এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইন্দ্রনীল চৌধুরী ও মইদুল ইসলাম এর লেখা শ্রীযুক্ত গৌতম দেবকে একটি খোলা চিঠি

    তপোজ্যোতি সরকার
    অন্যান্য | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ | ৬৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তপোজ্যোতি সরকার | 208.244.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০১৩ ২৩:৩১621057
  • প্রিয় গৌতমবাবু,

    গণশক্তি পত্রিকাতে আজ (১৬-১০-২০১৩ তারিখে) প্রকাশিত আপনার লেখাটি আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। আপনি নাম না করে শ্রী অশোক মিত্রের মত একজন প্রবীন মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, বাম আন্দোলনের দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং প্রথম বামফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় জ্যোতি বসুর সাথে শপথগ্রহণকারী সদস্যকে যে ভাবে আক্রমণ করেছেন, তার নিন্দা করার ভাষা নেই।

    দেশহিতৈষী পত্রিকার শারদ সংখ্যায় অশোক মিত্রর যে প্রবন্ধটির আপনি নাম না করে সমালোচনা করেছেন (যে ইতিহাস হারিয়ে গেছে, দেশহিতৈষী শারদ সংখ্যা, পৃঃ ২৫), সেটা আমরাও পড়েছি। আপনারই পার্টির পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের লেখককে নাম না করে 'পন্ডিত শিরোমনি', 'বিদ্দ্বজনের জ্ঞানাঞ্জলি' বলে বিদ্রুপ করা আপনার সংকীর্ণ মানসিকতারই পরিচয় দেয়। তারপর আপনি আরো লিখেছেন যে ওনার মতন বামপন্থী বুদ্ধিজীবিদের সমলোচনার সাথে মমতা ব্যানার্জির সিপিআইএম-এর বিরুদ্ধে 'চার্জশিট' প্রায় 'হবহু এক'। অর্থাৎ সিপিআইএম-এর কোন সমালোচনা করা মানেই তৃনমূল কংগ্রেস হয়ে যাওয়া!

    সমালোচনা/বিতর্ক এবং খেউড়ের মধ্যে যে মোটা দাগের তফাত থাকে, সেটা আপনার বোঝা উচিত। কমিউনিস্ট ইস্তেহার আমাদের শিখিয়েছে যে কমিউনিস্টরা তাঁদের মতামত ও লক্ষ্য গোপন করতে ঘৃণা বোধ করেন (The Communists disdain to conceal their views and aims)। আপনার লেখাটিতে সেই কমিউনিস্টসুলভ মনোভাবের কোনো ছাপ নেই। তির্যক ভাবে ব্যক্তি আক্রমন করাই লেখার উদ্দেশ্য বলে মনে হয়।

    অশোক মিত্র বামপন্থীদেরকে ‘গোড়া থেকে শুরু’ করার যে পরামর্শ দিয়েছেন তাতে আপনি বিস্তর খেপেছেন। কিন্তু আপনার জানা উচিত ছিল যে গোড়া থেকে শুরু করার তত্ত্বের আবিষ্কারক শ্রী মিত্র নন। সান্ধ্যকালীন টিভির আড্ডায় যোগ দেওয়ার মাঝে যদি সময় পান, তবে একটু লেনিন পড়তে বললে নিশ্চয় রাগ করবেন না। লেনিনের কথায়, “Communists who have no illusions, who do not give way to despondency, and who preserve their strength and flexibility ‘to begin from the beginning’ over and over again in approaching an extremely difficult task, are not doomed (and in all probability will not perish).” (Notes of a Publicist, VI Lenin, Collected Works, Volume 33)। অর্থাৎ, লেনিন বলতে চেয়েছেন যে গোড়ার থেকে শুরু করা কমিউনিস্টদের একটি বৈশিষ্ট শুধু নয়, এই কাজ যারা করতে পারবেন তাঁদের ধ্বংস করা যাবেনা। কিন্তু আপনি এই কথায় রেগে যাচ্ছেন!

    আপনি আরো রেগেছেন কারণ অশোক মিত্র তাঁর লেখায় বলেছেন যে বামপন্থীরা 'কয়েক মুহূর্ত বাদেই' আবার রাজনৈতিক গুরুত্বের অতীতের শিখর ছুঁতে পারবেন এটি ‘দিবাস্বপ্ন’; এই কাজটি করতে হলে বামপন্থীদের আরো অনেক ধৈর্যের সাথে ‘নিজেকে পুরোপুরি বিলিয়ে দেবার অঙ্গীকার করে নতুন অধ্যায় সূচনা করতে হবে’।

    আপনার মতে বামপন্থীরা আবার ‘ঘুরে দাঁড়াবে’ এটি দিবাস্বপ্ন বলা শ্রী মিত্রের অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে। জানিনা আপনি পার্টির সম্পাদক বিমান বসুর দেশহিতৈষীর প্রবন্ধটি পড়েছেন কিনা (যে কাজে এখন গুরুত্ব দিতে হবে, বিমান বসু, পৃঃ ১৩)? এই প্রবন্ধে বিমানবাবু লিখছেন, “কর্মীবাহিনীকে বোঝাতে হবে এই ধরনের পরিস্থিতির পরিবর্তনের কোনো ‘শর্টকাট’ পদ্ধতি নেই। পরিস্থিতির পরিবর্তন কিছু আত্ম-উৎসর্গকারী কমিউনিস্ট বা বামপন্থী কর্মী তাঁদের উদ্যোগে জনগণকে বাদ দিয়ে করে ফেলতে পারে না।…এ কথা অবশ্যই বলা যায় যে, জনগণ তাদের নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতায় ধীরে ধীরে আমাদের পার্টি ও বামফ্রন্টের আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করবেন”।

    উপরের এই উদ্ধৃতি থেকে একথা স্পষ্ট যে পার্টির সম্পাদক মনে করেন যে বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন করার কোন ‘শর্টকাট’ নেই এবং মানুষ ‘ধীরে ধীরে’ তাঁর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে বামপন্থীদের আন্দোলনে শামিল হবেন। পার্টির সম্পাদকের লেখায় যেখানে অশোক মিত্রের বক্তব্যের অনুরণন পাচ্ছি, সেখানে গণশক্তিতে আপনি কদর্য ভাষায়, কাকে আক্রমণ করলেন? অশোক মিত্রকে, না কি পার্টির সম্পাদককে?

    আপনার মতন কিছু নেতারা ২০০৮ সাল থেকে বামপন্থীদের ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র গল্প মানুষকে শুনিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৮’এর পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে আমরা শুনলাম যে ২০০৯’এর লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা ঘুরে দাঁড়াবে, তাও যখন হল না, তখন শুনলাম ২০১০’এর পৌরসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াবে, তাও যখন হল না তখন শুনতে পেলাম যে ২০১১’এর বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াবে, তাও যখন হল না তখন শুনলাম ২০১৩’এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াবে, তাও যখন হল না তখন শুনতে পাচ্ছি যে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা ঘুরে দাঁড়াবে। মার্কস একবার বলেছিলেন যে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি প্রহসনে পর্যবসিত হয়। আপনার এই ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র তত্ত্বের ইতিহাস মার্কসকে আবার সঠিক বলে প্রমানিত করছে। এক পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে আরেক পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে আবার আরেক লোকসভা নির্বাচন আসন্ন, কিন্তু আপনার সেই একই শেয়ালের কুমীর ছানা দেখানোর মত ঘুরে দাঁড়ানোর গল্পের কোন পরিবর্তন নাই। এতে আমরা খুবই বিচলিত।

    তৃণমূলের মত একটি অগণতান্ত্রিক ও প্রতিক্রিয়াশীল দল পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে রাজত্ব করছে এবং মানুষের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে এতেও আমরা অত্যন্ত চিন্তিত। কিন্তু কেন এমন হল তার সঠিক পর্যালোচনা কি আপনারা করতে পেরেছেন? আপনারা বারবার বলছেন যে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার ফলে অনেক বেনোজল পার্টিতে ঢুকেছে, পার্টির সাংগঠনিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ত্রুটির ফলে পরাজয় ঘটেছে। কিন্তু আসল কথাটা কখনো বলছেন না। পার্টির বামফ্রন্ট সরকার পরিচালনায় সঠিক শ্রেণি দৃষ্টিভঙ্গির অভাব ঘটেছিল, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে জোর করে জমি নিতে যাওয়া মারাত্মক ভুল ছিল, জনমুখী নীতি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের প্রবল দুর্বলতা ছিল। আপনার মতন কিছু বিভ্রান্ত নেতাদের শিল্পায়নের নামে বড় পুঁজিপতিদের স্বার্থে উদ্বাহু নৃত্য মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন, ছুঁড়ে ফেলেছেন। তাই সেই মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক বিচ্যুতির কথা না বলে শুধুমাত্র নিচের তলার কর্মীদের সংশোধনের কথা বলা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়। আপনি কি আমাদের জানাবেন যে ১৯৯৬ সাল থেকে যেই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া চলছে, তার ফলাফল ২০১৩ অবধি কিছু হয়নি কেন?

    আজকে আপনি অন্যদের কেন্দ্রীয় কমিটির লাইন শেখাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কি করে ভুলি যে আপনি স্বয়ং স্টার আনন্দের পর্দায় বলেছিলেন যে বিজয়ওয়াড়ায় সিপিআইএম-এর বর্ধিত কেন্দ্রীয় কমিটির জমি-অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আপনি মানেন না। কি করে ভুলি যে আপনি সঞ্জয় ডালমিয়ার মত একজন ঠগ ব্যবসায়ীকে নিজ উদ্যোগে নিয়ে এসে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে মিটিং করেন সমাজবাদী পার্টির সাথে সমঝোতা করার লক্ষ্যে। পরে সমাজবাদী পার্টি জানায় যে এই সঞ্জয় ডালমিয়া তাঁদের পার্টির কেউ নন! এই বোকা বোকা কাজটি করার জন্য কি গণশক্তি বা পার্টির মঞ্চ থেকে আপনার মুখে কোনরকম ভুল স্বীকার করতে শোনা গেছে?

    সব শেষে একটি কথা না বলে পারা যাচ্ছে না। বাঙালীদের মধ্যে উৎসব-পার্বনের সময়ে বয়োজ্যেষ্ঠ, গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানানোর প্রথা আছে। কিন্তু আপনি আজকে ছাপা অক্ষরে একজন সর্বজনশ্রদ্ধেও, প্রবীন বাম্পন্থী সম্মন্ধে যেরকম অপমানজনক ভাষা প্রয়োগ করলেন তা দেখে মনে হচ্ছে যে আপনারা যেই তিমিরে ছিলেন, সেই তিমিরেই রয়ে গেছেন। এই আপনারাই যখন আবার শুদ্ধিকরণের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানো’র কথা বলেন বা নিচু তলার কর্মীদের বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন তখন বিচারের বাণী আর নীরবে নিভৃতে কাঁদে না, তারস্বরে আর্তনাদ করে।

    ইতি,
    ইন্দ্রনীল চৌধুরী ও মইদুল ইসলাম
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন