এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • লালন সম্পর্কে দুটো একটা কথা যা আমি জানি...

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ ডিসেম্বর ২০২১ | ৬০৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)




  • মরমী আত্মধিক সাধক লালন ফকিরকে তার অনুসারীরা সাঁই হিসেবে ডাকেন, তিনি মোটেই মুঘল পদবী ধারী "শাহ্" নন! 
     
    অজ্ঞতা বশত: এটি একটি বহুল প্রচলিত ভুল। বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক "লালন শাহ্ (?) সেতু" বানিয়ে অজ্ঞতাটিকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। 
     
    আবার কিছু বাউল নিজেরাই উদাসীনতায় নামের ক্ষেত্রে "শাহ্" কথাটি ব্যবহার করেন, যেমন আরেক বিখ্যাত বাউল "শাহ্ আব্দুল করিম"। কিন্তু বংশ লতিকা খুঁজে তার সাথে মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক বর্গের কোনো যোগসাজস না পাওয়ারই কথা। 
     
    "সাঁই" কথাটির ভাবার্থ হচ্ছে -- বাবা, কর্তা, গুরু, পথ প্রদর্শক ইত্যাদি। 
     
    লালন ফকির ছিলেন একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক। তার গানের মধ্যে সন্ধান পাওয়া যায় এক বিরল মানব দর্শনের।



    লালন ফকিরকে "বাউল-সম্রাট" বা "বাউল গুরু" হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তার গানের মাধ্যমেই উনিশ শতকে বাউল গান বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তিনি প্রায় দু হাজার গান রচনা করেছিলেন বলে লালন গবেষকরা বলেন।
     
    তবে স্বাধীন বাংলাদেশে আটের দশকে ফরিদা পারভীন বেতারে লালন গীতি নিয়মিত পরিবেশন করে সুধী সমাজে নতুন করে লালনকে প্রতিষ্ঠা করেন। 
     
    তিনি সাঁইজীর অনুসারী কুষ্টিয়ার বাউল মোকসেদ আলী সাঁইয়ের কাছে দীর্ঘদিন ধরে লালনের দর্শন জেনেছেন ও গান শিখেছেন। 
     
    ফরিদা পারভীন জাদুকরী কোকিল কণ্ঠে ক্রমে সারা বিশ্বে লালনের গান নিয়ে যান। নতুন করে এই অহিংস কবি, গীতিকার ও দার্শনিকের চিন্তা জনসম্মুখে উন্মোচিত হয়। বাউল ফকিররা বাদেও দুই বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজে "লালন গীতি" চর্চা ব্যাপকভাবে শুরু হয়। 
     
    ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলা একটি "শ্রোতা জরিপ" এর আয়োজন করে। বিষয়টি ছিলো - সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? তিরিশ দিনের ওপর চালানো জরিপে শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ২০ জনের জীবন নিয়ে বিবিসি বাংলায় বেতার অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ২০০৪-এর ২৬ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
     
    বিবিসি বাংলার সেই জরিপে শ্রোতাদের মনোনীত শীর্ষ ২০ জন বাঙালির তালিকায় ১২ তম স্থানে আসেন সাধক লালন ফকির ।
     


    এর আগে লালন সাঁই অবশ্য তার গভীর দর্শন দিয়ে জীবনদশাতেই ঠাকুর পরিবার ও সে সময়ের প্রগতিশীল সুধী সমাজের দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন। 
     
    লালনের জীবদ্দশায় তার একমাত্র স্কেচটি তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। লালনের মৃত্যুর বছরখানেক আগে ৫ মে ১৮৮৯ সালে পদ্মায় তার বজরায় বসিয়ে তিনি এই পেন্সিল স্কেচটি করেন- যা ভারতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। যেখানে তিনি ক্যাপশন লিখেছেন, "লালন ফকির, শিলাইদহ"।
     
    ছবিটিতে খোলা চুল-দাড়িতে চেয়ারে ঝুঁকে বসা লালনকে দেখা যাচ্ছে এক পাশ থেকে, বাম হাতে দোতরা ধরা; ধুতি বা লুঙ্গি পাঞ্জাবী পরা লালন ডান পায়ের ওপর বাম পা ভাঁজ করে বসেছেন।
     
    জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে জমিদারির কাজে এলে নিয়মিত 
    লালনের কাছে মানবতাবাদী ধর্মকথা ও তার গান শুনতেন। নিরক্ষর এই মহাপুরুষের গানে বরাবরই সাধারণ পল্লী জীবনকে আশ্রয় করে গভীর আত্মজিজ্ঞাসা প্রকাশ পেয়েছে। 
     
    খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরবর্তীতে লালন ও অন্যান্য বাউল গানে আকৃষ্ট হন। তার অনেক গানে এর প্রভাবও পড়েছে। 
     
    রবীন্দ্রনাথ নিজে তার বাউল প্রভাবিত গানগুলোকে "রবীন্দ্র-বাউলের গান" হিসেবে অভিহিত করেন। এ ধরনের অসংখ্য গান আছে। যেমন —
    ‘তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই’; ‘তুমি যে সুরের আগুন জ্বালিয়ে দিলে’; ‘সে দিনে আপদ আমার যাবে কেটে’; ‘সবাই যারে সব দিতেছে’; ‘রইল বলে রাখলে কারে’; ‘ফিরে চল মাটির টানে’; ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’; ‘কান্না হাসির দোল দোলানো’; ‘আমি তারেই খুঁজে বেড়াই’; ‘ও আমার মন যখন’; ‘কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ’; ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’; ‘যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক’; ‘যে তোরে পাগল বলে’; ‘গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ’; ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’; ‘ও আমার দেশের মাটি’; ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস, ওরে মন হবেই হবে’; ‘মালা হতে খসে পড়া’; ‘আমি যখন ছিলাম অন্ধ’; ‘পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে’; ‘ডাকব না ডাকব না’ ধরনের অনেক গান। 

    "আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি", বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতটিও বাউলসংগীত, যা "আমি কোথায় পাব তারে" গানটি দ্বারা প্রভাবিত।



    লালন ফকিরের  (১৭ অক্টোবর ১৭৭২ – ১৭ অক্টোবর ১৮৯০) সঠিক জন্ম ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কোন কোন লালন গবেষক মনে করেন  বর্তমান কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার ভাড়ারা গ্রামে লালন জন্মগ্রহণ করেছিলেন সম্ভ্রান্ত এক হিন্দু কায়স্থ পরিবারে। বাবা মাধব কর ও মা পদ্মাবতীর একমাত্র সন্তান ছিলেন তিনি।
     
    কিন্তু এ বিষয়ে দ্বিমতও আছে। কেউ বলেন তার জন্ম ঝিনাইদহে, কেউ বলেন যশোরে।
     
    কথিত আছে শৈশবে পিতৃবিয়োগ হওয়ায় অল্প বয়সেই তাঁর ওপর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়েছিল। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ তার হয়নি।
     
    কোন কোন গবেষকের বিবরণ অনুযায়ী প্রতিবেশী বাউলদাস ও অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে "পুণ্যস্নান" বা তীর্থভ্রমণ সেরে ঘরে ফেরার পথে লালন বসন্তরোগে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হন।
     
    রোগ বৃদ্ধি পেলে অচৈতন্য লালনকে মৃত মনে করে সঙ্গীরা কোনরকমে তার মুখাগ্নি করে তাকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। এক মুসলমান রমণী নদীকূল থেকে লালনের সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করে সেবাশুশ্রূষা করে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন। কিন্তু তাঁর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
     
    এই গবেষণার তথ্যমতে, এরপর বাড়ি ফিরে গেলে সমাজপতি ও আত্মীয়স্বজন মুসলমানের গৃহে অন্নজল গ্রহণ করার অপরাধে তাকে সমাজে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ব্যথিত লালন চিরতরে গৃহত্যাগ করেন।
     
    বলা হয় এই ঘটনা সমাজ-সংসার, শাস্ত্র আচার এবং জাতধর্ম সম্পর্কে তাঁকে বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। এবং এখান থেকেই হয় তার নতুন জন্ম।
     
    বাউল গুরু সিরাজ সাঁইয়ের কাছে দীক্ষা নেওয়ার পর কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়া গ্রামে আখড়া স্থাপন করে তার প্রকৃত সাধক জীবনের সূচনা হয়।
     
    "সিরাজ সাঁই কয় কোথায় রে মন, সোনার খাট পালঙ্ক এমন? /লালন কহে সব অকারণ, সার হবে মাটির বিছানা"...
     
    লালনের গানে বার বার ঘুরে ফিরে তার ভাবগুরু "সিরাজ সাঁই" এর কথা এসেছে, যদিও গবেষকরা তার অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান, সিরাজ সাঁই এর ঐতিহাসিক সূত্র বা অন্য কোনো লোকগীতিতে তার উল্লেখ নাই।
     
    কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়ায় নিজের আখড়ায় ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর, বাংলা ১২৯৭ সালের পয়লা কার্তিক ১১৬ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন মহাত্মা ফকির লালন সাঁই।
     


    এ কথা বলে নেওয়া ভাল, বাউল একটি গুপ্ত সাধনার ধর্ম, বৈষ্ণব সহজিয়া, বৌদ্ধ সহজিয়া ও সুফিবাদের সংমিশ্রণে মানবগুরুর ভজনা, দেহ-কেন্দ্রিক সাধনাই লালন প্রদর্শিত বাউল ধর্মের মূলমন্ত্র, দেহতত্ত্ব, "যাহা নাই দেহ ভান্ডে, তাহা নাই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে" ইত্যাদি। গুপ্ত সাধনার ধর্ম বলেই বাউলরা অনেক কথা ধাঁধায় গানে গানে প্রচার করেন। 
     
    যেমন, লালন সাঁই বলেন, "চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে, আমরা ভেবে করবো কী?/ ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম, তোমরা তারে বলবে কী?" 
     
    গান হচ্ছে লালনের বাউল ধর্মের কালাম বা বাণী মাত্র, "জীবাত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন" যার আধ্যাত্মিক লক্ষ্য। লালন সাঁই যেমন তার গানে বলেন, "মিলন হবে কত দিনে, আমার মনের মানুষের সনে?"
     


    লালন সাঁই তার গানে বলেন, "যেদিন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খৃষ্টান / জাতি-গোত্র নাহি রবে / এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে?"
     
    লালন ফকিরের যখন আর্বিভাব ঘটেছিল সেই সময়টা বাঙালির জীবনের এক ক্রান্তিকাল। পলাশীর যুদ্ধে স্বাধীনতার সূর্য তখন অস্তমিত। গ্রামীণ সমাজ নানাভাবে বিভক্ত। ধর্ম জাত-পাত ইত্যাদি নিয়ে সমাজে ছিল বিভিন্ন সমস্যা।
     
    লালন এই জাত-পাত ও ধর্ম বর্ণ-বিভেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি জাত ধর্ম বর্ণ গোত্রহীন সমাজ গড়ে তুলতে। সবকিছুর ওপরে তিনি স্থান দিয়েছিলেন মানবতাবাদকে।
     
    তিনি শুধু জাত-পাতের বিরুদ্ধেই সোচ্চার ছিলেন না, লালন গবেষক আবুল আহসান চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন সামাজিক অনাচার, বিভেদ বৈষম্য এবং সামন্ত শোষণের বিরুদ্ধেও তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।
     
    "শিলাইদহের ঠাকুর জমিদাররা যখন প্রজাপীড়ন আরম্ভ করলেন তখন কুমারখালির কাঙাল হরিনাথ তার 'গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' পত্রিকায় ঠাকুর জমিদারদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করেন। এতে ঠাকুর জমিদাররা কাঙাল হরিনাথকে শায়েস্তা করার জন্য গুণ্ডা নিয়োগ করেন। লালন ফকির তখন তাঁর এই বন্ধুকে রক্ষা করার জন্য তাঁর শিষ্যদের নিয়ে জমিদারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।"
     
    সে সময় লালনের গানের কোনো লিখিত রূপ ছিল না। শুধু মাত্র মুখে মুখে, গানে গানে বাউল ফকিররা লালনের গান অবিভক্ত ভারতে ছড়িয়ে দেন। 
     
    দেড়শ বছর পরে আজও প্রতি দোল পূর্ণিমায় লালনের জন্ম উৎসব তিথিতে দুই বাংলা থেকে হাজার হাজার বাউল ফকির, ভক্ত কুষ্টিয়ায় মাজারে জড়ো হন, তারা দিন রাত গান গানে স্মরণ করেন সাঁইজীকে। 



    এইসব ইতিহাস পরম্পরা ও মূল ভাব দর্শন বাদ দিয়ে শুধু মাত্র গান দিয়ে লালন সাঁইকে 
    তথা বাউল কথাকে বিচার করার চেষ্টা গুরুতর অজ্ঞতার নামান্তর। 
     
    বলা ভাল, রণজিৎ কুমার লালনকে নিয়ে "সেনবাউল রাজারাম" নামে একটি উপন্যাস রচনা করেন। পরেশ ভট্টাচার্য রচনা করেন "বাউল রাজার প্রেম" নামে একটি উপন্যাস। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত উপন্যাস "গোরা" শুরু হয়েছে লালনের গান "খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়" দিয়ে।
     
    এছাড়া বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লালনের জীবনী নিয়ে রচনা করেন "মনের মানুষ" (২০০৮) উপন্যাস। এই উপন্যাসে কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র ছাড়াই লালনকে হিন্দু কায়স্থ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছ, নাম দেয়া হয়েছে "লালন চন্দ্র কর(!)"। এটি মোটেই লালনের আত্মজীবনী নয়, ইতিহাস তো নয়ই, ঐতিহাসিক চরিত্র লালন ফকিরকে উপজীব্য লেখা এটি শেষ পর্যন্ত উপন্যাসই। 
     
    "মনের মানুষ" (২০১০) সিনেমাটিও কাল্পনিক। বরং সিনেমায় বাউল জীবনাচারকে আরও বেশ কিছুটা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 
     
    আর বাংলা ব্যান্ড সংগীতে বাউল গান নিয়ে পশ্চিমা বাদ্য যন্ত্রে ফিউশন ইত্যাদি তৈরি, মানবতার দর্শনটির সর্বশেষ বিকৃত ও কর্পোরেট রূপ। 
     
    *সংযুক্ত : সব সৃষ্টি করলো যে জন, তারে সৃষ্টি কে করেছে? ... রব ফকিরের লালন গীতি
     
     

    _______
    তথ্য সূত্র : অখন্ড লালন সংগীত, আবদেল মান্নান, বিবিসি বাংলা, উইকিপিডিয়া, অন্যান্য। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:২৯502098
  • ধন্যবাদ। 
    তাহলে আমরা কি এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি, যে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্কেচে যে লালন ফকিরের প্রতিকৃতি তা অনেকটাই বাস্তবচিত ?
  • বিপ্লব রহমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:০৭502102
  • @ সুকি, 
    আংশিক নয়, পুরো সত্য উন্মোচন করায়
    অনেক ধন্যবাদ ও কৃজ্ঞতা। 
    #
    "জ্যোতি ঠাকুরের 'লালন স্কেচ'-এর মিথটা আর আছড়ে ভাঙলাম না। বেকার উলুবনে মুক্তো ছড়িয়ে কী লাভ?" 
     
    বাবুদের পায়ে নমস্কার/ বাবুদের কোচায় নমস্কার!  :))
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:২৮502106
  • বাস্তবোচিত। 
    এটি একটি অত্যাশ্চর্য টই। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫২502107
  • এই টইটি খুবই ভালো। অনেক কিছু জানা গেল মূল্যবান মন্তব্যগুলো থেকে ও আনুষঙ্গিক তথ্যাদি থেকে।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:৩৫502110
  • ওমা দুঃখ প্রকাশ আবার কী? তাইলে তো আমাকেও নিট পিকিঙের জন্য দুঃখিত হতে হয়। চোখে পড়লো বলে লিখলাম। কিছু মনে করবেন্না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন