সোমরাজ | 172.69.33.150 | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ১০:৪৩442285
বয়স 10 এর কম ছোট ছোট খান 40 ছেলেমেয়েদের একটা দল আজ আমায় ঘিরে ধরেছিল পাশে তাদের শুকনো শুকনো মা গুলো, বাবা গুলো হয়তো লজ্জ্যায় হয়তো ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে ছিল, মা দের তো ভয় লজ্জায় থাকতে নেই এদেশে যখন ওই ছোট ছোট মুখগুলোর জন্য খাবার খোঁজার দরকার হয়।
আসলে একটা লিষ্ট পেয়েছিলাম দিল্লির সুবীর দার থেকে যে 16 টা বাঙালি পরিবার মূলত মেদিনীপুর এর মানুষ আটকে আছেন আমার বাড়ির পিছনের গ্রাম টায়, তাদের যদি আমি শুকনো খাবারের প্যাকেট বানিয়ে পৌঁছে দিতে পারি, রাজি হয়েছিলাম কিন্তু আজকের পরিস্থিতি যা দেখলাম আগে জানলে রাজি হতাম না।
একটা বাচ্চা মেয়ে জানেন আমার কাছে এসে নিজের ওড়না পেতে বললো " আমাকেও একটু কিছু দাও, আমার নাম লিষ্টে তো নেই তাই অত কিছু চাই না একমুঠো চাল দিলেই হবে ".
পারলাম না দিতে জানেন, মাত্র 16 টা পরিবার যাদের একেকটি পরিবারে ৩ বা ৪ বা ৬ জন করে আছেন, কেউ ড্রাইভার কেউ জুতো সেলাই করেন কেউ লোকাল ফ্যাক্টরি তে দিন মজুর আবার কেউ ভ্যান চালান। এদের প্যাকেট থেকে খুলে কি করে দেব আর দিলে এদের চলবে কি করে জানিনা তাই না করে দিলাম জানেন ওই বাচ্চাটাকে।
অমৃতা কেঁদে ফেলেছিল আমায় বারবার বলছিল দাও না গো একটু দাও, কিন্তু যাদের দিতে গেছিলাম তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখলাম ওরকম ই ছোট ছোট ছেলেমেয়ে সবার বাড়িতে আছে, খুব খুশি আজ গরম ভাত খাবে রাতে, দুপুরের শুকনো ঠান্ডা ভাত আর ডাল এর জন্য ওদের মা রাও লাইনে দাঁড়াচ্ছে সকাল 9 টা থেকে।
জানিনা কি হতে চলেছে, এদিকে সরকার রেশন কম দিয়ে রোজ খাবার দিচ্ছে, ডাল আর ভাত, লাইন পড়ছে 400 বা 600 জনের, হাতে কৌটো বা বাটি, কোলে বাচ্চা, রাস্তায় বসে আছে, শুধু খাওয়ার জন্য, শয়ে শয়ে, আসলে আমার বাড়ির পিছনের অঞ্চল টা ফ্যাক্টরি এরিয়া, বাচ্চাগুলো রুগ্ণ, মা গুলো রোগা শুকনো, অন্তত 40 টার বেশি কোলের বাচ্চা আন্দাজ করলাম, জানিনা মা এর বুকের দুধ কতটা পাচ্ছে, বেবি ফুড কেনার সামর্থ নেই আর এখন কলকাতা জানিনা কেন দিল্লি তে সব কিছুর বেশি দাম নিচ্ছে।
শুরুটা এভাবে হয়নি, লকডাউন এর প্রথম কয়েকদিন এলাকার লোকেরা আলু চাল আটা বিলি করছিল, কিন্তু 10 বা 12 দিন পর আর সেটা চললো না, মানুষ হুজুগে মেতে উঠে কিন্তু অল্পেই ক্লান্ত হয়ে যায়, খোঁজে নতুন হুজুগ।
রেশন দোকান সপ্তাহে তিন দিন খুলছে, শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকছে, তাও কিছু সাহারা হচ্ছে অস্বীকার করব না, কিন্তু কতটুকুই বা, আর দিল্লির 80% বাসিন্দা ভিন রাজ্যের, তার 90% এর রেশন কার্ড নেই, টেম্পোরারি কুপন দিল্লি সরকার অনলাইনে দেবার দাবী করেছে কিন্তু সাইট টা যে কোন সময় অফ হয়ে থাকে, কানেকশন নেই।
শুরুতে মাত্র দুদিন জনা 50 এক কে দুধ দেওয়া গেছিল, এখন ও রাস্তায় দেখতে পেলে মিষ্টি করে হাসে , বুঝতে পারি ওদের কষ্ট টা, সকাল 9 টা থেকে দুপুরের খাবারের লাইন পরে, আবার বিকেল থেকে রাতের।
তবু খেতে পাচ্ছে, কথা বললে বলছে রাজস্থানের বা ঝাড়খণ্ড বা যে যেই রাজ্যের, গ্রামে থাকলে তো খেতেও পেতাম না।
এরা কিন্তু কেউ ভিখিরি নন বিশ্বাস করুন, বাচ্চাগুলো কিন্তু একবার ও হাত পাতেনি শুধু করুণ চোখে তাকিয়ে থাকে আর বাবা মা গুলো অল্প করে হাসে।
আসলে দিল্লি র গ্রাম গুলো আমাদের পরিচিত গ্রামের মতন নয়, দিল্লি রাজ্যে মোট 165 টার মতন গ্রাম আছে, সেখানেই থাকে মূলত ভিন রাজ্যের খেটে খাওয়া গরিব মানুষ, বস্তি ও আছে, তবে সেগুলো মূলত 3 বা 4 তালা বিল্ডিং, এক একটা ফ্লোরে 4 বা 5 টা করে ঘর, একেকটা ঘরে একেকটা পরিবার, ঘরেই রান্না, ফ্লোরে একটা করে কমন বাথরুম পায়খানা, আর যেহেতু শহরে ফ্যাক্টরি বানানো নিষেধ তাই গ্রাম গুলোর জোট বাড়ি আছে তার 70% ই ফ্যাক্টরি, ছোট ছোট ইউনিট, ফ্যানের কয়েল, পাম্পের কয়েল, ফুড প্রসেস মেশিন, আলমারি বা ফার্নিচার বনছে, প্লাস্টিকের জিনিস এসব ই মূলত।
লোকগুলো র মাইনা রোজের হিসেবে, আর এখন ফ্যাক্টরি বন্ধ। ভ্যানে করে যারা সবজি বেচত তারাও চেষ্টা করছে পুলিশের লাঠি উপেক্ষা করে ব্যবসা চালানোর।
যাও বা যেন তেন করে খাবার যোগার হচ্ছে মূল সমস্যা টা হল মহিলাদের, হাইজিনিক পরিস্থিতি নেই, স্যানিটারি ন্যাপকিন নেই, কোলের বাচ্চাগুলো র খাবারের কোন ঠিক ঠিকানা নেই।
লাইন প্রতিদিন বাড়ছে জানেন আর প্রতিদিন বাড়ছে খাবার শেষ হয়ে যাবার পরে খালি বাটি হাতে করে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের সংখ্যা।
তাই একটা পরিকল্পনা করেছি, নিচে দিলাম।
দিনে 1500 টাকায় 150 থেকে 180 জন কে একবেলা খাওয়ানো সম্ভব।
মূলত যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ও খেতে পাচ্ছেন না তাদের জন্য।
কয়েকজন বলেছেন দেবেন কিন্তু যদি 3 তারিখ মানে 17 বা 18দিন রোজ চালাতে পারলেই শুরু করবো নয়তো নয়।
25 কিলো খিচুড়ি বানাবো রোজ সাথে 2 কিলো আলু আর 2 বা 3 কিলো সব্জী দেব, প্রায় 30 কিলো হবে, 180 থেকে 200 লোক পাবে অনায়াসে।
কে কে পাশে থাকতে চান জানাবেন, খরচের রিসিট পাঠিয়ে দেব।
গুগল পে 7584078270 Amrita Biswas আমার স্ত্রী।
আমার ফোন নাম্বার 8420640528
নীচে মিলাপ এর ডিটেল দিলাম।
*Fight against poverty due to Corona Lockdown*
Delhi Govt arranged ration for card holders and arranged 2 time meal ( Rice and Dal) from schools and community centers across Delhi, but in Delhi more then 70% citizens from other states and mostly migrant labours, and the line to get food is getting longer day by day. And we saw after food get finished each and everyday a lot of people going home with empty bowl. We need at least 2500rs for each village in Delhi (165 villages approx) per day twice to feed at least 200 people.
Read more - https://milaap.org/fundraisers/support-amrita-biswas?utm_source=whatsapp&utm_medium=fundraisers-title
For UPI payment: rzpy.givetomlpamritab0001@hdfcbank https://milaap.org/fundraisers/support-amrita-biswas/upi_deeplink (You can send money to this ID using BHIM, PhonePe or any UPI app)
You can also do a bank transfer to the below mentioned account:
Account number: 2223330022450945
Account name: Amrita Biswas
IFSC code: RATN0VAAPIS
Somraj Sur | 172.69.34.181 | ১৯ এপ্রিল ২০২০ ২২:৫৮442741
মিলাপ 25650 দেখাচ্ছে কিন্তু মিলাপ অনেক টাকা কেটে নেয়, আমি মাত্র 23800 ব্যবহার করতে পারবো।
টাকা গুগল পে নাম্বার 7584078270 অমৃতা বিশ্বাস এর নামে, আমার স্ত্রী।
নয়তো এইচডিএফসি র ডিটেল দিয়ে দেব
পোস্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে যাচ্ছি, আর ভাবছি, এপারেও একদা ব্লগারদের এরকম একতা ছিল। বন্যা, খরা, সাইক্লোন, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন -- ইত্যাদিতে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উঠেছে, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত।
নাস্তিক জ্ঞানে ব্লগার জবাইয়ের ব্লাস ফেমাসে সব গেল। কতোপ্রাণ ঝরে গেল চাপাতির কোপে। অনেকেই ব্লগপোস্ট মুছে দিয়ে আইডি হাইড করলেন। অল্প কয়েকজন পালিয়ে বাঁচলেন। লেখা বন্ধ হলো না ঠিকই, তবে তার ছিড়ে গেল কবে...
আবার সব নতুন করে হবে, জানি।
আচ্ছা ইসে একটা আবেদন আছে।
এই মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি কিচেন চলছে নিশ্চয় জানেন - অনেকের ওয়ালেই প্রায় রোজ কিছু না কিছু থাকে। কোথাও এক মাস, কোথাও চল্লিশ দিন - কোথাও রোজ হাজারখানেক লোক, কোথাও কম বা বেশি।
বেসিকালি ভলান্টারি কন্ট্রিবিউশনের ওপর চলছে, কিন্তু তারও একটা লিমিট আছে। এভাবে বেশিদিন টেনে চলা সম্ভব নয়। আমরা এদিকওদিক থেকে প্রায় ভিক্ষে করে ফান্ড যোগাড় করছি... নানাজনের ওয়ালেই আপনাদের কাছেও চেয়েছি।
এইটা একটু অন্যরকম ইনিশিয়েটিভ। সোসেনকে এখানে অনেকে চেনেন, যাঁরা নতুন এসেছেন হয়ত চেনেন না। সোনালী সেনগুপ্ত, আমার এই বন্ধু আমেরিকায় থাকে, গবেষক, এবং হবি হল ছবি আঁকা। সোনালীর ইনিশিয়েটিভটা একটু অন্যরকমের - আপনি যদি আপনার নিজের কোনো ছবি, বা আপনার কাছের লোকের ছবি, এমনকি পোষ্যের ছবি পাঠান, সোনালী সেই ছবি এঁকে আপনাকে একটা ডিজিটাল কপি দেবে - তাই দিয়ে আপনি যেভাবে খুশী য'টা খুশী প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।
শুধু কিছু কন্ট্রিবিউশন লাগবে। সেই কন্ট্রিবিউশন যাবে কোনো একটা কমিউনিটি কিচেনে...যাতে আরো কিছু লোকের মুখে আরো কিছুদিন খাবার তুলে দেওয়া যায়।
আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ রইলো - একটু দেখুন - যদি পছন্দ হয়, please extend your hand....
সোনালীর পেজের লিঙ্ক রইল। এখানে মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করে নেবেন প্লীজ।
'আমপান' রিলিফ ফান্ড
-----------------------------
ঘূর্ণিঝড় 'আমপান' দক্ষিণবঙ্গের এক ব্যাপক অংশকে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিয়ে গেছে। কারও কারও মতে বিগত ৩০০ বছরে এত বড় ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি বাংলা। এখনও বহু জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, খাবার নেই, মাথার ওপর ছাদটুকুও নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও চালু হয়নি অধিকাংশ জায়্গাতেই। তাই ক্ষয়ক্ষতির সঠিক আন্দাজ এখনও পাওয়া যায়নি। যেটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সুন্দরবনসহ বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আয়লাকেও ছাপিয়ে যাবে বলেই সকলে মনে করছেন। কোভিড-১৯ জনিত লকডাউনের ফলে বাংলার প্রান্তিক মানুষ ইতিমধ্যেই চরম আর্থিক সংকটে ছিলেন। যেসব পরিযায়ী শ্রমিক সদ্য বাড়ি ফিরেছেন, তাঁরা কপর্দকশূন্য। এর মধ্যে এই ঝড় তাঁদের অনেকের মাথার ওপরের ছাদটুকুও কেড়ে নিল। এই ক্ষত সহজে নিরাময় হওয়ার নয়।
এই ক্ষত বুকে নিয়েই আগামী দিনগুলোয় ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে সামিল হবে আমাদের রাজ্য। সরকারের পাশাপাশি এই কাজে সাধ্যমত হাত লাগাতে হবে আমাদের সবাইকেই। লকডাউন পর্যায়ে ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি অনেক ব্যক্তি এবং সংগঠন তাঁদের সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে কোথাও কমিউনিটি কিচেন চালিয়ে, কোথাও স্যানিটাইজার পৌঁছে দিয়ে, কোথাও পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে নিরলস কাজ করে চলছিলেন। যাঁরা সরাসরি কিছু করতে পারছিলেন না, তাঁরা নানাভাবে টাকা তুলে পৌঁছে দিচ্ছিলেন এই সমস্ত উদ্যোগগুলির হাতে। আমরাও আমাদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে এই প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছিলাম। কিছু অর্থসংগ্রহের মাধ্যমে কয়েকজনকে সাময়িক বিকল্প রুজি রোজগারের বন্দোবস্ত করতে শুরু করেছিলাম আমরা।
অনেকেই এই সমস্ত উদ্যোগগুলো বিগত একমাসেরও বেশি সময় ধরে নিতে নিতে ক্লান্ত। অনেকেই তাঁদের সাধ্যমত আর্থিক সাহায্যও হয়ত ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন। তবু আজ এই 'আমপান'-এর ধ্বংসলীলার পরে এমন একটা অবস্থায় আমরা এসে দাঁড়িয়েছি যে সম্পূর্ণ নতূন উদ্যমে যদি এই ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে আমরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে না পারি, বাংলা এই দ্বিমুখী আঘাত সয়ে উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
তাই এই পরিস্থিতিতে আরও একবার আপনাদের কাছে ফান্ড কালেকশনের আবেদন আমাদের রাখতে হচ্ছে। অনেকেই রাজ্য সরকারের ফান্ডে টাকা দেবেন। তাঁদের নিরুৎসাহ করার কোনো অভিপ্রায় আমাদের নেই। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে একা রাজ্য সরকারের পক্ষে যাবতীয় সদিচ্ছা সত্ত্বেও পৌঁছে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তার পরিপূরক হিসেবে (এবং কখনও একসাথেই) বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের উদ্যোগের প্রয়োজন থেকেই যাবে। এরকমই কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি, যাঁরা মূলত সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে সরাসরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও মেডিক্যাল টীম নিয়ে পৌঁছে যাবেন। কথা চলছে একটি রিলিফ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার। এগুলি যেমন যেমন এগোতে থাকবে, আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
আপাতত টাকা পাঠনোর জন্য আমাদের অ্যাকাউন্ট ইনফো নিচে দেওয়া হলঃ
Account name: Guruchandali
Current account
A/c no: 917020025670638
IFSC code: UTIB0000011
Axis bank, Golpark
জি-পে বা পেটিএম - ইত্যাদির জন্যঃ
+919830415443