এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অনন্ত যাত্রায় শ্রদ্ধাঞ্জলি

    কুলদা রায়
    অন্যান্য | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ | ৬৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কুলদা রায় | 34.9.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:৩৫574093
  • অলীক মানুষ সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অনন্ত যাত্রায় শ্রদ্ধাঞ্জলি

    কুলদা রায়

    প্রিয় লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ চলে গেলেন ৩ সেপ্টেম্বর। কোলকাতায়। একটি হাসপাতালে। বয়স ৮২ তে পৌঁছেছিল। নানাবিধ বার্ধক্য রোগ তাকে ঘিরে ধরেছিল। তিনি ছিলেন আরবি-ফার্সি-সংস্কৃত-উর্দু-বাংলা ভাষায় সুপণ্ডিত। তিনি পার হয়েছিলেন সুদীর্ঘ লোক জীবন।

    শ্যামল-আতীন-সিরাজ নামের এই ত্রিভুজ কখনো লেখার সঙ্গে আপোষ করেননি। তারা তাদের নিজেদের লেখাটাই লিখেছেন। ফলে শ্যামলের শাহজাদা দারাশুকো, অতীনের নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে আর সিরাজের অলীক মানুষ যখন তাঁরা নির্মাণ করেন তখন আমরা বুঝতে পারি এই লেখার জন্যে শত বছর অপেক্ষা করা চলে। তাদের পাঠে পাঠকের আয়ু বাড়ে।

    সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অলীক মানুষ নিয়ে অনেক আগে একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখা হয়েছিল। তার নতুন যাত্রার সংবাদ পেয়ে সেটাকে আবার তোরঙ্গ থেকে বের করা হল।

    সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের অলীক মানুষের অমৃত পাঠ অথবা নির্বাসন কাল
    —————————————————————————–
    তাঁর অনন্ত যাত্রা আছে। শুরুও নেই–শেষও নেই এই নিঃসঙ্গ যাত্রার–নির্বাসন কালের।

    একটি গাড়ি বহর চলেছে। মাটি নিয়ে দুনিয়াদারি নেই। পদ্মাতীরের কাটালিয়া গ্রাম থেকে পোখরা। ক্যারাভন চলতে থাকে–বিলুটি গোবিন্দপুর, নবাবগঞ্জ, কুতুবগঞ্জ, খয়েরডাঙা, মৌলাহাট।সাতখানা গাড়িতে এই ঠাঁই বদল। স্ত্রী সাঈদা, অশক্ত মা, দুটো ছেলে–মেঝটি প্রতিবন্ধি মণি আর ছোটটি শফি। আরও আছে বাজা গরু মুন্নি, ধাড়ি ছাগল বাচ্চাসহ কুলসুম। খেদমত করার জন্য অবৈতনিক বান্দা কজন আর মুরিদ। বড় ছেলে নুরুজ্জামান ফাজিল পাশ করে পুরো দস্তুর উর্দু ভাষী–বুঝেছেন তারা বিখ্যাত পীর বংশের লোক। একটা তফাৎ রাখা দরকার গ্রামের গরীব-গুরবোদের থেকে। তাহলো ভাষার তফাৎ। আশরাফের ভাষা।তিনি সৈয়দ আবুল কাশেম মুহম্মদ বদি-উজ-জামান আল হুসায়নি আল খুরাসানি। তিনি চলেছেন–প্রচলিত পথ ছেড়ে–মাঠ পেরিয়ে। নদী পেরিয়ে। সামনে পথ দেখিয়ে চলেছে কালো জিন বা সাদা জিন। মৌলাহাট গ্রামটি দেখে থেমে পড়েছে এই সাত বহর। গ্রামের মানুষ সংবাদ পেয়ে নদী পাড়ে এসেছে। তারা সহজ সরল মানুষ। সারাদিন ভুতের খাটনি করে। তাদের বউ ঝিরা ক্ষেতে ভাত পৌঁছে দেয়। আর মুশকিল আসানের জন্য পীরের থানে যায়। কলাটা মূলাটা দেয়। তারা অপেক্ষা করছিল তাদের নিজস্ব এক পীরের জন্য। তাদের মনে হয়েছে পিতৃপুরুষ এরকম মাজেজাপূর্ণ পীরের আগমন সংবাদ বলে গিয়েছিলেন। তারা মৌলানাকে পেয়ে বর্তে যায়। তার নাম ছোট করে বলে–বদি পীর।

    আর এই বদু পীর পীরবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে। তার কাছে গান বাজনা হারাম। পরনে তার সফেদ পোষাক। মসজিদে পড়ে থাকেন। আর মৃদু স্বরে বলেন–কেতাবের কথা। তার মাঝে যখন মানুষ লোকটি জেগে ওঠে সে মানুষটি ঘরে গিয়ে সাইদার সঙ্গ করেন। সাঈদা তো তার বিবি। বিবি হল শস্যক্ষেত্রের মত। সাইদার কতটুকু ক্ষমতা। একদিন শুধু তাকে ফিরিয়ে দেন। কারণ তার জানা হয়েছে শুদ্ধস্বামী পরনারীতে আসক্ত। ফলে ফুঁসে ওঠা মৌলানা এতেকাফে পড়ে থাকেন। এ খবর কেউ জানে না।শুধু জানা যায় প্রতিবেশী বিধবা দরিয়াবানুর দুই কিশোরী মেয়ে রোজ-আর রুকুর বিয়ে দিয়ে দেন বড় ছেলে নূরুজ্জামানের সঙ্গে আর মেজ ছেলে অর্ধমানব মণির সঙ্গে। ছোট ছেলে শফি রুকুর বেদনা বুকে পুষে বিবাগী হয়ে পড়ে। দূরের গ্রামে একটি দহলিজ ঘরের দেওয়ালে টানানো বোররাখকে দেখে তার মনে হয় এই ঘোড়াটির মুখ রুকুর। অন্য কারো হতে পারে না। যে জন্য প্রাকৃত নারী আসমার শরীরী সঙ্গ তাকে রুকুর কষ্ট বাড়িয়েই তোলে। রুকু তার মেজ ভাইয়ের বিবি। আর–”রুকু ভাবে, যদি সে ‘জন্তু মানুষটার’ বউ না হত, তাহলে সংসারে কর্তৃত্বের ন্যায্য শরিকানাটা দখল করতে সেও হয়তো কোমরে আঁচল জড়াত। কিন্তু কী দরকার অত ঝামেলায় নাক গলিয়ে। বেশ তো আছে। না,–সত্যিই সে ভালো নেই। যখন তখন একটা জন্তু মানুষের কামার্ত আক্রমণ…।
    চোখ বুজে দাঁতে দাঁত চেপে রুকু তার অবশ শরীর রেখে পালিয়ে যায়–পালাতেই থাকে, দূরে–বহুদূরে। কিন্তু কোথায় যাবে?”

    আর মা দরিয়াবানু তার মেয়ের এই যন্ত্রণার অপরাধে কাতর হয়ে ডুমুর গাছে ঝুলে পড়েছে। শফি ইংরেজি শিখতে গিয়ে বংশচ্যুত। মানুষের মুক্তির জন্য লৌকিক সংগ্রামে নেমেছে। বিদ্যাচর্চা, প্রকৃতি, নারী সাহচর্য, ব্রহ্মবাদ ও মননচর্চা কিছুই তাকে ধরে রাখতে পারে না। হয়ে উঠেছে নৃশংস ঘাতক। উন্মুল। এই ঘাতক মানুষটিই এক সময় লোক মুখে হয়ে ওঠে একজন অলীক মানুষ–ছবিলাল। তার পিতা আল খোরাসানি তাঁর জাগতিক বুদ্ধি, শাস্ত্রীয় জ্ঞান এবং শরীরী বাসনা-কামনা নিয়ে হয়ে ওঠেন নিঃসঙ্গ মানুষ। স্ত্রী সাঈদার প্রত্যাখ্যান আর শফির আত্মগোপন তাঁকে তাঁর ধ্যানের জগৎ থেকে দূরে সরিয়ে আনে। তিনি চলে যান একা একা আবার দূরের যাত্রায়। ফিরে এলে এক কুহকী নারীর শরীর হয়ে ওঠে অনিবার্য গন্তব্য। তিনিই সফেদ পোষাক নিয়ে হয়ে ওঠেন দুশ্চরিত্রা ইকরাতুনের সন্তানের জনক। আর গ্রামের গরীবগুর্বো লোকজন এই পীরবিরোধী আল খোরাসানীকে লোকোত্তর প্রতিষ্ঠা দেয়–হয়ে ওঠে বদু। আর কবরটি মানতের মাজার।

    সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘অলীক মানুষ’ উনিশ-বিশ শতকের মুসলিম অন্দর মহলের এক তথ্যপূর্ণ ডকুমেন্টশন। তিনি নিমোর্হভাবে তার সহজাত ভাষায় বুনেছেন অসংখ্য কাহিনী-উপকাহিনীর মধ্যে দিয়ে একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস। একশ বছরের এই লৌকিক-অলৌকিকের মন্ময় আখ্যানটি রচিত হয়েছে কোলাজ রীতিতে। কখনো সহজ বয়ানে, কখনো মিথ ও কিংবন্তী আবার কখনো ব্যক্তিগত ডায়েরী, সংবাদপত্রের কাটিং জুড়ে দিয়ে দূর সময় ও বিস্ময়কর মানুষের বৃত্তান্ত। বাঙালি হিন্দু মুসলমান জীবনে এক অনাবিষ্কৃত এক সত্যের উদ্ভাসন।

    এরকম উপন্যাস দুই বাংলায় বিরল। পাঠ অমৃতসমান। কেননা অমৃতপাঠ থেকেই জানতে পারি :

    …’এখন ভাবি, পুরুষের জীবনে ওই যেন কঠিন নির্বাসনের কষ্ট-কাল! নারীর জরায়ু থেকে বেরিয়ে এসে নিরন্তর নারীর সঙ্গে স্পর্শে-সাহচর্যে বেড়ে উঠতে উঠতে তারপর সে ধীরে ধীরে দূরে যেতে থাকে অথবা তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় দূরে। নারীর শরীর, নারীর স্তন, নারীর ঠোঁট তাকে অচ্ছুৎ করে ফেলে। নিষিদ্ধ হয়ে ওঠে প্রিয় এক জগৎ, এবং নির্বাসিতের মতো, অচ্ছুতের মতো, তারপর দূরে সরে থাকা। আবার প্রতীক্ষায় থাকা, কবে ফিরবে প্রিয়তম ঘরে? কবে ফিরে পাবে সে নারীর শরীর, নারীর স্তন, নারীর ঠোঁট এবং নারীর জরায়ূ–শরীরের পারুষ্যের যৌবনের রক্তমূল্য দিয়ে সবল পেশীর শক্তি দিয়ে হবে তার প্রত্যাবর্তনজনিত পুনরাভিষেক? করে সে ফিরবে পুরনো কোমল ঘরে? কৈশোরের সেই প্রতীক্ষা আর নির্বাসনের কাল।’
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:২৩574104
  • স্মৃতি মাঝে মাঝেই প্রতারণা করছে।
    কেমন যেন মনে হচ্ছে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ ১৯৬৩-৬৪ তে "নন্দন" পূজো সংখ্যায় একটি উপন্যাস লিখেছিলেন।
    কেউ একটু চেক করে বলতে পারবেন?
    আর দেশ পত্রিকায় "গোঘ্ন" বলে ওনার একটি ছোটগল্প পড়ে জেনেছিলাম যে ঋগবেদে অতিথি আসলে গরু জবাই করে আপ্যায়নের রেয়াজ ছিল। তাই অতিথির একটি প্রতিশব্দ হল "গোঘ্ন"। অসাধারণ লেগেছিল গল্পটি।
  • aranya | 154.16.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:২৫574111
  • অলীক মানুষ নিয়ে কুলদা বাবু-র পর আর কিছু লেখার ধৃষ্টতা নেই। অদ্ভুত ভাল, এটুকুই বলতে পারি।

    গোয়েন্দা কাহিনীকে অনেকে তেমন পাত্তা দেন না। এই লেখকের সৃষ্টি কর্নেল একটি অসাধারণ চরিত্র। ছোটবেলায় ভালবেসে পড়তাম, কর্নেল-কে এখনও ভাল লাগে।

    এমন একটি মানুষ চলে গেলেন, আমরা আরও একটু নিঃস্ব হলাম।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৩৮574112
  • সিরাজ কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক ফ্রন্টে ছিলেন বেশ কিছুকাল। সেই সুত্রে নন্দনে নিয়মিত লেখালেখি করেছেন।

    `গোঘ্ন` বিখ্যাত গল্প। সিরাজ বলেছিলেন সুকুমারী ভট্টাচার্য্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লিখেছিলেন গল্পটা। আরেকটা খুনখার গল্প হল `ইন্তি, পিসি ও ঘাটবাবু`। .
  • aranya | 154.16.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৪২574113
  • আজকালে ওঁর উত্তর সম্পাদকীয় পড়েছি কিছু, বেশ ব্যালেন্সড লিখতেন।
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৫৪574114
  • সিদ্ধার্থ,
    ধন্যবাদ। আমারও ওমনি কিছু মনে পড়ছিল।
  • Lama | 127.194.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:২৯574115
  • কয়েক মাস আগে এক বিয়েবাড়িতে একজন আলাপ করিয়ে দিয়েছিল। বলেছিলেন নিজের হাতে আর লিখতে পারেন না, হাত কাঁপে। সহকারীকে দিয়ে লেখান। তবু আরো অনেক লেখার ইচ্ছে আছে।

    ছোটবেলায় যখন কর্ণেল নীলাদ্রি সরকারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তখন জানতাম না কর্ণেলের স্রষ্টা কি মাপের মানুষ বা কি দরের লেখক। বড় হয়েছি, কিন্তু আমার মধ্যে তিনি থেকে গে্ছেন কর্ণেল নীলাদ্রি সরকারের সৃষ্টিকর্তা হয়ে।

    আমাদের ছোটবেলার গন্ধ আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে।
  • cb | 121.93.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৪৯574116
  • কর্ণেল এক অদ্ভুত চরিত্র, আর জয়ন্ত সুন্দরী মেয়ে দেখলেই প্রেমে পড়ত ...:P

    মনটা খারাপ হয়ে গেছে বিকেল থেকেই
  • ranjan roy | 24.96.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:৩২574117
  • আমি কিশোরবয়সের জন্যে লেখা কর্ণেলকে তাচ্ছিল্য করছিনা।
    কিন্তু বলছি ওনার ৬০-৮০ দশকে লেখা উপন্যাস ও ছোটগল্পগুলোর কথা।
    তারাশংকরের লেখায় যেমন রাঢ় বাংলা, তার বিশেষ একটা সময়, উঠে এসেছে, তেমনি সিরাজের লেখায় পাই বরেন্দ্রভূমি বা বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ-মালদহ-রাজসাহী এলাকার চিত্র, মানুষজনের কথা। অসাধারণ! মাথা নত করলাম।
  • PT | 213.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৫৬574094
  • "গোঘ্ন" শব্দটি সেই প্রথম শিখলাম!!
  • কল্লোল | 230.226.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২২574095
  • অলীক মানুষ সব অর্থেই বাংলার মায়া বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। কুলদার কলম অক্ষয় হোক। এতো সুন্দর করে অলীক মানুষ নিয়ে লেখা, বড় মন কাড়ে।
    শুধু ওর লিস্টিতে আমি গৌর বাবুর ত্রয়ীকেও রাখতে চাই জল পড়ে পাতা নড়ে, প্রতিবেশী আর প্রেম নেই।
  • b | 135.2.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:০৪574096
  • গৌরকিশোরের লেখায় একটা মুশকিল আছে। উনি কেমন মনে হয়, মুসলমান সমাজকে বাইরে থেকে দেখেছেন। ফলতঃ কখনো কখনো ওনার কলম একটু মাস্টারি সুলভ হয়েছে। যেমন ঐ ত্রয়ীর কোথাও দেখছিলাম, কোনো এক চরিত্র, লিস্ট ধরে ধরে আলোচনা করেছে বাংলার মুসলমান চাষী কেন পিছিয়ে আছে। মনে হচ্ছিল কোন পাঠ্যপুস্তক পড়ছি।
  • kumu | 132.16.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১২574097
  • রাণী ঘাটের বৃত্তান্ত-অসাধারণ।
  • aranya | 154.16.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৩১574098
  • থ্যাংকস কুমু, গল্পটার কথা ভাবছিলাম, নাম-টা ঠিক মনে আসছিল না।
    সেই বাস কণ্ডাক্টর 'ফালতু', পাগলী মায়ের ছেলে, রাণীর ঘাটে কে কার বাবা।
    সত্যিই অসাধারণ।
  • Nina | 78.34.***.*** | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:৫৪574099
  • খুব মনটা খারাপ হয়ে গেল মুস্তাফা সিরাজ চলে গেলেন শুনে---বেশ কিছুদিন আগে ওনার লেখা হৃদয়-মৃদঙ্গ পড়ে এক অদ্ভুত জগতের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল----আরও মনকাড়া লেগেছিল কারণ তার কিছুটা ওনার নিজের জীবনেরই ঘটনা--আলকাপ দলের এক সুন্দর ছবি। সেই বইএর সুত্র ধরে পরিচালক রাজা সেনের ডকুমেন্ট্রি ও দেখার সৌভাগ্য হল--আলকাপ দের নিয়ে এবং তাতেই সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ নিজেও অনেক ঘটনার কথা বলেছেন-----
    বইটা কেন জানিনা খুব অন্যরকমের ভাল লেগেছে----বাংলা সাহিত্যর আর এক দিকপাল চলে গেলেন।
  • ranjan roy | 24.96.***.*** | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:২৮574100
  • গণশক্তি ও বর্তমানে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ সায়েবের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ পড়লাম। আশ্চর্য্য লাগল যে গণশক্তিতে সিরাজের বাম রাজনীতির প্রতি প্রতিবদ্ধতা ও প্রারম্ভিক জীবনের অ্যাক্টিভিজম নিয়ে কোন উল্লেখ নেই, অথচ বর্তমানের লেখায় আছে।
  • i | 147.157.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৫৪574101
  • বলো আমাকে রহস্যময় মানুষ, কাকে তুমি সবচেয়ে ভালোবাসো,
    তোমার পিতা, মাতা, ভ্রাতা, অথবা ভগ্নীকে ?
    পিতা, মাতা, ভ্রাতা, ভগ্নী – কিছুই নেই আমার।
    তোমার বন্ধুরা ?
    ঐ শব্দের অর্থ আমি কখনো জানিনি।
    তোমার দেশ ?
    জানি না কোন দ্রাঘিমায় তার অবস্থান।
    সৌন্দর্য ?
    পারতাম বটে তাকে ভালোবাসতে – দেবী তিনি, অমরা।
    কাঞ্চন ?
    ঘৃণা করি কাঞ্চন, যেমন তোমরা ঘৃণা করো ভগবানকে।
    বলো তবে, অদ্ভুত অচেনা মানুষ, কী ভালোবাসো তুমি ?
    আমি ভালোবাসি মেঘ ... চলিষ্ণু মেঘ ... ঐ উঁচুতে ... ওই উঁচুতে ...
    আমি ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল !
    ( অচেনা মানুষ, বোদলেয়র। অনুবাদঃ বুদ্ধদেব বসু )

    বীরেন চন্দ সম্পাদিত উত্তরধনিতে অলীক মানুষ নিয়ে বিপুল দাসের একটি আশ্চর্য লেখা ছিল। শুরুটা এভাবেই হয়েছিল-এই কবিতাটি দিয়েই।
  • i | 147.157.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৮:৫৬574102
  • দুঃখিত। উত্তরধ্বনি।
  • ranjan roy | 69.16.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:৫১574103
  • ধন্যবাদ ইন্দ্রাণী! এই কবিতাটি আগে কখনো পড়িনি।
  • aranya | 78.38.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:০০574105
  • বাঃ, সুন্দর কবিতা। ভাল লাগল।
  • i | 147.157.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:১৬574106
  • আসলে বিপুল বোদলেয়ারের দর্শনের সঙ্গে অলীক মানুষকে রেলেট করছিলেন-
    পড়ি শুনুনঃ
    "বোদলেয়র বিষয়ে বুদ্ধদেব বসুর লেখায় পাওয়া যায় –‘ তার বিষাদ পরিণত হয়েছে বিতৃষ্ণায় – শুধু জগতের প্রতি নয়, তার নিজেরও প্রতি; এবং বিতৃষ্ণা থেকে সঞ্জাত হয়েছে নির্বেদ ।।। যার প্রভাবে সময়ের মন্থরতা অসহ্য হয়ে ওঠে, নিজেকে মনে হয় নামহীন ত্রাসে পরিণত এক শিলাখন্ড মাত্র।
    শফির জীবনচক্রের সঙ্গে আশ্চর্য সাদৃশ্য বোদলেয়ারীয় দর্শনের। রুকুকে না পাইবার যন্ত্রণা ইত্যাদি ক্লিশে ভাবনা সরিয়ে রাখলে দেখা যায় বারি চৌধুরি নামের একজন নিপুণ শল্য-চিকিৎসক সেদিন শফির বুকে সফল অস্তর করেন। তার কলিজা থেকে স্থূল আবেগ কেটে বাদ দেওয়া হয় এবং ‘নেচার’ নামক ব্যাপ্তি জুড়ে দেওয়া হয়। ইহাই সিনা-চাথ। এই ব্যাপ্তিই শেষ পর্যন্ত শফিকে অধিকার করে নিয়েছিল। ধর্ম বিষয়ে শেষ পর্যন্ত তার এই ধারণা হয় – “ জিনগ্রস্তের মত একলা, জনহীন কোনও স্থানে থুথু ফেলে মনে মনে বলি, ঘৃণা ধর্মকে – যা মানুষের মধ্যে অসংখ্য অতল খাদ খুঁড়েছে। ঘৃণা, ঘৃণা এবং ঘৃণা। ধর্ম নিপাত যাক। ধর্মই মানুষের জীবনে যাবতীয় কষ্ট আর গ্লানির মূলে। ধর্ম মানুষকে হিন্দু অথবা মুসলমান করে। ধর্ম মানুষের স্বাভাবিক চেতনা আর বুদ্ধিকে ঘোলাটে করে। তার চোখে পরিয়ে দেয় ঘানির বলদের মত ঠুলি।“
    শফি ধর্মকে ঘৃণা করতে শিখেছিল। শিখেছিল বললে ভুল হবে। এই ঘৃণা একশ কুড়িদিন পরপর শরীরে লোহিতকণিকাদের মত তার শরীরেও জন্ম হচ্ছিল। এ উপন্যাসে শরীরের কথা অনেকবার এসেছে। শফির প্রথম নারীশরীর গ্রহণের অভিজ্ঞতা সংক্ষিপ্ত অথচ তীব্র কৌশলে লেখা হয়েছে। তার হরিণমারার স্কুলে পড়ার সময় সহপাঠি রবি তাকে শরীরের রহস্য বোঝাত। অই সময়ে নারীশরীরের বঙ্কিমরেখার রহস্য মনে অনেক ফ্যান্টাসির জন্ম দেয়। শফি তখন রুকুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখত। প্রথমবার অনাত্মীয়া যুবতীর উন্মুক্ত স্তন দেখার অভিজ্ঞতা এবং প্রতিক্রিয়া এবং পরে আসমার সঙ্গে মিলনের কথা আছে। এ কথাটি খেয়াল রাখা দরকার, কারণ আসমাকে তো সে নিজেই কলুষিত করেছিল, তবু কোনও ঘাতক প্রবৃত্তি তো জাগেনি। বরং সে নিজেই ‘প্রাকৃতিক স্বাধীনতার এই হঠকারিতায়’, শরীরের কাছে আত্মার পরাজয়ে তার মস্তিষ্ক থেকে শরীরকে আলাদা করে নিয়েছিল। তার কাছে হঠাৎ অপরিচিত মনে হয়েছিল তার নিজেরই শরীর। ‘আসমার শরীরে আমার শরীর মাথা কোটার ভঙ্গিতে আছড়ে পড়ছিল। হায় শরীর ! মানুষের হারামজাদা শরীর ! শুয়োরের বাচ্চা শরীর’। দেহমিলনের বর্ণনায় কোনও প্রচলিত উপমা নয়, ‘ মাথা কোটার ভঙ্গি’ এই তুলনা শরীরের কাছে শফির অসহায় সমর্পণ এবং পরাজয়ের ব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। জীবনে একবার অন্তত শফি টের পায়, শরীর কখনও কীভাবে বেইমান হয়ে ওঠে। সব প্রতিরোধ ভেঙে দিয়ে ‘শুয়োরের বাচ্চা’ হয়ে যায় এই শরীর।
    কিন্তু এসব তো ভূমিকামাত্র। যে ‘সৌন্দর্যের দিকে দৃষ্টিপাত করলে মৃত্যুর কাছে উৎসর্গীকৃত হতে হয় ‘ ( প্লাতিন, জার্মান কবি), আসমাক্কে শফি কখনও-ই সেই আসনে বসায়নি। সিতার, স্বাধীনবালা বা রত্নময়ী ছিল সেই প্রকৃতির অন্তর্গত রহস্যময় সৌন্দর্য। অথচ আসমার ক্ষেত্রে – ‘মনে হল সৌন্দর্য বা লালিত্যের তুলনায় আসমার হাতখানি ঈষৎ রুক্ষ আর শক্ত। স্রমজীবী নারীর হাত’। আসমাকে গ্রহণ করে শফি শুধুমাত্র শরীরের হঠকারিতায় বিমূঢ় হয়েছিল। "
  • i | 147.157.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২৩574107
  • বোদলেয়রের কবিতা দিয়ে বিপুল দাস লেখাটি শুরু করেছিলেন। তারপর সিরাজকে লেখা এক আশ্চর্য চিঠি ছিল। তার কিছু অংশ উদ্ধৃত করিঃ

    "ডিস্টাপ নিবেন না। এখনকার ফ্যাসাং তো জানা হয়। বইমেলায় বাঙালি বই গস্ত করে ও রোল খায়। এই দেশে ‘অলীক মানুষ’ কম মানুষ পড়ে। কারণ, এই বই আমাদের অস্তিত্বের শিকড়ে টান মারে, ফলত প্রাজ্ঞতার ধ্বজাসহ যাবতীয় প্রাক্তন সংজ্ঞা ভঙ্গ হয়। গড্ডল পাঠক ‘গুয়োর ডিম ভাঙেনি’ এই বাক্যের মর্ম বুঝে না, ওয়াহাবি মুবমেন্ট তো দূরের কথা। সাদা জিন ও কালো জিনের আবহমান দ্বন্দ্ব, জ্যোৎস্নায় নাঙা আওরত ও শফির ধাতব-শীতল নির্বেদ-বিষয়ক সমীকরণে উহারা সার্ত্রে খুঁজিতে থাকে, কামু-কাফকা-দস্তয়ভস্কি বিড়বিড়ায়, ‘আউটসাইডার’ বলিয়া চিক্কুর পাড়ে। এক অনন্ত খেলার ডাক দেয় সিতারা, স্বাধীনবালা, রত্নময়ী। লম্বা-নেকো আমার ব্যক্তিগত সিপাহি বলে যে, এই গ্রন্থ পাঠ করিলে নিশিকালে মস্তিষ্কে বেদনা হয়। আমি তবু ছয়/সাতবার পাঠ করি। মনে হয়, আপনাকে পত্র লিখি। জনাব, বড় ভালো খেলিয়াছেন।
    আও শফি, খেলুঙ্গি – এই বাক্য, আমার মনে হয় প্রত্যেকে জীবনে একবার শুনে। তীব্র ডেসিবেলে। খুব ঝামেলা হয়। মনে হয় হিলিয়াম-পরমাণুর কেন্দ্র ইহার উৎস। গীগার কাউন্টার ইহার নাগাল পায় না, ডিম্বভোজী দারোগা কোন ছার। নিতান্ত লৌকিক শব্দসমূহের কৌশলী বিন্যাসে অলৌকিক আবহ সৃষ্টি হইয়, আবার নির্মম কৌতুকে আপনি উহা ধুলামাটিতে পরিণত করেন। সর্বদাই মনে হয়, আপনার ঠোঁটের পাশে একটি বিদ্রূপময় বঙ্কিম হাস্যরেখা। কত সহজে আপনি মহামান্য পির সাহেবের বিবি সাইদার প্রাতঃকৃত্যের বর্ণনা করেন, জিনসকলের সহিত মওলানার বাহাস মোমেনগন কর্তৃক এলাকায় বাহিত হয় এবং উহারা দু’একবার হুজুরের মোজেজা আপন চক্ষে প্রত্যক্ষ করে – এই সকল বাখানকালে পাঠকের প্রতি আপনার তির্যক হাসি স্পষ্ট দেখিতে পাই। শেষতক লৌকিক-অলৌকিক উভয়েই গায়েব থাকে, জাহের হয় স্ত্রঙ্গে লিবের্ত্য। প্রসঙ্গত বলি, আপনার ‘সূর্যমুখী’ গল্পে যেমন বা নবীনের ক্ষুধা ও জবাফুলের মত দগদগে বেলাউজের মধ্যে এক অনন্ত ডিফারেনশ্যাল ক্যালকুলস খেলা করে, সিনক্রোনাইজ করে না, তেমনই এই উপন্যাসে বদুপির ও পিরজাদা শফির জীবনেও সেই ছুঁইবার আকুতি। তবু কিছু মায়া রহিয়া গেল। সেই মায়াপ্রতিমার চারু-নির্মাণ আপনার ‘অলীক মানুষ’। আর আপনার ‘মৃত্যুর ঘোড়া’ গল্পটি পড়া আছে যার, সে জানে ওই গল্প ‘অলীক মানুষ তালাশ করিবার জন্য যাত্রা শুরু। "
  • i | 147.157.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২৫574108
  • strange liberty স্ত্রঙ্গে লিবের্ত্য হয়ে গেছে। দুঃখিত।
  • শিবাংশু | 127.2.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:৪১574109
  • ভালো লাগলো ইন্দ্রাণী।

    প্রথম পড়ার পরেই 'অলীক মানুষ' নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে হয়েছিলো, কিন্তু লিখিনি। আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। মুগ্ধতাবোধ পর্ব পেরিয়ে আসতে পারিনি এখনও।

    আশ্চর্য লেখক, সীমায়িতভাবে জনাদৃত, কিন্তু গভীরভাবে মনাদৃত।
  • i | 147.157.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৩:৫৭574110
  • শিবাংশুদা,
    মুগ্ধতাপর্বেই লিখুন। অপেক্ষায় রইলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন