অমিতাভদা আর হুতোর সৌজন্যে এই গল্পটা দিলাম --
ড্রায়াড
এই বনটার মধ্যে অনেক গাছ। বুড়ো, ছোকরা। ডালে শিকড়ে আঁকড়ি-বুকড়ি-ফেঁকড়ি। পাতাগুলো অনেক রকম কথা বলে। হাসে, গান গায়। ওকে দেখলেই ঝিরঝিরিয়ে জিজ্ঞেস করে "কী রে, দুদিন আসিসনি যে?" সোলে হেসে ওদের দিকে মাথা নাড়ায়। ওর মনে হয় পাতারা ইশারার ভাষা ঠিকই বোঝে। সবাই বলে, অন্যরা, লোকরা, বলে "সোলে যদি কথা বলতে পারতো..."! পারেনা ওদের মত কথা বলতে। কী করবে? সোলে গলা দিয়ে কিছু আওয়াজ করতে পারে অবশ্য। তাকে কি "কথা" বলা যাবে? কী যায় আসে? দাদা ঠিকই বুঝতে পারে ওর কথা। দাদা সব বুঝতে পারে। সোলে কী বলছে, ওর কিসে কী মনে হচ্ছে, স-ব। অনেকে তো কত কিছুই বলে-- "সোলে আবার কেমন নাম? কি অদ্ভুত!" সোলে মানে সূর্য্য। ঠাকুমা ওর এই নাম রেখেছিলো। ঠাকুমাকে ওর স্পষ্ট মনে পড়ে। না চেহারা নয়। চেহারা ভুলে গেছে সোলে। অনেকদিন আগের কথা তো? কিন্তু ঘুমোনোর আগে গায়ে মাথায় হাত বুলোনোর অনুভূতিটা ওর আজকের মত পরিষ্কার লাগে। কোথায় রাখা থাকে এইসব অনুভূতিরা কে জানে! মাঝেমাঝে ওদের খুঁজে পেতে খুব ইচ্ছে করে ওর। কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারেনা। সোলে ওদের খুঁজতে আসে এই বনের মধ্যে। ওর খুব মনে হয় এখানেই সবাইকে পাওয়া যাবে একদিন না একদিন। পায়ও কাউকে কাউকে খুঁজে, কোনো কোনো দিন।
মাঝেমাঝে এই জঙ্গলটাকে একটা আর্ট স্কুল মনে হয়। গাছের ডালপালা, পাতার ফাঁক দিয়ে রোদ্দুর কত ছবি এঁকে রাখে। বাকলের ওপরে কালচে-খয়েরী-ধূসর রং করা কত মুখ আর মুখোস। ঝোরার তিরতিরে ঠান্ডা জলের তলায় নুড়িপাথরের মোজাইক। আরো কত ছবি রোজই তৈরী করছে, পাখিরা, ফুলরা, হাওয়ারা। হয়তো পরীরাও। পরী আছে এই জঙ্গলে। সোলে জানে। এমনিতেই অনেক কিছু জানতে পারে ও, যেসব জিনিষ অন্যরা দেখতে পায়না। শুনতেও পায়না। সোলে অনেক অনেক বেশি শুনতে পায় সবার থেকে। এমনিতেই। কিন্তু পরীদের কথা আরো আলাদা। কাউকে বলেনি, দাদাকেও বলেনি সোলে যে এইখানে একজন বনপরী ওর সাথে কথা বলে। ও আগে প্রজাপতিদেরই পরী ভাবতো। ফড়িংদের। পাতলা ফিনফিনে ডানা নিয়ে কেমন ফিলফিলিয়ে উড়ে যায়! সাদা কাগজ ফুলরাও ওড়ে অবশ্য অমনি করে। গাছের বীজ, বোঁ বোঁ করে ঘুরতে ঘুরতে উড়ে কতদূর যায়! ওদেরও ও পরী ভাবতো। ওদের পেছন পেছন কতদিন দৌড়ে গেছে সোলে। খিলখিল করে হাসে ওরা, ঝিমঝিম করে, তিরতির করে। কিন্তু বনপরী তাদের কারুর মত নয়। বনপরী সব্বার থেকে আলাদা। ওরকম চোখ আর কারুর দেখেনি ও কখনো। নীল চোখ অনেকই দেখেছে কিন্তু ঐ রকম নয়। এই জঙ্গলেরই অনেক ভেতরে একলা হ্রদ আছে একজন। তার গভীর জলে যখন আকাশের ছায়া পড়ে তখন অমনি দেখায়। নীলের মধ্যে সবুজ সবুজ আঁকা। অমনি ভাবে বলছো কেন? জলের মধ্যে ছায়ায় দেখতে হবে কেন? আকাশের দিকে সরাসরি তাকালেই তো হয়। না, হয়না। তফাৎ আছে। রং অনেক বদলে যায়, যখন জলভর্তি অবস্থায় তাকে দেখো। চোখের রং ও।
"একা একা এতদূর এসেছো কেন? জঙ্গলের এত ভেতরে? হারিয়ে যাবেনা?" -- পরী জিজ্ঞেস করেছিলো একদিন। সোলে হাসে। না, হারিয়ে যাবেনা। এই জঙ্গলের সব জায়গা, আঁতিপাঁতি, ওর বন্ধু। এখানে চোখ বাঁধা অবস্থাতেও ও অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারে। গন্ধ দিয়ে রাস্তা চিনতে পারে ও, চোখ লাগেনা। ঘাসের গন্ধ, গাছের বাকলের, মাটির, হরিণের।
--"তুমিও তো এসেছো। তুমিও তো হারিয়ে যেতে পারো?" সোলে জানতো পরী ওর কথা ঠিকই বুঝতে পারবে। অন্য কেউ পারেনা তো কী? বনপরী তো 'অন্য কেউ' নয়? না, অন্য কেউ নয়। নীরবতা দিয়ে কথা বলে সে। ঠোঁট নাড়ায়না, কোনো শব্দ উচ্চারণ করেনা। দরকারও হয়না তার। সত্যিকারের ভাষা যারা বোঝে, তাদের শব্দের দরকার হয়না।
--"গেছি হয়তো হারিয়ে। তুমি কোনখান থেকে দেখছো তার ওপরে সেটা নির্ভর করছে, তাই না? আগে যেখানে ছিলাম, সেখানে যদি কেউ আমাকে খোঁজে তাহলে হারিয়ে গেছি। নাহলে হারাইনি। খোঁজা না থাকলে তো হারানো হয়না?" -- পরীর লম্বা চুল হাওয়ায় ওড়ে, ফিকে সুগন্ধের মত। ওর হলুদ পোশাক ওড়ে। সোলের ড্যাফোডিল ফুলের কথা মনে হয়।
রোজদিন অনেক কথা বলে ওরা তা নয়। কখনো কখনো শুধু বসে থাকে দুজন চুপ করে। একটা পরী আর একটা সোলে। তার মধ্যেও অনেক খানি ভালোলাগা থাকতে পারে। কিচ্ছু না বলার মধ্যে, কিচ্ছু না করার মধ্যে, কিচ্ছু না ভাবার মধ্যে যে শান্ত নৈঃশব্দ, তাতে অনেক ভালোলাগা থাকে। রোজদিন যায়ও না ওর কাছে সোলে। থাক কিছু ভালো জিনিষ তাকে তোলা। সবকিছুকে আটপৌরে করে ফেলে কী হবে?
পরী একদিন বললো - "তুমি সেদিন হারিয়ে যাওয়া নিয়ে বলছিলে। আমার কিছু জিনিষ হারিয়ে গেছে সোলে। কিম্বা ঝাপসা হয়ে গেছে। দুটো কী এক জিনিষ?"
সোলে জবাব দেয়না। কোনো কিছুই হারায় বলে ওর মনে হয়না। তুমি দেখতে পাচ্ছোনা, অন্য কেউ পাচ্ছে। তাহলে হারানো হলো কী করে? ঝোরাটার এই পাড়ে দাঁড়িয়ে কত সময় মনে হয় ওপারের কতকিছু ঝাপসা। একবার পা গুলো ভিজিয়ে ঐদিকে গিয়ে দাঁড়াও। তখন তো ঝকঝকে পরিষ্কার দেখতে পাবে । মা'কে, বাবাকে কতদিন তো দেখতে পায়না ও। ওদের ছবিগুলো পুরোপুরি ঝাপসা হয়ে গেছে। তাই বলেই কি হারিয়ে গেছে নাকি? হারায়না কিছু। লোকে ভাবে অমনি, দেখতে না পেলেই ভাবে।
পরী আরো বলে -- "এখানে আসার আগে আমি কোথায় ছিলাম? কে ছিলাম? কেমন যেন বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে দেখছি মনে হয়। কতগুলো আবছা মূর্তি, ধেবড়ে যাওয়া রং। আমার নামটা হারিয়ে গেছে সোলে। আমার পরিচয়; হারিয়ে গেছে।"
-- "তোমার নাম তো ড্যাফনি"।
--" তাইই? কী করে জানলে?"
-- " জানিনি তো। ড্যাফোডিল ফুলের সাথে মিল আছে বলে বললাম।"
পরী খিলখিল করে হেসে ওঠে। ওর হাসির শব্দ শুনে রূপোর ঘন্টার কথা মনে হয়। কিম্বা উইন্ড-চাইম। এই 'মনে হওয়া' জিনিষটা খুব পছন্দ সোলের। যেকোনো ছবিতে কী সহজে দুটো তিনটে মাত্রা যোগ করতে পারে 'মনে হওয়া'। অবশ্য ছবিগুলো কখনো কখনো বিকটও বানিয়ে দেয়। দেখে ভয় লাগে খুব। সে হোক, ভয় পাওয়াও তো একরকম পাওয়া।
--"ড্যাফনি বেশ নাম। কিন্তু আরো অনেক কিছু ছিলো জানো? অনেক কেউ ছিলো। কখনো কখনো আমার মনে হয় কেউ আমাকে ডাকছে। জলের অনেক তলা থেকে আওয়াজ এলে যেমন শোনায়, তেমনি লাগে। মনে হয় কেউ আমাকে খুঁজছে। আমি যত শোনার চেষ্টা করি, দেখার চেষ্টা করি তত পিছলে আরো দূরে চলে যায়। মাথার মধ্যে কী ভীষণ ব্যথা করে কি বলবো!"
-- "তোমাকে কেউ খুঁজছে? তুমিও কি খুঁজছো ওদের? মাথার মধ্যে খুঁজছো? মাথার মধ্যে খুঁড়ছো?"
-- "নাহলে কোথায় খুঁজবো? মনে না পড়লে?"
-- "মাথায় চোট পেয়েছিলে মনে হয় কোনোভাবে। তার ওপরে অত হাতড়াও, তাই ব্যথা করে অমনি। না খুঁজে পেলে কী হবে?"
পরী একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে ভাবতে থাকে। না খুঁজে পেলে কী হবে? সত্যিই কি হবে কিছু? ওর চারপাশে সবুজ শান্তি ঘিরে আছে। কত বয়সের গাছপালা, কী নরম করে কথা বলে। হাসিখুশি পাখিগুলো, ঝুমঝুমে হাওয়া। সোলে, একটা বন্ধু। যা খুঁজে পাচ্ছেনা, তা না পেলে কিছু কি হবে?
দিন যায়, একটা, দুটো,পাঁচটা। ড্যাফনি প্রশ্নটা ভাবছে। পায়ের নীচে গাঢ় সবুজ ফার্নের জঙ্গল নরম গালিচার মত হয়ে থাকে। গাছের কোটরের ভেতরে হাল্কা নীলের ওপর খয়েরী ফুটকি দেওয়া ডিমের খোলা ফাটিয়ে কুটিকুটি পাখিছানারা বেরিয়ে এসেছে। বুনো গোলাপের পাপড়ি হাওয়ায় উড়ে এখান থেকে ওখান যায়, পাথরের খাঁজে, জলের ওপরে। সবকিছুর মধ্যে ড্যাফনি প্রশ্নের উত্তর খোঁজে। শেষে একদিন বললো --
"নাঃ, আমাকে জানতেই হবে, বুঝলে? আমি কে, কোথায় ছিলাম, কার সাথে ছিলাম, জানতেই হবে। নাহলে ছবিটা পুরো হয়না। মাথার মধ্যে কতটা জায়গা ফাঁকা হয়ে আছে। আমার ভালো লাগেনা। কষ্ট হয়।"
-- "তুমি কে তা তো জানি আমি।"
-- "সত্যি?"
--"হ্যাঁ, সত্যি। তুমি তো একজন বনপরী। সুন্দর ছবির বইয়ে পরীদের গল্প থাকে। কিন্তু পরীরা শুধু বইয়েই থাকেনা। যেমন তুমি। গল্পের পাতায় নেই, বনের মধ্যে আছো, গাছের তলায়।"
--"ধ্যাৎ সোলে! তুমি না!"
ড্যাফনি নিরাশ হতে গিয়ে হেসে ফেলে। এমন আজগুবি কথা ভাবে এই বন্ধুটা! ড্যাফনি হাসতে গিয়ে আবার নিরাশ হয়। সোলের মনে হওয়া আর ওর নিজের মনে হওয়া এক রকম নয়। ওর কষ্ট হয়।
-- "কেউ হয়তো আমাকে খুঁজছে ।ঐ যাদের আবছা ছবি দেখি আমি। হয়তো খুব কষ্টে আছে। আমাকে না পেয়ে। কারুর মনে কষ্ট দেওয়া কি ভালো?"
না, ভালো নয়। সোলে কষ্টকে অনেকবার দেখেছে। নিজের থেকে সে আসে আসুক। কিন্তু কাউকে কষ্ট দেওয়া কখনো ভালো নয়।
--"ঠিক আছে। তুমি কি ওদের খুঁজে বার করবে? তাহলে কি কষ্ট কমবে তোমার? আমিও তোমার সাথে খুঁজতে পারি।"
--" সত্যি? কেমন করে খুঁজবে?"
--" তা অবশ্য এখনও জানিনা। অনেক কিছুই তো শুরু করলে পর আস্তে আস্তে জানা হয়ে যায়। খোঁজা খুব একটা কঠিন কাজ নয়ও। পাওয়া কঠিন হতে পারে।"
-- "কবে থেকে খুঁজবে?"
-- " কাল থেকে?"
--"সোলে এ এ এ। কোথায় তুইইই? চলে আ আ আয়।" দূর থেকে শোনা যায়। দাদা ডাকছে। এখন যেতে হবে।
ড্যাফনির চোখ ঝিকমিক করছে। ওর খুশি দেখতে ভালো লাগে।কাউকে কষ্ট দেওয়া ভালো নয় বলেই, নাহলে ওকে আরো অনেক কথা বলতে পারতো সোলে।
ও কে তা সোলে সত্যিই জানে। ও অনেক কিছু দেখে, অনেক কিছু লক্ষ্য করে, অনেক কিছু মনে রাখে। পাশের বাড়ির মিমি-টিমিদের পুতুল ছিলো। ওরা বার্বি বলে ডাকতো ড্যাফনিকে। কোলে নিতো, জামা বদলাতো, সাজাতো কত। মিমি-টিমি যেখানে যাবে, যা করবে সব সময় সঙ্গে করে নিয়ে যাবে ওকে।সোলে কতদিন দেখেছে বারান্দা থেকে। আদরের বার্বি।
তারপর একদিন ওদের জন্মদিন এলো । সোলেকে, দাদাকে ডেকেছিলো ওরা। কত লোকজন, বন্ধু-বান্ধব, খাওয়াদাওয়া, হৈচৈ। এখানে ওখানে মোমবাতি জ্বলছিলো, খেলনা, বই, চকচকে কাগজের শেকল, ভেঁপু। কোঁকড়া চুল, লম্বা মত একজন ভদ্রলোক মিমি-টিমিকে ইয়া বড় বাক্সে ঝকমকে মস্ত মস্ত দুটো পুতুল দিলেন। বার্বি তখন একা একা জানালার ওপরে বসেছিলো। ওকে কেউ বেলুন ফোলাতে ডাকেনি। কেক খেতে, ঝলমলে টুপি পরে ঘুরেঘুরে নাচতে ডাকেনি। সোলে চুপ করে তাকিয়ে দেখেছিলো। তারপর ওকেও ওখান থেকে কেউ টেনে নিয়ে গেছিলো।
বার্বি সেখানেই বসে থাকতো তারপর থেকে। একা একা।অনেক দিন, অনেক মাস। সোলে ছাড়া কেউ দেখতোনা ওকে। তারও কতদিন পরে একদিন নতুন ঝলমলে মিষ্টি ডলি-মলিকে কোলে নিয়ে পিকনিকে যাবার সময় মিমি বললো -- "ধুর, এই পুরনো পুতুলটা এখানে জায়গা জুড়ে বসে আছে দেখো!"
টিমি কোনো কথা না বলে বার্বিকে একটা পা ধরে তুলে নিলো। বার্বি কাঁদছিলো কিনা সোলে দেখেনি। ও দৌড়ে বাইরে যেতে গিয়ে কার্পেটে পা জড়িয়ে হোঁচট খেয়েছিলো। ততক্ষণে ওদের গাড়ি হুউউশ করে বেরিয়ে গেছে।
জঙ্গলের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎই এই গাছটার শেকড়ের ওপর ওকে আবার দেখতে পেয়েছিলো সোলে। কে টান মেরে ফেলে দিয়ে চলে গেছে। শেকড়ে মাথা ঠুকে জ্ঞান হারিয়ে শুয়ে আছে হলুদ জামা পরা বার্বি। একা একা। একটা ছেঁড়া ড্যাফোডিল ফুলের মত।
সোলে ভাবছিলো ঠিক এই কথাগুলোই ড্যাফনিকে কোনোদিনই বলবেনা ও। কারণ অন্য কথাটাও ও সত্যিই বলেছিলো। ড্যাফনি যে একজন বনপরী, সেটাও ও জানে। "ফেলে দেওয়া পুতুল" অন্যরা ভাবতে পারে হয়তো। তাতে কীই বা যায় আসে? অন্যরা তো কতকিছুই ভাবে! সেগুলো সব সত্যি নয়। অন্যরা তো এও ভাবে যে সোলে "কথা বলতে পারেনা"। হাঃ!
--"সোলে এ এ। আয় শিগ্গি ই ই র।"
নাঃ, এবার যেতেই হবে। কাল থেকে ড্যাফনির জন্য 'কষ্ট দূর হওয়া' খুঁজবে ওরা। মনটা খুশিখুশি লাগে।
ও দাদার ডাকে চেঁচিয়ে সাড়া দেয় -- "আসছি ই ই। ভুক, ভৌ ঔ ঔ ঔ।"
ঝালরের মত সোনালী লোমশ ল্যাজটা নাড়তে নাড়তে, চার পায়ে লাফাতে লাফাতে সোলে বাড়ির দিকে দৌড় দিলো।