এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আশু পাল | 233.176.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০১৪ ২২:২৬648720
  • রক্তদান কেন প্রয়োজন ?
    কেন রক্তদান করা দরকার, এ বিষয়ে আলোচনা করার আগে আমরা বুঝে নিই রক্ত বস্তুটি আসলে কি, এবং আমাদের দেহে রক্ত প্রকৃতপক্ষে কি কাজ করে। যে কোন সচল প্রাণীর দেহ তৈরী হয়েছে লক্ষ কোটি জীবকোষ দিয়ে। এই কোষ গুলি বেঁচে থাকে অক্সিজেনের উপর নির্ভর করে। প্রতি মুহূর্তে মুহূর্তে অক্সিজেন গ্রহণ করে, এবং পর মুহূর্তেই তাকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডে সংশ্লেষিত করার মধ্য দিয়েই জীব কোষ বেঁচে থাকে। তিন থেকে পাঁচ মিনিট ওই অক্সিজেন না পেলে জীবকোষ মরে যায়। আর মানব শরীর যেহেতু অসংখ্য জীবকোষেরই সমষ্টি, তাই বিপুল সংখ্যায় জীবকোষ মরে গেলে মানুষও মারা যায়। এ জন্যই আমরা প্রতি পলে পলে শ্বাসের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং প্রশ্বাসের সঙ্গে কার্বন-ডাই-অক্সাইড দেহ থেকে বের করে দেই। ঘুমিয়ে থাকলেও এই প্রক্রিয়া বন্ধ হয় না, চলতেই থাকে।
    ঘটনা হল, আমরা শ্বাসের মাধ্যমে যে অক্সিজেন গ্রহণ করি, সেটা যায় আমাদের ফুসফুসের (Lung)মধ্যে। কিন্তু এই অক্সিজেনকে তো পৌছিয়ে দিতে হবে দেহের প্রত্যেকটি কোনায় কোনায়, প্রতিটি কোষে কোষে – সেটা কি করে হবে ? ফুসফুস থেকে জীবকোষ অব্দি এই অক্সিজেন বয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং জীবকোষ থেকে বর্জ্য কার্বন-ডাই-অক্সাইড ফুসফুসে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কাজটি করে আমাদের রক্ত। রক্তের দুটো প্রধান উপাদান ; রক্তকোষ (Blood Cell) এবং রক্তরস (Plasma)। কোষ গুলি আবার মুখ্যত তিন প্রকার; লোহিত কণিকা (RBC), শ্বেত কণিকা (WBC) এবং অনুচক্রিকা (Platelet)। আমরা যা কিছু খাই, ভাত বা রুটি, আমিষ বা নিরামিষ, তা থেকেই আমাদের দেহযন্ত্র এক জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় রক্ত তৈরী করে নেয়। রক্ত তৈরীর এই প্রক্রিয়া প্রতি নিয়তই চলতে থাকে। দেহের বিভিন্ন অংশে উৎপাদিত হয়ে কোষ গুলি এবং প্লাজমা অহরহ দেহের মূল রক্তস্রোতে মিশে চলেছে।
    আমাদের দেহে অবস্থিত দুই শতাধিক হাড়ের মধ্যে কিছু আছে ফাঁপা (Hollow)। সেই ফাঁপা হাড়ের মধ্যে যে মজ্জা থাকে, লোহিত কণিকা (RBC) তৈরী হয় সেখানেই। কম বেশি ১২০ দিনের মত আমাদের দেহের মধ্যে বেঁচে থেকে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে। তারপর মরে গিয়ে পায়খানা ও প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে যায়। লোহিত কণিকার কেন্দ্রীয় উপাদান হল লোহা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় হিমোগ্লোবিন। অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড পরিবহণের কাজটা এরাই করে। নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে কমে গেলে রক্তাল্পতা (Anemia) দেখা দেয়, অল্প পরিশ্রমেই হাঁফ ধরে। এক ফোঁটা রক্তে আট লক্ষের মত লোহিত কণিকা থাকে। শ্বেত কণিকা চার-পাঁচ রকমের হয়। যদিও এদের শ্বেত কণিকা বলা হয়, আসলে এগুলো রংহীন। এদের কিছু জন্মায় যকৃতে (Liver) আর কিছু মজ্জাতে। এদের আয়ুষ্কাল ছয় থেকে আট ঘন্টা। তারপর মরে যায়। একাংশ রি-সাইকেল পদ্ধতিতে আবার জন্ম নেয়, আর বাকি গুলো দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। প্রতি ফোঁটা রক্তে এদের সংখ্যা ছয় থেকে আট হাজার। শ্বেত কণিকারা আসলে মানব দেহের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। বহিঃশত্রুর (রোগজীবাণু) আক্রমণ হলে এরাই প্রথম তাদের বাধা দেয়, প্রতি-আক্রমণ করে রোগ জীবাণুদের মেরে ফেলে, অথবা নিজেরা মরে যায়। পুঁজ বস্তুটি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মৃত শ্বেত কণিকার দেহাবশেষ। যে কোন কাটা-ছেঁড়ায় সংক্রমণ (Infection) প্রতিরোধ করে। উল্লেখ করা দরকার যে, আভ্যন্তরীণ সংক্রমণের সময়, আমাদের দেহযন্ত্র শ্বেত কণিকার উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি হলে নিশ্চিত বলে দেওয়া যায় যে, কোন না কোন রোগ জীবাণু দেহে প্রবেশ করেছে। রোগ নিরাময় হয়ে গেলে নিজে থেকেই তাদের সংখ্যা আবার স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে। শ্ত্রু যদি বেশি শক্তিশালী হয়, তা হলে যেমন ব্যারাক থেকে সামরিক বাহিনী তলব করা হয়, তেমনি শ্বেত কণিকারা রোগ প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে, তবেই আমাদের ওষুধের শরণাপন্ন হতে হয়। অণুচক্রিকাও (Platelet) বর্ণহীন একপ্রকার রক্তকোষ, যা যকৃৎ, প্লীহা (Spleen) প্রভৃতি জায়গায় জন্ম নিয়ে রক্তস্রোতে মিশে যায়। বাঁচে মাত্র কয়েক ঘন্টা। এরা আঁঠালো। দেহের কোনও জায়গায় কেটে বা ছড়ে গিয়ে রক্তপাত হলে এরা লাখে লাখে ছুটে গিয়ে সেই জায়গায় একটা আঁঠালো প্রলেপ তৈরী করে রক্তপাত বন্ধ হতে সাহায্য করে। রক্তকোষ গুলির জন্ম এবং মৃত্যু এক ধারাবাহিক ঘটনা, একদিকে নতুন কোষ জন্মাচ্ছে, অন্যদিকে পুরানোরা মরে যাচ্ছে। আমরা প্রতিদিন যে জল খাই, সেই জল থেকেই এক বিশেষ দৈহিক প্রক্রিয়ায় তৈরী হয় রক্তরস বা প্লাজমা। লোহিত কণিকা, শ্বেত কণিকা ও অণুচক্রিকারা এই রক্ত রসে ভেসে ভেসে হৃদপিণ্ডের দ্বারা তাড়িত হয়ে সারা দেহে ছুটে বেড়ায় এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে। রক্তকোষ গুলি ছাড়াও কিছু কিছু রাসায়নিক লবণ (Chemical salt), প্রোটিন পদার্থ ইত্যাদি প্লাজমার মধ্যে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
    হৃদপিণ্ড হচ্ছে একটি স্বয়ংচালিত (Automatic) পাম্প, যা আমৃত্যু অনবরত সঙ্কুচিত ও প্রসারিত হয়ে চলেছে। এই সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমেই সে আমাদের রক্তকে সারা দেহে ছুটিয়ে বেড়াচ্ছে। ফুসফুস থেকে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত যখন আমাদের হৃদপিণ্ডে আসে, তখন সে সেগুলোকে ধমণীর (Artery) মাধ্যমে সারা শরীরে পাঠিয়ে দেয়। রক্ত তখন অক্সিজেন বিলি করতে করতে আর পাশাপাশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ করতে করতে ছুটে যায় দেহের দূর প্রান্ত পর্যন্ত। তারপর কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত শিরার (Vein) মাধ্যমে ফিরে আসে হৃদপিণ্ডে। এবার হৃদপিণ্ড তাদের ফুসফুসে পাঠায় প্রশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন-ডাই-অক্সাইড বের করে দিয়ে অক্সিজেন সমৃদ্ধ হয়ে ফিরে আসতে। এভাবেই রক্ত তার দেহ-পরিক্রমার বৃত্ত পূর্ণ করে। এই প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া মানেই মৃত্যু। রক্ত যখন হৃদপিণ্ড থেকে বেরিয়ে ধমণীর ভিতর দিয়ে ছুটে যায়, তখন সে ধমণীর দেওয়ালে একটা চাপ সৃষ্টি করে। একই ভাবে সে যখন শিরার ভিতর দিয়ে হৃদপিণ্ডের দিকে ফিরে আসে, তখনও শিরার দেওয়ালে চাপ সৃষ্টি হয়। এটাকেই রক্তচাপ বলে। যাওয়ার সময় চাপ বেশি থাকে, তাকে বলা হয় সিস্টোলিক; আর ফেরত আসার সময়ের তুলনামূলক কম চাপ থাকে, তাকে বলে ডায়াস্টোলিক। রক্তচাপ মেপে কেউ যখন বলেন, ১২০ বাই ৮০, তখন বুঝতে হবে ১২০ হচ্ছে সিস্টোলিক আর ৮০ হচ্ছে ডায়াস্টোলিক। এটাই একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ।
    দেহে কতটা রক্ত থাকবে বা আছে, তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির দৈহিক ওজনের উপর। চিকিৎসা বিজ্ঞান দেখেছে, প্রত্যেক নীরোগ পুরুষ-দেহে রক্ত থাকে প্রতি কেজি ওজনে ৭০ থেকে ৭৬ মিলিলিটার। মহিলাদের দেহে সেই পরিমাণটি হল ৬৬ থেকে ৭০ মিলিলিটার। অথচ ভীষণ পরিশ্রমের কাজ করতে হলেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের দরকার প্রতি কেজিতে মাত্র ৫০ মিলিলিটার রক্ত। সাধারণ পরিশ্রমে এরচেয়ে সামান্য একটু কম হলেও চলে। তা হলে দেখা যাচ্ছে, আমাদের প্রত্যেকের দেহেই প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত (Surplus) রক্ত মজুত থাকে। ন্যূনতম হিসাব ধরলেও ৫০ কেজি ওজনের একজন পুরুষ মানুষের দেহে রক্ত থাকে (৫০x ৭০) = ৩৫০০ মিলিলিটার, মানে সাড়ে তিন লিটার, আর তার প্রয়োজন হল (৫০x ৫০) = ২৫০০ মিলিলিটার বা আড়াই লিটার। ৭০ এর জায়গায় ৭৬ ধরলে অতিরিক্ত রক্তের পরিমাণ হবে ১৩০০ মিলিলিটার। আরও বেশি ওজনের নর-নারীর দেহে রক্ত থাকবে আরও বেশি। সাধারণ ভাবে একজন মানুষের দেহে যে রক্ত থাকে, তাতে তার প্রয়োজন মিটিয়েও অতিরিক্ত রক্ত থাকেই। কিন্তু কোন দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভোগা, আগুনে পোড়া, ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি বা ‘রে’ (Ray) দেওয়ার ফলে বেশি পরিমাণে রক্তকোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া, মাতৃত্বকালীন পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে অনেক সময় একজন মানুষের দেহে বাইরে থেকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তা ছাড়া থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের তো অন্যের রক্ত গ্রহণের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। তখনই দরকার হয় রক্তদানের। কেননা, বহু বছর ধরে দিনরাত গবেষণা চালিয়েও বিজ্ঞানীরা আজ অবধি রক্তের কোন বিকল্প আবিষ্কার করতে পারেন নি। কোন কারখানা বা শস্যক্ষেতেও রক্ত উৎপাদিত হয়না। রক্ত তৈরীর একমাত্র কারখানা হল এই মানব দেহ। ফলে কোনও রোগীর চিকিৎসা ও বেঁচে থাকার জন্য রক্তের দরকার হলে, কোন নীরোগ, হৃদয়বান, মানবিক গুণের অধিকারী মানুষকেই এগিয়ে এসে নিজ দেহ থেকে রক্ত দিতে হয়। তাঁর দেহে সঞ্চিত অতিরিক্ত রক্ত থেকেই তিনি রক্তদান করেন। সঞ্চিত অতিরিক্ত রক্ত থেকে আমরা যদি ৩০০-৩৫০ মিলিলিটার রক্ত দান করে দেই, তাহলেও আমাদের কোন অসুবিধাই হওয়ার কথা নয়। এছাড়া ওই রোগীকে বাঁচানোর বা রক্ত সংগ্রহের আর অন্য কোন উপায় নেই। অন্যের ক্ষেত্রে আমরা রক্তদানের গুরুত্বটি সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে পারিনা। কিন্তু এ রকম একটা দৃশ্য ভেবে দেখুন তো, আপনার মা, বাবা, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা বা আপনি নিজে অসুস্থ হয়ে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছেন, অথচ হাজার হাজার মানুষ তাদের দেহে প্রয়োজনের অতিরক্ত রক্ত বয়ে নিয়ে বেড়ালেও শুধুমাত্র অজ্ঞতাজনিত ভয় ও কু-সংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে রক্ত দিতে রাজী হচ্ছেন না। ব্যাপারটা কত মর্মান্তিক ! কতটা অমানবিক ! ঘটনা তো এমনও হতে পারে; আপনি গাড়িতে চেপে দূরে কোথাও যাচ্ছিলেন, পথে গাড়িটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে সাঙ্ঘাতিক আহত এবং অচেতন অবস্থায় অকুস্থল থেকে আপনাকে কেউ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় আপনার জীবন রক্ষার জন্য এক্ষুণি আপনাকে রক্ত দিতে হবে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে কোন রক্ত নেই (কারণ লোকে রক্ত দিতে ভয় পায় বলে ব্লাড ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার শূন্য)। আপনার বন্ধু-বান্ধব,আত্মীয় স্বজনেরা এখনও আপনার দুর্ঘটনার খবরই পাননি। এ রকম অবস্থায় ঘটনা কোন দিকে গড়াতে পারে ? এমন ঘটে যাওয়া অসম্ভব তো নয় ? কাজেই, শুধু অন্যের জীবন রক্ষার জন্য নয়, নিজেরও অনাগত বিপদের মোকাবিলা করার জন্যও নিজে নিয়মিত রক্তদান করা এবং অন্যদেরও সচেতন করে রক্তদান করতে উৎসাহিত করা আমাদের অন্যতম কর্তব্য।
    রক্তদানে নিজের কোন ক্ষতিই হচ্ছেনা। দান করা রক্ত পূরণ হওয়ার জন্য ভাল ভাল খাবারের ও প্রয়োজন নেই। সাধারণ ডাল-ভাত-রুটি সব্জিই যথেষ্ট। তা ছাড়া, ওই প্রতি কেজিতে ৭৬ মিলিলিটারের চেয়ে বেশি রক্ত শরীরে জমেও থাকে না। দান না করলেও নিজে থেকেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার দান করে দিলে নিজে থেকেই তৈরীও হয়ে যায়। যে গাই প্রতিদিন আধসের দুধ দেয়, সাত দিন না দোয়ালে সে কি পরের দিন সাড়ে তিন লিটার দুধ দেবে ? না, তা হয়না। তেমনি, দান করে দিলে আবার রক্ত তৈরী হবে, না করলে জমে জমে দেহের মধ্যে রক্তের বিশাল ভাণ্ডার গড়ে উঠবে না। তা হলে রক্তদান করতে দ্বিধা/সঙ্কোচ কেন ? মনে রাখবেন, আপনার দান করা রক্ত শুধু একজন মানুষের প্রাণ রক্ষাই করেনা, একটি পরিবারকে ধ্বংসের হাত থেকেও রক্ষা করে। রক্ত না পেয়ে কোন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যটি মারা গেলে হয়তো তার বৃদ্ধ মা বাবার আর কোনদিন ওষুধ খাওয়া হবেনা, ছোট বোনটির আর বিয়ে হবেনা, ছেলে মেয়ে গুলোকে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে পেটের ধান্দায় পথে পথে ঘুরতে হবে, হয়তো পা পিছ্‌লে অসামাজিক কাজকর্মে যুক্ত হয়ে যাবে। সংসারের খাইখরচ মেটাতে গিয়ে হয়তো তার স্ত্রীকে মানুষের বাড়িতে বাসনমাজা-র কাজ নিতে হবে। হয়তো আরও নিকৃষ্ট কোন পথে পা বাড়াতে বাধ্য হতে পারে। মহান মানবিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আপনার দান করা রক্ত সেই সমস্ত অপ-সম্ভাবনাকে প্রতিহত করবে।
    অন্যদিকে, রক্তদানে শুধুমাত্র গ্রহীতাই উপকৃত হন না, দাতা নিজেও বিভিন্ন ভাবে লাভবান হন। জন্ডিস্‌, ম্যালেরিয়া, যৌনরোগ, এইচ আই ভি প্রভৃতি হন্তারক রোগজীবাণু নিজের অজান্তেই আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না, রক্তদান করলে সে সবের পরীক্ষা হয়ে যায় বিনা খরচে। পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত গোপনীয়। কোন রোগ জীবাণু ধরা পড়লে শুধুমাত্র আপনাকেই এ বিষয়ে জানানো হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হবে। ওই পরীক্ষা গুলো কোনও ল্যাবরেটারিতে করাতে হলে বর্তমান বাজার দরে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় ১৭০০ টাকা। রক্তদান করলে আপনি সহজেই আপনার রক্তের গ্রুপ জেনে নিতে পারবেন। আপনার গ্রুপ সংবলিত একটি সরকারি কার্ড আপনাকে দেওয়া হবে, যা সারা পৃথিবীতে আপনার রক্তের গ্রুপের নিশ্চিত প্রমাণপ্ত্র হিসেবে স্বীকৃত হবে। রক্তের গ্রুপ জেনে রাখা আধুনিক জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক অত্যন্ত জরুরি বিষয়। রক্তদানের পর দেহে যে নতুন রক্তকণিকা জন্মায়, তা দাতার শরীরকে সতেজ, চনমনে আর কর্মচঞ্চল করে তোলে। আমাদের দেহ প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মিলিলিটার রক্ত তৈরী করতে সক্ষম। কিন্তু যেহেতু স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের দেহ থেকে দৈনিক মাত্র ৫০ মিলিলিটারের মত রক্ত নষ্ট হয়, তাই সেই পরিমাণ রক্ত তৈরী করার পর আমাদের রক্ত তৈরীর প্রক্রিয়া (Mechanism) স্তব্ধ হয়ে থাকতে বাধ্য হয়। স্তব্ধ হয়ে থাকতে থাকতে তার কর্মক্ষমতা কমে যায়। নিয়মিত রক্তদান করলে সেই মেকানিজ্‌ম ঘন ঘন কাজ করার সুযোগ পায়। ফলে, ওই ব্যক্তির ছোট খাটো অপারেশনেও রক্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়না। নিয়মিত রক্তদাতাদের কখনো এনিমিয়া হয়েছে বলে শোনা যায়না। পাশাপাশি, নিয়মিত রক্তদান করলে হার্ট অ্যাটাক্‌ এবং রক্তচাপের সম্ভাবনা ২০ শতাংশ কমে যায়। নিয়মিত রক্তদাতাদের সরকারি তরফে একটি ‘ডোনার কার্ড’ দেওয়া হয়। সেই কার্ডের বিনিময়ে এক বছরের মধ্যে দাতা নিজে বা তার পরিবারের সদস্যরা এক বোতল রক্ত বিনা পরিবর্তে পেতে পারেন। কিন্তু এইসব বৈষয়িক লাভের চেয়ে অনেক বড় লাভ হল, একজন মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে পারার অসাধারণ মানসিক তৃপ্তি। ‘আমি ডাক্তার নই, কোন মহাপুরুষও নই, কিন্তু আমার রক্তে একজন মানুষের প্রাণ আজ রক্ষা পেয়েছে’—এই স্বর্গীয় অনুভূতিতে রক্তদাতার মন-প্রাণ এক অবর্ণনীয় প্রশান্তিতে ভরে ওঠে।
    খাদ্য সঙ্কটের সময় মানুষ যখন চারিদিকে খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে, কালোবাজারীরা যদি তখন লুকিয়ে গুদামে খাদ্য মজুত করে রেখে দেয়, আধুনিক সভ্য সমাজ তখন সেটাকে অমানবিক, বে-আইনি আখ্যা দেয়। তেমনি, হাসপাতাল গুলিতে রোগীরা যখন রক্তের অভাবে ধুঁকছে, মারা যাচ্ছে, তখন আমরা আমাদের শরীরে অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত রক্ত মিছিমিছি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি – রক্তদান করছিনা, এটাও কি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতে অপরাধ নয় ?
    অনেকেই বলেন, অপরিচিত যাকে তাকে আমি রক্ত দিতে যাব কেন? বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত বা আমার পাড়ার কেউ হলে বলবেন, আমি নিশ্চয় রক্ত দেবো। রক্তদানের মৌলিক সংহিতা বলে, রক্তদাতা এবং রক্ত গ্রহীতার মধ্যে পরিচয় থাকতে নেই। কেন ? কারণ, এর দুটো খারাপ সম্ভাবনা আছে। সমস্ত অগ্রগতির পরেও রক্ত বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত এমন কোন পরীক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারেনি, যে পদ্ধতিতে পরীক্ষার পর রক্তকে ১০০ শতাংশ বিপন্মুক্ত বলে ঘোষনা করা যায়। ‘জিরো রিস্ক ব্লাড’ আজও মানুষের জ্ঞানের অধরা। আপনি হয়তো জানেন না, আপনার শরীরে দাদ বা এক্‌জিমার মত কোন একটা চর্মরোগের জীবাণু প্রবেশ করেছে। এখনো আপনার শরীরে তার প্রকাশ ঘটেনি, কিন্তু রক্তে তার উপস্থিতি রয়েছে। পরীক্ষায় তা কোন কারণে ধরা পড়ল না। আপনার রক্ত পেয়ে পরিচিত সেই রোগী হয়তো সুস্থ হয়ে উঠলেন, কিন্তু তার একজিমা দেখা দিল। অনুসন্ধান করে বুঝতে পারলেন, যে আপনার দেওয়া রক্ত থেকেই ওই নতুন রোগের শিকার হয়েছেন তিনি। মনে মনে কি তিনি বলবেন না, ‘দূর ছাই, ওই অমুকের কাছ থেকে রক্ত নেওয়ায় আজ এই বিচ্ছিরি রোগে ভুগতে হচ্ছে।’ আবার উল্টোটাও হতে পারে। যে বন্ধুকে আজ রক্ত দিয়ে বাঁচালেন, বছর-দেড় বছর পর একদিন হয়তো কথায় কথায় তার সঙ্গে কোন বিষয়ে আপনার তর্ক বেঁধে গেল। বন্ধুটি রাগের মাথায় আপনাকে কিছু একটা খারাপ কথা বলেই ফেললেন। তখন আপনার মুখ দিয়ে না হোক মন থেকে এই কথা বেরিয়ে আসতেই পারে—ও’ ঠিকই আছে, একদিন তোকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছিলাম বলেই আজ এমন কথা বলতে পারলি, রক্ত না দিলে তো এই কথা বলার জন্য বেঁচেই থাকতিস্‌ না। অনাকাঙ্খিত এমন পরিস্থিতিগুলো এড়ানো উচিৎ, তাই পরিচিতদের মধ্যে রক্ত বিনিময় না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। আর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় – ইংরাজিতে যাকে বলে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভ’—মা, বাবা, ছেলে-মেয়ে, সহোদর বা জ্যেঠতুতো-খুড়তুতো ভাই-বোন-- এদের মধ্যে তো কখনোই নয়। অত্যাধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, একই জেনেটিক রক্ত যাদের শরীরে বহমান, তাদের একজনের রক্তের ক্রোমোজম্‌ অন্যের রক্তের ক্রোমোজম্‌কে ভীষণ ভাবে প্রত্যাখান করতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একে অন্যকে মেনে নেয়, কিন্তু কখনো কখনো মারাত্মক ভাবে একে অন্যের সাথে বিক্রিয়া করে। যদিও খুব কম ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটে, কিন্তু ঘটে গেলে আর কোনভাবেই রোগীকে বাঁচানো যায়না। কয়েক মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। কে বলতে পারে, ওই মারাত্মক ঘটনা আপনার প্রিয় রোগীর ক্ষেত্রেই ঘটতে চলেছে কি না! চিকিৎসা শাস্ত্রের পরিভাষায় এর নাম “গ্রাফট্‌ ভার্সাস্‌ হোস্ট ডিজিজ”। রক্ত না পেলেও হয়তো তাকে বাঁচানো যেত, কিন্তু ‘ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভ’-এর রক্ত গ্রহণ করায় মৃত্যুই তার একমাত্র ভবিতব্য হয়ে দাঁড়ালো। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের সময়ও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। পরিচিত মানুষ বা আত্মীয়স্বজনদের যারা রক্ত দিতে চান, এদিকটা ভেবে দেখতে তাদের অনুরোধ জানাই।
    আরেকটি ভয়াবহ সম্ভাবনা আছে। আমাদের চারপাশের সমাজ আজ অভাবনীয় ভাবে পালটে গেছে, এবং আরও পাল্টাচ্ছে। যৌথ পরিবার ভেঙে অণু পরিবার তৈরী হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আগের মত মূল্যবোধের বন্ধন এখন আর নেই। আমরা বা আমাদের সন্তানেরা কে কোথায় যাচ্ছি, কি করছি, সব খবর সব সময় রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। অনেকেই হয়তো জ্ঞানে কিংবা অজ্ঞানে জীবনে এমন অস্বাস্থ্যকর ঘটনা ঘটিয়েছি, যাতে এখন মনে ভয় আছে- আমি নিজেই হয়তো খারাপ কোন একটা সংক্রমণ বাঁধিয়ে বসে আছি। লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারছিনা। এ রকম অবস্থায়, যখন আমার মা, বাবা, ভাই, বোনের জন্য রক্ত দেওয়ার প্রস্তাব আসবে, তখন একদিকে চিন্তা, না দিলে লোকে বলবে, ‘ছেলেটা নিজের মা-কে বাঁচানোর জন্যও রক্ত দিতে রাজী হচ্ছেনা’ অন্যদিকে ভয়, অজানা সংক্রমণে আমার যা হবে হোক, দেখা যাবে, কিন্তু মা-কে কেন ওই রোগে সংক্রমিত করতে যাবো। পরিস্থিতির চাপে তখন ওই ব্যক্তির আত্মহত্যাকেই সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হতে পারে। একজন স্বেচ্ছা রক্তদাতার সামনে এরকম কোন সংকট নেই। নিজের জীবনযাত্রা প্রসূত এ ধরণের কোন সংশয় থাকলে যে কোন অজুহাত দেখিয়ে তিনি রক্তদান এড়িয়ে যেতে পারবেন।
    এর পরেও প্রশ্ন থেকে যায়, পয়সা দিয়ে যদি রক্ত কিনতে পাওয়া যায়, তবে কেন আমি আমার শরীর থেকে রক্তদান করতে যাবো ? আসলে, রক্ত বিক্রয় এবং ক্রয়—দুটোই আইনি অপরাধ। ধরা পড়লে, বিক্রেতার পাশাপাশি ক্রেতাকেও শাস্তি ভোগ করতে হয়। নেহাত বিপদে পড়ে কিনতে বাধ্য হয়েছেন বলে আইনের শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়না। তাছাড়া পয়সার বিনিময়ে যারা রক্ত বিক্রি করে, তাদের রক্তের গুণমান অত্যন্ত নিম্নমানের। পয়সার লোভে তারা ঘনঘন রক্ত বিক্রি করে। ও রকম তিন বোতল রক্তও স্বেচ্ছা রক্তদাতার এক বোতল রক্তের সমকক্ষ নয়। টক্‌ দই-এর মালিক যেমন নিজের দই টক্‌ বলে কখনো বলেনা, তেমনি রক্ত বিক্রেতা কখনোই নিজের অসুখ বিসুখের কথা প্রকাশ করে না। কারণ, উভয় ক্ষেত্রেই ক্রেতার স্বাদ বা স্বাস্থ্য তাদের চিন্তার বিষয় নয়, তাদের লক্ষ্য ক্রেতার পকেট। আরেকটা বিষয়, সংসার চালানোর জন্য বা উদরপূর্তির জন্য কোন ব্যক্তিকে রক্ত বিক্রয় করতে দেখা যায়না, ও’সব ‘সাহেব’ মার্কা বাংলা সিনেমার গল্প। শতকরা একশোজন রক্ত বিক্রেতাই রক্ত বিক্রি করে নেশার পয়সা সংগ্রহের জন্য। সেই নেশার ঘোরে রেড লাইট এরিয়ায় যাতায়াতও অসম্ভব নয়। আর কে না জানে, ওই সব এলাকা হচ্ছে এইচ আই ভাইরাসের (HIV) কারখানা। তাদের কাছ থেকে সংগৃহীত রক্তেরও পরীক্ষা নিরীক্ষা অবশ্যই হয়, কিন্তু আগেই বলা হয়েছে, সমস্ত আধুনিকতম পরীক্ষার পরও রক্তের ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়না। তা হলে কেন পয়সা খরচ করে জেনেশুনে নিজের প্রিয় মানুষটির জন্য মৃত্যু কিনে আনা ? মানুষ তো শ্ত্রুর সঙ্গে এমন ব্যবহার করে, আমরা কেন আমাদের আপনজনদের জন্য এমন জঘন্য কাজ করবো ? বিক্রেতার রক্ততো নয়ই, পরিচিত ব্যক্তি বা আত্মীয়ের রক্তও নয়, মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে একজন অদেখা, অপরিচিত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর উচ্চ মানসিকতায় যিনি স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন, তার রক্তই পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ সেরা রক্ত।
    তা হলে কি সবাই রক্তদান করতে পারে ? রক্তদাতার যোগ্যতা নির্ধারণের তিনটি প্রাথমিক শর্ত আছে ; বয়স, দৈহিক ওজন এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা।
    ক) রক্তদাতার বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তার কম বা বেশি নয়।
    খ) তার দেহের ওজন হতে হবে ৪৫ কেজি বা তার চেয়ে বেশি। কিন্তু কম হলে চলবে না।
    গ) ইচ্ছুক দাতার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমপক্ষেও ১২.৫ গ্রাম শতাংশ (এক ডেসিলিটার রক্তে থাকা হিমোগ্লোবিনের ওজন) হতে হবে।
    যে সকল নারী-পুরুষ এই শর্ত গুলি পূরণ করেন, সাধারণ ভাবে বলা যায়, তারা সবাই রক্তদানে সক্ষম।‍ তবে রক্তদাতা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে এগুলি ছাড়া আরও কয়েকটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে। একজন মানুষ স্থায়ী ভাবে বা অস্থায়ী ভাবে রক্তদানে অযোগ্য বলে নির্ণীত হতে পারেন। যদি কোন ব্যক্তি উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure), মধুমেহ (Diabetis) থাইরয়েড বা অন্য কোন রোগের জন্য প্রতিদিন ওষুধ খেতে বাধ্য থাকেন, তবে তিনি আর কোনদিনই রক্তদান করতে পারবেন না। তবে আগে ওষুধ খেতেন, এখন খেতে হয়না যাদের, তারা রক্ত দিতে পারবেন।
    আর কা’রা রক্তদান করতে পারবেন না ?
    ১) কুকুরের কামড়ের ইনজেকশন যারা নিয়েছেন, তারা ইনজেকশন-এর কোর্স শেষ হওয়ার পর ১ বছর রক্তদান করবেন না।
    ২) বড় অপারেশন যাদের হয়েছে তারা ১ বছর পর্যন্ত রক্তদান করবেন না। ছোট অপারেশন হলে ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান অনুচিত।
    ৩) কোন কারণে যদি কেউ রক্ত গ্রহণ করে থাকেন, তবে তিনিও এক বছর রক্তদান করতে পারবেন না।
    ৪) জন্ডিস, ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড রোগ হলে, সুস্থ হওয়ার পর আরও ৬ মাস রক্তদান করবেন না।
    ৫) যারা হাসপাতালে গিয়ে দাঁত ফেলেছেন, নাক বা কানে ছিদ্র করিয়েছেন, বা শরীরে উল্কি / ট্যাটু করিয়েছেন, তারাও ৬ মাস রক্তদানে অক্ষম।
    ৬) গত ৬ মাসের মধ্যে যে মহিলার গর্ভপাত হয়েছে, বা যিনি বর্তমানে সন্তান-সম্ভবা, তিনিও রক্তদান করতে পারবেন না।
    ৭) যে মহিলার সন্তান এখনও মাতৃদুগ্ধ পান করে, তিনি রক্তদান করবেন না।
    ৮) যে মহিলা বর্তমানে ঋতুচক্রের মধ্যে আছেন (মাসের নির্দিষ্ট ৫/৬ দিন) তিনি রক্তদান করবেন না।
    ৯) যার কোন চর্মরোগ বা যৌনরোগ আছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরও ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান করবেন না।
    ১০) যে ব্যক্তি বর্তমানে কোন ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাচ্ছেন, তিনি কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত রক্তদান করবেন না।
    ১১) যিনি গত বারো ঘণ্টার মধ্যে সুরাপান করেছেন, তিনি রক্তদান করবেন না। কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত সুরাপানে বা নেশা সেবনে (Drugs) অভ্যস্ত হন, তা হলে তার কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ না করাই উচিৎ।
    ১২) যে ব্যক্তি একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সংসর্গে অভ্যস্ত, তার কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ অনুচিত। পতিতা পল্লীর লোকজন, জেলের কয়েদী বা দূরগামী ট্রাকের ড্রাইভারদের কাছ থেকে কখনোই রক্ত সংগ্রহ করতে নেই।
    ১৩) মানসিক ভাবে অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তি বা মানসিক রোগীদের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
    ১৪) একবার রক্তদান করে ৯০ দিনের মধ্যে আর রক্তদান করা অনুচিত।
    উপরোক্ত নির্দেশিকার বাইরেও কিছু কিছু প্রশ্ন কা’রো থাকতেই পারে। প্রতিটি রক্তদান শিবিরে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন। প্রশ্ন এবং সংশয়ের কথা সেই চিকিৎসকের কাছে সরাসরি জিজ্ঞেস করে নেওয়া উচিৎ। নিরাপদ ভাবে রক্তদানের জন্য রক্তদানের আগে এবং পরে কিছু অবশ্য পালনীয় নিয়ম আছে। সে গুলিও আমাদের জেনে নিয়ে সেই মত চলতে হবে। নিয়ম গুলি হচ্ছে —
    ক) খালি পেটে রক্তদান করতে নেই। রুটি বা ভাত জাতীয় শক্ত খাবার অল্প পরিমানে খেয়ে মিনিট পাঁচেক বিশ্রাম নিয়ে রক্ত দিতে হয়।
    খ) ভরপেট খাবার খেয়ে নিলে কমপক্ষেও এক ঘণ্টা বিশ্রাম না নিয়ে রক্তদান করবেন না। বমি হয়ে যেতে পারে, মাথা ঘোরাতে পারে।
    গ) আগের রাতে ভাল ঘুম না হলে রক্তদান না করা উচিৎ।
    ঘ) বসে বা দাঁড়িয়ে কখনোই রক্তদান করবেন না। রক্ত দিতে হয় শুয়ে।
    ঙ) রক্তদানের আগে এক গ্লাস জল অবশ্যই খাবেন।
    চ) রক্তদান শেষ হওয়ার সাথে সাথে উঠে বসবেন না। পাঁচ-সাত মিনিট শুয়ে বিশ্রাম নিন, তারপর বসে আরও এক গ্লাস জল খান। তারপর ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ান।
    ছ) সূঁচ গাঁথার জায়গাটায় তূলা দিয়ে কনুইটা ভাঁজ করে দেওয়া হয়। অন্তত পনেরো মিনিট সময় কনুইটা সোজা করবেন না। রক্তবাহী নালীর ছিদ্রটা বন্ধ হওয়ার জন্য এই সময়টুকু প্রয়োজন।
    জ) রক্তদানের পর এক ঘন্টা সময় গাড়ি বা মোটর সাইকেল ইত্যাদি চালাবেন না। সিঁড়ি ভেঙে দোতলা তিনতলায় উঠবেন না।
    ঝ) রক্তদানের দিন ক্রিকেট, ফুটবল খেলা, শারীরিক ব্যায়াম ইত্যাদি কঠিন পরিশ্রমের কাজ না করাই ভাল।

    মানুষ ছাড়া অন্য সমস্ত প্রাণীই নিজের জন্য বাঁচে। একমাত্র মানুষ ই নিজে বেঁচে থাকার পাশাপাশি অন্যের জন্যও চিন্তা ভাবনা, কাজকর্ম করে। এ জন্যই মানুষকে বলা হয় বিধাতার সর্বোত্তম সৃষ্টি। এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আকূতি প্রকাশ পেয়েছে রবীন্দ্রনাথের ভাষায়। তিনি বলেছেন, “মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই...”। তাই আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, “রক্তদানের বার্তাকে আমরা ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দেবোই। রক্তের অভাবে আর একজন মানুষকেও আর মরতে দেবোনা আমরা।” রক্তদান আন্দোলন দীর্ঘজীবী হোক।
  • I | 24.99.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০১৪ ১৯:৫৩648728
  • ভালো লেখা। আশুবাবুর ডাকে সাড়া দিয়ে আজই রক্ত দিয়ে এলাম। একখান গোলমত মেটেল দেছে। আর তার সঙ্গে লাল আঙুরের রস।
  • kumu | 52.104.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০১৪ ২০:৪৯648729
  • ভালো লেখা।আষুবাবু সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন।
    আপনার উদ্দেশ্য সার্থক হোক।
  • dd | 132.167.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০১৪ ২১:২৫648730
  • আমি প্রচুর প্রচুর বার রক্ত দিয়েছি। রেগুলার দিতেম আর্লি ও মধ্য যইবনে। কিন্তু ভয়ানক ভয়ে পেতেম। চোখ বুঁজে থাকতেম। চোখ খুলে রক্তের ব্যাগ চোখে পল্লেই মাথা ঘুড়ে অজ্ঞান। শুয়ে শুয়েই।

    জানি ও না, অজানা কতো মানুষের মধ্যে অবসাদ ছড়িয়ে দিয়েছি।
  • kumu | 52.104.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:০১648731
  • আর কেউ লিখবে না এখানে?
  • সে | 203.108.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:০৬648732
  • ‘ফার্স্ট ডিগ্রি রিলেটিভ’-এর বোনম্যারো থেকেও কি এই ধরণের প্রত্যাখ্যান হতে পারে? আমার এক পরিচিত নিজের দিদির বোনম্যারো নিতে পারে নি, মৃত্যু হয়েছে।
  • আশু পাল। | 192.66.***.*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:০৫648734
  • লেখাটি যারা আদ্যোপান্ত পড়েছেন, তাদের ধন্যবাদ। যারা রক্তদান করেছেন তাদের অভিনন্দন। যারা মতামত দিয়েছেন, তাদের জানাই কৃতজ্ঞতা। প্রশ্নের জবাবে জানাতে চাই, হ্যাঁ বন্ধু, মানব শরীরের যে কোন অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রেই ' ফার্ষ্ট ডিগ্রি রিলেটিভ' দের মধ্যে এই ' গ্রাফট ভার্সাস হোস্ট ' সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা, শরীরের এমন কোন প্রত্যন্ত নেই যেখানে রক্ত পৌছায় না। কুমু জানতে চেয়েছেন, আর কেউ লিখবেন কিনা। অন্য কেউ লিখবেন কিনা জানিনা। তবে, পুজোর পরে রক্ত সম্পর্কিত রোগ ' থ্যালাসেমিয়া' নিয়ে একটা লেখা এই সুতোয় দেওয়ার ইচ্ছে আছে। সুযোগ পেলে পড়ে মতামত দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
  • আশু পাল। | 192.66.***.*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৮:০৫648733
  • লেখাটি যারা আদ্যোপান্ত পড়েছেন, তাদের ধন্যবাদ। যারা রক্তদান করেছেন তাদের অভিনন্দন। যারা মতামত দিয়েছেন, তাদের জানাই কৃতজ্ঞতা। প্রশ্নের জবাবে জানাতে চাই, হ্যাঁ বন্ধু, মানব শরীরের যে কোন অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রেই ' ফার্ষ্ট ডিগ্রি রিলেটিভ' দের মধ্যে এই ' গ্রাফট ভার্সাস হোস্ট ' সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা, শরীরের এমন কোন প্রত্যন্ত নেই যেখানে রক্ত পৌছায় না। কুমু জানতে চেয়েছেন, আর কেউ লিখবেন কিনা। অন্য কেউ লিখবেন কিনা জানিনা। তবে, পুজোর পরে রক্ত সম্পর্কিত রোগ ' থ্যালাসেমিয়া' নিয়ে একটা লেখা এই সুতোয় দেওয়ার ইচ্ছে আছে। সুযোগ পেলে পড়ে মতামত দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
  • সিকি | 135.19.***.*** | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৯:২৬648735
  • আশুবাবুকে ধন্যবাদ।

    নির্দেশাবলীগুলো বহুল প্রচারিত, বেশ অনেকটা সার্মনের ভঙ্গীতে - দাউ শ্যাল্ট আর দাউ শ্যাল্ট নট। কিন্তু এগুলো না মানলে কী কী হতে পারে সেটা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাবে?

    আসলে আমার চোখ আটকে গেল নির্দেশাবলীর জ) পয়েন্টে। "রক্তদানের পর এক ঘন্টা সময় গাড়ি বা মোটর সাইকেল ইত্যাদি চালাবেন না। সিঁড়ি ভেঙে দোতলা তিনতলায় উঠবেন না।"

    আমি রেগুলার ডোনার। বহুক্ষেত্রেই অনেকদূর থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে হাসপাতালে এসেছি ব্লাড দিতে, আধঘণ্টা বাদে নিজেই মোটরসাইকেল চালিয়ে ফিরে এসেছি বাড়িতে বা কর্মস্থানে। কখনও কোনও অসুবিধে হয় নি।
  • pi | 24.139.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:২৩648721
  • এইটা তুলে দিলাম।
  • dc | 132.174.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৩648722
  • রক্তদানের আগে আর পরে জল, দুধ, চা বা কমলালেবুর জুস খেতে বলে, তাতে নাকি ডিহাইড্রেশান হয়না। আর আয়রন বেশী আছে এরকম খাবার। আর মিনিট পাঁচ-দশেক বিশ্রাম নিতে বলে। তবে এখানে জ) তে যেটা বলা হয়েছে সেটা আমিও কখনো করিনি। নর্মাল হেল্থ থাকলে বোধায় খুব একটা অসুবিধে হয়না।
  • | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৫648723
  • আরেহ সিকির প্রশ্নটা আমারও। আমিও রেগুলার ডোনার। রক্ত দিয়ে তারপর সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা বরাবরই করেছি। তাতে কোনও সমস্যা তো হয় নি।
  • pi | 24.139.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৩৭648724
  • হয়তো সবার হয়না, কারো কারো হতে পারে বলে সাবধানতা হিসেবে লেখা আছে।
  • dc | 132.174.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ০৯:৪২648725
  • হ্যাঁ, অবশ্যই সাবধানতা হিসেবে লিখে রাখা উচিত। এমন হতে পারে যে কেউ হয়তো পুরো প্রসেসতা কমপ্লিট হয়ে যাবার পর দেখলেন সামান্য মাথা ঝিমঝিম করছে (বিশেষ করে শুয়ে থাকার পর উঠে বসার মোমেন্টে), তাহলে এক ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে নেওয়াই ভালো। তবে এরকম হলে সাথে কাউকে নিয়ে যাওয়া ভালো। আমি কিন্তু অনেক সময়েই দেখি যাঁরা রক্ত নেন তাঁরা খোঁজ নেন সাথে কেউ এসেছে কিনা।
  • pi | 233.23.***.*** | ০২ এপ্রিল ২০১৬ ১১:০৯648726
  • আচ্ছা, এই ব্যাপারটা নিয়ে একটু সিরিয়াসলি জানতে চাই। আর নিয়ম বদলেরও মনে হয় দরকার আছে।

    একজনের বক্তব্যঃ

    'I am bringing into notice some very important questions regarding the blood donation camps going on in India.
    Today I went to the Maniktala blood donation camp regarding yesterday's over bridge incident. I have O-ve blood. Initially they said there is not much requirement of blood but after that knowing i have negative blood group they agreed to take my blood. After initial testing of my blood group when i filled up the form and submitted, they cancelled my donation very annoyingly(!!!), because I had clearly mentioned in the column 'yes' which asked whether I fall into injective drug users, having multiple sexual partners or homosexuals! Surprisingly there was NO column to ask whether I practice Safe sex or not! I didn't argued anything because I knew about the impending crisis and i left quietly to donate the blood in Presidency University.
    There as i told the students about the incident, and expectedly they supported me and even took their dean's permission regarding this. Again i filled up the form only to meet up with the same thing. The presiding officer told me that may be I am right, but as their hands are tied up they can't do anything. They contacted the Doctor in charge over phone and the 'Doctor' told me that these questions are asked only as a verbal scrutiny to prevent taking contaminated bloods! I said fine I understood about injected drug users or multiple sexual partners possibility, but what about being homosexual?? They said that is decided by the directorate of India. If you want to give the blood Don't mention any of these!!!! I said if i just don't mention these, the Whole situation will be reversed? What a Shame/Guilt culture???
    There will be no scientific ways to scrutinize the blood? I was bold enough to admit that I do have multiple sexual partners and practise safe sex but that does not prevent me from donating blood before prior testing. And what about being homosexual???? As if being homosexual itself means We are All Polygamous Risky Whores practising whatever we like right???? Because this is not the first time, two years ago I faced the same impediment for honestly stating my identity.
    But the funniest part is when i asked finally what would i do? They said you dont mention any of these in the form and donate blood! And i did that…… Hahaha finally successful in my 3rd attempt in a row! WHAT THE F…… IS GOING ON???'
  • pi | 57.29.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৮:৫৩648727
  • রক্তের গ্রুপের টইটা পেলাম না।

    এখানেই থাকল আবেদন দুটো।
    যদি কারুর চোখে পড়ে ও মিলে যায়।

    প্রিয়ম সেনগুপ্ত
    ৮ হ্র্স
    ছ’‌মাসের ছোট্ট মেয়ে শিদাত্রী গিরি। বাঁ কিডনিতে টিউমার। ভর্তি আছে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে। রোগটা না হয় না–ই উচ্চারণ করলাম। মোদ্দা কথাটা হচ্ছে, বি নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত লাগবে ১০–১২ ইউনিট। আশার কথা হল, দিনসাতেক সময় আছে হাতে। যোগাযোগ করতে হবে সাধন মহাপাত্রের সঙ্গে ৯৮৩৬৪৩৭৫৬২ নম্বরে। ছ'মাসের বাচ্চা শোনার পরে আমার মাথা কাজ করছিল না। আগুপিছু না ভেবেই আমি বলে দিয়েছি, আপনি চিন্তা করবেন না, ব্লাডের অভাব হবে না।
    এটা জরুরি। শেয়ার করবেন প্লিজ?‌
    #ব্লাডমেটস

    -----------------------------------

    Rajib Sengupta
    9 hrs
    Posting it here as many of you are blood donor and from Kolkata - Admins, if not appropriate please delete.
    One of our friend's mother needs just one unit of any negative unit of blood at Tata Medical Centre at Rajarhat . TMC Blood Bank will provide the blood for her but a replacement ANY Negative Blood unit is required to be donated back.(Mon to Fri upto 3:30pm & upto 12pm on Saturdays). Contact: Sujan Sarkar 9038022123 Mission Arogya Kolkata Medical Emergency System and Services - KMES
    As always if you can't donate blood now for any reason - please register yourself at @tinyurl.com/kmes-blooddb
    Special Note: We are specifically requesting negative blood group donors to register. being rare we are having difficulty in locating negative blood donor during emergency, specifically with the blood banks are always running out of negative blood.
    As FYI, anyone can donate blood (whole blood) every 56 days (2 months approximately) or Plasma every 7 days
    Details:
    Donation Type Donation Frequency*
    Blood (whole blood) Every 56 days
    Platelets Every 7 days, up to 24 times / year
    Plasma Every 28 days, up to 13 times / year
    Power Red Every 112 days, up to 3 times / year
    source: http://www.redcrossblood.org
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন