:২৩655861
  • বিনয় ভাল লেখার চেষ্টা, এককের মত এক ** পাকা মত প্রচেষ্টা নয়
  • jenegan | 122.79.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৯:০৫655862
  • ফুট কির নজর খালি উই দিকে ধায়
  • দেব | 111.22.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ২০:৫০655863
  • বিনয়কে ক।
  • dd | 132.172.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৮:২৭655864
  • ইয়েস, বিনয়ের এনালিসিস ভাল্লাগলো।
  • PM | 132.52.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:১৫655865
  • কিন্তু বিনয়ের বক্তব্যী একটা অ্যান্টিথিসিস আছে।

    যতদিন পঃবঃ এ স্থিতাবস্থা ছিলো ততদিন বামেদের রাজনৈতিক সমস্যা হয় নি যদিও পঃবঃ এর অর্থনীতির ক্রমিক অবনতি অব্যহত ছিলো।

    যেই স্থিতাবস্থা পাল্টাতে গেলো অর্থনীতির পুনরুথানে, সমস্থ রাজনৈতিক সমীকরন পাল্টে গেলো। অন্য পাতায় দেখবেন একজন বলেছেন ২০০৭ পর্য্যন্ত তিনি বা তাঁরা মনে করেননি সরকার পাল্টানো দরকার। তিনি কিন্তু শিক্ষিত , আন্তজাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাঙালী। তিনিও ঐ স্থিতাবস্থার পক্ষে। তাহলে গ্রামে স্থিতাবস্থা ভাঙার প্রতিক্রিয়া অনুমান করুন।

    এটা একটা মত, ঐ স্থিতাবস্থা ভাঙতে বুদ্ধ তাড়াহুড়ো করে ০-১০০ ইন ৫ সেকেন্ড টাইপের অ্যাক্সিলেরেসানে গেছিলেন যেটা বাঙালী মানসিকতায় সুট করে নি। প্রথামে ০-১০ কিমি/ঘঃ তে যাওয়া উচিত ছিলো, সয়ে গেলে তার্পরে ২০ কিমি/ঘঃ এভাবে এগোনো উচিত ছিলো। স্থিতাবস্থায় (স্থবিরতায়?) অভ্যস্ত বাঙালীর পক্ষে ঐ গতির পরিবর্তন মেনে নেওয়া সহজ ছিল না।
  • dd | 132.172.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:২৪655866
  • যারা যারা শাইনিং ইন্ডিয়া করতে গ্যাছেন, সবাই ডুবে গ্যাছেন।

    দিল্লীর মসনদে অটল বেহারী, হাইদ্রাবাদে চন্দ্রবাবু,পচ্চিম বংগে বুদ্ধোবাবু, লুরুতে প্রথমে এস এম কৃষ্ণা পরে কুমারাস্বামী। ইঃ ইঃ।

    দুটি পয়েন্ট,অনুধাবোন করুন।
    এক হচ্ছে, চেঁচাতে নেই। চুপচাপ যা করবার করে যান। মিডিয়ার ফোকাসে আসলেই সর্বোনাশ। ব্যাগড়াবাবুদের দংগল এসে পরবে।

    দু নম্বোর হচ্ছে মৎকৃত যে রাজ্য ও সেন্টারের লিস্টি দিলাম, তাতে নতুন নেতারা এসে কিন্তু এজেন্ডা পাল্টান নি। এক্ষেপশন সাধের বাংলা, যেথায় মুর্ত্তিমান ব্যাগরাবাবুদেরই রাজত্ব। ফলতঃ চিট ফান্ড ছাড়া গতি নেই।
  • SC | 34.3.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:৩৮655867
  • শাইনিং তো আরেকজনও করেছেন। নরেন্দ্র মোদী।
    আমার মতে বুদ্ধ শাইনিং করার জন্য ডোবেননি , খারাপ এডমিনিস্ট্রেটর ছিলেন বলে দুবেছেন, এক কথায়।
    আরো অনেক ব্যাপার আছে। আর ওই বাজপেয়ী, চন্দ্রবাবু রা আজ প্রায় এক যুগ আগের কথা।
    চন্দ্রবাবু আবার ফিরেও এসেছেন, এযুগের শাইনিং, মোদীর হাত ধরে।
  • Ishan | 214.54.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:৫৮655868
  • পুরোটা জ্যোতিবাবুর ঘাড়ে চাপাবেন কেন?

    বারো বাজা শুরু হয়েছে স্বাধীনতার ঠিক আগে। সংক্ষেপে বললে এরকম।

    ১। কংগেসি নেতারা একক ক্ষমতা চান বলে ফজলুল হককে মুসলিম লিগের দিকে ঠেললেন, তারপর দেশভাগ মেনে নিলেন।

    ২। দেশভাগ যদি বা হল, সম্পত্তি বিনিময় জাতীয় সুষ্ঠু ব্যবস্থা হলনা। ফলে সংস্কৃতি-অর্থনীতি দুটোতেই চাপ পড়ল। হিন্দি বলয়ের উত্থান শুরু হল।

    ৩। দেশভাগের পর মাশুল সমীকরণ নীতি মেনে নিলেন কংগেস নেতারা।

    ৪। হিন্দি বলয়ের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আধিপত্যের কাছে কার্যত আত্মসমর্পন করা হল। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিধান রায় ছিলেন একেবারে কান্ডজ্ঞানহীন। বাংলা-বিহার সংযুক্তিকরণ তিনি মেনে নিতে যাচ্ছিলেন, নেহাৎই প্রবল বাওয়ালের পর সেটা আটকানো গিয়েছিল।

    ৫। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে পাটজাত দ্রব্যের মন্দা হল। পাটশিল্প ভেঙ্গে পড়তে শুরু করল।

    ৬। বাংলাদেশ যুদ্ধ হল, আরও উদ্বাস্তুদের বন্যা হল।

    ৭। তার আগে নকশাল আন্দোলন ব্যর্থ হল। বিপ্লব হলনা, অনৈতিকতার চূড়ান্ত হল একেবারে। ক্লাব কালচার শুরু হল। ক্লাবের দাদারা লোকাল দাদা হয়ে উঠলেন।

    ৮। এই ভেঙে পড়া ব্যবস্থায় ক্ষমতায় এলেন জ্যোতি বসু। সিপিএমের ঘোষিত লক্ষ্য ছিল রিলিফ (উন্নয়ন বা শিল্প নয়), তার কারণ সিপিয়েমের ধারণা ছিল এই সরকার স্বল্পকালীন, কেন্দ্র কিছুদিনের মধ্যে ভেঙে দেবেই। আরেকটি ধারণা এর সঙ্গে ছিল, যে, এই বুর্জোয়া কাঠামোতে প্রশাসন আমলাতন্ত্র, পুলিশ, এরা শত্রু। অতএব এদের মধ্যে "নিজের লোক" ঢোকাতে হবে, নইলে কাজ করা যাবেনা। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হল।

    ৯। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে ভাঙলনা। ভারতবর্ষের ফেডারাল চরিত্রের একটা গুণগত পরিবর্তন হল প্রথম জনতা সরকার ক্ষমতায় আসার পর। সিপিয়েম সে অনুযায়ী নীতি বদল করলনা। "রিলিফ"এই আটকে রইল। ফলে না-বিপ্লব, না প্রশাসনিকতা, একটা বকচ্ছপ দিশা তৈরি হল, যার একমাত্র কাজ হল কোনোমতে ক্ষমতায় টিকে থাকা। সঙ্গে যোগ হল "নিজের-লোক" এর উপদ্রব, যাকে আমরা পরে স্বজনপোষণ বলে চিনব। এই "রিলিফ" আর "নিজের-লোক" এর ধারণা বাকি সমস্ত টানাপোড়েনের মূল।

    ১০। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ক্লাব কালচারের বাড়বাড়ন্ত হল। লোকাল দাদাদেরও। "লোকাল দাদা" আর প্রশাসনে "নিজের-লোক" এইদুটো বিধিদত্ত হয়ে গেলে একেবারে। "লোকাল দাদা" আগেও ছিল, সেই রাম চ্যাটার্জিই বলুন বা ফাটা কেষ্ট। কিন্তু ওটাকে সর্বব্যাপী করেছিলেন সিদ্ধার্তশঙ্কর রায়, নকশালদের মোকাবিলা করতে। সিপিয়েম সেটাকে সফিস্টিকেটেড এবং জাস্টিফায়েড করল।

    এই হল সংক্ষেপে টোটাল গপ্পো। ফাঁকফোকর থাকল কিছু ইশ্চয়ই। কিন্তু "নিজের-লোক" আর "রিলিফ" ছাড়া বাকি কোনোটাই জ্যোতি বসুর কীর্তি নয়।
  • Ishan | 214.54.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:০০655870
  • আর এই শানিং বাতিকও নতুন না। এর আগের খেলনা ছিল পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। এখন হয়েছে মুক্ত অর্থনীতি। তার ইতিহাস স্লাইট আন্তর্জাতিক। সংক্ষেপেঃ

    ১। সত্তর দশক পর্যন্ত আমেরিকা যাবতীয় যুদ্ধে বিগ্রহ এসবে হারছিল। তখন ইন থিং ছিল সোশাল ওয়েলফেয়ার। আশি থেকে খেলা ঘুরে গেল।

    ২। আশির দশকের গোড়ায় (সন-তারিখ একটু এদিক ওদিক হতে পারে, চেক করে নেবেন) দুনিয়ায় বদল হল। ৭৯ এ বিলেতে এলেন ম্যাগি থ্যাচার, ৮০ তে রেগন, ৮২-৮৩ তে রাশিয়ায় ব্রেজনেভের জায়গায় আন্দ্রোপভ। বিলেত-আমেরিকায় ব্যক্তি-পুঁজিকে উৎসাহ দেওয়া শুরু হল।

    ৩। ৮৪-৮৫ তে রাজীব গান্ধী এলেন। ভারতে শাইনিং যোগ খাতা খুলল। স্যাম পিত্রোদা টেলিকম বিপ্লব শুরু করলেন।

    ৪। নব্বইয়ে ধড়াদ্ধড় সোভিয়েত ব্লকের পতন শুরু হল। ওয়েলফেয়ারের থেকে সরে পুরো দস্তুর শাইনিং যুগ শুরু হল। ভারতে এলেন মনমোহন। সোভিয়েতের জায়গায় আমেরিকার মতাদর্শগত প্রভাব চালু হয়ে গেল।

    ৫। সিপিয়েম এই সময় দোনামনায় ছিল। বাকি সবাই শাইনিং ট্রেনে উঠে পড়ছিলেন, কিন্তু জ্যোতিবাবু শুধু বছর-বছর শিল্পপতি ধরতে বিলাত যাত্রা করতেন, আর কিছু করেননি। সে হল বুদ্ধবাবুর জমানায়। ২০০০ এর পরে।

    ৭। খোলা অর্থনীতি চালু হল, মাশুল সমীকরণ নীতি উঠে গেল। সিপিয়েম অ্যাজেন্ডা থেকে "রিলিফ" বাদ দিল। বুদ্ধবাবু ব্র্যান্ড বুদ্ধ হয়ে উঠলেন। ঝটাকসে।

    ৮। সিপিয়েমের নিচের তলায় দাদাগিরি তোলা-আদায় পরিপূর্ণ রকম থাকল। উপরের তলায় শিল্পপতিদের জন্য কার্পেট পাতা হল। সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম হল, কিন্তু জনতার সেখানে অধিকার নেই, শুধু শিল্পপতিদের অধিকার। অন্যত্রও এরকমই হয়েছে, কিন্তু আরেকটু সিস্টেমেটিকালি হ্যান্ডল করা হয়েছিল, সিপিয়েম ট্রেন ধরতে লেট করে ফেলায় বা গোঁয়ার্তুমির জন্য বুদ্ধবাবু সেটা করতে পারেননি। এইটা হল পশ্চিমবঙ্গে শাইনিং নীতির বিরুদ্ধে চরম প্রতিক্রিয়ার আংশিক কারণ (আমার মতে)। এর আগে ঢুকঢুক করে কম ঢাক পিটিয়ে রাজারহাট হয়েছে, কাকপক্ষীটিও টের পায়নি।

    মমতা-মোদি যুগে আর ঢুকলাম না। মোদ্দা কথা এই, যে, এসব ফ্যাশান বেশিদিনের নয়। তিরিশ-চল্লিশ বছরের ফেজ চলে। দুদিন বাদেই আবার উল্টে যাবে। তবে তার আগে দুনিয়া জুড়ে একটা হেবি ঝাড় নামার দরকার, মনে হয় নামবেও, এইটাই যা খারাপ ব্যাপার।
  • Ekak | 24.99.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:৩৯655871
  • গুড পয়েন্টস । এবার উচ্চশিক্ষায় ওয়েলফেয়ার না দিয়ে সেই পয়সায় প্রাইমারিলি শুধুমাত্র ক্লাস টেন অবধি অনেক বেটার ইনফ্রা গড়া উচিত হয়নি ? এটা খানিকটা মধ্যবিত্ত দের ভোট সুরক্ষিত করা নয় ? যারা ক্লাস নিয়ে এত সচেতন তারা শিক্ষাব্যবস্থার এমন হাল করলো কেন যেখানে উচ্চ এবং অত্যুচ্চ শিক্ষার সরকারী একটা স্ট্যান্ডার্ড মোটামুটি থাকলেও নিম্ন বুনিয়াদী এবং প্রাথমিক শিক্ষায় প্রায় নীল ? একটা সোশালিস্ট সিস্টেম ওয়েলফেয়ারে প্রায়োরিটি কী রাখবে ? প্রত্যেকটা ডেভেলপমেন্ট স্কিমের দিকে তাকালেই তো তাই দেখছি | কী মনে হয় । বেসিকস ফর অল টাও কী কোনদিন করতে চেয়েছে ।
  • একক | 24.99.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৭655872
  • উচ্চশিক্ষা থেকে সমস্ত ছাড় তুলে দেওয়ার কথা বলছি সোশালিস্ট সিস্টেম মাথায় রেখেই । দয়া করে কেও অন্য সোশালিস্ট সিস্টেম কোথায় বিনা পয়সায় মাস্টার্স করায় টানবেন না । সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নত । আমাদের রিসোর্স কম । কিন্তু সেন্ট্রাল সিস্টেমে ফিডব্যাক জরুরি । অধিকাংশ কমশিক্ষিত মানুষ(এই আমার মত) যাতে ঝটপট ফীডব্যাক দিতে পারে সেটা এনসিওর করা জরুরি । ওপরের লেভেলটা প্রাইভেট ও ব্যাঙ্কিং সিস্টেম সামলে নেবে । আগেও তাই নিতো । বহু স্মরণীয় ভারতীয় কৃতবিদ্য রাজা-নায়েব-জমিদার -শ্বশুরমশায়দের পয়সায় প্রতিপালিত । ওটা প্রিমিটিভ ফর্ম অফ এডুকেশন লোন । যখন সমরবাবু রা ভাবতে পারলেন পিনিস বন্ধক দেওয়া যায়না ,পরের লোকগুলোর এটা মনে হলনা যে এই সিস্টেম টাকেই হিউম্যানায়স করা যায় । সোশাল কন্ট্রাক্ট-এ ডিরেক্ট পে ব্যাক থাকা দরকার । সকল কে শিক্ষা দেওয়ার ছদ্মবেশে মধ্যবিত্ত র দিকে একটু বেশি ঝোল টানা হয় । রিসার্চে ঢালতে পারতো ।একচুয়ালি এরা ফীডব্যাক সিস্টেম টাও এইভাবে কনফাইন করে ফেলেছে । কতিপয় মধ্য-উচ্চ মধ্যবিত্ত ছাড়া কেও ফিডব্যাক দেয়না | বাকি মুখ মাঝেসাঝে বাধ্য হয়ে হেঁটে আসে | এটাই মুশকিল স্টেটস ফর অল করতে গিয়ে মধ্যবিত্ত কে বায়াস তোল্লাই দিলে |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন