এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • সুমিতদার কিছু কথা

    nina
    বইপত্তর | ১৮ আগস্ট ২০১১ | ১০১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • nina | 68.45.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০৭:০৬480906
  • বর্ডার্স-এর বড়ো কর্তার কাছ থেকে একটা ইমেল পেয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। বর্ডার্স এখানকার এক বিরাট বই-ব্যবসায়ী, আমেরিকা জুড়ে শ চারেকের মতো দোকান, ব্যবসাটা হোলো মুখ্যত দোকান সাজিয়ে খুচরো বই বিক্রীর-- retail brick-and-mortar। অনেকদিনের ব্যবসা, ১৯৭১ সালে দুকামরার পুরনো বইয়ের দোকান থেকে শুরু করে নানান ঝড়ঝাপটা, হাতবদল, বাড়াকমার মধ্যে দিয়ে আসার পর আর এটিকে ভাসিয়ে রাখা গেল না, শেষ পর্যন্ত দেউলিয়া হযে গেল। আসলে দেউলিয়া হয়েছিল ফেব্রুয়ারীতে, কিন্তু এদেশে আইনত দেউলিয়া হবার পরও ব্যবসা চালু রাখা যায়, চ্যাপ্টার ১১ বলে আইনের কল আছে। এবার বর্ডার্স সে কল নেড়েও কিছু করতে পারলো না আর, বিক্রীপাটা বন্ধ করে সব দোকান তুলে দিচ্ছে। বর্ডার্স-কর্তার ইমেলটাতে সেই বই কেনা
    খবর আছে, আর আছে সুন্দর করে লেখা বিদায়ের বাণী। অনেকদিন অনেক বই কিনে বর্ডার্সের দুয়েকটা কার্ড পেয়েছিলাম, সেই সূত্রে ইমেল গ্রাহকদের মধ্যে নাম উঠেছে-- এতদিনের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ধন্যবাদ, যা পয়েণ্ট আছে তা এ সপ্তাহের শেষের মধ্যে ভাঙিয়ে নিন, ইত্যাদি।

    পিতৃসূত্রে বই কেনার নেশাটি পাওয়া গেছে। বড়ো হয়েছি এক বই-পত্র-পত্রিকা-...-ঠোঙা সঙ্কুলিত বাড়ীতে। কলেজ স্ট্রীটের অমূল্য দাশগুপ্ত মশায় স্বর্গত জ্যাঠামণির সঙ্গে প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়তেন, তাঁর দোকান থেকে বাংলা বই আসতো। ধর্মতলায় ফারপোর নীচে একটা ঝাঁপ দেওয়া বইয়ের দোকান থেকে কর্তা কিনতেন ইংরেজী বই, খবরের কাগজওয়ালা ছিল মায়ের প্রিয়, সে রাজ্যের সাপ্তাহিক, মাসিক, শারদীয়া, অনিয়মিত পত্রিকার সঙ্গে মাঝে মাঝে কিছু উপন্যাসও গছাতো। আমর দৌড় ছিল দেশপ্রিয় পার্কের সামনের স্বল্পায়ু 'সিগনেট প্রেসে'র জানলা, ভেতরে যাবার রেস্ত থাকতো না প্রায় কখনোই। অবশ্যই কলেজ স্ট্রীটের পুরনো বই, আর চাকরী পাবার পর মাইনের দিন লাইট হাউস-নিউ এম্পায়ারের উল্টোদিকে পেপারব্যকের দোকান। সেখানে তখন বিলিতি লেখকরাই ঝাঁপ আলো করে থাকতেন। অর্থাৎ নতুন বইয়ের গাদার কাছাকছি আসবার কোনো সুযোগই নেই।

    শিকাগোয় পড়তে এসে বেজায় ধাক্কা খেলাম। কলেজে ছোট বইয়ের দোকান, কিন্তু সেখানে থরে থরে সাজানো বই, ঢুকে সেসব বই ছুঁয়ে দেখা যায়, নতুন বইয়ের গন্ধ নেওয়া যায়, পাতা উল্টে দাম দেখে দাঁত ছরকুটে পড়া যায়। যদিও তখন ডলার মাত্র পাঁচ টাকা। বই পাগল ফরাসী রুমমেট বললে, এ আর কী দেখছো চাঁদ, বলে ডাউনটাউনে নিয়ে গেল-- প্রায় সিকি ব্লক জুড়ে দোকান, ক্রক্‌স্‌ এণ্ড ব্রেন্‌টানোস্‌। একতলায় স্বর্গরাজ্য, বই পরীরা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। পাতালে নেমেই "ডোভার এডিশন" আবিষ্কার ও প্রেম। এমন পাতালে এক ঋতু কেন, অর্ধেক জীবন কাটাতে পারি। ফরাসী নিয়ে গেল ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো পাড়ায়, সেখনে 'মেডিচি' বলে এক কফিহাউস থুড়ি বুকস্টোরে, "নস্য উড়ে আকাশ জুড়ে, কাহার সাধ্য দাঁড়ায়"। বক্সড সেট ব্যাপারটা জানা গেল সেখানে আর সন্ধান পাওয়া গেল প্রাণঘাতী হট চকোলেটের।

    চাকরী নিয়ে শহরতলীতে এলাম, মুদীর দোকান. ওষুধের দোকান, এমন কি কে-মার্টেও তাকভর্তি বই, বটতলা স্টাইলের নভেল, সে সব ধর্তব্যের মধ্যে ন্য। তবে সেখানে প্রায় প্রতি গ্রামে (আদরার্থে) একটা বইয়ের দোকাঅন থাকতেই হবে। নামটি হবে Ye Olde Book Shoppe বা তারই কাছাকাছি কিছু, বেশীর ভাগ সময়েই দোকান চালাবেন এক বইপ্রেমিক দম্পতী। দোকানে হলমার্কের কার্ড থাকবে, দোকান চালাতে গেলে টাকা লাগে, মধ্য আমেরিকার ছোট শহরে শুধু বই বেচে পেট চালানো যায় না। বই সাজানোর কায়দা দেখলে ধরে ফেলা যাবে দোকানের মন্ত্র। কী কী সাবজেক্ট। তো হোলো ধর্ম; তার মধ্যে কি আরো ভাগ আছে? হিন্দু, বৌদ্ধ, ... না প্রাচ্য প্রতীচ্য? না কি আরো সূক্ষ্ম কিছু? আমার পাড়ার দোকানটি চালাতেন পাড়ারই ইস্কুলের এক শিক্ষক দম্পতী, একজন সকালে শিশু বিভাগে পড়ান, আরেকজন বিকেলে মধ্যমানে, কাজেই বইয়ের দোকানে সবসময় হাজিরা দেবার লোক আছে। এঁদের দোকানে একদিন ডুইনো এলিজির ধূলিধূসর এক কপি আবিস্কার করে কিনতে গেছি, ভদ্রমহিলা প্রায় কেঁদে ফেলেছেন। বলেন, কর্তার সঙ্গে বাজী ফেলে এই বইটা আমি আনিয়েছিলাম, এতোদিনে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। একজন ইংরেজীর, আর একজন দর্শনের লোক -- গাধা পিটিয়ে যে দু:খটি পান তার নিবারণ করতে বইয়ের দোকান। পরে এঁদের সঙ্গে ভালো ঘনিষ্ঠতা হ্যেছিলো। আমাঅকে ম্যানহাটানে স্ট্র্যাণ্ড বুকস্টোর চিনিয়েছিলেন। "আট মাইল জোড়া বই"-- এই তাদের বীজ। সে আর এক কাহিনী। ও, ফ্রী বুক্‌সের লোভে ইতিমধ্যে ডজন খানিক বুক ক্লাবের খপ্পরে পড়ে গেছি, সেও আর এক কাহিনী।

    এ সুখ বেশী দিন টিঁকলো না, ইতিমধ্যে পশ্চিম আকাশে মেঘ জমছে। শহরতলীর শহরতলীতে ময়দানব শপিং মল তৈরী করছে, তার পার্কিং লটে ঘটোৎকচের বিবাহ দেওয়া যয়। সেখানে অনেক লোক যায়, তারা অনেক বই কেনে, বিরাট মার্কেট, অতএব একদিন ঢাকঢোল বাজিয়ে ব্রেন্‌টানোস্‌ এসে গেল, এলো ওয়াল্‌ডেন বুক্‌স্‌, বি. ডাল্‌টন, আরো অনেকে -- এখানে তাদের বলে ফ্র্যান্‌চাইজ্‌। বড়োসড়ো, ঝলমলে দোকান, অনেক বই আর তিন চারটে টেবিলে সস্তার বই-- নাম বার্গেন টেবল, সেখানে লেগে থাকলে মাঝে মধ্যে দুয়েকটা কেনার মতো বই পাওয়া যায়, "দাম করেছি সস্তা বড়, চোদ্দো আনা শিশি"। আমার মাস্টার দম্পতীর দোকানে দুদিনে লাল বাতি জ্বললো, চুল ছাঁটা আর নোখবাহারের দোকান খুলে গেল সেখানে। যে বইয়ের বিক্‌কিরি নেই, সে বই জোগাড় করা খুবই মুস্কিল, অতএব স্ট্র্যাণ্ড বুকস্টোর, বুক ক্লাব আর পাবলিশার্স্‌ ক্লিয়ারিং হাউসের ক্যটালগ দেখে এবং Ye Olde Book Shoppe-র কথা ভেবে চলাতে লাগলাম।

    পশ্চিম আকাশে আবার মেঘ, ঘনঘটা নয় কিছু, মধ্যাহ্নের ছায়ার মতো, চোখ ফেরালেই হারিয়ে যায়। আমাজন ডট কম। তখন ইন্‌টারনেটে একটা পাতা ডাউনলোড করতে করতে বাজার করে আসা যায়, থেকে থেকেই নীল স্ক্রীনে কম্প্যুটার গতপ্রাণ, আর ইনি কিনা ক্যাটালগ করে বই বিক্রি করবেন-- আমরা হেসেই বাঁচিনা। হ্যাঁ, সেল ট্যাক্সটা দিতে হয়না, নচেৎ তোমার আর কী আছে বাপ। বিজ্ঞজনেরা বললেন দেখো এই ব্রডব্যাণ্ড আসছে, তাতে ইন্‌টারনেট ব্যবহার করা সহজ হয়ে যাবে। একটু ধৈর্য ধরো, অন্‌লাইনেরই জয় হবে, এই যে শুধু ইঁদুর নাড়িয়ে সবচেয়ে সস্তার মাল কেনাকাটা করা, এ কি চাড্ডিখানি কথা! বাজারে তখন অন্‌লাইন আর ইটসুরকির দোকানের জোর লড়াই। একদিন মলে গিযে দেখি ওয়ালডেন, বি.ডালটন, সবায়ের ঝাঁপ বন্ধ, তার বদলে ঝাঁ চকচকে নতুন নতুন বাড়িতে নতুন নতুন বইয়ের দোকান-- বার্নস্‌ এণ্ড নোব্‌ল্‌, বর্ডার্স। সারে সারে বইয়ের তাক আছে, বার্গেন বইয়ের বড়ো বড়ো টেবিল, নিজেদের ছাপা বই সস্তায়, ডিভিডিও পওয়া যায়। আর আছে আরাম করে বসার সোফা এবং একধারে কফির দোকান। একটা বই হাতে বসলে বা কফি খেতে গেলে কেউ বকাবকি করেনা। আমরা বললাম হ্যাঁ, এই না হলে বাণীমন্দির এবং অবরে সবরে যেতেও লাগলাম-- বিশেষত বড়োদিনের পরে সেল্‌-এ বই কিনতে।

    এদিকে আমাজনের কী হোলো। ওমা, সে দেখি শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে কালকেতুর মতো বেড়েই চললো, বইয়ের সারাৎসার দিতে লাগলো, পাঠকদের রিভিউ, এই বইএর দ্বিতীয় সংস্করণ বেরোলো, কিনবেন নাকি, ইত্যাদি। মোক্ষম মার এলো যখন ওঁরা আমাজন মার্কেটপ্লেস খুললেন-- সেখানে শত শত বইয়ের ব্যাপারীর আনাগোনা, কেউ না কেউ প্রায় জলের দরে চাহিদার বইয়ের নতুন বা প্রায় নতুন কপি বিকোচ্ছেন। ইটসুরকীর বইয়ের দোকানে যাওয়া ছেড়ে দিলাম, বুক ক্লাব অনেকদিনই ছেড়েছি, এখন হলাম বইয়ের বৈদ্যুতিন পৃথিবীর নাগরিক। এখনো পুরোপুরি নয়, এঁরা কিণ্ডল্‌, ইপাব রীডার ইত্যাদি নানা যন্তর বাজারে ছাড়ছেন, তাতে ঐ কাগজপত্তর, ছাপাছাঅইর ব্যাপারটাই নেই। ইন্‌টারনেট থেকে ডাউনলোড করো আর পড়ো। কিছু ছেলেছোকরাদের হাতে দেখেছি, তবে ছাপোষা বাঙালী, এখনো গাঁটের কড়ি খসিয়ে কিনতে সাহস পাইনি। শুনছি এই ই-বুকের ব্যাপারটা ঠিকমতো কব্জা করতে পারেনি বলেই বর্ডার্সের পতন। তবে জানি এ প্রযুক্তি'তরঙ্গ রোধিবে কে?'

    ছেলেবেলায় পরীক্ষার আগে আকুল প্রার্থনা ছিল, হে ঠাকুর, বর দাও যাতে বালিশের তলায় বই রেখে ঘুমোলেই সব জ্ঞান মাথায় উঠে আসে। আমার নাতনীদের জীবনকালে সে বর মিলে গেল কিনা তা দেখবার জন্য আবার আসার ইচ্ছে হয়, কিন্তু এসে যদি দেখি আমেরিকার ক্রেডিট রেটিং ডি মাইনাস হযে গেছে, সেই ভয়ে আর্জিটা আর পেশ করা হচ্ছে না।
  • Nina | 68.45.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০৮:১৭480917
  • সুমিতদা,
    সুনীলের এই কবিতাও থাক এখানে তোমার এই লেখাটার সঙ্গে , তবে পুরোটা কে টাইপ করবে,বাপ রে -এই কটা লাইনই থাক

    বইতে থাকুক শক্ত মকাট, কখনও সখনও ছুড়তে তো হবে টি ভির বাক্সে
    সবাই বলছে , আসছে শতকে যুদ্ধ লাগবে, বই হারবেই
    বই বলে আর কিছু থাকবেনা
    হারে তো হারুক, মৃত বইগুলি ভূত তো হবেই,
    যখন তখন কম্পুটারের দেবে গলা টিপে !!

  • Nina | 68.45.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০৮:১৮480926
  • *মলাট
    উফ!
  • siki | 123.242.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ০৮:৪৯480927
  • পুরো কবিতাটা আমি আজ সন্ধ্যেয় বাড়ি গিয়ে টাইপ করে দেব।

    লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।
  • kiki | 59.93.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১০:৫১480928
  • মনক্যামনিয়া
  • Shibanshu | 59.93.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১১:০২480929
  • সুমিতদা আর নিনা, দুজনকেই কলা দেখাচ্ছি। ( ইয়ে, মানে থাম্‌স আপের কোনও এর থেকে ভালো বাংলা আছে কি?)
  • sumit | 69.207.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৭:২৪480930
  • *আবিষ্কার
    দেশে বই-কেনারামদের অভিজ্ঞতা নিয়ে গুরুরা কিছু লিখুন না।
  • kallol | 220.226.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৮:২৩480931
  • বই কেনা নয়, ফসকে যাওয়ার একটা স্মৃতি আছে।
    কালিঘাট থেকে রাসবিহারী আসতে ডান দিকের ফুট পাথে গুটি কতক নতুন ও পুরোনো বইয়ের দোকান আছে। সেখানে ঘাঁটতে ঘাঁটতে পেয়েছিলাম, ওমর খৈয়াম, নজরুলের অনুবাদ, খালেদ চৌধুরীর অলংকরণ আর মুজতবা আলির ভূমিকা। ঠিক তখনই পকেটে পয়সা ছিলো না। লোকটাকে বল্লাম রেখে দিন আমি পয়সা নিয়ে আসছি। ওটাই ভুল হয়েছিলো। পয়সা নিয়ে ফেরৎ এসে শুনলাম ওটা বিক্কিরি হয়ে গেছে। উৎসাহ না দেখিয়ে স্রেফ রেখে দিলে, ব্যাটা ঐ চোরামীটা করতো না।

    আর একটা বই ঝেড়ে দিয়েছি।
    আজব জীবিকা সংঘ - জি কে চেস্টারটন। অনুবাদ নীরেন চক্কোত্তি। আমার অসম্ভব প্রিয় বই।
    আমার মা-বাবার বিয়েতে পাওয়া বই। সেটা কে যেন আপন করে নিলো। তারপর কতো খুঁজেছি, কোত্থাও নেই। প্রকাশনাও মনে নেই।
    এই সব দু:খের কথা হচ্ছে গৌতম ভদ্রের সাথে। তাতে গৌতমদা বল্লে, ""আরে এই বইটা কালিঘাট লাইব্রেরীতে আছে।""
    সে তো আমাদের কেওড়তলা পাড়ার লাইব্রেরী। সঙ্গে সঙ্গে সেই লাইব্রেরীতে মেম্বার হয়ে যাওয়া হলো। প্রথমবারেই এই বইটিই চাইলাম। বইটা হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসা করে নিলাম, হারিয়ে গেলে কি হবে। বলা হলো ডিপোজিট (১০টাকা) থেকে দাম কাটা যাবে(৩টাকা)। এবং বইটা হারিয়ে গেলো।

  • pi | 72.83.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৮:২৯480932
  • বাবা একবার কলেজ স্ট্রীট থেকে নিজের নামাঙ্কিত বই কিনেছিল। বলা বাহুল্য, ওটা ঝেঁপে যাওয়া বই ছিল।
  • Netai | 121.24.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ১৯:১০480907
  • ক্লাস নাইনে না টেনে পড়ি তখন। আমরা খেলতাম লাইব্রেরীর সামনেই। ঐ সময় খুব গল্পবই পড়ার নেশাও ধরেছিল। ঘনঘন বই পাল্টাতাম। এমনিতে হপ্তায় দুবার বই পাল্টাতে দিতো। তাও যেন কম পড়তো।

    বিকেলে খেলাধুলো সেরে পড়তে যেতাম। স্যারকে একটু ভয় পেতাম। প্রচন্ড ধমকাধমকি করতেন। ঘটনা চক্রে একদিন স্যারের বাড়িতে পড়তে গেছি। লাইব্রেরী ফেরত। আমি একটু আগেভাগেই পৌঁছে গেছি। বারান্দায় দাড়িয়ে রাস্তাঘাট দেখছি। একসময় স্যার বেরিয়ে এলেন।
    -ঠিক করে পড়াশোনা করছিস তো? -দেখ, তোকে কিন্তু এবার ফার্স্ট হতে হবে। -খেলাধুলোটা এবার কমা।
    এই রকম নরম গলায় নানান উৎসাহ দিচ্ছেন স্যার। আমিও একটু একটু অনুপ্রাণিত। একটু টগবগে চাঙ্গা হয়ে ঊঠলাম। আর বিপদটাও তখুনি ঘটল। স্যার উৎসাহ দেবার উৎসাহে পিঠে হাত বোলানোর জন্য হাত বাড়ালেন। আমি প্রমাদ গুনলাম। কিন্তু কিছুই করতে পারলাম না। স্যারের হাত আমার কাঁধ বেয়ে মাঝ পিঠে এসে আটকে গেলো।
    -কি রে এটা? বলে খ্যাঁচ করে টান। আর বেরিয়ে এলো গল্প বই- 'মঙ্গল গ্রহে ঘনাদা'। স্যারের কোমল দৃষ্টি তুরন্ত আগুনে দৃষ্টিতে বদলে গেলো। আবার স্যার হাত বাড়ালেন। এবার গন্তব্যস্থল পিঠ নয়। আমার কান।

    স্যারের আর বাড়ীর লোকেদের লুকিয়ে ঘরে গল্প বই নিয়ে যাবার পন্থা বের করেছিলাম। জামার আড়ালে পিঠের মধ্যে গল্প বই লুকিয়ে রাখতাম কায়দা করে। ওইদিন ধরা খেলাম।
  • Zzzz | 216.94.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০১১ ২২:৫৫480908
  • কলেজ স্ট্রীট থেকে দু'বার এরকম বই কিনেছিলাম - একটায় ছিল আমার দাদুর নাম লেখা আর একটায় নিজের। দুটোই বাড়ি থেকে হাওয়া হয়ে গেছিল।
  • Su | 86.16.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০১১ ০০:০৬480909
  • বই বললে মনে পড়ে আমাদের সাবেক বাড়ির বইয়ের আলমারীতে বাঁধানো মাসিক বসুমতী। কালো কাঠমলাট- পিঠে সোনার জলে লেখা জেঠুর নাম আর বাড়ির ঠিকানা। এতোগুলো বছরের বই কেমন করে একসাথে এলো আর কেমন করেই বা নাম লেখা হলো তাও এতো কেতাবী কায়দায়! আমাদের জন্মের অনেক আগের সব বই! দুর্লভ বই তখন কে বুঝেছে! এই বইয়ের সাথেই আমার বড় হওয়া! প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস, ব্ল্যাক টিউলিপ, আরো কতো কতো অনুবাদ ছিলো তাতে। আরো কতো কি যে ছিলো- অনেক বার্মার গপ্পো ছিলো , চাইনীজ গল্পের অনুবাদ ছিলো- আর যেটা মুগ্‌ধ করেছিলো তা হল সুচিত্রা সেন এর লাক্স সুন্দরীর ছবি! মনে হয় শুধু চেয়ে থাকি! অমানবিক সুন্দরী!
    এখানে পড়েছিলাম প্রানতোষ ঘটকের লেখা আকাশ পাতাল! উফ কি এফেক্ট! এখনো সেই কৃষ্ণকিশোর আর রাজ্যেশ্বরী কে স্বপ্নে দেখি যেন।
    আমার বিয়ের পরে নতুন বাড়ী তৈরীর সময় বইগুলো বৃষ্টির জলে ভিজে গেলো একদিন- আমি খুব কেঁদেছিলাম- মনে আছে-- অমূল্য বাঁধানো মাসিক বসুমতী আর কোথাও পাওয়া যায় কিনা জানিনা এমনি করে হারিয়ে গেলো :(

    আকাশ পাতাল উপন্যাসটা খুঁজে বেড়িয়েছি সারাজীবন তারপর- সোমনাথ খুঁজে দিয়েছিলো- কলেজ স্ট্রিট ছেঁচে ডুবুরীর মত মুক্তো এনে।
  • Nina | 68.45.***.*** | ২০ আগস্ট ২০১১ ১০:৩১480910
  • ট্রেনে করে দূরপাল্লার বেড়ানোর দিনগুলো---আর স্টেশনে " হুইলার স্টলে" দুহাত ভর্তি করে পেপার ব্যাক, ম্যাগাজিন কেনা---কত দূরে চলে গেল সেই সব দিন----
    পুজোর সময় কত পূজাবার্ষিকী ---কত ভাল ভাল লেখা---আজকাল কিনি অব্যেসের বসে কিন্তু --লেখাগুলো সব যেন গ্রীক লাগে---মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায় :-((
    কিন্তু এবারে হঠাৎ কলকাতায় শাড়ি কিনতে গিয়ে কনিষ্কর উল্টো দিকের ফুটপাথে দেখি এক ভদ্রলোক এক সে এক বই দিয়ে দোকান সাজিয়েছেন--দোকানও নয়--জাস্ট ঐ রাস্তার ধারে ফেরিওয়ালার মতন---কিন্তু এ দেখি একেবারে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা----কবে থেকে ভেবেছি ব্রাত্যজনের রুদ্ধসঙ্গীত বইটা পড়ব---পেয়ে গেলাম, শির্ষেন্দুর গয়নার বাক্স--পেয়ে গেলাম--চিত্রা দেবের ঠাকুরবাড়ীর অন্দরমহল পেয়ে গেলাম-----বিশ্বাসি হতে চায়না---আর এই যে আম্রিগান ব্যাড হ্যাবিট--সঙ্গে বেশি ক্যাশ নেই---বই কেনা শেষ হলনা ---পকেট খালি:-((
    শুধু অবধূতের উদ্ধারণপুরের ঘাট কোথাও পেলামনা-----
    সোমনাথ-----------
  • nyara | 122.167.***.*** | ২০ আগস্ট ২০১১ ১২:২৪480911
  • আমি যে কদিন কলকাতা শহরে চাকরি করেছি - খুবই অল্পদিন - মাইনে পাওয়ার দিন আমার প্রথম গন্তব্য ছিল ঐ লাইটহাউজের সামনের বইয়ের দোকান।

    ক্লাস ইলেভেনে থেকে ছাত্র পড়াই। সিগেরেটের পয়সা ছাড়া বড় খরচের মধ্যে বইমেলার জন্যে পয়সা জমানো।

    অ্যামেরিকায় বই কেনার বহর কমেছিল মূলত: পাবলিক লাইব্রেরিস সৌজন্যে। তবে বাড়ির কাছের বর্ডারস আর বার্নস অ্যান্ড নোবেলে বহু উইকেন্ডের দুপুর-বিকেল কেটেছে। পরের দিকে খোঁজ পেয়েছিলাম মাউন্টেন ভিউতে পুরোন বইয়ের দোকান। আগের মাসেও গিয়ে দেখলাম এখনও আছে। ওটা আমাদের অনেদিন সঙ্গ দিয়েছে।

    পুরোন বইয়ের আড়ত Powell books দেখতে যাবার ইচ্ছে ছিল। সময় হয়নি। অনির্বাণের সার্চ ইঞ্জিন http://www.bookfinder.com/-এর দৌলতে বহু পুরোন বই মেল অর্ডারে কিনেছি - GBS থেকে Cardus-এর আত্মজীবনী। Amazon থেকেও পুরোন-নতুন সবই।

    এখন ভরসা flipkart আর কলেজ স্ট্রীট।
  • byaang | 122.167.***.*** | ২০ আগস্ট ২০১১ ১২:২৯480912
  • নীনাদি, উদ্ধারণপুরের ঘাট ক কপি লাগবে বল, কোলকাতায় তোমার জন্য রেখে দিয়ে আসবো এবার পুজোয় যখন যাব। তুমি যখন আসবে, নিয়ে নিও।
  • Nina | 68.45.***.*** | ২০ আগস্ট ২০১১ ২১:১৯480913
  • ও ব্যাঙ, তোর মতন ভাল মেয়ে হয়না--একটা কপি ই হলে হবে রে --প্লিজ প্লিজ--আমি ডিসেম্বরে দেশে যাব---তোর সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছে--দেখি হয় নাকি। অব্ধূতের আসল নামটা যেন কি , একেবারে মনে করতে পারছিনা ?
    আর দুটো বই আমি কতদিন ধরে খুঁজি
    নমামি
    সমিধ
    লেখা বোধহয়--- ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী --বিপ্লবি, সবাই মহারাজ ডাকত----জীবনের নামই কি শুধু অমূল্য জিনিষ হারানো?! আর শুধু অহেতুক ছোটা, যন্ত্রদানবের পেছনে!

    দুধো নহাও পুতো ফলো ব্যাঙারাণী
  • pi | 72.83.***.*** | ২১ আগস্ট ২০১১ ০১:১৮480914
  • Name:ranjanroyMail:Country:

    IPAddress:122.168.222.4Date:21Aug2011 -- 01:00AM

    নিনা,
    অবধূতের আসল নাম মনে আসতে আসতে ফসকে গেল। কালিকানন্দ ব্রহ্মচারী বা ওমনি কিছু!

  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ২১ আগস্ট ২০১১ ০২:০০480915
  • নীনা,
    কালিকানন্দ ব্রহ্মচারী কি?
  • siki | 122.162.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১১ ১১:০৬480916
  • উদ্ধারণপুরের ঘাট আমার কাছে আছে, স্ক্যানিয়ে দিতে পারি। তবে ওটা অন্য একজনকে দেওয়া আছে, তার কাছ থেকে উদ্ধার করে আনতে হবে আগে।
  • siki | 122.162.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১১ ১১:১৭480918
  • কবিতাটা টাইপ করে দেবার ছিল। ভুলে গেছিলাম।

    বই
    সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

    খিদের সময়ে কচমচ করে আস্ত একটা বই খেলেই তো হয়
    বই যদি লাগে শুকনো শুকনো একটু একটু জল ঢেলে নিয়ে বেশ খাওয়া যায়।
    কচি-কাঁচাদের জব্দ করবে, মাথায় চাপাও খান দুত্তিন থান ইঁট বই
    বন্যার দিনে কাজে লেগে যাবে, বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে কাগজের নৌকো ভাসাও
    সেই নৌকোয় দিগন্ত পার, এ দুনিয়া ছেড়ে অন্য দুনিয়া
    বাঘ সিংঘিরা বই কি জানে না, তাই তো তাদের সংখ্যাটা আজ দোদুল্যমান
    অনেক মানুষও বই ভয় পায়, বইরা তাদের দিকে চেয়ে হাসে দন্ত কপাটি
    বই দিয়ে খুব ভালো হয় জেনো, ভাঙা টেবিলের পায়ার ঠেকনো
    তেমন তেমন বই খুললেই আর কী আরাম, চোখ বুজে আসে, ঘুমের ওষুধ
    বই খোলা রেখে মুখটা লুকিয়ে রেখে কেঁদে নেওয়া যায় কী জানি কিসের দু:খে না সুখে
    বইয়ের সঙ্গে এক বিছানায় ভালোবাসাবাসি গোপন তো নয়, দেখুক না লোকে
    শুনেছি স্বর্গে লাইব্রেরি নেই, বইটই নেই, দান্তেও কিছু লেখেন নি, সব দেবদেবীরাই নিরেট মূর্খ
    তাই তো স্বর্গে যাবার ইচ্ছে কখনও হয় না, জ্ঞানপাপীরাই হুড়োহুড়ি করে
    বইতে থাকুক শক্ত মলাট, কখনও সখনও ছুঁড়তে তো হবে টিভির বাক্সে'সবাই বলছে, আসছে শতকে যুদ্ধ লাগবে, বই হারবেই, বই বলে আর কিছু থাকবে না
    হারে তো হারুক, মৃত বইগুলি ভূত তো হবেই, যখন তখন কম্পুটারের দেবে গলা টিপে।

    দেশ
    ২রা মে, ১৯৯৮
  • siki | 122.162.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১১ ১১:২২480919
  • বই সংক্রান্ত আরেকটা কবিতা

    কুটিরশিল্প
    শোভন পাত্র

    সরস্বতী বুক বাইণ্ডার্স

    হলদে পাতা পৃষ্ঠা কুড়ি অসমাপ্ত মুঘল আমল
    বুকমার্ক ঝাউপাতা পোকাকাটা ব্রিটিশ শাসন
    বই কার? নাম নেই, ও হ্যাঁ মাঝে পঞ্চাশ পাতায়
    মেয়েলি হাতের লেখা, ইংরেজিতে; কী যেন সাম্‌ রায়

    চৈত্র শেষে ঝাড়পোঁছ, নববর্ষ কদিন বাদেই
    শেলফে নিচের র‌্যাকে ডাঁই করা না-বাঁধাই বই
    একবছর হতে চলল, এ পর্যন্ত কোনও পাত্তা নেই
    হয় তো বা সিলেবাস বদলে গেছে অনেক আগেই

    রোগা প্যাংলা কাগজওলা, ছেঁড়া বই অনেক শস্তায়
    কেজি দরে ইতিহাস ঢুকে পড়ছো বুড়োর বস্তায়

    দেশ
    ৩রা মার্চ ২০০১

    (আংশিক)
  • um | 115.113.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১১ ১৩:০৮480920
  • আমার এটা বেশ ভালো লাগে , কেনা ও পড়া দুটোর জন্যে http://www.clicktobuyboi.in/
  • Nina | 12.149.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১১ ২০:৫৩480921
  • সিকি
    একেবারে একটাকা --অনেক ধন্যযোগ--আর না বাপু হে, ঐ স্ক্যানিয়ে আর ঐ ই-বুক এ আমার তেষ্টা মেটে না , বই পড়ার---আমার হাতে বইটি চাই---বেশ জমিয়ে শুয়ে শুয়ে পড়ব---প্রিয় জায়গাগুলো বার বার পড়ব---এই সব না হলে আমার চলে না। ঐ মেয়ে কে দেখি কি একটা চ্যাপ্টা মতন যন্ত্র--তাতে নিমগ্ন, আঙুল দিয়ে সড়সড় করে নাকি পাতা উল্টোচ্ছে আর পড়ছে বই?!!
    আমার আস্ত বইটি চাই---বইএর অশরীরি আত্মায় চলবে না।
  • byaang | 122.167.***.*** | ২২ আগস্ট ২০১১ ২১:৪৪480922
  • ও নীনাদি, আস্ত বইখানাই পাবে, তদ্দিন এট্টু রোসো।
  • Sankha | 71.187.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০৪:৫৮480923
  • ইয়ে,মানে, আমার স্ক্যান দিব্যি চলে, কোন বাছবিচার নেই, যাই পাই তাই খাই, থুড়ি, পড়ি। কাজেই সিকি বাবু যদি স্ক্যান করে দেন, অন্তত: একজনের কাজে লাগে।
  • aranya | 144.16.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০৬:২৫480924
  • উদ্ধারণপুরের ঘাট না কিনে অবধূতের 'সাধক জীবন সমগ্র' কিনতে পারেন, মিত্র ও ঘোষ পাবলিশার্সের, তাতে উদ্ধারণপুরের ঘাট , বশীকরণ, কলিতীর্থ কালীঘাট - এই তিনটে রচনা পাবেন।
    বইটা আমার কাছে আছে, নিনা চাইলে পড়তে নিতে পারেন।
  • Nina | 68.45.***.*** | ৩১ আগস্ট ২০১১ ০৬:৩৫480925
  • অরে বাহ! অরণ্য--চাই মানে অবশ্যই চাই! কিন্তু কি করে পাব? শ্রীকান্তর হাতে? :-)) একটা ব্যাবস্থা করতেই হবে থ্যাঙ্কু অরণ্য।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন