এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিশ্বায়ন দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ

    Babaji
    অন্যান্য | ১৬ মার্চ ২০০৬ | ১৫৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 59.92.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ০১:০০497477
  • আমারও এই আবেগের ব্যাপাট্টা এট্টু শিশিবোতল হয়ে আচে। সাদাসিদে বোল্লেই হোতো: আবেগ টাবেগ কমে গ্যাচে মহায়!

    আর বেগ নিয়ে মামীর ভয়ে আমি আর কিচ্চু বোলবো না। :-(
  • r | 202.144.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ০২:০০497489
  • ১) কোম্পানিদের বদমাইশি সামলানোর দায়িত্ব সরকারের ও সমাজের। তা বিশ্বায়ন হলেও, না হলেও। কেরালায় কোকের কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। মহারাষ্ট্রে ইস্কুলে কোক-পেপসি বিক্কিরি বন্ধ হয়েছে। এনরনের মহারথীরা জেলের ঘানি টানছে। এটা তো শুধু বিশ্বায়নের ব্যাপার নয়। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বেগড়বাঁই করলেই কোম্পানী ঝাড় খাবে। আর সেই সদিচ্ছা জাগাতে হলে লোকজনকে সরকারের উপর চাপ দিতে হবে। এই তো সোজাসাপ্টা ব্যাপার। ধনতন্ত্র তাই বলে। তোমার জানমাল রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের- এ নিয়ে কোনো তক্কো নেই।

    ২)যেগুলো লাভে চলে সেগুলো কিভাবে লাভে চলে দেখো তো দেখি? ব্যালান্স শীট থেকে লুকোনো ভর্তুকিগুলো ছেঁটে ফেলো। তারপর দেখো বাজারের চেহারা কেমন? মানে খোলা প্রতিযোগিতা আছে কি না? তারপর দেখো লাভের অঙ্ক কি দাঁড়ায়। আরও একটা ব্যাপার আছে। কেউ যদি কিছু কেনে তবে লাভজনক কোম্পানীই তো কিনবে, যে রকম স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে। ধুঁকে ধুঁকে মরে যাওয়া কোম্পানী বিক্কিরি হবে কি করে?

    ৩)ট্র্যাডিশনাল কুটীরশিল্পের রম্‌রমা আরও বাড়বে, যদি ঠিকভাবে চালানো যায়। নব্বইয়ের দশক থেকে খাদির ডিমান্ড কত বেড়েছে দেখেছো? তার কারণ দুটো- ১) অনেক বাজার খুলে যাবে আর ২)এইগুলো শখের জিনিষ এবং ইউনিক। কাজেই এদের কোনো রিপ্লেসমেন্ট হয় না। শুধু বাজার ধরতে হবে। তবে অনেক কিছু মরবে। প্রজুক্তি বদলের সাথে সাথে এমনিতেই মরত। এখন যেহেতু বিশ্বায়নের ফলে প্রযুক্তি আরও তাড়াতাড়ি ছড়ায়, কাজেই আরও তাড়াতাড়ি মরবে। যেমন টাইপরাইটার।
  • r | 202.144.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ১৪:২০497463
  • প্রথমে বিশ্বায়ন ব্যাপারটা খোলসা হোক। তার পরে নয় তর্ক হবে।
  • samik | 221.134.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ১৭:০৮497474
  • বিশ্বায়ন তো একটা ওয়েবসাইট। বাংলা বই, বাংলা ক্যাসেট, বাংলা সিডি, বাংলা টেরাকোটার গয়না, বাংলা কাঁথা স্টিচের শাড়ি, সবকিছুর ওয়ান স্টপ শপ।

    বিশ্বায়ন হল ভূবনগ্রাম জুড়ে ব্যাবসা এবং মুনাফা উত্তরোত্তর বাড়িয়ে চলার একটা ইংরিজি নামের বাংলা প্রতিশব্দ। আবাপ-র সৃষ্টি কী?
  • vikram | 147.2.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ১৮:৫২497483
  • মনে হয় ভালো তর্ক করতে গেলে একটা সিংগল লাইনে তর্ক করলে ভালো। যেকোনো যুক্তি ডেফিনিশান এবং স্বত:সিদ্ধের মাধ্যমে তইরি হতে থাকে। আমি প্রস্তাব করছি অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বায়ন ব্যাপরটাকে পরিষ্কার করে বলা হোক। কঠিন হতে পারে, কিন্তু যেন পরিষ্কার হয়।
    অর্থনীতি জানেন এমন কাউকে বলছি একটু খোলসা করতে।
    তারপর না হয় অগারা 'আমারো কিছু বলার ছিলো' বলে শুরু করবে।

    বিক্রম

  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ১৯:৩৬497484
  • অমত্ত সেন-রে ডাকো। অভাবে প্রোফেসর বৈজয়ন্ত।
  • r | 59.92.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ০০:০৪497485
  • তাহলে শুরু হোক। তবে প্রথমে বলি, বিশ্বায়ন অর্থ যদি globalization, তাহলে ইহা শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক বিষয়বস্তু নহে। আর সেইখানেই তক্কোটা। দ্বিতীয়, অর্থনীতির কেতাবে এর কোনো ধরাবাঁধা তাঙ্কিÄক সম্‌জ্‌ঞা নাই। অতএব,

    আই এম এফ উবাচ

    "the growing economic interdependence of countries worldwide through increasing volume and variety of cross-border transactions in goods and services, freer international capital flows, and more rapid and widespread diffusion of technology"

    বিশ্বব্যাঙ্ক উবাচ

    "Freedom and ability of individuals and firms to initiate voluntary economic transactions with residents of other countries"
  • r | 202.144.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১০:৩৩497486
  • এইবার অর্থনীতির দু একটা সরল গপ্পো। ধরা যাক বিশ্বায়ন বলতে আমরা শুধু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ব্যাপারটাই ধরছি। তাহলে,

    ১) মুক্ত বাণিজ্য বাণিজ্য না থাকার থেকে ভালো। সোজা অঙ্ক কষে প্রমাণ করা যায়।

    কিন্তু এক নম্বর গল্পের পিছনে আরও কিছু লুকোনো গল্পো আছে যাদের আমরা assumption বলি। সেই গল্পগুলো সরিয়ে নিলে আসে দুই নম্বর গল্প।

    ২) বাজারের ধাঁচে কিছু খামতি থাকলে মুক্ত বাণিজ্য বাণিজ্য না থাকার থেকে ভালো হলেও নিয়ন্ত্রিত বাণিজ্য উভয়ের থেকেই ভালো। এটাও সাদাসিধে অঙ্কের হিসেব।

    দুই নম্বর গল্পোটাই আমাদের জীবনের অনেক কাছাকাছি। কাজেই আপাতত: তর্ক হল, কতটা নিয়ন্ত্রণ দরকার?
  • r | 202.144.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১২:৪৩497487
  • আরও একটা কথা বলে রাখা ভালো। এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যাপারটা চার মাত্রার। এই প্রত্যেক মাত্রা নিয়ে আলাদা আলাদা তর্ক হতে পারে।

    এক নম্বর, দ্রব্য। মানে পাতি বাংলায় বিভিন্ন জিনিষপত্রের আমদানি রফতানি।

    দুই নম্বর, পরিষেবা। এটা নতুন। আউটসোর্সিং প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

    তিন নম্বর, শ্রম। শ্রমের অবাধ আমদানি-রফতানি খুন একটা বলবৎ নয়। আমাদের জীবৎকালে হবেও না। উদাহরণ, এইচ ওয়ান বি নিয়ে একখান প্রোজেক্ট নামিয়ে ফিরে এলেন।

    চার নম্বর, পুঁজি। এইটা নিয়েই সব থেকে বড়ো গন্ডগোল। দুইভাবে ব্যাপারটা হয়। এক, অন্য দেশের শেয়ার মার্কেটে আমি টাকা লগ্নী করলাম। দুই, অন্য দেশে গিয়ে আমি কারখানা আপিস বানালাম।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১৫:৩৪497488
  • বাণিজ্য, মুক্ত বাণিজ্য - কিছুতেই আপত্তি নেই। মানুষের জীবনযাত্রার মান ভালো হলেই হল। এইবার পোশ্নো - মানুষ বলতে কে? আমি বলছি ইন জেনারেল সব মানুষ। মুক্ত হোক, কি নিয়ন্ত্রিত - বাণিজ্যের ফসল সবার কাছে পৌঁছলেই হল।

    আমার পোশ্নো অন্য -

    (১) এই সব মুক্ত বাণিজ্যের কোম্পানীগুলোকে দায়বদ্ধ করবে কে? রাষ্ট্র? এরা শুনবে কেন? আলাদা "ওয়াচডগ" - সম্ভব - কিন্তু আমাদের দেশে নেই মনে হয়। ইংল্যাণ্ডে আছে জানি, এবং তারা বাঁশও দেয় দরকারে। কিন্তু আমাদের নেই বলেই কোক-পেপসী-তে ইউরিয়া মেলে, আর কেরালায় (কেরালাই তো?) কোক পানীয় জল ভোগে পাঠিয়ে দেয়। কে দেখবে যাতে আরো চাষনালা না হয়? বা এই সেদিনই ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার খনিতে যা হল - সেরকম যাতে না হয়?

    এই দায়বদ্ধতা ব্যাপারটা শুধু পরিবেশ নয়, মানুষের প্রতিও - অর্থাৎ কর্মীদের পেনসন, কাজের পরিবেশ - সবকিছুই এর মধ্যে পড়ে। এবং শুধু কর্মী নয় - বাকি সব মানুষ যারা কোন না কোন ভাবে অ্যাফেক্টেড - সবাই ইনক্লুডেড।

    (২) রাষ্ট্র কেন হোটেল চালাবে - খুব সংগত পোশ্নো - কিন্তু যেগুলো লাভে চলছে (হোটেল নয়, সবকিছুই), সেগুলো বেচে দেওয়া কি উচিৎ? কেন?

    (৩) ট্র্যাডিশনাল শিল্প (কুটির শিল্প) গুলোর কি হবে? যেমন ধরো "ডোকরা" - হাতে-তৈরী ব্রোঞ্জের জিনিস (মূর্তি, পুতুল) - গুচ্ছ গুচ্ছ গ্রামের গুচ্ছ গুচ্ছ লোকের সংসার চলে এতে। এগুলো সুরক্ষিত থাকবে তো?

    আরো করবো পোশ্নো, আস্তে আস্তে।
  • dd | 202.122.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ২০:০১497464
  • কুটীর শিল্প ? কেউ বাঁচবে, কেউ মরবে। আগেও তাই ছিলো। এখনো তাই। শেষ হয়ে যাচ্ছে শংখ শিল্প। টিঁকলো না বাঁকুড়ার গালার পুতুল, মরে গেলো মোষের সিংএর ঘর সাজানোর টুকিটাকি, বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস, রাঢ়ের যমপট, যাদু পট।

    আর চচ্চরিয়ে উঠলো বাঁকুড়ার ঘোড়া, ফুটপাথে ঢেলে বিক্কিরি হচ্ছে ছাঁচের পোড়ামাটীর দুগ্গা, পেঁচা, ফেঙ্গ শুইর বুদ্ধদেব। জুটের হ্যন্ড ব্যাগ।

    সবি বাজার। পাব্লিক খেলে চলবে, না হলে নয়। চিরকালই সেই রকমই ছিলো। বিশ্বায়ন অর নো বিশ্বায়ন।
  • Babaji | 213.173.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ২০:২২497465
  • অবজেক্‌শান ইয়োর অনার।
    বিশ্বায়নই হয়তো বাঁচাতে পারে কুটির শিল্প কে, ডোকরা, মধুবনী, পট, তাস (বাঁকুড়া আর উড়িষ্যা) এইসব। ঠিকমত মার্কেটিং দরকার। পাঁচমুড়োর মাটির পুতুল বা পোড়ামাটির গয়না অপেক্ষাকৃত সস্তা বলে বাজারে ছেয়ে গেছে। সেতুলনায় ডোকরা বা পটুয়ার পট অনেক দামী বস্তু। সেগুলোকে বিদেশের বাজারে কি ছাড়া যায় না? চেষ্টা করেছে কেউ? বালুচরীও তো কুটির শিল্প। সত্তরের দশকে বালুচরী শাড়ীর দাম ছিলো ৩৫০ থেকে ৫০০, খুব দামী হলে ১০০০টাকা। তবু কেউ কিনত না। শিল্পীদের না খেয়ে থাকতে হয়েছে। ফলিডল খেয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছে বালুচরী বোনা তাঁতি। আজ ঘরে ঘরে বালুচরী। স্ট্রাগল ফর এগ্‌জিস্‌টেন্সের লড়ায়ে বালুচরী মরতে মরতে বেঁচে গেল আর পটুয়াদের কী দোষ? আফটার অল দুটোই হ্যান্ডমেড, দুটোই আর্ট। মোদ্দাকথা সেরম করে মার্কেটিং করা হয় নি।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ২০:৩০497466
  • এবার ধরো "আনফেয়ার প্রতিযোগিতা" - এই নিয়ে এখন এখানেও চেঁচামেচি হচ্ছে - সুপারমার্কেট নিয়ে।

    ধরো Alnwick-এর মতন Market Town - সেখানে ছিলো কিছু family-ownded ছোট-বড় দোকান - সবজি, মাছ-মাংস বা রোজকার অন্যান্য টুকিটাকির জন্যে। কিছুদিন আগে Alnwick সিটি সেন্টার থেকে মাইন দুয়েক দূরে একটা Tesco শুরু হল। প্রথমে Tesco পয়সা দিয়ে Alnwick-এর দোকানগুলো উঠিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিলো, এরা ওঠেনি - তখন Tesco প্রচণ্ডভাবে জিনিসের দাম কমিয়ে দেয় - কম মানে অস্বাভাবিক কম। লোকে কম দাম দেখে Alnwick-এর পুরনো দোকান ছেড়ে Tesco যেতে শুরু করে...ক্রেতা ধরে রাখার জন্যে যে কম্পিটিশনে নামার দরকার ছিলো, তার মতন কোমরের জোর (পয়সার জোর) এই দোকানগুলোর ছিলো না, সবকটা উঠে গেছে। আর উঠে যেতেই Tesco স্বমহিমায় - জিনিসের দাম আবার আগের মতন...

    Alnwick একটা উদাহরণ। গোটা ইংল্যাণ্ডে অসংখ্য এরকম ঘটনা ঘটেছে - কোথাও Tesco, কোথাও ASDA, কোথাও Sainsbury's - এই নিয়ে মামলাও চলছে, যতদূর মনে পড়ছে প্রায় ৪০০০-৪৫০০ ছোট ব্যবসায়ী বা তারও বেশি এভাবে ঝাড় খেয়েছে। মানে অন্তত: ১০,০০০ লোকের কাজও গেছে।

    এই প্রতিযোগিতা কি fair?

    "ডোকরা" একটা উদাহরণ ছিলো - এই ধরণের অসম-প্রতিযোগিতায় স্থানীয় শিল্প উঠে গেলে সেটা কি ঠিক?

    আমার মনে আছে যখন কলেজে পড়ি - গ্যাট সই হবে হবে করছে তখন, লিংক-এর পেন পাওয়া যেত, তিন টাকার প্যাকেটে গোটা ছয়েক, নানা রঙের। আমরা নোটস নেবার জন্যে ব্যবহার করতুম। তখন মার্কেটে এলো রেনল্ডস আর মিৎসুবিশি (দুটোই মাল্টিন্যাশনাল) - একই পেন, অনেক কম দামে। লিংক উঠে গেছিলো।

    আমি সুপারমার্কেট বা মাল্টিন্যাশনাল বন্ধ করে দেবার কথা বলছি না। বছর দুয়েক আগে স্টকপোর্টে একটা নতুন Sainsbury's খুললো - সিটি কাউন্সিলের সঙ্গে তাদের চুক্তিই হল যে ওই সুপারমার্কেটের পিছন থেকে M6 (মোটরওয়ে) অবধি একতা অ্যাকসেস রোড Sainsbury's-ই বানিয়ে দেবে - ওদেরও ফায়দা (লোকের পক্ষে আসা সোজা হয়ে গেলে বেশি লোক আসবে), আর এমনি ওখানকার অধিবাসিদেরও ফায়দা - স্টকপোর্ট থেকে M6 ধরতে গেলে প্রচুর মেহনত এমনিতে। এরকম ডীল হলে সাধারণ লোকেদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

    এই ধরণের (অনেক) সমস্যার কথা ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরাম তুলেছে। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম আর ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল ফোরাম নিয়ে একটা তুলনামূলক লেখা লেখো না কেউ।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ২০:৪০497467
  • অথচ, কোনভাবে এই ৪০০০-৪৫০০ ছোট-বড় দোকানকে যদি এক ছাতার তলায় আনা যেত, এরা মনে হয় টিঁকে যেত।

    ঘুরেফিরে সেই "আমূল"-এর গপ্পো।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ২১:৫৪497468
  • প্রচুর ইনফোওয়ালা একটা সাইট পেয়েছি - http://www.globalissues.org - দেখো তো।
  • Ishan | 192.128.***.*** | ১৮ মার্চ ২০০৬ ০৩:১৪497469
  • একটা জিনিস এই আলোচনায় বাদ থেকে যাচ্ছে। সেটা একটু স্মাগল করে ঢুকিয়ে দেওয়া যাক।

    রঙ্গন বিশ্বায়ন বিষয়ে চারটে পয়েন্ট লিখেছে। সেখান থেকেই শুরু করা যাক। আমি পয়েন্ট সংখ্যা কমিয়ে করছি তিন। আলোচনার সুবিধার্থে রঙ্গনের এক আর দুই কে মিলিয়ে একটা পয়েন্ট। বাকি দুটোর স্থানও অদলবদল করলাম। সব মিলিয়ে পয়েন্ট গুলো এইরকম দাঁড়ালো:

    এক। দ্রব্য ও পরিষেবার অবাধ যাতায়াত।

    দুই। পুঁজির মুক্ত ভ্রমন।

    তিন। শ্রমশক্তির অবাধ যাতায়াত।

    এক নম্বরটা খুব সোজা। জাপানী গাড়ি অবাধে আসবে আমেরিকায়, ম্যাকডোনাল্ডস চরে বেড়াবে গোটা দুনিয়ায়, ভারতীয় সফটওয়্যার পরিষেবা চুটিয়ে ঢুকবে পশ্চিমে, সঙ্গে আসবে চিনে খেলনা। অর্থাৎ যে যেখানে খুশী যা খুশী বেচাঅর স্বাধীনতা পাবে, তারপর নিজের মতো খুঁটে খাও। কোনো সন্দেহ নেই, মূলত: বৃহৎ পুঁজির মুখ চেয়েই এতো কিছু।

    দুই নম্বর টাও সোজা। আমেরিকান কোম্পানী সফটওয়্যার কারখানা বানাবে ভারতে আর গাড়ির কারখানা বানাবে মেক্সিকোয়। অর্থাৎ সেই, প্রফিট ম্যাক্সিমাইজেশান, এবং পুঁজির স্বার্থ।

    এবার, তিন নম্বরে আসার আগে, আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করতে বলব, যে, বিশ্বায়ন সম্পর্কে আমাদের যাবতীয় তর্ক বিতর্ক, আলাপ আলোচনা কেবলমাত্র এই দুখানা পয়েন্টকে ঘিরেই আবর্তিত। তিন নম্বরটাকে কেউ পাত্তা দেয়না। যদিও তিন নম্বরটা অন্তত: একটা অংশের কাছে খুব কৌতুহলোদ্দীপক হবার কথা ছিল। কারণ কেবলমাত্র এই তিন নম্বরটাতেই বিশ্বায়ন গ্লোবাল পুঁজির স্বার্থের সঙ্গে কিঞ্চিত বেসুরে সঙ্গত করে।

    কিরকম? ধরা যাক, শ্রমশক্তির যাতায়াত হয়ে গেল অবাধ। ইমিগ্রশনের কোনো ঝামেলা রইলনা দেশে দেশে। এর ফল যেটা হবে, যে, উন্নত দেশগুলোর দিকে রওনা হবে মানুষের মিছিল। অর্থাৎ, ভারতীয় কম্পিউটারোলারা দলে দলে দৌড়বে পশ্চিমে, বেশি মাইনে পেতে। একই ভাবে বাংলাদেশী রিক্সাওয়ালা কপাল ঠুকে চলে আসবে ভারতে, লাতিন আমেরিকার শ্রমিক ডেরাডান্ডা গুটিয়ে চলতে থাকবে উন্নততর আমেরিকা-কানাডায়। ফলে অবধারিতভাবে উন্নততর দেশগুলো, যেখানে কাজের সুযোগ/মাইনে বেশী, তারা সম্মুখীন হবে এক জনবিস্ফোরণের, কমতে থাকবে কাজের সুযোগ এবং মাইনে। অর্থনীতির সূত্র বলে, দীর্ঘমেয়াদে এই জনপ্রবাহ থামবে একমাত্র তখনই, যখন, পুরো জিনিসটা একটা ইকুইলিব্রিয়ামে আসবে। অর্থাৎ, উন্নত দেশে কাজের সুযোগ/মাইনে অনেকটা কমে, এবং অনুন্নত দেশে খানিকটা বেড়ে যখন মোটামুটি একটা সমান-সমান জায়গায় আসবে, তখন লোকে আর উন্নত দেশে যাব যাব করে লাফাবেনা। কিন্তু ততদিনে পৃথিবী পুরো এলোমেলো করে দে মা লুটে পুটে খাই হয়ে যাবে। আমেরিকার সাধের সংসারে উড়ে এসে জুড়ে বসবে মেহিকান বস্তিবাসী, রাজপথে অক্লেশে পনের পিক আর থুতু ফেলে চলবে ভারতীয় গাড়ির মেকানিক, এবং আরও ইন্টারেস্টিং যেটা, সেটা হল, ডলারে রোজকার করি বলে কোনো ব্যাটা আর রেলা নিতে পারবেনা। কারণ পৃথিবী জুড়ে সক্কলের মাইনে কাছাকাচি এসে যাবে। শুকিয়ে যাবে পশ্চিমের সাজানো বাগান।

    এই জিনিস পশ্চিম যে করতে দেবেনা সে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, যারা বিশ্বায়ন নিয়ে প্রচন্ড লড়েন, তাঁরা কেন দাবী তোলেন না, যে, এক এবং দুই মেনে নেব, কিন্তু তিন ও চাই।

    অর্জিৎ, পার্থ বিশ্বাসকে একবার বলবি নাকি?:-)
  • b | 86.135.***.*** | ১৮ মার্চ ২০০৬ ০৮:২৪497470
  • অনেক কথা এখানে বলা হয়ে গেছে, সত্যি কথা বলতে কি আমার কিছুই যোগ করার নেই। তার উপরে আমার rhetoric আর বার বার বলার দোষ।

    অতএব নিজ কান মুলে রাখছি।

    কিন্তু চুপ করে থাকা যায়? একটু চেচাবো না? এমনিতেই insomina র কারণে ঘুম নেই।
    অন্য কাজ ও নেই।

    ৩ এর একটা মৃদু corollary হল labour/economic migrant এর সজ্ঞার পুঁজির স্বার্থে সুবিধে মত রদবদল।

    এখেনেই দুটি টই এক সুত্রে গ্রথিত।

    রদবদলের এক্টি উদা:

    ১। middle class white collar mirgant দের 'talented/skilled' বলে খুব চায় বিভিন্ন chamber of commerce বা CBT-CONFEDERATION OF BRITISH INDUSTRIES এর লোকেরা। basically দুই বিশ্ব যুদ্ধের মধ্যবর্তি যুগে রাজ্‌নইতিক কারণে যে বিরাট middle class এবং bourgoise migration হয়েছিল আমেরিকায়, তার মডেল এ। যথা ব্রেখ্‌ট বা পুইগ এর আমেরিকা যাত্রা। ঐ intellectual immigration এ এগিয়ে থাকা আম্রিকা বরা বরি মডেল।

    এখন এর একটা পীস টাইম মডেল হয়েছে তার নাম হয়েছে HSM -highly skill migration, এই মডেল এ apparently অস্ট্রেলিয়া য় শান্তি কামী, লিবেরেল এর সংখ্যা হুহু করে বেড়ে যাছে! tory রা রোজ তা নিয়ে বলে বিষেশ করে যখন বোমা পড়ে না বা labourfinancial sleaze করে না।bloody ozies obviously doing something right! etc. অন্য দেশের education সিস্টেম এর ফায়্‌দা এর চেয়ে ভালো কিসে উঠবে?

    কিন্তু philipino আয়া মাসী বা সিলেটি রাঁধুনী কাকু বা মিশরীয় ট্যাক্সি দ্রাইভার মেসো র মত ছোটো লোকেরা এলেই ভীষণ demographic সমস্যা বেড়ে যায়।

    বিশেষ করে যে বছর দেশী parliamentary বা european union election থাকে। অন্তত uk তে।

    বিষয় তাই আমার কাছে এক দুই তিন নয়। খুব জড়িত প্রায় একমেবাদ্বিতীয়ম। পয়হা ও পয়্‌হা বানানোর জন্য রাজনীতি।

    -------

    রাজনৈতিক শক্তি গুলো , এরা শুধু পার্টি গুলো ই নয়, না না ধরণের শক্তি গুলো , যথা radio বা print press কখন কোন অভিবাসন কারী কে কখন কতোটা degree of acceptability প্রদান করবে বলা মুশকিল। সবই তাঁর কৃপা!

    বীভৎস london bombing এ হত ৫২ জন স্রেফ এবং একেবারেই মানুষের সংগে বাংলাদেশি মুশ্লিম মেয়েটি মর্বার আগে জিন্দেগী তে অত paablic ভালোবাসা পেয়েছে কিনা সন্দেহ। সে মর্বার পরে multicultural hero। আমায় বিশ্বাস করতে হবে যে , গরীব , গাদা গাদি করে থাকা , মসজিদে চাঁদা দেওয়া মুশ্লিম দের 'multicultural' বলে স্বীকার করেছে tabloid press? মানে মেয়েটা মরার আগে?

    গরীব অপ্রয়োজনীয় মানুষের কথা ছাড়ুন, এই সেদিন ও প্রাক্তন home secretary blunkett নতুন বৃটিশ নগরিক দের, জারা কেউ ৫ কেউ ১০ বছর ধরে tax দিয়ে work permit এ চাকরি কর্ছে তাদের loyalty যথেষ্ট বেড়েছে কিনা দেখার জন্য test প্রস্তাব করেছে! সেই test এ আছে, জাতীয় সংগীত মুখুস্তো বলা, jordie র সঙ্গে scouser এর পার্থক্য বোঝা ইত্যাদি। সত্য সেলুকাস, বিচিত্র তোমার মন্ত্রী গণ, সব দেশেই!

    তবে গরীব ঘৃণার বিষয় টি আশ্চর্য্য ভাবে চাম্‌ড়া মুক্ত।

    angola বা zim এর জে সব গরীবেরা SA এর স্বাধীনতার পরে দলে কাজ করে খেতে পাবে ভেবেছিল, সে গুড়ে বালি হয়েছে।

    আর ভারতীয় বড়লোক দের অভিবাসী গরীব প্রেম
    সর্বজন বিদিত।

    শুনলে আনন্দ হয়, পালেস্তাইন এ ৬৭ র জুদ্ধের পরে বা ৮২ র অশান্তির পরে আসা refugee পালেস্তানিয় রা মোটেই খান্দানি দের চোখে আদরণীয় নন। দেশ ই নেই, কিন্তু মাল গরীব দের লাগাও খিস্তি।

    আর আধুনিক বৃটেন এ asylum seeker টা একটি ট্যাব্লয়ডীয় গালাগাল।

    অথচ এই স্কিম এই socialist block এর অসংখ্য 'গনতন্ত্র' প্রেমী মানুষ বা লাতিন বা ক্যরিবিয়ান আমেরিকার শান্তি প্রিয় ডিক্টেটোর রা গত cold war এর সময় টায় বিলেতে/ আম্রিকি তে টিপিন খেতে এসেছে।

    immigration সবে্‌চয়ে প্রিয় কুমীর ছানা কত্ত লোকের।

    কারা ক্ষমতায়, কাদের সমর্থনে আছে, তার উপরে কাঅদের উপর কেনা ভালো বাসা বাড়ে আর কমে তা নির্ভর শীল।

    daily নানা দের ১৯১৬ বা ১৯২৬ এর headline এর সঙ্গে ২০০৫ এর headline এর পার্থক্য পাবেন না। শুধু অন্য লোকেদের অন্য দেশ থেকে বাঁচ তে আসার কারণে খিস্তি দিতো।

    ১৯১৬ তো সেদিন। K.S. Sandhulondon immigration history র উপোরে মাল কিছু পড়ে্‌লই হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাবে। ১৭ শতক এ 'বিদেশী' দের বিপদ সম্পর্কে সাব্ধান করা হচ্ছে সাময়িকী তে। বিল্কুল এখন্‌কার মত। শুধু লোকটা অন্য।

    ১৭৩৭ এ বৃক লেন এ প্রথম recorded riot --- আইরিশ 'অনুপ্রবেশ্‌কারী' দের সঙ্গে লোকাল কক্‌নী দের।

    ঠিক ১৯৩৭ এর cable streetriot এর মত এক ই এলাকায়, ইহুদী 'বল্‌শী' দের সংগে oswald এর black shirt দের।

    ঠিক ২০০১ এ manchester এর কাছে ছোটো শহর টায়, পাকিস্তানি দের সংগে ... ইত্যাদি।

    শুধু immigration pattern নয়, political exigency র উপরেও শত্রু নির্ধারিত হয় বলে মনে হয়, বাইরে থেকে।

    গরীব , সস্তা শ্রমিক সব দেশের ই চাই, আর কিছু না হোক casualised retail labour এর অপুর্ব sector টি টিকিয়ে রাখার জন্য, তাই ইহাতে সবারি লাভ।

    তবে মাঝে মাঝে না না শত্রু বেড়ে যাচ্চে বলে জিগির ওঠে।

    একি কথা সেদিন ও আগের racism ডিবেট টায় বলে ফেলেছি, তবু আবার বল্লম, শুধু ইকোনোমিক্স করলে তক্কাবো কি করে?

    হে ঠাকুর যেন গরীব না হয়ে যাই দুম করে, বহুত কেলাবে সবাই।
  • dri | 66.8.***.*** | ১৮ মার্চ ২০০৬ ১১:০৬497471
  • ইষানবাবু বলছিলেন না শ্রমের অবাধ যাতায়াতের দাবী কেন কেউ তোলে না। তোলে কিন্তু।

    গ্লোবালাইজেশন বলে যে ব্যাপারটা IMF/WB সারা দুনিয়ায় চালাতে চাইছে, তারই একটা মিনিএচার ভার্সান উত্তর আমেরিকায় ক্লিনটন শুরু করেছিল NAFTA নাম দিয়ে। সিগনেটরি ছিল আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো। ১৯৯৪ সালে। North American Free Trade Agreement। কিছুদিন আগে বুশ এই NAFTA র আওতায় পুরো ল্যাটিন আমেরিকাকেও আনতে চেয়েছিল। বিটার অপোসিসান হয়। মেক্সিকো প্রথম ছিল, মুর্গী হয়েছিল। পরের বার আর ন্যাড়া বেলতলায় যেতে চায় নি। সবচেয়ে বড় আয়রনি হল, NAFTA কে মার্কেট করার সময় বলা হয়েছিল, এটা EU র মত একটা ফাটাফাটি ইকনমিক জোন হবে। প্রোটেস্টাররা ঠিকঠাক হোমওয়ার্ক করে এসেছিল। বলেছিল, ঠিক আছে, তাহলে NAFTA র মধ্যে EU র মত লেবার মুভমেন্ট ফ্রী হোক। NAFTA র এক্সপ্যানশন এখন ভোগে গেছে।

    বাবাজীর মার্কেটিং এ মনে হল, NRI দের গিফ্‌ট পাঠানোর সাইট হয়েছে এত, কার্ড, চকোলেট, বাদাম, ফুল, শাড়ী দেখি, কিন্তু ডোকরা, মধুবনী দেখি না। ট্রাই করে দেখলে হত কাটে কিনা। আর কোন হিট হিন্দি সিনেমায় যদি হীরো হীরো ইনকে মধুবনী প্রেজেন্ট করত ...
  • ar | 151.203.***.*** | ১৮ মার্চ ২০০৬ ১১:৪৯497472
  • শ্রমশক্তির অবাধ যাতায়াত !!!!

    অনেকটা সেই হায়ারার্কিহীনতার বিশুদ্ধু ইয়ার্কির মতন ব্যাপার।
    মানে এই "বিশ্বায়নে" বিশ্ব তো একটা নয়, বেশ কয়েকটা। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়। আবার তৃতীয়েরও শ্রেণীবিভাগ আছে। বড় তৃতীয় আর ছোট ছোট তৃতীয়।

    শ্রমশক্তির অবাধ চলাচলের প্রথম সূত্র হল। সমপ্রকার বিশ্বে অবাধ চলাচলে কোন বাধা নেই। বিশ্বরূপ এক না হলেই ব্যাথা আছে, বাধা আসবে। পরের সূত্র, উচ্চমার্গের বিশ্ব থেকে নিম্নমার্গের বিশ্বে চলাচল সোজা। এক্ষেত্রে নিম্নমার্গীয় বিশ্বের অবস্থা অনেকটা ""বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনার মতন। প্রথম-দাদা আসেন, আসেন। কি ভাগ্যি, আমাগো বাসায় আপনের পায়ের ধুলা পড়সে""। উল্টোটা হবার চেষ্টা করলেই "কষ্ট!" তাই প্রথমেরা প্রথমদের মতন থাকে, তৃতীয়রা তাদের মতন।

    মার্কিন থেকে কানাডায় শ্রমশক্তির যাতায়াত ঠিক আছে। কিন্তু একেই জিনিষ দক্ষিণের সীমান্তে করতে গেলেই বামাল লেগে যবে। মুল নীতিটা যেহেতু প্রথম বিশ্বই ঠিক করে
    দেয়,তাই এই আলোচনাটা "রেসিজিম" এর থ্রেডেও চালানো যায়। মুল কথা হল, ইকনমিক্স আর পাওয়ার। ট্যাঁকের জোর থাকলে, তুমি আমার দলে। এসো আমরা একসাথে খেলি। না থাকেলে তুমি ওদের দলে।
    যাও আমাদের মতন করে খেলা কর, থুড়ি, বিশ্বায়ান কর।
  • dam | 61.246.***.*** | ১৯ মার্চ ২০০৬ ১১:২৩497473
  • দ্রি-এর কথা প্রসঙ্গে: ওয়্‌বসাইটের মাধ্যমে মধুবনী বা ডোকরা বিক্রী হতে দেখি নি। তবে দিল্লীতে এগুলি বেশ ফ্যাশানেবল। দিল্লী হাটে প্রচুর দামে বিক্রী হয়। প্রায় প্রায়ই কোন না কোন প্রদেশকে থীম বানিয়ে ১৫ দিন করে দিল্লীহাটে সেই প্রদেশের বিভিন্ন কুটীরশিল্পজাত জিনিষ নিয়ে প্রদর্শনী চলে। আর লোকে প্রচুর দাম দিয়ে কিনে নিয়ে যায়।

    ফরিদাবাদের সূরযকুন্ডে মকর সংক্রান্তির সময় মাসখানেক ধরে একটি মেলা চলে ---- তাতেও মূলত কুটীরশিল্পের উপরেই জো দেওয়া হয়। এখানে ডোকরা খুব একটা দেখি নি। তবে মধুবনী প্রচুর বিক্রী হয়।

    এগুলিকেই একটু গুছিয়ে ভালভাবে মার্কেট করা সম্ভব।
  • dam | 61.246.***.*** | ১৯ মার্চ ২০০৬ ১২:২৩497475
  • আচ্ছা এখানে এই "কেড়ে নিয়েছে আবেগ" মালটা কোত্থেকে এলো? কি তাৎপর্য্য? কোনো ধরতাই পাচ্চি নে যে!

  • dd | 202.122.***.*** | ১৯ মার্চ ২০০৬ ১৬:৪২497476
  • ক্লোজড ইকনমিতে লোকে যাত্রা দেখতো, খুব কাঁনতো। আবেগে থই থই কত্তো। কিন্তু বিশ্বায়নে লোগের ট্যাকা পোচুর, কথায় কথায় হাটফোর্ড,কানসাস যায় কিন্তু খালি ফক্কুরি করে।

    কবি এটাই বলতে চেয়েছেন। এর চে বিশদ বৈজয়ন্ত কইবেন।
  • tan | 131.95.***.*** | ২০ মার্চ ২০০৬ ০৪:০৫497478
  • কি ভয়ানক! যাত্রা? কবি এই বলিতে চাহিয়াছেন?
    মানে মুক্ত ইকোনোমিতে যদি লোকে যাত্রা দ্যাখে,তাহা হইলে কি হইবে? মানে বলিতেছিলাম এই যাত্রা টাত্রা ছৌনাচ রায়বেঁশে কথাকলি তো মধুবনী ডোকরা মাটির মালা ইত্যাদির ন্যায় আঞ্চলিক শিল্পকলা,এর বিশ্বায়ন হইলে কি হইবে? আবেগের কি বিশ্বায়ন ঘটিবে? তখন কবি কি বলিবেন?
    মানে লোকে কি তখনো যাত্রা দেখে কাঁদবে?

  • dam | 61.246.***.*** | ২০ মার্চ ২০০৬ ১০:২০497479
  • কে বললে আবেগ কমে গেছে? মাসীমার ওখানে তো আবেগের অ্যাক্কেরে থইথই বন্যা। যেতে গেলেই একটা বাথ টাওয়েল হাতে করে ঢুকতে হয়।

    নাকি হাটফোর্ড, কানসাস করে না বেড়ালে আবেগ টা ফক্কুরিতে রুপান্তরিত হয় না?
  • Arijit | 128.24.***.*** | ২১ মার্চ ২০০৬ ১৯:২৭497481
  • কম্পিটিশন নে এমন একটা পোশ্নো কল্লুম কেউ উত্তর দিলে না তো?

    আরো একটা ইস্যু - http://www.banglalive.com/CitySuppliment/StoryDetail418_3_2006.asp - একই রকম কথা আবাপ-তে তারিক আলি বলেছিলেন। উন্নয়ন মানে কি শুধুই নগরায়ন? ঝাঁ চকচকে শপিং মল আর উঁচু বাড়ি?

    এই নিয়ে কেউ দু পয়সা দেবে নাকি?
  • Somnath | 210.212.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০০৬ ১১:৩৯497482
  • এই ফাণ্ডাটা মূলত: কি ছিল? আবেগ টাবেগ যা কমেছে সব স্রেফ বিশ্বায়নের জন্যেই? তাইলে তো মামু এক্ষুনি কুরুক্ষেত্র লিখে দেবে।

    এটা বিশ্বায়নের পরের পার্টটা নিয়ে মানে কেড়ে নিয়েছে পার্টটা নিয়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন