এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বর্ণ হিন্দু বিশেষ সুবিধা বলে আসলে কিছু নেই। পুরো ব্যাপারটাই ভারতবাসীকে হীনমন্য করতে মেকলের সন্তানদের সৃষ্ট একটা মিথ।

    Su
    অন্যান্য | ১০ জুন ২০১৪ | ৫২৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৪ জুন ২০১৪ ২২:৫৪642605
  • মূলতঃ রনবীর সেনা'র হাত থ্যেকে বাঁচার জন্য এই কুমার ইত্যাদির প্রচলন হয়। নাহলে রনবীররা খুঁজে খুঁজে অন্য রাজ্যে গিয়েও মেরে আসত।
  • সে | 203.108.***.*** | ২৪ জুন ২০১৪ ২২:৫৬642606
  • জাতিগত বিদ্বেষ উবে যাবার জিনিস নয়। দুনিয়ার কোত্থাও ওবে নি। অন্ততঃ ইতিহাস তাইই বলছে। কিন্তু সরকারী লেভেলে অ্যাটলিস্ট কাগজে কলমে যেন জাতিভেদ না থাকে সেটাই বিধেয়। জাত তুলে গালাগাল করলে যেন শাস্তির ব্যবস্থা থাকে -অ্যাটলিস্ট আইনে। সেইটুকু হোক অন্ততঃ।
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ২৫ জুন ২০১৪ ০০:০০642607
  • আইনে তো আছে!
    Prevention of Atrocities against SC/ST Act।
  • π | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৭:৫৯642608
  • অবশ্যই মিথ।
    এটা ছিল খবরটা। এক পরিবারের তিনজনকে হত্যা করা হয়েছিল। ছেলেটিকে চল্লিশ টুকরো করে কেটে ফেলা হয়েছিল, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্ট বলছে। http://scroll.in/article/686107/Maharashtra-Dalit-youth-was-hacked-into-40-pieces,-says-fact-finding-report
    অপরাধ ? ছেলেটি একটি মেয়েকে ভালোবেসেছিল।

    এগুলো অবশ্য সবই কাকতালীয় ঘটনা যে ছেলেটি দলিত এবং মেয়েটি উচ্চবর্ণের মারাঠা। কারণ বর্ণহিন্দু তো মিথ।

    ও, এটা আনন্দ পটবর্ধনের স্ট্যাটাস। কাল যখন মারাঠিধিপতির মহাসমারোহে রাজ্যাভিষেক চলছিল ওয়াংখেডে স্টেডিয়ামে , তখন কিছু লোক ফালতু ফালতু এই ছোট ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে যায়। বা রে, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে না ?

    'Over 50 people were arrested outside the Wankhede stadium yesterday where the new BJP State government celebrated its election victory. The protest was against the brutal massacre of a young Dalit man and both his parents. They were hacked to death and their bodies chopped into pieces and thrown into a well. The reason? The boy had dared to have a relationship with a Maratha (upper caste) girl. Her family now in BJP also had ties with NCP and Shiv Sena. The police has made no arrests. The new BJP government elect is absolutely silent.

    The protest lasted only a few minutes before the police swooped in. By the time we joined the protestors they had already been whisked away. We went to the Yellow gate police chowky where they were taken. The guards at the gate denied they were brought there at all. On being told that they could not tell such lies to us they admitted that the protesters were inside but they had been asked to keep it quiet.

    The next days English press was equally silent. The Times of India carried glowing reports on the Wankhede function but not one line on the protest and arrest.

    All the news thats fit to print?'
  • কান্তি | 113.24.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৮:৩১642609
  • এমন একটা আন্দোলন শুরু করা যায় কি ? খবরের কাগজের পাতায় ঘটা কোরে পাত্র-পাত্রীর যে বিজ্ঞাপন
    দেওয়া হয় সেখানে কোন জাতের
    উল্লেখ করা যাবে না। শুধু অন্য সব যোগ্যতার বিবরন দেওয়া যাবে। /
  • - | 109.133.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ০৯:১০642610
  • সেটা যারা জাত মানতে চায়, তাদের ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ হয়ে যাবে না?
    আর এইভাবে কিসু আটকানো যায় না। শুধু যোগ্যতার বিবরন দিলেই কি মুক্তি? তখন লোকে বলতেই পারে, "আমি পিহেচডি আমি ঐ যোগ্যতার মেয়ে বা ছেলেকে বিয়ে করব। তার চেয়ে কম যোগ্যতা নীচু "জাত"। ওতে আমার চলবে না!"
    তখন যোগ্যতার বিবরনই জাত-বিচারের কাজ করবে ঃ-)
  • ranian royj | 132.176.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১৪ ২৩:২১642611
  • এটা চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। কিন্তু কিছু লোক স্বেচ্ছায় শুরু করতে পারেন যে জাত-গোত্রের জায়গায় দুই পরিবারের সাংস্কৃতিক স্তর ও ব্লাড গ্রুপ নির্ণায়ক হবে?
  • সে | 203.108.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৫:৫৫642612
  • চাপিয়ে দেওয়া উচিৎ হবে না এবং সম্ভব তো হবেই না। তখন অন্য কোডিং পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে, যেভাবে গর্ভস্থ ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে চলে।
  • Du | 230.225.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৩৩642613
  • স্তর ব্যাপারটাই উঠিয়ে দেওয়া উচিত। বিজ্ঞাপন থেকে নয়, মন থেকে।যেমন গুজরাটি, বাঙালী ব্যবহৃত হয় তেমনভাবে চাইলে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ইত্যাদি যদি দেয়ও কেউ, দেবে। অন্যে সেটাকে একটা আলাদা ইতিহাস বলে ধরবে। আসলে বাকিদের মন থেকে উঁচুনীচু ধারনাটা বেরিয়ে গেলে (যারা নিজেদের উচ্চবর্ণ ভাবে তাদের ) নিজেদের মনে ব্যপারটা থাকলেও সেটা নির্বিষ হয়ে যাবে এবং কালক্রমে চলেও যাবে।
  • d | 24.97.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৪১642506
  • আমার মতে আইন করে না ওঠালে আদৌ ওঠানোর চেষ্টাটুকুও করা যাবে না। আইন না করলে সতীদাহ হয়ত এখনও চলত রমরমিয়ে। অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে বোধহয় আইন আছে, তাও পুরো ওঠানো যাচ্ছে কই।
  • Tim | 188.9.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ১৬:৪৮642507
  • সতীদাহ রদ হয়ে তো অন্যায় হয়েছে। যত লোক সেসব মানতে চাইছিলো, তাদের ইচ্ছায় হস্তক্ষেপ হয়েছে। ঘোর পাপ!
  • পর্যবেক্ষক | 47.157.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৯:০৯642508
  • এই গুরুতেও প্রচুর মেকলের পোলাপান আছে(ন)
  • ! | 104.242.***.*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ২১:০৪642509
  • ভারতীয় ব্রাহ্মনরা সৌরজগতের সেরা জিনপুল রেপ্রেজেন্ট করছে, চার হাজার বছরের সিলেক্টিভ ব্রিডিং এর ফসল। এর জন্য তারা যদি সামান্য কিছু প্রিভিলেজ দাবী করে সেটা নিয়ে এত শোর মাচানোর কী আছে!
  • সনতন ভাবনা | 87.247.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:২৬642510
  • বর্ণ প্রথা শ্রী ভগবানের সৃষ্টি। কিন্তু তিনি তা গুণ কর্ম অনুসারে নির্ণয় করতে বলেছেন , বর্তমান হিন্দু সমাজের রীতি অনুসারে জন্ম অনুসারে তা নির্ণয় করতে বলেন নি। বেদ বা গীতায় জন্মসুত্রে বর্ণ নির্ণয়ের পক্ষে কোনও স্পষ্ট নির্দেশ -ও নেই ।
    হিন্দু সমাজের ব্যবহারিক জগতের বিধি বিধান দেশ কাল পরিস্থিতিতে মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়। এমন -ই এক সামাজিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সময় কিছু মানুষ জন্মানুসারে বর্ণ নির্ণয়ের প্রথা সুরু করেন। যারা সুরু করেছিলেন বা যারা কঠোর ভাবে তা মানতেন ,তাঁরা কেউ কেউ সুবিধাবাদি হলেও, সবাই খারাপ ছিলেন না। সুবিধাবাদী লোক গুলো ছাড়া বাকী যারা এই প্রথার প্রবর্তক ছিলেন তাঁরা আধুনিক অর্থনীতির ''শ্রম বিভাজন " নীতি প্রচলন করে সমাজ থেকে বেকারি উতখাত করতে চেয়েছিলেন।
    আশা করা গেছিল যে এর ফলে এক-ই পেশার মানুষের সন্তান সেই পেশায় দক্ষতা সহজেই পিতা ও পরিবার থেকে সিখে নেবে। পরিবার এক্ষেত্রে প্রসিক্ষন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এর সাথে আধ্যাত্মিকতার কোনও অনিবার্য সংযোগ নেই। পেশা যাই হোক না কেন , সে ঈশ্বর লাভ করতেই পারেন।কিন্তু কালে সেই উদারতাও বন্ধ হতে সুরু হলে বুদ্ধাবতারে ভগবান বর্ণ , যজ্ঞ , বলি প্রভৃতি প্রথার বিকৃত রূপের নিন্দা করেন।
    মুসলিম আক্রমন ও খ্রিস্টান শাসনের মোট ১০০০ বছরের কুশাসনে ওই সব প্রথার বিকৃত রুপ গুলি আরও নিকৃষ্ট রুপ ধারন করে। এক শ্রেণীর উচ্চ বর্ণের মানুষের ঘৃণায় হিন্দু দের এক অংশ স্বধর্ম ত্যাগ করেন। যদিও মুসলিম আগ্রাসন - ও এ বিষয়ে অনেকটা দায়ী । তবে ব্রিটিশ শাসনের সময় জোর করে ধর্মান্তর প্রায় হয়-ই নি। যা হয়েছে তা লোভ, পাশ্চাত্য শিক্ষা বা হিন্দু সমাজের উচ্চ বর্ণের ঘৃণার কারনে ঘটেছে। লালন ফকিরের ঘটনাও ব্রিটিশ যুগের। স্বাধীন ভারতেও এই কু প্রথার অবসান আজও ঘটে নি। অনেকেই জানেন না যে এই ঘৃণার সুযোগ নিয়ে খ্রিস্টান ও মুসলিমরা আজও ভারতে ধর্মান্তর ঘটাচ্ছে। বহু দেশ ও ভারতীয় সভ্যতার অনুরাগী মানুষ মুসলিম ও খ্রিস্টান হবে না বলে বৌদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। উত্তর ,মধ্য ভারতে প্রতি বছর-ই কিছু তথা কথিত নিম্ন বর্ণের হিন্দু বুদ্ধের শরণে চলে যাচ্ছেন। এই আত্মঘাতী জন্ম সূত্রে জাত নির্ণয়ের কুপ্রথা বন্ধ না করলে হিন্দু জাতি আরও সঙ্খ্যায় কমবে। জন গননার রিপোর্ট ধারাবাহিক ভাবে দেখলে সেই কমার প্রবনতা স্পষ্ট বোঝা যাবে।

    এই প্রসঙ্গে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে , সারা পৃথিবীতে পুরোহিত শ্রেণী ও শাসক স্রেনি একত্রে অবহেলিত মানুষকে চুটিয়ে শাসন ও শোষণ করেছে , ভারতেও তা হয়েছে। কিন্তু এ দেশের হিন্দু সমাজের ওই শাসক ও পুরোহিত শ্রেণী থেকেই আবার অবতার ও সাধক গন এসে ধর্ম ও দেশ রক্ষা করেছে যা অন্য দেশে বা অন্য রিলিজিওনে প্রায় কখনও ঘটে নি। জন্মসুত্রে শাসক শ্রেণীর কৃষ্ণ বা বুদ্ধ কিম্বা পুরোহিত শ্রেণীর রামানুজ বা চৈতন্য দেব বা রামকৃষ্ণ দেব তাঁদের যুগ হিসেবে যথা সম্ভব হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের বৈপ্লবিক সংস্কার করেছেন। তাঁদের অবদানকে তাই স্রদ্ধানত চিত্তে স্বীকার করতে হবে। উচ্চ বর্ণ মানেই তাই নিকৃষ্ট ,মানবতা বিরোধী জীব নয়--- এ সত্য ও মানতে হবে। তথা কথিত উচ্চ বর্ণে আবির্ভূত হয়েও এই দিব্য পুরুষেরা বর্ণ ,শ্রেণী , মতের ঊর্ধ্বে তাঁদের জীবন ও আদর্শ কে স্থাপন করেছিলেন। তাঁরা হিন্দু ও ভারতীয় সমাজের যতটুকু সংস্কার করতে পেরেছিলেন, তার পরেও আরও কাজ বাকী রয়ে গেছে। এই প্রজন্মের সকল বর্ণের হিন্দুকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। প্রনবানন্দ মহারাজ যেমন বলতেন যে , সবার আগে চাই হিন্দুতে হিন্দুতে মিলন, তারপর হিন্দু অহিন্দুর মিলন এমনিতেই সুসম্পন্ন হবে।

    পোস্ট টা একটু বড় হল। শান্ত চিত্তে পড়তে অনুরধ করি সবাইকে। আর অযথা বিতর্ক না করতেও অনুরধ করি । সকলের মঙ্গল হোক।
    হরি ওঁ। জয় মা। জয় প্রভু।
  • sch | 126.203.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:০৫642511
  • "হিন্দু সমাজের ওই শাসক ও পুরোহিত শ্রেণী থেকেই আবার অবতার ও সাধক গন এসে ধর্ম ও দেশ রক্ষা করেছে যা অন্য দেশে বা অন্য রিলিজিওনে প্রায় কখনও ঘটে নি। "
    মানে যবন হরিদাস, রুইদাস এরা ওই গোষ্ঠির ছিলেন? এনারা কি হিন্দু না? সাধক বললে তো মীরাবাই ঢুকে যেতে পারেন। তাহলে তিনিও পুরুত বা শাসক কোনো শ্রেণীরই না।
  • dc | 15.2.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:২২642512
  • "তবে ব্রিটিশ শাসনের সময় জোর করে ধর্মান্তর প্রায় হয়-ই নি"

    এটা ভেবে লিখলেন তো? আর এস এস তো মিশনারি দের প্রচুর ঘৃণা করে বলেই জানি, এই ধর্মান্তরের জন্যই! গ্রাহম স্টেইন্সকে মনে নেই? আর ব্রিটিশ শাসনের সময়ে ধর্মান্তর নিয়েও তো ওরা যথেষ্ট সরব!
  • pi | 57.29.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৭ ১৬:২৯642513
  • আজ একটা পোস্ট পড়লাম। সিদ্ধার্থ বসুর লেখা বোধহয়।

    আমরা সদগোপ। হিন্দু মতে শূদ্র। সৎ শূদ্র। গোয়ালা ঘোষ না, চাষা ঘোষ। এসসি ওবিসি নয়, জেনারেল। 'চাষা যে রাস্তায় হাঁটে দশ বছর সে রাস্তায় হনুমান হাঁটে না'- শুনে বড় হয়েছি। তারাশঙ্করের লেখায় পড়েছি, বামুন বাড়ির মেয়েরা বলছে খাবারগুলো ফেলিস না, সকালে সদগোপদের বাড়ির মেয়েদের দিয়ে দিস। ট্র্যাডিশনাল হিন্দু মতে ছোট জাত। গোটা গ্রামটাই সদগোপদের হওয়ায় জাতপাতের ভেদ আম্বেদকরের মত হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি এমন নয়। তবে কিছুটা দেখেছি। বাগদী দুলে মুচি মাহাত পরামানিকরা পাশে থেকেও যে আমাদের চেয়ে নিচু জাতের এমন একটা ধারণা অবচেতনেই তৈরি হয়েছিল দেখে দেখে। কেননা ওরা উঠোন থেকে দুয়ারে ওঠে না, ঘর তো দুরস্থান। কাজ করার সময় ঢুকতে পারে ঘর মুছতে। বাসন মাজতে পারে। কিন্তু একাসনে খেতে পারে না। ওদের থালায় বা হাতে কোন জিনিস একটু উঁচু থেকে ছেড়ে দিতে হয়। খেঁদি বাগদীর বাড়ি আমাদের বাড়ির দশ হাত দূরে। সে ভিক্ষা করেই দিন কাটাত। মাঝে মাঝে দুপুরে খেয়েও যেত বাড়িতে। বয়স হয়েছিল। জল নিতে এলে মা কল পাম্প করে দিত। তখন আমাদের বাড়ির কাজের লোক বলতে ছিল জয়ন্তীদি। একদিন মা ঠাকুরঘরে ব্যস্ত, খেঁদিপিসি এল জল নিতে। তখন জয়ন্তীদি কল পাম্প করে দিতে গেলে সে বলল ‘আমি জল নেব না দুলের হাতে।’ কেননা দুলেরা নাকি বাগদিদের চেয়েও ছোট জাত। আমাকেই সেদিন কল পাম্প করে দিতে হয়েছিল। অনেক ছোটবেলায়, টু থ্রিতে পড়ি, একদিন ঘোষেদের বাড়ি নিমন্ত্রণ খেতে গেছি। একটা সারিতে বসেছি বন্ধুরা। টেনে তোলা হল আমাদের কয়েকজনকে। বাগদী সাঁওতালদের ছেলেরাই তখন আমার সহপাঠী। বামুন, সঞ্জয়, নিতাই, টিপু। ঐ সারিতে নাকি ব্রাহ্মণরা বসেছে কয়েকজন। বাচ্চা ছিলুম। বুঝিনি। দিব্বি অন্য সারিতে সবাইমিলে খেয়ে চলে এসেছি। বাবার ছোটবেলায় নিয়ম ছিল ভোজ বাড়িতে ব্রাহ্মণে রান্না করবে, ব্রাহ্মণে পরিবেশন করবে। ব্রাহ্মণরা খেতে বসে অনুমতি দিলে অন্যরা বসতে পেত। অনুমতি নিতে হত গ্রামের মোড়লের কাছ থেকে। এখন শুধু প্রথাটা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ে টিকে আছে। এক টেবিলে বসে বামুন বাগদী খাওয়াটা পরিচিত দৃশ্য। কেউ কাউকে উঠিয়ে দেয় না। তবে অনেকে লোক দেখেই বসে। মানে জাত দেখে। স্কুলে অঙ্গনয়ারিতে খাবে খাবে না করে অধিকাংশই খাচ্ছে। সময় অনেক বদলে গ্রামের পাশে রিলায়েন্সের ফোর জী টাওয়ার বসেছে মানে এই নয় যে আত্মীয় কুটুম্ব পাতাতে শুরু করেছে বামুনে বাগদীতে। তিন দশক আগে সদগোপ ও ব্রাহ্মণ পরিবারের এমন একটি প্রণয় ঘটিত বিয়ের পর গ্রাম ষোলোআনায় মিটিং ডেকে ভট্টাচার্য মশাইকে অনুরোধ করা হয়েছিল জামাইকে স্বীকার করে নিতে। সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। জাতের নামে আমরা আলাদা ছিলাম, আলাদাই আছি। সৎ শূদ্রদের মধ্যে কুমার, রায় প্রমুখরা সবচেয়ে উঁচু। কুলিন শূদ্র । এর পরে মিত্তির ঘোষ বোস। শিক্ষিত শূদ্র। কলমে কায়স্ত চিনি/ গোঁফেতে রাজপুত- প্রবাদ ছিল না! তাদের অনেকের পরে আমরা সদগোপরা। তারও পরে ‘সানা পানা রাণা/তিন থাকতে মানা।’ তারও পরে নাকি বাগদী দুলে ডোম মুচি মেথর ইত্যাদি ইত্যাদি। বামুনদের মধ্যেও ভেদ দেখেছি। পূজারী ব্রাহ্মণরা নাকি নিম্ন শ্রেণীর। অগ্রদানী ব্রাহ্মণরা আরও নিচু। পিণ্ড ভক্ষণ করে কিনা তারা। আরও ভেদ দেখতে চাইলে পাত্র পাত্রীর বিজ্ঞাপন দেখুন আনন্দবাজারে। অনেককাল আগে একবার এই বিষয়ে এক তর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলুম চতুর্বর্ণ বিভাজন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার ব্যাপারে হিন্দু হিসেবে গর্বিতরা ঠিক কি ভাবছে!! কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছিলেন বিপক্ষের বন্ধু। এই প্রশ্ন আমার আজও। কোটি কোটি হিন্দু যারা প্রতিদিন জানে যে তারা ছোট জাত, তারা কেমন করে গর্বের সাথে বলবে তারা হিন্দু? সামাজিক ভেদ দূর না করে হিন্দু হিসেবে গর্ব বোধ করা এক ধরণের মুর্খামি। একজন ব্রাহ্মণ বলতেই পারেন তিনি হিন্দু হিসেবে গর্বিত। কারণ এই ব্যবস্থায় তিনিই সবচেয়ে বেশী উপকৃত। আমি বলতে পারি না। কারণ আমি এই ব্যবস্থার শিকার।
    লাইকআরও প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করুনমন্তব্য করুন
  • | 37.63.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:১০642514
  • এটা সুব্রত ঘোষ নাএ একজনের লেখা।
  • pi | 57.29.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১৭ ২০:২১642515
  • হ্যাঁ, সুব্রত ঘোষ।
  • নামে কী আসে যায় | 95.248.***.*** | ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৭:৩৫642517
  • name: sm mail: country:

    IP Address : 52.110.195.68 (*) Date:04 Jan 2018 -- 05:05 PM

    ডিসি, ব্রাহ্মন র কি সত্যিই আধিপত্য করেছে?সেই রামায়ণ এর কাল থেকে ব্রাহ্মনরা মূলতঃ ভিক্ষুক বা অরণ্য চারী। এমন কি নগরেও স্থান নেই।
    লিপিবদ্ধ ইতিহাস পড়লে জানা যাবে সমাজে ক্ষমতা ছিলো রাজার হতে। পয়সা ছিলো বণিক শ্রেণীর হাতে।
    ধরুন গিয়ে, চানক্য। এতো বুদ্ধিমান ব্যক্তি। যিনি এত বড় সাম্রাজ্য পেতে চন্দ্র গুপ্ত কে সাহায্য করলেন, বই লিখলেন। কিন্তু বিরাট প্রাসাদে, ভোগবিলাসে থাকতেন কি?
    তারাশঙ্কর, শরৎ চন্দ্র পড়ুন ক্ষমতা, টাকা সব কিছু জমিদারের ও ব্যবসাদার দের হতে। ব্রাহ্মণ দের হাতে কুট কাচালি ছাড়া কি ক্ষমতা আছে?
    জমিদার গিন্নি নিজের বাড়ী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণ ভোজন করালে আলাদা পংক্তি হতো বটে। কিন্তু খেতে আসতো কিছু বুভুক্ষু ব্রাহ্মণ। অর্থনৈতিক দিক থেকে ব্রাহ্মণ সমাজ কোনোদিন ই পোক্ত ছিলনা। কিন্তু ট্যাগ টা তো রয়েই গেল।
    মাঝখান থেকে অত্যাচারী সামন্ত্,রাজা, ব্যবসাদাররা বাদ পড়ে গেলো। বিচার টা কি ঠিক হলো স্যার!

    name: de mail: country:

    IP Address : 24.139.119.171 (*) Date:04 Jan 2018 -- 04:55 PM

    সেদিনকে ইমাজিকা যেতে হোলো মেয়ের আবদারে - সেখানে খানিক ডাইনোসর দেখিয়ে ঝুপ করে জলে ফেলে দিলো, কাপ-প্লেটে ঘোরালো আরো পোচ্চুর এটা ওটা সেটা রাইড। তার মধ্যে ডেডলি রাইড যেমন, নাইট্রো, রোলার কোস্টার আর আরো কত সবে ভয় পেয়েই উঠলাম না। এর মধ্যে একটা রাইডের নাম আই ফর ইন্ডিয়া - সেটায় গ্রাউন্ড লেভেল থেকে একটু উঁচুতে তুলে কার্ভড স্ক্রীনে গোটা ইন্ডিয়া দেখাবে, এমনই দাবী। তো, শুরুতে বলা হোলো, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আর পূর্ব থেকে পশ্চিম হেলিকপ্টারে করে যাচ্ছি মনে হবে। বেশ ভালোই লাগছিলো দেখতে, উত্তরে হিমালয়, লে, লাদাখ, কাশ্মীর, কেদারনাথ-বদ্রীনাথ গোমুখ গঙ্গোত্রী এই সব দেখিয়ে ধীরে ধীরে নীচে নামলো, সব স্টেট - তাদের সমস্ত ফেস্টিভ্যাল - সব ধর্মের - দেখানো হোলো। আমি ওয়েট করে বসে আছি - বাংলার দূর্গোৎসব আর উত্তর-পূর্ব ভারত দেখবো বলে। সে ব্যাটা ঝাড়খন্ড অব্দি দেখিয়ে থেমে গেলো। পূর্ব ভারত পুউরো বাদ। ইদিকে ইমাজিকার ৯০% এমপ্লয়ি নর্থ ইস্টের লোক। তো দেখে বেরিয়ে খুঁজে পেতে পোতিবাদ রেজিস্টার করার জায়গায় গেলাম। পূর্ব ভারত বাদ দিয়ে ইন্ডিয়া ক্যামনে হয়। তাতে ম্যানেজার কনফিউজড হয়ে গিয়ে বল্লো আপনি অনলাইনে ফিডব্যাক দিন। তাই দিলাম। সারা ভারতের কাছে পূর্ব ভারতের গুরুত্ব এতো কম কেন তা কে জানে!

    name: amit mail: country:

    IP Address : 149.218.43.48 (*) Date:04 Jan 2018 -- 04:47 PM

    এই কয়েকশো বছরের মুসলিম আর ব্রিটিশ ইনভেশন ওভারঅল ভারতীয় সমাজে একটা মেজর আশীর্বাদ। নাহলে এই ঘৃণ্য হিন্দু জাতিভেদ প্রথা আর কুসংস্কার যে কোন লেভেলে পৌঁছতো, চিন্তা করতেও ভয় হয়। যদিও আবার হাজার বছর পেছনে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বীর বিক্রমে, পেছোতে পেছোতে একেবারে গাছে না উঠে পড়ে।

    name: T mail: country:

    IP Address : 165.69.191.250 (*) Date:04 Jan 2018 -- 04:45 PM

    আড়াই হাজার বছর পর জেগে উঠে এই নাটকের কি মানে! এরপর ফুলকপি দেখে বলবে, ওমা, এটা তো সেই কিষ্কিন্ধ্যায় দেখেছিলাম। এখনো পাওয়া যায়!

    name: সিকি mail: country:

    IP Address : 158.168.40.123 (*) Date:04 Jan 2018 -- 04:43 PM

    এসেম যা শোনেন তা বোঝেন না, যা বোঝেন তা লেখেন না।

    ঠিক এই কারণেই আপনার সঙ্গে এনগেজড না হয়ে শুধুই খিল্লি করি।

    name: sm mail: country:

    IP Address : 52.110.195.68 (*) Date:04 Jan 2018 -- 04:40 PM

    খিক খিক। কিছু রেগে যায় তো! যতো রেগে যায় ততো ভুলভাল বকে!পুরো কাট পিস!কিসব মেথর, দশ টাকা এনে ফেলল!
    এর পর ইউরিয়া, ফুলকপির চাষ ও জলদি এসে পড়বে,
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন