এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৮:১৮540449
  • মক্কেল  দেখি  একুশ  থেকে  পঁচিশ  রেঞ্জে খোঁজে , শুনেই  বত্রিশটা  ড্যাশ  দিতে  ইচ্ছে  করছিল  :)
  • <> | 2405:201:802c:7858:5579:e454:3e98:***:*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৮:১৭540448
  • আর ক'জনের জমিদারি থাকলে বাংলায় আরও পাঁচটা নোবেল আসত।
  • kk | 172.58.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৭:২৮540447
  • অ্যান্ডর কি 'বিজলে বউল' ফল খেয়েছে? বয়স কমতে কমতে  এক্কেবারে "তা প্রায় উনিশ"? ;-)
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৭:১৭540446
  • বুদ্ধদেব বসু  বিষ্ণু দে  সুধীন  দত্তরাও  নিয়মিত  ভালো  আয়ের  জীবিকা  বজায়  না  রাখতে  পারলে  কবি  হিসেবে  অত  আন্দোলন তুলতে  পারতেন  কিনা  কেজানে।  জীবনানন্দ  চাকরিগুলো  ( রাম যশ  কলেজ, সিটি  কলেজ , ব্রজমোহন  ইত্যাদি  )ছেড়ে  দিতেন  বলেই  অত  সব  দারিদ্রকাহিনি  শোনা  যায় 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৭:১০540445
  • যাঁদের  খাওয়াপরার  ভালো  বন্দোবস্ত  আছে  জীবিকামারফত ,  কবিতা  গল্প  গান  ইত্যাদি  লিখে  নিজের  অর্থেই  প্রকাশ  করা  প্রচার  করা  তো  তাঁদের  পক্ষেই  সুবিধে।  বঙ্কিম  বড়  চাকরি  না  বজায়  রাখতে  পারলে  সম্ভবত  সাহিত্যসম্রাট  ও  হতেন  না 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৭:০৪540444
  • তখন  বাঙালির  হাতে  অর্থকড়ি ছিল , ব্যবসাও ছিল ,  এন্তার  মামলা  মোকদ্দমা  চলত . বাঙালি  উকিলরা  রে রে  করে  পশার  জমাতেন। সেযুগে  আইনজীবী  হওয়া  বেশ  ভালো  পেশা  ছিল .  তারপর  টাকাও গেল , ব্যবসা  গেল ,  উকিলরা  কোকিল  হয়ে  গেল . 
  • যদুবাবু | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৬:০৯540443
  • আগে একদিন ভাটে লিখেছিলাম যে রবীন্দ্রোত্তর সময়ে সবচেয়ে বলিষ্ঠ বাঙালি কবিরা, বিষ্ণু দে, সুধীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, বুদ্ধদেব এদের মধ্যের মিল যে এরা সকলেই ইংরেজির অধ্যাপক। এরা বিদেশী সাহিত্য সম্পর্কে জানতেন, ঋণস্বীকার করেছেন। জীবুর ডায়েরি যেমন ইং/বাং মিলিয়ে লেখা - তাতে শেলী থেকে টমাস মান সবার উপস্থিতি লক্ষণীয়। 

    যাই হোক, তো আজকে প্রসাদদাস রায়ের যাঁদের দেখেছি পড়তে গিয়ে এই প্যারাটা পেলাম। মনে হ'ল ভাটে দিয়ে যাই। বোল্ড ফন্ট-টুকু আমার কীর্তি। বাকিটা টুকে দিলাম হু ব হু। 

    "দেবেন্দ্রনাথ এলাহাবাদে ওকালতি করতেন এবং মক্কেল-মহলে তাঁর পসার ছিল যথেষ্ট। আইনের সঙ্গে কবিতার যোগসূত্র কোথায় আছে জানি না, কিন্তু বাংলাদেশে গত যুগের অধিকাংশ শ্রেষ্ঠ কবির সঙ্গেই কোন না কোন দিক দিয়ে আইনের সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। যেমন মাইকেল মধুসূদন, বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র, দ্বিজেন্দ্রলাল ও রজনীকান্ত সেন প্রভৃতি। দেবেন্দ্রনাথ যখন মকদ্দমার নথিপত্র ঘাঁটতেন না, তখন করতেন কবিতা রচনা। “অশোকগুচ্ছ”, “গোলাপগুচ্ছ”, “শেফালীগুচ্ছ” ও “পারিজাতগুচ্ছ” প্রভৃতি কয়েকখানি কাব্যপুস্তক সেই সাধনার ফল। “অশোকগুচ্ছ” পাঠ করলেই দেবেন্দ্রনাথের কবিত্বের সমস্ত বিশেষত্বের সঙ্গে সম্যকরূপে পরিচিত হওয়া যায়। গদ্যেও তাঁর হাত ছিল যে সুদক্ষ, সে প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে মাঝে মাঝে। কিন্তু গদ্য নিয়ে তিনি বেশী নাড়াচাড়া করেন নি। অজস্র কবিতা লিখেছেন। তার মধ্যে ফরমাজী ও বাজে কবিতার সংখ্যাও অল্প নয় বটে, কিন্তু প্রত্যেকটির মধ্যে আছে পরম উপভোগ্য আন্তরিকতা ও বিশুদ্ধ কবি-চিত্তের আত্মপ্রকাশ। শেষের দিকে তাঁর কবিতার মধ্যে ধর্মভাবই প্রধান হয়ে উঠেছিল।"

    (এর অর্থ হয়তো এই যে সেই সময়ে সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তানরা ওকালতি পেশার দিকেই যেতেন ঝাঁকে ঝাঁকে। আর তাদের একটি সাবসেট কবিতা/সাহিত্য করার ফুরসৎ বা উৎসাহ পেতেন। বা সেই বইগুলো ছেপেটেপে রয়ে গেছে স্মৃতিতে বা লাইব্রেরিতে।) 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৫:৫৫540442
  • ইংরেজি  বলবেন।  'খুড়ো,  ডিয়ার  খুড়ো ' :)
  • :|: | 2607:fb90:bdd8:90:95c6:9e40:505c:***:*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৫:০৭540441
  • হিন্দি বোলতে পারবোনা। তারাপদ রায়ের স্মরণীয় চুটকি 
    হামলোগ তো বোলতা কো বোলতা বোলতা হ্যায়। আপ বোলতা কো কেয়া বোলতা হ্যায়? 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৩:৩৮540440
  • সেই কর্তাব্যক্তিরাই হয়তো চাবি দিয়ে গেট  খুলে  দেয় , আবার তালাও  লাগিয়ে দেয় :)
  • যদুবাবু | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৩:২৩540439
  • ঠিক-ই তো। আমি যদি কেষ্টর মতো আজ রাত্রে কোনো এক থানার আইসিকে অকথ্য গালাগালি করি, আমি কি বিলা হবো না হুজুর? এই তো দেখলাম আম্রিকার কর্তাব্যক্তিরা এমন রিপোর্ট বানিয়েছেন যার আর্ধেক সাইটেশন এ্যাইয়ের হ্যালু - আমি অমন রিপোর্ট দিলে আমার তো ঘটিবাটি = চাঁটি। 

    কিন্তু, এ তো দার্শনিক প্রশ্নের লাইনে চলে গ্যালো, কান্টের মর‍্যাল ইম্পারেটিভ হয়তো বলে শাস্তি একই হওয়া উচিত, সর্বজনীন। জেরেমি বেন্থ্যাম হয়তো বলবেন না, চুরির ফলে সমাজে কি মোট সুখ বাড়লো না কমলো, বেশি মানুষ উপকৃত হলেন কী অপকৃত হলেন, পেইন না প্লেজ়ার - ইউটিলিটারিয়ানিজ়মে সেটাই বিচার্য। 
     
    যাই হোক, সলিল চৌধুরী প্রসঙ্গে - অন্তরীপ একটা সলিল চৌধুরী সংখ্যা করেছে দেখলাম। কেমন করেছে কে জানে! আমার একজন পরিচিত লেখক একটা প্রবন্ধ লিখেছেন তাই হয়তো চোখে পড়লো। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০৩:০৩540438
  • ভিডিওটাতে  বাংলা  নিয়ে  একটা  বক্তব্য  হল , এই  সফি সফি  রাবীন্দ্রিক  বাংলা ভাষার  তেমন  জোর  নেই . উনি  কি  বলতে  চাইছেন  ভাবের  দিক  দিয়েও  জিনিসটা  কৃত্রিম  একটা  আতুপুতু  ব্যাপার  হয়ে  দাঁড়িয়েছে ?  উত্তাল  ঝোড়ো  ব্যাপারকে  প্রকাশ  করতে  পারে  না ?  গভীর  অতলান্ত  নীল  অন্ধকার প্রকাশ  করতে  পারে  না ? নৌকো কিনারে কিনারে পাড়ি দিচ্ছে?  অগাধ  জলে  যায়  না ?  
  • সম্বিৎ | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৮540437
  • এটা অনেকটা 'কেষ্ট করলে লীলা, আমরা করলে বিলা' কেস। চুরি করা সোনা গলিয়ে কে ফিলিগ্রি করছে আর কে কমোডের হ্যান্ডেল বানাচ্ছে তাই দিয়ে কি শাস্তি ঠিক হবে?
  • যদুবাবু | ২৪ জুলাই ২০২৫ ০০:৫৪540436
  • সুমন, সলিল চৌধুরী এরা জিনিয়াস লোক ছিলেন। 
     
    কিন্তু সে এক, আর এই জন হেনরি টুকে চন্দ্রবিন্দু বাথরুম গান লিখছে সে আরেক। হিন্দি গানের উদাহরণ-ও দিতেই পারি, মানে সেসব তো ছেলেবেলায় কম শুনিনি। সেই যে 'ফাইন্যাল কাউন্টডাউনে"র সুরে ম্যায়নে পেয়ার কিয়ার গান গাঁকগাঁক করে অহোরাত্র বাজছে, সঙ্গে সর্দিবসা এসপি'র আবেগঘন গলা, পান্নালালের সঙ্গে পুজোর আকাশে পাল্লা দিয়ে দুই মোড়ে দুইটি মাইক, অই শুনেই তো বড়ো হলাম। 

    এর মানে এই নয় যে চন্দ্রবিন্দু শুনে যাকে বলে "আর্লি যৈবনে" গদগদ হইনি, খুব হইচি। কিন্তু ঐ আর কী। 
  • পাপাঙ্গুল | 103.24.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:৪১540435
  • <> | 49.37.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:৩৪540434
  • জসীমুদ্দিনের কবিতা শিক্ষিত বাঙালীর কাছে, তখনই খুব গুরুত্ব পাবে কেন ? সেই সব কবিতার যা আবহ, সেসব কী রবিবাবুর সমগ্র লেখালেখিতে মিশে ছিল না ? হ্যাঁ, কবিতার ঘটনগুলো গ্রাম থেকে উঠে আসছে কিন্তু দীনেশচন্দ্র সেন তো মোটমুটি সেই সময়েই পুরোন বাংলা সাহিত্য, গীতিকা ইত্যাদি সংগ্রহ করছেন, লিখছেন, বই করছেন। সেগুলো যারা পড়ছে তাদের কাছে জসীমুদ্দিনের কবিতার 'গল্প' তো জানা। কিন্তু জীবনানন্দ যখন লিখছেন, ঐ গ্রামের ইমেজারি নিয়েই লিখছেন কিন্তু সে তো আর আগে লেখা হয়নি, এমনই হয়নি যে রবিবাবুও বুঝতে পারছেন না। আজকাল তো এরকম লেখাও দেখেছি যে জীবনানন্দ এলিট আর জসিমুদ্দিন নন- এলিট, ফলে এলিট শিক্ষিত বাঙালী ঠিক করে দিয়েছে জীবনানন্দ পড়তে হবে, জসীমুদ্দিন নয়।

    মাই ফুট !

    এতে না হয় রাজনীতি, না হয় শিল্প সাহিত্য, সেই সময়ের কীভাবে তৈরী হচ্ছিল সেসব বোঝা।

    আবার নজরুলকে নিয়ে জীবনানন্দের প্রবন্ধটা পড়ে দেখবেন, কোথায় নজরুলের জোরের জায়গা আর কোথায় দুর্বলতা, কেন ণতুন দিনকালে এসে নজরুলের কবিতা পাঠককে টানে না, কিন্তু এককালে কেন টানত সেসব বোঝানো আছে। কবিতার দিক দিয়ে এবং দেশ কাল সন্ততির দিক দিয়েও।
  • সম্বিৎ | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:৩২540433
  • দীর্ঘদিন আগে,  গণনাট্য সঙ্ঘ যুগে,  ঠিক এই নিয়ে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সঙ্গে সলিল চৌধুরীর এক বিখ্যাত তর্ক হয়েছিল। হেমাঙ্গ বিশ্বাস বলেছিলেন যে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে স্তালিনের বক্তব্য "national in form, socialist in content"  হতে হবে। এই গান যারা শুনবে,  শুনে উদ্বুদ্ধ হবে তারা মাটির কাছের মানুষ। তাদের কাছে দেশজ সুরের মাধ্যমে মেসেজ পৌঁছবে তাড়াতাড়ি। গানের সুরের এই পশ্চিমি চলন তাঁর একেবারেই না-পসন্দ ছিল। সলিল চৌধুরীর বক্তব্য ছিল যে তাঁরা যাদের বিরুদ্ধে লড়ছেন,  তারা ফর্মের দিক থেকে অন্ত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে পড়েছেন। যেমন আধুনিক কামান-বন্দুকের মতন যুদ্ধাস্ত্রের বিরুদ্ধে টাঙি-বল্লমের মতন দেশজ অস্ত্র দিয়ে লড়াই চালান যায় না,  তেমনি গানের লড়াইও করতে হবে যেখানে যেরকম আধুনিক উপায় আছে - সে সব ব্যবহার করে। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:৩০540432
  • 'উত্তর  আসবে  না , তুমি  আসবেই  আমি  জানি '
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:২৯540431
  • সুমনের  সাড়া  জাগানো অনেক  গানই  তো  বিদেশী  বিখ্যাত  বিখ্যাত  গানের  বাংলা  রূপান্তর 
  • <> | 49.37.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:২১540430
  • সম্বিৎবাবু এসব বিশদে বলতে পার্বেন, কিন্তু সলিল চৌধুরী যখন গানগুলো বানালেন, গণনাট্যর সঙ্গে যুক্ত থাকার সময়েই, পশ্চিমী সঙ্গীতের ধরণ আর চলন ব্যবহার করে, তখন হেমাঙ্গ বিশ্বাস তার তুমুল সমালোচনা করেছিলেন। কী না, সলিল চৌধুরীর গান ফর্মালিজম দ্বারা আক্রান্ত, বিপ্লবীভাব কম। পুরো ডিবেটটা মনে নেই, অলিল চৌধুরীর মত ভুলেও গেছি, কিন্তু উনি হয়ত মনে করেছিলেন গানকে বৈপ্লবিক করতে গেলে পশ্চিমী ধরণ নিতে হবে। তো ওনার গানগুলো টিকে গেছে, এখনও গায়ে কাঁটা দেয়, নাটকে- সিনেমা বা মিছিলে ব্যবহার হয়, সে তুলনায় হেমাঙ্গ বিশ্বাস আর কোথায়।
  • r2h | 134.238.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৯540429
  • শোনা যায় কী, লেখাই তো আছে রাগ বিলিতি ভাঙা ইত্যাদি। এতো কোন গুহ্য কিছু না, রবীন্দ্রনাথ সারা পৃথিবীর সঙ্গীত নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। এবার উনি তাঁর সমসাময়িক বাঙালী সাহিত্যিকদের ক্ষ্যামাঘেন্না করলেও দোষ দেওয়া যায় নাঃ)
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৭540428
  • রিমঝিম ঘন  ঘন , ফুলে ফুলে  ঢলে  ঢলে .... এইরকম  নানা  গান 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৬540427
  • রবিবাবুর  প্রথমদিকের অনেক  গানই  তো আইরিশ  বা স্কটিশ লোকগীতি  প্রভাবিত  শোনা  যায় 
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৩540426
  • নিজে  গান  গেয়ে  রেকর্ড  করে  ইউ  তে  তুললে  কী  হবে  ভেবে  নিজেই  শিউরে  উঠছি , সেই  কয়েদীদের  গান  শোনাতেন  এক মারাত্মক  গায়ক .... এক  বাবা  ছেলেকে  সাবধান  করতেন-  খোকা , এমন কিছু  করিস  না  যাতে  কয়েদী  হতে হয় , ওই  গান  শুনতে  হবে ...
  • <> | 2405:201:802c:7858:5579:e454:3e98:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:১১540425
  • ওটাই লাইন, সুমন যেমন করেছিলেন। বাংলা আধুনিক গানের পরবর্তীতে অনেক প্রশংসা করলেও, নিজে গান গাইতে এসে ঐ ধারার গানকে তার বদ্ধ দশক থেকে মুক্ত করার জন্যই গীটার ধরলেন। তো গানের কথায় আর ভাবে তো দৈনন্দিনের বাঙালীত্ব কিন্তু গীটার নিয়ে জিনস পরে গান গাওয়াটা তো উল্টোদিকের।

    এরকম উদাহরণ তো বাঙালীর গত দুশো বছরের শিল্প সাহিত্যের ইতিহাসে অনেক অনেক। কলকাতা শহরে শেক্ষপীয়অরের নাটক যখন প্রথম আসে, তার প্রথম কপিগুলোর মধ্যে গুটিকয়েক বঙ্কিমবাবুর কাছেই গেছিল। সেই তিনি ঈশ্বর গুপ্তকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখবেন, বক্তব্য কী না ঐ খাঁটি বাঙালী ভাব আর কবিতায় আসবে, সেই বাঙালী আর নেই। অন্যদিকে রবিবাবু কি ঈশ্বর গুপ্তকে খুব গুরুত্ব দিয়েছিলেন ? ওয়ার্ডসওয়ার্থকে দিয়েছেন কারণ নিজে যখন লিখবেন তখন এখানে কার দিকে তাকাবেন, বিহারীলালের সারদামঙ্গল ? ও দিয়ে রবিবাবুর শিল্প সৃষ্টির আর্জের কী বা পূরণ হবে ? কিন্তু সেই তিনি লালন- গগন হরকরা ইত্যাদির গানকে লেখায় ব্যবহার করছেন, বক্তব্য তৈরী করছেন।
  • &/ | 107.77.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২৩:০০540424
  • পছন্দ না হলে  নিজে  বানিয়ে নিন।  নিজে লিখে  নিন . নিজে  গান লিখে  গেয়ে  নিন . খুবই  চমৎকার  :) 
  • <> | 2405:201:802c:7858:5579:e454:3e98:***:*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২২:৪৭540423
  • ওরকম সব হয়। রায় মশাই প্রমথেশ বড়ুয়াকে পাত্তা দেননি, ঘটকবাবু দেখুন বড়ুয়া সাহেব বলতে গদগদ, ক্যামেরা শটের বাহার নিয়েই। বড়ুয়া ছিলেন রাজা, এই ছিল ঘটকবাবুর মত। উনি আবার বুনুয়েলকে আটী উচ্চে স্থান দিয়েছিলেন, প্রথমদিকের সিনেমাগুলো, বিশেষ করে নাজারিন দেখে। অথচ, রায় মশাইয়ের বুনুয়েল নিয়ে বক্তব্য নেই। রায় মশাই আবার সাইলেন্ট ফিল্মকে গুরুত্ব দিয়েছেন, ঐ যুগের সিনেমা অন্য বস্তু এই ছিল মত, ঘটকবাবুর সেরকম কিছু পাওয়া যায় না। আবার দুজনেই সোভিয়েট সিনেমাকে বড় করে দেখেছেন কাএঅণ তাঁরা সিনেমার গ্রামার তৈরী করছিল। এই সব বস্তু এতদিন পরে এলিট - ননএলিট দিয়ে তত্ত্ব করে বোঝা আর মন্তব্য করা গাড্ডা বিশেষ, আধা - ক্রিটিকাল একটা ভঙ্গী। রায় মশাই আবার গুপি বাঘা বানিয়েছেন ওর থেকে বড় বাঙালী সিনেমা আর হয়নি, ঘটকবাবু তার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন ইত্যাদি। আর রায় মশাইয়ের লাইনটাই তো ঠিক, প্রচলিত সিনেমা পছন্দ না হলে নিজে বানিয়ে নাও, গদাররাও যেমন করেছিলেন।্শিল্প সাহিত্যের ব্যাপার শুধু রাজনীতি অর্থনীতি আর আজকালের এলিট ননএলিট ইত্যাদি দিয়ে দেখা এক ইয়ে বিশেষ।
  • r2h | 134.238.***.*** | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২২:৪৪540422
  • আলজিয়ার পর্বতে যে মৃতপ্রায় সৈনিক রাইন নদীর কোলে বিঞ্জেন গ্রামকে মনে করছে, বা লন্ডনের রাস্তায় গ্রামের গরীব মেয়ে পরিচিত পাখির ডাকে পুলকিত হচ্ছে - তারা আর সাজু রূপাই আমার কাছে মোটামুটি একই রকম দূর গ্রহের মানুষ। ভাষার ব্যবধান যদি কাটাতে পারি, তবে যাতে কাব্যসুষমা মধুরতর ও মানবিক আবেদন বেশি হৃদয়স্পর্শী, সেটাই আমি বেছে নেব।
    আবার অন্যদিকে, যে যতই এলিট হোক, বাঙালী হয়ে আবোল তাবোল বা নালক বা সুহাসিনীর পমেটম পড়া না থাকলে আঁতেল সমাজে অন্তত টিকে তামুক জুটতে অসুবিধে হবে, তা হলফ করে বলা যায়।

    আবার আরেকদল আছেন, যাঁরা বলেন কবি হুতেন্দ্রনারায়নের লেখা আমি পড়িনি, তবে ওঁর লেখা খুবই অখাদ্য। ঐটা ঠিক না। ক্ষ্যামাঘেন্না করে হলেও পড়ে ফেলা ভালো।
  • যদুবাবু | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২২:০৪540421
  • হুতোদা যেটা বলল সেটাও ঠিক। বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ ঘুরে আসার পর লোকের কী আর "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া" মনে হয়? বরং মনে হয় দেখিতে চাহি না দুই পা ফেলিয়া। তার ক্যানভাসও অনেক বড় হয়ে গেছে তখন।  
     
    তাছাড়া অনেক সময় দেশে বা রাজ্যে বিখ্যাত সাহিত্য বা গান পরে জানা যায় বিদেশী সূত্র থেকে বেমালুম চোথা কিন্তু অস্বীকৃত। সেটাও আছে।  
  • যদুবাবু | ২৩ জুলাই ২০২৫ ২১:৫৭540420
  • কারণ কালচারাল এলিটিজম একটা ব্ল্যাক হোল। একবার ঢুকে গেলে আর নিস্তার নেই। তখন জনপ্রিয় কিন্তু নন-এলিট জিনিষ ভালো লাগলেও নিজেকে নিজেই বোঝাতে হবে যে ওই জিনিষ আমার মত মানুষের কিছুতেই ভালো লাগতে পারে না। এর কিছুটা নির্ঘাত গ্রুপথিঙ্ক বা পিয়ার প্রেসার। 
     
    কিছুটা ইন-গ্রুপ আউট-গ্রুপ গোছের সোশিওলজিকাল ব্যাপারও আছে নিশ্চয়ই। বাংলা পক্ষের সমর্থক হয়তো প্রকাশ্যে বলেন সব হিন্দি সিনেমার গানই অখাদ্য, কারণ এই ওই তাই। কিন্তু তারই মনে মনে নেপথ্যে হয়তো তখন রফি কি কিশোর একটানা গাইছেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত