মূলত রমিত এবং রঞ্জনবাবুর নিরন্তর উৎসাহে সাড়া দিয়ে এই টই খোলা। যেহেতু নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত নির্বাচনকর্মীর দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে, তাই আচরণবিধির বিধিনিষেধের জন্য নিজস্ব ব্লগে এই প্রেডিকশন করা হল না। এটা নিছকই একটা আগাম ঘোষণা। আমি এমনকি শখের সেফোলজিস্টও নই। তবুও সমসাময়িক পরিস্থিতি, গত লোকসভার ফল এবং প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয়কে মাথায় রেখে একদমই নিজের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী এই ফল ঘোষণা। বলা বাহুল্য, এটি সম্ভাব্য ফল। তবে একেবারেই আজগুবি নয়। হিসেবের এদিক-ওদিক হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ১০ ভাগ।
এই ফল মিলে গেলে বা চূড়ান্ত ফলাফলের কাছাকাছি গেলে আমার কোনও কৃতিত্বই নেই। না মিললে নানাবিধ নিননিছারা, যাঁরা সারা বছর আমাকে প্রাণভরে গালি দিতে চাইলেও সর্বদা দিয়ে উঠতে পারেন না, তাঁদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ সরবে এবং সানন্দে করতে পারবেন – সেই ঘাটতিটুকু মেটাতেই নিজ দায়িত্বে এই টই খুললাম।
ফলাফলের চুলচেরা ব্যাখ্যা আমি দেব না। চাইলে এখন থেকেই চুটিয়ে গাল দিয়ে গায়ের ঝাল মেটাতে পারেন। মনে রাখবেন, এমন মওকা রোজ রোজ আসে না।
প্রথম দফা – ৩০টি আসন
ক্রম | আসন | জেলা | বিধানসভা | বিজেপি | তৃণমূল | মোর্চা |
১ | ২১২ | পূর্ব মেদিনীপুর | পটাশপুর | ১ | ||
২ | ২১৩ | কাঁথি উত্তর | ১ | |||
৩ | ২১৪ | ভগবানপুর | ১ | |||
৪ | ২১৫ | খেজুরি (ত) | ১ | |||
৫ | ২১৬ | কাঁথি দক্ষিণ | ১ | |||
৬ | ২১৭ | রামনগর | ১ | |||
৭ | ২১৮ | এগরা | ১ | |||
৮ | ২২০ | ঝাড়গ্রাম | নয়াগ্রাম (ত উ) | ১ | ||
৯ | ২২১ | গোপীবল্লভপুর | ১ | |||
১০ | ২২২ | ঝাড়গ্রাম | ১ | |||
১১ | ২৩৭ | বিনপুর (ত উ) | ১ | |||
১২ | ২১৯ | পশ্চিম মেদিনীপুর | দাঁতন | ১ | ||
১৩ | ২২৩ | কেশিয়াড়ি (ত উ) | ১ | |||
১৪ | ২২৮ | খড়গপুর গ্রামীণ | ১ | |||
১৫ | ২৩৩ | গড়বেতা | ১ | |||
১৬ | ২৩৪ | শালবনি | ১ | |||
১৭ | ২৩৬ | মেদিনীপুর | ১ | |||
১৮ | ২৩৮ | পুরুলিয়া | বান্দোয়ান (ত উ) | ১ | ||
১৯ | ২৩৯ | বলরামপুর | ১ | |||
২০ | ২৪০ | বাঘমুণ্ডি | ১ | |||
২১ | ২৪১ | জয়পুর | ১ | |||
২২ | ২৪২ | পুরুলিয়া | ১ | |||
২৩ | ২৪৩ | মানবাজার (ত উ) | ১ | |||
২৪ | ২৪৪ | কাশীপুর | ১ | |||
২৫ | ২৪৫ | পারা (ত) | ১ | |||
২৬ | ২৪৬ | রঘুনাথপুর (ত) | ১ | |||
২৭ | ২৪৭ | বাঁকুড়া | শালতোড়া (ত) | ১ | ||
২৮ | ২৪৮ | ছাতনা | ১ | |||
২৯ | ২৪৯ | রানিবাঁধ (ত উ) | ১ | |||
৩০ | ২৫০ | রায়পুর (ত উ) | ১ | |||
মোট | ১৭ | ৮ | ৫ |
প্রথম দফাতেই ঝাড়গ্রাম (৪) ও পুরুলিয়ার (৯) নির্বাচন পর্ব শেষ।
দ্বিতীয় দফা – ৩০টি আসন
ক্রম | আসন | জেলা | বিধানসভা | বিজেপি | তৃণমূল | মোর্চা |
১ | ১২৭ | দক্ষিণ ২৪ | গোসাবা (ত) | ১ | ||
২ | ১৩০ | পাথরপ্রতিমা | ১ | |||
৩ | ১৩১ | কাকদ্বীপ | ১ | |||
৪ | ১৩২ | সাগর | ১ | |||
৫ | ২০৩ | পূর্ব মেদিনীপুর | তমলুক | ১ | ||
৬ | ২০৪ | পাশকুঁড়া পূর্ব | ১ | |||
৭ | ২০৫ | পাশকুঁড়া পশ্চিম | ১ | |||
৮ | ২০৬ | ময়না | ১ | |||
৯ | ২০৭ | নন্দকুমার | ১ | |||
১০ | ২০৮ | মহিষাদল | ১ | |||
১১ | ২০৯ | হলদিয়া (ত) | ১ | |||
১২ | ২১০ | নন্দীগ্রাম | ১ | |||
১৩ | ২১১ | চণ্ডীপুর | ১ | |||
১৪ | ২২৪ | পশ্চিম মেদিনীপুর | খড়্গপুর সদর | ১ | ||
১৫ | ২২৫ | নারায়ণগড় | ১ | |||
১৬ | ২২৬ | সবং | ১ | |||
১৭ | ২২৭ | পিংলা | ১ | |||
১৮ | ২২৯ | ডেবরা | ১ | |||
১৯ | ২৩০ | দাসপুর | ১ | |||
২০ | ২৩১ | ঘাটাল (ত) | ১ | |||
২১ | ২৩২ | চন্দ্রকোণা (ত) | ১ | |||
২২ | ২৩৫ | কেশপুর | ১ | |||
২৩ | ২৫১ | বাঁকুড়া | তালড্যাংরা | ১ | ||
২৪ | ২৫২ | বাঁকুড়া | ১ | |||
২৫ | ২৫৩ | বরজোড়া | ১ | |||
২৬ | ২৫৪ | ওন্দা | ১ | |||
২৭ | ২৫৫ | বিষ্ণুপুর | ১ | |||
২৮ | ২৫৬ | কোতুলপুর (ত) | ১ | |||
২৯ | ২৫৭ | ইন্দাস (ত) | ১ | |||
৩০ | ২৫৮ | সোনামুখী (ত) | ১ | |||
মোট | ১৭ | ১২ | ১ |
দ্বিতীয় দফায় পূর্ব (১৬) ও পশ্চিম মেদিনীপুর (১৫) এবং বাঁকুড়ায় (১২) নির্বাচন পর্ব শেষ।
তৃতীয় দফা – ৩১টি আসন
ক্রম | আসন | জেলা | বিধানসভা | বিজেপি | তৃণমূল | মোর্চা |
১ | ১২৮ | দক্ষিণ ২৪ পরগণা | বাসন্তী (ত) | ১ | ||
২ | ১২৯ | কুলতলি (ত) | ১ | |||
৩ | ১৩৩ | কুলপি | ১ | |||
৪ | ১৩৪ | রায়দিঘী | ১ | |||
৫ | ১৩৫ | মন্দিরবাজার (ত) | ১ | |||
৬ | ১৩৬ | জয়নগর (ত) | ১ | |||
৭ | ১৩৭ | বারুইপুর পূর্ব (ত) | ১ | |||
৮ | ১৩৮ | ক্যানিং পশ্চিম (ত) | ১ | |||
৯ | ১৩৯ | ক্যানিং পূর্ব | ১ | |||
১০ | ১৪০ | বারুইপুর পশ্চিম | ১ | |||
১১ | ১৪১ | মগরাহাট পূর্ব (ত) | ১ | |||
১২ | ১৪২ | মগরাহাট পশ্চিম | ১ | |||
১৩ | ১৪৩ | ডায়মন্ড হারবার | ১ | |||
১৪ | ১৪৪ | ফলতা | ১ | |||
১৫ | ১৪৫ | সাতগাছিয়া | ১ | |||
১৬ | ১৪৬ | বিষ্ণুপুর (ত) | ১ | |||
১৭ | ১৭৭ | হাওড়া | উলুবেড়িয়া উত্তর (ত) | ১ | ||
১৮ | ১৭৮ | উলুবেড়িয়া দক্ষিণ | ১ | |||
১৯ | ১৭৯ | শ্যামপুর | ১ | |||
২০ | ১৮০ | বাগনান | ১ | |||
২১ | ১৮১ | আমতা | ১ | |||
২২ | ১৮২ | উদয়নারায়ণপুর | ১ | |||
২৩ | ১৮৩ | জগৎবল্লভপুর | ১ | |||
২৪ | ১৯৫ | হুগলি | জাঙ্গিপাড়া | ১ | ||
২৫ | ১৯৬ | হরিপাল | ১ | |||
২৬ | ১৯৭ | ধনেখালি (ত) | ১ | |||
২৭ | ১৯৮ | তারকেশ্বর | ১ | |||
২৮ | ১৯৯ | পুরশুড়া | ১ | |||
২৯ | ২০০ | আরামবাগ (ত) | ১ | |||
৩০ | ২০১ | গোঘাট (ত) | ১ | |||
৩১ | ২০২ | খানাকুল | ১ | |||
মোট | ৯ | ১৩ | ৯ |
চতুর্থ দফা – ৪৪টি আসন
ক্রম | আসন | জেলা | বিধানসভা | বিজেপি | তৃণমূল | মোর্চা |
১ | ১ | কোচবিহার | মেখলিগঞ্জ (ত) | ১ | ||
২ | ২ | মাথাভাঙা (ত) | ১ | |||
৩ | ৩ | কোচবিহার উত্তর (ত) | ১ | |||
৪ | ৪ | কোচবিহার দক্ষিণ | ১ | |||
৫ | ৫ | শীতলকুচি (ত) | ১ | |||
৬ | ৬ | সিতাই (ত) | ১ | |||
৭ | ৭ | দিনহাটা | ১ | |||
৮ | ৮ | নাটাবাড়ি | ১ | |||
৯ | ৯ | তুফানগঞ্জ | ১ | |||
১০ | ১০ | আলিপুরদুয়ার | কুমারগ্রাম (ত উ) | ১ | ||
১১ | ১১ | কালচিনি (ত উ) | ১ | |||
১২ | ১২ | আলিপুরদুয়ার | ১ | |||
১৩ | ১৩ | ফালাকাটা (ত) | ১ | |||
১৪ | ১৪ | মাদারিহাট (ত উ) | ১ | |||
১৫ | ১৪৭ | দক্ষিণ ২৪ পরগণা | সোনারপুর দক্ষিণ | ১ | ||
১৬ | ১৪৮ | ভাঙ্গড় | ১ | |||
১৭ | ১৪৯ | কসবা | ১ | ১ | ||
১৮ | ১৫০ | যাদবপুর | ||||
১৯ | ১৫১ | সোনারপুর উত্তর | ১ | |||
২০ | ১৫২ | টালিগঞ্জ | ১ | |||
২১ | ১৫৩ | বেহালা পূর্ব | ১ | |||
২২ | ১৫৪ | বেহালা পশ্চিম | ১ | |||
২৩ | ১৫৫ | মহেশতলা | ১ | |||
২৪ | ১৫৬ | বজবজ | ১ | |||
২৫ | ১৫৭ | মেটিয়াবুরুজ | ১ | |||
২৬ | ১৬৯ | হাওড়া | বালি | ১ | ||
২৭ | ১৭০ | হাওড়া উত্তর | ১ | |||
২৮ | ১৭১ | হাওড়া মধ্য | ১ | |||
২৯ | ১৭২ | শিবপুর | ১ | |||
৩০ | ১৭৩ | হাওড়া দক্ষিণ | ১ | |||
৩১ | ১৭৪ | সাঁকরাইল | ১ | |||
৩২ | ১৭৫ | পাঁচলা | ১ | |||
৩৩ | ১৭৬ | উলুবেড়িয়া পূর্ব | ১ | |||
৩৪ | ১৮৪ | ডোমজুড় | ১ | |||
৩৫ | ১৮৫ | হুগলি | উত্তরপাড়া | ১ | ||
৩৬ | ১৮৬ | শ্রীরামপুর | ১ | |||
৩৭ | ১৮৭ | চাঁপদানি | ১ | |||
৩৮ | ১৮৮ | সিঙ্গুর | ১ | |||
৩৯ | ১৮৯ | চন্দননগর | ১ | |||
৪০ | ১৯০ | চুঁচুড়া | ১ | |||
৪১ | ১৯১ | বলাগড় (ত) | ১ | |||
৪২ | ১৯২ | পাণ্ডুয়া | ১ | |||
৪৩ | ১৯৩ | সপ্তগ্রাম | ১ | |||
৪৪ | ১৯৪ | চণ্ডীতলা | ১ | |||
মোট | ২১ | ১৯ | ৪ |
চতুর্থ দফাতেই কোচবিহার (৯) ও আলিপুরদুয়ারে (৫) নির্বাচন পর্ব শেষ। এছাড়াও শেষ দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৩১), হুগলি (১৮) ও হাওড়াতে (১৬)। চতুর্থ দফা পর্যন্ত ১৩৫টি আসনে বিজেপি ৬৪, তৃণমূল ৫২ এবং মোর্চা সম্ভাব্য ১৯ টি আসন পেতে পারে।
বাকি ফলাফল কাল।
১২, এবারে কিন্তু বাড়াবাড়িটা একটু বেশি রকমের হচ্ছে। স্যাটা ভাঙা কিংবা লাথি মারার অধিকার কারও একতরফা নয়, ভুলে যাবেন না। আমাকে আরেসেস বলেছেন ঠিক আছে। আপনি কি? তিনো? খাল তাহলে খিঁচে নোবো এখানেই। জোটকে ৩০টা সিট দিয়েছিলেন। ওরা একটা পেয়েছে কিন্তু।
পাই, উত্তরবঙ্গ এবং মতুয়া ভোট এখনও বিজেপির। তিনো অপ্রত্যাশিত ভালো ফল করেছে নদীয়া-বর্ধমান-হুগলি-মালদা ও মুর্শিদাবাদে। কংগ্রেস সারা রাজ্যে একটাও সিট পাবে না, এ কথা কেউ ভাবতেও পারেননি। মুসলমানরা পুরো ব্লক ভোটিং করেছেন এবং বিন্দুমাত্র রিস্ক নেননি। এই ভোট প্রো-তিনো নয়, অ্যান্টি-বিজেপি। কাজেই তিনোর নাচার কিছু নেই। ২৯৪টা সিটের প্রেডিকশন করতে গেলে উইশলিস্ট করলে হয় না, বিশেষত গুরুতে। এখন ভাটিতে যাঁরা ফাটাচ্ছেন তাঁরা অ্যাদ্দিন চুপ ছিলেন কেন?
সব মিলিয়ে মারাত্মক ফল। বিজেপি ছাড়া আর কেউ বিরোধী থাকল না।
সবাই তো আর বারফাট্টাই করে "আমি কত্ত গাড়োল" প্রমাণ করতে ব্যস্ত নয়। এলেবেলে অদ্বিতীয়।
যেটা মিলেছে, বিজেপি ১০০ ক্রস করতে পারবে না, মুলোরা হেসে হেসে ১৪৮ পার করবে।
প্রেডিকশন | 43.239.80.135 | ০৩ এপ্রিল ২০২১ ০০:৫০
বিজেপি ৩ থেকে একটা টার্ম-এ বেড়ে ৫০/৬০ অবধি গেলেই ওদের পরণের কাপড় মাথায় তুলে দিয়ে নাচা উচিত। মানুষে জানে কোনটা লোকসভা ভোট আর কোনটা বিধানসভা। কোথায় কাকে ভোট দিতে হয়। সিপিএম কংগ্রেস দুটোই নিজেদের জায়গা থেকে আরো নামবে। জোট মোটমাট ৫০/৬০ এর কাছাকাছি নামলে আশ্চর্য হব না। মুলোরা হেসে হেসে ১৪৮ পার করবে।
কঠিন দিন আসছে সামনের পাঁচ বছরে। এবারের বারও লোকসভায় টিঁকে গেলে ২০২৬ এ বিজেপি বাংলা নিয়ে নিতেও পারে। দুই মৌলবাদী দলের আঁতাতে-সংঘর্ষে-প্রচারে আর যুব বামপন্থীদের অ্যাক্টিভিজমে সামনের পাঁচ বছর পশ্চিমবঙ্গ অশান্ত থাকবে। ২০২৬ এ বাংলাপক্ষ তথা গর্গ ভোটে দাঁড়াবে। মনে হয়, জমানত জব্দ হবে না।
এপ্রিলের প্রথমে বলছি তৃণমূলের শুধু প্রার্থী নয় ক্যাডার, ভোট মেশিনারী, এলাকার প্রভাবশালী গুন্ডারা সহ বিজেপিতে শিফট করায় সমস্যা একটু বেড়েছে। তবু আশা করছি, বিজেপি ১০০ ক্রস করতে পারবে না। ছাপ্পা আটকানো গেলে আরও কমত, কিন্তু সে ত হওয়ার নয়।
যেটা মেলেনি,
জোট (কংগ্রেস + সিপিএম) আগের টার্মের ৪৪ + ৩২ = ৭২ থেকে এবারে ০ তে নেমেছে। খুব পরিষ্কার বিজেপি অর অ্যান্টি বিজেপি - এই অ্যাঙ্গেলে ভোট হয়েছে। যাদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই, তাদের আসন পাইয়ে ইয়ার্কি মারা হয়নি। একটা মাত্র সীট যে পেয়েছে, তারা আগেরবার ছিল না। ওই একটা আসন, ISF এর, স্পষ্টতই সাম্প্রদায়িক ভোটার একত্রীকরণের ফল, বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতিকে আগামী পাঁচ বছরে আরো শক্ত করবে।
অ্যান্টি বিজেপি শক্তি হিসেবে ক্ষমতা দখলের মতো জায়গায় না আসতে পারলে সামনের ভোটটাও মুলো ভার্সেস বিজেপিই হবে। বাকি সব দল, রাজনৈতিকভাবে ইনভ্যালিডই থাকবে। প্রো অর অ্যান্টি বিজেপি ফুঁ দিয়ে কোনো না কোনো দিকে ধোঁয়া বাড়ানো ছাড়া তাদের সামাজিক ও সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকটিভিটির আর কোনো আউটকাম দেখা যাচ্ছে না। প্রশান্ত কিশোর ফ্যাক্টর বিয়োগ করলে, কেন্দ্রের ব্যাকিং যোগ করলে ২০২৬ বাংলায় বিজেপি আসা খুব কঠিন নয়। পাঁচ বছরে আরো দলবদল, আরো ভোট মেশিনারি শিফটিং হতে থাকবেই। বিজেপিকে রুখে দিতে মারামারি একটা অস্ত্র হতে চলেছে।
রাজ্যের মানুষের মনে গেঁড়ে থাকা সাম্প্রদায়িকতাকে ভোটের নির্ণায়ক চালিকাশক্তি হতে দেওয়া বা না দেওয়াটাই ২০২৬ এর ফলাফল নিশ্চিত করবে। মানুষের পাশে থাকা, সাহায্য বা সেবা করা ভোটের রেজাল্টের মুখাপেক্ষী হলে যা হয়, নতুন প্রজন্মের বেশিরভাগই নিজ নিজ ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করে আপাতত মাঠ ছাড়তে থাকবে বলেই মনে হয়।
কিন্তু এলেবেলে,বিজেপি একমাত্র বিরোধী দল হলে, বাংলার কি অসুবিধে।২০১৬ তে বিরোধী বলতে নাম মাত্র বাম ও কংগ্রেস। বুদ্ধ বাবুর আমলেও ২৩৫ -৩৫ হিসেব।
আমার মতে,গঠন মূলক বিরোধিতা বি জে পির ধাতে নেই। বিজেপি যতো বেশি ভিন রাজ্য থেকে বিজয় বর্গী, নাদ্দা, আদিত্য নাথ কে ধরে আনবে, ততো বেশি অবাঙালি দল হিসাবে জনগন দেখবে।
যতো বেশি হিন্দুত্ব প্রচার করবে, ততো লোকজন সরতে শুরু করবে। বামেরা তিনো দের সমালোচনা করলেই,ওরা বিজেপির বি টিম বলবে তিনো রা।
একমাত্র মোদী শা জুটি যদি পব থেকে দু তিনটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপহার দেয় অথবা গরীব জনতার হাতে সরাসরি কেন্দ্রীয় প্রকল্প মারফত আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করে,তবেই বিজেপির লোকসভায় ভালো রেজাল্ট হতে পারে।কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার থেকে আর্থিক অনুদান তো আসার সম্ভাবনা কম;তাই বাংলায় বিজেপির শ্রী বৃদ্ধি হবার চান্স ও কম।
হ্যা আমি তৃণমুল :) | ওহে বুড়ো খোকা ছলেবলে , বাঁধানো দাঁত দিয়ে দাঁত খেঁচানো যায় কামড়ানো যায় না|
লাথি খেয়ে ব্যাথা লাগছে বুঝি ?যাও ২৫ টাকার পাউচ খেয়ে শুয়ে পারো কাল আবার কাজে যেতে হবে তোমাকে (সেই সস্তার কাজ পে কমিশন আসছে না )
এসব গালিগালাজ বাদ দিয়ে কথা বলা যায়না? সবাইকেই বলছি।
একটা হাই এনগেজমেন্ট বাংলা আর বাঙালি স্পেসিফিক পোর্টাল এ ফেক সার্ভে/ রিপোর্ট ছড়িয়ে ভোটের আগে ওপিনিয়ন ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা হবে আর আর সেটা বসে বসে দেখা হবে ?
এই সব বেলেদের তো আদর আপ্যায়ন হবেই | তবে দেখে ভালো লাগলো যে বুড়ো বেলের ব্যাথা লাগছে :)
ওহে তিনো, এখন বড্ড বুলি বেড়েছে দেখছি। তা পিকেকে কত টাকায় রফা করা হয়েছিল? হঠাৎ তাঁকে আনতে হল কেন? জেতার পরে সায়েন্টিফিক রিগিং, ইভিএম ট্যাম্পারিং আরও চোদ্দ গণ্ডা অজুহাত আসল না কেন? এখানকার পোর্টাল অত্ত ইনফ্লুয়েন্সিয়াল নয় আর বাংলার মানুষও ছাগল নয় যে তাঁরা গুরু পড়ে ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে তিনোকে ভোট দেবেন। নন্দীগ্রামে আগের বার সিপিমের ভোট ছিল ২৪%, এবারে তাদের চোখের মণি মীনাক্ষী পেয়েছেন ২% ভোট। বাকি ২২% যে বিজেপিতেই গেল তার হিসেব আছে? দুদিন পরেই আবার না মাসীরা মায়ের কাছে এসে কান্নাকাটি করে ফের ঢুকে পড়ে! আর বিজেপির সঙ্গে তিনোর ফিটিং হতে কতক্ষণ? নাকি তার পূর্ব ইতিহাস নেই?
এখন দিকে দিকে তবুও তিনো, আগে তিনো, এখন তিনো, ব্যথা পাওয়া তিনো, উন্নয়নের জোয়ারে ভাসা তিনোর নানা রূপ দেখা যাবে। কাটমানি-বালি চুরি-কয়লা চুরির টাকা দিয়ে কচি খোকাটি আমার চপ দিয়ে কুড়ি টাকার পাউচ কিনে নেশা করো দু-চারদিন। খোঁয়াড়ি কাটলে ফের দমবন্ধ লাগবে। তখন বিজেপির কোলে দোল খেয়ো, কেমন?
আসলে, সবাই আপনার মতো সেয়ানা ও ধাউড় চূড়ামণিটিও নয়। আপুনি সেই কারণেই ফল বেরোতেই গাড়লত্ব প্রমাণে উদগ্রীব হয়েছেন। হিসেব মিললে অন্ধকারের জীব হয়ে ফের শীতঘুমে যেতেন। কম তো আর দেখলাম না।
বেলে কথাটা তৃণমুল কংগ্রেস ;) তিনো না | আজেকে তো অন্তত, থুতু চাটো | যা হোক তোমার মতো ভাঁটির লোক লাথ খেয়ে খুশি |
আমি পিকের সাথে ডিল করিনি তবে সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি ৫০০ কোটি নিয়েছে | তাতে ক্ষতি তা কি ?বিপাকে ভালো বেতন দিয়ে ভালো লোক রাখে তোমার চান্স নেই | তুমি যাও আর সস্তায় কাজ কারো :)
হ্যাঁ, সিপিআইএম। সিপিএম-এর মতো। হঠাৎ তিনো তো তাই দলটার নাম যে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস সেটা এখনও আয়ত্ত হয়নি! আগে ওটা মুখস্ত করো খোকা। আর এখানে মাননীয়াকে মমব্যান লেখা হয়। তাই লাথি মারার খোয়াব দেখার আগে ওই লব্জগুলো মুখস্ত করে এসো।
কেন তোমার দিদি কত দিয়েছে বলছে? সংবাদ মাধ্যম কেন? কাল কালীঘাট থেকে ঘোড়ার মুখ থেকে খপর নিয়ে এসো।
বেলে আমি কোনো ঘোড়াকে জানি না | কিন্তু তুমি বলো পিকে কে ৫০০ কোটি দিলে তোমার কি অসুবিধে ?Ipak তো ট্যাক্স দেয় |
আর লাথি খেতে তোমার এতো মজা লাগে জেনে ভালো লাগছে | বাম থেকে রাম হয়ে একটু চুলকুনি হচ্ছে ?
আসলে কিছু হঠাৎ তিনো আছে যারা লাথি খেলেও দাঁত ক্যালায়। মোসাহেবি রক্তে তো! কারণ ওখান থেকেই তো ইনকাম!! পিকে ট্যাক্স দেয় কি দেয় না তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই তো। মমব্যান কত দিয়েছেন সেটা নিয়ে আছে।
আমার রামত্বর নমুনা (ভেবেছিলাম দেব না কিন্তু বড্ড উত্যক্ত করছেন বলে ফের লাথি মারতেই হল) ---
https://www.anandabazar.com/editorial/bjp-is-trying-to-make-india-a-hindu-state-1.1062555
এগুলো পড়ে নিও খোকা। এখন ঘুমোতে গেলাম। এত লাথিতেও সন্তুষ্ট না হলে কাল স্যাটা ভাঙা শুরু হবে।
"এবারের ভোট প্রো-তৃণ নয় এন্টি বিজেপি "-এটার সাথে এক্কেরে একমত। এই মুহূর্তে ওটাই সবথেকে প্রায়োরিটি ছিল।
শতকরা একশো ভাগ ছড়িয়েও কিকরে লুঙ্গি মাথায় তুলে নাচা যায় এটাই রন্টিকে দেখে শেখার। টোটাল ফান গুরু,
পয়সা উসুল।
ওহে বেলে তুমি তো দেখছি ভাবদুলাল একখানা চলচিত্তচঞ্চরী লেখেই ফেলো :).
তোমার প্রোফাইল যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই | বাম আমলে মালাই খাওয়া ফুটকি লাগানো পার্টি | এখন দিদির ভাই দের ভয়ে শুকিয়ে আছো আর অনলাইন বড় বড় বাতেল ঝড়ো (সাইড এ দুটাকা করে কামাই ও হয় ) |
তার চেয়ে টিউশন শুরু কারো | সময় ও কাটবে কামাই ও হবে | নাকি তোমার সাবজেক্ট এ টিউশন ভালো পাওয়া যায় না ?
এসেম, কাল আপনাকে উত্তর দেওয়া হয়নি। দুঃখিত। দেখুন তিনোর ভোট ৪৭% আর বিজেপির ৩৮%। এই ৩৮%টা খুব হেলাফেলার নয় কিন্তু। মাত্র ৯%-এর পার্থক্য। তার মানে মেরুকরণ সফল। প্লাস এবারে তিনোর ৬৬টা এমেলে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিল। মানেটা বুঝতেই পারছেন। কাজেই আজকে যাকে তিনো মনে হচ্ছে কাল সে বিজেপি হতেই পারে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে খুব স্বস্তিদায়ক কিছু নয়। ফলে বিজেপি তার ন্যারেটিভ চালিয়েই যাবে এবং মমতা যে তাদের পাতা ফাঁদে বার বার পা দিয়েছেন বা দিচ্ছেন সেটা পরিষ্কার। আমার কাছে এইটা মারাত্মক বলে মনে হচ্ছে।
উফ এলে কি দারুন বিজ্ঞ লোক , কত বুদ্ধি , কত জ্ঞান | কত কিছু জানে |
একটাই সমস্যা লাথ খেয়ে পেছুনে ব্যাথা | তাই চিৎ হয়ে শুতে পারে না :)
এসেম, সরি ৬৬ জন এমেলে নয়। ৬৬ জন যাঁরা অন্য দল থেকে এসেছেন তাঁদের প্রার্থী করা হয়েছিল।
https://www.sundayguardianlive.com/news/least-32-tmc-defectors-find-place-bjps-candidates-list
https://indianexpress.com/elections/bjp-list-west-bengal-assembly-election-mamata-banerjee-7237808/
ওঃ বেলে কত জ্ঞান দিচ্ছে | কত্ত বুদ্ধি |
শুধু পেছুনে একটু ব্যাথা :)
১২ বড্ডো ইরিটেটিং . কিছু বলার থাকলে বলুন নয়তো থেমে যান . এলেবেলে ডিসক্লেমার দিয়ে লিখেছিলেন নাও মিলতে পারে . আর হ্যাঁ ওনার যুক্তি তে কিছু গন্ডগোল ছিল, লোকসভা আর বিধানসভা ভোট আলাদা . এই নিয়ে খিস্তি খেউর করার কি আছে?
যদি সত্যি তৃণমূল সাপোর্টার হন, সাবধানে থাকুন . পোলারাইজেশন হয়ে গেছে , ৩৮% কিছু কম নয়. সেগুলো সামলান আগে .
:)বেলে কোথায়?
এলে কে কেন আক্রমণ করা হচ্ছে বুঝলাম না। হিসেব মেলেনি তো কি হয়েছে? মানে না মেলায় তো এলেই সবচেয়ে খুশি হয়েছে। এটা কি ব্যক্তিগত সন্দেহ কনজেকচার করার সময়। এটা কি আমি কইসিলাম বলার সময় নাকি? গালাগাল ছাড়া কি কথা বলা যায় না? সবকটা মার্কেট রিসার্চ এজেন্সী কেই আক্রমণ করা উচিত তাহলে।
সবচেয়ে বেশি ক্যালানো উচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে। তিনি এই নিয়ে বারোবার বিধানসভা ইলেকশনে ভুল প্রেডিকশন করলেন। জুমলা একটি শিল্প বটে তবে রুগ্ন শিল্প:--)))))))
এলে , আপনার আলোচনা পদ্ধতি তে দুটো গন্ডগোল ছিল এবং সেটা দোষের না, একটু কশাস হ ওয়ার ব্যাপার। আপনাকে ও জন্য ই ১২ গালাগাল করার সুযোগ পাচ্ছে।
এক আপনার নিজের রিসার্চ এজেন্সী যদি না থাকে তাইলে সোর্স বলা আপনার উচিত। আর যদি না বলেন তাইলে লোকে আবাজ একটু দেবে।
দুই, ক়ংগ্রেস সিপিএম উবে যাবে এটা কেউই ভাবেনি, এ ভোটের রাজা পিকে টিম ও ভাবেনি। এবং সেটা গোটাটাই তৃণমূল এর পক্ষে যাবে কেউ ভাবেনি।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলতে পারি , আমিপৃথিবীর কোন ফোরামে, বাড়ির খাবার টেবিল সহ, ফ্যাসিস্ট দের এগিয়ে রাখতে পছন্দ করিনা, কারণ জুমলাটা তাদের প্রচলিত বহু ব্যবহৃত পদ্ধতি। তাই এমনকি ব্যক্তিগত জুজু দেখাটাও ফাসিস্টদের কাজে লেগে যায়। তবে ঐ আসছে বলা আর সাবধান হোন বলার একটা পার্থক্য আছে, ডেটা থাকলে আমি জুমলার এক্সপোজ করার চেষ্টা করি, এবার প্রবন্ধ টায় সেটা সোর্স উল্লেখ করে করেছি। অবশ্য আমি তো আর অপিনিয়ন মেকার না, বাল ওরকম প্রবন্ধ বাঙালি দিনে এটা দেখে,কিন্তু আমি লেখাটা রেকর্ড করার জন্য ই লিখেছিলাম মনের শান্তি।
এবার দুইটা তিনটা কথা বলেন
১- নো ভোট টু বিজেপির মা ইন্ফ্লূয়েন্স দেখা গেল সেটা তো বড় শহরে সীমাবদ্ধ আর নেই এটা আপনাদের ওদিকে কিরকম আমাদের বোলপুরে এটার ভালো ইনফ্লুয়েন্স ছিল প্রলাপ বিশ্বভারতীর উপাচার্য র উপরে খার ছিল ২- আর এসেস মমতাকে সাহায্য করেছেন সেই জায়গায় যেখানে বিজেপির সংগঠন সেরকম দাঁড়ায় নি এরকম একটা কথা চলছে, এটার কিছু প্যাটারন আমি লক্ষ্য করছি, যথেষ্ট ডেটা এখনো দেখিনি আপনি করেছেন?
৩- নিম্নবরগ থেকে উচ্চবর্ণ নেতার হাতে বিজেপির যধ্যেই ক্ষমতা ট্রান্সফার হয়েছে ভোটের আগে , আমাদের ওদিকে সেটটা ব্যাকফায়ার করেছে বলে আমার আন্দাজ, আপনি কি সেরকম প্যাটার্ন পাচ্ছেন?
জুমলা একটি শিল্প বটে তবে রুগ্ন শিল্প:--)))))))
উফ্ফ বাবা টাইও তে ভরতি হয়ে গেলো।
১ - " বাল ওরকম প্রবন্ধ বাঙালি দিনে এটা দেখে,কিন্তু আমি লেখাটা রেকর্ড করার জন্য ই লিখেছিলাম মনের শান্তি।"
দিনে ছটা লেখে
২ - "নো ভোট টু বিজেপির মা ইন্ফ্লূয়েন্স দেখা গেল সেটা তো বড় শহরে সীমাবদ্ধ আর নেই এটা আপনাদের ওদিকে কিরকম আমাদের বোলপুরে এটার ভালো ইনফ্লুয়েন্স ছিল প্রলাপ বিশ্বভারতীর উপাচার্য র উপরে খার ছিল"
প্লাস বিশ্বভারতীর উপাচার্যের উপরে খার ছিল
"মা" না , "যা" ইনফ্লুয়েন্স দেখা গেল।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
"ফলাফলের চুলচেরা ব্যাখ্যা আমি দেব না। চাইলে এখন থেকেই চুটিয়ে গাল দিয়ে গায়ের ঝাল মেটাতে পারেন।"
এলে ব্যাখ্যা 'দেবে না'(আছে?) এবং গাল খেতে চায়। তো অন্যদের আপত্তি কিসের?
আবার বলে ড্যাম সিরিয়াস কথা। হাসব না কাঁদব একটু বলে দেন কেউ।
'নিননিছা' শব্দটা প্রায়-ই দেখছি এদিক-ওদিক, এর মানে কী?