শুভেন্দু অধিকারী আজ একটি ইন্টারেস্টিং কথা বলেছেন- তিনি আগে যে দল করতেন সেইটা নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন বলে তখন বিজেপি হঠাও স্লোগান দিয়েছিলেন। আজ থেকে যে দল করবেন, সেটিও নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও স্লোগান দিলেন। অর্থাৎ, দলের প্রয়োজনে যা দরকার, দল যে কাজ দেবে সেটা পেশাদারি দক্ষতায় করবেন। নিষ্ঠা, দক্ষতা দিয়ে দলের কাজ করা আসল। কিন্তু, কী কাজ করছেন সেইটি কি নয়? একবছর আগে সি এ এ বাতিল করো, এন আর সি বাতিল করো বলতেন, নিষ্ঠার সঙ্গে বলতেন, এমনভাবে বলতেন যে তাঁর স্লোগান শুনে নিজেদের কর্মীরা উদবুদ্ধ হবে, পথচলতি মানুষ নিজের অবস্থান পালটে ফেলবেন। আজ তিনি সেইভাবেই এন আর সি লাগু করো, সি এ এ বলবৎ থাকুক বলবেন? ভেবে দেখলে পেশাদার শুভেন্দুর কাছে এটি যেমন শ্লাঘার, ব্যক্তি শুভেন্দুর কাছে এটি হয়ত তত গৌরবের নয়। পথচলতি যে মানুষটা শুভেন্দুর স্লোগান বক্তৃতা শুনে কাল একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ্তিনি কিন্তু এরকম দুম করে নিজের বক্তব্য পালটে ফেলতে পারেন না। অন্ততঃ নিজের পরিমণ্ডলে সেটা এত সহজে গৃহীত হয় না। কিম্বা, শুভেন্দু অধিকারী খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিভিন্ন কারিগরদের কথা বলেন, অথচ তিনি যে দলটা করছেন, সেইটা ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধী ছিল। -- এইটা যে কোনো ব্যক্তির কাছে একটা সমস্যার জায়গা তো বটেই। সাধারণ মানুষ পেশাগতভাবেও এরকম কিছু করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না যা তাঁর নিজস্ব ইন্টিগ্রিটিকে প্রশ্নে ফেলে, পার্টি পলিটিক্সের লোকজন এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয়ে যায়। আর, এইটা শুভেন্দু একা নন। দলবদল, এবং নতুন দলে এসে পেশাদারি দক্ষতায় পুরোনো পজিশনে খেলা, আগের দলের গোলে বল ঠেলা খুব বিরল নয়। আমাদের রাজ্যপাল ধনখর আগে কংগ্রেস করতেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে ডেমোক্র্যাট ছিলেন, বিমল গুরুং আগে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন। ইতিহাসেও বহু বহুবার এরকম হয়েছে। ছিলে কংগ্রেস হল মুসলিম লিগ তো স্বাধীনতার পূর্বপর্যায়ে খুব সাধারণ ব্যাপার।
দেখা যায়, ব্যক্তির নিজস্ব কিছু ইচ্ছে থাকে, সেটা কখনো তাঁর ভাবধারার সঙ্গে জড়িয়ে, কখনো তাঁর ব্যক্তিগত উন্নতির সঙ্গে জড়িয়ে, কখনও যে গোষ্ঠী বা যে আন্দোলনকে তাঁরা ধারণ করছেন তার বিকাশের সঙ্গে জড়িয়ে, যা আগের দলটিতে থেকে পূরণ হচ্ছে না, তাই নতুন দলে যাওয়া। কিন্তু, নতুন দলের একটা সামগ্রিক এজেন্ডা আছে, যা হয়ত, ঐ ব্যক্তির পুরোনো অবস্থানের অনেক কিছুর বিরোধী। ফলে তাঁকে দুম করে বিবিধ বিষয়ে নিজের অবস্থান পালটে ফেলতে হবে- এইটা সমস্যার। কিন্তু, এই সমস্যা পার্টি-পলিটিক্স নামক ব্যপারটারই। রাষ্ট্র পরিচালনের নীতি নিয়ে একটি পলিটিকাল পার্টি যেহেতু উঠে আসে, তাই তাকে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের স্পষ্ট বক্তব্য রাখতে হয়। এইবার সেই পার্টিতে যোগ দিতে গেলে একজনকে পার্টির প্রায় সমস্ত বিষয় মেনে নিতে হয়। (নতুন দল করলে সমস্যা কিছু কমে, কিন্তু সেটা ব্যতিক্রম, আর ইউরোপ আমেরিকায় নতুন দল করা প্রায় গৃহযুদ্ধ করার মতন ব্যাপার)। আবার পার্টির ক্ষেত্রেও একজন ব্যক্তি সমস্যার। শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের অর্জন তৃণমূলের অ্যাকাউন্টে গেছে, সেইটা অস্বীকার করা প্রায় কমিউনিস্ট পার্টির ট্রটস্কিকে অস্বীকার করার মতন কঠিন।
এইখানে আমরা দেখি, এই সমস্যাটা পার্টি-পলিটিক্স নামক ব্যাপারটারই। মানুষের আন্দোলন, অ্যাস্পিরেশন, পরিচিতি, ভাবধারা বিবিধ এবং অনেকক্ষেত্রে সেগুলো একটা লোককেই আলাদা আলাদা গোষ্ঠীতে ফেলে। সেখানে একটা পার্টিতে একজনকে ধারণ করা খুব কঠিন ব্যাপার। আবার পলিটিক্স যে পার্টি-নির্ভর, কর্মীরা নেতার ভরসায় জীবনপণ করছেন, কিন্তু নেতা নিজে পেশাদার- তিনি ভালো নিযুক্তি পেলে অন্যদিকে চলে যাবেন। এরকম নয়, যে আজকের সোশাল মিডিয়া আর চূড়ান্ত আপতিক মতপ্রকাশের অধিকারের যুগে এইটা উঠে আসছে। পলিটিক্সের এই সমস্যা আগেও অনেকবার মানুষ দেখতে পেয়েছে। বাংলার জাতীয় আন্দোলনের উন্মেষপর্বে একাধিক চিন্তাবিদ- স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন কিম্বা রবীন্দ্রনাথ এই নিয়ে লিখেছেন। দেশের কথা প্রবন্ধে চিত্তরঞ্জন এই পলিটিক্স-কে বিদেশি জিনিস বলেছেন- খুব বিশদে লিখেছেন আইনসভার কার্যকলাপ কেন মানুষের নিজস্ব অ্যাস্পিরেশনকে ধরতে পারে না। অরবিন্দ তাঁদের গুপ্তসমিতির লড়াই ব্যর্থ কেন বোঝাতে বলেছেন, এটিও পলিটিক্স এবং এই পলিটিক্স ব্যপক মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে না। পার্টি নিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন ফর্মের লেখার কথা সর্বজনবিদিত। চিত্তরঞ্জন আর রবীন্দ্রনাথ, দুজনই এইটার একটা বিকল্প বলেছেন, যা হল সমাজকে শক্তিশালী করা যাতে রাষ্ট্রের পরিসর কমে আসে। সমাজ, এবং গ্রাম বা অন্য আঞ্চলিক ফর্মে তার ক্ষুদ্র ইউনিটগুলি নিজেদের বিভিন্ন অ্যাস্পিরেশন এবং সঙ্ঘাত রাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী না হয়ে সমাধান করতে পারে, ফলে একটি রাষ্ট্রীয় পার্টির দরকার কমে আসে এবং পার্টির অ্যাসার্শন এবং পার্টিনেতৃত্বের পেশাদারদের বাদ দিয়ে মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই চলতে পারে। রবীন্দ্রনাথ একেই সমাজতন্ত্র বলেছেন। বলশেভিকরাও বিপ্লবের পরে সোভিয়েতকে ক্ষমতায়িত করে রাষ্ট্রের পরিসর কমাতে চেয়েছিল, যদিও পার্টির টিকে থাকার স্বার্থে তাদের পরবর্তীকালে সোভিয়েতের হাত থেকে ক্ষমতা কমিয়ে রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে হয়।
মাইক নিয়ে বক্তৃতা দিতে কেউ বারণ করেনি, অন্যান্য প্রচারে যেতেও কেউ বারণ করেনি।
২০২১এ বিজেপি সরকার গড়বেই। মানে জিতলে তো হয়েই গেলো। নইলে ইলেকশনের পরে তিনো বিধায়ক ভাঙিয়ে হলেও সরকার গড়বে। যেভাবে অন্য রাজ্যগুলোতে হচ্ছে। আমার মনে হয় এইটাই অনেকে বুঝে গেছে। তাই এক্সোডাসের লাইন লেগেছে। ভাবছে আগে গেলে বেটার ক্যাবিনেট পোস্ট পাওয়া যাবে।
আর শুভেন্দু তো আগেও বাম কাউন্সিলরদের লোভ আর ভয় দেখিয়ে তিনোতে নিয়ে গেছিলো। এবারে তিনোদের বিজেপিতে নিয়ে যাবে। কাজ একই। দলটাই যা আলাদা।
গুছিয়ে প্যাঁক দীর্ঘদিন ধরেই দেওয়া হচ্ছে। এখানে সবচেয়ে জোরালো প্যাঁকদাতার নাম সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর একাধিক লেখায় মোদী তথা বিজেপিকে ছিন্নভিন্ন করছেন, করেছেন দীর্ঘ দিন ধরেই। কিন্তু দিনের শেষে সেই অষ্টরম্ভা। আমি আবারও বলছি এই নির্বাচনে বিজেপির ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি দেখলে অবাক হবেন না।
যেদিন থেকে প্রশান্ত কিশোর এসেছেন, প্রায় সেদিন থেকেই এই ঘটনার শুরু। এখন শুভেন্দু চলে আসায় পাঁচিলে বসে জল মাপা অনেক পাবলিকই (বামেদেরও) ঝাঁকের কই হয়ে ঝাঁকে মিশবেন।
ক্যা নিয়ে রাত ০০.৫৬-র সর্বশেষ আপডেট। দেখুন মিলছে কি না।
মোদীজি কোরাপ্ট কিনা।
আমি নিশ্চিত নই বিজেপি র সম্ভাব্য ল্যান্ডস্লাইড নিয়ে, এমনকি ব্যক্তিগত কনভারসেশনেও তাকে এগিয়ে রাখতে রাজি নই। অসংখ্য ব্যক্তিগত কনভারসেশনেও তার বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে আগ্রহী। সেটাও একটা প্রচার ক্ষেত্র। এবং যে লিবেরালরা বিজেপি কে এগিয়ে রাখছেন হয় আতংকে নয় মমতাকে বা সিপিএমকে বা কংগ্রেস কে টাইট দেবার খুশি তে, তারা বিজেপি কে এগোতে সাহায্য করছেন বলে মনে করি। এমন কিসু ইনএভিটেবল না তাদের জয়।
শিক্ষিত বাঙালির সম্পূর্ণ ক্যাপিচুলেশন ছাড়া এটা ইন এভিটেবল হবেও না।
বোধিদার এই কথার সঙ্গে একটু অমত আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিজেপিকে পৃথিবীর কোথাও একটা ছট্পুজোর কমিটির ক্ষমতায়ও দেখতে চাইনা। কিন্তু সেই পার্সোনাল বায়াস দিয়ে তো পলিটিকাল অ্যানালিসিস হয়না। এতগুলো লোক বিজেপিতে যাচ্ছে, অন্য রাজ্যে বিজেপির পারফর্মেন্স, ইলেকশান পরবর্তি তাদের কাজকর্ম, বিজেপির ক্রয়ক্ষমতা, রাজ্যে তাদের বাড়বাড়ন্ত, মিডিয়ায় তাদের রমরমা, হিন্দুত্ববাদের অগ্রসর দেখে তো মনে হচ্ছে অবস্থা বেশ সঙ্গীন। এবং এলেবেলের মতন ল্যান্ডস্লাইড ভিক্টরির প্রোজেকশান না করলেও, জেতার কাছাকাছি আসার প্রবল সম্ভাবনা। যদিও এবারে কিছু বাম আর কঙ্গ ভোট তিনোতে যাবে, তারপরেও শেষ রক্ষা হবে কিনা সন্দেহ।
অ্যানালিসিসে , ডেটা ইত্যাদি লাগে, আপত্তি নেই। সেসব কিসু এখনো দেখিনি। এখনো অব্দি যেটা দেখছি, জানেন না মানুষ কি ভীষণ প্রভাবিত, ওমা কি ভীষণ ভয়ংকর ইত্যাদি। প্রকৃত ডেটা আসুক দেখা যাবে, সার্ভে ভিত্তিক কথা বার্ত হোক দেখা যাবে, নইলে খামোখা রোড শো দেখে চমকাবো কেন, আনেকডোটাল গপ্প দিয়ে তো অনেক অ্যানালিসিস হচ্ছে, সেটা মেডিয়া করছে, তথাকথিত বিকল্প মেডিয়াতে সেই প্যাঁচাল শুনলে আবাজ দেবা হবে।
ঘটনা যেটা এই হাওয়া তোলাটাকেই পোলিটিকাল ক্যাম্পেন বলা হয় আজকাল, তো সেটা তো বায়াস্ড বড় মেডিয়া করছেই। এই হাবার জোরে সরকার ব্যর্থ হলেও মোদীজি ব্যর্থ হচ্ছেন না, ইকোনোমি ধুঁকলেও লোকে নিজের পাড়াকে চাঁদ ভাবছে। গল্পের গরু অংক করছে। মানুষ অংক করুক। তখন দেখা যাবে।
ডেটাঃ ২০১৯এর ইলেকশান রেজাল্ট, তার আগে এবং পরে কতগুলো পঞ্চায়েত, মিউনিসিপালিটি, জেলা এবং রাজ্যস্তরের নেতা, বর্তমান এবং প্রাক্তন এমেলে, এমপি বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।
আমি এদেরকে র্যাশনাল হিউম্যান বিয়িং ধরে নিচ্ছিঃ নিজেদের স্বার্থ এদের কাছে প্রায়োরিটি নাম্বার ওয়ান। মানে এরা জেনে বুঝেই, বেস্ট এস্টিমেট করেই দলবদল করছে। এক যদিনা ২০২১এ বিজেপিকে ডুবিয়ে আবার তিনোতে ফিরে আসে।
খ মাইরি পুরো পার্সোনালি নিচ্ছেন ব্যাপারটা। যেন আমরা মনেপ্রাণে চাইছি বলেই বিজেপি আর আসবেনাকো! ১৭০ প্রথম দফায়, তারপরে গোটা তিরিশেক এমেলে যারা অন্য দল থেকে জিতবে তারা বিজেপিতে ভিড়বে।
হ্যাঁ, কোনও ডেটা নেই! তাই কাল ক্যা-র খবর দিয়েছি। আজ দিচ্ছি শুভেন্দুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনার খবর। নিন, এবারে চুটিয়ে অ্যানালিসিস করতে থাকুন। আর পিটি আপনাদের বকুক যে আপনারা আসলে তিনোকে সাপোর্ট কচ্চেন!
ইম্পারসোনাল ফ্যাসিজম বলে কিছু আছে বলে শুনি নি। ইম্পারসোনাল লিবেরালিজম আছে। মানতে অসুবিধ নেই। এটা চাইবার না চাইবার কিছু নেই। কেউ বলে নি, ইনটেলেকচুয়াল দের দুর্দান্ত জনসংযোগ আছে। তারা একটি বার চ্যায়রা দেখালে অমিত শাহ রোগা হবে, বিষয় টা আদৌ তা না। কিন্তু মরার অগে মরব কেনো, আর ফ্যাসিস্ট দের যে সাধারণ গ্রহণযোগ্যতা তৈরী হয়েছে ও হচ্ছে, তাকে নিজের কনভারসেশনাল এলাকায় বাধা দেবো ন কেনো?
খবরটা তো আনন্দ বাজার দিয়েছে। আপনি লিংক দিয়েছেন। ভালো করেছেন। এটা একটা নিউজ, ঠিক সেফোলজিকাল ডেটা বলতে যা বোঝায় তা না। বিজেপি এন আর সি / সি এ এ r বিরোধিতা পাচ্ছে না তা ঠ্হিক না। কি কি বাধা পাচ্ছে, মেঘালয় বলছে পুরো ইম্প্লিমেন্ট করতে হবে, আসাম বলছে এন আর সি ভালো , সি এ এ খারাপ। বাংলা বলছে আগে নিম্নবর্গ দের ১৯৭১ এর সমস্যা সমাধান করো, তার পরে সি এ এ করার হলে করো, মুসলমান রা বলছে রিভার্স মাইগ্রেশন এর গল্প পশ্চিম বংগের নিম্ন বংগে নেই, উত্তর বংগে আর আসামে আলাদা সময়ের মাইগ্রেশন প্যাটার্ন।
অতএব চারিদিকে বিজেপির বিজয় রথ চলছে চারিদিকে তার গ্রহণযোগ্যতা রোড শো r হারে বেড়ে চলেছে এট নেহাত ই গল্প। কেরালায় মন্দিরে এন্ট্রি নিয়ে ছাড়া আর কোন পোলিটিকাল নিউজ পান নি গত দু বছরে। লোকাল ইলেকশনে ইনরোড্স হাস্যকর। বিহারে সরকার হল, খুব ই কম মার্জিনের সিট রয়েছে । পাঞ্জাবে আন্দোলনের চোটে, গুরুদ্বারা যেতে হচ্ছে উনিজি কে। এক বাংলা ও আনন্দবাজার চারিদিকে রোড শো দেখতে পাছে, শান্তিনিকেতন বোলপুরে রোড শো করতে গিয়ে দুটো ছাত্রকে ঘর বন্দী করে রাখতে হচ্ছে। কবে মরে ভুত হয়ে গেহ্হেন রবীন্দ্রনাথ সেখানে গিয়ে ভদ্রজন অডিয়েন্সের জন্য সিম্বলিজম করতে হচ্ছে।
ডেটা দিতে থাকুন।
বড় এস, ডেটা বলতে আমরা লিবেরাল রা যদি বলতাম, ভাই আমার পরিবারে ৮ জনের ৭ জন মুসলমান কে এমন ঘৃণা করেন, এবার আর দিদি আর সিপিএম আর কংগ্রেস ভোট আমাদের পরিবার থেকে ভোট পাবে না, আমি তো নোটা দেই, তবু এক্টা ডেটা দেবা হত। অবশ্যই বিজেপি সাংঘাতিক শক্তিশালী দল ছিল দুটো লোক সভা নির্বাচন এ । পূর্বাঞ্চলে তার স্থানীয় শভিনিস্ট দের সংগে নতুন ইকুয়েশন হয়েহ্চে, টক্সিক রাজনীতির নিজস্ব বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা আছে, কিন্তু এই ন্যারেটিভ টা, ওমা দ্যাকো ওরা কত বেড়ে গেল, আমরা কি বা করতে পারি, একটাই প্রবচন মনে করায়, বাঙালি খচ্চর অতি, তদুপরি অসহায়।
২০১৯এর ইলেকশানে বিজেপি বিধানসভার হিসাবে ১২৫টার মতন সীট পেয়েছিল। তারপরেও কি আর কোনও ডেটার প্রয়োজন আছে?
বিজেপিকে আটকানোর জন্য করার অনেক কিছুই ছিল। ২০১১ আর ২০১৬র ইলেকশানও তার মধ্যে আছে। অন্তত এবারে দিদি কঙ্গের সাথে জোট করতেই পারতেন। বামেদের সামান্য কিছু জেতার মতন সীট ছেড়ে দিয়ে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংএ আসতে পারতেন। কিন্তু সেসব এখন ইতিহাস। এবারে বিজেপি জিতলে তাদেরকে অদূর ভবিষ্যতে সড়ানো যে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে, সেটা বলেই দিচ্ছি। কারণ বিজেপি অন্তত প্রথম পাঁচ বছর কি করে ভোট শেয়ার আরো বাড়াবে, সেটা খুব সহজেই আন্দাজ করা যায়। এবং কোনও এক সময় আরেকটা বড়সড় বা কন্ট্রোল্ড দাঙ্গাও যে অপেক্ষা করছে, সেটা বলে দিলাম।
তৃণমূল ট্যাসিটলি সিপিএম কংগ্রেসকে স্পেস ছেড়ে দিতে পারে। কিন্তু জোট করলে বিজেপি ১০০০% জিতবে এই ভোটে।
বাংলায় ভোটে জেতার একটা দরকারি সূত্র আছে, যা নিজেদের ঘাড়ের ওপর নেই বলে আমরা উচ্চবিত্ত উচ্চবর্ণরা এড়িয়ে যাচ্ছি। তা হল নাগরিকত্ব ইস্যু। এই রাজ্যের ১৭% লোক নমঃশূদ্র। যাদের অধিকাংশেরই বর্তমান আইনে নাগরিকত্ব অবৈধ। বিজেপি সি এ এর গাজর দিয়ে এদের কে বাগে এনেছে। কিন্তু, সেটা ইমপ্লিমেন্ট করে এদের নাগরিকত্ব সম্ভবতঃ দিয়ে উঠতে পারবে না। আনফর্চুনেটলি সিপিএম-কংগ্রেসের এই নিয়ে কোনও বক্তব্যই নেই। মানে কীভাবে নাগরিকত্ব সমাধান হবে তাই নিয়ে। মমতা যা বলছেন, সেটা সমাধান নয়।
এই জায়গাটা ছেড়ে রাখলে ৭ কোটি ভোটারের ১/৭ বিজেপি দিয়ে খেলাইয় নামতে হবে।
বিজেপি ঐখানেই তো মেরে বেরিয়ে যাচ্ছে যেগুলো বাকিরা ঝামেলা বলে এতদিন ফেলে রাখছিলো। কাশ্মীর , রাম মন্দির, তিন তালাক , নাগরিকত্ব -এসব তো এদের এজেন্ডা তেই ছিল- লোকে ওই দেখেই ভোট দিয়েছে। হয়তো তাতে সমস্যা মেটার বদলে আরো ঘেটে যাচ্ছে যেমন লাদাখে চীনের সাথে হলো। কিন্তু তাতে কি , ম্যাংগো লোকের কাছে মোদী ম্যান অফ অ্যাকশন। তাতে ভোটও পাচ্ছে। আর না পেলে ঘোড়া কিনতে কতক্ষন ? এতে আলাদা করে বিকেপিকে গাল দিলে আসল ঘোড়াও হাসবে। MLA/ MP কেনাবেচা আমাদের পুরোনো ঐতিহ্য। মোদী শাহ আমলের বহু আগের থেকেই। এরা এটাকে একটা আর্ট ফর্মে নিয়ে গেছে।
এবার লিবেড়াল রা যদি এতো তত্ত্বের পাহাড় ঘাটার পরে একটা সিম্পল বিকল্প মডেল সামনে রাখতে না পারেন , তাহলে মায়াপাতায় হাহুতাশ আর আস্ফালনই শেষ সম্বল , তারপর লোটা কম্বল। আর ওদিকে কংগ্রেস রাহুল গান্ধী নামক ঘোড়াকে জোর করে জল খাওয়াতে ব্যস্ত অনন্তকাল ধরে। আর এদিকে মমতা ভাইপোর ব্যবসা আর তোলাবাজি সামলাতে। এই তো চয়েস র অবস্থা। শেষে ওই জনগণ ছাগল তত্ত্বেই ভরসা। মাঝের থেকে পিটি দা বেকার গাল খান সেই একই তত্ত্ব বলে।
তবে ওই আরকি। মায়াপাতায় গুচ্ছ আঁতলামির সাইক্লোন উঠলেও বাস্তবে মাটিতে একখান শুকনো পাতাও নড়েনা।
এগারোটা জেলার নাম করছি - আলিপুরদুয়ার, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া। এই এগারোটা জেলায় ১০০টা সিট তিনোবিরোধীরা পাবে। বাম-কং মিলিয়ে খুব বেশি ১০টা পাবে। যান, মায়াপাতা লিবেরালরা সেখানে পার্সোনাল কনভার্সেশন করার একটা টিম বানিয়ে বোঝাতে চলে যান। আর খ শুধু বীরভূমের দায়িত্ব নিন। সফল হলে...
মালদা মুর্শিদাবাদ এ এত তিনো বিরোধিতা কেন ? মিম কি ফ্যাক্টর হতে পারে ?
মালদা-মুর্শিদাবাদের সংখ্যালঘু ভোট এবারে তিনো আর পাবে না। বাম-কংতে ট্র্যান্সফার হবে। নেগেটিভ ভোট হিসেবে। তাতে বিজেপির লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। এই এগারোটা জেলায় লিবেরালরা কনভার্সেশন শুরু করলে বাকি আরও কয়েকটা জেলার নাম বলব।
দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া
কেবল শুনি পিসির কড়া নাড়া
"অবনী, দলে আছো?"
এ ডেটা ক্যামন ডেটা
মুর্শিদাবাদের সতেরোটা সিট জোট পাবে।
বেশ একে একে হোক। কিন্তু আপনাদের এত এনাজ্জি দিলে জনগণ কে কখন দেবো। বাংলা মাইক করে ভোট প্রচার কখন করব। আপনাদের দাবী, বিজেপির r বিরুদ্ধে আগামী ছ মাসে অন্তত ৩ টে প্রবন্ধ লিখুন। যেগুলি প্রচার ধর্মী। বা প্রচার করতে পারি এরকম কনটেন্ট লিখে দিন, সেটা আমাদের ন বিজেপির কার কাজে লাগছে দেখে ব্যাবহার করব। অসহায় আঁতেল মানুষ এটুকু তো পারবেন। :-))))
বড় এস, ২০১৯ এর লোক সভা ইলেক্শনে বিজেপি অসাধারণ রেজাল্ট করেছে। কিন্তু তুমি ডেটা ভালো বাসা লোক, আমাকে দেখাও এক ২০০৯-২০১১ ছাড়া আর কখন পশ্চিম বংগে লোক সভা বিধান সভা ভোট মিলেছে। আর স্টক মার্কেটের মত রেশনাল অবজেক্টিভ করে এখানে দেখা টা স্টক মার্কেটেই ঠিক না, এখানে কি ঠিক হবে ? মানে স্টক মার্কেট কে, ভারতে অন্তত, ইকোনোমির সিরিয়াস ইন্ডিকেটর আর বলা যায় কি? তোমাদের ওদিকেই কি আর বলা যায়? হ্যাঁ প্রচুর লোক গেছেন বিজেপির দিকে। কিন্তু প্রচুর লোক জান ও নি। কিন্তু সেটা কতটা মেডিয়ার মোবিলাইজেশনে , রোড শো র ঝকমকি দেখে। আর কতটা কিছু পাবার আশায়। অসংখ্য গ্রামে শুন্য হাতে পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছে বীরভূমে সেই অভিজ্ঞতার কথা প্রচার বড় মেডিয়ে করে দেবেনা। অসংখ্য ইন্ডিভিজুয়াল কেই করতে হবে। বিজেপি বাড়ার পরে তাদের নিজের কনফ্লিক, সৌমিত্র খাঁ রাহুল সিন্হ এরকম গল্প কম না। মেডিয়াতে কতটুকু শুনছেন। আবাপ ইতিহাসের সমস্ত সংকট ময় মুহুর্তে প্রতিক্রিয়াশীল এর রাজনীতির আইডিওলোজিকাল ফাউন্টেন হেড হয়ে উঠেচ্চে, এবার ও তার ব্যতিক্রম নাই।
( শোভন বৈশাখী র গল্পটাই যা ভালো, এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শোভন আর ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বিজেপি নেতা শোভন, এই বয়সে যে ভাবে বন্ধুর জন্য, (প্রেমিকা কিনা কেউ জানে না ) , তার গুর্রুত্ত্বের জন্য ফাইট দিলেন সেটা পার্সোনালি দারুন লেগেছে। হ্যাট্স অফ, এরকম একটা লোকের মধ্যে এরকম মনুষ্যত্ত্ব আছে, অসংখ্য ব্র্যাকেট দিয়ে ফেললাম। সিরিয়াসলি :-))))))
বললাম তো টক্সিক ক্যাম্পেনের একটা আকর্ষণ আছে। আমার পরিবার এর একটি উত্তরবঙ্গীয় অংশ বেশিটাই এখন পারলে দাড়ি ওয়ালা লোক দেখলে রক্ত চোষে। আসামে নিজেরা মার খাওয়া সত্তএও তারা মার দেবার লোক খুজছে। কিন্তু আমার কথা হল ক্যাম্পেনে আমি সব সময়েই বলব, বিজেপি কে এন আর সি , আর সি এ এ প্রশ্নে কতরকম কনফ্লিক্টিং পজিশন নিতে হয়েছে। আসাম ত্রিপুরা মেঘালয় ই তো মেলে না। বাংলা মেলাবে কি করে? পশ্চিম বংগেই দেখো, ডিসিট কতরকমের নিতে হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলে বলতে হচ্ছে, রোহিঙ্গা আসবে, আদিবাসী রা জমি হারাবেন, ঘটি দের বলতে হচ্ছে, আর কত অনুপ্রবেশ নেবেন, বাংআল দে বলতে হচ্ছে, আপনারা তো মুসলমানের অত্যাচারে পালিয়ে এলেন, তৃণমূল এর বাপান্ত করে সারাদিন তৃণমূল নেতাদের কে কোলে টানতে হচ্ছে। তো ইনটেলেকচুয়াল রা, আবাপ দেখে গুটিয়ে বসে থেকে আর কেঁপে কেঁপে না উঠে , অন্তত প্রবন্ধে, পোস্টে , ব্যক্তিগত প্রচারে, কনভারসেশনে বিজেপির আভ্যন্তরীন কনফ্লিক্ট গুলোর কথা বলুন। নইলে তাদের হয় শিড়দাঁড়াহীন নয় কম্প্লিসিট ক্লোজেট বিজেপি সমর্থক হিসেবেই ধরব। সব দোষ তো সেলিব্রিটি দের দিলে হবে না।
অবশ্যই মমতা এই প্রথম বিধান সভা ইলেকশন করছেন যেখানে বাংলা মেডিয়া তাঁর সংগে নেই।
এই মোবিলাইজেশন আপনি কি ভাবে মাপবেন, বিজেপি কত খরচ করছে মেডিয়া তে সেটা r হিসেবে করতে পারেন। ২০০৮-২০১১ তে কি খরচ হয়েছিল, সেটা না হয় সারাদার এস্টিমেশনে হিসেব ন মেলা টাকা হিসেবে বেরিয়ে এসেছে। এবার কি হচ্ছে সেটা দেখুন। এবং বাংলা মেডিয়া সংগে নেই, কারণ বাঙালি অপিনিয়ন মেকার দের প্রতীতি হইয়াছে যে, যেগুলি অসংখ্য পারসোনাল কনভরসেশন এর ফল, তাঁরা এবার দাংগাবাজ দের হাতে নিজেদের ভবিষ্যৎঅ সঁপবেন। আমি বলছি, যাঁরা ভাবছেন, মমতা, সিপিএম, কংগ্রেসের বাজে পলিসি তে, নকু আঁতেল ন্পুংসক ব্যাবহারের ফলে, তাঁদের সাধের বেঙ্গল মোটাজি লিয়ে লিলেন, তাঁরা একটু সঠিক আঁত্লামি করে দেখান। আমি অতি সীমিত ক্ষমতায় , হারার আগে হারতে রাজি নই।
অমিত, "৭০ বছরে যা হয় নি, করে দেখাচ্ছি" এই শ্লোগান টার ধাষ্টামি যদি ধরতেই পেরে থাকেন, সেটাকে আপনার কনভারসেশনে, প্রচারে, পোস্টে, এক্সপোজ করছেন না কেন, আর যদি করেই থাকেন, তার এভিডেন্স গুরুতে রাখছেন না কেন। আমি কতগুলো পয়েন্টার দিলাম ভেবে দেখেন ----নিজেকে আন্ডারএস্টিমেট না করে বিজেপি বিরোধী প্রচারে নাইমা পড়েন ----:-))))
কাশ্মীর - ৩৭০ আব্রোগেট করে , বিজেপি কদিন আগেই যার সংগে সরকার চালিয়েছে, সেই পিডিপি তার চিরশতত্রু ন্যাশনাল কনফারেন্স e একজায়্গায় নিয়ে গেছে , গুপকার রোড ডিকেল্যারেশন হয়েছে। সুতরাং অনেক কিছু করলেও সবকিছুই নিয়ন্ত্রনে থাকছে তা না। নেতারা বন্দী থাকা সত্তএও, কাশ্মীরি ন্যাশনালিজম বেড়েছে বই কমে নি।
রাম মন্দির - হ্যাঁ কোর্ট কে প্রভাবিত করে , একটা মসজিদ ধবংস হওয়া অন্যায় হয়েছে স্বীকার করে নিয়ে , দায়ী দের কোন শাস্তি দেওয়া হয় নি, নির্লজ্জ ভাবে অন্য স্ট্রাকচার প্রপোজ করা হয়েছে, কেউ ই সেটা গ্রহণ করে নি। রাম মন্দির হওয়াতে ইকোনোমিক ডিসকন্টেন্ট হার্টল্যান্ডে কমেছে এরকম কোন খবর নেই।
তিন তালাক -দারুন কাজ করেছেন, হিন্দু পার্সোনাল ল তে পরিবর্তন করে দেখান। হিন্দু লিডার রাই হিন্দু মহিলা দের সম্মান বৃদ্ধির জন্য কি কি দুর্দান্ত বক্তব্য রেখেছেন, নারী স্বাধীনতা নিয়ে গভীর চিন্তা প্রকাশ করেছেন, সেগুলোর তালিকা আমরা দোবো নাকি ?
নাগরিকত্ব -- মাখিয়ে রেখেছেন। আসামে দুকোটি অনুপ্রবেশ কারী কে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে উনিশ লক্ষ বাঙালি কে জেলে পুরে, বাঙালির কাছে ভোট চাইতে এসেছেন?
ইত্যাদি -- মেন বিষয় টা, আমার আর্গুমেন্ট একটাই রেটোরিকাল স্পেসে কেন বিজেপি কে জায়্গা দেব? সেটার জায়গা তো আবাপ পয়সা খেয়ে বা তার ঐতিহাসিক প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র অনুযায়ী কাজ করছে। তো আপুনি তো চিন্তিত লিবেরাল। আশংকা দুশ্চিন্তার ছাপ শুধুই না রেখে বিজএপি বিরোধী প্রচারে সৃজনশীলতার ছাপ রাখুন। না রাখলে আমরা আপনাকে বিজেপি বলব রাগের মাথায়, রাগ কমে গেলে বলবো না:-)))) বুদ্ধিমান সফল লোক আপনারা সব দাদা, আমি পাড়ার ছিপিএম মাত্র, অবসরে ক্যান্টীন কিচেন চালাই , ছুটির দিনে সৈকত বন্দ্যো, তাপস দাশ, সইকত চট্টো দের প্রভাবে নকু বা বাংআলি ন্যাস্শনালিজম গিরি করি, আপনারা একটু সঠিক ধরণের আঁতলামো করে দেখান, বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার সামগ্রী দেন, বা তিনটি পছন্দ মত বিজেপি বিরোধী দলের সংগ্রামী ফান্ডে টাকা দিয়া সাহায্য করেন। লোকে দেখুক আপনি কত বড় চিন্তিত লিবেরাল। তার পরে মানুষের ভোটে হারলে তো লজ্জা কম করবে। আমার জন্যে আপনার , আপনার জন্যে আমার ঃ-)))))))))))নিজেদের মইদ্যের ব্যাপার।
এলে , শুধু উত্তর বঙ্গে ৯০ টা সিট দিচ্ছেন বিজেপি কে? এটা কি পাহাড় ধরে? এটা তো অমিত শাহ নিজেও দেন নি। আদর্নীয় মোটাজি বলেছেন, হাওয়ায় হবে না, সংগঠন লাগবে। হ্যা আসাম মডেলের এনার্সির প্রভাব সবচেয়ে বেশি প্রভাব উত্তরবঙ্গে কিন্তু তার কাস্ট অ্যানালিসিস কি? আপনার প্রেডিকশনের ডেটার ভিত্তি কি? শুধু দিকে দিকে ৯০ টা করে সিট না দিয়ে একটু স্ট্যাটিস্টিক্স করেন না। পোস্ট কলোনিয়াল রা অংক জানেন না তাতো না। হ্যাঁ এটা গত ২০১৯ er বেস ধরলে পশ্চিম অঞ্চল আর উত্তর বঙ্গে , বিজেপির রেজালট ভালো হবার চান্স বেশি, শুধু উত্তরে ৯০ টা আপনারো মোটাজির রোড শোয়ে ধাঁদানো চোখ সেরে উঠলে বেশি লাগবে। কিন্তু জেলাওয়ারি ফ্যাক্ট দিন না, ঐ ৯০ টার ই ভাগ টা দেখান। আর প্রোজেকশন এর বেসিস টা দেখান।
Somnath Roy , যাক আপনি একটু ডেটা দিয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি, নিম্ন বর্গ মানুষের মধ্যে দুটি ট্রেন্ড , কোথাও তাঁরা বিজেপির সংগে কোথাওও তাদের সাথীদের সংগে কোথাও তাদের বিরুদ্ধে, গোটাটাই বিজেপির সংগে না। তবে এটা বিরাট ঘটনা এবং সিগনিফিকান্ট ঘটনা, নিম্নবর্নের ইন্টেলেকচুয়াল রা অনেকেই বিজেপির সঙ্গে গেছেন। বা আরো যাবেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই খবর আসছে। এটা সত্যি ই চিন্তার ব্যাপার। তবে ইন্টেলেকচুয়াল যখন , অ্যাদিকোয়্টলি, ডিসকানেক্টেড হবেন আশা করি :-))))
আমি বিষয়টা এই ভাবে দেখি, ক্ষমতায় এলে পূর্ণ নাগরিকত্ত্ব দেবার কথা কোন দল ই ঘোষ্ণা করতে পারবে না, প্রক্রিয়া শুরু করবে বলতে পারে, কিন্তু নাগরিকত্ব জিনিসটা রাজ্য র বিষয় না। নাগরিকত্ত্ব হরন রাজ্য করতে পারে, আসামে করছে যেমন, কিন্তু দিতে পারে কিনা আমি নিশ্চিত নই। আইন টা দেখে বলতে হবে। এটুকু বলতে পারি, ভোটিং ব্লক হিসেবে তাঁরা বিজেপি কে দিলে ঠকবেন, এটা তাঁদের নেতারা বোঝেন না তা না, নইল দেবব্রত ঠাকুর ঐ স্টেটমেন্ট দিতেন না, তবে এটা হোমোজেনিয়াস কোনো ডেমোগ্রাফি না। আমার ধারণা যতটা ধরা হচ্ছে বিজেপি পাবে ততটা হওয়া মুশকিল, কারণ যে কোনো অঞ্চলে যে কোনো জেলায় যেই জিতবে তাকে নিম্নবর্গের ভোট বেশ খানিকটা পেতে হবে, এবং সব জায়গায় বিজেপি জিতবে না, এবং সব জায়্গায় জাতি প্রশ্নে ভোট হবে না। হ্যাঁ নিম্ন বর্গের ইনটেলেকচুয়াল রা বিজেপির সংগঠনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর কাজ অনেক দিন ধরেই করছেন, কেন করছেন তাঁরাই বলতে পারবেন। নিশ্চয়ী সিপিএম er দোষ হবে :-))))))))))))))))))
খ, ডেটা চাইছেন অথচ ঝাড়গ্রাম-পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-মুর্শিদাবাদ-পশ্চিম বর্ধমান-নদীয়া মানে উত্তরবঙ্গ? এ মানে ... আপনার নকল করলাম )))))))))))))))))
এই আরে আমার বাংলাটা আপনার মত ভালো না বলে প্যাঁক দিলেন মারি। তবে এগুলো ভালোবাসার পাওয়া :-))))
নিজেকে কোট করার অপরাধ করাচ্ছেন, দেখা হলে একটা পান খাওয়াবেন।
এই আমি বলেছিআম ঃ
" হ্যাঁ এটা গত ২০১৯ er বেস ধরলে পশ্চিম অঞ্চল আর উত্তর বঙ্গে , বিজেপির রেজালট ভালো হবার চান্স বেশি, শুধু উত্তরে ৯০ টা আপনারো মোটাজির রোড শোয়ে ধাঁদানো চোখ সেরে উঠলে বেশি লাগবে। "
আপনি উত্তর বংগে বিজেপি ke ৯০ টা সিট দিয়েহ্চেন।
আমি বলেছি, ২০১৯ এর প্রোজেকশন হিসেবে ২০২১ কে দেখলে উত্তরবঙ্গে শুধু না পশ্চিমাঞ্চলেও বিজেপি ভালো ফল করবে। তবে শুধু উত্তর বঙ্গেই ৯০ টা সিট কঠিন। আর এট কিছু আগে বলেছি, বড় এস কে, লোকসভার রেজাল্ট er প্রোজেকশন হিসেবে বিধান সভা না দেখাই ভালো। সেরকম হিস্টরিকাল এভিডেন্স নাই। আছে হালকা আছে।
আপনাকে এর কিছুই বিশ্বাস করতে হবে না। মাস তিনেক বাদে এই এগারোটা জেলা ধরে ধরে বলব। ভুল হলে প্রচণ্ড খুশি হব। ভোট সেফোলজি দিয়ে হয় না।
সঙ্গে যোগ করলাম কলকাতা, দুই ২৪, হাওড়া ও হুগলির কিয়দংশ ছাড়া তিনোর হাল খুব খারাপ হতে চলেছে। তাও কলকাতাতে হেভিওয়েট প্রার্থী দাঁড়ালে ১১টায় চান্স আছে। নইলে সেখানেও ধস নামবে।
খুব সম্ভবত স্বপন দেবনাথ বিজেপিতে জয়েন করছেন। ভেতরের খবর তাই। তাহলে পূর্ব বর্ধমানকেও তালিকাতে রাখবেন।
রাইট এবার বুজেছি, আমার ভুল টা।
"এগারোটা জেলার নাম করছি - আলিপুরদুয়ার, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া। এই এগারোটা জেলায় ১০০টা সিট তিনোবিরোধীরা পাবে। বাম-কং মিলিয়ে খুব বেশি ১০টা পাবে।"
আপনি শুধু উত্তর বংগ বলেন নি, মাই ব্যাড। আমি ফাল্তু কথ বলেছি। এবার আপনি জেলাওয়ারি হিসাঅব টা দেন, তার পরে বাকি ফাল্তু কথ গুলো বলি।
এই জেলা স্পেসিফাই করে যখন বলছেন, খবর আছে বলেই বলছেন, ফাইন, তাই হোক। এক বিজেপির ক্যাম্পেনের দায়িতত্ত্বে যদি থাকেন, তাহ্হলে ছাড়া এ প্রোজেকশন তো গোপন খবর কিসু না। সেটার তো সম্ভাবনা নাই, প্রোজেকশন টা জেলাওওয়ারি দ্যান না। আর কিসের ভিত্তিতে দিলেন বলে দেবেন।
ভালো এই ভাবেই আমরা বড় এস কে আবার আলোচনায় ফেরাতে পারবো, ডেটা ভিত্তিক কথাতে কোন চাপ ই নেই।
বোধি,
শুভেন্দুর সঙ্গে কংসারি হালদার ও মণিকুন্তলা সেনকে একাসনে বসাইনি তো।
দলের ভাবনার সঙ্গে নিজের সংকটে মণিকুন্তলা ও কংসারি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিলেন, কিন্তু শুভেন্দুতো অতি-সক্রিয়, দল বদলেছেন। তুলনা করলে করতাম ভাঙ্গরের কমঃ রেজ্জাকের সঙ্গে।
হ্যা তৃণমূলের ভোট কমবে অনেকেই বলছেন । কত কমবে কেউ জানে না। তাই আমরা সিপিএম এর ভোট কর্মী রা, চাইছি যাই কমুক, সেই কমা ভোটের একটা সিগনিফান্ট অংশ আমাদের দিকে একটু বেশি করেই আসুক। ওকে আপনি তাইলে যা বুঝলাম এখন শুধু এমনি বিজেপি কে এগিয়ে রাখবেন, ভেতরের খবর ইত্যাদি দিয়ে, আর ডেটা আর অ্যাকচুয়াল প্রোজেকক্শন টা আরেকটু দেখে দেবেন, ফাইন, মানে অ্যাজ অ্যান অপশন, তদ্দিন কাউকেই এগিয়ে না রাখলে হত না ? :-)
মানে খুব ই ভালো হত, হিসেব শেষ হব অবদি অপেক্ষা করে তার পরে হিসেব টা বলতেন। ডেটা আস্তে আস্তে ক্লিয়ার হতেই পারে। নইলে কেস মমতা ব্যানার্জির মত হয়ে যাঅচ্ছে মাইরি, পান্চ বছরের কাজ এক বছরে শেষ। ওদিকে ভোটের আগে যুগান্তকারী ঘোষণা ঃ-)))সব ই "টোটাল টা দেখছেন" ।
এনিয়ে ওয়ে তিনমাস পরে ডেটা না পেলে, পবন্দের কোটা বাড়াবো। আর আপাতত আমাদের প্রচারে (কংগ্রেস সিপিএম জোটের বা ১৭ বামপন্থী দলের জোটের ) কাজে লাগার মত প্রবন্দ ও লিখে দেন, জনতার সাধারণ মানুষের ভাষায় লিখবেন, হিসেবে তো আর ২৪ ঘন্টআ তিনমাস করবেন না। মানে হিসেবের আগে শুধু কনভারসেশন করলে তো বিজেপি কে এগিয়ের রাখবেন, পোবোনদ লিখলে একটু পাপ স্খালন হত।