এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplob Rahman | 202.164.***.*** | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:৫৩533868
  • একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কথা…
    লেখক: বিপ্লব রহমান
    ...........................................
    ’ সাঙ যেবার এই জাগান ছাড়ি/ ইদু আগং মুই জনমান ধরি/ এই জাগান রইয়েদে মর মনান জুড়ি…চাকমা গান…এই জায়গা ছেড়ে আমি যাবো না/ এখানেই জন্ম জন্মান্তর থেকে আমি আছি/ এই জায়গা আমার মন জুড়ে রয়েছে।…

    চাকমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বিঝু’র আমন্ত্রণে বিশাল দলবলসহ যাওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি। সেটি ১৯৯২ সালের ১১ এপ্রিলের কথা। পাহাড় তখন দারুণ অশান্ত, যুদ্ধ-বিক্ষুব্ধ। ঢাকা থেকে লক্কর-ঝক্কর বাস ‘ডলফিন’ পৌঁছেছে সেখানে বিকেল নাগাদ।

    পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) ছেলেমেয়েরা গাদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছেন অতিথিবর্গকে। দলনেতা আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (প্রত), অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ব্যরিস্টার সারা হোসেন প্রমুখ। অতিথিদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা সার্কিট হাউজে। রাতে সেখানে পাত পড়েছে পোলাও-মাংস ইত্যাদির।

    কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমনি করে আহার-ব্যাঞ্জনে মত্ত হওয়া এই লেখক কাম সাংবাদিকের রীতি বিরুদ্ধ। তাই সিগারেট বিরতিতে স্থানটি ‘রেকি’ করতে বের হওয়া গেলো। সার্কিট হাউজের বারান্দায় দেখা মেলে একজন হত-বিহ্বল পাহাড়ি লোককে এক গামলা মুড়ি খেতে। তার কোলে একরত্তি একটি দুধের শিশু। লোকটিকে ক্লান্তি আর অজানা এক অনুভূতি তাকে ঘিরে রেখেছে বলে মনে হয়। সে যত না মুড়ি খায়, তার চেয়েও বেশী পানি খায় ঢক ঢক করে। কোলের শিশুটিকেও পানি খাওয়ায় কয়েকবার।

    তার পরিচর্যা করছিলেন যে সব ছেলে-মেয়েরা তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, এই ভাগ্যহতের বেদনা দায়ক ইতিকথা। আগের দিন ১০ এপ্রিল জেলার পানছড়ির দুর্গম পাহাড়ি জনপদ লোগাং-এ ঘটে গেছে দু:খজনক এক গণহত্যা। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনা বাহিনী ও বাঙালি সেটেলাররা পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। মেশিন গানের গুলি আর সেটেলারদের দা’য়ের কোপে কতজন পাহাড়ি প্রাণ হারিয়েছে, কেউ সঠিক কিছু বলতে পারছে না। এই লোকটি হচ্ছেন লোগাং গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শি; সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া সৌভাগ্যবানদের একজন।

    দ্রুত নোট প্যাড বের করে টুকে নেওয়া হয় নাম বিস্তৃত পাহাড়ির চাকমা ভাষার ভাষ্য। এনালগ ইয়াশিকা ক্যামেরায় তোলা হয় তার দু-একটি সাদাকালো ছবি।
    তিনি এই লেখককে জানান, তাদের গ্রামে আক্রমণ হতেই শিশুটিকে কোলে করে দুর্গম পাহাড়-জঙ্গল ভেঙে প্রায় ৩০ কিলিমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তিনি প্রথমে পৌঁছান জেলা সদরে। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতারা সার্কিট হাউজে আছেন — এই খবর শুনে তিনি আসেন সেখানে। অনর্গল চাকমা ভাষায় লোকটি শুধু একটা কথাই বলেন, বাবারা আমাকে একটু আশ্রয় দাও! চিদরেরা (সেনা বাহিনী) আমার কথা জানতে পারলে হয়তো আমাকেও মেরে ফেলবে!

    ছাত্র নেতারা নিজেদের মধ্যে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেন, পিসিপি’র কাছে ভাষ্য দেওয়ার ’অপরাধে’ লোকটিকে নিরাপত্তা বাহিনী হয়তো ছেড়ে কথা বলবে না। তাই দ্রুত তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোনো একটি নিরাপদ আশ্রয়ে।

    পিসিপি নেতারা জানান, এরই মধ্যে সেনা বাহিনী লোগাং গণহত্যার দায় গেরিলা গ্রুপ শান্তি বাহিনীর ওপর চাপিয়েছে। সেদিনই রাতে স্থানীয় সংবাদদাতার বরাত দিয়ে বিবিসি’র রেডিও খবরে প্রচার করা হয়, লোগাং-এ শান্তিবাহিনীর হামলায় নাকি ১৩ জন নিহত হয়েছে!

    এই লেখকের রাত কাটে বর্ষিয়ান পাহাড়ি নেতা অনন্ত মাস্টার তথা রামগড়ের স্কুল শিক্ষক অনন্ত বিহারী খীসার (অখন্ড পিসিপি’র সাবেক নেতা, বর্তমানে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট– ইউপিডিএফ’র সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার বাবা) নারানখাইয়ার বাসায়।

    পরদিন ১২ এপ্রিল ছিলো ফুল বিঝু। খুব ভোরে নাস্তার টেবিলে অনন্ত মাস্টার সুন্দর করে বুঝিয়ে বলছিলেন চাকমাদের চৈত্র সংক্রান্তির তিন দিনের বিঝু উৎসব–ফুল বিঝু, মূল বিঝু ও গইজ্যাপইজ্যা বিঝুর কথা।

    এমন সময় কোথা থেকে যেনো একদল পাহাড়ি শিশু-কিশোর কিচির-মিচির করতে করতে হাজির হয় সেখানে। ঝুপ ঝুপ করে তারা অনন্ত মাস্টারকে ফুল বিঝুর প্রণাম করে। ‘বাঙাল’ অতিথির দিকে ওরা ফিরেও তাকায় না। …

    সার্কিট হাউজে এসে শোনা গেলো, ইলিয়াস ভাই, আনু ভাই, সারা আপা — সকলে পিসিপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ঐ সকালেই লোগাং যাওয়া হবে। সরেজমিনে দেখা হবে সেখানে আসলে কী ঘটেছে। দলে যোগ দেন পাহাড়ি গজদন্ত-কারুশিল্পী বিজয় কেতন চাকমা।

    কয়েকটি ভাঙাচোরা জিপে (স্থানীয় নাম– চাঁদের গাড়ি) করে রওনা দেওয়া হয় গণহত্যাস্থল লোগাঙের উদ্দেশ্যে।

    পথে পথে চলে নিরাপত্তা তল্লাসী, জেরা, তালিকা নির্মাণ– ইত্যাদি। লোগাঙের আগেই চাঁদের গাড়িগুলোকে আটকে দেওয়া হয় পানছড়ি বাজার সংলগ্ন সেনা চেকপোস্টে।

    সেখানে হাজির হন ৩৩ নম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জোন কমান্ডার মেজর খালিদ রেজা। তিনি তখন পানছড়ির ক্যাম্পের দায়িত্বে। লোগাং যাওয়া না যাওয়ার প্রশ্নে তুমুল তর্কাতর্কি বাধে দুপক্ষের মধ্যে।

    মেজর খালিদের কথা একটাই, লোগাঙে যাওয়া নাকি নিরাপদ নয়। যে কোনো মুহূর্তে সেখানে নাকি ’শান্তিবাহিনী’ আবারও পাল্টা হামলা করতে পারে। তাছাড়া তার সন্দেহ, এই দলটি হয়তো শান্তিবাহিনীর আমন্ত্রণে লোগাং যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি এসেছে। তাই লোগাং ‘অঘটনের’ জন্য পরোক্ষভাবে দলটিও হয়তো দায়ী। নইলে ঘটনার পর পরই তারা সেখানে হাজির হলো কেনো? বিঝু-টিঝু আসলে নাকি ফালতু অজুহাত!

    তর্কাতর্কির সময় পিসিপি’র নেতা (বর্তমানে ইউপিডিএফের দলছুট নেতা, সুইজারল্যান্ডে প্রবাসী) সঞ্চয় চাকমাকে দেখা যায়, সেনা চেক পোস্টের কাছেই একজন পাহাড়ি লোকের সঙ্গে কথা বলতে। লোকটির পিঠে এক টুকরো কাপড়ে বাধা ছোট্ট একটি শিশু। তার হাত ধরে আছে আরেকটি আরেকটি শিশু। তার সর্বাঙ্গে শুকিয়ে যাওয়া রক্তের ছোপ ছোপ ছিট!

    লোকটি কথা বলছিলেন ফিসফিসিয়ে। সেখানে উপস্থিত হতেই তার কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি বুঝে সঞ্চয়কে ক্যামেরা দিয়ে বলা হয়, তার একটি ফটো তুলে রাখতে। আর লোকটির ভাষ্য সবই যেনো সঞ্চয় নোট করে রাখে।

    পরে জানা যায়, তিনিও লোগাং গণহত্যার আরেক প্রত্যদর্শি। সামান্য এক গ্রাম্য কোন্দালকে উপলক্ষ করে সেটেলার ও নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন একসঙ্গে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরায় লোগাং গ্রামে। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন গুলি চালায়, আর সেটেলাররা কসাইয়ের মতো দা দিয়ে কুপিয়ে কাটে নিরাপরাধ পাহাড়িদের। প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকটির চোখের সামনেই কুপিয়ে খুন করা হয় তার স্ত্রী ও এক শিশুকে। কোনো রকমে গহিন জঙ্গলে শিশু দুটিকে নিয়ে লুকিয়ে থেকে প্রাণে রক্ষা পান তিনি। জঙ্গলে পালানোর সময়ে বুনো কাঁটার আঘাতে তার ছড়ে যায় সর্বাঙ্গ। গত দুদিন তাদের দানা-পানি কিছুই জোটেনি!

    সঞ্চয় তাকে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে খাবার কিনে বাচ্চাদের খাওয়াতে বলেন। তাকে পরামর্শ দেন, অন্য কোনো পাহাড়ি গ্রামে আপাতত লুকিয়ে থাকতে।…

    সেনা বাধার মুখে সেদিন লোগাং যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে খবংপুইজ্জা নামক পাহাড়ি গ্রামে রাতে দেখা হয় লোগাং গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শি আরো কয়েকজনের সঙ্গে।

    এদের মধ্যে চন্দ্র সাগর চাকমা নামে এক কিশোর রয়েছে; তার মা-বাবা, ভাই -বোন সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সেটেলার বাঙালিরা। কিশোরটি জঙ্গলের ভেতর লুকিয়ে থেকে দূর থেকে প্রত্যক্ষ করে এই বেদনাদায়ক নৃশংস দৃশ্য। তার পরিবারের মধ্যে একমাত্র সে-ই প্রাণে বেঁচে আছে।…

    রাতে ‘ইয়ং স্টার’ ক্লাবে ছাত্র নেতা প্রধীর তালুকদার (সাবেক পিসিপি ও শান্তি বাহিনীর নেতা) দাদা কাপড়ে মুড়িয়ে নিয়ে আসেন আগুনে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া এক শিশুর কংকাল। লোগাং হত্যাযজ্ঞ এই নাম না জানা অবোধ শিশুটিকেও রেহাই দেয়নি।…

    পরে ঢাকায় ফিরে ‘পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ: শোকার্ত লোগাং’ শীর্ষক দুই পর্বের সচিত্র প্রতিবেদন লেখা হয় সাপ্তাহিক ‘প্রিয় প্রজন্মে’। তখন এর সম্পাদক ছিলেন ফজলুল বারী, বর্তমানে প্রবাসী।

    ঐ প্রতিবেদনটিতে হামলার শিকার লোগাং গ্রামবাসী, স্থানীয় একজন স্কুল শিক্ষিকা, পানছড়ি হেলথ কমপ্লেক্সের সরকারি চিকিৎসক, খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি আহত কয়েকজনসহ অন্তত ১০ জন প্রত্যদর্শিকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়, লোগাং গণহত্যার লোমহর্ষক সব তথ্য।

    এতে বলা হয়, পাহাড়ের অসুস্থ রাজনীতি এই একটি গণহত্যাতেই কেড়ে নিয়েছে অন্তত ২০০ জন নিরপরাধ পাহাড়ির জীবন। নিখোঁজ ও আহতদের একটি আনুমানিক সংখ্যাও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে। পাশাপাশি দেওয়া হয় স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ভাষ্য।

    প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই পরেই সে সময় ফজলুল বারী ভাইয়ের ওপর উর্দ্ধতন মহলের চাপ আসে। জানা যায়, ‘প্রিয় প্রজন্মের’ কোনো সংখ্যাই যেনো সাধারণ পাঠকের হাতে না পৌঁছে, সে জন্য সেনা সদস্যরা সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের সব কয়েকটি কপি কিনে ফেলেছিলো।

    তবে পাহাড়ি বন্ধুরা প্রতিবেদনটি ফটোকপি করে নিজস্ব উদ্যোগে পাহাড়ে বিলি করেন; এভাবে তারা প্রচার করেন ঐ প্রতিবেদনটি। এই কাজ করতে গিয়ে সে সময় পিসিপি নেতা সঞ্চয় চাকমা ‘শান্তিবাহিনী’ অভিযোগে প্রথমবারের মতো গ্রেফতারও হন। তিনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের ছাত্র।

    বলা বাহুল্য, সেবার আর বিঝু উৎসব দেখা হয়নি। লোগাঙের শোকে পাহাড়িরা বিঝু বর্জন করেন সেবার।
    —-
  • Biplob Rahman | 202.164.***.*** | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:৫৪533871
  • সংযুক্ত-১ : পাহাড়ে বাঙালি সেটেলার ও গণহত্যার ইতিহাস http://www.chtbd.net/history-of-bengali-settlers-and-genocide-in-cht.html
  • Biplob Rahman | 202.164.***.*** | ২১ মার্চ ২০১২ ১৭:৫৮533872
  • সংযুক্ত-২ : আগ্রহীদের অবগতির জন্য জানাই, আটের দশকে জিয়াউর রহমানের আমলে সমতলভূমি থেকে দুস্থ বাঙালিদের পাহাড়ে সরকারি উদ্যোগে অভিবাসন দেওয়া হয়। বরাবরই এসব সেটেলাররা সেনা বাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করেছে; শান্তিচুক্তির আগে অন্তত ১৩টি গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে যৌথ নেতৃত্ব দিয়েছে। লোগাং গণহত্যা এর একটি মাত্র। অনেক ধন্যবাদ।
    আরো পড়ুন http://www.angelfire.com/ab/jumma/massacre.html
  • Biplob Rahman | 202.164.***.*** | ২১ মার্চ ২০১২ ১৮:০১533873
  • লোগাং গণহত্যার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শির বর্ণনায় বিস্তারিত লেখাটি পড়া যাবে এখানে একটি রোমহর্ষক গণহত্যার কাহিনীhttp://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=15587
  • Biplob Rahman | 202.164.***.*** | ২১ মার্চ ২০১২ ১৮:০৬533874
  • লংগদু গণহত্যা এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
    চিত্তি চাকমা
    .................................
    পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সেই বৃটিশ আমল থেকে। এখানে পাহাড়িদের দু:খ-বেদনা, হাসি-কান্না প্রত্যকে একে অপরের সাথে জড়িয়ে আছে। কিন্তু কিছু শাসক গোষ্টি সেখানে পাহাড়িদের জবরদস্ত করে আসছিল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরের থেকে। তাই শাসক গোষ্টির থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার জন্য বিদ্রোহ করে আসছিল জুম্ম জণগোষ্টি। কিন্তু দূর্ভাগ্য আজও শান্তি ফিরে পায়নি। ১৯৯৭ এর ২রা ডিসেম্বর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সাথে জণসংহতি সমিতির শান্তি চুক্তি হয়। ভাবতে শুরু করলো এবার হয়তো কিছুটা হলেও শান্তি ফিরে আসবে। শাসক গোষ্টির জিম্মির হাত থেকে মুক্তি পাবো। কিন্তু দীর্ঘ এগার বছরে শান্তি চুক্তি পা রাখলো এই পর্যন্ত কোন সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিকতা দেখায়নি। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িদের জীবন বৈচিত্র সম্পর্কে স্ব চোখে না দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই শাসক গোষ্টির হাতে এখনও জিম্মি।

    বিগত নব্বই শতকের আগে সামরিক বাহিনী পার্বত্য এলাকাতে সন্ত্রাস দমন নামে চালিয়েছিল পাহাড়িদের উপর নির্যাতন, ধর্ষন, গণহত্যা। এর মধ্যে লোগাং, নানিয়ারচর এবং লংগদু গণহত্যা বিশেষ উলে খ্য। সামান্য এক গ্রাম্য কোন্দলকে উপলক্ষ করে সামরিক বাহিনী ও বাঙালী সেটেলারের লোকজন কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরায় লোগাং গ্রামে। সেনা বাহিনীরা গুলি চালায় আর সেটেলাররা কসাইয়ের মত কুপিয়ে জবাই করে নিরপরাধ পাহাড়িদের উপর। একই ভাবে নানিয়ারচর হাট-বাজারে পাহাড়িদের উপর গণহত্যা চালায় সেনাবাহিনীরা। এর পরে একই ভাবে একই কায়দায় লংগদু গণহত্যা চালানো হয়। তারপরে লংগদু এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার মাঝামাঝি স্থানে মাইল্যা ইউনিয়নে লঞ্চ ডুবি ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণহত্যা চালানো হয়। কিন্তু এসব ঘটনা দেশে বিদেশে দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ সরকারের কোন তনক পড়েনি। এবং তার ধারে কাছেও যায়নি।

    ১৯৮৯ এর ৪ঠা মে লংগদু গণহত্যা হয়েছিল। এর কযেকজন প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজনের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনলে গা শিউরে উঠে। যাকে যখন যেভাবে পেয়েছে সেখানে হত্যা করেছিল। প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকের সামনে থেকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করা হয় নিস্পাপ শিশু আর শিশুটির মাকে করেছিল ধর্ষণ। এভাবে নিরপরাধ পাহাড়িদের কতজনকে হত্যা করেছিল তার কোন হিসাব এখনো পায়নি। এর প্রত্যেকটি ঘটনার মূল মদত দাতা ছিল সেনাবাহিনী আর তাদের লেলিয়ে দেওয়া পোষা বাঙালি সেটেলাররা কসাই এর মত কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যা করেও শান্তি পায়নি চালিয়েছিল লুটপাট, পুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম শত শত ঘর বাড়ি। প্রাণে বাঁচার জন্য পাহাড়িরা আরও পাহাড়ের ভিতর যখন আশ্রয় নিয়েছিল এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেটেলার বাঙালিরা সেনাবাহিনীর মদতে পাহাড়িদের পূর্ব পুরুষের ভিটে মাটিতে বসত বাড়ি গড়ে তুলে। পরে ফিরে এসে সেসব জায়গা আর ফিরে পায়নি। এভাবে জবর দখল করে কতজনের জায়গা বাঙালি সেটেলাররা বসত বাড়ি গড়ে তুলেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই।

    লংগদু উপজেলার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো: আব্দুল রশিদ সরকার বলা যায় সেটেলারদের একজন গডফাদার। তাকে সেদিন কে বা কারা হত্যা করেছিল। এই হত্যার জের ধরে পরের দিন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চলে গণহত্যা। সেই দিন সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের উচিৎ ছিল মূল হত্যা কারীকে সনাক্ত করে আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্ত তারা সেথা না করে চালিয়েছিল নিরপরাধ পাহাড়িদের উপর নির্যাতন, ধর্ষন এবং পরে গণহত্যা।

    এই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী কিছু সেটেলারদের সনাক্ত করেছিল। যারা ঘর বাড়ি লুট করে আজ সেই সব সম্পত্তি নিয়ে সচ্চল ভাবে জীবন চালিয়ে যাচ্ছে। আর ওরা প্রকাশ্য ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবার কেউ কেউ সরকারি, আধা-সরকারি চাকুরিতে বর্তমানে নিযুক্ত রয়েছে। বর্তমানে দূর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত সেটেলারদের গডফাদার আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া নেতৃত্বে তথা কথিত “সমাধিকার আন্দোলন”, সামপ্রদায়িক ও উগ্র জাতীয়বাদি সংগঠনে লংগদু উপজেলার কিছু বাঙালি সেটেলার যুক্ত। যারা সংগঠনে জড়িয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয়ে জবর দখল করে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়িদের পূর্ব পুরুষের ভিটে মাটি। তিন পার্বত্য জেলায় চলছে ঐসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। আর গণহত্যার পৃষ্টপোষকতায় যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া বর্তমান সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যাবে তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় পাহাড়িদের চেয়ে বাঙালি সেটেলারের সংখ্যা বেশী।
    http://huchmag.wordpress.com/2010/07/27/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%BE/

  • Biplob Rahman | 202.164.***.*** | ২১ মার্চ ২০১২ ১৮:০৯533875
  • ** ভুল বশত: " একটি প্রায় বিস্মৃত গণহত্যার কথা" লেখাটির লিংক দেওয়া হয়নি। এই লেখাটির লিংক এখানে http://w4study.com/?p=3012
  • Biplob Rahman | 202.164.***.*** | ২২ মার্চ ২০১২ ১৪:০৫533876
  • বাঙালি অহং বোধ, তথা উগ্র সাম্প্রদায়িক বিষফোঁড়ার জরুরি অস্ত্রপচার প্রয়োজন। এর অভাবে বিষ ফোঁড়ার দুষিত পুঁজ ও রস শুধু আদিবাসী জনজাতিকে বিষিয়ে তুলছে না, এটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার মনোস্তাত্বিক বিকাশেও পঁচন ধরাচ্ছে।...অবস্থা এমন যে "সর্বাঙ্গে ব্যাথা, অষুধ দেবো কোথা?"
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৪৪533869
  • Massacres in the CHT

    Chittipudi Chakma, 6 months, daughter of Manek Kumar Chakma was killed by the Bengali Muslim settlers on 2 February 1992 at Malya massacre. Two bombs exploded on a passenger boat. The explosion killed a passenger and seriously injured the driver of the boat. The survivors swam ashore, but the armed Bengali Muslim settlers were awaiting for them and attacked the indigenous passengers - men, women and children. About 30 indigenous people were killed.

    Since 1980, the Bangladesh army and the Bengali Muslim settlers had committed 13 major massacres in the Chittgong Hill Tracts (hereafter CHT). Even then massacres were not new in the CHT by then. During the Bangladesh's liberation war against Pakistan, in 1971 the Mukti Bahini (freedom fighters of Bangladesh) perpetrated 3 massacres against the Jumma civilians in the CHT. But it was during the war against Shanti Bahini (the armed resistance of the Jumma people), the Bangladesh Army and the Bangladesh Government stepped up the frequency and intensity of mass murders against innocent civilians. These massacres are executed by systematic planning of the Bangladesh military, often in collaboration with the Bangladeshi settlers to uproot and wipe out the Jumma people from their land. These massacres include only the incidents where large number of people are killed in a single day at a single spot. Large number of People are also killed in military operations of extensive periods in wide areas, those are included in 'Reprisal Attacks' of 'Genocide' section.

    Kaukhali Massacre, 25/03/1980:

    There have been numerous attacks on the Jumma people by the settlers and the Bangladesh Army. But the massacre of Kaukhali Bazaar of Kalampati on 25th March 1980 stands out, because it was the first massacre in which indigenous people were killed in their hundreds. 300 Jummas were killed in this massacre and many more were injured.
    On that they the Bangladesh military had asked the Jumma people to gather in the bazaar on the pretext holding a meeting for the reconstruction of a Buddhist Temple. Following the gathering the military suddenly encircled the area and opened fired on the unarmed Jumma civilians. The innocent Jumma people were completely caught by surprise. The Bangladesh military beforehand had informed and armed the Bangladeshi settlers for the massacres. The the Bangladeshi settlers assisted the Bangladesh Army by axing the injured men, women, and children, whom the military had hidden in the background for the massacre. Buddhist temples and religious images had been destroyed by the Bangladesh Army and the Bangladeshi settlers.
    Thousands of Jummas took refuge in the Indian state of Tripura. Later on they were repatriated on an agreement between the Tripura government and the Bangladesh Army, and on the promise that things like that would not happen again.A parliamentary investigation team was formed by then Ziaur Rahman Government, but the report never saw the daylight. The military officers who engineered the killings not only were never punished, they were promoted in the ranks of the Bangladesh Army.

    Banraibari-Beltali-Belchari Massacre, 26/06/1981:

    The Bangladeshi settlers, under the protection of the Bangladesh army, invaded the Jumma area in the vicinity of Banraibari, Beltali and Belchari, murdered 500 Jumma men, women and children, and occupied their villages and farmlands. Thousands of Jumma people fled to the nearby forests and 5,000 of them managed to seek refuge in the Tripura State of India

    Telafang-Ashalong-Gurangapara-Tabalchari-Barnala
    Massacre, 19/09/1981:

    The Bangladesh army and the Bangladeshi settlers made co-ordinated attacks on 35 Jumma villages including Telafang, Ashalong, Gurangapara, Tabalchari, Barnala etc. in the Feni valley of the CHT, plundered and burned the villages, and killed many thousand men, women and children. Thousands of Jumma people died as a direct and indirect result of these attacks.
    The surviving villagers fled to the Indian State of Tripura and to the adjacent forests. Although the Bangladeshi regime had denied that these refugees were from the CHT, it was forced by the international community to repatriate them. These Jumma people were met at the border by hostile Bangladeshi officials and were given the equivalent of $18 and were left to their fate. Return to their native villages was impossible because their homes and possessions had been appropriated by the Bangladeshi settlers. Many of them died of starvation and of diseases.

    Golakpatimachara-Machyachara-Tarabanchari
    Massacre, June-August 1983:

    On 26 June, 11,26,27 July and 9,10,11 August 1983, the Bangladesh armed forces and the Bangladeshi immigrants massacred the Jumma people of the villages of Golakpatimachara, Machyachara, Tarabanchari, Logang, Tarabanya, Maramachyachara, Jedamachyachara etc. Hundreds of houses were looted and burned, and 800 people were murdered. Most of the victims were old men, women and children. After clearing the area of the Jumma people the government settled Bangladeshi families there.

    Bhusanchara Massacre, 31/05/1984:

    In the early morning of 31 May 1984, the Shanti Bahini guerillas attacked the settlements of the Bangladeshi settlers at Gorosthan, Bhusanchara and Chota Harina of Barkal Upazilla (Sub District). About 100 Bangladeshi settlers were reported killed, their homes burned down in the attack. Three BDR (Bangladesh Rifles) camps in the locality were also simultaneously attacked so that the BDR personnel could not intervene. Bhusanchara was the village most severely affected. The attack was given extensive coverage in the Bangladesh news media and President Ershad visited the affected area on 5 June 1984. No publicity was given, however, to the reprisals taken against the Jumma population by the Bangladeshi security personnel immediately after the assaults on the Bangladeshi settlements.
    Some of the Jumma people, apparently anticipating retaliatory raids, left their homes at once and sought to hide in the surrounding forests. Others remained in their villages. Later on 31 May and the following day, the Bangladesh Army personnel, from the 305th brigade of the 26th Bengal Regiment, and members of the 17th battalion of the Bangladesh Rifles, accompanied by the Bangladeshi settlers, attacked the Jumma villages in the area, principally Het Baria, Suguri Para, Gorosthan, Tarengya Ghat, Bhusanchara and Bhusan Bagh. A total of 400 Jumma people including children and women were killed. Many women were gang raped and later shot dead. Seven thousand Jummas crossed the border into the Indian state of Mizoram.
    A Jumma villager from Het Baria gave the following account of his experience to the Amnesty International:
    "My village falls in the Barkal rehabilitation zone where large number of Muslims have settled over the years. There is thus continuous tension between the two communities. In the summer of 1984 there were frequent clashes and the Muslims often used to threaten us saying that the army will come and teach us a lesson. The army came on May 31, accompanied by a large group of Muslims some of whom were armed. They destroyed our village, raped women and killed people. I saw two women getting raped and then killed by bayonets. One Aroti, who is my distant cousin, was also raped by several soldiers and her body was disfigured with bayonets. Several people, including children, were thrown into burning huts. I was among the people singled out for torture in public. Five or six of us were hung upside down on a tree and beaten. Perhaps I was given up for dead and thus survived. The memories of that day are still a nightmare for me. Even now I sometimes wake up in a cold sweat remembering the sight of the soldiers thrusting bayonets into private parts of our women. They were all screaming 'No Chakmas will be born in Bangladesh".

    Panchari Massacre, 1/05/1986:

    On April 29th, 1986, the Shanti Bahini (resistance of the Jummas) simultaneously attacked the BDR border outposts at Assalong, Chota Assalong and Taidong of Khagrachari District and followed it up with swoops on new settlements of the Bangladeshi settlers. Reprisals by the Bangladesh army, BDR, Ansars (Islamic Guard) and the Bangladeshi settlers, began immediately after 29 April.
    On 1 May and the following days, law enforcement personnel, together with Bangladeshi settlers, entered a number of Jumma villages in the Panchari-Khagrachari area and arbitrarily killed the Jumma inhabitants. The villages included Golakpratimachara, Kalanal, Soto Karmapara, Shantipur, Mirjibil, Hetarachara (also known as Khedarachara Mukhpara), Pujgang, Laogang, Hathimuktipara, Sarveswarpara, Napidapara and Dewan Bazar. After entering the Jumma villages, The Bangladeshi security personnel ordered the inhabitants to assemble on open ground, men separate from women, away from the villagers' huts. While the villagers were held in this way their settlements were set on fire by the Bangladeshi settlers. The Bangladeshi security personnel then opened fire randomly on the groups of villagers who were assembled, killing hundreds of Jumma men, women and children
    Part of this process was described to the Amnesty International by a woman from Mirjibil, about a mile from Panchari, who was witness to the killing of another woman, aged in her 70s:
    "As soon as the raid on my village began, people (other villagers) began to shout asking everybody to leave the village. But before most people could gather their senses the soldiers and the Ansars had come. They were followed by several hundred Muslim settlers.... They immediately began to ransack the village."
    "The soldiers asked the men and the women to stand separately.... One old woman, Phoidebi, had trouble getting up and joining the group outside. A soldier shot her at close range."

    Matiranga Massacre, May 1986:

    Following the Bangladesh military atrocities described above many people from the affected areas sought refuge in the forests away from their homes. A few hundred people from several different villages gathered during the first week of May between the villages of Sarveswarpara and Manudaspara, in the Matiranga area. One night, probably that of 1/2 May although the precise date is not known, while they were trying to reach the Indian border, they were ambushed by a detachment of Bangladeshi soldiers. The soldiers opened fire without warning and shot at them randomly, without provocation. Over 70 Jumma people were killed.

    Comillatialla-Taindong Massacre, 18-19/05/1986:

    After the Matiranga massacre a large group of Jumma people fleeing from their homes, numbering over 200, most of whom were of the Tripura nationality, were moving towards the Indian border at Silachari in southern Tripura in mid May. Their presence in the area appears, to had been known for some time to the Bangladeshi security personnel. They were eventually discovered, by the troops of the 31st battalion of the Banglaesh Rifles (BDR), who surrounded them and made them walk into a narrow valley between the villages of Comillatilla and Taidong. In the restricted space of this valley, the soldiers fired indiscriminately at the group, killing most of the people. Once the firing had ceased, a number of Bangladeshi settlers further attacked the group with machete to kill the injured men, women and children.
    . The massacre was described to the Amnesty International by a survivor and refugee in India:
    "I am chief of a large colony of Tripuri tribals and we used to live a little outside Matiranga. Around the end of April and early May, when the Shanti Bahini began raids on the BDR, army and Muslims, the soldiers began to come and bother us. We told them we were not even Chakmas and had thus nothing to do with the Shanti Bahini. But they harassed us."
    "Later, on 8 May, they came in strength and began to burn our village. The officer-in-charge said you Hindus have no place in Bangladesh and asked us to run away. We decided to flee along with some Chakma families in our neighbourhood. But the soldiers did not even let us run away in peace. They chased us and we hid in the jungles in the day, making some progress by night."
    "Last Sunday (18 May) we were approaching the border when a large group of soldiers caught us. The officer said that we would be treated nicely and settled back. He asked us to walk back. The soldiers were around us."
    "They took us to a narrow valley between Taidong and Comillatilla and there suddenly we heard thousands of bullets and shrieks and screams of our people. At least 200 of our people, mainly Tripuris, died. I do not even have any trace of my family. I do not know whether my family members are still in hiding somewhere or if they got killed."
    "As bullets rained from all sides the Muslims too descended on the valley, raping women and killing people with swords, spears and knives; we all ran for our lives in (the) direction of India."

    Hirachar-Sarbotali-Khagrachari-Pablakhali
    Massacres, 8,9,10 August, 1988:

    The Bangladesh Army along with the aid of the Bangladeshi settlers killed hundreds of the Jumma people(actual number not known, figures based on the eye witness report) in the above areas. Many women were gang raped by the Bangladesh Army and the settlers.

    Longadu Massacre, 4/05/1989:

    Abdur Rashid, a Bangladeshi community leader was gunned down by an un-identified gunman. The Bangladesh authority and the Bangladeshi settlers suspect that he was gunned down by the Shanti Bahini, due to his involvement in the racially motivated crimes against the Jumma people, though Shanti Bahini denies the claims.In reprisal to Abdur Rashid's killing the Bangladesh Army, the Village Defense Party (armed group formed by the Bangladeshi settlers) and the settlers carried out this gruesome massacre. 40 Jumma people were killed, there dead bodies never returned to the relatives. Their houses were burnt down and Buddhist temples in the area were destroyed. Among the fallen victims were the wife, children and grand-children of the former chairman of the local council Mr. Anil Bikash Chakma. The Bangladesh Army had grabbed his land and settled the Bangladeshi settlers around his homestead. Mr. A.B. Chakma's friends and relatives had warned him of the potential danger of living so close to the Bangladeshi settlers. But he had no where else to go. On that day he was not in home, and that saved his life. Later on even after repeated appeal to the Bangladesh military authority, the dead bodies were never returned for Buddhist religous rites and cremation.

    Malya Massacre, 2/02/1992:

    On 2 February 1992 two bombs exploded on a passenger boat at Malya. The boat was on its way from Marishya to Rangamati. Malya is now inhabited by the Bengali settlers from the plain. The explosion killed one passenger and seriously injured the driver of the boat. The survivors swam ashore, but the armed Bengali settlers were waiting for them. The settlers attacked the Jumma passengers- men, women and children. About 30 of them were killed. Fourteen bodies were recovered, the others were lost in the water.Some representatives of the Jumma people were supposed to board the boat on their way to Rangamati and Dhaka to protest against recent army atrocities in the area: Captain Masiur Rahman of Bangladesh army had tortured a student Mr. Biswamuni Chakma and a Buddhist monk (the Rev. Bodhimitra Bhikkhu) and had treated some female students indecently. Moreover three Buddhist Viharas (monasteries) had been desecrated by the army. According to an eye-witness account, two members of the security forces boarded the boat at Dulachari carrying two kerosene tins. They disembarked at the next stop, leaving the tins. These exploded shortly afterwards. The Bangladesh media reported that the explosion was caused by the Shanti Bahini.

    Logang Massacre, 10/04/1992:

    On 10 April 1992 the biggest massacre in a single day, at single place, in the history of the CHT took place at Logang cluster village in Khagrachari District, perpetrated by the Bangladeshi security forces and the Bangladeshi settlers.
    The military forces forcibly relocated some fifteen hundred Jumma families from the surrounding Jumma villages to the Logang cluster village, which is nothing but a concentration camp, and distributed their ancestral villages and farmlands to the Bangladeshi infiltrators free of cost. Then they hatched a plot to find an excuse to get rid of those Jumma prisoners. On 10 April, 1992, the military authorities sent two Bangladeshis, armed with machete, to rape some Jumma women who were grazing their cattle at their Logang cluster village. The Jumma women tried to defend themselves and at the same time they cried for help. A Jumma gentleman came to their rescue and asked the Bangladeshi rapists to leave the Jumma women alone. Instead of going away, the rapists attacked the Jumma gentleman and hacked him to death. During the attack, one of the rapists was also injured. After killing the Jumma gentleman, the rapists went straight to the camp of the Bangla Desh Rifles (BDR). The military authorities found the excuse they were looking for and used the injured rapist as a victim of the Shanti Bahini (SB) attack. On the pretext of searching out the SB, the military forces and the Bangladeshi settlers combinedly attacked the Logang cluster village immediately after the arrival of the two rapists at the BDR camp. They hacked many Jummas to death and shot dead those who tried to flee. Then the invaders forced the old people, women and children into their homes and burnt them alive by setting their homes on fire.
    The exact number of the Jumma people killed at Logang will never be known, as many of the dead bodies had been removed by the military immediately after the massacre. According to several eye-witness reports the number must be well over 400. Some 800 houses were burnt down and more than 2000 people fled across the border to Tripura of India after the massacre.

    Naniachar Massacre, 17/11/1993:

    On 17 November 1993 at least 29 Jumma people were killed and more than a hundred wounded when Bangladeshi settlers, supported by the Bangladesh Army, attacked a peaceful rally of Jumma people in Naniarchar Bazzar. The rally was organized by the Greater Chittagong Hill Tracts Hill Students' Council, with the advance permission from the local authorities, and was part of a campaign against the use of the only waiting shed for motor-lauch passengers as an army check post. The reports about the massacre which the CHT Commission has received from various Bangladeshi and Jumma peoples' organizations and individuals all draw roughly the same picture of the cause of events. Naniarchar is surrounded on three sides by the Kaptai Lake, so people travel mostly by boat. People arriving and departing from Naniarchar are regularly questioned and harassed by the army personnel from the checkpoint. There was widespread resentment among the local residents against the army checkpost.On 17 November, soon after the students had held their meeting and rally, Bangladeshi settlers led by Union Council member Ahmed Miah held a counter demonstration, for which they had obtained permission on the same day. There were joined by a few hundred settlers from adjacent villages, led by Md. Ayub Hossain, president of Parbatya Gana Parishad (Hill Tracts Peoples' Council, an organization of the Bangladeshi settlers, not to be confused with the Hill Peoples' Council of the Jumma people), and Abdul Latif, chairman of Burighat Union Council. They arrived on boats, armed with iron rods, sticks and machete. Surprisingly, the settlers were not disarmed by the army personnel at the check post. Tension rose and at one point the settlers started attacking the Jumma people. Even the Jumma people who tried to escape by jumping into the lake were hacked to death. It was reported that the law enforcing agencies did not try very hard to stop the attack and observed impassively. Students defended themselves with firewood and sticks which they collected from tea shops. Then the settlers were already retreating, there was a whistle from the army camp and the army opened fire on the students.
    Investigations:

    Most of the massacres of the Jumma people, have never been investigated by the Bangladesh Government. After a few massacres the government did set up an investigation committee, but never to much effect. The report of the inquiry committee set up after the Logang massacre in April 1992 in which few hundred Jumma people were killed by the Bangladeshi security forces and the Bangladeshi settlers, was made public. However it largely projected the Bangladesh Army version of the event. The report of the Naniarchar Massacre in November 1993 has never been made public. Moreover, never have persons responsible for any massacre or other human rights violations been tried in court. At the most a few of the army officers have been transferred or given early retirement.
    _______________
    http://www.angelfire.com/ab/jumma/massacre.html
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ০৯ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:৪৮533870
  • ["অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভূমির বিরোধ দিন দিন বাড়তে থাকায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতও বাড়ছে। গত ১২-১৩ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি সদরে সন্ত্রাসীরা পাহাড়িদের ১১টি দোকানপাট ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় আহত হয় ১১৭ পাহাড়ি। এর আগে গত বছর ১৪ ডিসেম্বর জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে বাঘাইছড়ি-দীঘিনালায় হামলায় একজন পাহাড়ি নিহত ও ১০ আহত হয়। একই বছর ১৭ এপ্রিল রামগড়-মানিকছড়ির হামলায় দুজন পাহাড়ি খুন ও ২৫ জন আহত হয়। ভস্মীভূত হয় পাহাড়িদের ১১১টি ঘরবাড়ি। গত বছর লংগদুতে পাহাড়িদের ২৭টি ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়িতে আগুন দেওয়া হয় ৬১টি ঘরবাড়িতে। একই বছর ২৫ জানুয়ারি বাঘাইছড়ির বাঘাইহাটে নতুন করে বসতি স্থাপনকারী বাঙালিদের সহিংসতার জের ধরে পরদিন সেখানে বাঙালিদের সাতটি বাড়িতে অগি্নসংযোগ করা হয়। হামলার আশঙ্কায় ভাইভাইছড়া, এমএসপাড়া ও হাজাছড়ার তিনটি পাহাড়ি গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়ে। সেই বছর ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি বাঘাইহাটে হামলায় দুই পাহাড়ি খুন, ২৫ জন আহত এবং ৪৩৭টি ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়। এ সহিংসতার জের সেই সময় খাগড়াছড়ি সদরে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে এক বাঙালি খুন হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পাহাড়িদের বেশ কিছু ঘরবাড়ি।

    এ ছাড়া জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা বাঘাইছড়ির গঙ্গারামমুখের বাঘাইহাট নার্সারি এলাকায় সাতটি গ্রামে আগুন দিয়ে ১৩২টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এতে ধ্বংস হয় বাঙালিদের ৭৯টি এবং পাহাড়িদের ৫৩টি ঘরবাড়ি। ২০০৬ সালের ৩ এপ্রিল মাইসছড়িতে প্রায় ১০০ পাহাড়ির বাড়িঘর তছনছ ও লুটপাট হয়। ২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট মহালছড়িতে সংঘাতে নিহত হয় দুজন পাহাড়ি; ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হয় ১০ পাহাড়ি নারী। আহত হয় প্রায় ৫০ জন। এ ছাড়া ২০০৩ সালের ১৯ এপ্রিল ভুয়াছড়া, ২০০২ সালের ১০ অক্টোবর রাজভিলা, ২০০১ সালের ১৮ মে বোয়ালখালী ও মেরুং, একই বছর ২৫ জুন রামগড়, ১৯৯৯ সালের ১৬ অক্টোবর বাবুছড়া, ১৯৯৯ সালের ৪ এপ্রিল বাঘাইহাটে সহিংসতা হয়েছে। এর মধ্যে বাবুছড়ার সহিংসতায় তিন পাহাড়ি নিহত হয়। ধর্ষিত হয় এক পাহাড়ি নারী।"]

    http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=Book&pub_no=1079&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=3&archiev=yes&arch_date=02-12-2012#.UMRHw-SGzIc
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন