এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কবি হবার সহজ উপায়

    সুকি
    অন্যান্য | ২৯ নভেম্বর ২০১২ | ৫৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সুকি | 212.16.***.*** | ২৯ নভেম্বর ২০১২ ২০:১১583378
  • কবি

    প্রথম দৃশ্য

    [ড্রয়িংরুমে চুনী আর পান্না বসে আছে। পান্না একটা দেশ বা অন্য কোন বাংলা পত্রিকা পড়ছে আর চুনী নিজের মনে কাটাকুটি খেলছে]

    পান্না - এই চুনী, তখন থেকে কি করছিস বলত?
    চুনী - কেন? কাটাকুটি খেলছি তো। বুঝলি পান্না, যে এটা আবিষ্কার করেছিল তার নিশ্চয়ই প্রচুর বুদ্ধি ছিল। তুই খোঁজ নিয়ে দেখিস, এর জন্য ওই লোকটা ঠিক নোবেল পেয়েছিল।
    পান্না - নোবেল প্রাইজ চালু হবার অনেক আগে থেকেই কাটাকুটি খেলা আবিষ্কার হয়েছিল। আমাদের রামকৃষ্ণদেবও নাকি কাটাকুটি খেলতে খুব ভালোবাসতেন।
    চুনী – অমনি একটা দিয়ে দিলি! কোথা পেলি তুই এ তথ্য?
    পান্না – ওই সেদিন কোথায় একটা শুনলাম যেন। ও হ্যাঁ, হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন লোকালে যেতে যেতে।
    চুনী – কে জানে তুই আর কি কি শুনেছিস! যাকগে, তা তুই করছিস টা কি?
    পান্না – এই কবিতা পড়ছি।
    চুনী – [হ্যাঃ হ্যাঃ করে হাসি]। তুই, আর কবিতা!
    পান্না – এই হাসিস না তো। জানিস আমি ভাবছি এবার লেখক হয়ে যাব।
    চুনী – কেন, হঠাৎ করে লেখক কেন?
    পান্না – না, মানে অনেক কিছুই তো চেষ্টা করলাম, তাই ভাবছি এবার লেখক হলে কেমন হয়? বিদেশ-টিদেশ ঘুরে আসা যাবে!
    চুনঈ – লেখক হবার সাথে বিদেশ যাবার সম্পর্ক্টা কি?
    পান্না – বাঃ, ওরা ডাকবে না!
    চুনী – তুই তো বাংলা ভাষাতেই লিখবি নাকি?
    পান্না – তা তো বটেই।
    চুনী – তাহলে তুই বলতে চাইছিস বিদেশীরা আজকাল বাংলা ভাষার চর্চা করছে? খুব ভাল খবর। কি যে সুবিধা হবে! আমার কতদিন বলে ইচ্ছে যে আমেরিকায় একটা মুড়ি-তেলেভাজার দোকান দেব। শুধু এই ভাষা সমস্যার জন্যই এগোতে পারি নি।
    পান্না – তুই না, কিছু বুঝিস না! বিদেশীরা কেন ডাকবে? বিদেশে যে বাঙ্গালীরা থাকে তারা ডাকবে।
    চুনী – তারা তোকে ডাকবে কেন?
    পান্না – কেন আবার – লেখা পড়ে শোনাতে! দেখিস না আজকাল কত লেখক বিদেশ যাচ্ছেন। কত সব সম্মেলন হচ্ছে – বঙ্গীয় সম্মেলন, মিলন মেলা, বিজয়া সম্মিলনী ইত্যাদি ইত্যাদি। ওঃ, একবার কিছু ছাপতে পাড়লেই না ওরা ডেকে নেবে!
    চুনী – তা তোকে ডাকবে কেন? কত নামী দামী লেখক রয়েছেন!
    পান্না – দাঁড়া একবার লেখক হতে দে না! ওসব ঠিক ইউনিয়ন-টিউনিয়ন করে ম্যানেজ করে নেব। রাস্তার অটোওয়ালাদের মত। এখান থেকে ওখান পর্যন্ত আমি, তারপর মোড় পেরোলেই তোমার এলাকা শুরু। সব নিয়ম করে দেব যাতে সবাই রোটেশন পলিসিতে চান্স পায়।
    চুনী – ওরে পান্না, তা না হয় হল। কিন্তু তুই তো সেই স্কুলেতে গরুর রচনাটাও ভালো করে লিখতে পারতিস না। পাশের ছেলের দেখে টুকতিস। তা তুইক কি এখন পারবি কিছু লিখতে?
    পান্না – ধ্যুৎ, ও সব তো গদ্য ছিল। আমি তো এখন কবিতা লিখব।
    চুনী – কবিতা লিখবি? তা তুই জানিস কিছু কবিতার?
    পান্না – ও আবার জানতে হয় নাকি? জানিস বাঙালী ছেলেদের গোঁফ আর কবিতা লেখা একসাথে শুরু হয়? এমন একটাও ছেলে তুই পাবি না যে গোঁফ বেরোবার সাথে সাথে একটাও কবিতা লেখে নি –
    চুনী – কয়, আমি তো কখনো কবিতা লিখি নি!
    পান্না – তোর তো গোঁফটাই ভালো করে উঠল না!। আসলে কি জানিস, ভেবে দেখলাম কবিতা দিয়েই শুরু করা ভালো। পরে না হয় সুযোহ বুঝে লাইন সিফট করে নেব!
    চুনী – পান্না সবই তো বুঝলাম, কিন্তু তুই কি কোনও দিন কিছু লিখেছিস?
    পান্না – আমি বলে ছোটবেলায় কত কবিতা লিখেছি!। কেবল প্রকাশিত হয় নি এই যা – যাকে বলে অপ্রকাশিত!
    চুনী – তা একটা শোনা না –

    পান্না – দাঁড়া একটা মনে করি । [চোখ বুজে কপালে হাত দিয়ে ভেবে] এই তো মনে পড়েছে –

    রাস্তার উপর সেই বিশাল বেল গাছ
    নীচে জলে খেলা করে অগুনতি মাছ।।
    হেডুর মাথায় কেন তুই পড়িসনা বেল,
    তোর তো নেই ভয় হবার জেল।।
    থাকবে না মনে আর প্যাঁদানির ভয়,
    ধন্য ধন্য পড়ি যাবে, শুন পান্না কয়।।

    চুনী – বাঃ বাঃ, কিন্তু হেডু জিনিসটা কি রে?
    পান্না – আরে হেডু মানে হেডস্যার। তোর মনে নেই আমাদের কেমন ছড়ি দিয়ে প্যাঁদাত। তাকে নিয়েই তো আমি এই কবিতাটি লিখেছিলাম স্কুলে পড়ার সময়।
    চুনী – নাঃ পান্না, তোর হবে। তোর যে এ্যাতো প্রতিভা আমি সেটা বুঝতে পারি নি। যাক তা হলে এবার আমাদের কি ভাবে এগোনো উচিত বল।
    পান্না – শোন চুনী, কবিতে লেখার জন্য একটা পরিবেশ লাগে। তা না হলে ব্রেন খুলবে কেন? তাই আমি ভাবছি কাল সকাল থেকে উঠে সামনের পার্কটাতে যাব। ভোরের হাওয়া খেলে কবিতার তোড় নেমে আসবে। আর তুই খাতা পান্টা নিয়ে নিবি। আমার মুড এলে বলতে থাকব আর তুই নোট করে নিবি।
    চুনী – সেই ভালো। তা হলে কাল সকাল থেকে শুরু!

    ------------------------------------------------------------------------------

    দ্বিতীয় দৃশ্য

    [চুনী ও পান্না সকালে পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে একটা বসার জায়গা খুঁজছে]
    পান্না – চুনি, অনেক ক্ষন তো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবলাম, কোন আইডিয়া এলই না মাথায়। চল এবার একটু বসে বসে ভাবা যাক।
    চুনী – চল তাহলে বসা যাক। এই তো একটা বেঞ্চ রয়েছে। তাতে একটা আবার ছেলে বসে রয়েছে। ওখানেই বসা যাক।
    [দুজনে বেঞ্চে বসা ছেলেটার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। ছেলেটার বয়স প্রায় ২৫]
    পান্না – এই যে ভাই শুনছ?
    কৌশিক – কে? আপনারা দুজন কারা? দিলেন তো ভাবটা নষ্ট করে? যখন তখন এইভাবে ডাকবেন না প্লীজ।
    চুনী – না মানে তোমাকে তো এই পার্কে আগে কখনও দেখিনি, তাই একটু আলাপ করতে এলাম।
    কৌশিক – হেতু? মানে গায়ে পড়ে আলাপ করবেন কেন আপনারা?
    পান্না – আসলে আমরা দুজন লেখক তো, পার্কে ঘুরছি আইডিয়া সংগ্রহ করার জন্য।
    কৌশিক – আরে আগে বলবেন তো! আমিও তো একজন কবি!
    চুনী- তাই নাকি? জমে গেল তো – আমরা দুজনেই কবি। তা নামটা কি তোমার?
    কৌশিক – কৌশিক, তা আপনাদের নাম?
    পান্না – আমরা পান্না-চুনী নাম নিয়ে লিখি।
    কৌশিক – তার মানে? আপনারা কি একসাথে, মানে দুজনেই একটা কবিতা লেখেন?
    চুনী – হ্যাঁ, এতে আশ্চর্য হবার কি আছে? কত মিউজিক ডাইরেকটর তো একসাথে কাজ করেন।
    পান্না – যেমন ধরুণ – নাদিম-শ্রাবন, শিব-হরি, শঙ্কর-জয়কিশান –
    চুনী – বাবুল-সুপ্রিয়!
    পান্না – তুই থামবি! ওটা একজনেরই নাম।
    চুনী – বলিস কি রে! এই রকম আবার নাম হয় নাকি? যাই হোক আমরা মোট কথা পান্না-চুনী। কবিতা লেখক পান্না-চুনী।
    কৌশিক – ব্যাস ভাবতে হবে না। আপনারা কবিতা লিখে ফেলুন। আবার কবিতা নিয়েও লিখতে পারেন।
    পান্না – সেটা কি রকম?
    কৌশিক – আরে মশাই, কবির মত তে চার্মিং লাইফ আপনি পাবেন কোথায়? সব উপাদানই মজুত। কবি মানেই ব্যর্থ প্রেমিক – হতাশ – জীবন যুদ্ধে পরাজিত – ঘরের কোনে বন্দী – আর শেষে ‘শিল্পী’ রোগে মৃত্যু।
    চুনী – এই খেয়েছে! সেটা আবার কি?
    কৌশিক – আজকালকার আর্ট-কালচার লাইনের কেউ মারা গেলে সংক্ষেপে বলা হয় ‘শিল্পী’ রোগে মৃত্যু। ইংরাজীতে বলে সিরোসিস অব লিভার – বাংলায় বলে লিভার পচে মরে যাওয়া। খবরের কাগজের ভাষায় বলে পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ।
    পান্না – সেরেছে –আচ্ছা, কবিতে লিখতে গেলে কি এসব হতেই হয়?
    কৌশিক – কি হতে হয়?
    পান্না – না, মানে এই পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণ আর কি –
    কৌশিক – বাধ্যতামূলক কিছু নয় – তবে হলে ব্যাপারটা গ্ল্যামারাস হয় আর কি!
    চুনী – আচ্ছে, হাসির কবিতা লিখতে গেলে তো এসব জরুরী নয় –
    কৌশিক – হাসির কবিতা এখন উঠে গেছে। আপনি ভাবতে পারেন, এখনকার ছেলে মেয়েরা আবোল-তাবোল পড়ে না! আমরা কি বাঙালী!
    পান্না – ওসব কথা থাক। তোমার নিজের কথা শুনি। তুমি কবিতা কবে থেকে শুরু করলে – মানে তোমার ভিতর কবি ভাবটা ঠিক কবে থেকে জেগে উঠল –
    কৌশিক – ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পড়তে।
    চুনী – সে কি! ইঞ্জিনিয়ার আবার কবি হয় নাকি?
    কৌশিক – ও, শুধু ডাক্তার কবি হতে পারে আর ইঞ্জিনিয়ার কবি হলেই দোষ?
    পান্না – ডাক্তার লেখক শুনেছি, বনফুল। কিন্তু ডাক্তার কবি?
    কৌশিক – কেন মন্দাক্রান্তা সেন। যখন সময় ছিল তখন আনন্দ পুরষ্কার পেয়েছিলেন।
    চুনী – কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার কবি কোথায়?
    কৌশিক – কেউ নেই বলেই তো এগিয়ে এলাম!
    পান্না – তা তুমি কবে থেকে কবিতা লিখছ?
    কৌশিক – যখন বি।ই কলেজে পড়তাম, তখন থেকে। কলেজের ট্রাডিশন অনু্যায়ী আমি প্রচুর মদ আর গাঁজা খেতাম। সবাই তখন বললে, মদ – গাঁজা যখন এতই খাচ্ছিস, তখন কবি হয়ে যা না! ভাবলাম কথাটা তো সত্যি – কবিতা লিখতে শুরু করলাম। তারপর এম।টেক পড়তে গিয়ে পুরোপুরি কবি হয়ে গেলাম।
    চুনী – কেন? কেন? এম।টেক পড়তে গিয়ে কবি হয়ে গেলে কেন?
    কৌশিক – আসলে যাঁর কাছে আমি রিসার্চ করতাম, তাঁর কাজ ছিল ইকোলজি নিয়ে।
    চুনী – কি লজি?
    কৌশিক – ইকোলজি – পরিবেশ, টরিবেশ নিয়ে ব্যাপার আর কি! আমিও ঠিক জানি না। তা যাই হোক, আমার কাজ ছিল বাঁদর গোনা।
    পান্না – বাঁদর গোনা?
    কৌশিক – হ্যাঁ মশাই, কানপুরে প্রচুর বাঁদর তো। গাছে, বাড়ির ছাদে, গাড়ির মাথায় – সব জায়গাতে!
    চুনী – আর যেগুলো হোষ্টেলে থাকে?
    কৌশিক – ইয়ার্কি মারবেন না! আমার কাজ ছিল পার ইউনিট এরিয়াতে কতগুলো বাঁদর আছে গোনা। দূর থেকে তো আর বাঁদর আলাদা করে সনাক্ত করা যায় না! সব বাঁদরই এক রকম দেখতে! একদিন কাছে গেলাম বাঁদর চিনতে – তাড়া করে কামড়ে দিন –
    চুনী – নিশ্চয়ই মেয়ে বাঁদর ছিল – বাঁদরিও বলতে পারেন –
    কৌশিক – আবার ইয়ার্কি? আমার বলে তখন মরন-বাঁচন অবস্থা! হাসপাতাল থেকে অনেক ইঞ্জেকশন দিলে। মা বলল আর পড়তে হবে না, বাড়ি ফিরে আয়। ব্যাস, সেই থেকে শুধু কবি।
    পান্না – তার মানে তুমি বাঁদরের কামড় খেয়ে কবি হয়ে গেছ?
    চুনী – কিন্তু আমরা তো বাঁদরের কামড় খাই নি! তাহলে কবি হব কি করে?
    পান্না – আচ্ছ, বাঁদরের বদলে যদি বউয়ের কামড় খাওয়া যায়? আমার বউ না রেগে গেলে কামড়ে দেয়!
    কৌশিক – আরে বাবা, কামড় না খেয়েও কবি হওয়া যায়!
    পান্না – তা তোমরা এখন কার লেখার স্টাইল ফলো কর? জীবনানন্দ, সুধীন দত্ত, সুনীল নাকি শক্তির?
    চুনী – ফলো করবে কেন? এরা কি চোর নাকি?
    কৌশিক – আমরা সেই অর্থে কাউকেই ফলো করি না। আমাদের নিজেদের স্টাইল নিজেদের কবিতায় ব্যাভার করি। তবে আজকাল আমরা ছোট ছোট কবিতা লিখছি। মানুষের হাতে সময় কম তো!
    পান্না – তবে আমরে যে শুনি আধুনিক কবিতা নাকি দুর্বোধ্য? একটা রচনা লিখে লেফট-অ্যাডজাষ্ট করে দিলেই নাকি কবিতা হয়ে যায়? কিছুই বোধগম্য হয় না!
    কৌশিক – আরে দাদা, নিন্দুকেরা অনেক কিছু বলে। আর তা ছাড়া সব জিনিস সবার জন্য নয় এটা কেন বোঝেন না? যদি না নিতে পারেন তাহলে ছেলেভুলানো ছড়া কিঙবা রবি ঠাকুরের কবিতা পড়ুন গিয়ে। নিদেন পক্ষে নজরুল পড়ুন – বউয়ের সাথে মুখ তুলে কথা বলার ক্ষমতা নেই – আর সভার মঞ্চে, আমি বীর, উন্নত মম শির বলে চিৎকার! আজকাল লোকে হাসছে মশাই।
    চুনী – তাহলে তোমাদের কবিতা কি নিয়ে?
    কৌশিক – ছোট গল্পের মত ছোট কবিতা – লিমেরিক। কেউ বোর হবে না – শুরু না হতেই শেষ।
    পান্না – একটা স্যাম্পেল ছাড় না ভাই!
    কৌশিক – অ্যাই আপনি কিন্তু ব্যঙ্গ করছেন! স্যাম্পেল মানে? আমি কি সেলসম্যান নাকি যে স্যাম্পেল দেখিয়ে বেড়াব?
    চুনী – ঠিক আছে, ঠিক আছে – কবি ভাই আমার, একটা কবিতা পড় তো –
    কৌশিক – দাঁড়ান পড়ছি [ব্যাগ থেকে ডায়েরী বের করে]

    “আসতে পারি?
    কোথায়?
    হৃদয়ের কাছাকাছি –
    দেখেছ না হাউসফুল!”

    [ক্ষাণিকক্ষণ নীরবতা]

    পান্না – কি হল? থামলে কেন?
    কৌশিক – শেষ হয়ে গেল তো। আপনারা মশাই নিরেট লোক। বাঃ বাঃ করলেন না তো?
    চুনী – ধ্যাৎ মশাই। কবিতা কখন শেষ হল তাই বুঝতে পারলাম না –
    কৌশিক – ঠিক আছে, আর একটা শোনাচ্ছি –

    “আর কে?
    শুধু তুমি আর আমি –
    আর কেউ না?
    অদ্ভূত!!”

    পান্না – [একটু থেমে] কি হল শেষ? বাঃ বাঃ। কিন্তু মানে কি?
    কৌশিক – মানেই যদি বলব তাহলে আর কবি হলাম কেন?
    চুনী – তুমি মানে বুঝতে পারা যায় এমন কোন কবিতা লেখ নি? মানে তুমি তো কানপুর আই আই টি তে ছিলে, সেখানকার লোকজন, পরিবেশ ইত্যাদি নিয়ে কিছু লেখ নি?
    কৌশিক – লিখেছিলাম তো অনেক কবিতা – প্রফেসরদের নিয়ে লিখেছিলাম।
    পান্না – শোনাও না একটা তা হলে। ওখানকার প্রফেসররা কেমন সেতা বোঝা যাক!
    কৌশিক – দাঁড়ান পড়ছি [হাতের ডায়েরী খুলে] – প্রথমে লিখেছি অন্ত্যমিল স্টাইলে –

    “প্রোফেসর মানে নতুন বইয়ের সারি
    একটিও তার হয় নি কভু খোলা
    পাওয়া গেছে যত স্পেসিমেন কপি সব
    যতন করে উপরে আছে গো তোলা।।
    ভুলে তাক থেকে যদি পাড়ি বই
    তাহলে পড়িতে আমার হবে
    প্রোফেসর হয়ে এতটা কষ্ট
    বল, কেই না সবে।।
    প্রোফেসর মানে, মাইনে অনেক টাকা
    স্বভাব হয়েছে নষ্ট
    পড়ানো এখন ব্যবসার মত
    নেই আগের মত কষ্ট।।
    পেপার লিখেছি গোটা চার পাঁচ
    সময় কোথায় পাব
    গরমে এখানে যায় নাকো থাকা
    ভাবছি, বাইরে এবার যাব।।
    বিদেশ যাওয়া, সেতো আরো সোজা
    যদি দিতে পারো তেল
    যার জয়গান পৃথিবী জুড়ে
    শুধু দেখে যাও খেল”।।

    চুনী – বাঃ বাঃ। এই না হলে শিক্ষক।
    কৌশিক – তারপর দেখুন হঠ করে কেমন ছন্দ চেঞ্জ করেছি। বৈষ্ণব পদাবলী ছন্দ। পয়ার না কি বলে যেন –
    পান্না – পয়ার নয়, পয়ার নয়। ওটা হবে পায়রা ছন্দ।
    কৌশিক – ধূর মশাই, ওই নামে কোন ছন্দই নেই!
    চুনী – আজ থেকে হল। পান্না যখন বলছে, ওটা পায়রা ছন্দ, তো সেটাই হবে। তা তুমি বাকিটা বল –
    কৌশিক – বলছি [আবার ডায়েরী দেখে]

    “ছাত্রদের কাজ নাহি করি লাজ
    টুকিয়া দিয়েছি সবে
    সেতো না জানিল বুঝিতে পারিল
    নাম শুধু মোর রবে।।
    এমনি করিয়া মরমে মরিয়ে
    লিখেছি পেপার কত
    কাট অ্যাণ্ড পেষ্ট টেকনিকই বেষ্ট
    ভেবেছি নিজের মত।।
    এত চাপ সয়ে প্রোফেসর হয়ে
    রিল্যাক্স এখন করি
    নাই দরকার আর পড়াবার
    বুক যে উঠেছে ভরি”।।

    চুনী – এটাও ভালো হয়েছে। এই পান্না, তুই একটা ছড়া বল না!
    কৌশিক – ও হ্যাঁ, আপনারাও তো কবি। তা কিছু শোনান না আপনাদের লেখা।
    পান্না – ছড়া নয়, তবে কবিতা বলতে পারি
    কৌশিক – তাই শোনান –
    পান্না – [কিছুটা ভেবে নিয়ে]

    “ও কাঁদে, দুঃখের সঙ্গে কাঁদে।
    কেন জানে না – তাই না জানে
    আরো কাঁদে। পড়েনি ঘুঘু ধরে ফাঁদে,
    এখান থেকে ওখান, খেয়ে বেরায় ধান
    ওরা উড়ে, কিংবা বেড়ায় চড়ে
    কেন ওদের নিয়ে কেউ কখনো লেখেনি –
    ঘুঘু দেখেছ কবি, ফাঁদ তো দেখনি!”

    কৌশিক – আপনার তো দাদা বেড়ে লেখার হাত। আমিও আধুনিক স্টাইলে লিখি মাঝে মাঝে –
    চুনী – লেখ! তা সেগুলো পড়লে না কেন?
    কৌশিক – ওগুলো আসলে ঠিকে বোঝা যায় না কিনা! আর কারো আমনে পড়াও যায় না। শুধু লিখতে হয়। আগে তবু বোঝা যেত – তোমার সাথে উঠ উঠ লেখব, তোমার গ্রীবায় চড়ে আকাশের নক্ষত্র পাড়ব, ডিম পাড়ব, গ্রাম বাংলার মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াব চুপি চুপি। কুপি জ্বালাব কুটিরে – আজীবন টিমটিম করার ব্রত নেব। কিশোরীর চাল ধোয়া হাতের গন্ধ – জীবনানন্দ –
    পান্না – তোমার ভালো লাগে না জীবনানন্দকে?
    কৌশিক – অবশ্যি। ঐ যে কবিতা – আমার মনের মত –

    “সুরঞ্জনা, ওইখানে যেও নাকো তুমি
    বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে
    ফিরে এস সুরঞ্জনা –
    নক্ষত্রে ।।।”

    [এক ব্যক্তির প্রবেশ, সাদা পোষাকের পুলিশ। এসেই কবির হাতটা খপ করে ধরে]
    পুলিশ – এ্যাই চল তো থানায় –
    কৌশিক – একি, আপনি কে? হাত ধরে টানাটানি করছেন কেন?
    পুলিশ – কেন? ফাজলামি হচ্ছে? রোজ সকালে পার্কে এসে মেয়েদের টোনা মারা হচ্ছে – ঠিকই রিপোর্ট পেয়েছিলাম। আমি সাদা পোষাকের পুলিশ।
    চুনী – কই, আপনি তো রঙীন জামা পরে আছেন! সাদা পোষাক কই?
    পুলিশ – এটা কে রে? [পকেট থেকে আইডি কার্ড বের করে দেখায়। চল, থানায় চল। ভদ্র ঘরের ছেলে হয়ে হ্যাংলামো করতে লজ্জা করে না?
    কৌশিক – আমি কখন মেয়েদের টিটকারী মারলুম?
    পুলিশ – কেন, এই যে সুরঞ্জনা, সুরঞ্জনা – যেও না – যেও না – বলে চিৎকার করছিলে –
    পান্না – আরে ও তো কবিতা আবৃত্তি করছিল –
    কৌশিক – আরে ছাড়ুন মশাই। পুলিশে বুঝবে কবিতা!! কবি অশোকবিজয় রাহা এইসব দেখেই তো বলেছিলেন,
    “পুলিশ, কবিকে দেখে টুপিটা তুই খুলিস”। আর সেই কবির গায়ে হাত?
    পুলিশ – ও, তুমি কবি?
    চুনী – বাচ্চা কবিও বলতে পারেন!
    কৌশিক – কবিই তো। পুরো আগুন জ্বালিয়ে দেব লেখার মাধ্যমে। জানেন শক্তিদা এই আপনাদের কেমন হ্যাটা করে গিয়েছিলেন?
    পুলিশ – শক্তি নিজে পুলিশ হয়ে এমন করেছে? আচ্ছা থানায় ফিরেই ওকে ধরছি।
    কৌশিক – ওফ্‌ - এ আপনার থানার শক্তি নয় – কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। উনি বলেছিলেন –
    “সভা শেষে পুলিশেও গাইল রবীন্দ্রসংগীত”।
    পান্না – চুড়ান্ত অপমান!
    পুলিশ – [একটু দুঃখের সঙ্গে] আরে, ওসব আমাদের গায়ে মাখলে চলে না। এই জানো আমার বউও না কবিতা লেখে।
    কৌশিক – দারুন তো। যাব একদিন বউদির সাথে আলাপ করতে।
    পুলিশ – যাবে ভাই যাবে? গেলে একটু রাতের দিকে যেও।
    চুনী – কেন? রাতের দিকে কেন?
    পুলিশ – আরে আমি ওই কবিতার জ্বালায় নাইট ডিউটি নিয়েছি।
    কৌশিক – কেন কেন?
    পুলিশ – আরে ভাই বুঝতেই পারছ, সারাদিন খাটা খাটনির পর ঘুমটা একটু দরকার।
    চুনী – না খাটলেও তো ঘুমের দরকার। মানে আমার তো না খেটেও ঘুম পায়!
    পুলিশ – আপনি থামুন তো মশাই। যা বলছিলাম – বউয়ের জ্বালায় তো ঘুমবার জো যেই!
    পান্না – সেকি দাদা, এই বয়সেও জ্বালায়! দাদা, কত বছর হল আপনাদের বিয়ে হয়েছে?
    পুলিশ – আরে বাবা, এ জ্বালানো সেই জ্বালানো নয়। কখন রাতে মাথায় কবিতা কিলবিল করে উঠবে আর আমাকে সেগুলো লিখে রাখতে হবে।
    কৌশিক – কেন, বউদি নিজে লিখতে পারেন না?
    পুলিশ – আরে তখন ও ভাবের ঘোরে থাকে। মুখে বলে যায় আর আমি লিখে রাখি। এখন একটা নতুন কবিতার বই লিখছে – “উঠতে বসতে কবিতা”।
    কৌশিক – দারুণ তো!
    পুলিশ – দারুন? নিজের হলে বুঝতে। শালা ফুলশয্যার রাত থেকেই এই অত্যাচার শুরু হয়েছে। আজকাল আর সইতে না পেরে নাইট ডিউটি নিয়েছি। থানায় গিয়ে আয়েশ করে ঘুমাই।
    পান্না – ভাল করে ঘুমান। ঘুম স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে একটা কথা, এতবছর স্ত্রীর কবিতার লিপিকার হয়েও আপনার নিজের কোনদিন কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে নি?
    পুলিশ – কে বলল হয় নি? আমি একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেছিলাম – ঘুম নিয়েই –

    “ঘুমের ঘোরে ছটফট
    মশা মারি চটপট
    মশার কোন শেষ নাই
    ঘুমের চেষ্টা বৃথা তাই।"

    কৌশিক – একি, শেষ দুই লাইন তো বিখ্যাত কয়েকটা লাইনের মত –
    পুলিশ – ওই মতই। সেই লাইনগুলো তো আর নয়!
    কৌশিক – বেড়ে লিখেছেন। আচ্ছা পুলিশ দাদা এবার চলি। আমায় আবার একটা সভায় যেতে হবে। আর কবি ভায়েরা, তাহলে চললাম। আবার পরে কোনদিন দেখা হবে। লেগে থাকুন – [প্রস্থান]।
    পুলিশ – এবার থেকে ঐ মেয়েদের নাম নিয়ে কবিতাগুলো একটু আস্তে আস্তে পড়। আচ্ছা আমাকেও আবার ওইদিকটা চক্কর মারতে হবে। যা দিনকাল পড়েছে, যে দিকেই না তাকাব – সেই দিকেই গোলমাল শুরু। [প্রস্থান]।
    পান্না – চুনী, মনে হচ্ছে এই লাইনটাও আমাদের জন্য নয়।
    চুনী – যা বলেছিস মাইরি। কি দিনকাল পড়েছে। পুলিশেও কবিতা লিখছে! চল বেলা হয়ে এল – বাড়ি গিয়ে অন্য কিছু করার কথা ভাবি। চল, চল।
    [দুজনেরই পার্ক থেকে প্রস্থান]।
  • শঙ্খ | 169.53.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০২:০১583389
  • জিও!! বেড়ে হয়েছে!!
  • একক | 69.16.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০৩:০৬583391
  • এটা ভালো শ্রুতিনাটক হবে !
  • rivu | 78.232.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ০৫:১৯583392
  • খাসা !!
  • | 24.99.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ১০:৩৯583393
  • ব্যপক তো।
  • pharida | 192.68.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ২০:১১583394
  • জ্জিও - পার্টনার পেলে এক্ষুণি নামাতে রাজি এটা - খাসা হয়েছে।
  • Tim | 12.133.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ২০:২২583395
  • ঃ-)
  • pharida | 192.68.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ২০:৩৭583396
  • টিম, দেখা হলে চল নামিয়ে দি এইটা :))
  • শ্রী সদা | 127.194.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ২১:০৯583397
  • রোফল ঃ))
  • sosen | 125.242.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ২১:১৫583379
  • পুলুশ টাকে খুব ভাল্লেগেছে।
  • sosen | 125.242.***.*** | ৩০ নভেম্বর ২০১২ ২১:১৬583380
  • শ্রুতির চাইতে হাত পা নেড়ে করাই ভালো। :)
  • একক | 24.96.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:১৩583381
  • সেক্ষেত্রে এই পুলুশ টার ভূমিকায় আমাদের রোগা কাঞ্চন কে হেব্বি মানাবে । পুরো কাস্টিং দেখতে পাচ্ছি !
  • 4z | 152.176.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ০২:০১583382
  • ব্যাপক!!
  • sumeru | 127.194.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ১১:৫৬583383
  • এক কুচি বিনয় চাই।
  • lcm | 34.4.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:০৭583384
  • মজুমদার?
  • kumu | 132.16.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:২৮583385
  • গুরুরা এইটা অভিনয় করে ইউটিউবে দিন দেখি।
  • 4z | 109.227.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:৩৩583386
  • পরের বছর পুজোর জন্য কুমুদির ঝুলিতে একটা নাটক জমা হল :)
  • সুকি | 212.16.***.*** | ০১ ডিসেম্বর ২০১২ ২০:৪০583387
  • যাঁরা পড়েলেন লেখাটি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। সুমেরুদা, বিনয়কে হালকা ঢোকাতে হবে মনে হচ্ছে এখানে - পরের বার আপডেটের সময় এটা মাথায় রাখব।
  • pi | 127.194.***.*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ১৮:৪১583388
  • যাতা ! ঃ)
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:৪৩583390
  • জট্টিলস্! :ডি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন