এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রিতম মাজি | 233.223.***.*** | ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৬:৫৩655100
  • কিস অফ লাভ কোলকাতায় হয়ে গেছে বেশ কয়েকসপ্তাহ হল। এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়াগুলো ধীরে ধীরে উঠে আসছিল বটে কিন্তু সেসব কথাকে ছাপিয়ে সংবাদ মাধ্যম জুড়ে খাগড়াগড় কাণ্ড। গোটা দেশ জুড়ে নতুন করে শুরু হওয়া উইচ হান্টকে উপেক্ষা করে অবশ্য কিস অফ লাভকে নিয়ে বেশি কথা বলা উচিৎ নয়; তবে কিস অফ লাভকে চেপে রাখার তীব্র প্রচেষ্টা সব মহলেই যে এই সময়ে জোরদার হয়ে উঠেছে তা দেখে কতক কথা বলতে সত্যি মন করছে। অহেতুক কথা না বাড়িয়ে একটু একটু করে শুরু করছি-
    কিস অফ লাভ কে অনেকেই কোলকাতায় বিভিন্নভাবে লিঙ্ক করছে।যেমন কেউ বলছে এটা ভিসির বিরুদ্ধে কেউ বা দিদি বিগ্রেডের কোর্টে বল ঠেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই সব নামগুলোর মধ্যে অনেকেই আরএসএস –এর নাম যেমন ভুলে গেছে সেরকম হটাৎ করে কেন কিছু তরুন তরুণী রাস্তায় নেমে কি নিয়ে প্রতিবাদ করছে সেটা জানার থেকে তাদের কথার প্রধান উপজীব্য হয়ে দাঁড়ালো “চুমু কেন খেল ওরা?” “ওদের লজ্জা করল না?” কেউ কেউ বা এখনও খুব তাত্ত্বিক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছে “আমার মনে হয় কিস অফ লাভ টা আমার মা বাবা তথা সাধারণ মানুষ নিতে পারে নি ভালো করে , তাই কিস অফ লাভ আবার করা উচিৎ নয়”( একটি মীটিং-এ তিনি এইভাবে অনেকবার একই কথা ইনিয়ে বিনিয়ে বলে গেলেন), আবার কেউ এটা কোন ক্লাসের আন্দোলন সেটাও বললেন “ওটা এলিট ক্লাসের আন্দোলন”(এটাও ওই একই মিটিংয়ের)।
    তাহলে এবার কিস অফ লাভ এর স্থানগত অক্ষটা একবার সেট করে দেখি যে আর কতো কতো জায়গায় এরকম চিন্তাধারা ঘুরছে?
    কোচি থেকে শুরু হয়ে কোলকাতা এবং তারপর দিল্লির আরএসএস ভবনের সামনে গিয়ে চরম এক আলোড়ন সৃষ্টির মাধ্যমে কিস অফ লাভ একটি আন্দোলন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, শুরুতে যে ধাক্কাগুলো দেশের বিভিন্ন অংশের যুবক যুবতীরা দিয়েছে তাতে রক্ষণশীলরা তথা প্রতিক্রিয়াশীলরা যে যথেষ্টই আতঙ্কিত তা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই কম বেশি দ্যাখা গেছে। তারা যে ভারতীয় সংস্কৃতির কথা বলে নিজেদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে চলেছে বারবার তাও বোধহয় টিকছে না (তাই কি বাপী চেপে যা ধরণের মানসিকতা?)। কারণ খাজুরাহ থেকে পুরাণ, মহাভারত, কবির, চৈতন্য সবাই তো ভালোবাসার কথাই বলে গেছে আর তাহারা প্লেটোনিক ছিলেন এই যুক্তি দয়া করে না দিলেই ভালো। যে সংস্কৃতিকে এরা বাঁচানোর কথা বলছেন তা আসলে পুরুষতান্ত্রিক পরিবার কাঠামো নির্মিত সামাজিক সম্পর্কের প্রতিফলন মাত্র । ‘মোরাল পুলিশ’ বা ‘নীতি পুলিশ’ কথাটি এতদিনে অনেকেই কমবেশি শুনেছে তবে জিনিষটি যে কি তা সবাই অনেক আগের থেকে জানে বলেই বোধকরি। সীতার অগ্নিপরীক্ষা থেকে ভিনধর্মে ভিন জাতিতে বিয়ে করে খুন বা রাস্তায় নারী পুরুষ পাশপাশি হাত ধরে চলতে দেখলে তাদের উপর চড়াও হওয়া সবগুলোই নীতি পুলিশের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের উদাহরণ। আরএসএস এর ধারক হলেও পাড়ার ক্লাব থেকে সাধারণ মানুষ সবাই এর বাহক বটে। অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলোও(বাম বাদ দিয়ে নয়) এই নীতি সংগঠনের বাইরে ভেতরে মেনে চলে বলেই দেখতে পাই; যারা বুদ্ধিমান তারা একটু লুকিয়ে করে এই আর কি । এই নীতি পুলিশের বিরুদ্ধেই যে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা প্রথম আন্দোলন শুরু করে তা বোধহয় অনেকেই ভুলে গেছে(নাকি মনে করতে চায় না কোনটা?)। তাই কোচিতে যখন এক প্রেমিক প্রেমিকাকে ছুতোয় নাতায় মারধোর করা হয় তখন যে যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীরা নামবে সেটা অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে ‘মাই বডি মাই রাইট’, ‘সাথী চুননে কি হো আজাদি’, ‘সাথী না চুননে কি ভি আজাদি’র মত শ্লোগানে যারা রোজ গলা মেলায় তারাও দেখলাম অনেকে চুমু খাওয়ার কথা শুনে কুঁকড়ে যাচ্ছে। তাহলে কি তারা এতদিন বোঝেনি যে তারা কিসের দাবিতে লড়ছে? নাকি অন্য কিছু?

    আমাদের দেশের সংস্কৃতি যদি দেখি তাহলে উনিশ শতকের গোড়া থেকে দেখবো দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃত্ব যে সাংস্কৃতিক বোধের কথা সব জায়াগায় বলে বেড়াচ্ছে তা সবই পুরুষতান্ত্রিক পরিবারের সঙ্কীর্ণ নীতিগুলির দেশীয় আকারের সংস্করণ। আমাদের গণ অবচেতনে তাই প্রেম শারীরিক নৈকট্যের সামান্য আভাস এ সবই চেপে রাখা বা যাকে বলে ‘repressed content’(খাজুরাহ, কামসূত্র সবই সামনা সামনি বললে তাই অস্বস্তি হয়,এতদিনের জাতীয়তাবাদী সামাজিকবোধ ধসে পড়ে যে) । তাই একটু ছেলেমেয়ের হাতধরা শারীরিক নৈকট্য থেকে শুরু করে সব কিছুই যদি সামনাসামনি হয় তাহলেই নিতিপুলিশ হটাৎ করে জেগে ওঠে; কারণ অবশ্য একটাই- পুরুষতান্ত্রিক পরিবার কাঠামোর অধীনতা সবাইকে স্বীকার করে নিতে বাধ্য করা। চুমু খাওয়ার অভিনব প্রতিবাদ যে তাই হজম হবে না সেও তাই অবাক কিছু নয়।
    তাহলে এতকথা বলছি কেন?
    কারণ আর কিছুই নয় দেশ জুড়ে আরএসএস বিজেপি নতুন করে যে সাম্প্রদায়িক হাওয়া তুলতে চেয়েছে লোকসভা ভোটের আগের থেকে তা একটি ফ্যাসিস্ত শক্তির আগমনের পূর্বসুর সেটা সবাই কম বেশি বুঝতে পারছে; একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকে এই শক্তিকে প্রচণ্ডভাবে সাহায্য করে চলেছে দেশের বিদেশের কর্পোরেট অংশ। আর এই শক্তিকে আটকানোটাই এখন মূল লক্ষ্য।
    এই দেশে হিন্দু জাতীয়তাবাদের বরাবর অক্ষ ‘মেজরিটেরিয়ান’ বা ‘সংখ্যা গরিষ্ঠের’ রাজনৈতিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্তিত্ব কায়েম ও ‘সংখ্যালঘুদের’ জাতীয় পরিচয় থেকে মুছে ফেলে সর্বসময়ের জন্য অধস্তন করে রাখা। আমাদের দেশে যেভাবে রোজ সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি বিভিন্ন স্তরে চলে তার নারকীয় দমন পীড়নের জেরে এ দেশের ‘সংখ্যালঘু’ সম্প্রদায়ের বা দলিত আদিবাসীদের জীবন দুর্বিষহ; তাদের সাংস্কৃতিক নিজস্বতা তাদের খাদ্যাভ্যাস অর্থাৎ এক কথায় তাদের সামাজিক পরিচয়ের সমস্তক্ষেত্রে এক হিন্দু উচ্চবর্ণীয়ও দর্শনকে প্রতিষ্ঠা করবার মরিয়া চেষ্টা করে গেছে হিন্দু মহাসভা বজরং দল আর এস এস – এর প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিগুলি। পরের পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগুলো এরই ফলশ্রুতি। অর্থাৎ ‘politics of hate’ বা বিভাজনের রাজনীতিকে সামনে করে এগিয়ে চলেছে গেরুয়া পতাকাধারীরা। আর এর জন্যে শ্রমিক কৃষক যুবসম্প্রদায় সবাই চরম বিপদের সম্মুখীন। আসলে শেষ অব্দি বিভাজনগুলো এদের মধ্যে হলেই পূর্ণ হবে শাসকশ্রেণীর।এই বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে যা একমাত্র আমাদের পাথে তা হল politics of love বা ভালোবাসার রাজনীতি। কবির চৈতন্য লালনের দেশও এই ভারত, তারাও প্রত্যেকে নিজেদের সময়ে নিজেদের মত করে লড়েছে ব্রাহ্মন্যবাদের বিরুদ্ধে, জাত পাতের হানাহানির বিরুদ্ধে। অস্ত্র বলতে ভালোবাসার গান পদ এই সব। আর এবার কিস অফ লাভ-এর আন্দোলনকে যদি ইতিহাসের পাতায় এসবের পরে স্থান (হোক না অনেক পরে) দেওয়ার দাবী করা হয়? হাস্যকর লাগবে না? জানি । আর এটাও জানি যাদের এটা হাস্যকর লাগছে তারা কোনোদিনই কবির বা চৈতন্যকে ভারতবর্ষের সমসাময়িক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভাবে নি, ভেবেছে icon হিসাবে পৌরাণিক মহাত্মা হিসাবে; তাই তাদের রেখেছে তুলনার বাইরে, যুক্তিগ্রাহ্য বাস্তবসম্মত বিশ্লেষণের বাইরে।
    আসলে শুধু আরএসএস নয় আমরা সবাই নিজেদের মনের মধ্যে সংখ্যাগুরু সামাজিকবোধগুলিকে পালন করে বেড়াই। তার বহিঃপ্রকাশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। পাহাড়িদের ‘নেপালি’ বলা, মুসলমানদের সঙ্কীর্ণতাকে হিন্দু ধর্মের সঙ্গে ব্যখ্যা করা থেকে শুরু করে ভিন জাতের বিয়ে, হাল্কা পোশাক দেখলে ইয়ে- হাতধরাধরি গা জড়াজড়ি দেখলে তেড়ে আসা বা যৌনতাকে অস্বাভাবিক ভাবে দ্যাখা সবকিছুই এই ‘সংখ্যাগুরু সংস্কৃতির’ শাসনের আস্ফালনের মধ্যে পড়ে। 377 থেকে 124A এর মত কালা আইনগুলো ঠিক এই চিন্তাধারা থেকেই একটু একটু করে দেশের বিরাট অংশের কাছে সমর্থনযোগ্য হয়ে গেছে।
    সংখ্যাগুরুর রাজনীতি আমাদের মনে দৃঢ়মূল কারণ ছোটো থেকে দেখে আসছি বুঝে আসছি তাই । কিন্তু সেটাকে স্বীকার করে সেই ভুল চিন্তা থেকে বেরনোর নামে আজকাল দেখছি অনেকেই শুরু করেছেন মাসেস বা জনগণের দোহাই দেওয়া। আমার এই কথার উদ্যেশ্য হলেন তারা যারা নিজেদের বামপন্থী, স্বাধীন বিপ্লবী আরও অনেক কিছু বলে দাবী করছেন এবং আর এস এস এর বিরুদ্ধে ভালোবাসার রাজনীতি সংহতির রাজনীতিকে এগিয়ে তুলে ধরতে চাইছেন। এরাই আবার কিস অফ লাভের বিরোধিতা করছেন এই জায়গা থেকে যে “একবার হয়েছে হয়েছে আর যেন না হয়। জনগণের বিরুদ্ধে হয়ে যাবে তা”। ভুলে গেলে চলবে না যে এরা LGBTQ আন্দোলনকে সমর্থন করেন। আসলে এরা প্রগতিশীল রাজনীতির মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিভাজন বিশারদ এবং জাতীয়তাবাদীও । এরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে; এবং সময়ে সময়ে জনগণের দোহাই দিয়ে আদপে নিজেদের সংখ্যাগুরু সামাজিক ন্যায়দর্শনকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
    আমাদের দেশীয় রাজনীতিতে বিগত সময় ধরে যে সব আন্দোলনগুলো বাঁধাছক ভেঙ্গে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে পথ দেখিয়েছে তার মধ্যে কিস অফ লাভ যে অন্যতম তা একটু যুক্তি দিয়ে বুঝলে এবং অকারণ ছুতমার্গ ছেড়ে সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলেই বোঝা যায় । আমাদের দেশ বর্তমানে যেরকম ভাবে সংখ্যাগুরুর জাতীয়তাবাদী দর্শনের কবলে চলে যাচ্ছে তার মধ্যে দাঁড়িয়ে যেটুকু শক্তি যেভাবে পাড়া যায় তাকে একত্রিত করাটা বোধহয় জরুরি। একটি আন্দোলনকে অন্যটির বিরুদ্ধে দাঁড় করানো রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতা। লুমটেক্সের শ্রমিকদের কিস অফ লাভের ছাত্রছাত্রীদের থেকে দূরে রাখাও তাই একভাবে বিভাজনের রাজনীতির হাত শক্ত করে এবং করছে বলেই মনে করছি । আর এই বিভাজনের রাজনীতিকে শীঘ্র বন্ধ না করতে পারলে যে গেরুয়া পতাকা আমাদের প্রত্যেকের বুকেই গেঁথে যাবে সেটা বোঝা আবশ্যিক। আপনাদের কি মনে হয়?
  • jhiki | 121.95.***.*** | ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:৫০655107
  • কী মুশকিল!! এঁজিপেজিদের কিস কী কারিনা-শাহিদ বা মিকা-রাখী সাওয়ন্ত ধরণের মিডিয়া ফুটেজ পাবে??

    তবে হাল ছাড়বেন না, মিডিয়া তথা জনগণ নিশ্চয় একদিন আপনাদের ওপর সদয় হবে ঃ)
  • cm | 122.79.***.*** | ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৮:০৫655108
  • আন্দোলনের ঝোঁকে কেউ হঠাৎ করে রাস্তাঘাটে কাউকে তার সম্মতি ছাড়াই চুমু খেলে!
  • - | 109.133.***.*** | ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:০৪655109
  • তখন শুরু হবে কিস অব হেট ফেস্ট! @সিএম ৬টা৫।
  • ranjan roy | 24.97.***.*** | ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ২৩:১১655110
  • সম্মতি ছাড়া চুমু খাওয়ার একটি ঘটনাও এই আন্দোলনএ ঘটেছে কি?
    যাঁরা এই আন্দোলন করছেন তাঁদের ম্যানিফেস্টো দেখুন।
    ‘মাই বডি মাই রাইট’, ‘সাথী চুননে কি হো আজাদি’, ‘সাথী না চুননে কি ভি আজাদি’র মত শ্লোগান।
    তাহলে সম্মতি ছাড়া চুমু খাওয়ার কথা কেন উঠছে?
  • কল্লোল | 111.63.***.*** | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৭:৪৭655111
  • রঞ্জন। কার মনে কি আছে কে জানে। নইলে যেখানে স্লোগান উঠছে আমার শরীরের অধিকার আমারই, সেখানে হঠাৎ সম্মতি ছাড়া চুমুর ইচ্ছা প্রকাশ বেশ কৌতুহলোদ্দীপক।
    সম্মতি ছাড়া চুমু তো দূরস্থান, পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলেও শ্লীলতাহানীর কেস খেতে হবে।
    হে হে হে।
  • ranjan roy | 69.9.***.*** | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১০:১৮655112
  • অবশ্যই যাঁরা সম্মতি ছাড়া যদুপুরের ইয়ং চেলেমেয়েদের চুমু খেতে আগ্রহী তাঁরা হতাশ হবেন।
  • cm | 122.79.***.*** | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১২:০৬655113
  • "‘মাই বডি মাই রাইট’" এর মানে কি? আমার অনুমতি বিনা আমায় কেউ স্পর্শ করিবেননা? এ নিয়ম রাস্তাঘাটে হরদম ভাঙ্গা হচ্ছে নাকি? ভাটে লিখেছি এখানেও লিখি নির্ভয়া কান্ডের অফশুট মেয়েদের জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পরিকল্পনা ত্যাগ করা হয়েছে।

    সাধারণ জনতা সাধারণত নিজেদের সাথী নিজেরাই নির্বাচন করেন।
  • cm | 122.79.***.*** | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:১৬655103
  • তাপসবাবুকে লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ।
  • তাপস | 233.29.***.*** | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৭:২৪655104
  • ওয়েলকাম ওয়েলকাম :-)
  • a x | 60.17.***.*** | ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ২১:০৪655105
  • ... এবং যখন আমার শরীর শুধু আমার অধিকার না, আমার অস্ত্রও, সেটাও থাকুক।

    http://kavitajoshi.blogspot.com/p/my-body-my-weapon.html
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ২২:১২655106
  • ধন্যবাদ অক্ষদাকে, এই লেখাটি পড়ানোর জন্যে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন