এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অসমের ছেলে মেয়েদের গোটা দেশে বিপন্ন করবেন না!

    সুশান্ত কর
    অন্যান্য | ১৬ আগস্ট ২০১২ | ৪০৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • b | 135.2.***.*** | ২৮ আগস্ট ২০১২ ১৫:১৮570428
  • গতকাল অসম বন্ধ ছিলো।সংঘ পরিবারের ডাকা। বে-আইনি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে।

    আজ আবার অসম বন্ধ। অল আসাম মাইনরিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ডাকা। বিটিসি চেয়ারম্যান হাগ্রামা মহিলারি-র অপসারণের দাবিতে। আমসুর সাপোর্টাররা বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের অফিস, ধুবড়ির গৌরীপুরে (প্রমথেশ ও লালজী বড়ুয়ার জন্মস্থান), পুড়িয়ে দিল। এছাড়াও পুলিশের গুলিতে, বন্ধ সমর্থকের হাতে কিম্বা গুজবে নিহত বেশ কয়েকজন।

    বিটিসি অঞ্চলে এখনো মারামারি কমে নি। রোজ-ই কেউ না কেউ মারা যাচ্ছেন। বেশির ভাগ-ই মরছেন ফলস সেন্স অফ সিকুরিটি থেকে, রিলিফ ক্যাম্প থেকে বাড়ি যেতে গিয়ে।

    বাজার গরম করা বক্তব্য ও প্রতিবক্তব্য চলছে। দু পক্ষেই।
    ইন্টারেস্টিং টাইম, ইন্টারেস্টিং প্লেস।
  • সুশান্ত কর | 127.203.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:০৯570430
  • unbiased বাবু, আমি কিন্তু, ঠিকই ধরেছেন, আনবায়াসড নই। এবং এটা স্বীকার করতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। আপনি আমাকে ঠিকই ধরেছেন। কী হবে নিরপেক্ষ থেকে? সত্যিই কি নিরপেক্ষতা বলে কিছু আছে? দেখুন , আমার বায়াসনেসের দুটো দিক আছে। এটাতো স্পষ্ট যে আমি আমার নিজের সম্প্রদায় বা বর্ণের প্রতি বায়াসড নই। একেবারেই ওদিকে হেলে পরা একটা লোক । এর কিছুতো মানে আছে। যারা মনে করেন সাম্প্রদায়িকতা , মৌলবাদ একটি সাংস্কৃতিক ইস্যু মাত্র যা কবেল ভোটের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়, তারা নিরপেক্ষ থাকবেন, থাকুন। আমি তো তা মনে করি না। করব যদি আমাকে বোঝাতে পারেন দুটো সাম্প্রদায়িকতাই সমান শক্তিশালী। দুটো সম্প্রদায়ের লোকেরাই সমানে সমানে আমাদের রাষ্ট্র, রাজ্যগুলো দখলে রেখেছেন। এবং ভোট রাজনীতির বাইরেও অর্থনৈতিক শোষনকে অর্থনীতি বহির্ভূত উপায়ে বৈধতা দেবার জন্যে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করা হয় না। এবং অর্থনীতির ক্ষমতা কেন্দ্রে যারা থাকেন কিম্বা আছেন এবং ক্ষমতার কেন্দ্রের বাইরে যারা রয়েছেন মোটা দাগে তাদের সম্প্রদায়গত পরিচিতি আলাদা নয়। আমিতো ঋষি অরবিন্দ থেকে জ্যোতি বসু যেভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার দীক্ষা দিয়েছেন তার ব্যর্থতা এবং হিন্দুত্বের দিকে হেলে পড়া বিষয়টাকে দেখেছি। শুধু আমি কেন, এই ভারতে এখন অনেকেই দেখছেন ধীরে ধীরে আমি সেই ব্যর্থ মতাদর্শের পক্ষে দাঁড়িয়ে শুধু শুধু নিজেকে ভালো লোক প্রমাণ করতে যাব কেন। আপনিই বলুন? আর বিশ্বায়নের যুগে সত্যি কি একটা দেশের সাম্প্রদায়িকতাকে বিশ্বরাজনীতির সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় কি আদৌ? আপনি কিছু মনে করবেন না, আপনার সমালোচনাতে আমি ক্ষুন্ন হইনি। আপনি আমার সম্পর্কে সম্মান নিয়ে অভিমত রেখেছেন, আত্মপক্ষে বলতে গিয়ে আমার আপনার বিরুদ্ধ অবস্থানে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না কিছু। আমি বরং আপনাকে অনুরোধ করব। চলুন, আমরা নিজেদের অবস্থান নিয়ে আন বায়াসড হয়ে যাই। মানে আমাকে কে কী বলল তাতে যেন ভীত চিন্তিত না হই। হিসেব করে দেখুন, গোটা বিশ্ব বাজারে, হ্যা আমি বাজার কথাটাতেই গুরুত্ব দিতে চাই কোন সাম্প্রদায়িকতার জোর কতটা? তারপরে আমরা দেশ অঞ্চলের হিসেবেও আসব। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা মার খেলে আমরা বেশ স্পষ্টবাদী হয়ে যাই, তসলিমার 'লজ্জা'কে নিয়ে সবাই গৌরব বোধ করি। খুব ভালো কথা। কিন্তু ভারতের প্রসঙ্গ এলেই আমরা কেমন নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ হয়ে যাই কেন? সবচে' বড় কথা হলো এই নিরপেক্ষতা ভারতের রাজনীতিতে আদৌ কোনো জায়গা করে নিতে পারেও নি। সবল সেই হিন্দুত্ববাদই হয়েছে আর থেকেছে। কখনো কংগ্রেস, কখনো বিজেপির নামে। এদেশে কোটি কোটি লোক কাসাবের ফাঁসি চেয়ে উল্লাস করে, আর বাবু বজরঙ্গীদের জীবন জুড়া জেল হলেই যারা খুশীতে ঈদ পালন করেন---তাদেরকেই বলা হয়ে থাকে সবচে হিংস্র এবং দেশদ্রোহী! এই দু'পক্ষকে পাল্লাতে তোলে আপনি ওজনে সমান করতে চাইছেন? আমি সবিনয়ে অনুরোধ করব, আমরা যেন সততার সঙ্গে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করি নিরপেক্ষতা গেল দেড় শতকে আমাদের দিয়েছেটা কী? আমরা কতটা সত্যি চিনেছি আমাদের সমাজ কে?
  • সুশান্ত কর | 127.203.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:০৯570429
  • unbiased বাবু, আমি কিন্তু, ঠিকই ধরেছেন, আনবায়াসড নই। এবং এটা স্বীকার করতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। আপনি আমাকে ঠিকই ধরেছেন। কী হবে নিরপেক্ষ থেকে? সত্যিই কি নিরপেক্ষতা বলে কিছু আছে? দেখুন , আমার বায়াসনেসের দুটো দিক আছে। এটাতো স্পষ্ট যে আমি আমার নিজের সম্প্রদায় বা বর্ণের প্রতি বায়াসড নই। একেবারেই ওদিকে হেলে পরা একটা লোক । এর কিছুতো মানে আছে। যারা মনে করেন সাম্প্রদায়িকতা , মৌলবাদ একটি সাংস্কৃতিক ইস্যু মাত্র যা কবেল ভোটের স্বার্থে ব্যবহৃত হয়, তারা নিরপেক্ষ থাকবেন, থাকুন। আমি তো তা মনে করি না। করব যদি আমাকে বোঝাতে পারেন দুটো সাম্প্রদায়িকতাই সমান শক্তিশালী। দুটো সম্প্রদায়ের লোকেরাই সমানে সমানে আমাদের রাষ্ট্র, রাজ্যগুলো দখলে রেখেছেন। এবং ভোট রাজনীতির বাইরেও অর্থনৈতিক শোষনকে অর্থনীতি বহির্ভূত উপায়ে বৈধতা দেবার জন্যে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করা হয় না। এবং অর্থনীতির ক্ষমতা কেন্দ্রে যারা থাকেন কিম্বা আছেন এবং ক্ষমতার কেন্দ্রের বাইরে যারা রয়েছেন মোটা দাগে তাদের সম্প্রদায়গত পরিচিতি আলাদা নয়। আমিতো ঋষি অরবিন্দ থেকে জ্যোতি বসু যেভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার দীক্ষা দিয়েছেন তার ব্যর্থতা এবং হিন্দুত্বের দিকে হেলে পড়া বিষয়টাকে দেখেছি। শুধু আমি কেন, এই ভারতে এখন অনেকেই দেখছেন ধীরে ধীরে আমি সেই ব্যর্থ মতাদর্শের পক্ষে দাঁড়িয়ে শুধু শুধু নিজেকে ভালো লোক প্রমাণ করতে যাব কেন। আপনিই বলুন? আর বিশ্বায়নের যুগে সত্যি কি একটা দেশের সাম্প্রদায়িকতাকে বিশ্বরাজনীতির সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেখা যায় কি আদৌ? আপনি কিছু মনে করবেন না, আপনার সমালোচনাতে আমি ক্ষুন্ন হইনি। আপনি আমার সম্পর্কে সম্মান নিয়ে অভিমত রেখেছেন, আত্মপক্ষে বলতে গিয়ে আমার আপনার বিরুদ্ধ অবস্থানে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না কিছু। আমি বরং আপনাকে অনুরোধ করব। চলুন, আমরা নিজেদের অবস্থান নিয়ে আন বায়াসড হয়ে যাই। মানে আমাকে কে কী বলল তাতে যেন ভীত চিন্তিত না হই। হিসেব করে দেখুন, গোটা বিশ্ব বাজারে, হ্যা আমি বাজার কথাটাতেই গুরুত্ব দিতে চাই কোন সাম্প্রদায়িকতার জোর কতটা? তারপরে আমরা দেশ অঞ্চলের হিসেবেও আসব। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা মার খেলে আমরা বেশ স্পষ্টবাদী হয়ে যাই, তসলিমার 'লজ্জা'কে নিয়ে সবাই গৌরব বোধ করি। খুব ভালো কথা। কিন্তু ভারতের প্রসঙ্গ এলেই আমরা কেমন নিরপেক্ষ নিরপেক্ষ হয়ে যাই কেন? সবচে' বড় কথা হলো এই নিরপেক্ষতা ভারতের রাজনীতিতে আদৌ কোনো জায়গা করে নিতে পারেও নি। সবল সেই হিন্দুত্ববাদই হয়েছে আর থেকেছে। কখনো কংগ্রেস, কখনো বিজেপির নামে। এদেশে কোটি কোটি লোক কাসাবের ফাঁসি চেয়ে উল্লাস করে, আর বাবু বজরঙ্গীদের জীবন জুড়া জেল হলেই যারা খুশীতে ঈদ পালন করেন---তাদেরকেই বলা হয়ে থাকে সবচে হিংস্র এবং দেশদ্রোহী! এই দু'পক্ষকে পাল্লাতে তোলে আপনি ওজনে সমান করতে চাইছেন? আমি সবিনয়ে অনুরোধ করব, আমরা যেন সততার সঙ্গে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করি নিরপেক্ষতা গেল দেড় শতকে আমাদের দিয়েছেটা কী? আমরা কতটা সত্যি চিনেছি আমাদের সমাজ কে?
  • সুশান্ত | 127.203.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২৫570431
  • এই যে দু'দিন পাশাপাশি অসম বন্ধ হলো। প্রথম দিন বজরঙদলের ডাকে । গোটা অসমে বন্ধ শান্তি পূর্ণ এবং ব্যাপক ছিল। দ্বিতীয় দিন আমসু এবং আরো ৩২টি সংগঠনের ডাকে ভাটি অসম ছাড়া উজান অসমে বন্ধ প্রায় হলোই না। গুয়াহাটিতেও ছিল আংশিক। সেদিন বন্ধ করাতে গিয়ে হাঙ্গামা হলো। জানা গেছে কংগ্রেসী লোক ঢুকে বেছে বেছে হিন্দু বাঙালিদের উপর হামলা চালিয়েছে। শাসক শ্রেণি কথা ওখানেই আটকে রেখেছে। এতে বুঝি প্রমাণ হয়ে গেল আমসু সবচে বিপজ্জনক সংগঠন, ওদের নিষিদ্ধ করা উচিত। সংবাদ পত্রগুলো ওদের কোনো আত্মপক্ষ সমর্থণের যূযোগ না দিয়েই তিন মাসের জন্যে বয়কটের ডাক দিল। নইলে বুঝি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি থাকবে না। বজরং দল মনে মনে নিজের ক্ষমতআ উপভোগ করল প্রচুর ! একে নিরপেক্ষতা বলে? অথচ প্রচুর বামেরাও এই জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন। অথচ, কেউ প্রশ্ন করল না, বেছে বেছে বাঙালি হিন্দু কেন? বা এতো দিন শুধু বডোদের বিরুদ্ধে কেন? কেন নয় অসমিয়া হিন্দু? কেন নয় আসু-আলফা? এমন আরো অসংখ্যা প্রশ্ন নিরপেক্ষতা কিম্বা হিন্দুত্বের চাপে আড়ালে থেকে যায়, নিত্য প্রতিরুদ্ধ হয় মুসলমানের কণ্ঠ!
  • কল্লোল | 230.226.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:২৯570432
  • ব্যাঙ্গালুরু আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। উঃপূ;এর মানুষেরা অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ করছেন, ফিরে আসছেন।
    সক্কলকে ধন্যবাদ যারা পাশে ছিলেন, শুভকামনা করেছেন।
  • aranya | 78.38.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১০:৪১570433
  • 'গোটা বিশ্ব বাজারে, হ্যা আমি বাজার কথাটাতেই গুরুত্ব দিতে চাই কোন সাম্প্রদায়িকতার জোর কতটা?' - এইটা নিয়ে কি সুশান্ত বাবু একটু লিখবেন।
    ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যাপারটা মোটামুটি জানি। বিশ্ব বাজারে সাম্প্রদায়িকতা বলতে ঠিক কি বলতে চাইছেন?
  • প্পন | 122.133.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:৪১570434
  • লুরুতে কিছু হবে না জানাই ছিল। গুজবের জন্য ভুল জায়গা বেছেছিল। কাবেরীর জল ছাড়া এখানে অন্য কিছু নিয়ে বাওয়াল হয় না।

    সুশান্তবাবুর একটা পোস্টে দেখলাম লিখেছেন গুজরাটের পরেই সংখ্যালঘুরা যেখানে সবচেয়ে বিপন্ন বোধ করেন/সবচেয়ে নির্যাতিত (এইরকমই কিছু) সেটা হল কর্ণাটক। এইটা কি জাস্ট আবেগের বশে লেখা নাকি কোন ডেটা আছে?
  • বলরাম হাড়ি | 94.235.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১২:০৫570435
  • গুজরাতের হয়ে যাওয়ার পর এই মূহুর্তে কর্ণাটক হল বিজেপি-ভিএইচপির সবথেকে বড়ো পরীক্ষাগার। বিশেষতঃ উপকূলবর্তী কর্ণাটক। ২০০০ নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৪৪টি আসন। ২০০৪ নির্বাচনে প্রায় দ্বিগুণ- ৭৯টি। ২০০৮ সালে ১১০। অবাক হব না যদি পরের নির্বাচনে আসন আরও বাড়ে যাবতীয় দুর্নীতি সত্ত্বেও। এই আসন বাড়া এমন একটা সময়ে হচ্ছে যখন ভারতের বাকি রাজ্যে ও কেন্দ্রে বিজেপির খুব একটা ভালো অবস্থা নয়।
  • প্পন | 122.133.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১২:১৪570436
  • দেখা যাক বাড়ে কিনা। ম্যাঙ্গালোরের দিকে জেনুইন প্রবলেম আছে। তবে আমার মনে হয় হিন্দু এক্সট্রিমিস্টদের প্রভাব বিচার করলে একনো ছত্তিশগড় বা মহারাষ্ট্র গুজরাতের পরেই থাকবে।
  • unbiased | 131.24.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৩৫570440
  • সুশান্ত বাবু ,
    আমি আমার ei নিরপেক্ষতা নিয়ে গর্বিত । আমি mone করি একটা vul দিয়ে আরেক ta vul ke justify করা jay না । দেশ, কাল, পাত্র nirbisheshe । বিচারের মানদন্ড সবার ক্ষেত্রে সমান। ত্রুটি থাকলে সেটা আমাদের ত্রুটি, বিচারের নয় । লাস্টলি আমি nije কে democratic bharater নাগরিক বলেই mone করি । let us agree to disagree। boktobyo আমার ভালো লাগলে ভালো bolbo , kharap লাগলে somalochona korbo
  • siki | 96.96.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:০২570441
  • এমন বাংরেজি কেন?
  • kd | 69.93.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:০৬570442
  • আনবায়াস্‌ড যে সত্যিই আনবায়াস্‌ড, এমনকি ভাষাতেও, সেটাও বুঝিয়ে দিলেন। ঃ)
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:৫১570443
  • বুঝলাম না। মেজরিটির সাম্প্রদায়িকতা ও ,মাইনরিটির সাম্প্রদায়িকতা কি তুল্যমূল্য? আম্রিকায় শ্বেত ও কৃষ্ণ সাম্প্রদায়িকতা? ভারতে হিন্দু বনাম মুসলিম বা শিখ বা ক্রিশ্চান সাম্প্রদায়িকতা? বাংলাদেশে ও পাকিস্তানে মুসলিম বনাম হিন্দু ও ক্রিশ্চান সাম্প্রদায়িকতা? মহারাষ্ট্রে মারাঠি বনাম হিন্দিভাষী সাম্প্রদায়িকতা? বঙ্গে বাঙালী বনাম হিন্দি( খোট্টা/মেড়ো) সাম্প্রাদায়িকতা?
    সবার ভর বা ওজন বা দায়িত্ব বা ইম্প্যাক্ট সমান?
    ইহাতে কোন মেটাফর নাই। গোদা কোচ্চেনঃ)))
  • সুশান্ত কর | 127.203.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৩৫570444
  • Un bised বাবু, ইংরেজি বানান টাইপ করা এখানে বড় ঝক্কি। ভুল হলে কিছু মনে করবেন না। হ্যা, আপনার অভিমতটাও একটা মত। আমার মতটাও একটা মত। এবং আমার ধারনা, আমার মতগুলো সাম্প্রতিক। মানে অনেকেই ভারতে এমন ভাবছেন। আমি মনে করি, আমি ঠিকই আছি। বিশেষ করে আমি যদি আমার অবস্থানের উর্ধে সমস্যাগুলোর সমাধান দাবী করে বিচার করি। রঞ্জন বাবু ঠিকই প্রশ্ন করেছেন। আপনি না মানলে কিছু করবার নেই, এখানে তর্ক করে বোঝানো যাবে না। হিন্দু মুসলমান যদি বাদও দিই। আমি একজন অসমের বাঙালি। আর আমি মনে করি না, অসমে অসমিয়া জাতীয়তাবাদ এবং অসমিয়া জাতীয়তাবাদ সমান বিপদ হতে পারে। গোটা অসমে এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতীর আওয়াজ উঠছে। কিন্তু কী বলে, অসমিয়ার মধ্যে হিন্দু মুসলমান নেই! আমার মতো বাঙালি বিহারি ওদের হিসেবেই নেই। এবং কেন নেই , এই প্রশ্ন করবার আমার কোনো ক্ষমতাও নেই। প্রশ্ন ক্রলেই মার খাবো। এটা বাঙালি জানেন বলেই বরাক উপত্যকার বাইরে নিরবে আছেন। আমার মতো কেউ কেঊ নেটে সরব। অধিকাংশ তাও নীরব।
    অরণ্য প্রশ্ন করেছেন, "বিশ্ব বাজারে সাম্প্রদায়িকতা বলতে ঠিক কি বলতে চাইছেন?" এটি ভীষণ জটিল। প্রশ্ন বিশ্ব নিয়ে টানাটানি । বিচ্ছিন্ন করে বলতে যাব না, প্রচুর ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা। তবে বিশ্ব পুঁজিবাদের ইতিহাসে কালো বিদ্বেষ, ইহুদী বিদ্বেষ এবং সাম্প্রতিক ইসলাম বিদ্বেষ মিলিয়ে দেখলে কিছুটা ( আবার বলছি কিছুটা) আঁচ করতে পারেন। সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া মার্কিন অর্থনীতিও টিকে নেই। নেই ইউরো কিম্বা চীনা অর্থনীতিও।
  • সুশান্ত | 127.203.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৩৬570445
  • অসমে অসমিয়া জাতীয়তাবাদ এবং অসমিয়া জাতীয়তাবাদ সমান বিপদ --কথাটা হবে ঃ অসমে অসমিয়া জাতীয়তাবাদ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ সমান বিপদ
  • kd | 69.93.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৫২570446
  • সুশান্তবাবু, অন্য ফিল্ডে হ'লেও হতে পারে, কিন্তু পুঁজিবাদ জগতে ইহুদী সম্প্রদায় ভীষণভাবে জড়িত, অনেকটা তাদের দ্বারাই পরিচালিত, সেখানে বিদ্বেষ থাকলেও ওটা ইহুদী বিদ্বেষ নয়। IMHO.

    পুঁজিবাদীদের সঙ্গে প্রায় সারাজীবনই কাটিয়েছি, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। পুঁজিবাদীরা শুধু পুঁজি চেনে, সেখানে এমন সিলেক্টিভ বিদ্বেষ বড়ই আনপ্রোডাক্টিভ (জানেন তো, হীরের গয়না গুয়ে পড়ে গেলেও তার ভ্যালু কমে না)।
  • kd | 69.93.***.*** | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০২:০১570447
  • অবিস্যি পুঁজিবাদ বলতে যদি আমেরিকা বলতে চান, তাহ'লে আমার কিছু বলার নেই। তবে এটাও জানি, আমেরিকার নিন্দে না করলে বাঙালী হয়ে জন্মানোই বৃথা।

    সুশান্তবাবু, আপনার লেখা খুব মন দিয়ে পড়ি, আপনি আলফাল কথা বলার লোক বলে কোনদিন মনে হয়নি। আমার মনে হ'লো আপনার ওই কমেন্ট আপনার বাকি পোস্টের সঙ্গে কেমন বেমানান - তাই এই পোস্ট। যদি ভুল করে থাকি, ক্ষমা করবেন।
  • সুশান্ত কর | 127.203.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৩৮570449
  • kd এখানে চলছে খুচরো আলাপ। সুগ্রন্থিত নিবন্ধতো নয়। তাই বিভ্রান্তির যুযোগ দু'তরফেই থাকতে পারে। সংলাপের মাঝে প্রচুর আওয়াজ চিরদিনই আমাদের বোধভ্রান্তি ঘটায়। আমি একটা নজির দিই,"তবে বিশ্ব পুঁজিবাদের ইতিহাসে কালো বিদ্বেষ, ইহুদী বিদ্বেষ এবং সাম্প্রতিক ইসলাম বিদ্বেষ মিলিয়ে দেখলে কিছুটা ( আবার বলছি কিছুটা) আঁচ করতে পারেন। " এই যে ইহুদী বিদ্বেষের কথা বললাম, এক বাক্যে এর বেছি কীই বা বলতে পারি। কিন্তু হিটলারের দেশে হিহুদী বিদ্বেষের কথা ভুলবেন কী করে? আশা করি, এবারে আপনিও মেনে নেবেন , হ্যা হিটলার তাঁর পুঁজিবাদি বদমায়েসীকে এভাবেই বৈধতা দিয়েছিল বটে। তার সময়েও তো এটাই সত্য ছিল"পুঁজিবাদীরা শুধু পুঁজি চেনে" । ইহুদীরা বিশ্বজূড়ে এক অবস্থানে ছিল কি? না এখনা আছে? হ্যা, বিশ্বপুঁজিবাদের এরা এক বড় শরিক চিরদিনই। কিন্তু স্থান কালের বৈচিত্রটা মনে রাখব না? আর "আমেরিকার নিন্দে না করলে বাঙালী হয়ে জন্মানোই বৃথা।" এটা এক নবনির্মিত বাঙালি ভাষ্য মাত্র। কিছু লোক ইঁদুর মরলেও মার্কিনিদের দিকে দায় ঘুরিয়ে দিত। কিন্তু সে তাদের কাজ ম বা সেই পদ্ধতির কাজ যেমন আজকাল দায় চাপানো হয় আই এস আই-র ঘাড়ে। ইদূর কোথাও মরলেই হলো। তখন এটা করতা হতো, কারণ সভিয়েত পাপকে ঢাকার দরকার পড়ত কিছু লোকের। অন্যথা ভেবে দেখুন মার্কিনিদের দিকে আঙুল তোলবার লোক এখন গোতা ভারতেই প্রচুর আছেন, আর খোদ আমেরিকাতেই নিত্য বেরেই চলেছেন। আমাকে নাহয় সে ই সব বাঙালি জন্মের দল নাই ফেললেন! :) আমি আবার মার্কিনি নিন্দের ব্যাপারটা অসমিয়া বই পত্তর পড়তে পড়তে আর বন্ধু সঙ্গে থাকতে থাকতে শিখছি! সুতরাং ...! আর অসমে পুঁজিবাদের গোটা উত্থানের যুগ ধরে ,অসমিয়া জাতি গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হ'বই লাগিব বলে শুনেও আসছি' আর দেখে আসছি নিত্য রক্তপাত! আর অনসমিয়াদের সমস্ত কিছু থেকে বহিষ্করণ, জানি না আর কত দেখতে হবে! মুসলমান বাদ দিন বাঙালি হিন্দুই এই জাতীয়তাবাদের চাপে এক নির্জীব নিরমিষ প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। এখানে নিরপেক্ষতার কী মূল্য?
  • সুশান্ত | 127.203.***.*** | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০১:৪০570450
  • গুরুর সাইটের একটা সমস্যা দেখছি, কোনো পোষ্ট একবার দিয়ে দিলে আর সম্পাদনা করা যায় না। বা মোছা যায় না। আমার পোষ্টে প্রচুর টাইপো থেকে গেল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন