এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • স্নোডেন - হুইসিল ব্লোয়ার না রাজদ্রোহি?

    সে
    নাটক | ১২ জুলাই ২০১৩ | ৭০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 203.108.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৬:২১618067
  • স্নোডেন নিয়ে আজ অবধি টুঁ শব্দটি দেখিনি গুরুর পাতায়। ভয়ের কিছু আছে কি?
  • সে | 203.108.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৬:২৩618078
  • http://www.bbc.co.uk/news/world-europe-23283684
    এখন মানবাধিকার কোম্পানীগুলো কি বলে দেখা যাক।
  • কৃশানু | 177.124.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৬:২৪618088
  • আগামী-র অবয়ব এ ছিল না কিছু? এ ছাড়া সৈকত-দার আবাপ-র আর্টিকল-এর ও তো লিং দেওয়া হয়েছিল।
    আর গুরু তো আমাদের নিয়েই। আমরা কম লিখেছি, তাই লেখা দ্যাখেননি।
  • সে | 203.108.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৬:৫৩618089
  • সেই লিঙ্কগুলো এখানে তুলে দেবেন কেউ?
  • | 24.97.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৬:৫৯618091
  • হ্যাঁ দেখুন না ভয়ের চোটে ঈশান গিয়ে আবাপতে প্রবন্ধ লিখেছে।
    http://www.anandabazar.com/archive/1130703/3edit3.html

    আর ভয়ের চোটেই দ্রি'ও কিসব বলে চলেছেন অন্য টইতে।
    তা আপনার মত ভীতিশূন্য মানুষ পেয়েছি যখন, আপনি কিছু বলুন। টই খুলে এমন খালি ফেলে রাখবেন না মাইরি।
  • সে | 203.108.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৮:১৯618092
  • গায়ে পড়ে ঝগড়া করবেন্না প্লীজ ;-)
  • সে | 203.108.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৮:২০618093
  • আনন্দবাজারের লিঙ্কের জন্যে ধন্যবাদ।
  • সে | 203.108.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৮:২৭618094
  • "ভীতিশূন্য মানুষ" বলবেন্না। গুরুচণ্ডালীতে কিছু লিখতে গেলে বেশ ভয়ে ভয়েই লিখতে হয়। আপনারা কয়েকজন আছেন তেনাদের "পছন্দের" মানুষ হতে হয়, নইলে ই তো খ্যাদানি নয়ত দলবেঁধে আক্রমন। টইয়ে একজন লিখবেন, আপনারা ভাটিয়ালীতে তাকে ধুয়ে দেবেন তারপরে এক এক করে এসে টইয়ে তার পেছনে লাগবেন।
    গতকাল ঠিক এইরকম জিনিস শুরু হয়েছিলো আমার লেখা একটি মন্তব্যকে নিয়ে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ভাটিয়ালিতে গিয়ে প্রতিবাদ করে এসেছিলাম।
    এ জিনিস কেন করছেন? কী লাভ এতে?
    এটা তবে খোলা পাতা রাখবেন না। ক্লোজড গ্রুপ করে দিন। আপনাদের মতো কয়েকজনের তর্জন গর্জন শুনতে হবে কেন?
  • siki | 132.177.***.*** | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৮:৩৯618068
  • "ভয়ের কিছু আছে কি?" না। ভয়ের কিছু নেই। টুঁ শব্দটি দেখেন নি কারণ আপনি টুঁ শব্দটি করেন নি। :)

    দেখুন, গুরুর পাতায় পাঠক লেখক কোনও ভাগাভাগি তো নেই। আমরাই লেখক, আমরাই পাঠক। তাই লেখা কেন নেই, এ প্রশ্নের একটাই উত্তর হয়, আপনি লেখেন নি বলে, বা আমি লিখি নি বলে। এখানে কেউ সেইভাবে লেখা ডিম্যান্ড করতে পারেন না, প্রত্যেকেই কোনও বিষয়ে লেখা না দেখতে পেলে সেই বিষয়ে নিজেই লিখতে পারেন। আর কোনও বিষয়ে আগেই লেখা হয়ে গেলে আমরা পুরনোরা কেবল সেই আগের লেখার লিংকটা তুলে এনে দিই। তারপর আলোচনা সেখানেই চলে।

    কোনও গ্রুপবাজি নেই। ভুল বুঝবেন না।

    হ্যাভিং সেইড দ্যাট, দ-এর ব্যঙ্গ ঠিক দরকারি ছিল না এখানে। ভুল বোঝবার যথেষ্ট অবকাশ ছিল, এবং সেটাই ঘটেছে।
  • ranjan roy | 24.96.***.*** | ১৩ জুলাই ২০১৩ ০০:২৬618069
  • সে,
    এই ব্যাপারে অন্য টইয়ে আমার কিছু বক্তব্য/প্রশ্নর উত্তরে বিবি কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন। কথাগুলো ভাবার। আমি একমত না হতে পারি। একটা স্বতন্ত্র পোবন্ধো নামাব ভাবছিলাম-- বুলবুল্ভাজার জন্যে। নানান ব্যক্তিগত ঝামেলা ও ল্যাদের জন্যে হয়ে ওঠে নি।এমন সময় ঈশান তোমার বিষাণ উঠিল বাজিয়া।
    আবাপ'র লেখাটার ঋণ স্বীকার করে কিছু লিখবো ভাবছিলাম। যাকগে, চাপ নেবেন না। এখানে কাউকে খ্যাদানো হয় না। কোন বক্তব্যের সমর্থনে ( যে কোন দিকেই) সমমনস্ক লোকেরা এককাট্টা হয়ে বক্তব্য রাখবেন-এটাই তো স্বাভাবিক। একে গ্যাং-আপ করছে ভাবলে মুশকিল। শুধু বিবেচ্য বক্তব্যের সমালোচনা এড়িয়ে গিয়ে ব্যক্তির সমালোচনা করা হচ্ছে কি না!
    বিবি'র বক্তব্য যেকোন অবস্থাতেই কাউকে অর্গানাইজেশনের নীতি বা কালচার বা কিছু প্র্যাকটিসের সমালোচনা সংস্থার ডিসিপ্লিন মেনে হায়ার-আপ কে করা উচিত। হায়রার্কিকে অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। পার্টি হোক বা কর্পোরেট/সরকারি অফিস হোক। বাইরে বা প্রেসে যাওয়া একেবারে উচিত নয়।

    আমার বক্তব্য হল আলটিমেটলি আমরা কার কাছে দায়বদ্ধ? নিজের বিবেকের কাছে।
    বিবির স্ট্যান্ড নর্মাল কেসে প্রযোজ্য, বিশেষ কেসে নয়।
    যদি কেউ অনুভব করে যে তার অফিসে/দলে/ অর্গানাইজেশনে নীতিগত ভাবে/ প্রাকটিসে এমন কিছু চলছে যা বৃহত্তর স্বার্থের পরিপন্থী, তাহলে সে কোথায় যাবে?
    কেন, নিজের বসের কাছে?
    যদি বস স্বয়ং ওই করাপশান চক্রের বা ষড়যন্ত্রের অংশ হন?
    আপীলিং অথরিটি/ বোর্ড অফ ডায়রেক্টর্স, পার্টির কন্ট্রোল কমিশন?

    যদি ব্যবস্থাটাই এমন হয় যে তাকে তার অভিযোগ তাদের হাত দিয়েই পাঠাতে হবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তারা সেটাকে চেপে দিচ্ছে বা বিকৃত ভাবে রাখছে তো?
    সমাধান হুইসল ব্লোয়ার।
    যেমন ব্যক্তির থেকে সংগঠন বড়, সংগঠনের থেকে দেশ বড়, জনগোষ্ঠী বড়। আবার বৃহত্তর স্বার্থে দেশের চেয়ে বিশ্বের জনগণের স্বার্থ বড়।
    সেই ভাবে হুইসল ব্লোয়ারকে নিজের কাছে স্পষ্ট থাকতে হবে সে কেন এই কাজটা করছে। নিজের স্বার্থে, না বৃহত্তর স্বার্থে?
    কারণ , power that be তাকে ছেড়ে দেবে না। এম্পায়ার সর্বশক্তি দিয়ে উইল স্ট্রাইক ব্যাক।
    অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তি(হুইসল ব্লোয়ার) হেরে যাবে, শহীদ হবে। কিন্তু আলটিমেটলি cause জিতবে, সেটাই তার সান্ত্বনা।
    উদাহরণ, বিহারের আই আই টি স্নাতক সত্যেন্দ্র দুবে, ( উনি সোনালী চতুর্ভূজের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েটে নালিশ করেছিলেন গোপনে), উদাহরণ বস্তারের মালিক-মকবুজা কান্ডের কালেক্টর নাইডু। উদাহরণ আমাদের দেশের তহলকা ডট কমের হাল। উদাহরণ উইলকিলিক্স, উদাহরণ স্নোডেন। উদাহরন ওয়াটারগেট কান্ডের সেই সাংবাদিক দ্বয়।উদাহরণ সেই সব কর্মচারীরা যাঁরা বৃহত্তর স্বার্থে চীন-ভারত সীমান্ত যুদ্ধ সম্পর্কিত হেন্ডার্সন-ব্রুক্স রিপোর্ট ঝুঁকি নিয়ে নেভিল ম্যাক্সোয়েলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
    উদাহরণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান কমুনিস্টরা , যাঁরা নিজের দেশে থেকে নিজের সরকারের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তিকে খবর যোগাচ্ছিলেন, হিটলারের সিস্টেমকে সাবোতাজ করছিলেন কেবল বিবেকের তাড়নায়।

    ক্ষমতা( পরিবারের কর্তা/ সংগঠনের নেতা/ অর্গানাইজেশনের সি ই ও/ দেশের সরকার/ পার্টির নেতৃত্ব) সবসময় এইসব হুইসল-ব্লোয়ারদের দেশের শত্রু/ পার্টির শত্রু/ সংগঠনের শত্রু/পরিবারের শত্রু বলে চিহ্ণিত করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতা অনুজায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।
    উদাহরণ , দ্রেইফুস মামলায় এমিল জোলা, প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে বার্ট্রান্ড রাসেল, বলশেভিক পার্টিতে ট্রটস্কি। আমেরিকার রোজেনবার্গ দম্পতি।
    কোলকাতার সুটিয়া কান্ডের প্রতিবাদী বরুণ বিশ্বাস।দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দূর অধ্যাপক গিলানী।
    এদের ব্যক্তিগত চরিত্রহনন থেকে শুরু করে ফিজিক্যাল অ্যানিহিলেশন সবই সম্ভব।
    তবু এরা কেন করে?
    না করেই পারে না বলে।

    "মৃত্যুর গর্জন
    শুনেছে সে সংগীতের মত
    দহিয়াছে শূল তারে,
    বিদ্ধ তারে করেছে কুঠারে"।

    এখন কথা হচ্ছে যে হুইসল ব্লোয়ার যে ঠিক কাজ করছে তার কি গ্যারান্টি আছে? সবাইয্জদি নিজের নিজের বিবেকের মত করে চলতে ত্ড়াকে তো অর্গানাইজেশন/ সমাজব্যব্স্থা/ দেশ যে লাটে উঠবে!

    না কোন গ্যারান্টি নেই। শুধু পস্টারিটি প্রামাণ করবে কে ঠিক, কে ভুল।
    কিন্তু ওই যে, এই রাস্তায় পা ফেললে কোন পুরষ্কার নেই, শাস্তির সম্ভাবনা ষোল আনা, এমতাবস্থায় কোন সুস্থ মানুষ নিজের মত করে একশ' ভাগ নিশ্চিত ( যে ঘোর অন্যায় হচ্ছে) না হয়ে হুইসল -ব্লোয়ার হয় না।
    আর মেজরিটির স্বার্থে ডিসিপ্লিন মেনে চল মুখে বুজে এটা খপ-পঞ্চায়েতের যুক্তি। আলটিমেটলি যে কোন সামাজিক/ রাষ্ট্রীয় ইউনিট মনুষের বৃহত্তর স্বার্থের অধীন ও দায়বদ্ধ, কেউ স্বয়ম্ভূ নয়।
  • সে | 203.108.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১২:৩৪618070
  • রঞ্জনদা,
    বটম লাইন তাহলে এই যে হুইসিল ব্লোয়ারকেই সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়।
    তারই উদাহরণ আসাঞ্জ, স্নোডেন, ইঃ।
    ছোটো ছোটো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিছু হুইসিল ব্লোয়ার দেখেছি। তাদের নিয়ে বলবার ইচ্ছে আছে।
  • souvik | 132.169.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২২:৪৭618072
  • সবাই নিশ্চয় দেখেছেন।না হলে দেখে নিন।whistle blower র জন্য।

    The Insider (1999)
    157 min - Biography | Drama | Thriller - 5 November 1999 (USA)

    A research chemist comes under personal and professional attack when he decides to appear in a "60 Minutes" expose on Big Tobacco.
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ১৬ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৮618073
  • ধন্যবাদ, সৌভিক!

    সে,
    লিখুন, অপেক্ষায় আছি।
    আমার হুইসল ব্লোয়ার হওয়ার সাহস নেই। তাই হয়তো এদের জন্যে অন্যরকম আকর্ষণ বোধ করি।
  • সে | 203.108.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৩ ১৩:২৩618075
  • স্নোডেন আপাতত রাশিয়ায় টেম্পোরারি অ্যাসাইলামের আবেদন করেছেন। আবেদন মঞ্জুর হলে এক বছর থাকতে পারবেন রাশিয়ায়। স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবেন।
    কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে নিরাপত্তার। শেরেমিএতোভো এয়ারপোর্টের ট্র্যান্জিট থেকে বেরিয়ে আসবার পরে স্নোডেনের জীবন কি নিরাপদ থাকবে? মার্কিন গুপ্তচর দুনিয়ার সবদেশেই আছে। সেক্ষেত্রে স্নোডেনের প্রাণনাশের সম্ভবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পরবর্তীকালে যদি ল্যাটিন অ্যামেরিকার কোনো দেশে নিরাপদে পৌঁছতে পারেনও তখনও ঐ একই ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।
  • সে | 203.108.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৩ ১৪:৪৭618076
  • এক সাধারণ হুইসিল ব্লোয়ারের (হু-ব্লো) কথা লিখি।
    সে একটা বড়োসড়ো ফাইনান্স কোম্পানীর সফটওয়ার সিকিওরিটিতে কাজ করত। এইজন্যে ইন্টারনাল ও এক্স্টার্নাল অডিটের সময় তার কাজের চাপ বেড়ে যেত।
    যে ফাইনান্স কোম্পানীর কথা লিখছি তারা দুনিয়ার অন্যতম বড়ো সংস্থা ফলে তাদের আইটি ডিপার্টমেন্টের সিকিওরিটিও তেমনি কড়া।
    প্রথম কয়েক বছর হু-ব্লো খুব মন দিয়ে কাজ করছিলো সমস্ত নথিপত্র গুছিয়ে যত্ন করে রেখে দিত। আইটিতে সবসময়ই কোনো না কোনো প্রোজেক্ট চলত। পুরোনো হার্ডওয়্যার থেকে নতুন হার্ডওয়্যারে উত্তরন প্রোজেক্ট। সফ্টওয়ারের আপগ্রেড। নতুন অডিট সফ্টওয়ার আসছে। সবেতেই সিকিওরিটির ঘেরাটোপ ছিলো। কোম্পানীর ফাইনাশিয়্যাল ডেটাতে কিন্তু কোনোক্রমেই হু-ব্লোর কোনো অ্যাক্সেস ছিলো না। কিন্তু সবসময় সতর্ক থাকবার গুরু দায়িত্বেই সে সব কাগজ পত্র গুছিয়ে রাখত কোথাও যেন কিছু পড়ে না থাকে।
    একদিন তার রাত অবধি ডিউটি। নেট ওয়ার্কের সাময়িক বিকল একটা প্রিন্টার হঠাৎ চালু হয়ে যায় এবং তার ভেতর থেকে কিছু প্রিন্টেড কাগজ বাইরে বেরিয়ে আসে। পেপার জ্যামের জন্যে ভেতরে কাগজগুলো জমা হয়েছিলো।

    কাগজগুলো কার এবং কাকে দিতে হবে জানবার জন্যে হু-ব্লো সেগুলো পড়তে শুরু করে।
    তাতে জানা যায় তারই ডিপার্টমেন্টে নাকি এক বিরাট প্রোজেক্ট হয়ে চলেছে। গোটা দশ লোক তাতে কাজ করছে এবং তাদের একমাসের (ঘন্টা প্রতি রেট হিসেবে) খরচের হিসেব যা কিনা কোম্পানীর থেকে আদায় করা হবে। খরচের অঙ্কটা বিরাট। এও দেখা যাচ্ছে যে ঐ প্রোজেক্ট নাকি শুরু হয়েছে প্রায় মাস ছয়েক যাবদ এবং চলবে প্রায় তিন বছর। সে হিসেবে শুধু দশজন লোকের পেছনেই কয়েক মিলিয়ন খরচ হয়ে যাবে। অথচ এমন প্রোজেক্টের নাম পর্যন্ত সে শোনেনি। সবকটা প্রোজেক্ট মিটিংএই হু-ব্লো যায় কিন্তু এমন প্রোজেক্টের কোনো উল্লেখ হয় নি কোনো মিটিঙে।
    এই দশজন লোকের মধ্যে মাত্র একজনকে (মাইকেল) হু-ব্লো দেখেছে বাকি নজনকে দেখেনি নামও শোনেনি। তাদের ইউজার অ্যাকাউন্ট ও নেই। থাকলে সর্বপ্রথম হু-ব্লোর কাছেই এদের ডিটেল আসত।
    মাইকেলও কোম্পানীর কোনো পারমানেন্ট কর্মী নয় তার ইউজার অ্যাকাউন্ট অ্যাকটিভ নয়। মাঝে মাঝে আসে কনসাল্টিং করে চলে যায়।

    কাগজগুলো সঙ্গে নিয়ে হু-ব্লো যত্ন করে রেখে দিলো। মনের ভেতরে খটকা। দেড়পাতা তথ্য। কাগজ আটকে যাওয়াতে দুনম্বর পাতা পুরোপুরি ছাপা হয় নি। কি ভেবে সে কাগজগুলোর ফোটোকপিও করে রাখল।
    পরেরদিন অফিসে এসে প্রিন্টারের লগ দেখে কিছুই প্রায় উদ্ধার করতে পারল না কারন প্রচুর লোকে প্রিন্টাউট নিয়েছে ঐ প্রিন্টার থেকে এবং সবচেয়ে বেশি নিয়েছে হু-ব্লোর ডিরেক্ট বস। হু-ব্লোর ডিরেক্ট বসকে ঐ প্রিন্টারের সামনে ঘোরাঘুরিও করতে দেখা গেল প্রিন্টার ঠিক হয়ে গেছে দেখে তিনি বেশ খুশি হয়ে চলে গেলেন।
    এদিকে হুব্লোর মাথায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে। মাইকেল সপ্তায় একদুদিন আসে গল্প করে চলে যায়। সবার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করে ছোটো ছোটো গিফ্‌ট্‌ নিয়ে আসে চাবির রিং, পেন ড্রাইভ, লেসার পয়েন্টার।
    সপ্তাহ খানেক পরে হুব্লো জিজ্ঞাসা করে ফেলল মাইকেলকে - তোমাদের কি এখন কোনো প্রোজেক্ট চলছে?
    প্রশ্ন শুনে মাইকেল একটু হয়ত চমকাল অথবা চমকায় নি - হয়ত হুব্লোর দেখবার ভুল। তারপরে বলল কই এখন আর প্রোজেক্ট কই হাতে?
    হুব্লো তার এক সহকর্মী বন্ধুকে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলে এমন কোনো প্রোজেক্ট আদৌ চলছে কিনা বুঝতে চাইল। না। সেও জানেনা।
    এরপরে অদ্ভুত সমাপতন আবারো। ফের একমাসের মাথায় দুপুরের দিকে ঐ প্রিন্টারেই কিছু প্রিন্টাউট নিতে গিয়ে আবারো সেই গোপন প্রোজেক্টের খরচের হিসেবের পাতা বেরিয়ে এলো। এবার তিনপাতা। পরের প্রিন্টাউট হুব্লোর নিজের। এদিকে হুব্লোর ডিরেক্ট বস প্রিন্টারের দিকেই এগিয়ে আসছেন।
    হুব্লো কাগজগুলো হাতে নিয়ে অল্প চোখ বুলিয়ে বসের দিকে এগিয়ে দিতেই তিনি না দেখেই কাগজগুলো নিয়ে নিলেন।
    হুব্লো জিগ্যেস করল, এটা কোন প্রোজেক্ট ম্যাডাম? নতুন কিছু?
    বস কোনো উত্তর দিলেন না।
    বিকেলে বসের সঙ্গে করিডোরে মুখোমুখি হতেই হুব্লোকে ডেকে নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে বললেন, দ্যাখো এই প্রোজেক্ট নিয়ে বাইরের কারো সঙ্গে আলোচনা কোরো না। এখনো কিছুই শুরু হয় নি হলে তুমি ঠিকই জানবে।
    এরপরে শুরু হলো হুব্লোর ওপরে বাড়তি কাজের চাপ দেওয়া এবং অকারণে ভুল ধরা। পরে অবশ্য প্রমাণ হয়ে যেত যে ভুল সে করেনি। কিন্তু হেনস্থা যা হবার তা হতই।
    হুব্লো চেষ্টা করছিলো পাশের ডিপার্টমেন্টে ট্রান্সফার নেবার। সেখানে বস খুব শিক্ষিত। তিনি ডক্টরেট। অমায়িক মানুষ। তিনি হুব্লো কে নিজের গ্রুপে আনতে খুব আগ্রহী।
    হুব্লো একদিন কথার ফাঁকে ডক্টরকে ঐ সন্দেহজনক প্রোজেক্টের কথা জানায়, সেই দেড়পাতা প্রিন্ট আউটও দেখায়। ঐ সব দেখে ডক্টরের তো চক্ষু চড়কগাছ। পরিষ্কার একটা চুরি হয়ে চলেছে। ভুয়ো প্রোজেক্টের নাম করে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে কোম্পানী থেকে। বললেন তুমি অবিলম্বে এটা সি আই ও কে জানাও।
    হুব্লো পরের দিনই সি আই ও সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে দেখা করে কাগজটা দেখালো।
    সি আই ও হুব্লোকে ধন্যবাদ দিলেন এতবড়ো একটা ব্যাপার ধরে ফেলার জন্যে। তবে তিনি নিজে এটা ইনভেস্টিগেট করবেন বলে কথা দিলেন। এবং যতদিন না ইন্ভেস্টিগেশন শেষ হচ্ছে, হুব্লো যেন একদম চুপ থাকে।
    দুদিন পরে সকালে কফি খেতে গিয়ে হুব্লো জেনেছে যে কোম্পানীর সি আই ও র ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পুত্র মাইকেল। হঠাৎ তার বস তাকে ডাকল ঘরে। পাশে বসে রয়েছে এইচ আর। কোম্পানীতে কিছু রদবদল হচ্ছে। অরগ্যানাইজেশনাল চেঞ্জ। হুব্লোকে রাখা যাচ্ছে না, যদিও কোম্পানীর খুব ভালো কর্মী ছিলো সে। আইডি কার্ড কম্পিউটার সব এখনি দিয়ে দাও। আর আসতে হবে না। নোটিস পিরিয়ডের পুরো স্যালারি পাবে তুমি। রিলিজ লেটার বাই কুরিয়র আমরা পরে পাঠিয়ে দেবো।
    হুব্লো মামলা করবে কিনা ভেবেছিলো। কিন্তু সমস্ত প্রমাণ পড়ে রয়েছে তার ডেস্কে। বেরিয়ে আসবার সময় সে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পেরেছিলো তার নিজের ডায়েরি, টেবিলের ওপরে রাখা ফ্যামিলি ফোটো এবং টেবিলের নীচে পড়ে থাকা ছাতাটা।
  • de | 69.185.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৩ ১৫:৫৯618077
  • ক্ষী সাংঘাতিক!
  • সে | 203.108.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৩ ১৬:৩৭618079
  • এই ঘটনার পরে হুব্লো মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। সে বিশ্বাস করতে পারছিলো না যে কোম্পানীতে ক্রমাগত হুইসিল ব্লোয়িং এর অ্যাওয়ারনেস ট্রেনিং ম্যান্ডেটরি তারা কেন হুব্লো কে তাড়ালো? তবে কি সিইও কে জানালে ঠিক হতো?
    কিন্তু সে ভুল ভাঙলো আরো পরে।
    বেকার হুব্লো চাকরি খুঁজছে। তখন মন্দা র বাজার। তার ওপরে চাকরি চলে যাওয়া লোককে সবাই সন্দেহের চোখে দ্যাখে। নতুন কোনো চাকরির ইন্টারভিউতে গেলে আগের চাকরি কেন চলে গেছল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করে। খুব অপমানজনক প্রশ্ন মনে হয় সেগুলো হুব্লোর কাছে।
    তখন সে ঠিক করল আর এরকম চাকরি সে করবে না। প্রোফেশন পাল্টানো যাক। সে আবার নতুন করে পড়াশুনো শুরু করল। ছাত্র বনে গেল। এতে তার মনের ওপর চাপ কমে গেল। সময় ও কাটছিলো আগের চেয়ে ভালো এবং অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখছিলো।
    একদিন একটা ক্যাফে তে হঠাৎ দেখে ফেলল সেই ডক্টরকে। ডক্টর তাকে দেখেই পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু হুব্লো নাছোড়। খপ্‌ করে ধরে ফেলল। কুশল বিনিময় করে জিজ্ঞাসা করল অ্যাতো কিছু হল আপনি নিশ্চয় জেনেছিলেন কিন্তু সাহস নিয়ে এগিয়ে এলেন না কেন?
    ডক্টর গুছিয়ে উত্তর দিতে পারে নি।
    শুধু খাপছাড়া কিছু কথা যা বলেছিলো তা হচ্ছে তার ওপরেও চাপ এসেছিলো ওপর থেকে যে টুঁ শব্দটি করলে চাকরি থেকে বের করে দেবে। হুব্লোর নাহয় বয়স কম, কিন্তু এই ৫৫ বছর বয়সে ডক্টর নতুন করে কোনো চাকরি পাবে কি? সেই থেকে সবাই চুপ মেরে গেছে। সবাই মাথা নীচু করে কাজ করে যায়। মাইকেলের রমরমা এখনো চালু আছে।
    হুব্লো জিজ্ঞাসা করল তবে কি সিইও কে জানালে ঠিক হতো?
    ডক্টর মলিন হেসে বললেন অতো ওপরে না যাওয়াই ভালো সেখানে আরো কতো ঘোটালা চলছে কে জানে।
  • সে | 203.108.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৩ ১৭:২০618080
  • আরেকজন হুইসিল ব্লোয়ার গোহা।
    গোহা একটা রেস্টুরেন্টের শেফ ছিলো। গোহার মালিকের নাম রাকেশ। রাকেশের ব্যবসার হিসেবে গন্ডগোল। যেসব কাস্টমার ক্যাশে পেমেন্ট করে সেগুলো হিসেবের খাতায় ওঠে না। যেগুলো ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের পেমেন্ট সেগুলোই হিসেবের খাতায় ওঠে। যেদিন বড়ো এক গ্রুপ খেতে আসে মালিক বলে পাঠায় ড্রিংক্সের দামটা ক্যাশে দেবেন, ফুডের দাম ক্রেডিট কার্ডে নিচ্ছি। অথবা উল্টোটা। দুটো আলাদা বিল হয়। একটা সাদা একটা কালো। দল বড়ো থাকলে মদ বেশি খেলে নেশা হয় সকলের তখন শেষের দিকে অনেকে বিল নিয়ে খুব একটা মাথাও ঘামায় না।
    এইভাবে রাকেশ মাসের শেষে দেখায় যে তার রেস্টুরেন্টে লাভ হচ্ছে না। কিম্বা ক্ষতি হচ্ছে। কাগজে কলমে যাতগুলো এম্প্লয়ি দেখিয়েছে তারা সকলে এম্প্লয়ি নয়। যারা এম্প্লয়ি তাদেরকেও কম পয়সা দিয়ে কাগজে কলমে বেশি লিখিয়ে সই করিয়ে নেয়।
    সবকিছুর ওপরে রয়েছে মালিকের হম্বিতম্বি। একটু মেজাজ বিগড়ে থাকলেই সে রেগেমেগে ফুল হাফ কোয়ার্টার প্লেট ছুঁড়ে ফেলে ভাঙে। সবাই ভয়ে কাঁটা হয়ে যায়। তাড়িয়ে দেবে বলে শাসায়।
    গোহা মধ্যবয়সি লোক তার এসবে আঁতে ঘা লাগে। গ্রামে তার বউ ছেলে আছে। মেয়ে কলেজে পড়া শেষ করে টেকনিক্যাল ট্রানসলেটরের কাজ করছে মাল্টিন্যাশানাল ফার্মে। ধমক ধামক শুনে গোহা অপমানিত হয়।
    যেসব মাসে মালিক "লোকসান" দেখায় সেসব মাসের শেষে চেয়ে চেয়েও স্যালারি হাতে পায় না গোহা ও অন্যান্য রা। খুব পেড়াপিড়ি করলে হাতে এক হাজার ধরিয়ে দেয়। বলে বাকিটা পরে পাবে। অথচ এরা সকলে জানে মদের হিসেব ভুল ফুডের হিসেব ও ভুল।
    গোহা যেহেতু কিচেনের দায়িত্বে সে জানে কতপ্লেট চিকেন, কত কাবাব, তন্দুরি, মাটনের অর্ডার আসছে। কিন্তু ক্যাশে দুরকমের হিসেব সেগুলো যারা সার্ভিসে থাকে তারা ভালো করেই জানে। মোটের ওপর ৪০% সাদা ৬০% কালো এইভাবেই ব্যবসা চলছে।
    কিচেনেও সার্ভেলেন্স ক্যামেরা লাগিয়েছে মালিক পাছে এক টুকরো চিকেন ও চুরি না হয়।

    কোনো সেরকম প্রামান্য নথি ছিলো না গোহার কাছে। (একমাত্র হিসেব ছিলো তার রাতের বেলায় জঞ্জালের ড্রাম ও তাতে বিপুল পরিমান মুরগী ও মাটনের হাড়, মদের খালি বোতল) তবু সে একদিন ট্যাক্স অথরিটিকে ব্যাপারটা জানায়।
    ট্যাক্স অথরিটি তাকে উল্টো প্রশ্ন করে - এরকম নালিশ করছ কেন? এতে তোমার কি লাভ?
    গোহা বলে যে একজন সৎ মানুষ হিসেবে সে একটা কর্তব্য বোধ করেছে যে একজন অসৎ মানুষ ঠিকমতো হিসেব রাখছে না ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে সেটা জানিয়ে দেবার।
    মোটকথা ট্যাক্স অথরিটি গোহার ইনফর্মেশনে ভিত্তিতে রাকেশের আয়ের ব্যাপারে কোনো ইনভেস্টিগেশন করতে চায় নি। উল্টে গোহা কে ভয় খাইয়ে দেয় যে এরকম অ্যালিগেশন করা ঠিক নয়।
    গোহা বলেছিলো আপনারা অন্ততঃ একদিন সাদা পোশাকে কোনো ব্যক্তিকে রাকেশের রেস্টুরেন্টে পাঠিয়ে দিন খদ্দের হিসেবে তাহলেই দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে।
    কিন্তু ট্যাক্স অথরিটি গোহা কে আমল দেয় নি।
    এরপরে গোহা অন্য এক জায়গায় কাজ নিয়ে চলে যায়। রাকেশ পুরোনো নিয়মেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
  • Blank | 180.153.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৩ ১৮:৪০618081
  • বেশ চাপের ঘটনা, স্পেশালি দ্বিতীয়টা। বিল নগদে পে করুক বা কার্ডে - টিপস কি দেয় না লোকজন?
    টিপসের জন্য কি এমপ্লয়ীরা ট্যাক্স পে করে?
  • সে | 203.108.***.*** | ১৭ জুলাই ২০১৩ ১৯:০২618082
  • হুব্লো ২,৩,৪ - এরা তিনজন।
    এরা একসঙ্গে মিলে একটি দেশের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য জানায়। ইমিগ্রেশন আইনের একটা ফাঁক দিয়ে অসাধু উপায়ে কীভাবে ক্রমাগত অপব্যবহার চলছে।
    হুব্লো ২,৩,৪ এর তথ্য ইমিগ্রশন ডিপার্টমেন্ট নথিভুক্ত করে রেখেছিলো কিন্তু সমূহ সুরাহা তখনো হয় নি। বেশ কয়েক বছর পরে সেই নথি আবার খুলে দেখা হলো। এবার সুরাহার বন্দোবস্ত শুরু হলো ডিএনে টেস্টিং দিয়ে।
    হুব্লো ২,৩,৪ কে আলাদা করে পুরষ্কৃত করা হয় নি কিন্তু সুরাহার খবর জেনে তিনজনেই সন্তুষ্ট।
  • rivu | 140.203.***.*** | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৩:২৬618083
  • বাহ বেশ চমকে দেওয়ার মত ঘটনা গুলো। নাম ধাম আর জানতে চাইলাম না।
  • pi | 118.12.***.*** | ১৮ জুলাই ২০১৩ ০৬:১১618084
  • হ্যাঁ, চমকেই উঠলাম, পড়তে পড়তে।
  • | 24.97.***.*** | ১৮ জুলাই ২০১৩ ১১:৪৭618085
  • রামলিঙ্গম রাজু তো এইটাই একটু বড় স্কেলে করেছিল। হাজারে হাজারে নেই-তাও-মাইনেওলা কর্মী। মজা হল যে অডিটার কোম্পানি ৩ বচ্ছর ধরে অডিটের সময় নেই-তাও-মাইনে কর্মীদের দিকে চোখ বুঁজে ছিল, তাদের কী হল? বা আদৌ কিছু হল কিনা তা আর কিছুতেই জানা যাচ্ছে না।
  • siki | 132.177.***.*** | ১৮ জুলাই ২০১৩ ১২:১৭618086
  • নেই-তাও-মাইনে কালচারটা তো কলকাতা কর্পোরেশনেও শুনেছি বেশ রমরমিয়ে চলে।
  • সে | 203.108.***.*** | ১৮ জুলাই ২০১৩ ১৩:৪৪618087
  • সবচেয়ে বেশি নেই মাইনের কর্মী থাকে চাবাগানে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন