এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৩০598874
  • অর্কুটে আমাদের একটি গ্রুপ ছিল, সৃজন ও গুঞ্জন। কবিতা ও গল্প লেখার গ্রুপ। বড় বড় লেখক ও লেখিকারা নিজের সুতো বানিয়ে লিখতেন। কিছু কমন থ্রেডও ছিল -- আয়না, রং নাম্বার, ছেলেবেলার কথা, গানের থ্রেড। আমি মোটামুটি গানের থ্রেডেই থাকতাম। গ্রুপ তখনও খুব একটা পুরোনো হয়নি, প্রস্তাব এল পুজো উপলক্ষ্যে ওয়েবজিন আকারে একটা কিছু প্রকাশ করা হোক। সম্পাদক, সহ সম্পাদক ও পরামর্শদাতা-সম্পাদকদের নিয়ে এডিটোরিয়াল বোর্ড তৈরি হল, বোর্ডে আমাকেও রাখা হল। মনে হল, সম্পাদকমন্ডলীতে থাকার যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে নিজেকেও কিছু লিখতে হয়, কাজেই লিখলাম। বাংলা হরফে টাইপ করতে জানতাম না, আমার হয়ে একজন সেটা করে দিল। এটা ছিল জুলাই ২০০৯।

    একটা কিছু ছাপা হয়ে গেলে বিভিন্ন পত্রিকা থেকে লেখার ডাক আসে, আমারও এল, আমিও লিখে গেলাম, ছাপাও হল, কিছুদিন পর কেমন যেন ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। লেখা যেন কেমন কৃত্রিম হয়ে উঠছে। অন্যরা লেখে মনের আনন্দে, আমি নেহাত কর্তব্যবশে। লেখাকে ভালোবাসতে হলে রোজ লিখতে হয়, নইলে হয়না, এইসব সাতপাঁচ ভেবে সৃজন ও গুঞ্জন গ্রুপে একটা ডায়েরি সুতো খুললাম। এটা ছিল আমার সেই সময়কার শেষ চেষ্টা। ২০১০ সালের অগাস্ট মাসের সেই ডায়েরি এখানে দিচ্ছি, মন্তব্য সমেত।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৩৬598892
  • কলকাতার মেয়ে নই। তবে কলেজ আমল থেকে মোটামুটি কলকাতাতেই। পার্ক সার্কাস শেষ হয়ে যেখানে ওল্ড বালিগঞ্জ শুরু হয়, সেখানেই আমাদের প্রথম বাসাবাড়ি। ছুটির দিন বিকেলে গড়িয়াহাট রোড ধরে হাঁটতে হাঁটতে লেকে পৌঁছে যেতাম। গরমের ছুটিতে প্রতিদিন এবং অন্যসময় শনি-রবিবার। এর কোন অন্যথা হত না। সারাটা রাস্তা গাছ আর গাছ। বড় বড় গাছ ফুলে ফুলে ঢাকা থাকত। চওড়া ফুটপাথ ঝরা ফুলে ঝরা পাতায় ছেয়ে থাকত।

    বছর পনেরো আগে আমার একবার খুব অসুখ করেছিল। এ-বাড়ি থেকে যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছিল। উপায়ান্তর না দেখে, আমার কর্তামশাই সেলিমপুরে একটা ছোট্ট বাড়ি ভাড়া নিলেন। রেল লাইনের ধার ঘেঁষে বাড়ি। বেঙ্গল ল্যাম্প হাঁটা পথ। দু’বেলা গাছের ছায়ায় ছায়ায় হেঁটে যাওয়া, তাড়াহুড়ো করে নয়, আস্তে ধীরে আয়েস করে হাঁটা।

    আগেও অনেকবার বাসাবদল করেছি, অনেক পাড়ায় থেকেছি। প্রথমে সেই পার্ক সার্কাস, তারপর মোমিনপুরের মোড়, তারপর অশোকা সিনেমা, তারপর নিউ আলিপুর, শেষমেশ নিউ আলিপুর থেকে অল্প পশ্চিমে এই উদয়ন পার্ক।

    জীবনের বেশিরভাগটা কাটিয়েছি নিউ আলিপুর পি ব্লকে। 3B বাসে করে ন্যাশনাল লাইব্রেরির ছায়াঘেরা ক্যাম্পাসে পৌঁছে যেতাম। নিউ আলিপুরে লোক চলাচল বরাবরই কম। প্রতি বাড়িতে ফুলগাছের সমারোহ। বেশির ভাগই বনেদি ফুল, যেসব ফুলের নাম আমরা গল্প কবিতায় পাই সেইসব ফুল। আর পার্কের চারদিকে বড় বড় ছাতিম গাছ। কেউ কেউ বলেন ছাতিম গাছের আরেক নাম সপ্তপর্ণী। তাই কি? ঠিক জানি না।

    কলকাতাকে নিজের শহর বলে মানতে চাইনি কোনওদিন। কিন্তু কলকাতাতেই তো জীবন কাটল সুখে দুঃখে।
  • dd | 132.167.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৩৬598885
  • দিন। পড়ি।
    আমার আবার টইএর নামকরন দেখে একটু ভয়ই হয়েছিলো।

    বছর দুয়েক আগের এক শুক্কুরের গভীর রাতে ফিরিজ খুলতে গ্যালে কিছু হিংস্র ডিম আমার উপর ঝাঁপিয়ে পরে, কিন্ত্য গ্রাভিটেশনাল কারনে মেধেয় ছিটকে পরে তাদের সকলেরই মৃত্যু ঘটে। ঠিক খ্যাল হয় নি, আমি ঐ ডিমের মৃতদেহের উপরই হাঁটাহাঁটি করে ছিলাম।

    ফলতঃ সারা বাড়ীতেই কুসুমে কুসুমে আমার চরণচিহ্ন ছড়িয়ে পরেছিলো ও ডিম সুলভ গন্ধো। আমি নির্দোষ হলেও বড্ডো হেনস্থার শিকার হই পরের দিনে।

    সেই ঘটনা নিয়ে লেখা নয় বলে আশ্বস্ত হলেম।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৩৮598893
  • হে হে হে দীপ্তেন। এমন সুন্দর কমেন্ট তখন আমি পাইনি।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৫২598894
  • সৃজন ও গুঞ্জন -- হেন্সফোর্থ এসোজি -- গ্রুপের মন্তব্য, অথবা গুঞ্জন

    ১) 'সপ্তপর্নীর গন্ধ ভারি সুন্দর। শরতকালে পাড়াময় ভরে থাকে।'
    ২) 'তোমার লেখায় শান্তিনিকেতনের পরিবেশ ফুটে উঠছে।'
    ৩) 'সবচেয়ে বড় কথা, তুমি যে আবার রেগুলারলি এসোজিতে লেখালিখি করছি সেটা খুবই আনন্দের।'
    ৪) 'কী হল? কোন স্টেশনে আটকালে, অবরোধ নাকি?'
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৭:৫৭598895
  • *করছ।

    contd.

    বেশি যে লিখি না তার অনেক কারণের মধ্যে একটা হল, অন্যান্যদের সঙ্গে অনেক বিষয়েই আমার ঘোর অমিল। কলকাতায় থাকি অথচ দুপুরে ভাত খাই না। ছেলেমেয়েও খায় নি। যৌথ পরিবারে বড় হইনি। শুনেছি আমার ঠাকুর্দাদারও যৌথ পরিবার ছিলনা। অন্তত শেষ বয়েসে ছিলনা। তিনি ডিব্রুগড়ে থাকতেন। সম্পূর্ন একা বাড়িতে মারা যান। বাবা তখন জেলখানায়। বাঙাল হলেও আমার বাবা ওপার থেকে উচ্ছেদ হন নি। স্বাধীনতার অনেক আগে এপারে চলে এসেছিলেন। আমার কোনও মামাবাড়ি ছিলনা, একজনই মামা, তিনি কবিরাজ ছিলেন, থাকতেন ঔরঙ্গাবাদ, সেখানে সাকুল্যে একবার গেছি। অন্যদের সঙ্গে মেলাতে গেলে এই পার্থক্যগুলো চোখে পড়ে। তখন আবার নিজেকে গুটিয়ে নিই।

    মামাতো মাসতুতো দাদাদের সঙ্গে সখ্যতা ছিল আমার বাবার, আমার নয়। মামাতো ও মাসতুতো দাদা, দুজনই আমার বাবা মারা যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে মারা যায়। বৌদিরা এটাকে কাকতালীয় বলে ভাবেনি। আমিও তা ভাবিনা।

    মায়ের বেশি বয়েসের সন্তান আমি। মামাতো দাদা আমাকে কোলে পিঠে করেছে, খুবই ভালোবাসত, কাছেই থাকত, মাঝে মাঝে এসে উপদেশ দিয়ে যেত। এখন যেখানে থাকি, আমাদের ঠিক পাশের বাড়িটা আমার মামাতো দিদির। আপন মামাতো দিদি। তার সঙ্গেই সম্পর্ক রয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত, সম্পর্কটা যদিও কিছু পরিমাণে মা-মেয়ের মত। কাউকেই আশ্রয়স্থল বলে ভাবি নি এ জীবনে। না-ভাবার চেষ্টা করেছি। একজন অবশ্য অফার দিয়ে রেখেছে। সে আমার মাসতুতো বৌদি। সবদিক থেকেই অসাধারণ মানুষ। নিজের শক্তি কম পড়লে তার দরজায় যাব।

    কলকাতা, আসাম, শিলিগুড়ি মালদা, পাটনা, জামশেদপুর, রাঁচি, লক্ষনৌ, চন্দৌসি, নাগপুর সর্বত্র আমাদের আত্মীয়বাড়ি ছিল। বাবা সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। যে কোনও সময় যে কোনও বাড়িতে গিয়ে হাজির হওয়া যেত। এখনও তারা আমার খোঁজ নেয়, আমিই যোগাযোগ করি না। আমি যে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করিনা, সমবয়েসী বন্ধুরাও সর্বদা এটা মনে করায় আমাকে। আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবে পরিপূর্ণ এক বিরাট পৃথিবীতে চিরটা কাল একা থেকেছি।

    রাস্তায় হাঁটতে ভালো লাগার এটাই কি কারন? একা হওয়ার জন্যে শ্রেষ্ঠ জায়গা হল রাস্তা। পথ। পাড়ার রাস্তায় মর্নিং ওয়ক অথবা ইভনিং ওয়ক নয়, বড় রাস্তায় হাঁটা। ভিড়ের রাস্তা হলেও আপত্তি নেই, ফাঁকা হলে আরোই ভালো।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৮:০৪598896
  • লিখতে বসলে জলপাইগুড়ির কথাই লিখি কেবল। জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ন সময় যেহেতু দিল্লিতে কেটেছিল, দিল্লির কথাও একটু বলতে হয়। ডি-স্কুলে এম-এ পড়তাম। থাকতাম মিরান্ডা হাউস হস্টেলে। যে তিনজনের সঙ্গে হেঁটে যেতাম রোজ, তারা বাঙালি নয়, কোঙ্কনী, গোয়ানীজ, এমং মহারাষ্ট্রীয়। গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিল। সকাল সাড়ে আটটায় বেরোতাম, রাত আটটায় ফিরতাম। সে রাস্তায় বাস চলত না, জোরেই হাঁটতাম। কমপক্ষে পনেরো মিনিট তো লাগতই।

    মধ্যিখানে আরেকবার চক্কর দিতে বেরোতাম। অনেকটা জায়গা জুড়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। তিনটে কফি হাউস ছিল আমাদের। ব্যাঙ্কের লাগাও যেটা, সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের মধ্যে দিয়ে যেতে হত সেটায়। আরেকটা যদিও ক্যাম্পাসের বাইরে, কিরোরিমল কলেজের মধ্যে দিয়ে গেলে পাঁচ মিনিট। তিন নম্বরটা ডি-স্কুলের নিজস্ব ছোট্ট সুন্দর কফি হাউস। ইন্ডিয়ান কফি হাউসেরই শাখা।

    কফি হাউসের সামনের লনে বসে কত কি কাজের কাজ ও অকাজের কাজ করেছি। এক সিনিয়র ছাত্রী আমাকে বলছে, সে নাকি একটা জিনিস বুঝছে না। ইংরিজি নয়, অঙ্কও নয়, মানে চেনা অঙ্ক নয়, খাতা জুড়ে অচেনা সব সিম্বল আঁকা। প্রথমত আমাকে বুঝতেই হবে, দ্বিতীয়ত বুঝে নিয়ে তাকে বোঝাতে হবে। অ্যাবসার্ড ব্যাপার।

    একবার কি হয়েছে, কফি হাউসে খাচ্ছি তখন। এক সপ্তাহ বাড়িতে চিঠি দিইনি, কলেজের ঠিকানায় বাড়ি থেকে টেলিগ্রাম এসেছে। দুটিমাত্র শব্দ ‘Wire health.’

    ‘Wire health? Why, she’s in the pink of health!’

    স্বাস্থ্য আমার নেহাতই ভালো। তার উপর জোরদার খাচ্ছিলাম। খুব হেসেছিল সবাই।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৮:৩৮598897
  • মন্তব্য -- সবগুলো না লিখে একটা লিখছি -- 'সেই নর্থ ক্যাম্পাস। কলেজ জীবনের স্মৃতি আমার কাছে মধুর নয়, ওই তিনটে বছর আমার থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে ..তবু, তোমার স্মৃতিচারণের সাথে আমার বাবার (হন্সরাজ কলেজ) স্মৃতিচারণের মিল খুঁজে পাচ্ছি। নস্টালজিয়াটা ওখান থেকেই ধার করে আনলাম।'
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৮:৫৫598898
  • এবারে আমার বাবার কথা একটু বলে নিই। যে তিনটি বিপ্লবী দল স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল, দলগুলির নাম অনুশীলন, যুগান্তর ও বেঙ্গল ভলান্টিয়ারস (বি-ভি)। কুমিল্লা শহরে কলেজে পড়তে গিয়ে ১৬ বছর বয়েসে বাবা অনুশীলন সমিতির সংস্পর্শে আসে। বি-এ পরীক্ষা দেওয়ার আগে অ্যারেস্ট হয়। সব পরীক্ষাই জেল থেকে দিয়েছিল।

    প্রথম পেশা সাংবাদিকতা। প্রথম চাকরি 'প্রত্যহ' নামক একটি দৈনিক পত্রিকায়। এই সেই প্রত্যহ, ‘সংবাদপত্রের ভাষা’ প্রবন্ধে মান্য চলিত ভাষা প্রসঙ্গে শ্রী নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী যে 'প্রত্যহ'র উল্লেখ করেছেন। সম্পাদকীয় বাবাই লিখত।

    মা যখন জলপাইগুড়ির পি-ডি কলেজে চাকরি পেল, বাবা তখন পেশা পরিবর্তন করে জলপাইগুড়ি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ওকালতি করা শুরু করল। চাবাগান শ্রমিকদের ডিফেন্স লইয়ার ছিল। খুনের মামলার শুনানী চলত সাতদিন ধরে। মামলা জেতার পর বেশ জমিয়ে গল্পগুলো বলত।

    আত্মীয়বাড়িতে গেলে আবার ভূতের গল্প বলার দাবী উঠত। বাবার স্মরণসভায় শ্রী পৃথ্বীশ বাগচি মশাই একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলন, অনুশীলন দল ইত্যাদি শুনে মহানির্বান রোডের বৌদি তো অবাক। ‘দাদুর এইসব কথা আমরা তো জানি নাই। ভূতের গল্প কইত, বাচ্চারা শুনত, আমরাও বইসা যাইতাম।’ যে মানুষ এগারোটা বছর ব্রিটিশ জেলে কাটালো, সে যে আদৌ কোনওদিন রাজনীতি করেছে নিকট আত্মীয়রাও সবাই তা জানে না! আমাদের সময়ে যারা নকশাল আন্দোলন করেছিল, তাদের তুলনায় অনেক সহজ মানুষ ছিলেন ওঁরা।

    খুবই কালারফুল লোক ছিল বাবা। মেধাবী ছাত্র ছিল, খেলাধুলোয় ভালো ছিল, জেলখানায় মেস ম্যানেজার হিসেবে সুনাম ছিল, একসময়ে অভিনয়ও করত। সৌম্যেন ঠাকুরের পরিচালনায় বেশ কয়েকবার 'বিসর্জন' নাটকে রঘুপতির রোল করেছিল।

    ছুরি দিয়ে খুব সুন্দর জিরিজিরি করে লাউ কাটত বাবা। লাউটা আস্ত আছে, সূক্ষ্ম তিনটে লাইন দেখা যাচ্ছেনা, বোঝার উপায় নেই যে ভিতর থেকে পুরোটা কাটা হয়ে গেছে। এবারে সবাইকে ডেকে এনে হালকা হালকা তিনটে কোপ দিতেই, ফুলের মত সমস্তটা থালায় ছড়িয়ে পড়ল।
    ------------------------------------------------------------------------------------------------
    এইখানে এসে বাসুদা (বিমোচন ভট্টাচার্য) একটা আপত্তি তোলেন। 'তবে দিদি, বাবার প্রসঙ্গে যা লিখছ তাতে .. করেছে দিয়েছে জাতীয় শব্দগুলোকে কি দিয়েছেন করেছেন লেখা যেত না? আসলে তুমি লিখছ বলেই একটু দেখতে খারাপ লাগছে .. কী বলো?'

    তাতে আরেক জন লিখল 'আমরা অবশ্য বাইরের কাউকে বললে বাবামকে বলেছেন দিয়েছেন এমন বলি, মানে বলতে হয় শিখেছি বলেই। এমনিতে বাবা, মা এত কাছের জন যে তুমির বদলে আপনি বলতে একদম ভাল্লাগেনা আমার বেশ লেগেছে এই তুমি করে বলা।'

    এবং ঘনাদা আমার বাবার বিষয়ে কিছু তথ্য যোগ করেছিলেন।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:২৩598875
  • মন্তব্য কন্টিনিউড
    উত্তরে আমি লিখেছিলাম "বাসুদা আমারো দ্বিধা ছিল, চেষ্টা করে কাটিয়েছি দাদা। দেখো, বাবার স্মরণ-সভাতে পর্যন্ত মহানির্বান রোডের বৌদি -- বৌদি ডাকি বয়েসে আমার চেয়ে অনেকটাই বড় বলে নইলে সম্পর্কে আমার বৌমা -- আপনি করে বলেনি। বলেছিল দাদু আইতো এই বৌদি কিন্তু খুবই শিক্ষিত এবং অত্যন্ত পরিশীলিত রুচির একজন মানুষ।

    সেই দিনটা ভাবো একবার? গুচ্ছ গুচ্ছ রজনীগন্ধা, ধূপের ধোঁয়া, বাবার সহকর্মী অশোক সেন মশাই অসীম শ্রদ্ধার সঙ্গে উপনিষদ ইত্যাদি বিষয়ে বাবার গভীর জ্ঞানের কথা বলছিলেন, মুখে কিছু না বলে বাবা কেমন পিঠের ওপরে হাতটা রাখতেন সেসবও বলছিলেন, এদিকে খোকাদা বাবাকে গুরু আখ্যা দিয়ে বসে আছে। সব কিছু ছাপিয়ে 'দাদু আইতো' টা মনে রয়ে গেছে আমার। অনুশীলন ভবনেও স্মরণসভা হয়েছিল সবাই 'ও' 'ও' করে বলছিলেন।"

    বাসুদার উত্তর ছিল "কিন্তু দেখো তুমি অশোক সেনের কথা বলতে গিয়ে বললে যে উনি বলেছিলেন, আর একবার পড়ার পর আমি দেখছি তুমি শুধু বাবার কথা বলার সময়েই ঐ ধরণের শব্দ ব্যবহার করছ আর অন্যদের বেলায় প্রথাগত লেখনী।"

    আপাতত এই অবধিই থাকুক।
  • paTal | 24.96.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:২৫598876
  • 'সবাই যে যার পথে ফিরে গেলে মনে হয় আমার ফেরার আর পথ নেই'

    ম্যাক্সিমিনদি, আরো হোক।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:৪১598877
  • paTal আমি আসলে অর্কুটের কথা লিখতে বসেছি। মন্তব্যগুলোই আসল, সেগুলোকে ইউনিকোডে আনতে বেশ খাটনি হচ্ছে।
  • কান্তি | 212.9.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৯:৫০598878
  • খুব ভাল লাগছে।খাটনি হোলেও চলুক। আমরা একটা নতুন স্বাদ পাচ্ছি।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:৫৬598879
  • লোকের বয়েস হলে তার সব কথাকেই স্মৃতিকথা ব’লে মনে হয়। আমি কিন্তু স্মৃতিকথা লিখতে বসিনি। বুধবার দিন পলা তার বাড়িতে ডেকেছিল। মহাসমারোহে জি-টি হল। পলার সঙ্গে অর্কুট সূত্রে আলাপ, কিন্তু হয়ে দাঁড়ালো শিল্পসমিতিপাড়ার সম্মেলন। শিল্পসমিতিপাড়া মানে জলপাইগুড়িতে যে শিল্পসমিতিপাড়া ছিল, সেটাই। পাড়াটা এখনও আছে।

    মাসে একদিন করে আমাদের একটা পড়াশোনার আসর বসে। সেমিনার বলা যায় না। ক্লাস নেওয়ার মতই। প্রশ্নকর্তারা আবার বোর্ডে লিখে প্রশ্ন করে। গতসপ্তাহে, মানে বৃহস্পতিবার, যখন আমি প্রশ্ন করতে বোর্ডে গেলাম, সাদা বোর্ডে নীল কালিতে লিখলাম, মনে হল ব্ল্যাকবোর্ড। ডি স্কুলের ‘ব্ল্যাকবোর্ড’ কি কালো ছিল না সাদা? মনে নেই।

    লিখতে গেলে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে দেওয়া নেওয়া চলে। অতীত বলতে আবার শুধু ব্যক্তিগত অতীতও বোঝায় না। কিছু আছে আমাদের কালেক্টিভ অতীত। আমরা যারা এখানে আসি, সকলে একই দেশের মানুষ। এস-ও-জি তে মহাভারত নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিহাস হোক অথবা সাহিত্য, মহাভারত আমাদের কালেক্টিভ অতীত। কমিউনিটিতে যা কিছু লেখা হয়, আলোচনা হয়, সেখানে রবি ঠাকুরের নিত্য আসা যাওয়া। অতীত নয়? অতীতই তো। অতীত আসে আমাদের কাছে, তারও কিছু প্রত্যাশা থাকে। সামনে এসে দাঁড়ায়, কিছু পাওয়ার আশায়। আর বর্তমান? অতীতের কাছে সে চিরঋনী।

    জানলা দিয়ে চেয়ে দেখছি, বেলা বাড়ছে। বিকেল গড়াবে, সন্ধ্যে হবে। চাঁদ উঠলে বারান্দায় যাব। আরেক কালের চাঁদ ওঠা মনে পড়বে কি? কৈ না তো, মনে পড়ে না! চেষ্টা ক'রে মনে করতে হয়, লিখব ব'লে মনে করতে হয়। গত বৃহস্পতিবার ক্লাসে যাওয়ার পথে গাছ ফুল দেখতে দেখতেই হেঁটেছি। কুসুম নিত্য ফোটে। চরণচিহ্ন নিত্য পড়ে।

    --------------------------------------------------------------------------------------------------------
    মন্তব্য
    ১) "খুব ভালো লাগছে সুসদি লেটেস্ট পোস্টটা বড়ই মন ছোঁয়া। তবে ওই স্মৃতির ব্যাপারে বলি .. কাল যা ঘটে গেল, আজ ৫ মিনিট আগেও যা ঘটে গেল .. সেগুলোও কিন্তু আমাদের স্মৃতিরই অংশ হয়ে গেল। স্মৃতিকথন শব্দটায় আপত্তির কারণ খুঁজে পেলাম না। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা, তা সে একদিন আগেরই হোক বা ২০ বছর আগেকার, সবই স্মৃতিকথন। আর এর সঙ্গে বয়েসের কোনও সম্পর্ক নেই। আমার ছেলেও যখন বলে আমি যখন নার্সারিতে ছিলাম তখন একদিন স্কুল যাওয়ার পথে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেছিল, এটাও স্মৃতিকথনই বটে।"
    ২) সুস্মিতাদির “স্মৃতিকথা নয়” খুব ভালো লাগল পড়ে। জিটিতে ক্লাস নিতে হয়? বাবা, এ তো আবার একটা নতুন দরজা খুলে গেল। খুব ভালো...

    (দু নম্বর মন্তব্যের উত্তরে উপরের অংশ এডিট করে লিখেছিলাম 'আরেকটা উদাহরণ দিই । মাসে একদিন করে আমাদের একটা পড়াশোনার আসর বসে।)
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০১:৪১598880
  • আজ আবার পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ছে। পড়াশোনার কথা, দিল্লির কথা, নিউ আলিপুরের প্রথম দিককার কথা। মিরান্ডা হাউস হস্টেল থেকে যে তিনজনের সঙ্গে হেঁটে ডি স্কুল যেতাম, তাদের নাম বলা হয়নি - রেবেকা, সুচরিতা আর সবিতা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হয়ে আসত যখন, ঠিক তখনই পড়ায় ভারি মন বসত। বইপত্র সমেত রতন টাটা লাইব্রেরিকে কী যে মায়াময় দেখাত! বই ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করতনা আমার। সুচরিতাও বই প'ড়ে যেত মন দিয়ে। সবিতা কখন চলে গেছে, রেবেকা কিন্তু যেত না, আমাদের জন্যে অপেক্ষা করত।

    ফিরতাম যখন, রাত হয়ে গেছে, নির্জন রাস্তা। মেয়েদের চলাফেরার জন্যে দিল্লির রাস্তাঘাট মোটেই নিরাপদ ছিল না কোনওকালে। তিনটি মেয়ে কিন্তু অকুতোভয়ে হেঁটে যাচ্ছি। ভয় শুধু একটাই, ওয়ার্ডেন বকবেন। তাঁকে সামলানোর ভার পড়ত আমার ওপরে। সম্পূর্ণ অবান্তর প্রসঙ্গের অবতারণা করে দু-মিনিট নিছক আড্ডা দিয়ে আসতাম ওয়ার্ডেনের সঙ্গে। সেসব শুনে, রেবেকা আর সুচরিতা আরেকচোট হেসে নিত। ওয়ার্ডেনের সঙ্গে সেইসব কথোপকথনের কিছুমাত্র মনে নেই। স্মৃতিশক্তি নেহাত খারাপ নয় আমার। আসল আসল কথাগুলোই ভুলে বসে আছি। মনে পড়লে এই লেখাতেও হাসির কিছু উপকরণ দেওয়া যেত।

    মিরান্ডা হাউসের একটা বিশেষ ধরণের সুনাম ছিল। সেসব বিবেচনা করে অভিজ্ঞ এবং কড়া প্রকৃতির মহিলাকে ওয়ার্ডেন নিযুক্ত করা হত। তাঁকে মুখের কথায় ভোলানো নিশ্চয়ই সহজ কাজ ছিল না, এখন সেটা বুঝি, তখন বুঝতাম না। বুঝতাম না বলেই হয়ত কঠিন বলে মনে হত না, সহজেই পারতাম।

    এম-এ পাশ করেই বিয়ে করেছিলাম। ভাগ্যক্রমে যেটা হল, সংসার করা আর পড়াশোনা করা, এদুটোর মধ্যে বিরোধ ঘটল না। পাশাপাশি চলতে পারল। শুধু পড়াশোনা নয়, সবকিছুই বেশ আগের মত রয়ে গেল। আজকের দিনে এমনটা ভাবা যায়, তখনকার দিনে এটা ছিল নেহাতই কপালজোর। প্রেসিডেন্সিতেই আবার ভর্তি হয়েছিলাম, এবার যদিও পি-এইচ-ডির জন্যে, তফাত কিছু বুঝলামনা বিশেষ।

    ৩-বি বাসে ক'রে বৌবাজারের মোড়, তারপর ট্র্যামে কয়েক স্টপ। নতুন জায়গা নয়, যাচ্ছি তো আমার পুরোনো কলেজে, কোনও টেনশন নেই, বাসে উঠেই ঘুমিয়ে পড়তাম। সত্যি, বেশ অকাতরে ঘুমোতাম, রীতিমত ডাকাডাকি করে জাগাতে হত। টিফিন বাক্সে চীজ় স্যান্ডুইচ থাকত, বেশ অনেকখানি মাখন দিয়ে বানানো। দুপুরবেলা তবু কফিহাউস ঘুরে আসতাম একবার। একা একা কফিহাউস যাওয়ার অভ্যেসটা আমার বহুদিনের।

    পাশের বাড়ির পিসিমা, উল্টোদিকের বাড়ির মাসিমা -- অল্পবয়েসটা এঁদের নিয়েই কেটেছে আমার। রাস্তায় হাঁটার সময় অন্যমনস্ক থাকার কারণে পাড়ার সমবয়েসী ছেলেদের অনেকের মুখ চিনতাম না। মানুষের বয়েস হয়, স্বভাবের কিছু জিনিস থাকে, যা পাল্টায় না। অন্যমনস্কভাবে পথ চলা, পাড়ার লোকের মুখ না চেনা, এসব এখনও অব্যাহত আছে।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৩:১০598881
  • আমাদের এপাড়াটা মধ্যবিত্তদের পাড়া, কিন্তু পরিকল্পনা করে বানানো। ৯০ ডিগ্রি কোণ করে দুটো মেইন রাস্তা, একটা পশ্চিম থেকে পুবদিকে গেছে, অন্যটা উত্তর থেকে দক্ষিণে। দুটো-ই পাড়ার মধ্যে শেষ হয়েছে, অর্থাত ব্লাইন্ড। অনেকগুলো ছোট ছোট সমান্তরাল রাস্তা এসে এই দুটোতে মিশেছে। রাস্তার পাশে পাশে কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া শিরীষ স্বর্ণালু সন্ন্যাসী গাছ। গাছগুলো বড় হয়ে গেলে ডালপালা ছেঁটে দেওয়া হয়। শীত গ্রীষ্ম হেমন্তে সারাদিন রোদ ঝলমল করে। আশেপাশে কোথাও ঝোপঝাড় ঘেরা ছায়া ছায়া অন্ধকার পথ নেই। ঘুম ঘুম রাস্তা নেই। পাশেই মন্ডলপাড়া। বেলা হলে দেখি মন্ডলপাড়ার মেয়েবৌরা স্নান করে ঘরে ফিরছে। কুশল বিনিময় হয়, তাদের মুখে শান্তির ছায়া দেখি, মন ভালো হয়ে যায়।

    যে ঘরে বসে লিখছি, জানলা দিয়ে তাকালে দেখা যায়, দক্ষিণমুখী রাস্তাটা বহুদূর চলে গেছে। একটু দূরত্বে একটা জায়গায় অনেকগুলো অশ্বত্থগাছের ভিড়, বনরাজিনীলার আভাস। মনে হয়, ঐখানটা পেরোলে যেন দীঘার সমুদ্র। সে হল দূরে। কাছে, খুব কাছে, দক্ষিণের জানালা ঘেঁষে একটা দেবদারু গাছ। হাওয়া দিলে ঝুঁকে পড়ে। কাকে যেন জোরদার বাও দেয়। রাস্তা দিয়ে কেউ চলে গেল কি? তাকেই বুঝি বাও দিল। একবার নয়, অনেকবার ক'রে বাও দেয়, যেদিন নেশায় পায়।
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৩:১৪598882
  • শেষ।
  • nina | 79.14.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৫:১৯598883
  • যাঃ শেষ মানে ? ঃ-০ আরও চলুক।
    এমেম তোমার লেখায় আমার মনও যে কত শত অলিগলি দিয়ে পেছনপাড়ে দৌড়তে শুরু করল---
    এক তো সৃজন গুঞ্জন আমারও খুব ভাল লাগত--এক সময় অর্কুট কালীন --
    আর জানই তো স্বদেশীকালের কথা আর আমাদের বাবাদের সেই সময়কার গল্প শোনার নেশা---আমার শুধু আফশোষ বাবা মা থাকতে কেন তোমার সঙ্গে আলাপ হলনা----আরও কত কিছুর লিঙ্ক পেতাম তাই না?
    আরও লিখ প্লিজ। এবার কলকাতা গিয়ে একটা পুরো দিন তোমার সঙ্গে কাটাবই----
  • nina | 79.14.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৫:২২598884
  • উফ আর একটা কথা অশোক সেন--তুমি কি ওঁর ছোট মেয়ে শ্যামলির বিয়েতে এসেছিলে?? ছোট জামাই আমাদের পাটনার----আশীষ মুখার্জ্জী---বিয়েতে খুব আনন্দ করেছিলাম---শ্যামলীদিকে আমার দারুণ ভাল লাগত---আজ কতদিন যোগাযোগ নেই ঃ-((
  • শিবাংশু | 127.197.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১১:৫৭598886
  • কেন শেষ?
    কুসুমের মাস কি শেষ হয়ে গেছে?
  • de | 190.149.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৪:৩৭598887
  • খুব ভালো লাগলো! আরো হোক!
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৪:৪১598888
  • শেষ মানে হল গিয়ে, দশ সালের অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের ডায়েরি শেষ। এত 'আমি-আমি লেখা কতদিন আর টানা যায়!
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৫:২৩598889
  • কোন অশোক সেন গো নীনা? আমি যাঁর কথা বলছি তিনি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেন। বাবার ঘনিষ্ঠ ছিলেন, আমি তাঁকে ভালো চিনতাম না। শিবাংশু, এ বছরে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিই না। কোথায় ফুল ফুটেছে, আমি তার কী জানি।
    দেবযানী, লিখব বলেই তো সুতো খোলা। হয়তো অন্যভাবে এগোবে।
  • kumu | 132.176.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ১৫:৩১598890
  • আহা,কবি বলেই গেচেন,পুষ্পবনে পুষ্প নাহি,আছে অন্তরে,বেরোনোর দরকার কী?

    অন্যভাবে?তবে তাই হোক,কিন্তু টই এগোক।
  • nina | 79.14.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৪:২৮598891
  • ঠিক! ঠিক ! সুতো যখন এল---গাঁথ তবে কথামালা ---

    (এমেম, অশোক সেন দিল্লীর ল'ইয়ার , পলিটিক্সেও ছিলেন--)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন