এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছোটো গল্পের ছোটা কাহিনী

    baappaaditya
    অন্যান্য | ১৭ এপ্রিল ২০০৬ | ১৪০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • baappaaditya | 203.17.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৬:৪৭563321
  • বাংলা ছোটগল্পের লেখকদের মধ্যে কে এক, কে দুই, আর কেন, ইত্যাদি .. নিয়ে এক মজার লড়াই হয়েছিল অনেকদিন আগে, আমলাশোলে না হাফসোলে, আমেদাবাদে না আমিবাদে বা বরবাদে, তা মনে নেই। তবে সেখানকার স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক নিয়মে ছিঁচকান্না, গোসাঘর বা জানলায় খিল, হাতজোড়, নয় নয় করে, ন্যাকা ন্যাকা অনু আর বি সব নয় ইস্তক হয়েছিল। .... সে আমার মরশুমী পরবাসী অসময়ের দিন।
    আজ তিন মাস এদেশে। অনেকদিনের বাসি অ-পরবাসী সময়ের কুঁকড়ে থাকা ফাঁকফোকরে হঠাৎ হঠাৎ এই 'ফটিক জল'-মন খোঁজে সেই অসময়ের অবাক জলপান গল্পগুলো। এই খোঁজের জেরে সেদিন চোখে পড়লো এক মস্ত লেখা, একটু পুরোনো কিন্তু বেশ মুচমুচে, প্রাসঙ্গিক তো বটেই আর তা সবসময়েই, এ যে শেষ হয়েও না শেষ হওয়ার গপ্পোগাথার চলতে থাকা আরেক না-শেষ গাথা। লেখাটা প্রথম বেরিয়েছিল ১৯৭৭-এ আর দু দুবারের মাথায় ছাপা হয়েছিল ১৯৮৬তে, মানে যেটা আমি পড়লুম। লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো, রবীন্দ্রনাথের কথায় সার্থক সংজ্ঞার মতোই বাংলা ছোটো বা বড় গল্পের শুরু, চলা, বেড়ে ওঠা। সময়ের সাথে সাথে বদলানো সামাজিক, আন্তর্জাতিক, আর্থিক এবং তার সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক কাঠামো বা কাঠামোগত মানসিকতার হাত ধরে ধরে বদলের বাঁক ঘুরে ঘুরে গল্পও চলেছে লেখকদের কাঁধের বাঁক চড়ে চড়ে। কত লেখক, কত গল্পকার কত সময় ধরে ধরে তাঁদের ব্যাটনের হাতবদলের এই ম্যারাথন রীলে রেস চালু রেখেছেন তার হিসেব কষা এক পাহাড়-প্রমান কাজ। আর পাহাড়টা যেখানে বাংলা গল্প তাকে পার করা বা জেতা দুটোই অসম্ভব, কারণ সেও যে চলছে, বড় হচ্ছে আর আমরা চলছি - তাকে পার করার জন্যে নয়, অনেক বড় কারুর হাত ধরে অনেক ছোট্ট এক মানবকের মতো...., তার পিছনে পিছনে বা পাশে পাশে।

    পড়তে পড়তে ভাটিয়া৯র ভাটেদের সাথে ভাগ-বাঁটোয়ারার কথাও বারবার খোঁচাচ্ছিলো। হয়তো কেউ পড়েছেন, কিন্তু কে পড়েছেন না ভেবে অনেকের নেকনজরে যে এ পড়েনি, দুষ্ট মনে তা মনে করেই এই নজরানা আমার, সবার কাছে -

    *** বাংলা ছোটগল্পের প্রথম সার্থক শিল্পী রবীন্দ্রনাথ। ছোটগল্পের প্রাণপ্রতিষ্ঠা, বিকাশের পথে তাঁর অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন প্রেম, প্রকৃতি, সমাজ-সমস্যা, দার্শনিকতা, কাব্যধর্মিতা, রোমান্স, ইতিহাস, ব্যাঙ্গ - সমস্ত ক্ষেত্রেই তাঁর স্বচ্ছন্দ বিহার - ১৮৯০ থেকে ১৯৪০, এই দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর।

    তাঁর সমকালে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও প্রমথ চৌধুরীও ছোটগল্পের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেন ভিন্নতর ভাবে।

    রবীন্দ্র-শরৎ পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৮০ সাল অবধি বাঙালী মানসিকতার নানা অভিজ্ঞতার রূপান্তর ঘটেছে। রবীন্দ্র-শরৎ-এর অব্যবহিত পরের পর্বের নাম কল্লোল-পর্ব। কল্লোল-কালিকলম- গোষ্ঠীর ছোটগল্পের লেখকেরা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, ভারতে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন সত্বেও মোটামুটি শান্তি সুস্থিতির মধ্যে গল্প লিখে গেছেন। এই পর্ব্বেই দেখা দেন তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, প্রেমেন্দ্র মিত্র, বুদ্ধদেব বসু, মণীশ ঘটক(যুবনাশ্ব), প্রবোধকুমার সান্ন্যাল, ভবানী মুখোপাধ্যায়; বিচিত্রা ও শনিবারের চিঠির পাতায় দেখা দিলেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, মাণিক বন্দোপাধ্যায়, অন্নদাশঙ্কর রায়, বনফুল, বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়, শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ মৈত্র, পরিমল গোস্বামী, সজনীকান্ত দাস, প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, সরোজকুমার রায়চৌধুরী, প্রমথনাথ বিশী, গজেন্দ্রকুমার মিত্র, আশাপূর্ণা দেবী, মনোজ বসু, বিমল মিত্র। এই পর্ব্বেই আরও দেখা দেন পরশুরাম(রাজশেখর বসু) উৎকৃষ্ট ব্যঙ্গকৌতুক হাস্যরসের গল্প সমেত।

    কল্লোল-পরবর্তী পর্ব্ব বলতে যে সময়, তার পূর্ব্বসীমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা, উত্তরসীমা স্বাধীনতাপ্রাপ্তি ও দেশবিভাগ অর্থাৎ ১৯৩৯-১৯৪৭। এই আট-ন বছর বাংলা সমাজে ও রাষ্ট্রে এক যুগান্তর, এক কালান্তর পর্ব্ব। মন্বন্তর, বিমান-হানা, ক®¸ট্রাল/রেশনিং, মিলিটারী সাপ্লাই ও কালোবাজারী, সমাজজীবনের অধোগতি, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, নৈতিক মূল্যবোধের বিনাশ, দাঙ্গা, স্বাধীনতা, দেশ বিভাগ ও উদ্বাস্তু স্রোত - এরকম একরাশ বিপর্যয়কারী ঘটনা ঘটেছে এই পর্ব্বে।

    এসময় যাঁরা গল্প লেখায় হাত দিয়েছেন, সাহিত্যচেতনার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গেই এই বিপর্যস্ত যুগ সম্বন্ধে তাঁদের প্রত্যক্ষ পরিচয়ও ঘটেছে। অশান্ত, বিক্ষুব্ধ সামাজিক বাতাবরণ তাঁদের দৃষ্টিকে কিছুটা ব্যাহত, তীক্ষ্ণ ও আবিল করে তুলেছে। কল্লোল-পর্ব্বের রোমান্টিকতা, বোহেমিয়ান মনোভাব ও নোঙরছেঁড়া প্রেমের অভিযান এই পর্ব্বের গল্পে প্রায় অনুপস্থিত। সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের ভাঙাগড়া, সমস্যা, ব্যতিক্রম, ইত্যাদি মিলে দ্রুত ও অসংখ্য পরিবর্তনের প্রবল প্রবাহ গল্পকারের কৌতুহল ও বোধশক্তিকে করেছে তীব্র, তীক্ষ্ণ। সুপ্রচলিত বিধিনিষেধের শিথিলতা, উৎকেন্দ্রিকতা, ও অস্বাভাবিকতার দেখা পাওয়া, সূক্ষ্ম অতৃপ্তিতে মানুষের পীড়া, রুচিবিকারে নতুনের স্বাদ প্রত্যাশা, নতুন শপথ আর অঙ্গীকারে জীবনযুদ্ধের নতুন চেহারা যুদ্ধপূর্ব্ব যুগে ছিল অচিন্তনীয়। যুদ্ধ নামক ভয়াবহ ভূমিকম্প - ফলস্বরূপ ধুলিসাৎ হলো ভদ্রতার আবরণ, নীতির রক্ষাকবচ, পারিবারিক মানসম্ভ্রম, মায়ামমতা, আনুগত্য, ধর্মসংস্কার - প্রায় সব। এর মাঝেই শোনা গেল নতুন সমাজ গড়ার শপথের উচ্চারণ, দেখা গেল এক নতুন দুনিয়ার স্বপ্ন।

    এরকম পরিবর্তন যাঁদের ছোটোগল্পে আভাসিত তাঁরা হলেন সুবোধ ঘোষ, সতীনাথ ভাদুড়ী, সন্তোষকুমার ঘোষ, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ মিত্র, নবেন্দু ঘোষ, ননী ভৌমিক, সুনীল জানা, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী। এর সাথে সাথে পূর্ব্বাগত যে সব গল্পকারদের নাম মনে রাখা দরকার, তাঁরা হলেন জগদীশ গুপ্ত, মাণিক বন্দোপাধ্যায়, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, প্রবোধকুমার সান্ন্যাল প্রমুখ কল্লোল-গোষ্ঠীভুক্ত লেখক এবং বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়, তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়, মনোজ বসু, সরোজকুমার রায়চৌধুরী, আশাপূর্ণা দেবী, প্রমথনাথ বিশী, পরিমল গোস্বামী, বনফুল, বাণী রায়, সুশীল ঘোষ, চারুচন্দ্র চক্রবর্তী প্রমুখ বিচিত্রা-শনিবারের চিঠির গোষ্ঠীভুক্ত লেখকেরা।

    এর পরেই এলো রক্তাক্ত খণ্ডিত স্বাধীনতা। এলো উদ্বাস্তুর স্রোত, এলো আরও বড় আকারে সামাজিক ভারসাম্যের বিচ্যুতি। স্বাধীনতার তোরণদ্বারে উচ্চারিত আশা আনন্দের বাণীকে ছাপিয়ে উঠলো উদ্বাস্তু ও বঞ্চিতের কান্না। এই বিক্ষুব্ধ রক্তাক্ত স্বদেশভূমিতে দেখা দিলেন সমরেশ বসু, বিমল কর, রমাপদ চৌধুরী, সৈয়দ মুজতবা আলী, হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, প্রভাত দেব সরকার, শান্তিরঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, স্বরাজ বন্দোপাধ্যায়, প্রাণতোষ ঘটক, সুধীররঞ্জন মুখোপাধ্যায়, সুশীল রায়, রঞ্জন, শচীন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, সুলেখা সান্ন্যাল, গৌরকিশোর ঘোষ, আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, সত্যপ্রিয় ঘোষ, আশীষ বর্মন, অমিয়ভূষণ মজুমদার, কমলকুমার মজুমদার, গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য, দীপক চৌধুরী, মহাশ্বেতা দেবী ও আরও অনেকে।

    এই পর্ব্বে গল্পলেখকেরা অব্যবহিত পূর্ব্ববর্তী পর্ব্বের গল্পকারদের সহযাত্রী। বস্তুত: এই দুই পর্ব্বের লেখকদের আলাদা করা মুশকিল। নরেন্দ্রনাথ মিত্র, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সন্তোষকুমার ঘোষ, সমরেশ বসু, বিমল কর, রমাপদ চৌধুরী, নবেন্দু ঘোষ, ননী ভৌমিক, সুশীল জানা, শান্তিরঞ্জন বন্দোপাধ্যায়, স্বরাজ বন্দোপাধ্যায়, প্রাণতোষ ঘটক, আশুতোষ মুখোপাধ্যায় - এঁদের সকলেরই জন্ম ১৯১৬ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনামূহুর্ত্তে, কলকাতা তথা বাংলার সার্ব্বিক পালাবদলের মূহুর্ত্তে এঁরা যৌবনে পদার্পণ করেছেন। সেদিন থেকে সত্তরের দশকের শেষ পর্য্যন্ত প্রায়, এরা দাপটের সাথে লিখে গেছেন। সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের বিচিত্র পরিবর্তনের সাক্ষ্যবহন করে আনুমানিক তিরিশ বছর, ১৯৪০ থেকে ১৯৭০ বা তারও একটু বেশী কাল, ধরে এঁদের ছোটোগল্পগুলো লেখা।

    কিন্তু বাংলা ছোটোগল্পের আর একটা পর্ব্ব বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্দ্ধে। এই পর্ব্বের তরুণ গল্পকাররা জন্মেছেন ১৯৩০ থেকে ১৯৪০-এর মধ্যে। বস্তুত: এঁরা নতুন প্রজন্মের লেখক। সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, মতি নন্দী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, বরেন গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায়, অতীন বন্দোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু পালিত, দীপেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, দেবেশ রায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, কবিতা সিংহ, লোকনাথ ভট্টাচার্য্য, শংকর এই পর্ব্বের লেখক।

    এই প্রজন্মের গল্পকারদের সঙ্গে অব্যবহিত পূর্ব্ব পর্ব্বের গল্পকারদের প্রায় কোন মিল নেই। এরা এক নতুন গোষ্ঠী; পূর্ব্বতন লেখকের দৃষ্টিতে - এরা নতুন ব্লাড গ্রুপ - পূর্ব্বেকার লেখকদের সাথে নেই কোন আত্মীয়তা। এরা যখন বড় হতে শুরু করেছে, যৌথ জীবনের সৌম্য সৌধ ততদিনে ভেঙ্গে চুরমার, শ্রদ্ধা, ভক্তি খালি শেখানো কথা। নারী পুরুষের সম্পর্ক অন্যরকম, মৌল তাগিদগুলো ঠিকই আছে, নেই পুরোনো মায়াবী স্মৃতি, বৈরী বিশ্বে বাস করার জন্য তারা তৈরী হচ্ছে, কখনও একজোট হয়ে, বা হবার ভান করে। আসলে এরা আরও বেশী নি:সঙ্গ, একা, কিছু না হলেও ক্ষুব্ধ সততই, প্রতিকার খুঁজছে এক অশেষ বিকারে বা স্নায়ুজ্বরে।

    তরুন লেখকদের এইভাবেই দেখেছেন পূর্ব্ববর্তী প্রজন্মের লেখক। মনে হয় দুই প্রজন্ম দুই বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। কল্লোল পর্ব্বের লেখকদের সাথে দ্বিতীয় বিশ্বসমরকালীন লেখকদের মানসিক ব্যবধান, দৃষ্টিভঙ্গীর তফাৎ যতটা, তরুণ লেখকদের সাথে দ্বিতীয় বিশ্বসমরকালীন লেখকদের ব্যবধান তার থেকে অনেক বেশী। কল্লোলের রোমাণ্টিকতা পরবর্তী পর্ব্বে ছিল না, কিন্তু জীবনে আনন্দ ও মূল্যবোধে শ্রদ্ধা ছিল। পরবর্তী তরুণ প্রজন্মের তা নেই বলেই পূর্ব্বজদের মনে হয়েছে।

    এই ব্যবধান কেবল মানসিকতায়ই নয়, ভাষায় ও আঙ্গিকেও। কেবল জীবনদৃষ্টিতেই নয়, জীবনের নানা উপকরণের অভিনব ব্যবহারেও। এর থেকে স্বাভাবিকভাবেই যে কথা বেরিয়ে আসে তা হলো রবীন্দ্রনাথই বাংলা ছোটোগল্পের চরম সিদ্ধি, এই মিথকে ভুল প্রমান করে বাংলা ছোটোগল্প বারবার এগিয়েছে, মোড় ঘোরার ঘণ্টা বেজেছে বারবার, পরীক্ষা নিরীক্ষায় ভাঁটা পড়ে নি কখনও। জীবনকে নেতুন করে লেখার উৎসাহ কখনও ফুরিয়ে যায় নি। ***

    শুরুতে যা বলেছিলাম বা শিরোনামে যা বলেছি। ইচ্ছে ছিলো লিখি 'ছোটো গল্পের ছোটার গল্প', কিন্তু এই চিরন্তন ছোটা মানুষের ছোটা কলমে তা দাঁড়াল ওই। এই ছোটা এখানে যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে ছুটের ব্যাটনটা বাড়িয়ে রাখলাম আরও আধুনিক, আরও পড়া কলমচিদের উদ্দেশ্যে....। তাঁদের হাতে উঠে সে ছুটুক ........ নবারুণের দিকে,

    হাতে হাতে এগিয়ে যাক নব অরুণোদয়ের পথে.......

    বাপ্পাদিত্য

    কৃতজ্ঞতা স্বীকার :-
    *** চিহ্নিত অংশের গবেষণা, বিশ্লেষণ, বিন্যাসের মূল বা সম্পূর্ণ কৃত্বের দাবীদার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্যবিভাগের শ্রীযুক্ত অরুণকুমার মুখোপাধ্যায় - যাঁর সম্পাদনায় সংকলিত, ন্যাশনাল বূক ট্রাস্ট দ্বারা প্রকাশিত "একুশটি বাংলা গল্প"-র মুখবন্ধে বেরোনো প্রবন্ধই এই লেখার মূল আধার।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন