এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ব্রেভিক এবং মুসলিম বিদ্বেশী দকষ

    Biplab Pal
    অন্যান্য | ২৬ জুলাই ২০১১ | ১৬৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Biplab Pal | 69.25.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ০৯:০১483737
  • (১)
    তিন বছর আগের ঘটনা। আমার একজন ড্যানিশ সহকর্মীর সাথে লাঞ্চ খাচ্ছি- বোধ হয় সেদিন কোন একটা কিছু ইসলামিক চরমপন্থী ঘটনা ঘটেছে। ফলত ইসলামিক চরমপন্থী এবং ইউরোপে মুসলিম অভিবাসন সমস্যার প্রসঙ্গ এসেই গেল। আমি খুব অবাক হলাম। ওর মতন একজন উচ্চশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ, ডেনমার্কে মুসলিম অভিবাসন নিয়ে এত ক্রদ্ধ-যে ও দরকার হলে বন্দুক নিয়ে গৃহযুদ্ধে যেতেও প্রস্তুত। ক্রোধের কারন এন্ডলেস লিস্ট। এবং যার মূলে আছে মুসলিমদের ড্যানিশ সংস্কৃতিকে সম্পূর্ন অস্বীকার করে, ডেনমার্ককে ইসলামিকরনের চেষ্টা। ওর বক্তব্য ওরা কিছুতেই ড্যানিশ হবে না, ড্যানিশ সংস্কৃতিও মানবে না-দেশটাকে পাকিস্তান বানাবে।

    মুসলিমদের বিরুদ্ধে এমন মানসিকতা আমি ভারতে হিন্দুত্ববাদিদের মধ্যে দেখতে অভ্যস্ত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইসলামিকরনে প্রশয় দিচ্ছে সেই দেশের লিব্যারাল এবং বামপন্থী গোষ্ঠি। ফলে ইসলাম এবং কমিনিউজমের বিরুদ্ধে যুব সমাজের ক্রমবর্ধমান রাগ পৃথিবীর প্রায় সব অমুসলিম দেশেই ( যেখানে মুসলমানদের সংখ্যা ৫-১০% বা তারও বেশী ) ক্রম:বর্ধমান। দিল্লীতে একটা তরুণ ছেলের কথা শুনে প্রায় অজ্ঞান হবার জোগার। বিহারের এক দাঙ্গায় কিভাবে নিজের হাতে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারাতে অংশ নিয়েছিল-সেই কথা গর্ব করে সে বলে বেড়ায়! শুধু তাই না। আমেরিকা এবং ইউরোপের অনেক উচ্চশিক্ষিত (যারা আমার সহকর্মীও বটে) আমার কাছে নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে গেছে। কারন তাদের নেতারা ইউরোপে যা পারে নি, বা আমেরিকাতও যা পারে না- মুসলমানদের গণনিধন- তা নরেন মোদি করে দেখিয়েছে বটে!

    ইউরোপের প্রবল মুসলিম বিদ্বেশ-যা এতদিন শুধু কথাতে বুঝেছি, আজ গোটা বিশ্ব বুঝল এন্ড্রেস ভেরিং ব্রাভিকের গণহত্যার মাধ্যমে। কমিনিউস্ট তথা কালচারাল মার্ক্সিস্টদের প্রতি তার ঘৃণা এত গভীরে, বামপন্থী তরুণ তরুণীদের একটি পলিটিক্যাল ক্যাম্পের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালো।

    আমি অবাক হইনি। আমার সেই ড্যানিশ বন্ধুটির কথা মনে পড়ছিল-ইসলামের বিরুদ্ধে তার এত রাগ, সে মনে করে বন্দুকের নলই একমাত্র সমাধান-কারন লেবার পার্টি ইউরোপে মুসলিমদের আরো বেশী প্রশয় দিচ্ছে এবং তারা ড্যানিশ সংস্কৃতি ধ্বংশ করছে। ব্রেভিকের ম্যানিফেস্টূ তাই- তার ধারনা মুসলিমরা আর দুদিন বাদে নরওয়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে এবং নরওয়ে বলে কিছু থাকবে না। ওটা ইউরোপের পাকিস্তান হবে। সুতরাং সে কুর্কীতি করে জনগণ ও মিডিয়া দৃষ্টি আকর্ষন করতে চাইছে। আজকেও সে বলছে-কোর্টরুমকে তার আদর্শবাদি যুদ্ধের প্রচারের জন্যেই ব্যবহার করবে!

    (২)

    ব্রেভিকের দক্ষিন পন্থী আদর্শ নিয়ে কিছু লেখা দরকার। সে ইসলামের বিরুদ্ধে কোয়ালিশন গড়তে চেয়েছিল-এবং দেখা যাচ্ছে ভারতের হিন্দুত্ববাদি, ইস্ত্রায়েল, আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী মুসলিম বিদ্বেশীদের সাথে ইমেলে তার যোগাযোগ ছিল। সে মোটেও অন্ধ ধার্মিক না- যদিও নিজেকে সে ক্রীষ্ঠান ইউরোপের রক্ষকর্ত্তা বলেই ঘোষনা দিয়েছে। এবং তার কাছে খ্রীষ্ঠান ইউরোপ একটা রাজনৈতিক ধারনা যেখানে খ্রীষ্ঠান ধর্মের ভিত্তিতে ইউরোপে ঐক্য আসবে। যা ক্রুসেডের সময় থেকে একটি প্রচলিত সাংস্কৃতিক রাজনীতি। এমন কি ধর্মীয় রাষ্ট্রও সে তার ম্যানিফেস্টোতে চাইছে না-খুব পরিস্কার ভাবেই “ইসলাম মুক্ত” ধর্মনিরেপেক্ষ লিব্যারাল স্টেটই চেয়েছে। তার রাজনৈতিক মতবাদ বিজেপির অন্যপিঠ- ধর্ম সেখানে জাতীয়তাবাদের প্রতীক। এবং অনেক ব্লগেই, ব্রেভিক বিজেপির কিছু বিশিষ্ঠ লেখকদের আকুন্ঠ প্রশংসা করেছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থানের জন্যে– যে ইসলাম বিরোধি অবস্থান তার দেশের রাজনীতিবিদরা নিতে ব্যার্থ হচ্ছে বলে সে মনে করে। অর্থাৎ খুব স্পষ্ট ভাবেই ব্রেভিক এক রাজনৈতিক যোদ্ধা। একজন জেহাদি বা নক্সাল ( কমিনিউস্ট উগ্রপন্থী) যে কারনে হত্যাকান্ড চালিয়েও “সমাজ এবং দেশের জন্যে” বিরাট কিছু করছে বলে গর্ব বোধ করে-তার থেকে ব্রেভিকের হত্যাকান্ড আলাদা কিছু না। এটি খুবই পরিস্কার একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড এবং দক্ষিনপন্থী উগ্রপন্থাই এর জন্যে দায়ী।

    (৩)
    কিন্ত এই উগ্রপন্থা কেন? এই ক্ষেত্রে কমিনিউস্ট, হিন্দুইস্ট বা ইসলামিস্ট মৌলবাদি থেকে খ্রীষ্ঠান উগ্রপন্থী ব্রেভিক আলাদা কেও না। নক্সাল, জিহাদি, হিন্দুত্ববাদি বা খ্রীষ্ঠান উগ্রপন্থীদের মধ্যে কিছু প্যাটার্ন আমরা অবশ্যই দেখি

    # পৃথিবীতে জাস্টিস নেই-বিচার নেই!
    স্যোশাল মিডিয়ার দৌলত কমিনিউস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট এবং ক্রীষ্ঠান মৌলবাদিদের আদর্শ এবং মৌলবাদি হিসাবে তাদের বিশ্বাসকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য (!) থেকে মনে হয়েছে-এদের মনের গভীরে “ইনজাস্টিস” ব্যাপারটা ভীষন ভাবে উত্তেজিত করে।
    জাস্টিসের প্রথম ধাপ আইডেন্টিটি বা নিজেকে একটি গ্রুপের বলে মনে প্রাণে বিশ্বাস করা। যেমন কমিনিউস্টদের ক্ষেত্রে এটি হয় শ্রেণীগত পরিচয়-তাদের ধারনা পৃথিবীতে শোষন আছে-এবং এই শোষন এবং অসাম্যটা একটা বিরাট বড় ইনজাস্টিস-এবং সেই ইনজাস্টিস টিকিয়ে রাখছে কিছু বড়লোক। সুতরাং এই জাস্টিসের দাবীতে সব কিছুই জায়েজ! মাই খুন পর্যন্ত।
    ব্রেভিকের ব্যাপারটাও টাই। তার কাছে তার নরওয়েন পরিচিতিই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেই পরিচিতি যারা ধ্বংশ করতে চাইছে-তারাই শত্রু। নরওয়েকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে শত্রকে খুন করতে হবে! সে এক অলীক যুদ্ধক্ষেত্রের যোদ্ধা। যুদ্ধে খুন করে সে শহীদ হতে চাইছে! একদম জিহাদিদের মতন।

    একজন মুসলিম জিহাদির কাছে তার মুসলিম পরিচয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন-এবং গোটা পৃথিবী বিশেষত আমেরিকা তাদের ওপর অত্যাচার করছে ইরাক আর আফগানিস্তানে-এটাই তাদের মনকে উত্তেজিত করে। যদিও বাস্তবে আমেরিকা বসনিয়া এবং আফগানিস্তানে মুসলমানদের মুক্তই করেছে!

    # সে এক মহান কার্যে নিয়োজিত মহান যোদ্ধা
    সে ইনজাস্টিসের বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছে! সুতরাং সে মহান! মানবিকতার মাপকাঠি সেখানে চলবে না! প্রতিটি হিন্দু, কমিনিউস্ট, ইসলামিস্ট, খ্রীষ্ঠান ভাবে, সে মহান পথের পথিক-কারন এই আদর্শগুলিই পৃথিবীকে “জাস্টিস” এনে দেবে! যদিও তারা একবার ও ভাবে না বা শিক্ষার অভাবে জানে না ( বা জানালেও বিশ্বাস করে না), তাদের এই সব মহান আদর্শগুলিই পৃথিবীতে সব থেকে বড় বড় ইনজাস্টিস এবং নরহত্যা ঘটিয়েছে।

    # একদিন গোটা পৃথিবী তার আদর্শের পদতলে আসবে
    আদর্শে বিশ্বাসীদের জন্যে এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তার আদর্শই একদিন জিতবে, পৃথিবীতে রাজত্ব করবে-এমন ভ্রান্ত বিশ্বাসের বলি না হলে কিছুতেই একজন তরুণ তার আদর্শের জন্যে প্রাণত্যাগ করতে পারে না। এই চরম আত্মবলিদানের পজিশনে সে তখনই পৌঁছায়, যখন এই ফাইনাল জাস্টিস বা সবকিছুর পরে জাস্টিস আসবেই-এবং আসবে তার আদর্শের মাধ্যমে-এই ধারণা, তার মাথার মধ্যে ভীষন ভাবে পোক্ত হয়। ব্রেভিকের ম্যানিফেস্টো থেকে কমিনিউস্ট ম্যানিফেস্টো বা কোরান বা বাইবেল-সবকিছুই মানুষের মাথা ন্যাড়া করে এই ফাইনাল জাস্টিসের গল্প দিয়ে। আমি দেখেছি কমিনিস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট সবাই এই ব্যাপারে ভীষন রকমের এক। কার্বন কপি।

    # একটা পিঁপড়ে মরলেও, সে সেটাকে তার আদর্শের সাদা কালো ফিল্টার দিয়ে দেখবে!

    এদের সামাজিক বাস্তবতাতে পোস্ট মডার্নিজমের স্থান নেই সেখানে-সবই রাজনৈতিক বাস্তবতা। যেমন মুসলিম অভিবাসদের ক্ষেত্রে অসলোতে মোটে ৬০% লোক নিজেদের মুসলিম বলে রেজিস্টার করে-বাকি রা নিজেদের মুসলিম বলে না। অর্থাৎ মুসলিম সমাজেই এমন প্রচুর লোক অসলোতেই আছে, যারা তাদের ইসলামিক পরিচিতির চেয়ে নরওয়ের পরিচিতিই বেশী তুলে ধরতে ইচ্ছুক-এটা কিন্ত ব্রেভিকের ম্যানিফেস্টোতে নেই। দুনিয়া তার কাছে সাদা কালো। কোন মুসলিম অভিবাসী
    নরওয়ের সংস্কৃতি গ্রহণ করে না তার মতে!

    আমেরিকায় থাকা কোন বাঙালী কমিনিস্টদের বিরুদ্ধে লিখলেই বাঙালী কমিনিউস্টদের কাছে সে শিয়ার চর। মহম্মদের সমালোচনা করলেই সে ইসলামের শত্রু!

    জাস্টিসের জন্যে খুন করা পবিত্রকাজ

    ১৯৭০ সালে বর্ধমানে সিপিএমের লোকেরা সাঁই ভাতৃদ্বয় বলে দুই কংগ্রেস সমর্থকে হত্যা করে তাদের মুন্ডু নিয়ে তাদের মায়ের সামনে নেচে ছিল। নেতৃত্বে ছিল, সিপিএমের কিছু প্রাত্তন মন্ত্রী। এই হত্যাকান্ড নিয়ে আমি যতবার সিপিএমের সমর্থকদের সাথে বিতর্কে গেছি-দেখেছি, তাদের কারুর কোন অনুতাপ নেই। বুক ভরে গর্ব করে। এমন কি ষষ্টি দলুই বলে এক প্রান্তিক কৃষকের চোখ খুবলে মেরেছিল বেশ কিছু সিপিএম হার্মাদ। আমি কোন সিপিএম সমর্থকের মধ্যে কোন অনুতাপ দেখি নি। নিন্দা করতেও দেখিনি। সাইরা বা দলুইরা কংগ্রেসের সমর্থক মানে তারা শ্রেণীশত্রু-সেটাই তাদের একমাত্র পরিচয়! ঠিক একই কারনে মুসলিম দুনিয়া ভারতে ঘটে যাওয়া ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মোটেও অনুতপ্ত না-তাদের অধিকাংশ গোপনে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ সমর্থনই করে। ঠিক একই কারনে মোদির আমলে ঘটা মুসলিম নিধন নিয়ে কোন হিন্দুত্ববাদি অনুতপ্ত না-বরং গর্বিত।

    ব্রেভিকের অনুতাপহীন খুনী মানসিকতা বুঝতে-এগুলো বুঝতে হবে। সেন্স অব ইনজাস্টিস এবং শত্রুর ধারনা কি করে মানুষকে পশু বানাতে পারে। আজকে খুব পরিস্কার ভাবে বলার দিন এসেছে কমিনিউজম, ইসলামিজম, হিন্দুত্ববাদ, খ্রীষ্ঠান মৌলবাদ মানুষকে পশু বানায়-মানুষ করে না। মানুষ হওয়ার শিক্ষাটা আদর্শের পথে আসে না।

    # তাদের শত্রুরা সব সময় শত্রুতা করছে-সবকিছুই তাদের বিরুদ্ধে চক্তান্ত
    ব্রেভিকের মনে দৃঢ় বিশ্বাস মুসলিমরা নরওয়ে দখল করার চক্রান্ত করছে! কারন তারা ইঁদুর বিড়ালের হারে অসলোতে বংশ বৃদ্ধি করে! এবং তার কাছে এটা মুসলিম দুনিয়ার চক্রান্ত। যদিও বাস্তব এই যে ইউরোপের মুসলমান অভিবাসীদের মধ্যে বংশবৃদ্ধির হার বেশী কারন সোশ্যাল সিকিউরিটি। আমেরিকান মুসলিমদের বংশ বৃদ্ধির হার আমেরিকানদের সমানই। কারন এদেশে সবাইকে খেটে খেতে হয়। অর্থাৎ এই ধরনের কোন চক্রান্ত কোথাও নেই- মুসলিম অভিবাসীদের ফ্যামিলি সংস্কৃতির কারনে, তারা বেশী বংশ বৃদ্ধি করে-এটাকেই সে “পরিকল্পিত” চক্রান্ত বলে ভাবছে!

    ঠিক একই জিনিস কমিনিউস্টদের মধ্যে দেখা যাবে। আমেরিকা যাই করুক তাই সাম্রাজ্যবাদি চক্রান্ত! মুক্ত বাণিজ্যের কারনে সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ এবং চাকরী হারিয়েছে আমেরিকানরাই বেশী-সব থেকে বেশী লাভ করেছে ভারত। তবুও তা ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ! এই হচ্ছে চক্রান্ত তঙ্কেÄর মহিমা। আসলে এদের চিন্তার প্যাটার্নে শত্রু, ইনজাস্টিস এবং চক্রান্তের অস্তিত্ব জরুরী। নইলে এরা এদের “আত্মবলিদান” বা “ত্যাগের” পেছনে কোন কারন খুঁজে পাবে না।

    # তারা কিছু সংস্কৃতির ব্যাপারে কিছু “বিশুদ্ধতার” ধারনাতে বিশ্বাসী-এবং সংস্কৃতির ধারাবাহিক বিবর্তন তারা মানতে পারে না।

    সমস্যা হচ্ছে এদের কে বোঝাবে জীবনের পরম লক্ষ্য বলে কিছু থাকতে পারে না। তাই একটি সংস্কৃতি, অন্যটির চেয়ে বাজে বা অনুন্নত এই ধারনার বলি হওয়াটা বোকামো। প্রতিটা সংস্কৃতির ভালো খারাপ দিক আছে এবং সাংস্কৃতি বিবর্তনের উদ্দেশ্য দুটি সংস্কৃতির সংশ্লেষ -বিরোধ না।

    আমেরিকাতে যেমন চৈনিক এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সংশ্লেষণ হয়েছে-বিরোধ ঘটেনি। ভারতীয়, চিনা খাবার, মার্শাল আর্ট, যোগ ব্যায়াম অনেক কিছুই আমেরিকার মূল সংস্কৃতি প্রবাহে ঢুকেছে। ইসলাম এবং কমিনিউস্টদের ক্ষেত্রে সংশ্লেষণ বলে কোন বস্তু হতে পারে না-কারন তাদের মধ্যে “বিশুদ্ধ” ধারনাটির বিশাল প্রভাব। চোখের সামনে একজন লোক যতই দেখুক ১২০০ মিলিয়ান মুসলিমের ১২০০ মিলিয়ান ধর্ম-এবং বিশ্বের প্রতিটা লোকের ধর্ম কার্যত আলাদা হতে বাধ্য- সে নামেই যত মুসলমান বা হিন্দু হোক-তবুও ইসলামিক বিশুদ্ধতা, হিন্দু বিশুদ্ধতা নিয়ে এরা চিন্তা করে যাবেই। দুটো কমিনিউস্ট পাবেন না, যারা কমিনিউজম বলতে একই জিনিস মানে বা বোঝে-তবুও এদের মধ্যে ১০ বার স্নান করে বিশুদ্ধ থাকার প্রবণতা প্রবল। সবটাই মানসিক রোগ।

    ব্রেভিকের ও ধারনা বিশুদ্ধ ইউরোপের উত্তরধিকার বিশুদ্ধ খ্রীষ্ঠান সংস্কৃতি! এটা মিথ। জিহাদিদের ধারনা বিশুদ্ধ ইসলামিক সমাজ, মহম্মদের রাজত্বে আরব! হিন্দুত্ববাদিদের বৈদিক সমাজ। কমিনিউস্টদের কাছে স্টালিনের রাশিয়া। এসবই মিথ। কিন্ত মিথের ওপর ভিত্তি করে, আত্মবলিদান ও হত্যাকান্ড ঘটানো, পৃথিবীর ইতিহাসের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন দিক। হিটলার থেকে আজকের ব্রেভিক-সবাই সেই “মিথ” ভিত্তিক যোদ্ধা। যার পরিণতি ভয়ংকর।

    আমি কমিনিউস্ট, হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট এবং ব্রেভিকের মতন সাংস্কৃতিক মৌলবাদিদের আলাদা করে দেখি না-কারন এদের সবাই মানুষ এবং মানুষ হিসাবে কেঐ আলাদা হতে পারে না। শুধু ইনজাস্টিসের ধারনাটা এদের মধ্যে আলাদা। কিন্ত এদের মনের গঠন সম্পূর্ন এক-এটা আমার বহুদিনের নিজস্ব অভিজ্ঞতা।

    বিশ্বাসের ভিত্তিতে এরা হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে এবং ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং বিশ্বাস এবং মিথমুক্ত পৃথিবী চাই!
  • kc | 194.126.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ০৯:৫৪483748
  • বিপ্লবের লেখা ভাল হয়েছে। সম্ভবত এই প্রথম।
    ব্যক্তিগত মত।

  • saikat | 202.54.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১০:৩৬483759
  • "সবটাই মানসিক রোগ" বাক্যটা নিয়ে ধন্দ আছে। :-)

    এছাড়া লেখাটা ঠিকঠাক।
  • lcm | 69.236.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১০:৫৪483760
  • আমার একদম শেষ লাইনটা নিয়ে ধন্দ।
    বড় জেনেরিক।
    ওটা "অন্ধ বিশ্বাস' আর, "অযৌক্তিক মিথ' হলে ঠিক হয়।
  • pi | 72.83.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১০:৫৬483761
  • যৌক্তিক মিথ কীরকম ?
  • siki | 123.242.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১১:১৩483763
  • চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।
    ঢাকের বাদ্যি থামলে মিষ্টি।
    দূরত্ব ভালোবাসা বজায় রাখে।

    কয়েকটি যৌক্তিক মিথ।

    :-)))
  • dd | 124.247.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১১:১৩483762
  • দলীয় রাজনীতি,ধর্ম,কাল্ট - এগুলো যারা খুব বেশী করে মানেন তাদের মানসিক গঠন একই ধরনের। এটা বিপ্লবের মতন আমি ও মনে করি।

    অবিশ্বাস না করার অক্ষমতা একটা বিরাট অসুখ।
  • aka | 24.42.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৪:৪১483764
  • লেখাটার অনেক কিছুই ঠিকঠাক। কিন্তু মিথমুক্ত পৃথিবী, মানুষের মতন মানুষ ইত্যাদিও আসলে আর একটি কাল্ট। কমিনিজম এবং পৃথিবীর সমস্ত ধর্মই শেষে মানুষের মতন মানুষ হতে বলে। কিন্তু সেটা যে কি বস্তু কেই বা জানে?
  • saikat | 202.54.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৫:২৫483765
  • "জীবনের পরম লক্ষ্য বলে কিছু থাকতে পারে না" - বিপ্লববাবু লিখেছেন।

    আমার কাছে এটা একরকমের স্কেপটিসিজম। যেটা আমার কাছে সদগুণ বলে বিবেচ্য।

    সমস্যা হবে, যখন এটাকেই কেউ কাল্ট বানাতে চাইবে। তখন এটা আর স্কেপ্টিসিজম থাকবে না।
    :-)
  • kc | 194.126.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৫:৪৯483738
  • ''অবিশ্বাস না করার অক্ষমতা'' যতবার পড়ছি ততবার গুলিয়ে যাচ্ছে। ডিডিদা....
  • Arpan | 202.9.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৬:০১483739
  • ডিডিদা নিশ্চয় ইনফোসিসের ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের পেপার সেট করতেন। :)

    "অবিশ্বাস না করার অক্ষমতা' ইয়ানে "বিশ্বাস করার অক্ষমতা'। এক মানে না, কিন্তু কাছাকাছি।
  • dd | 124.247.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৬:২৭483740
  • আরে,এটা আমার নিজস্ব কয়েনেজ নয়, কিন্তু খুব প্রিয় আপ্তবাক্য।

    এটা 'বিশ্বাসে'র মতনই গভীর ও সর্বব্যাপী।

    কোনো গুজব গুল্পো ও একেবারে অবিশ্বাস্য অসম্ভব যা কিছু - সেটা যদি নিজস্ব ধর্ম/কাল্ট/রাজনীতির সাথে খাপে খাপে মিলে যায় তাহলেও চিন্তাহীন রোবোটের মতন সেগুলিকে আঁকড়ে ধরা। মতামতের ব্যাপার নয়, সেটা তো তর্কের ব্যাপার। কিন্তু ইম্পসিবলকেও মেনে নেওয়া হয় এমন কি র‌্যাশনালিস্ট পরম্পরাতেই।

    এটা চিন্তাশক্তির স্বেচ্ছা বিসর্জন। অবিশ্বাস না করবার ক্ষমতা লুপ্তি। রাজনীতির জগতে এতো দেখেছি যে আর কহতব্য নয়।

    অথচ হাসাহাসি হয় শুধু সাঁই বাবা,গনেশের দুধ খাওয়া এ সব নিয়েই।
  • Biplab Pal | 69.25.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৭:৪২483741
  • ওটা "অন্ধ বিশ্বাস' আর, "অযৌক্তিক মিথ' হলে ঠিক হয়।


    অন্ধ বিশ্বাস এবং অযৌত্বিক মিথ-অক্সিমরন।

    সত্যের আসল রূপ স্থান কাল ভেদে পালটাবেই-তাই বিশ্বাস সর্বদা অন্ধ এবং মিথ সর্বদা যৌত্বিক।
  • Biplab Pal | 69.25.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৭:৪৩483742
  • সরি মিথ সর্বদা অযৌত্বিক লিখতে গিয়েছিলাম।
  • dukhe | 122.16.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৭:৪৪483743
  • স্বাধীনতাবাদী উগ্রপন্থীদের নিয়ে কী করা যায় ? মানে সূর্য সেন প্রমুখ কি একই গোত্রে পড়বেন ?
  • suku | 115.24.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ১৮:৪৯483744
  • ইয়ে, অক্সিমোরন না রিডান্ডান্ট?
  • lcm | 128.48.***.*** | ২৬ জুলাই ২০১১ ২২:১৬483745
  • নাহে বিপ্লব, বিশ্বাস ছাড়া মানুষ...

    এই যেমন ধরো, কাউন্সিল কম্যুনিজম। তুমি এতে বিশ্বাস রাখতে পারো। তোমার মনে হতে পারে অনেক সমস্যার কাউ-কম দিয়ে মোকাবিলা করা সম্ভব। এবারে কেউ যদি বলি না, কাউ-কম দিয়ে এমন কিছু হবে না, আর তাই শুনে তুমি হাউমাউ করে তেড়ে আসো - তাহলে সেটা হল অন্ধ বিশ্বাস।

    আর মিথ। লজিক্যাল মিথ বলে একটা কথা তো আছেই। এই যেমন ধরো, ভিন্ন গ্রহে প্রাণী আছে। এটা কেউ কেউ মনে করে মিথ। কিন্তু অযৌক্তিক নয়। আবার যেমন গ্যাসের রান্না খেলে পেটে গ্যাস হয় (প্রথম যখন গ্যাস সিলিন্ডার আসে অনেকে বলত) - এটা যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।

    এই আর কি...
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ০৫:১৮483746
  • অনেকের মত আমারও বিপ্লব পালের এই লেখাটা আদ্যোপান্ত, মানে মূল বক্তব্যটা , ভালো লাগলো।বছর দুই আগে বুলবুলভাজায় "" ঈশ্বর ঈশ্বর খেলা'' ও ''সাঁঝবাতির রূপকথারা'' বলে দুটো লেখায় প্রায় একইধরণের বক্তব্য রেখেছিলাম কিন্তু এল সি এম এর মত আমিও ভাবি মানুষ সব যুগে সব বিষয়ে তার নিজস্ব "রূপকথা' বা মিথ বা বিশ্বাস ছাড়া বাঁচতে পারে না।
    উনিশ শতকীয় হিউম্যানিজম বা মানুষ মূলত: ভালো বা র‌্যাশনাল-- এটিও একটি মিথ। কিন্তু আমি বাকিজীবন এই মিথ বা বিশ্বাস নিয়েই বাঁচতে চাই।
    প্রশ্ন এই খানে যে আমার অন্যায়ের প্রতি পবিত্র ক্রোধ যখন ব্যাপক মানব হত্যার মত আরো বড় অন্যায়কে কোল্যাটারাল ড্যামেজ বলে জাস্টিফাই করে, তখন তাকে আটকানো।
    বিপ্লবের বিশ্বাসহীন বা মিথহীন মানবসমাজের কল্পনা বা দাওয়াই খানিকটা জন্মজলের সাথে শিশুকে ছুঁড়ে ফেলার মত নিদান নয়?
  • dd | 124.247.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ০৯:৫৫483747
  • লসাগুকে

    কাউকমে (বা অন্য কোনো কমে) বিশ্বাসী,সে যদি অন্য কোনো মতের প্রবক্তাকে দেখামাত্রই কামড়াতে ছোটে তাহলে বলবো সে এক অসহিষ্ণু বদের হাঁড়ি এবং নন ভেজ।

    কিন্তু কাউ কম (বা সমাজতন্ত্র বা বাজারতন্ত্র বা যে কোনো মন্ত্রে)বিশ্বাসী কে তার দলের নেতা বা প্রতিবেদক যখন বলেন একটু আগে দেখলাম আকাশ দিয়ে কতকগুলো ঘোড়া উড়ে যাচ্ছিলো, একটাকে ঢিল মারতেই সে কোঁকর কোঁ আওয়াজ করে আমাকে শিং দিয়ে গুঁতিয়ে দিলো। এবং তিনি সেটিকে বেশ হজম করে নিলেন। সেটিকেই আমি কই "অবিশ্বাস না করিবার অক্ষমতা"।

    এর সাথে নীতি ফিতির কোনো বালাই ই নেই। পরমতসহিষ্ণুতার ও নয়।

    আর আরেকটা প্রশ্চেন এই খুনী ব্রেভিক কাদের মারলেন? খুব স্পষ্ট হলো না। লিখেছে একটি দ্বীপে "বামপন্থী যুব সন্মেলন" হচ্ছিলো। কেউ বিশদে জানাবেন ?
  • sinfaut | 121.24.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:০৩483749
  • কিন্তু ইসে টা অবিশ্বাস 'করিবার' অক্ষমতা হবে না?
  • dd | 124.247.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:০৯483750
  • দাঁড়াও, ভেবে বলি।

    মূল ইংরাজীতে হচ্ছে "Willful suspension of disbelief"। তাইলে = অবিশ্বাস না করিবার ইচ্ছা = অবিশ্বাস না করিবার স্বেচ্ছা অক্ষমতা।

    চলবে ?
  • sinfaut | 121.24.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:১৪483751
  • নাকি অবিশ্বাস করিবার ইচ্ছাকৃত অক্ষমতা? ;-)
  • dd | 124.247.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:২১483753
  • ঠিকাছে,ঠিকাছে।
    তাইলে ঐ কথাই রইলো।
    "অবিশ্বাস করিবার ইচ্ছাকৃত অক্ষমতা"। এটা দিব্যি হয়েছে। কেউ বুঝবে না।
  • Abhyu | 97.8.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:২১483752
  • নরেন্দ্রনাথ একবার রামকৃষ্ণদেবের সামনে 'অন্ধ বিশ্বাস' কথাটা বলে বেশ ফাঁপরে পড়েছিলেন। ঠাকুর বলেছিলেন - হয় বল বিশ্বাস, নয় বিচার, নইলে অন্ধ বিশ্বাস, চোখওয়ালা বিশ্বাস এ আবার কি রকম?
  • dukhe | 122.16.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:২২483754
  • তাইলে কোনটা বেশি অবিশ্বাস্য দাঁড়াল ? কাউকম না শিংঅওলা পক্ষিরাজ ?
  • Abhyu | 97.8.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:২৬483755
  • ঘোড়ার গুঁতো হজম করলেন = বিশ্বাস করলেন = অবিশ্বাস করতে পারলেন না = অবিশ্বাস করার অক্ষমতা =/= অবিশ্বাস না করার অক্ষমতা
  • r2h | 67.96.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ১০:৩৮483756
  • এইসব অবিশ্বাসের প্রচার শুনে আমার হৃৎকম্প হচ্ছে। আধুনিক পৃথিবীর একি নীতিগর্হিত অলম্বুষপনা। মনের মাঝারে বিশ্বাসের নিষ্কম্প দীপশিখা জ্বালিয়ে রাখার জন্যে আমি একমনে পীড়ের আরাধনা করি। আজ শুক্রবার নয়, এমনকি শনিবারও নয়। কিন্তু তাতে কি।

    মর্মপীড়ের কোপ
    কেমনধারা তোপ
    হলুদ হলুদ ছোপ
    তেল ঝাল অম্বল
    অবিশ্বাসীর ইসে
    অন্ধ কানাই কিসে
    দেখতে পেলো অপ
    সমস্কিতির ঝোল
    ইচ্ছামূলক পাপ
    আদমখুড়োর সাপ
    ইডেন বাগান জুড়ে
    ভয়ারিস্টিক রোল
    ভাসছে তবু হোপ
    পীড়ের পরমনিধি
    পার করে দেন যদি
    তেঁতুল মাখা ওল।
  • Mridha | 192.88.***.*** | ২৭ জুলাই ২০১১ ২০:০৯483758
  • খুব ভালো লাগলো বিপ্লবের লেখাটা, অনেক কঠিন সমস্যা কে এতো সহজ ভাবে লিখতে সচরাচার চোখে পরে না, ওনার বেশির ভাগ মতের সঙ্গেই অমি এক মত। Swamy Vivekananda's
    CONCLUDING ADDRESS of Chicago
    আজও কতটা relevant ভেবে অশ্চর্য্য হই।
    copy past না করে একটা link এ তুলে দিচ্ছি

    http://sites.google.com/site/psmridha/articles/in-search-of-religious-harmony
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন