এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আঠের বছর - মনে হয় এই তো সেদিন

    shrabani
    অন্যান্য | ১৬ জানুয়ারি ২০১২ | ১২১২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • a | 125.16.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১২ ১৩:১৮514803
  • চোখে জল এনে দিলে গো।
  • dd | 110.234.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১২ ১৪:০৪514804
  • হ্যাঁ গা।
    খুব সিম্বল ঘরোয়া ভাষায় লেখার সোয়াদই আলাদা। কানের ভিতোর দিয়া একেবারে মরমে পশিয়া গ্যালো রে দাদা। ঝাঁ করে।

    বা বা বা বা
  • kumu | 122.16.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৪৮514805
  • জিতে রহো,খুব আগে বঢ়ো,খুব তরক্কী করো--
  • siki | 122.177.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১২ ২২:২০514806
  • ফুল ছুঁয়ে যায় লেখার খাতায় ...
  • Nina | 12.149.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১২ ২২:২১514807
  • মনভাল -- লেখা পড়ে
    মন খারাপ-- লেখাটা শেষ হয়ে গেল!
    মন ভাল-- এবার নতুন লেখা আসবে
    শ্রাবণীর কলম অক্ষয় হোক--

  • sch | 14.97.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০১২ ০১:৪১514808
  • বেবাক ভালো লাগা শুধু । শ্রাবণীর কলম - কী বোর্ড যুগ-যুগ জীয়ে।
  • i | 124.168.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০১২ ০৫:৫৪514809
  • খুব ভালো লাগল। খুব খুব ভালো।
  • shrabani | 59.94.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২৩514810
  • শক্তিনগর শেষ হল.....এখন বিরতি....আবার হয়ত শুরু করব কখনো, কোটা, দিল্লী হয়ে নতুন জায়গা....বছরের ছমাস এখনো বাকী...তবে এখনই নয়....:-)

    সেসময় ক্যামেরা বেশী লোকের কাছে ছিলনা, ইন ফ্যাক্ট দলে একজনের কাছেই ছিল, আমার কাছে অনেক খুঁজে পেতে চারটি ফোটো উদ্ধার হয়েছে....ফেসবুকে দিলাম...অবশ্য, যারা ফোটোতে তাদের মত নিয়ে....

    http://www.facebook.com/photo.php?fbid=432525680094432&set=a.432503103430023.113909.100000110102041&type=1#!/media/set/?set=a.432503103430023.113909.100000110102041&type=1

    আর হ্যাঁ, আলাদা করে নাম না নিলেও সবাই যারা পড়েছে এবং যদের উৎসাহে এই গুচ্ছ লিখে উঠতে পেরেছি (ভাবাতেও পারিনি এত লম্বা হবে!)....সব্বাইকে ধন্যযোগ!!!!!
  • siki | 122.177.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২৯514811
  • দেখলাম :)
  • শ্রাবণী | 127.239.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১৩ ১৬:৫১514813
  • এই টই আমার কাছে নিজের খাতার পাতার মতই................নিজেই লিখি নিজেই পড়ি, উল্টে পাল্টে। খাতায় লেখা সম্ভব নয়, কারণ আমি হাতে বাংলা লেখায় স্বচ্ছন্দ নয়। আর যবে থেকে বাংলায় লিখছি, এখানে টইয়েতেই লিখি।
    আবার কেন?
    ভেবে দেখলাম, সেই, অভ্যেস, তাই লিখছি। অনেকদিন পরে ঘুরে কখনো নিজেকে দেখতে ইচ্ছে যদি হয়...... তাই লিখছি!

    (শক্তিনগরের পরে)
    ---------------------------
    "পঞ্জাব সিন্ধ গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ" - পকিস্তানের দিকটা বাদ দিলে এ গানে উল্লিখিত বাকী সব প্রান্তের লোক ছিল আমাদের দলে এবং কবিগুরুর কথন উল্টে দিয়ে মিলনের মাঝে বিভেদ টা মাঝে মাঝে বেশ ভালোরকম চাড়া দিত। তারই ফলস্বরূপ রাজস্থানের কোটা যেতে ভিন্ন ভিন্ন দল ধরে ভিন্ন পথ এবং সেই ইক্যুয়েশনে আমি চলি বঙ্গ স্পেশ্যালে, লখনৌ থেকে সরাসরি কোটার পথে ও রেখা যায় তার দেশোয়ালীদের সাথে দিল্লীর রাস্তায়, দিল্লী থেকে পরদিন বম্বে রাজধানী এক্সপ্রেস ধরে কোটা যাবে। ভোরে লখনৌ পৌঁছে স্টেশন থেকেই সবাই আলাদা হয়ে গেলাম। দিল্লীর ট্রেন সকালে তাই রেখা ও অন্যান্য দিল্লীর যাত্রীরা স্টেশনের ওয়েটিং রুমের দিকে গেল আর আমরা স্টেশনের কাছে একটি মাঝারি মানের হোটেলে গিয়ে উঠলাম, সারাদিনের কড়ারে, আমাদের ট্রেন সেই রাতে। এইসব ব্যবস্থাপনায় সত্যি বলতে কী আমার বাঙালী সাথীরা বেশ পটু ছিল,খুব চটজলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করত।

    একটি ঘরে আমি একা, অন্যটিতে ছেলেরা তিনমূর্তি। আগের রাত ছিল মনখারাপের, গত কয়েকমাসের পাতা উলটে সুখস্মৃতিচারনে, গল্পে গল্পে ভোর হয়েছে, নিদ্রাদেবী আমাদের গলিতে পা রাখলেও দুয়ার খোলা না পেয়ে ফিরে গেছে।
    রেখাকে ছেড়ে কিঞ্চিত খারাপ লাগলেও, দেড়দিনের স্বল্পবিরহ সম্ভাবনায় তেমন কাতর ছিলনা মন। ভেবেছিলাম একাই সকাল থেকে সন্ধ্যে ঘুরে বেড়াব ইতিহাসের সাথে, রেসিডেন্সী, ভুলভুলাইয়ার অন্দরে। বাইরে ভাদুরে চিটচিটে গরম, ভালো করে চানটান করে তৈরী হতে হতে আগেররাতের হিসেব মেটানোর খাতাপত্র নিয়ে ঘুমবাবু হাজির। দু এক ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে পরে বেড়াতে গেলে ক্ষতি কী, সঙ্গীদের সঙ্গে কিছু এমন প্রোগ্রাম জোড়া নেই যে এক সময়েই বেরোতে হবে, আপাতত গন্তব্য পাল্টে ঘুমের দেশেই যাওয়া যাক।
    মনুষ্যের পরিকল্পনা বানচাল করাই নিয়তির কাম, গুণীজনের একথার নড়চড় এক্ষেত্রেও হলনা। দরজায় জোরে জোরে কড়া নাড়ার আওয়াজে ঘুম ঘনিয়ে ওঠার আগেই খানখান। কোথায় আছি, কেন ইত্যাদি সঠিক অনুধাবন করার তর নেই, বাইরে যাকে বলে সেই ডাকাত পড়া চিৎকারে সমস্বরে ডাক। তড়িঘড়ি খুলি দরজা, সামনে রেখা সাথে চারপাঁচজনের দল, যাদের হিসেবমত তখন দিল্লীগামী ট্রেনে বসে থাকার কথা!

    ওদের ট্রেন লেট, আসতে বিকেল,তাই ভেবেচিন্তে শেষমেশ রেখাকে হোটেলে আমার ঘরে ছেড়ে বাকীরা এদিকওদিক ঘুরে বেড়িয়ে সময় কাটাবে ঠিক করেছে। রেখা একটু কাহিল মত, অনিদ্রাজনিত ক্লান্তি তারও আছে, সাথে জুড়েছে সকাল থেকে একঠায়ে স্টেশনে বসে থাকার অবসাদ। সেই নাকি জোর করেছে সঙ্গীদের তাকে আমার কাছে হোটেলে রেখে আসার জন্যে। স্নানটান করে চাঙ্গা হয়ে উঠে এবার আফশোষ, কেন যে আমরা দুজনে আলাদা হলাম এযাত্রায়!
    আমার একদিনের জন্যে দিল্লীতে থাকার সমস্যা হত, গেস্টহাউসে জায়গা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। রেখা তার আত্মীয়ের বাড়ি সাকেতে যাবে। আমার সেরকম নিকট আত্মীয় কেউ দিল্লীতে নেই, তাই রেখাকে ছেড়ে বাঙালীদের দলে ঢুকে সোজাসুজি কোটা যাওয়াই স্থির করেছিলাম।
    ওর আমাদের সঙ্গী হওয়াটা অপেক্ষাকৃত সহজ সমাধান ছিল তবে সেযাত্রায় কিভাবে কোথায় মালয়ালী/বাঙালী সংহতি জিন্দাবাদ, যাকে বলে মহিলা ঐক্যকে ছাপিয়ে গিয়েছিল, রাষ্ট্র বনাম আঞ্চলিক প্রেক্ষিতে!

    এবার পুনরায় দুই মক্কেল ঘুমে ঢলে পড়বার আগে বুদ্ধি করে নীচে নেমে সামনের দোকান থেকে আলু পরোটার লাঞ্চ করে নিলাম। অবশ্য তার আগে সঙ্গীদের খোঁজ করতে গিয়ে দেখি, ঘরে তালা, তারা বেপাত্তা।
    রেখাকে নিয়ে যেতে ওর সাথীরা যখন এল তখন আর বাইরে ঘুরতে যাওয়ার সময় নেই, আমার সঙ্গীরাও তাদের লখনৌর অলিগলি সফর সেরে ফিরেছে। স্টেশনের কাছাকাছি হোটেলের আশপাশটা খুব ঘিঞ্জি মতন। বেলায় ওরা তিনজন রাস্তায় বেরোতেই স্ট্যান্ডের রিক্সাওয়ালারা "চিকেন দোকান যাবেন? ভালো চিকেনের দোকানে নিয়ে যাব" বলে এগিয়ে আসাতে এরা অভিভূত হয়ে তাড়াতাড়ি একটা রিক্সা ধরেছে। এতদিনের ননভেজ বঞ্চিত শক্তিনগর বাসের ব্যথিত পরাণের সন্ধান লখনৌর গলির রিক্সাওয়ালারা কেমন করে পেল সে সম্বন্ধে আলোচনা করতে করতে চলে, পথশেষে জমিয়ে মুর্গীর ঝোল খাওয়ার সম্ভাবনায় উদ্বেল হৃদয়।
    রিক্সা এসে যখন বাজারের চিকনের কাপড়ের দোকানে দাঁড়ায় তখন বোধোদয় হয়। ক্ষিদের মুখে, হিন্দীভাষীদের খাস মুলুকে উচ্চারণের হেরফেরে, আ এ র সুক্ষ্ম ফারাক বোঝার ব্যর্থতায় "চিকন" আর "চিকেন" বিভ্রাট ধরা পড়ায় সাময়িক ট্র্যাজেডি। আমাকে সঙ্গে নিলে এ অনর্থ হতনা সে স্বীকার করে হাল্কা আফশোষ। ভুল শোধরাতে এরা আর এক মুহূর্তও না নষ্ট করে রিক্সাওয়ালাকে নিয়ে কোঁকর কোঁ ওয়ালা অসলী চিকন দোকান খুঁজে বার করে তবে ক্ষান্ত দেয়।
    সবুরে মেওয়া ফলে এই আপ্তবাক্যকে একেবারে কাঁটায় কাঁটায় সত্য প্রমাণিত করা সেই চিকন বা চিকেনের ট্রেজার আইল্যান্ডে নাকি আদত নবাবী স্বাদের খাবার দাবার, আওধী ক্যুইজিন। আর শুধু আমার জন্যে বা আমাকে মনে করেই নাকি স্বাদমুগ্ধ তৃপ্ত বঙ্গ আত্মারা নিজ দায়িত্বে রাতে ট্রেনে খাবার বিরিয়ানী ও রেজালার অর্ডার দিয়ে এসেছে সেখানে, যা আমরা সন্ধ্যেয় স্টেশন যাবার পথে তুলে নেব। এই না হলে বন্ধু!

    গোটা স্কুলজীবন দিল্লীর নিকট দুরত্বে বসবাস করেও আমি কোনোদিন রাজস্থান যাইনি। সে সময় বাড়িতে নিয়মিত দুরে বেড়ানো ইত্যাদিতে কারোর তেমন আগ্রহ ছিলনা, ছুটিতে সব পথ যেত শুধু কলকাতা আর গ্রামের বাড়ির পানে, অন্য রাস্তায় নো এন্ট্রি। অতএব প্রথম রাজস্থানে পা রাখব, উত্তেজনা চরমে, আলো ফুটতে না ফুটতেই কাকভোরে উঠে বসে আছি। সঙ্গীরা তখনো ঘুমিয়ে রয়েছে , এসি ট্যু টিয়ারের একটি ক্যুপে আমরা চারজন। এসি কামরা আমার ভালো লাগেনা, এরকম বন্ধ ঘসা জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখে সুখ নেই। তবু চোখের ওপরে হাতের চেটোর ঘোমটা টেনে জানালা দিয়ে অপলক তাকিয়ে থাকি। রাজস্থান মানে আমার কাছে তখন বালি, উট, কেল্লা, ময়ূর, সোনার কেল্লা তখনো আমার অন্যতম প্রিয় ছবি। এদিকে বাইরে যা দেখছি চারপাশের দৃশ্যাবলীতে দিল্লী আগ্রার থেকে বেশী কিছু ফারাক মালুম হয়না। কোথাও দুর থেকে বালি দেখে উৎসাহিত হয়ে জানালায় মুখ সেঁটে দিই, কাছে এলে দেখি রেল লাইনের ধারে কংক্রীট সিমেন্টের কাজের জন্যে বালি পড়ে আছে, লাল পাথরও ঐ জন্যে। খুব কষ্টে সৃষ্টে ভাবনাকে টেনে টুনে সবুজের কমতি ও কাঁটা গাছের বাহুল্যকে মরুভুমির নৈকট্যের কারণ মনে করে নিয়ে খুশী থাকি। অবশেষে ধন্যি মেয়ের অধ্যবসায়ে তুষ্ট হয়ে ভগবান একটি ময়ূরকে দাঁড় করিয়ে দেয় একটা স্টেশন ছাড়িয়ে একটু দুরে। লাফিয়ে উঠে বন্ধুদের বলতে গিয়ে দেখি তারা অচেতন, উল্টোদিকে বাঙ্কের ওপরে শোয়া যাদবপুরী জুলজুল করে তাকিয়ে ছিল, চোখে চোখ পড়তে শুধায়, "হল কী"?
    তখন পেরিয়ে এসেছি ময়ূরকে, তবু বাইরের দিকে হাত দেখাই, "ময়ূর"।
    সে ছিল বেশ ভারভারিক্কী ভদ্রলোক গোছের,বয়সে যদিও আমরা প্রায় কাছাকাছি, তবুও। বোধহয় আমার জ্বলজ্বলে মুখচোখ দেখে তাই বাল্যখিল্য ব্যাপার দেখছে সুলভ একটা হাসি দিয়ে নেমে পড়ে। ট্রেন গড়গড়িয়ে চলেছে, থামাথামির ব্যাপার নেই, তাই বিরক্ত, সকালের চা না হলে তার ঘুম কাটেনা। আমাকে বসিয়ে রেখে দরজার দিকে এগোয়, সিগারেট খাবে আর যে স্টেশনে গাড়ি থামবে সেখানেই চা। আমার চায়ের নেশা নেই, দলে পড়লে খাই এইমাত্র। যেমন ছিলাম তেমনিই নিজের জায়গায় বসে থাকি বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখি, ট্রেন এক শহরে ঢুকছে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড়িয়ে, হঠাৎ যাদবপুরী দৌড়ে আসে, প্রচন্ড উত্তেজনায় কিছুক্ষণ আগের সেই চোখবোজা ঘুম ঘুম ধীরস্থির ভাব উধাও। এসে বাকি দুজনকে প্রবল ঝাঁকুনি দেয় আর সাথে সাথে আমাকে বলে, "গোছাও, গুছিয়ে নাও, এটা কোটা, নামতে হবে। সময় নেই, গাড়ি পাঁচ মিনিট দাঁড়াবে।"
    কিছু ভালো করে বুঝে না উঠেও কোনোরকমে চটিতে পা গলিয়ে, পার্স সামলে, বাক্স বিছানা টেনে হিঁচড়ে প্ল্যাটফর্মে চারজনের দল পা ঠেকাতে না ঠেকাতে গাড়ি ছেড়ে দিল। আমরা বাকী তিনজন প্রায় হতভম্বের মত তখন তাকিয়ে আছি অপসৃয়মান ট্রেনের দিকে।

    আমাদের চলা তখন অমনিই ছিল, সঙ্গীদের আমি হিসেবী বলে মনে করলে কী হবে আসলে কিন্তু কেউই তেমন সংসার হিসেবী হয়ে উঠিনি তখনো পর্যন্ত। নাহলে সকালে উঠে ট্রেন কখন কোটা পৌঁছবে, কোন স্টেশন এল, এইসব হদিশ না নিয়ে দুজন ঘুমে, একজন রাজস্থান চেনায় আর চতুর্থজন চা সিগারেটের ধান্দায় ব্যস্ত! ভাগ্যিস চায়ের খোঁজে প্ল্যাটফর্মে পা ঠেকাতেই সামনে স্টেশনের নাম লেখা বোর্ড চোখে পড়েছে তার। তাও নাকি চোখকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারেনি, ভোরবেলার ফাঁকা স্টেশনে সবেধন কুলিকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে চা সিগারেট ভুলে দৌড়েছে কামরার ভেতরে। বাকী তিনজন অবশ্য অটোতে পথভর তাকে প্রচুর বাহবা দিতে থাকি, যাইহোক মাথা ঠান্ডা রেখে সবাইকে নিয়ে সময়ে নেমেছে নাহলে ক্যারেড ওভার হয়ে কোন চুলোয় যেতাম এতক্ষণে কে জানে!
  • | 24.97.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১৩ ২০:৪৬514814
  • এই সতের আঠেরো বছর আগে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে ট্রেনে ওঠা, দুম করে নেমে পড়া, গার্ড হুইসিল দেবার পর আর ড্রাইভার চলতে শুরু করার ঠিক আগে ওঠা নামা করা বেশ জলভাত ছিল। এখন ভাবলে অবাক লাগে, ঐ আমিটা কি এই আমিই ছিলাম!
  • nina | 78.34.***.*** | ২৩ আগস্ট ২০১৩ ০৩:৩৩514815
  • চিকনের ঝোল ঃ-)))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন