এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • ঋভু

    dd
    বইপত্তর | ২২ এপ্রিল ২০১১ | ৮৬২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 122.166.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১১ ১১:৪১471101
  • আসলে নিশিকান্তর কথা মতন ধাঁ করে টই খুলে ফেল্লাম কিন্তু ঋগবেদে এঁয়াদের সম্পর্কে বেশী কিছু লেখা নেই। শুধু দু তিন যায়গায় উল্লেখ আছে।

    প্রথম মন্ডলের ২১ সূক্ত পুরোটাই ঋভুদের উদ্দেশ্যে। লিখেছেন মেধাতিথি ঋষি। গৌন দেবতার পক্ষে সেটা বেশ উল্লেখযোগ্য।

    তাতে ঋভুদের একটা পরিচয় পাওয়া যায়। বলা হয়েছে এই ঋভুরা ইন্দ্রে রথের ঘোড়া দুটিকে "মানসিক বলে" সৃষ্টি করেছেন। ঋভুরা নাসত্যদ্বয়ের জন্যেকটি "সর্বত্রগামী ও সুখকর" রথ ও তৈরী করেছিলেন। ত্বষ্টাদেবের চমস ভেঙে গেলে,ঋভুরা নতুন চারটি চমস (পানপাত্র)তৈরী করে দিয়েছিলেন।

    এটা ইন্টেরেস্টিং। কেননা ত্বস্টা ই পুরো বিশ্বকর্মায় মর্ফ করেন, উনি নিজেই ছিলেন দেবতাদের মধ্যে এক ইনি্‌জনীয়ার।

    কিছু অলৌকিক ক্ষমতা ও ছিলো। এরা নিজেদের মা আর বাবাকে "পুনরায় যৌবনসম্পন্ন" করেছিলেন,আর "উৎপন্ন' করেছিলেন একটি দুগ্‌ধবতী গাভী।

  • dd | 122.166.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১১ ১১:৫৫471111
  • এরপর ঋষি বল্লেন হে ঋভু তুমি আমাদের (অভিষেককারীদের) সাত ধরনের রত্ন এক এক করে দেও।
    ঋভুরা দেবতা না হলেও তাদের "সুকৃতির দ্বারা দেবতাদের মধ্যে যজ্ঞের ভাগ সেবন করেন। '

    ১১০ সুক্ত ও ঋভুগনের জন্য। লিখেছেন ঋষি অংগিরার পুত্র কুৎস।
    বোঝা জায় কিছু গল্প ছিলো সেগুলি হারিয়ে গেছে, কোনো টীকাকার ও ব্যাখ্যা করতে পারেন নি। যেমন বলা হোলো "হে ঋভু গন! তোমরা আমাদের জ্ঞাতি, তোমাদের জ্ঞান যখন অপরিপক্ক ছিলো, সেই পুর্বকালে তোমরা উপভোগ্য সোমপানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলে।"

    সেই চমশের গল্পটি আবার এসেছে। একটু অন্য ভাবে। এত মনে হয় সবিতার নির্দেশে অসুর ত্বষ্টার পান পাত্রকে ঋভুরা চার টুকরো করেন (না চার ভাগ করেন? থিক বোঝা জায় না)। এতে সবিতা সন্তুষ্ট হয়ে ঋভুদের অমর করে দেন।
    পরে আবার লেখা আছে ঋভুরা কাছের লোকদের খুসী করবার চেষ্টা করে সরাসরি দেবতাদের কাছে হব্য কামনা করেন ও তীক্ষ্‌ন অস্ত্র দিয়ে একতি যজ্ঞপাত্র চার ভাগ করেছিলেন।
    এটার মানে জানি না। তবে চার ভাগ করা বা একটি পাত্রকে চারটি পাত্র করা খুব বাহবা পেয়েছিলো।
  • dd | 122.166.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১১ ১২:০২471112
  • আরো গুনের মধ্যে আছে ঋভুরা একটি গাভীকে চামড়া দিয়ে মুড়ে তার বৎসের সাথে মিলিত করেছেন। টীকাকার বলেন একটি গাভী মারা গেলে তার চামড়া দিয়ে দিয়ে আর একটি গাভী তৈরী করেন ঋভুরা।

    বলা হয়েছে এরা ছিলেন সুধন্বার পুত্র। কিন্তু আরেক জায়গায় বলা হয়েছে সুধন্বা এদের গোষ্ঠীর নাম, এরা আসলে অংগিরার পুত্র।

    কজন ঋভু ছিলেন ? একটি সুরে মনে হয় তিন জন, তাদের নাম ছিলো ঋভু,বিভু ও বাজ।
  • dd | 122.166.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১১ ১২:১২471113
  • ১১১ সুত্র।লিখেছেন অংগিরার পুত্র কুৎস ঋষি।
    সম্বোধন করা হয়েছে "উৎকৃষ্ট জ্ঞান সম্পন্ন শিল্পী ঋভুগণ।

    আবার লেখা হতেছে ঋভুরা কেমন করে অশ্নিনীদ্বয়ের জন্য রথ তৈরী করেছিলেন।

    এই সুত্রেই ঋভুদের আলাদা নাম করে উল্লেখ করা হয়েছে, ঋভু বিভু ও বাজ বলে। এদেত কাছ থেকে ধন রত্ন প্রার্থনা করা হয়েছে আর বলা হয়েছে সমরবিজয়ী বাজ আমাদের রক্ষা করুন।

    কয়েকটা বিষয় পরিষ্কার, এরা আদতে দেবতা ছিলেন না, কিন্তু তাদের কারীগরী বিদ্যার জন্য এরা প্রোমোশন পান, অশিনীদের জন্য রথ আর ত্বষ্টার পানপাত্র এ তুটো ছিলো মাইলস্টোন।

    অশ্বিনীদের রথের কথা বেশ কয়েকবার লেখা আঅছে। এরাও ছিলো গৌন দেবতা আর এদের রথ তানতো গাধায়। পরে এরা ঘোড়ায় তানা রথে চরবার অনুমতি পান।

  • dd | 122.166.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১১ ১২:২২471114
  • আবার দেখুন ১৬১ সূক্ত। ঋষি হচ্ছেন দীর্ঘতমা।
    লিখছেন "যিনি আমাদের নিকটে এসেছেন ,ইনি কি আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ না বয়:কনিষ্ঠ? ইনি কি দেবতাদের দৌত্যকার্য্যে এসেছেন? একে কি বলতে হবে কেমন করে জানবো?"

    এর পরে শ্লোকে দেখি বলা আছে "হে ভ্রাত:অগ্নি (খেয়াল করেছেন দেবতাকে কেমন ভাই বলে সম্বোধন করা হোলো?)। আমরা চমসের নিন্দা করবো না। বলা হলো এই দুতেরা সেই ধেনু ও রথ নির্মান করেছিলেন, বাবা মাকে পুন:যৌবনা করেছিলেন।

    "তোমরা আশ্চর্য্য কৌশলদ্বারা মৃত ধেনুর শরীর হতে গৃহীত চর্ম থেকে ধেনু উৎপন্ন করেছো।"।

    আর একতি গল্প আছে সায়ন ভাষ্যে। যে মানুষ হয়ে জন্মে ঋভুরা সোমাপান করতে চাইলে দেবতারা ঋভুদের অগ্নির কাছে পাঠান। তিনজনের ই একই চেহারা ছিলো, তো অগ্নি ও থিক ওদের মতন চেহারা করে সোমপান করতে থাকলে ঋভুরা একে অন্যকে সন্দেহ করেছিলো।

    পুরো বেদেই কয়েকটি গল্প বার বার এসেছে। সব কটি মন্ডল জুড়ে। এতি তার একটি। এ বিষয়ে আমার একটি মারাত্মক থিওরীও আছে। কমু খনে।
  • nishikanto | 151.14.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১১ ২১:১৩471115
  • এইত্তো ! এসে গেছে ঋভুগণ। নিশিকান্তো থাঙ্কু জানায়। :-)
    পরেরদিকে মহাভারতে চ্যবন সুকন্যার গল্পে এনারাই মনে হয় অশ্বিনীকুমার দু'জন হয়ে দেখা দেন। সেই যে শর্যাতির যজ্ঞে চ্যবন এদের জন্য সোমরসের লেজিটিমেট ভাগ পাইয়ে দেন!
  • dd | 122.167.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১১ ০০:১৪471116
  • অশ্বিনীদ্বয় কিন্তু ব্যাপোক জিনিস। সারা ঋগবেদ জুড়ে আছেন এঁয়ারা। ইস্পেসালি সরস্বতী,নমুচি ও ইন্দ্রের উপাখ্যানে। বার বার নানান ঋষি এঁয়াদের কথা কয়েছেন। কিন্তু উদিকে এরা জন্মসুত্রে দেবতা নন। নো। এরা প্রোমোটি দেবতা।

    আমি বলি? এদের এট্টু কাল্টিভেট করা উচিৎ।
  • nishikanto | 151.14.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১১ ০০:৩৫471117
  • এই অশ্বিনীকুমারদ্বয় ই তো ঋষিচ্যবনের জরা রহিত করে ফনফনে যুবক করে দেন ঋষিকে, আর প্রাইজ হিসাবে ঋষির বৌ সুকন্যাকে বিয়ে করতে চান যদিও সুকন্যা নিজেই চুজ করবে তিনজনের মধ্যে একজনকে। এদিকে অশ্বিনীদের কৌশলে তিনজনকেই একরকম দেখতে লাগছে, কী যন্ত্রণা!
    এই অশ্বিনীকুমারদ্বয়ই তো আবার মহাভারতে নকুল আর সহদেবের ডোনার ফাদার।
    এদের জন্মরহস্যও খুবই গভীর বলে শুনি! সংজ্ঞা অশ্বিনী হয়ে বনে তপিস্যে করার কালে সূর্যদেব নিজেও ঘোড়া হয়ে গিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে মহানন্দে ঘোরাঘুরি করেন। শেষে বৌকে পেয়ে গিয়ে রীতিমতো অশ্ব দাম্পত্য জীবন যাপন করে নেন (আহা ভাবুন তো ঘোড়া আর ঘুড়ী গান গাইছে--- এ কী বিপুল তুরঙ্গ হে! :-) ) তাদের তখনকার জীবনের সন্তান এই যমজ অশ্বিনীকুমারদ্বয়। মনে হয় এই সিম্বলিজম দিয়ে এদের প্রোমোট করা হয়।
    করুন করুন এদের কালটিভেট করুন।
  • Nina | 68.84.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১১ ০০:৫৬471118
  • জাস্ত সু উ উ উ উ পার্ব্ব!! দমবন্ধ করে বসে রইলাম -----আরও এবিষয়ে জানতে।
    ডিডিদা তোমারে সেলাম---
    নিশিকান্ত ধন্যযোগ
    চলুক চলুক
  • Bratin | 117.194.***.*** | ২৩ এপ্রিল ২০১১ ১২:৩৫471102
  • ডি ডি দা জাস্ট অসাধরণ। এই জন্যেই গুরু তে আসা সার্থক।
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ০৩:৩৭471103
  • কুৎস কি ঋভুদের ভাই হচ্ছে তাহলে?
  • dd | 122.167.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:৪২471104
  • ইয়েস,অচিন্তো, ঋভু তো কুৎসর ভাই হবার ই কথা।

    কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে আমাদের পুরা সাহিত্যে কনসিস্টেন্সীর অসম্ভব অভাব। এক প্যারাগ্রাফে যদি একটা আইডেন্টিটি মেলে তো পরের সুক্তে আবার অন্য কথা লেখে।

    শুধু ঋগবেদেই ঋভু নিয়ে দু তিন রকমের তথ্য রয়েছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরবো?

    আর অশ্বিনীকুমার নিয়ে সূক্ত আছে প্রায় গোটা পঞ্চাশেক, প্লাস তাদের কহানী আছে পুরাণে (বিশেষত: স্কন্দপুরাণে) এম কি মহাভারতেও। ফলে ভটকচের একশেষ।

    তবে কতকগুলো তথ্য যাকে বলে স্ট্যান্ড আউট।
  • dd | 122.167.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১১:৫০471105
  • অশ্বিনীকুমারদের জন্ম নিয়ে একটা বেসিক গল্পো আছে। একেবারে ঋগবেদের প্রথম মন্ডল থেকেই। সেটার ভেরিয়শন আছে স্কন্দপুরাণ আর হরি বংশেও।

    ঐ সুর্য্যদেবের বউ সংজ্ঞা সুর্জ্যের তেজ সহ্য না করতে পেরে ঘোটকীর ছদ্মবেশ ধারন করেন, সুর্য্যদেব ও ঘোড়ার রূপ নিয়ে তার কাছে যান। তার নাক দিয়ে শুক্র পতিত হয়। সংজ্ঞা তাতেই গর্ভবতী হন। নাক থেকে জন্ম তাই নাম হয় নাসত্য।

    আরেক গল্পে আছে বীর্য্য স্খলিত হয়ে ভুপতিত হলে ঘোটকী তা আঘ্রান করে গর্ভবতী হয়।

    হিন্দু পুরা সাহিত্যে কেনো যে ঠাকুর দেবতা ঋষি ও নানান বীরেরা এই রকম ভাবে জন্ম নিতেন কেনো কে জানে? অনেক ক্ষেত্রেই তাদের কোনো মা থাকতো না। স্রেফ শুক্র থেকেই জন্ম হতো এদের। মাছ বা হরিন ঐ শুক্র খেয়ে গর্ভবতী হতো।

    এই অযোনিজ জন্মের পপুলারিটি কেনো কে জানে ?

  • dd | 122.166.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১৬:০৮471106
  • প্রথম উল্লেখিত গল্পের কথাটি এরকম।

    "ত্বষ্টা নামক দেব আপন কন্যা (সরণ্যুর) বিবাহ দিতেছেন। এই উপলক্ষে বিশ্বসংসার আসিয়া উপস্থিত হইলো। ....

    সেই মৃত্যু রহিত (সরণ্যুকে) মনুষ্যদিগের নিকট গোপন করা হইলো। তখন দুই অশ্বিকে সরণ্যু গর্ভে ধারণ করিলেন এবং সরণ্যু যমজ দুইটি সন্তানকে ত্যাগ করিলেন।"

    সায়ণ ভাষ্যী এক্সপ্লানাটরি গল্পটি দেওয়া আছে। আসলে এই ভাষ্য ব্যতিরেকে রিগবেদের এইসব হেঁয়ালি গল্প বোঝা না।

    সেই গল্প - ত্বষ্টা তার কন্যা সরণ্যুর বিয়ে দিলেন বিবস্বানের সাথে। সন্তান যমের জন্মের পর সরণ্যু অদৃশ্য হন, তার সদৃশ আর একটি স্ত্রী বিবস্বানকে দেওয়া হয়। সরণ্যু অশ্বিদ্বয়ের জননী।

    এই সরণ্যু পুরাণে গিয়ে সংজ্ঞা হন। গল্প ও স্লাইট বদলে যায়।
  • dd | 122.166.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১৬:১৯471107
  • কোনো গল্পে এই দুই অশ্বিনীদ্বয়ের নাম নাসত্য। কখনো নাম দুটি ,নাসত্য ও দস্র। কোনো গল্পে দুই যমজ ভাইএর একজনের নাম নাসত্য আরেকজনের নাম দস্র।

    আরো কোনো গল্পে যমজ নয়, ট্রিপলেট হয়েছিলো। তৃতীয় ভায়ের নাম রেবন্ত ও তিনি এক প্রখ্যাত যুদ্ধবাজ।

    তবে, ঐ বেসিক ঘটনাটি বার বার এসেছে। এনারা সুর্য্যের পুত্র। সুর্য্যের স্ত্রী তার স্বামীর তেজ সহ্য করতে না পেরে ঘোটকীর রূপ ধারন করেন। এবং যে মিলনে এঁদের সন্তান হয় তাতে নাকের একটি বিশেষ role আছে !!
  • dd | 122.166.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১৬:৩৪471108
  • শুধু অশ্বিনীভায়েদের জন্মবৃত্তান্ত দিয়েই পাতার পর পাতা লেখা যায়। কিন্তু সেটা লিখেই বা ক্ষি হবে, আর খামোখা পড়বেই বা কে? এবং কেনো ই জানতে যাবে?

    চটজলদি পড়ুন।

    এনারা ডাক্তার ছিলেন। সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

    সেই ঋগবেদ থেকে শুরু। ৮/২৬/৮। অশ্বিনীদ্বয়ের কাছে প্রার্থনা হচ্ছে তিনলোক থেকে ভেষজ এনে দেও।"হে শোভনীয় ঐষধি পালক, তোমরা তিনটি ধাতু বিষয়ক সুখ প্রদান করো।" টীকাকার বলেন তিন ধাতু অর্থে বায়ু,পিত্ত,শ্লেষ্মা। আয়ুর্বেদের তিন স্তম্ভ।

    এনাদের রথও তিনকোনা, চাকাও তিনটে (অটোর মতো?)।

    আরো পরিষ্কার করে বলা আছে "দেববৈদ্য অশ্বিদ্বয়" বা "দেবতাদের চিকিৎসক অশ্বিদ্বয়"।
    তবে এনারা মানুষের চিকিচ্ছেও করতেন। গরুর ও।

    "হে দস্রদ্বয়। তোমরা কৃশ,প্রসবশুন্য,দুগ্‌ধশুণ্য গাভীকে শয্যু ঋষির জন্য দুগ্‌ধপুর্ণ করিয়াছিলে।"

    এখনকার মতন নয়। বাঁ কানের ই এন টি, দান কানের চিকিচ্ছে কর্বে না। এ।য়ারা দিব্বি দেবতা মানুষ মায় গরুর চিচ্ছেও করতেন।
  • dd | 122.166.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১৬:৪৬471109
  • এঁয়াদের অল্প কিছু গল্প কই।
    সবই ঋগ্বেদের।

    ন্যাবের স্ত্রীর কুষ্ঠ্রোগ সারিয়ে দেন এরা। চক্ষুহীন কন্বকে দৃষ্টিদান করেন। বধির নৃষদ পুত্রকে দেন শ্রবনশক্তি। দুর্বলজানু শ্রোণকে করেছিলেন গমন সমর্থ।

    আরো। ঋজাশ্বের বাবা রেগে গিয়ে তাকে অন্ধ করে দিলে অশ্বিদ্বয় তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেন।

    সব চে বিখ্যাত গল্পো : ১/১১৬/১৫।
    ঋষি খেলের স্ত্রী বিশপলা যুদ্ধক্ষেত্রে একটি পা হারালে অশ্বিদ্বয় তার একটি লোহার পা গড়ে দেন। এবং সেটাও খুব তাড়াতাড়ি করে।
    "হে অশ্বিদ্বয়। তোমরা রাত্রিযোগে সদ্যই বিশ্‌পলাকে গমনের জন্য এবং (শত্রু) ন্যস্ত ধনলাভার্থে লৌহময় জংঘা পরাইয়া দিয়াছিলে।"

    কতটা অর্থের বিনিময়ে এটি সম্ভব হয়েছিলো জানলে চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাস আরো সমৃদ্ধ হতো। কিন্তু সেটা লেখা হয় নি।
  • dd | 122.166.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১১ ১৬:৫৯471110
  • দধিচীর ধরে ঘোড়ার মুন্ডু এরাই বসান। বিশ্বকায় ঋষির মৃত ছেলেকে পুনর্জীবন দেন এরা। বহিমত্রীর প্রসব বেদনা দুর করেন। বধ্রীমতীর স্বামী নপুংসক হওয়া স্বত্তেও তাকে দিব্বি সুস্থ করেন ফলে হিরণ্যহস্ত নামে এক পুত্র জন্মায়।

    সেই যে অমিতাভ বচ্চনের সেই সিনেমাটা কয়েছিলো। নামটা মনে পরছে না। অল্পো বয়সেই বৃদ্ধ হয়ে গেছিলো। মনে পরছে? খটমটে ক্ষি একটা অসুখ।

    ১/১১৭/৭। কক্ষীবানের কন্যা ঘোষাও অল্প বয়সে জরাগ্রস্থ হলে অশ্বিদ্বয় তাকে সুস্থ করেন। তার পরে ঘোশার দিব্বি বিয়েও হয়ে যায়। "নিষন্না জরাগ্রস্থা ঘোষাকে তোমরা পতি প্রদান করিয়াছিলে।"

    চবন ঋষি একা কেনো, আরো বৃদ্ধ লোককে তারা নবযৌবন দিয়েছিলেন। লম্বা লিস্টি।

    এনন কি দেখুন, কক্ষীবানকে এরা "বুদ্ধি প্রদান করিয়াছিলেন"।

    এখনকার ডাক্তারদের কথা ভেবে হায় হায় করি।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন