"কো-পাইলট কোডের ভুল ধরে দিচ্ছে, এল-এল-এম বিশাল বড়ো বই ধরে অল্প সময়ে ওসিয়ার করে পুরোনো লিটিল ম্যাগাজিনের ডিজিট্যাল কপি বানিয়ে দিচ্ছে, কী রোগ-নির্ণয় করছে ইত্যাদিপ্রভৃতি সে সব ভালো, কিন্তু আড্ডা নয়, গান নয়, চূড়ান্ত ডিস্ট্রেসের সময় ফোনের ওপারে এ্যাইয়ের গলা নয়। এর মানে এই নয় আমি এ্যাইয়ের ক্ষমতায় মুগ্ধ নই, কিন্তু এইটা আমার আজকের স্টান্স। কাল পালটে গেলে যাবে। "
যদুবাবু, আপনার পয়েন্ট টা আমি বুঝি।
আমার ব্যক্তিগতভাবে ঐ "পডকাস্টের" আঙ্গিক ব্যাপারটা ভাল লেগেছে, যদিও আমার ব্যাপারটাকে কখনোই "আড্ডা" বলে মনে হয়নি, কারণ পুরোটাই স্ক্রিপটেড। নতুন কিছু পাওয়া গেল না যে।
আড্ডা বলুন, বা মানুষের সূক্ষ্ম সেন্টিমেন্ট বুঝে তার সঙ্গে আচরণ, এই ব্যাপারগুলো এতটাই "মানুষের" ব্যাপার যে তাকে যন্ত্র দিয়ে (আজকালকার দিনে, ভবিষ্যতের কথা জানি না) সেভাবে অনুকরণ করাও সম্ভব নয়, বিশেষ করে বাণিজ্যিক কারণে তো একেবারেই মনে হয় না কখনো করা যাবে। যেটা যাবে এবং হচ্ছে, পূর্বনির্দেশিত তথ্যকে নিয়ে তাকে "পেশ করা", এবার নানাভাবে। এবং এই পেশ করার জায়গাটায় নানান ধরণের heuristic দেওয়া হয়। যাতে একটা transaction এর রূপ থাকে, কিন্তু সে জিনিস আর ব্যক্তি মানুষের প্রতিক্রিয়া ঠিক এক জিনিস নয়।
এ আই দিয়ে কোন কিছু নির্মাণ করা যে কি কঠিন কি বলব। গত মাস ছয়েক ধরে আমরা আমার digital twin দিয়ে diabetes পাল্টে দেবার গবেষণায় শুধু এই মানুষ প্রশ্ন করবে আর যন্ত্র AI ভিত্তিক কিন্তু মানুষের মত করে উত্তর দেবে, এইলব্যাপারটা তৈরী করতেই নাস্তানাবুদ হয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেক সপ্তাহে কি মাসে আমরা একেকটা মডেল তৈরী করি আর "না না, ঠিক হচ্ছে না" বলে আবার নতুন করে শুরু করি। মানুষের মনের কথার চেতনাগত অনিশ্চয়তা আর তাকে আন্দাজ করে পারস্পরিক কথোপকথন নির্মাণ করা যে কী কঠিন এবং frustrating আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। মনে হয় অসম্ভব।
যেটি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত, যেমন কমলকুমার মজুমদারের বিষয়ে আমাদের সাম্প্রতিক আড্ডার ব্যাপারটা বিবেচনা করলে দেখবেন লসাগুর নোটএলেম ভারি চমতকার সামারি করে হয়ত কথোপকথনের মাধ্যমে পেশ করেছে, কিন্তু এটুকুই। "আড্ডার" যে spontaneity বা ধরুন uncertainty , সেটা সে কখনোই ধরতে পারবে বলে মনে হয় নি, কারণ সেভাবে তাকে "তৈরী" করা হয়নি, কোনদিন সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন কালের গর্ভে। তারপর তো কথাবার্তার স্টাইল, ইত্যাদি যার কথা ":)" লিখেছেন।
যার জন্য এই যন্ত্রের "মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে" আলাপচারিতার প্রয়াস, এ এক প্রায় অসম্ভব (এখন মনে হয়), কোনদিনই হয়ত হবে না। কিন্তু হওয়া উচিত কি না, সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক প্রশ্ন। অন্তত যতদিন না পর্যন্ত আমরা যন্ত্রের "আবেগ" ব্যাপারটির হদিশ পাচ্ছি । তার পরেও ।
ফলে আমি এখনো বুঝে উঠিনি এতে কি ধরণের মানসিক প্রতিক্রিয়া উপযুক্ত হবে।