এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  স্মৃতিচারণ  আত্মজৈবনিক

  • কাপালিক The Skull Man

    সে
    স্মৃতিচারণ | আত্মজৈবনিক | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৪৭৮০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • খেই ধরানো

    যে কোনও বই পড়বার সময় ভূমিকাটুকু বাদ দিয়ে পড়া আমার বরাবরের স্বভাব। ঐটে মূল পাঠ্যাংশের তুলনায় কম আকর্ষণীয় লাগে। কিন্তু নিজে লিখবার বেলায় খেয়াল হলো যে কিছু কৈফিয়ৎ আগেভাগেই জানিয়ে না দিলে পাঠকদের ওপর অন্যায় করা হবে।
    "কাপালিক" আমার নিজের জীবনের ঘটনা, যদিও চরিত্রদের নাম বদলাতে হয়েছে। এর সময়কাল উনিশশো ছিয়ানব্বই সালের মধ্যেই সীমিত। এই সময়টা আমার বিদেশ থেকে ভারতে ফিরে আসার সন্ধিক্ষণ।
    আমি ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের তাশখন্দ থেকে ফিরেছিলাম কলকাতায়। যে কলকাতাকে ছেড়ে আমি দশ বছর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নে গেছলাম উচ্চশিক্ষার্থে, ফিরে আসবার পরে সেই কলকাতাই কেমন যেন অচেনা ঠেকছিল। অথচ দশটা বছরে আমি কতবার ঘুরে গেছি আমার শহর থেকে, যদিও সেসব ছিল ছুটি কাটানোর মত শর্টট্রিপ, এবার এলাম পাকাপাকি থাকতে। অর্থাৎ আমার একটা উপার্জনের ব্যবস্থা চাই, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত দম ফেলবার সময় নেই। না, আমার কাছে কোনও নিজস্ব সঞ্চয় ছিল না।তাশখন্দে আমি ছিলাম শুধুই ছাত্র, কোনও চাকরি করিনি সেখানে।আমার সঙ্গে ফিরেছিল আমার বয়ফ্রেণ্ড, সেও সবে পাশ করেছে, সেও ভারতীয়, সেও বাঙালী, তবে তার বাড়ি কলকাতা থেকে বহুদূরে পাহাড়ে ভরা মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে। ছবছর আমরা একসঙ্গে থেকেছি তাশখন্দে। এই ছবছরে আমাদের একটা সন্তান জন্মেছে, মেয়েসন্তান, অবশ্য বিয়ে করি নি আমরা। আমাদের মেয়েকে কলকাতায় আমার মায়ের কাছে রেখে গিয়েছিলাম কিছু বছর আগে। তার বয়সও সবে পাঁচ হয়েছে। সে আমার মায়ের কাছেই থাকে। আমার বয়ফ্রেণ্ড তার বাড়িতে সব খবরই গোপন রেখেছিল। তাদের রক্ষণশীল পরিবার, তার দিদির তখনও বিয়ে হয় নি। ছোটভাই বান্ধবীর সঙ্গে থাকে, সে বিয়ে না করেই বাবা হয়েছে, এসব লজ্জার ঘটনা বলেই ধরা হয় তাদের পরিবারে, বলা হয় স্ক্যাণ্ডাল। এসব খবর জানাজানি হলে দিদির বিয়ে আটকে যেতে পারে। ভারতীয় অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ প্রথায় শুধু পাত্রপাত্রীই নয়, তাদের পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক বিরাট ভুমিকা পালন করে। অন্যদিকে, আমার মা আমার মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে রাজি হলেও আমাদের দুজনের সম্পর্ককে মেনে নিতে পারে নি।এর পেছনে যে আমাদের দুজনের বিয়ে না করে একসঙ্গে বসবাস করাটাই একমাত্র কারণ, তা কিন্তু আমার মনে হয় না। আমরা দুইবোন, বাবা মারা গেছে শৈশবে, আমিই বড়। মা আমাকে কোনওদিনও আদর করেছে কি ভালোবেসে কিছু বলেছে বলে আমার মনে পড়ে না, আমার বোনের প্রতি অবশ্য তার ব্যবহার ছিল খুবই নরম। এর কারন ছিল স্পষ্ট। আমার গায়ের রং এজন্য দায়ী। বোনের তুলনায় আমার গায়ের রং বেশ কয়েক পোঁচ কালো। ছোটবেলা থেকেই গায়ের রং কালো হবার কারণে আমি তার কাছ অপ্রিয় হয়ে থেকেছি। আমাদের সমাজে এখনও ফর্সা মেয়ের চাহিদা বিয়ের বাজারে সবচেয়ে বেশি।মেয়েদের দৈহিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে অগ্রাধিকার পেত গায়ের রং, সেই প্রথম রাউন্ডেই আমি ফেল মেরেছি। আর কে না জানে, যতই পড়াশোনা করে চাকরি বাকরি নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াই না কেন, বিয়ে তো একসময় করতেই হবে। এ সমস্তই আমার অবচেতনে গেঁথে গেছল স্বতঃসিদ্ধের মত। কিন্তু সব কিছু আমূল পাল্টে দিল আমার সোভিয়েত ইউনিয়নে যাওয়া। সিলেবাসের পড়ার থেকেও অনেক বেশি শিখেছি সেখানে পারিপার্শ্বিক থেকে। এ কেবল অন্য দেশে যাওয়া নয়। এ ছিল টাইম ট্র্যাভেল। টাইম মেশিনে করে যেন কোন এক স্বপ্নের মত ভবিষ্যতে চলে যাওয়া। যেখানে গিয়ে জানলাম আশৈশব জেনে আসা অনেক স্বতঃসিদ্ধ আসলে ভুল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি দ্রুত বদলে যেতে থাকি। গায়ের রং সম্পর্কে, বিয়ে সম্পর্কে, জীবনের নানান ব্যাপারে আমার চিরাচরিত ধারণা এবং সংস্কার টুপটাপ খসে খসে পড়ে যেতে থাকে, যেমনটা সীতাহরণের ঘটনায় পুষ্পক রথে করে লঙ্কার পথে উড়ে যেতে যেতে সীতা তার সমস্ত অলংকার এক এক করে ত্যাগ করেছিল। জীবনে প্রেম এসেছে একের পর এক। বিয়ে সম্পর্কে প্রথমে দোটানায় থাকলেও ক্রমশ বিয়ে আমার কাছে আর আকর্ষণীয় মনে হয় নি। অবিবাহিতা মা দেখলে সেই সময়ে অনেকেই মনে করত এ সন্তান কোনও দুর্ঘটনার পরিণতি। নিরাপত্তাহীন যৌন জীবনের জ্যান্ত দলিল। এই সন্তান যেন একটা দায়, একটা লজ্জার ব্যাপার। বিয়ের অপশন থাকা সত্ত্বেও কেন তুমি বিয়ে না করে মা হবে? এ তোমার কেমন বেয়াড়া আবদার, এত বড়ো দুঃসাহস! সকলেই এর পেছনে একটা বঞ্চনার ইতিহাস খুঁজতে চেয়েছে, দেখতে চেয়েছে একটা করুণ কাহিনি। এটা যে আমার নিজের পছন্দে, চয়েসের ফলেই হয়েছে, তা আমার সমাজের অধিকাংশ মানুষই মেনে নেয় নি। তারা ভাবত, আমি মিথ্যে বলছি, প্রেমে ঠকে গিয়ে লজ্জায় আঙুর ফলকে টক বলে চালাতে চাইছি। যদি তখন তাদের কথাই শিরোধার্য করে মাথা নুইয়ে বলতাম যে তাদের গণনাই ঠিক, আমি সত্যিই অভাগিনী, তাহলে হয়ত তারা সন্তুষ্ট হতো। দেশে ফিরবার পরে তাই প্রথমে নিজের মায়ের কাছে উঠলেও সেখানে বেশিদিন ঠাঁই হয় নি। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন সব রাতারাতি পর হয়ে যাচ্ছিল। কলকাতা শহরে আমাদের থাকবার কোনও জায়গা ছিল না। পর্য্যাপ্ত টাকার অভাবে কোনও ফ্ল্যাট ভাড়া নিতে পারি নি, ফলে বাধ্য হয়ে নিজেদের স্বামীস্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে একটা বস্তিতে ঘর ভাড়া নিই। জীবনে সেই প্রথম বস্তিতে বাস করা। যারা আগে কখনও বস্তিতে থাকে নি তাদের জন্য একেবারেই সহজ নয় সেই নতুন পরিবেশে বসবাস করা। সেখানে জলের কল থেকে শুরু করে বাথরুম টয়লেট সমস্তই কমন। একটি মাত্র আসবাবহীন স্যাঁৎসেতে ড্যাম্প ধরা ঘরের মেঝেয় চাদর পেতে শোবার ব্যবস্থা। টাকা পয়সার তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে নানান ধরণের চাকরি করেছি ন্যূনতম খরচ জোটাতে। আমার বয়ফ্রেণ্ডের পরিবারকেও ক্রমে জানানো হয় সব। আমরা চলে যাই শিলং এ। কিন্তু সেখানে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যায়। তারা আমাকে দুটো অপশনের মধ্যে একটা বেছে নিতে বলে। এক, ঐ সম্পর্কের ইতি টেনে কলকাতায় একা ফিরে যাওয়া, দুই, ওখানে থাকতে চেয়ে খুন হয়ে যাওয়া। ওখানে জোর করে থাকবার চেষ্টা করলে আমাকে তারা মেরে ফেলে ওয়ার্ডস লেকের গভীর জলে বস্তায় পুরে ফেলে দেবে। আমার পায়ে বেঁধে দেবে ভারীভারী বাটখারা। আমার মৃতদেহ অদূর ভবিষ্যতে ভেসে উঠবে না কিছুতেই। হয়ত এটা ভয় দেখানোর জন্যই তারা বলেছিল। কিন্তু প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে শহর গ্রাম নির্ব্বিশেষে কোনও না কোনও বিবাহিত মেয়ের অস্বাভাবাবিক মৃত্যু ঘটে চলেছে, সেসব খবর তো আমাদের অগোচরে থাকে না। আর এক্ষেত্রে আমি বিবাহিত মেয়ে না হলেও এই বাড়ীর ছেলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে যা তাদের মনোনয়ন পায় নি, পাবেও না, সেক্ষেত্রে আমার প্রাণেরও বেশ ঝুঁকিই রয়েছে তা বুঝে ফেলি। বুঝি প্রাণ নিয়ে পালানো ছাড়া খুব বেশি অপশন আমার হাতে নেই। জনবল নেই, লোক নেই। আমি প্রথমটাই বেছে নিয়েছিলাম। কারন সেই প্রেমটার মৃত্যু ঘটেছে তখনই। জোর করে সেই মৃত প্রেমের কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যাবে না, বরং নিজের প্রাণটিও খোয়া যেতে পারে।ফলে ভাগ্যের এই বিড়ম্বনায় পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে নিজের জন্মভূমিতেই নির্বাসিতের জীবন বেছে নিয়েছি। আমার সন্তানকেও নিজের কাছে এনে রাখতে পারিনি। মধ্যনব্বইয়ের সেই দিনগুলোয় অবিবাহিত মায়েদের জন্য এই ধরণের শাস্তিই হয়ত বরাদ্দ ছিল। আমাদের এই নীল গ্রহটায় অনেকগুলো পৃথিবী আছে, সেই পৃথিবীগুলোয় যেতে হলে সবসময় যে টিকিট কেটে যেতে হবে তেমন নয়। আমাদের চারপাশেই রয়েছে সেই সব পৃথিবী। তাদের একটার সঙ্গে অন্যটার ব্যবধান সময়ে, ভাবনায়, মূল্যবোধে, শিক্ষায়, ভালোবাসায়, নিষ্ঠুরতায়, আরও অনেক কিছুতে। স্রোতের বিপরীতে চলার কারণে বিভিন্ন জীবিকার পেছনে ছুটতে হয়েছে। ফলতঃ বেঁচে থাকার চেষ্টায় একের পর এক নানান জীবিকা নিতে হয়েছে। কখনও পড়ানোর কাজ নিয়েছি, তো কখনও মডেলিং করেছি। টাকার অঙ্কে মজুরি পড়তায় না পোষালেও অভিজ্ঞতার ঝুলি এমন ভরেছে, যে হিসেব কষলে সব মিলিয়ে লাভের অঙ্কই বেশি মনে হয়। এমনি নানান সব চাকরির মধ্যে একটা চাকরির কিছু অভিজ্ঞতা ধরা রইল এইখানে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৪৩735686
  • হ্যাঁ। এরকম অসংখ্য ব্যাপার থাকে। সবগুলো লিখতে গেলে মহাভারত হবে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৫০735687
  • এনফিল্ড রাইফেল হয়ত ওটা এবং অনুষঙ্গিক কিছু ঘটনা, তবে লক্ষ্য করেছি বিভিন্ন পাঠক বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ব্যাপারটা দেখেন।
  • syandi | 45.25.***.*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৫৩735691
  • এটা আগে পড়া ছিল না, পড়ে হাড় হিম হয়ে গেল। নিজের পরিবারের লোক বা আত্মীয়রা যখন শত্রুতা করে তখন বোধ হয় একেবারে সবচেয়ে খারাপ শত্রুর চাইতেও খারাপভাবে করে। 'সে', আপনি ঠিক কতটা অসহায় অবস্থায় এরকম একটা স্টেপ নিতে গেছিলেন সেটা আমরা কেউই সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারব না। তবে এই বাজে সময়টা যে কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তার জন্য আপনি প্রশংসার যোগ্য। আর একটা কথা - ঐ যে লোকটা আপনাকে মারধোর করল তাকে আপনি পরবর্তীকালে (অর্থাৎ বাড়ী ফিরে আসার পর) পুলিশে দিলেন না কেন?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:০৩735693
  • স্যান্ডি,
    কেউ সাক্ষী দেবে না। এটা ডিটেইলে "আইটি আইটি পা পা" তে আছে। দ্বিতীয়তঃ ক্ষমা করেছি অনেককে, তবে ডকুমেন্টেড রেখেছি নিজের কাছে। ঐ যে বলে না কীসব you can forgive but you cannot forget. তৃতীয়তঃ এগুলো জাস্ট সময় নষ্ট করা এবং শক্তিক্ষয়। ঐ সময়ে অনেক অন্য দরকারি কাজ করা যায়, নিদেন পক্ষে শান্ত মনে আচার খাওয়া বা বড়ি দেওয়া। 
    :-)))
    এবং প্রচুর লোকের হাতেই মারধোর খেয়েছি। তাতে কিচ্ছু এসে যায় না।
     
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:১১735694
  • ও হ্যাঁ, জীবন তো সিনেমার মত বা গল্পের মত একমাত্রিক নয়, তাই বিপদ এবং দুঃসময় বারবার আসে, সেটাই নিয়ম। সুসময় এলেই আমরা ভাবি এরকমই কাটবে বাকি সময়টা নিরবিচ্ছিন্ন, সেটা আমাদের ভ্রম, কাজেই গল্প এখানেই শেষ হয়ে যায় না। ভৈশের কোম্পানী এবং অ্যাড এজেন্সীর মধ্যবর্তী সময়কালের ঘটনাই কাপালিক। মানুষ একদিনে বিপন্মুক্ত হয় না রিয়েল লাইফে। বিশেষ করে স্রোতের বিপরীতে চলবার সময়ে। তাই বাকি কিছু গল্প থাকবে আতাল্তরে। একটা কিস্তি দিয়েছি, এর পরে বাকিগুলো লিখে নেব।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b905:c82:d1af:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:৫৪735696
  • অনেক কষ্ট পেয়েছে মেয়েটা, অনেক লড়াই করেছে
    অফিস টাইমে একটু চোখ বোলাতে গিয়ে একটানা পড়ে শেষ করতে হল, লেখার এমনই গুণ 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b905:c82:d1af:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:৫৭735697
  • সে, ইঞ্জিনিয়ারিং জব পাওয়ার চেষ্টা করেনি নি? আপনার তো  মনে হয় ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী ছিল 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:১৪735698
  • নাহ। তখন চেষ্টা করা যায় নি। কীভাবে চেষ্টা করবে?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:৩৬735699
  • না। মনে পড়েছে, কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে একবার অ্যাপ্লাই করেছিলাম সেটা পেতে পেতেও ফসকে গিয়ে টিউটরের (ফ্যাকাল্টি) চাকরি পাই, সেটা "আইটি আইটি পা পা" তে আছে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f51d:2122:131b:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:৪১735700
  • আসলে সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ পরিবেশে কোনও ন্যূনতম সাপোর্ট সিস্টেম ব্যতীত চাকরি ওভাবে খোঁজা যায় না। পরবর্তীতে ইন্টারনেট যখন হাতে পেলাম তখন হুশ করে রাতারাতি চাকরি, এবং আতান্তরে পড়বার পরও পড়ে যেতে হয় নি, দেশত্যাগী হলাম প্রায় রাতারাতি।
  • ইন্দ্রাণী | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৪১735702
  • আজ কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে না। পরে লিখব।
    একটা গান খুব মনে পড়ছে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:1b4:aa93:360a:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০৪735704
  • সে, ঠিকই লিখেছেন। ইন্টারনেট পূর্ব যুগে চাকরি খোঁজা কঠিন ছিল। কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে অ্যাপ্লাই করা - যেটা আপনি লিখেছেন। আর একটা উপায় - কলকাতা বা কাছাকাছি যে ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি গুলো ছিল, যেমন কলকতায় লারসেন এন্ড টুবরো, সিমসি (কম্পিউটার ডিগ্রী হলে),  হিন্দমোটরে গাড়ী কারখানা, জামসেদপুরে টেলকো, টিসকো - এই সব কম্পানিতে নিজে গিয়ে রেজুমি দেওয়ার চেষ্টা করা 
    তবে  ন্যূনতম সাপোর্ট সিস্টেম না থাকলে খুব খুব কঠিন 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:a5fb:4f99:e9ac:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৫৭735706
  • অরণ্য,
    আসলে কী জানেন, যার জীবন সে ই বোঝে। আমার "উঠলো বাই" তে কিছু প্রশ্ন তুলেছিল কেউ কেউ। অবান্তর মনে হওয়ায় উত্তর দিই নি। আপনার চাকরি জনিত প্রশ্নটা কিন্তু ভ্যালিড। আসলে পাঠক হিসেবে আপনি আমার জন্য একটা এসকেপ রুট খুঁজছেন। সেখানেই আমার লেখার সার্থকতা। অনেক ভালো থাকবেন।
     
  • Ranjan Roy | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:১৫735707
  • আসলে  মানুষ এক বহুমাত্রিক জীব। 
    ঘটনাচক্রে এই মেয়েটির(সে) মায়ের সংগে আমার সামান্য পরিচয় হয়েছিল। তখন দেখেছিলাম প্রথম জীবনে উনি  একজন সফল স্নেহময়ী টিচার, অনেক প্রাক্তন ছাত্রীরা ওই বয়স্কা মহিলার সংগে দেখা করতে আসে। অথচ সংস্কার ও পারিপার্শ্বিকের প্রভাবে উনি নিজের মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর বদলে কত মমতাহীন! 
    ওঁর (মায়ের)  নিজস্ব স্ট্রাগলের বর্ণনা এই লেখিকার অন্য লেখায় রয়েছে।
      জীবন এমনই, রহস্যময়, কোন ছাঁচে ফেলা কঠিন।
      দেখি আর ভোম হয়ে যাই।
  • Ranjan Roy | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০১735711
  • ই-য়ে-স!
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:a5fb:4f99:e9ac:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:১৪735713
  • রঞ্জনদা,
    যে টইদুটোর লিংক এখানে পোস্ট করলাম, বিশেষ করে চাগ্রীর গপ্পো, এগুলোর মধ্যে যারা ট্রোল করত বা কটু মন্তব্য করত বা অন্যান্য মন্তব্য— সেগুলো থেকেই বাঙালী সমাজের মানসিকতা কিছুটা হলেও বোঝা যায়। সময় কিছুই পাল্টায় নি। জামাকাপড়ের স্টাইল বদলেছে, ভাষার পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু মন? মন অত সহজে বদলায় না। ১৯৯০ বা ২০১৪ বা ২০২২, ভেতরটা ঐ একই রয়ে গেছে।
    ট্রোল পোস্ট মুছে দিলেও মন থেকে মোছা অত সহজ নয়।
    আরেকটা ব্যাপার বলি। যার পরিবারে ঘটনা হয়, তার রিয়্যাকশন কীরকম হবে সেটা তাৎক্ষণিক এবং সুগারকোটিং বিহীন।
    যারা বাইরে থেকে দেখে আহাউহু করে, তাদের নিজের জীবনটা যদি সত্যিই অমন হতো তখন তারা কী করত কেউ জানে না।
    যেমন ধরুন আজকাল সবাই আমরা হোমোফোবিয়ার বিরুদ্ধে সরবে সোচ্চার। কিন্তু নিজের ঘরে যার সন্তান "স্ট্রেইট" নয়, তারা কেমন করে রিয়্যাক্ট করবে সেটাই আসল কথা। বা নিজের মেয়ে যখন বিয়ে না করে সন্তান জন্মায় তখন কী করবেন?
    লেকচার দিতে আমরা সকলেই পারি অল্প বিস্তর, শুধু আঁচটুকু বাঁচিয়ে। এখানেই আমাদের দ্বিচারিতা।
  • Kaktarua | 2607:fea8:4a9e:fac:d471:ae1b:1841:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:০৬735714
  • এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। সব কটা লেখা পড়ে কত কি যে বলতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে একটু লিখতে পারলে ভালোই হত। 
    আইটি আইটি পা পা টা পাওয়া যাবে?
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:a5fb:4f99:e9ac:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:১১735715
  • পাওয়া যাবে মনে হয়। বইমেলায়।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:a5fb:4f99:e9ac:***:*** | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:১২735716
  • কাকতাড়ুয়া
    লিখুন। লিখে ফেলুন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:০৯735719
  • এই টইটা শুরুর দিন থেকেই একটু একটু করে পড়ে যাচ্ছি। অস্থিরতার কারণে কিছুতেই পুরো পড়তে পারছি না। টুকরো টুকরো, আগেরটা পরে পরেরটা আগে এইভাবে পড়ছি। কখনও ভেতরটা স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে, কখনো ঝড় উঠছে ভেতরে।
    কিছু মন্তব্য করা হয় নি। আসলে মন্তব্য করার মতন অবস্থা নেই মনের। হয়তো পরে লিখব। আবার পড়ার পরে।
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:a5fb:4f99:e9ac:***:*** | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:১৭735720
  • ok &/
  • aranya | 2601:84:4600:5410:942:fda:62e5:***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৫:০৭735724
  • 'যার জীবন সে ই বোঝে' - খুবই সত্য কথা 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৫২735737
  • এই টই আমি একবারে পড়তে পারিনি। কয়য়কদিন ধরে একটা ঘোরের মধ্যে যখন যেমন সময় পেয়েছি, পড়ে গেছি। কখনও কখনও একই অংশ আবার পড়েছি। এখনও ঘোর কাটেনি। এখন এর থেকে বেশি কিছু লেখার মত অবস্থায় নেই আমি।
  • Malabika Sen | 2409:4050:2eb7:7126::5608:***:*** | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৫:৩৬735741
  • Joshita shobtai porlam.  Shabash meye.  Tumi toh Phoenix, Agunpakhi.  Jiboner agniporikhay tumi uttirno tai agnishuddho. Purano Joshita tabley matha rekhe mara giyechhe.  Tomar nabojanmey tumi jattishwar. Tumi shamosto molinatar urdhey. 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:21cf:adde:54bc:***:*** | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:৫৮735745
  • অমিতাভদা, মালবিকা,
    অনেক ধন্যবাদ।
  • :|: | 174.25.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৩৭735749
  • অবান্তর কিন্তু অনেস্ট মনে হওয়া। যেহেতু এই মন্তব্যে নায়িকার জন্য কোনও প্রশংসা বা এক্সেপ রুট খোঁজার চেষ্টা করছি না তাই উত্তরের প্রত্যাশা নাই। নেহাৎ মনে হওয়াটা কুটকুটাচ্ছে তাই বলেই ফেলি: 
     
    1) চোখ খারাপ হলে যদি চশমা পরতে খারাপ না লাগে, কানে শুনতে অসুবিধা হলে যদি হিয়ারিং এড ব্যবহার করতে অপমান না লাগে, তবে ত্বকের গন্ধে ডিও বা পারফিউম অচল কেন? এটিও তো পঞ্চেন্দ্রিয়র একটি! 
     
    এখানে তর্ক করা যেতেই পারে যে চশমা বা হিয়ারিং এড নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করছি কিন্তু পারফিউম অন্যের জন্য। কিন্তু সেটা পুরো সত্যি না; কারণ চোখে কম দেখে অন্য লোককে ধাক্কা মারলে, তাঁর অসুবিধা হবে। কানে না শুনে লোককে এক কথা চেঁচিয়ে চোদ্দবার করে বলালে, তাঁদের অসুবিধা হবে। সেই রকম উৎকট গন্ধ সহ্য করতেও লোকের অসুবিধা হয়। এখন এই ব্যাপারে নায়িকার ওভারসেনসিটিভ হবার কারণটাই বুঝিনি। 
     
    2) আমি আলাদা। আমার শরীর। আমার আনন্দ। আমার ইচ্ছে। আমি যা করছি বেশ করছি। আমার জীবন। এই বিপুল পরিমান আমি-আমার ভার বহন করা সত্যিই ক্লান্তিকর। বেশীরভাগ মানুষই পারেননা। তাঁরা ভাবতেই পারেননা -- আমার স্বেচ্ছাচারিতার জন্য একটা শিশু অকারণেই পিতৃস্নেহ বঞ্চিত থেকে যাবে। দুর্ঘটনার জন্য তেমনটা হলে কিছু বলার নাই। কিন্তু শুধু আমার আত্মসংযমের অভাবের দাম অন্যে দেবে -- এটা ভাবতে একটু খারাপই লাগছে। 
    জীবনের সব ক্ষেত্রেই নিয়ম আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সময় নিয়ম মানতে পারি। পথ চলার সময় ডানদিক বাঁদিক মানতে পারি। শুধু সামান্য আত্মসংযমের ব্যবহার করে -- পড়াশোনার সময় পড়ালেখা করা, ঠিকঠাক নিজের পায়ে দাঁড়ানো আর তারপর আরেকজন মানুষকে ডাকা  -- এই তুচ্ছ সিকোয়েন্সটি অনুসরণে কী অসুবিধা তাও বুঝিনি! 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f42b:28d5:6bdd:***:*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৫২735750
  • আপনি মন দিয়ে পড়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
  • Amit | 121.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৫২735751
  • এইতো মরাল মেসো মাসিমা রা হাজির হয়ে গেছেন। এতো দেরি হলো সেটাই আশ্চর্যের। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন