এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনুকূল ঠাকুর উবাচ- এক হিন্দু শরিয়তবাদির উপাখ্যান

    bip
    অন্যান্য | ২২ নভেম্বর ২০১৪ | ১৩০৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • 2 | ***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:১৩651980
  • হোমিওপ্যাথির একটা কি ড্রাম মাপ আছে, ছোট কৌটো মত।
  • T | ***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:২০651981
  • ওবেলিক্সের মতন কেস মনে হয়। ছোটোবেলায় একড্রাম থানকুনির রসে পড়ে গেসল, সেই থেকেই অমন।
  • b | ***:*** | ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ২১:৩২651982
  • রেগুলটেড আনসিভিলাইজড মানে কি? কোয়ার্টার সাইজের গামছা পরে ঘুরে বেড়ানো?
  • অভি | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:৩২651983
  • ★বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠা★

    ১৯৪০সাল হবে। গিরেনদা নামের এক বেকার যুবক কাজের জন্য প্রার্থনা জানালে ঠাকুর বলেন, মানুষের সেবা কর, তা'তে পুঁজি লাগে না।
    গিরেনদা ঠিক বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করেন, সেটা কি রকম?
    ঠাকুর বলেন, তুমি মাঠ থেকে,পুকুর থেকে কচুর শাক, হিঞ্চে শাক, কলমী শাক তুলে নিয়ে আশ্রমের বাড়িতে পয়সা না নিয়ে দিতে থাক, তারাই তোমাকে পথ দেখাবে।ঐ ভাবে চল।
    ঠাকুরের আদেশ মত গিরেনদা প্রকৃতির অকৃপণ দানের শাক,পাতা- লতা আশ্রমের বাড়ীতে বাড়ীতে সরবরাহ করতে থাকেন।
    ক্রমশঃ আশ্রমিকদের অনুরোধে আড়ৎদারদের সাথে যোগাযোগ করে কৃষিজাত সব্জী,আলু, পটল,বেগুন,মুলো,কুমড়ো,প্রভৃতি ন্যায্য মূল্যে সরবরাহ করে আশ্রমিকদের দৈনন্দিন সব্জীর চাহিদা মেটাতে শুরু করেন।
    আড়ত থেকে সকালে সব্জী নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিক্রি করে সন্ধ্যায় গিয়ে আড়ৎদারদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে নিজের প্রাপ্য লাভটুকু নিয়ে ঠাকুরের চরণ নিবেদন করতেন।
    ঠাকুরের নির্দেশ মেনে লাভের এক পঞ্চমাংশ জমিয়ে জমিয়ে মূলধন করেন। ক্রমে গিরেনদা নানাবিধ ব্যবসা শুরু করেন।
    ঠাকুরের আদেশ মেনে শূন্য হাতে গিরেনদা একজন নামী সৎ ব্যবসায়ী রুপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
    শ্রীশ্রীঠাকুর বলেন, ব্যবসায় উন্নতি করতে গেলে প্রধান জিনিস হ'ল সেবাবুদ্ধি। তুমি যদি নিজের লাভের দিকে লক্ষ রেখে চল, তা,তে কিন্তু কৃতকার্য হতে পারবে না।
    তোমার সবসময় লক্ষ রাখতে হবে, যাতে মানুষের প্রয়োজন পরিপূরন করে তার ভিতর দিয়ে তুমি লাভবান হতে পার।
    আমি যে বলেছি, "মানুষ আপন টাকা পর/ যত পারিস মানুষ ধর।"
    ব্যবসায়ীদের এই জিনিসটা খুব রপ্তত করা দরকার। তোমার কাছে এসে মানুষ যদি আপনজনের মত ব্যবহার পায়,তাহলে খরিদ্দাররা আপনা থেকে তোমার দোকানে ছুটে আসবে।
    খুলনার বিনোদ সাধুখাঁ ছিল, সে শুনেছি নাকি কেরোসিন তেল বিক্রি করতো। তার দোকানে সবাই বোতল ও লন্ঠন রেখে যেত।সে তার ছেলেকে দিয়ে যে সব বোতলের দড়ি পঁচে গেছে, সেগুলিতে ভাল পাটের দড়ি লাগিয়ে দিত, আর লন্ঠনের চিমনী পরিস্কার করে পলতে ইত্যাদি ঠিক করে রাখতো।
    তাতে দিনের পর দিন খরিদ্দার রেড়ে যেত।সেবাবুদ্ধি যাদের থাকে,তারা বড় হয়ই। বিনোদ সাধুখাঁ পরে খুব নাম করা লোক হয়ে গেল।

    আঃপ্রঃ ১৯খন্ড
  • লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৮:১৮651984
  • বিশ্ব ইতিহাসে ধর্ম স্থাপনে বহু অবতার, নবী, মহাপুরুষ ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু ঊনবিংশ শতাব্দির শেষ দিকে অবিভক্ত ভারতের উত্তরবঙ্গে পাবনা জেলার পদ্মাবিধৌত অখ্যাত হিমাইতপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পরিবারে যে শিশুটি জন্মেছিলেন, তিনি এক কথায় অনবদ্য। যিনি পরবর্তীকালে আপন প্রজ্ঞায় বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের গুরুরূপে পূজিত হয়েছিলেন, তিনি বিংশ শতাব্দীর জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রাণের দেবতা-বিজ্ঞানী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুল চন্দ্র।

    পিতা শিবচন্দ্র চক্রবর্ত্তী, মাতা মনমোহিনী দেবীর ঘর আলো করে ১২৯৫ সালের ৩০ ভাদ্র শুভ শুক্লা তাল নবমী তিথিতে শুক্রবার সকাল ৭:০৫ মি: তাঁর আর্বিভাব। বিশ্বের প্রতিটি জীবের দুঃখ-কষ্ট, আর্ত-পীড়িত ও সর্বহারা মানুষের পরম আশা ভরসার স্থল এই কুলমালিক। পিতা-মাতার প্রতি ছিল তাঁর অপূর্ব ভক্তি ও শ্রদ্ধা। তাঁর অজস্র বাণী, ছড়া ও গদ্য সাহিত্যের মাধ্যমে, সুদীর্ঘ ঘটনা বহুল জীবনে মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিহিত ছিল।
    “আপনি আচরি প্রভু জীবেরে শিখান” তিনি নিজে সব আচরণ কওে, তা সবাইকে অনুসরণ করতে বলেছেন। তাঁর মানব কল্যাণমূখী সাহিত্য সত্যানুসরণ, আলোচনা প্রসঙ্গে, ইসলাম প্রসঙ্গে, নানাপ্রসঙ্গে, চলার সাথী, অনুশ্রুতি, পথের কড়ি, নারীর নীতি, স্বাস্থ্য ও সদাচার সূত্র, সম্বিতি, বিধিবিন্যাস, বিজ্ঞান বিভূতি, যতি অভিধর্ম, ইত্যাদি মহা গ্রন্থগুলি কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, বিচারক, মনস্তত্ত্ববিদ, সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক, প্রযুক্তিবিদ তথা হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের সকল জনসাধারণকে ঐশী প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই সব অমূল্য সম্পদ বাণীগুলো তিনি অজস্র কর্মব্যস্ততার মধ্যে শুধু মুখে মুখে বলেছেন, এ কথা ভাবতে অবাক লাগে। যিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব।

    তিনি তাঁর অজস্র বাণীর মধ্যে মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছেন জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইষ্ট আধিপত্য বজায় রাখা। ইষ্ট স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করা সর্ব সমস্যা সমাধানে এ এক অনন্য বিধান। জাতি-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকল মানুষকে স্বার্থকতার পরমতীর্থে পৌঁছে দিতে শত বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও হিমালয়সদৃশ সৎসঙ্গ আশ্রম সৃষ্টি করেছিলেন হিমাইতপুর গ্রামে। তাঁর সৎসঙ্গ ছিল Man Making Institution (মানুষ তৈরীর কারখানা)।

    মৃত মানুষের গায়ে হাত দিলে রোগী বেঁচে উঠেছে, তাঁর সাময়িক ডাক্তারী পেশা জীবনে এমনতর বহু ঘটনায় পাবনা জেলার অনেক মানুষ ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রকে আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ হিসাবে জানতেন। ডাক্তারী পেশায় প্রাপ্ত অর্থ তিনি দুঃস্থ, আর্ত, পীড়িত, দরিদ্র, অসহায় মানুষকে আহার, পথ্য, অন্ন-বস্ত্র ও গৃহ নির্মাণাদির ব্যবস্থা করে দিতেন অথচ মায়ের সংসার চালানোর জন্য অনেক সময় মাকে সাহায্য করতে না পেরে অনুতপ্ত হতেন।
    উপবাস ছিল তাঁর নিত্য সহচর। জীবনে বহুদিন নিজে উপবাস থেকে ক্ষুধার্তের মুখে নিজের খাবার তুলে দিয়েছেন। এর জন্য তিনি কখনও দুঃখ পাননি বরং সবার মঙ্গলের জন্য পরম পিতার কাছে তিনি শান্তি ও স্বস্তি প্রার্থনা করতেন।

    তিনি নিজে কখনও কারোর সেবা নিতে চাইতেন না। তবে তার লোকতৃষ্ণা প্রবল ছিল। লোক ছাড়া তিনি থাকতে পারতেন না। কত চোর, গুন্ডা, বদমায়েশ তাঁর দিব্য সান্নিধ্যের সংস্পর্শে দেবত্বে রূপান্তরিত হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। আগ্রার চতুর্থ সন্তুগুরু সরকার সাহেবের নির্দেশে মাতা মনমোহিনী দেবী শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রকে দীক্ষা দেন।

    বিশ্বের আধ্যাত্মিক ইতিহাসে এ এক বিষ্ময়কর অবস্থা তাঁর মহাভাব সমাধি। আমরা পূর্ববর্তী সকল মহামতি অবতারগণকে দেখেছি তাঁরা খুব সাধন ভজন ও তপস্যা করে- বাহ্যদশা, অর্দ্ধ বাহ্যদশা ও অন্তর্দশার মাধ্যমে লোকচক্ষে অবতারের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু ভাবাবস্থায় তাঁদের শ্রীমুখ থেকে কোন বাণী নির্গত হয় নাই। পরম দয়াল শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র যেন এঁদের থেকে ভিন্ন। ভাবসমাধি অবস্থায় তাঁর শ্রীমুখ দিয়ে অনর্গলভাবে বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ে অসংখ্য বাণী তড়িৎ গতিতে নির্গত হত। তার মধ্যে শুধুমাত্র ৭১ দিনের বাংলা ও কিছু ইরেজীবাণীগুলো দিয়ে “পূণ্য পুঁথি” নামে একটি মহাগ্রন্থ তৈরী হয়েছে।

    পরাধীন ভারতবর্ষে শ্রীশ্রীঠাকুরের আবির্ভাব হওয়ায় পরাধীনতার মর্ম অনুভব করে, স্বাধীন ও আত্মনির্ভর হওয়ার পথ বাতলিয়ে কৃষ্টি, ঐতিহ্য এবং জাগরণের মাধ্যমে পুরয়মান আদর্শে দীক্ষার গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন “আদেশ ছেড়ে খুঁজলে দেশ, হবি নাকাল, পাবি ক্লেশ” তিনি আরও বলেছিলেন “ইষ্ট নাই নেতা যেই, যমের দালাল কিন্তু সেই”। পরম দয়ালের ঐশী বাণী যে কত সুদূর প্রসারী আমরা আজ তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।

    পাগল বেকুব ছাড়া দুনিয়ার কেউ মরতে চায় না। মানুষ চায় বাঁচতে ও বাড়তে। শ্রীশ্রীঠাকুরের ভাবাদর্শের মূলকথা হল অস্তিত্ববাদ। সব বাদের সেরা বাদ ও পরিপূরক। সত্তার আদিমতম আকুতি বেঁচে থাকা ও বেড়ে ওঠা। স্বপারিপার্শ্বিক বাঁচা বাড়ার নামই হল ধর্ম। “অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে, ধর্ম বলে জানিস তাকে”। ধর্মের সাথে সাম্প্রদায়িকতার কোন সম্পর্ক নেই। আর এই ধর্ম মূর্ত্ত হয় আদর্শে অর্থাৎ –রক্ত মাংস সঙ্কুল ইষ্টে, বাঞ্চিতে ও প্রিয় পরমে। আর তাঁর প্রতি অকাট্য টানে হয় আত্ম নিয়ন্ত্রণ। সত্তাবাদের মূল সুর হল-“মরো না, মেরো না, পারতো মৃত্যুকে অবলুপ্ত কর”।

    বর্তমানে বিশ্বের বিজ্ঞানীরা জীব বৈচিত্রের রক্ষণ ও জীব হননের বিরোধিতা করছেন। পরম দয়ালের কথা আজ হোক আর কাল, তা সবাইকে মানতে হবে, যদি আমরা বাঁচতে চাই। এমন ভাগবত দলিল অমান্য করে কার সাধ্য। ঈশ্বর এক, ধর্ম এক, প্রেরিতগণ একেরই বার্ত্তাবাহী। অবতারে অবতারে কোন বিভেদ নেই। ধর্মান্তরিতকরণ ধর্মের কোন ভাষ্য নয়। খাঁটি হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান, এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বর্তমানে প্রেরিতকে ধরে চললেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।
    ভারত বিভাজনের বিরোধিতা করে শ্রীশ্রীঠাকুর তদানীন্তন কালের ভারতের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বহু পন্থা বাতলিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কথা মেনে নিলেও বাস্তবায়নে কেউ এগিয়ে এলেন না। ফলে যা হবার তাই হল। এর ফল স্বরূপ ভারতবর্ষ দ্বিখন্ডিত হল। এতে করে হিন্দু মুসলমানের কারো ভাল হল না। অর্থাৎ-শ্রীশ্রী ঠাকুর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তাই তিনি যুগপুরুষোত্তম-যুগাবতার সাথে তিনি একজন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী।

    লেখক: -ডিপ্লোমা কৃষিবিদ
    সভাপতি, শ্রীশ্রীঠাকুরের ১২৫তম জন্মোৎসব উদ্যাপন কমিটি, হবিগঞ্জ।

    মানব প্রেমিক তুমি যে দেবতা
    লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

    মানব প্রেমিক তুমি যে দেবতা
    তুমি সর্বশক্তিমান।
    জাগ্রত ভগবান সদা জাগ্রত ভগবান।

    আপনি আচরি শিখাইলে ধর্ম
    নাম তব দেশে দেশে,
    সত্দীক্ষা দিয়ে জাগালে চেতনা
    মানুষেরে ভালবেসে।

    সত্যে শ্রীহরি ত্রেতায় রাম
    যুগে যুগে অধিষ্ঠান।
    মানব প্রেমিক তুমি যে দেবতা
    তুমি সর্বশক্তিমান।
    জাগ্রত ভগবান সদা জাগ্রত ভগবান।

    যুগে যুগে তুমি এসেছো ধরায়
    মানবে করিতে ত্রাণ,
    তব নাম লয়ে সুখী হয় জীবন
    পাপী পায় পরিত্রাণ।

    মানব প্রেমিক তুমি যে দেবতা
    তুমি সর্বশক্তিমান।
    জাগ্রত ভগবান সদা জাগ্রত ভগবান।

    সত্দীক্ষা দিয়ে সবাকারে তুমি
    দেখাইলে নতুন পথ,
    অজ্ঞান নাশি জ্ঞানের আলোকে
    চলে অগ্রগতির রথ।

    বিশ্বপ্রেমিক তুমি যে ঠাকুর
    তুমি যে আমার প্রাণ,
    অজ্ঞান অন্ধকার ঘুচায়ে প্রভু
    জ্ঞান অঞ্জন কর দান।

    মানব প্রেমিক তুমি যে দেবতা
    তুমি সর্বশক্তিমান।
    জাগ্রত ভগবান সদা জাগ্রত ভগবান।
  • জয় গুরু | ***:*** | ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৮:৪৯651985
  • ইয়ে, প্রভুকে অনুসরণ করতে চাই। ওনার কটি স্ত্রী ছিলেন যেন ?
    বিবাহ দিয়েই শুরু করা যাক।
  • গুরুগুরু | ***:*** | ২১ মার্চ ২০১৯ ২৩:৪০651986
  • আমিও বিদ্যাসাগরবাবুকে অনুসরণ করতে চেয়েছিলাম। বিবাহ দিয়েই শুরু করব ভাবলাম ।
    কিন্তু চোদ্দ বছরে বিয়ে না হওয়ায় ক্ষান্ত দিতে হল।
    ভেউ।
  • avi | ***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:১৯651987
  • প্রফুল্ল--ভগবান গোড়ায় তো একায় ছিলেন,সৃষ্টি করলেন কেমন করে?

    শ্রীশ্রীঠাকুর-- তাঁর মধ্যে বৃত্তি ছিল। তিনি এবং তাঁর বৃত্তি যেন positive (ঋজী সম্বেগ) ও negative (রিচী সম্বেগ),পুরুষ ও নারী। এই দুইয়ের আকর্ষণ-বিকর্ষণ ও আবেগদীপ্ত সহযোগ ও সম্মেলনের ভিতর- দিয়ে সৃষ্টি গুণিত হ'য়ে চলল তাঁর বুকে। আকর্ষণ, বিকর্ষণ দুই আছে বলেই positive (ঋজী সম্বেগ) ও negative (রিচী সম্বেগ) দুই-ই র'য়ে যাচ্ছে,একটা আর একটাকে রাখলে আকৃষ্ট করলেও তার সত্তা ও স্বাতন্ত্র‍্যকে বিলুপ্ত ক'রে দিতে পারছে না। তাই সৃষ্টির সম্ভাব‍্যতা চিরস্রোতা হ'য়েই ব'য়ে চলেছে। positive (ঋজী সম্বেগ) যেখানে যেমনতরভাবে বিদ‍্যমান তার counter part (বিপরীত অংশ) হিসাবে র'য়ে গেছে তদনুপাতিক negative (রিচী সম্বেগ)। এই দুইয়ের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ভিতর-দিয়ে সুষ্ঠু সৃষ্টি লীলায়িত হ'য়ে ওঠে। আমাদের শাস্ত্রেও তাই মনোবৃত্তানুসারিণী স্ত্রীর কথা বলেছে,স্ত্রী যেন স্বামীর বৃত্তি অর্থাৎ ঐ পুরুষের প্রকৃত-অংশ এবং স্বামী যেন স্ত্রীর স্ব অর্থাৎ অস্তিত্ব। এমনতর সাত্ত্বিক মিলন যেখানে,সেখানেই উদ্বর্দ্ধন ও সুপ্রজনন দুই-ই সার্থক হ'য়ে ওঠে।

    আলোচনা প্রসঙ্গে-১ম খণ্ড। (৩/১২/১৯৪১)।
  • uttom | ***:*** | ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:২৪651988
  • এ সব ই উত্তম কথা। কেবোল একজায়গায় ছোট প্রশ্ন রয়ে গ্যালো। কারেই বা বলি?
    স্ত্রী-কর্ত্তৃক solicited হয়ে sexually engaged না হওয়া - তার মানে সলিসিট এর অধিকার বা দায় কেবল স্বামীর?
  • রঞ্জন | ***:*** | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৩৩651990
  • আমার দুটি আন্তরিক প্রশ্নঃ
    ১ ঠাকুর সমকাম এবং আত্মরতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোন উপায় বলে গেছেন কিনা?
    ২ আমার মত পাপী ও নরাধমের উদ্ধারের কোন আশা আছে কিনা?
  • :-D | ***:*** | ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৫৬651991
  • ১। যে-কোনও কাম থেকেই উদ্ধারের যা উত্তর, সেটিই এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
    ২। আশা নাই।
  • avi | 162.158.***.*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:৩৪729699
  • মন উচাটন হলেই এই টইখানা উল্টেপাল্টে দেখি। আর গলা ছেড়ে বলে উঠি, এ কি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে। জয় গুরু।
  • অমিত | 37.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২০ ১১:১০733054
  • তুই এ জন্যই অচ্ছুত,অস্পৃশ্য, চন্ডাল, গীতার নিকৃষ্ট তমগুণের সৃষ্টি।   

  • Atoz | 151.14.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২০ ২২:৪৯733058
  • এইটা একটা মারাত্মক টই। একে পাঁচে সাড়ে পাঁচ কি, পাঁচে পঁচিশ দিলেও কম হয়ে যায়। ঃ-)

  • Shibadipta Pal | 42.105.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০২২ ০৯:২৪736275
  • দাদা আপনি আর ভালো করে পড়াশুনা করুন বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থ তারপর কথা বলবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন