এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অসুখের কবিতা , কবিতার অসুখ

    Ishani
    অন্যান্য | ২৪ মে ২০১৩ | ১২৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ishani | 233.239.***.*** | ২৪ মে ২০১৩ ১০:৫৬611823
  • অসুখের কবিতা , কবিতার অসুখ
    .....................................................

    আমি তখন স্কুলের ছাত্রী . অনেক দিন আগের কথা . বাড়িতে আসত মাসিক "বেতার জগত" . আমার কবিতার জগত খুব ছোট মাপের বৃত্তে ঘোরাফেরা করে . কানামাছি খেলার জন্য রবি ঠাকুর, সুধীন দত্ত, জীবনানন্দ . বরং গদ্য পড়ি বেশি . এমতাবস্থায় বেতার জগতে দেখি একটি কবিতার বইয়ের সমালোচনা বেরিয়েছে . কবি রবীন আদক . বইটির নাম মনে নেই . তবে দু'টি পংক্তি কেমন অন্যরকম লাগলো.

    "আকাশের কিছু নীল জানালায় পর্দা হয়ে দোলে , কার্তিকের কুয়াশাকে নার্সের শরীর মনে হয়..."

    আমার কাছে , কেন কে জানে, অসুখের কবিতা তখন "ডাকঘর " . আমার চোখে কবিতার অসুখ মানে অমল . একটেরে ঘর, সাদা দেওয়াল, খাট বিছানা সাদা ধবধবে পরিষ্কার আর পরিপাটি, টেবিল ভর্তি ওষুধ আর মিক্সচারের শিশি , জানালায় ফুরফুরে পর্দা , ঘরে হালকা লাইজলের গন্ধ আর এক কোণে ফুলদানীতে প্রায় ঝিমিয়ে থাকা , “কিছুতেই কিছু এসে যায় না” গোছের মুখ নিয়ে গুটিকয় ফুল . ফ্যাকাশে অথচ টুলটুলে মুখে ঝিকিয়ে ওঠা একজোড়া উজ্জ্বল চোখ !

    এই প্রথম রবীন দেখালেন অসুখের চোখ দিয়ে আমাকে ..ঋতুরঙ্গ . শরতে -হেমন্তে .

    এখন বৃষ্টি পড়লে জানালা বন্ধ করতে দেয় না অমল. কাকুতিমিনতি করে . তার জ্বরকপালে লেপ্টে থাকে কয়েকগুছি ভিজে চুলের কলকা . আয়ু তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে . অবোধ বালক দেখতে চায় " ভাঙা ডালের খুদগুলি দুই হাতে তুলে নিয়ে লেজের ওপর ভর দিয়ে বসে কাঠবিড়ালি কুটুস কুটুস করে খাচ্ছে.." .অমলের চোখ দু'টি আলোয় আলো .

    আমার খেলার সাথী অমলের অসুখ খুব খুব বাড়ে . অমল জানালার দিক থেকে শীর্ণ মুখটি ফিরিয়ে পাশ ফিরে শোয় . তার কপালে বিনবিনে ঘাম .

    এভাবেই আমার কাছে এসেছিল . অসুখের হাত ধরে কবিতা . কবিতার হাত ধরে অসুখ . এভাবেই অন্য কবিতা . অনেক অনেক. না-অসুখের, প্রেমের, অপ্রেমের..বোধের ও বোধহীন ভালো লাগার উদ্ভাসে . এভাবেই বেশ অনেকগুলো দিন, মাস, বছর .

    অনেককাল পরে হাতে এল " হাসপাতালে লেখা কবিতাগুচ্ছ . " কবি বিনয় মজুমদার. বিনয়ের কবিতা আগেই পড়েছি . ভালো লাগে খুব . কিছু বুঝি , অনেকটাই হয়ত বুঝি না..মানে বিদগ্ধ মানসিকতা নিয়ে বুঝি না..নিজের মতো করে বা আরও সত্যি কথা বলতে গেলে নিজের সুবিধামতো অর্থ করে নিই . এবং তাতেই দিব্যি থাকি .

    অমল দূরে যেতে চায়. তার ভালই লাগে না চারদেওয়ালের গণ্ডি . ওই যে দূরের পাহাড়.."পৃথিবীটা কথা কইতে পারে না তাই.." তাই তো পাহাড় "অমনি করে নীল আকাশে হাত তুলে" আমাদের হাতছানি দেয় . অমলের মুক্তির আলো বহির্ভুবনে. যে ভুবন তার অজানাই থেকে গেল. সে ভুবন তাকে ছুঁয়ে থাকে আকাশের নীলে, দিনের আলোয়, রাতের অন্ধকারে . অমল ছটফট করে . তার মুক্তি "আলোয় আলোয়".

    আর বিনয় ? বিনয় প্রথমেই সোচ্চারভাষণে পৃথিবী নস্যাত করে জানিয়ে দেন ,

    " যাই হোক রোগ নিয়ে এত মনোযোগ দিয়ে

    ভাবি না আমাকে রোগে খাবে ?

    বর্তমানে ভয় নাই পড়ে আছি একলাই

    সাইকিয়াট্রিস্ট ইন্সটিটিউটে .

    শোনো রে যুবক , দুস্থ বর্তমানে আমি সুস্থ

    প্রত্যহ আহার্য যায় জুটে ."

    বিনয় রোগশয্যায় " টেবিলেতে কিছু ফুল, রঙ্গন , কুসুম." এসব শুধুই ফুল. অমলের অন্য কুসুম. তার যে সুধা আছে . মালিনীর মেয়ে . ফুলের সাজি . প্রাণের মাঝে সুধা ..সে বলে, "চাও কি ?" অমল চায় তো ! দুপুরবেলায় জানালার ধারে বসে অমল শোনে বাঁধন ভাঙার গান . “আকাশের খুব শেষ থেকে ” যেমন পাখির ডাক শুনলে মন উদাস হয়ে যায় ... সেই গানের কী যে সুর..অমল জানে আর তার মনই তো জানে !

    আর বিনয়ের খাটের পাশে ?ফুলগুলি দোলে , কথা বলে বিনয়ের সাথে. বিনয় জানতে চান ফুলেদের কাছে," আমি এই লেখাগুলি লিখি, কার জন্য লিখি ?"

    কেউ বলে সময় বয়ে গেল . কেউ বলে সময় হয়নি . অমল তার অলীক ভুবনে বুঁদ হয়ে থাকে. সে শুনতেই পায় না..সময়ের দীর্ঘশ্বাস. আর বিনয় ? বিনয়ের মাথার ভেতরে অজস্র অসুখের ঘূণপোকা বরং এখন অন্য এক প্রশ্নের জন্ম দেয়..যে প্রশ্ন কুরে কুরে..রক্তের ভিতরে খেলা করে ...

    "মাটি কে বানালো

    পৃথিবীর মাটি ?

    মাটি তৈরী হয়ে গেলে তদুপরি জীব !"

    অমল খোঁজে রাজার ডাকহরকরাকে , অবিরাম . তার বাঁ হাতে লন্ঠন আর কাঁধে চিঠির থলে . ওই চিঠি আসে কোথা থেকে ? খুব ঘন বনের মধ্যে , যেখানে রাস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না , সরু ডালে ..যেখানে মনুয়া পাখি বসে দোল খায় ?

    বিনয় চিঠি লেখেন কি ? কবিতাতে চিঠি, বা চিঠিতে কবিতা ?প্রয়োজন পড়ে না কোনই . কারণ ‘

    " আমরা দুজনে মিলে জিতে গেছি বহুদিন হল.

    আমার ঠিকানা আছে তোমার বাড়িতে,

    তোমার ঠিকানা আছে আমার বাড়িতে,

    চিঠি লিখব না .

    আমরা একত্রে আছি বইয়ের পাতায় ."

    অমল দেখত একটুকরো আকাশ..ঠিক যেন নীল রেশমি রুমাল . আর পাখিদের দেশ. মানুষ নেই, নীল পাহাড় আর সকালবেলার আলো.. বিনয় দেখেন অন্য এক ভোর ..

    " জেগে ওঠো এ সময় কলকাতা আলোময়

    ফের ভোর হয়েছে এখন.."

    অমল তো উঠতেই পারে না. তবু তার মুখে কী অমলিন হাসি . একফালি রোদের টুকরো . বিনয়ও কি আর পারেন ? আগের মতো ... সময়কে ক্রীতদাস করে দাপিয়ে বেড়াতে.. কফিহাউস, কলকাতা এবং গায়ত্রীর মন ? তিনি নিজের মনের গায়ে, শরীরে হাত বুলিয়ে বলেন ,

    " এবার উঠতে হবে আমার এ অবয়বে

    এখনো আছে তো বেশ জোর

    পূব দিকে তাকিয়েই আমি বসে আছি এই

    এই হল আজকের ভোর ."

    বিনয়ের কবিতা লেখা চলতেই থাকে. হাসপাতালেও . অমলের কথা হত সুধা, দইওয়ালার সঙ্গে...আর বিনয় ? কবিতায় বসত ..

    " এখন কম্বলটির উপরে কাগজ রেখে কবিতা লিখছি .

    কম্বলের রং লাল , কম্বলটি বিছানায় ভাঁজ করে পাতা .

    রাত্রিতে কম্বলটিকে বালিশের মতো করে শুয়ে থাকি আমি."

    সকাল গড়িয়ে দুপুর. দুপুর এক সময় থমকে যায় পরন্ত রোদ্দুরে . বিকেল চারটে বাজল কি ? ভিজিটিং আওয়ার্স শুরু.. কেউ আসবে আজ ? দেখা করতে ? এক একজনের এক এক রকম অনুভব. অমল--বিনয় . অমল ঘরবন্দী আর বিনয় ...হাসপাতালে . কিন্তু ওই যে, সুস্থতার জন্য অপেক্ষার রং শুধুই সাদা-কালো .

    " পিছনে তাকিয়ে দেখি ঘড়িতে চারটে প্রায় বাজে .

    এখানে হাসপাতালে কেবল সিস্টারদের ঘরে আসা যায় .

    সদর দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া নিষেধ এবং

    সেহেতু লোকজনের সঙ্গে মেলামেশাও করা চলে না তো !"

    অমলের চোখে সূর্যাস্তের রং , পাহাড়ের পায়ের কাছে লুটোপুটি খেয়ে ঝরনায় পথ হারাল .বাঁকা নদী বয়ে যায় একলাটি..
    আর হাসপাতালের রোগশয্যায় শুয়ে সন্ধ্যায় বিনয় অস্ফুটে বলেন ,

    "সুন্দর বাতাস আজ বৈশাখের ছাব্বিশ তারিখে

    ঘামে ভেজা শরীরের উপরে এ সুবাতাস টিকে

    ভালো লাগে মনে হয় অপ্সরারা আমার শরীরে

    বোলায় কোমল হাত , কী আশ্চর্য এ বাতাস ছিল

    দেড়শ' মাইল উর্ধ্বে আজকেই ভোরবেলা -'পরে নেমেছিল......"

    বিনয়ের কি খুব ক্ষোভ ছিল ? অথবা কষ্ট ? একাকীত্ব ? একাকীত্ব কি বিনয়কে সেই আলোর দৃষ্টি দেয় , যাতে বিনয় দেখতে পান "জলের প্রান্তর"-এর মলাটের ওপরে ব্রহ্মনাম !

    কলমটি হাতে নিয়ে তিনি হেঁটে যান . মানুষ - মানুষী না দেখে , না বুঝে কি কবিতা লেখা যায় ? তিনি "ভরণী তারার থেকে পায়ে হেঁটে হেঁটে " নার্সদের ঘরে এসে ভাবেন , " অশ্বিনী তারায় এলে ভালো হত !" কারণ, " অশ্বিনী তারার লোকগুলির সাথে কথাবার্তা বলা যায় ".

    আমি জানি না , পৃথিবী , তোমার অন্য নাম অশ্বিনী কিনা ….

    "যেখানে খাবার আছে , যেখানে খাবার জন্মে

    সেইখানে মানুষেরা থাকি. "

    সন্ধ্যা হয়ে এল বুঝি ? জানালায় ঘনায় ছায়ারা ? বিনয় সেই অলীক মানুষ..একা একা নি:সঙ্গ পথিক...

    " সূর্য অবশেষে অস্ত গেল , সে সুন্দর হেসে

    আমিও তো হাসি

    প্রদোষে পশ্চিমাকাশে মেঘ ভেসে আসে রাশি রাশি ."

    আর আমার অমল ? সে সকালবেলার তারা . সে সন্ধ্যাবেলার তারা . সে ক্রৌঞ্চ দ্বীপে যায়, সে সবুজ পাখি দেখে . সে সুরেতে গান গায় ...

    বিনয় কি খুব দুর্বোধ্য ? বিনয় কি খুব ব্যতিক্রমী ? বিনয় কথাকার . গদ্য ও পদ্যের মধ্যে সীমারেখাটি বড়ই আবছা... এই বোধ থেকে বিনয় হাসপাতাল থেকে লেখেন,

    " গদ্যে যে যতির চিহ্ন -- যেখানে যেখানে যতই

    তাতে দেখা যায়

    গদ্যই আসলে পদ্য , অথচ আমার শব্দগুলি

    সমস্ত চলিত শব্দ , সহজ মুখের ভাষা সব ."

    খুব মনে পড়ে . অসুখ করলেই তো বেশি করে মনে পড়ে . বাবার কথা . মায়ের কথা. মনে মনে হাতড়ে ফেরা ...

    " বাবার তো আত্মা নেই , পুনর্জন্ম নেই.

    বাবাকে পোড়ালে পরে বাবার ছাই তো আছে , এই

    ছাই ভাবে পৃথিবীর মাটির সহিত ."

    অমলও তো ভাবে...দিন ফুরনোর আলো মেখে তার ভুলে-যাওয়া মায়ের মুখ..

    বিনয়ের লেখনীতে "এ মাটি ফুল হয় অনায়াসে " , কারণ

    " মাটির রস তো ঘামে গাছে ঢোকে রে অমেয়

    পরিমাণে সেই নিষ্প্রাণ রস

    তরুরস হয়ে ভাবে নিরলস

    সকল তরুর ফুলের এ রস তো পাথেয়. "

    সন্ধ্যাতারাটি কি উঠেছে ? সব তারা ?...অন্ধকারের ওপারের সব তারাগুলি ?
    আমার অমল অপরিণতবয়স্ক , কিন্তু অপরিণতমনস্ক বালক তো নয় . তার মনের আলো দ্যুতি ছড়ায় তার চোখে . তার মুক্তি সেই আলোয় ভরা . তার মুক্তি লুকিয়ে আছে নিষ্পাপ উদাসীনতার ঘেরাটোপে , তার নিজেরই অজান্তে.

    আর বিনয় ? বিনয় সাহসী, বিনয় উদাসীন, বিনয় ঋজু , বিনয় পরিণত..শরীরে ও মননে . তিনি জীবনের প্রতি উদাসীন নন . তাঁর মুক্তি ধূলায় ধূলায় ঘাসে ঘাসে .তাই সকল শব্দ দেবদেবীগণকে উদ্দেশ্য করে বিনয় বলেন ,

    " এত তো নিশ্চিতি নেই , মৃত্যুর পরেও

    বেঁচে থাকবই এই আশা করা শ্রেয়

    জোর করে কষ্ট করে এই ভেবে যাই

    আমরা পৃথিবীময় আহ্বান জানাই

    পৃথিবীর সকলকে, আমাদের এই

    জোর করে ভাবা ছাড়া অন্য পথ নেই

    ভবিষ্যত জানবার , যদি ভেবে যেতে

    সকলে পারি তো পারি পুনর্জন্ম পেতে ."

    বিনয় কি এখন অশ্বিনী তারায় ? ছায়াপথ পেরিয়ে ? একা ? এইখানে এসে একটু থমকাই আমি . বিনয়ের হাতে ছোট্ট মুঠিটি খুব নিশ্চিন্তে সঁপে দিয়ে একসঙ্গে অনেক দূরে আবছা থেকে আবছা হয়ে যায় আমার ছোটবেলার সাথী অমলচোখের অমল .

    অমল যেতে যেতে কি পিছু ফেরে একবার ? সুধার দিকে ? বিনয় সটান হেঁটে যান সামনে .

    সুধা ভোলেনি . সুধারা ভোলে না .
  • aniket pathik | 212.54.***.*** | ২৪ মে ২০১৩ ১২:৩৯611824
  • চমৎকার লেখা ! অমল আর বিনয়ের হাত ধরাধরির কথা পড়ে মুগ্ধ হলাম !
  • শিবাংশু | 127.197.***.*** | ২৪ মে ২০১৩ ২০:৪৭611825
  • অমলিন বিনয় আর বিনীত অমল... হাসপাতালে জ্যোৎস্নায় শাদা চাদর মোড়া পৃথিবীর অন্যদিকে গ্রামের পারে নদী, তার জলে ভরণী নক্ষত্রের ছায়া, অবিরাম কাশবন আর ধানজিরেতের ওপারে সুধার ছড়িয়ে যাওয়া ফুলপাতা খুঁজতে খুঁজতে ...

    সিগন্যালে অন্তহীন রুমাল দুলিয়ে যাওয়া ...আমাদের

    তারা কি দেখতে পায়?
  • pharida | 132.16.***.*** | ২৬ মে ২০১৩ ১০:৪১611826
  • দারুণ লেখা। খুব যত্নের।
    তাই একটা পুরনো কবিতাও রেখে যাই এখানে -

    কবিতা অসুখের মতো

    আঙুলময় জলপিপি চলাচল করে টের পাই
    বুকের ভেতর ভেতর ঘূণপোকা খুঁজে ফেরে শাঁস
    নিখাদ অবকাশ। এক মাছ মস্তিস্ক আচ্ছন্ন করে
    ঠুকরিয়ে যায় প্রায় লোভী সবুজের আনাচকানাচ।
    পতঙ্গময় শরীর এইবারে ঠায় জলের একধারে
    ফড়িঙের ওড়াউড়ি দেখে। মাকড়শার জাল কেটে
    হলুদ প্রজাপতির অবশেষ নিয়ে বেলা পড়ে যায়।
    সেইসব ঘোলা জলে খলবলে শব্দাবলী ঘুরে ঘুরে
    খেলে আলোছায়া, গাছ, – কবিতা অসুখের মতো
    বেঁচে থাক, বেঁচেবর্ত্তে থাক এজমালি সংসারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন