এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:৫১500073
  • রিসার্চ ইন্স্টিটিউটগুলোতে আর কিছু না হোক একটু ভালো কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা আর অন্তত কিছুটা অ্যাকাউন্টেবিলিটি থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। কিছুদিন আগে আইআইটি কানপুরে সুব্রামানিয়াম সাদেরলার ব্যাপারটা ঘটল, শেষে কোর্টে রিলিফ পেলেন ভদ্রলোক।

    আত্মহননের পথ বেছে নেওয়া ছাত্রের ক্ষেত্রে তার মানসিক দুর্বলতা, অপদার্থতা ইত্যাদির কথা শুনে বহুদিন আগের একটা কথা মনে পড়ে গেল: একটি মেয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে আত্মহত্যা করার পরে আটলান্টায় আমার পরিচিত একজনকে বলতে শুনেছিলাম, শ্বশুর-শাশুড়িকে বিপদে ফেলবার জন্যই মেয়েটির এই আচরণ! মানে সত্যিই অবাক হতেও ভুলে যাবো এরপরে।
  • lcm | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:৪৪500072
  • তবে হ্যাঁ, পিএইচডি প্রোগ্রাম এর সঙ্গে চাকরির রিলেশন একটা সমস্যা তো বটেই।

    সাউথ কোরিয়া তে যেমন ওভার এডুকেশন একটা সমস্যা, এত বেশি পিএইচডি কিন্তু সেই তুলনায় যোগ্য চাকরি নেই। শোনা যায়, সিওলে পিএইচডি ডিগ্রিধারী ছোট দোকান চালাচ্ছেন এমন আছে।

    জাপানে ইউনিগুলো নাকি এইজন্য পিএইচডি প্রোগ্রামে ইনটেক অনেকদিন হল কমিয়ে দিয়েছে।

    এ জিনিস অবশ্য ইউএসএ তে অনেকদিন ধরেই আছে। ইউএসএ তে পিএইচডি প্রোগ্রামার সহকর্মী বেশ কিছু দেখেছি, এবং তারা অনেকেই কেমিস্ট্রি, ফিজিক্স, বায়োলজি, ম্যাথ -এ পিএইচডি - এবং ভাল ইউনি থেকে, কিন্তু করছেন ওয়েব প্রোগ্রামারের চাকরি বা ইউনিক্স সিস্টেম অ্যাডমিনের চাকরি - এরকম অনেকে আছেন। পিএইচদি উবের ড্রাইভারের কথাও শুনেছি।

    আর্লি নাইন্টিসে দুজন রাশিয়ান মেইনফ্রেম প্রোগ্রামার সহকর্মী ছিলেন তারা সোভিয়েত দেশে ছিলেন সায়েন্টিস্ট - নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে পিএইচডি।

    তো, সব মিলিয়ে - পিএইচডি প্রোগ্রামে এইসব কনফিউশন আছে।
     
  • lcm | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:৩০500071
  • পিএইএচডি করতে ঢুকে দু-এক বছর পরে বেরিয়ে আসা কমন ব্যাপার। 

    পরিসংখ্যান বলছে (খুব সম্ভবত ইউএসএ এর) -

    Almost 50% of all Doctoral Students Don’t Graduate

    The Council of Graduate Schools produced a study on the PhD completion and attrition. The study looked at 49,000 students attending 30 institutions in 54 disciplines comprising 330 programs. Astonishingly, the completion rate ten years after students begin their doctoral program remains low at 56.6%.

    https://www.statisticssolutions.com/almost-50-of-all-doctoral-students-dont-graduate/
     
  • s | 100.36.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:২৪500070
  • dc,
    নেতাগিরি করে বা না করে যদি ওয়ার্কারদের অবস্থা ভাল হয় তভে তাই সই। এই কয়েক্দিন আগে একটা চার্ট দেখেছিলাম আমেরিকায় ইউনিয়ন মেম্বার্শিপ ডিক্লাইনের সাথে সাথে কিভাবে মিডল ক্লাস ডিক্লাইন হয়েছে। হাইলি কোরিলেটেড।
    আর অ্যামাজনের ইউনিয়নের খবরটা তো দারুণ। আজ এখানে অনেককটা শহরে স্টারবাকস ইউনিয়নের ভোট চলছে। আমি আশাবাদী।
    বাইডেন এসে কিছু ওয়ার্কার ফ্রেন্ডলি মেম্বার নিয়োগ করেছেন ন্যাশনাল লেবার রিলেশন্স বোর্ডে। NLRB আমাজনের বেসামার ওয়ারহাউজের ইলেকশন নালিফাই করে দিয়েছে। আবার সেখানে ইলেকশন হবে। মোটের উপর একটা প্রো ইউনিয়ন হাওয়া উঠেছে চারদিকে, এটা খুবই ভাল ব্যাপার।
  • lcm | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:১৪500069
  • হ্যাঁ, হালে এই দুটো নিউজ - আমাজন আর এমআইটি ইউনিয়ন -

    এর মধ্যে আমাজন কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করেছিল ইউনিয়ন তৈরি থামাতে - Just last year, Amazon spent 4.3 million dollars on anti-union consultants. ...
  • dc | 171.6.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:১১500068
  • অ্যামাজনের নিউ ইয়র্ক শহরের অফিসেও ইউনিয়ান হয়েছে। 
  • AG | 37.19.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:১১500067
  • আমি ফিজিক্সে পিএইচডি করতে গিয়ে অনেকগুলো কারণে (কেবলমাত্র অ্যাকাডেমিক প্রেসার না) ডিপ্রেসড হয়ে দুবছরের মাথায় ছেড়ে দিই। এখনও আমি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। বুঝতে পারছিনা কি করব। এদিকে বাড়ির অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠছে দিনকে দিন। কিছু সাজেশন/ক্যারিয়ার অ্যাডভাইস পেলে ভালো হয়।
  • যদু | 2601:5c0:c280:4020:e1e3:89a:cc5c:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:০৯500066
  • আরে কি কোইনসিডেন্স। আমি লসাগুদার লিঙ্ক-টাই পোস্ট করতে যাচ্চিলাম। 

    অন্য জায়গাতেও হয়েছে। আমি কয়েক জায়গায় জানি ইউনিয়ন অনেক লড়াই করে গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট-দের স্যালারি যাতে একটু বাড়ে সে ব্যবস্থা করেছে, কারণ এমনিতে যা দেয় সে মানে বিচ্ছিরি রকমের আন-সাস্টেইনেবল। 
  • lcm | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:০৩500065
  • প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহেই ভোটাভুটি হয়ে এমআইটি তে গ্র্যাড স্টুডেন্টদের ইউনিয়ন হয়েছে।

    MIT Graduate Students Vote to Unionize

    Catherine Offord, Apr 7, 2022

    Plans to form a union affiliated with the United Electrical, Radio and Machine Workers of America were approved by a vote of 1,785 to 912.

    Graduate students at MIT have this week voted to unionize, with 1,785 votes cast for the move and 912 against it. The poll, which was held on Monday and Tuesday (April 4–5), sought approval to form a union affiliated with the United Electrical, Radio and Machine Workers of America (UE), and tapped into a range of student issues including affordable housing and better health insurance.

    Announcing the win in a tweet yesterday, the MIT Graduate Student Union wrote: “What started 4 years ago with a dozen students in an MIT classroom discussing the needs of graduate workers has culminated in this historic victory for student-workers at MIT.”

    https://www.the-scientist.com/news-opinion/mit-graduate-students-vote-to-unionize-69886
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb91:39c:d78:b753:90f4:ef95:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ২০:০০500064
  • ইউনিয়নের সমস্যা আছে। তবে ইউনিয়ন থাকলে সম্ভাবনা থাকে বসকে একটু চেকে রাখার। বস আবার ইউনিয়নকে কিনে নেবার চেষ্টা করে, যেমন কর্পোরেট পাওয়ার সরকারকে কিনে নেবার চেষ্টা করে। তবু সরকার না থাকার চেয়ে থাকা ভাল। সেই রকম।
  • dc | 171.6.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৫২500063
  • আর ইউনিয়ন হলে আবার আরেক সমস্যা, তখন ইউনিয়নের নেতাদের নেতাগিরি শুরু হয়। 
  • পলিটিশিয়ান | 2607:fb91:383:ddcf:db51:1aba:5ca0:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৫০500062
  • একমত যদু
  • যদু | 2601:5c0:c280:4020:e1e3:89a:cc5c:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৯:০৮500061
  • হ্যাঁ। পাওয়ার ইমব্যালেন্স হয়তো সমস্ত হিউম্যান এণ্টারপ্রাইজেই আছে, কিন্তু অ্যাকাডেমিয়ায় একটু বেশীই সমস্যাজনক। 
    তার অনেকগুলো কারণ, এক যেমন টক্সিক ইন্ডাস্ট্রি-র চাকরি ছেড়ে আরেকটা চাকরি খোঁজা যতো সহজ/কঠিন, কয়েক বছর পিএইচডি করার পরে মাঝপথে ছেড়ে আবার শুরু করা তার থেকে অনেক বেশী কঠিন - প্রসেসটা একে কিউমুলেটিভ আর দুয়ে, শেষমেশ ঠিক হলো কি না এটার আনসার্টেনটি/র‍্যান্ডমনেস অনেক বেশী। জীবনের সবথেকে ভালো সময়ের ৭-৮ বছর একটা প্রবলেমের পিছনে প্রাণপাত করে শেষে কিছুই না পাওয়া - এই ভয় সাংঘাতিক। (আমি নিজে চাকরিতে জঘন্য বস পেয়েছি, আবার পিএইচডির শুরুতে জঘন্য, অমানবিক অ্যাডভাইজার পেয়েছি - অ্যানেকডোটাল হলেও এটা বিশ্বাস করি।) 

    এ ছাড়াও তীব্র ফিনান্সিয়াল ইনসিকিওরিটি আছে, সেই নিয়ে পারিবারিক সমস্যা আছে (বাড়ির লোকে বুঝতে চায় না), পিয়ার প্রেশার আছে, আর ভিকটিম ব্লেমিং তো দেখতেই পাচ্ছেন - লোকে অটোমেটিক্যালি ধরেই নেয় সাফল্যের কৃতীত্ব অ্যাডভাইজারের, আর ব্যর্থতার দায় ছাত্রের। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b143:3000:c86e:cd1f:ebc4:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:৩৫500060
  • শুধু কলেজ কেন। যে কোন জায়গাতেই বস আর সাবঅর্ডিনেটের মধ্যে ইমব্যালান্স অফ পাওয়ার মারাত্মক। ঠিকঠাক ইউনিয়ন না থাকলে এগুলো হ্যান্ডল করাও মুশকিল। সুইসাইড বা ঐরকম এক্সট্রিম কিছু হলে তবেই একটি ব্যাড অ্যাপল ধরা পড়বে, সেটা তো কোন কাজের কথা না।
  • যদু | 2601:5c0:c280:4020:a8b1:f496:cb3b:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১৯500059
  • কালকে লিখবো ভেবেও আর লেখা হলো না, কিন্তু দেরী হলেও এই কথাটা বলে রাখা উচিত যে আমার-ও এই সময়  b-র "উল্টোটাও হয়" - কমেন্ট অত্যন্ত ইনসেনসিটিভ লেগেছে। তাই অভ্যুদা যা বলেছে সেটাই আরেকবার রিপিট করি। এখানে কেউ কনটেন্ট ওয়ার্নিং দেয় কি না জানি না, কিন্তু দেওয়া থাকলো এখানে।

    আমার-ও মনে হয়, অ্যাকাডেমিয়ায় বিশেষ করে অ্যাডভাইজার আর ছাত্র (বা জেনারেলি ফ্যাকাল্টি ও ছাত্র) - এই পাওয়ার ইমব্যালেন্স মারাত্মক, এবং দিন দিন যতো সাপ্লাই বাড়ছে, ডিম্যান্ড কমছে – ততো এই ইমব্যালান্স টাও বেড়েই চলেছে। এই যেমন কথা মত কাজ না করলে একজন বদ অ্যাডভাইজারের পক্ষে  "কেরিয়ার শেষ" করে দেওয়া অসম্ভব রকম সহজ। কিছু নিজে থেকে কাঠি করতেও লাগে না, দরকারের সময়ে একটা চিঠি দিলেন না, ব্যাস! বা থিসিসে সই করলেন না! আমি ভাবি কতোটা ভয়, আশঙ্কা তীব্র না হলে, কতোটা খাদের কিনারে ঠেলে না নিয়ে গেলে একজন পিএইচডি ছাত্র অ্যাডভাইজারের নাম লিখে আত্মহত্যা করেন?

    আমি নিজেও একাধিক লোক-কে চিনি যারা দিনের পর দিন ছাত্র-ছাত্রীদের হ্যারাস করেছেন, কেরিয়ার/জীবন শেষ করে দিয়েছেন (এবং সেই এফেক্ট গিয়ে পড়েছে আরও অন্য লোকের জীবনে) আর চরমতম পথ বেছে নেওয়া এ তো আদৌ রেয়ার নয়। আত্মহত্যা না হলেও যা ট্রমা হয় তার খতিয়ান আর কে রাখে? আমার নিজের খুব কাছ থেকে দেখা দুটো ঘটনা বলি।

    প্রথম, আমার খুব কাছের একজন পিএইচডি করতে করতে থার্ড ইয়ারে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় অ্যাডভাইজারের ক্রমাগত অত্যাচারের জন্য, অ্যাডভাইজার তাকে হেল্প তো দূরস্থান, উলটে নাগাড়ে বলতেন তুমি গাধা, তোমার দ্বারা কিস্যু হবে না। সে ভেবেছিলো অন্য কারুর সাথে কাজ করে শেষ করবে। তাতে অ্যাডভাইজার কী করেন? না প্রথমে বাকি কলিগদের শাসিয়ে রাখেন যেন ওর বিরুদ্ধে না যান আর তার পরে সেই স্টুডেন্টের ফাণ্ডিং-এর রাস্তা বন্ধ করে দেন। আর কলিগ-রাও ওইরকম - কারো মনে ভয়, কারো দ্বন্দ্ব, কেউ চান এর পরের অ্যাওয়ার্ডে ঐ অ্যাবিউজিভ-কিন্তু-ব্রিলিয়ান্ট অ্যাডভাইজারের একটা রেকো লেটার ইত্যাদি। একজন ছাত্রের বা ছাত্রীর কেরিয়ার চপে গেলো তো গেলো, কী ছেঁড়া যায় ওদের? সেই খুব পরিশ্রমী, মেধাবী, ফেলোশিপ পাওয়া ছাত্রীটির কেরিয়ার সেইখানেই শেষ। পরে জানা যায়, সেই অ্যাডভাইজার ১ নয়, এরকম ৭-৮ জনের কেরিয়ার এইভাবে নষ্ট করেছেন। তারা একসাথে অভিযোগ করে – তখন একটা লোক-দেখানো কমিটি হয়, তাতে বাইরে থেকে লোক আসে, ঢপের তদন্ত হয়। সব হয়ে আলটিমেট কী রেজাল্ট? তাকে বলা হয়েছে আগামী কয়েক বছর কাউকে গাইড করবেন না। ব্যাস।  

    দ্বিতীয় ঘটনাটি কলকাতার। একটি ছেলের গাইড আকস্মিক ভাবেই মারা যান দুর্ঘটনায়। তার বদলি যিনি এসে চেয়ার আলো করে বসেন, তার এক নয়া পয়সাও যোগ্যতা ছিলো না গাইড করার – করেন-ও নি। ছেলেটিকে বলেন যা ইচ্ছে করো - কিন্তু তিনি প্রত্যেক পেপারে নাকি "নাম নেবেন" -- অস্যার্থঃ এক লাইন-ও না কন্ট্রিবিউট করে নিজের নাম ফার্স্ট অথর হিসেবে পেপারের সামনে বসিয়ে দেন। বিশ্বাস করা কঠিন এ জিনিষ ২০২০-২১-এ হচ্ছে একটি প্রিমিয়ার ইনস্টিটুটে, সবার চোখের সামনে, কিন্তু সত্যি। ছেলেটি ৫-৬ বছর পরে যখন চাকরি পেয়েছে, তখন এই ভদ্রলোক বিভিন্ন ঝামেলা করছিলেন যাতে আরও কয়েক বছর রেখে দেওয়া যায়। সোনার ডিম পাড়া মুরগি ইত্যাদি। ভাগ্য ভালো সে কোনো রকমে পালিয়ে বেঁচেছে, এবং এটা যাকে বলে ওয়ান অফ দ্য রেয়ার হ্যাপি-এণ্ডিং স্টোরিজ।

    এই প্রসঙ্গেই, আমি কালকেই দেখলাম আইয়াইটি, আইয়াইএম, অন্যান্য সেন্ট্রালি ফাণ্ডেড ইউনি মিলিয়ে ২০১৪-২০২১-এই দেশে ছাত্র আত্মহত্যার সংখ্যা ১২২ !!

    আমার জানা আর একটা ঘটনা, যেখানে অ্যাডভাইজার রিজাইন করতে বাধ্য হয় সেটা ফ্লোরিডা-র কম্পিউটার সায়েন্সের ঘটনা। সেখানে অ্যাডভাইজার ছাত্র-কে প্রথমে যা হোক করে ভুলভাল ডেটা/ডিজাইন শুদ্ধু পেপার ছাপতে বাধ্য করেন, পরে যখন ছাত্র বুঝতে পারে কী সাঙ্ঘাতিক ভুল হচ্ছে, এই কাজ করা যায় না, অন্য কেউ করতে গেলেই ধরা পড়বেই এবং ধরা পড়লে তার নিজের প্রোফেশনাল ক্রেডিবিলিটি সঙ্গে সঙ্গে শেষ - তখন সেই অ্যাডভাইজার চাপ দিয়েছিলেন যে স্বীকার করা যাবে না, পেপার উইথড্র-ও করা যাবে না। করলে তিনি দায়িত্ব নিয়ে ছাত্রের কেরিয়ার শেষ করে দেবেন। ছাত্রটি ডিপার্ট্মেন্টের মধ্যেই আত্মহত্যা করে।
    সেই ঘটনার পরেই একজন সহপাঠী কেউ মিডিয়ামে বিস্তারিত লিখেছিলো। পড়লে ভয়ানক খারাপ লাগে, অসহায় বোধ হয়ঃ https://huixiangvoice.medium.com/the-hidden-story-behind-the-suicide-phd-candidate-huixiang-chen-236cd39f79d3
    এই ঘটনার বছর খানেক পরে ভদ্রলোক রিজাইন করেনঃ 
    https://www.wuft.org/news/2021/04/23/university-of-florida-professor-resigns-amid-investigations-into-students-suicide/

    এখন এই ভদ্রলোক কী করছেন জানি না। আমি নিজে বহুবার ভেবেছি যদি একবার ছাত্রটিকে বলা যেতো যে কখনোই, কোনো ভাবেই সব দরজা বন্ধ হয়ে যায় না। ঐখানে পত্রপাঠ ছেড়ে দিলেও … কিন্তু সে কে বলবে? কোথাও, কোনো ঠিকঠাক সাপোর্ট সিস্টেম নেই, যা আছে সেগুলো সেলফ-সার্ভিং, লোকদ্যাখানো ঢপের কেত্তন। আর তার থেকেও বড় কথা, ঐ শুরুতে যা বলছিলাম, পাওয়ার ইমব্যালেন্স - এতোই মারাত্মক যে অ্যাকাউন্টেবিলিটি-র অ্যা-ও নেই কোথাও। 
  • syandi | 45.25.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১৮500058
  • হ্যাঁ পাই, এই ঘটনাই ঘটেছিল GM-দার ক্ষেত্রে।
  • syandi | 45.25.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১৩500057
  • আগের পোস্ট টা Joshita Ghoshal | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫১ কে
  • π | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১১500056
  • এটা লিখতে ইতস্ততই করছিলাম। এন সি এল এর কথা এল বলে লিখেই দি তাহলে। যদিও এক ঘটনা কিনা জানিনা।  সালটা কাছাকাছি হলেও এক নয়।
     
    আমার মনে পড়ে গেল এন সি এল পুনেতে এক আত্মহত্যার কথা। কানপুর থেকে সামার ইন্টার্নে যখন গেছিলাম, আলাপ হয়েছিল সেই দাদার সঙ্গে। খুবই ভাল ছিল৷ বাংলার গ্রামের ছেলে, খুবই মেধাবী,  ভাল রেজাল্ট আর ততোধিক ভালমানুষ। 

    গবেষণা নিয়ে কী প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে আর তার পিছনে গাইডের ভূমিকা সবই বিস্তারিত শুনেছিলাম। ও একা না, ওদের 'বিখ্যাত' ল্যাবের অনেকেই জানত, সবাই একই কথাই বলত।  এর অবস্থা একটু বেশিই খারাপ হয়েছিল। অথচ মেধা, শ্রম কিছুরই খামতি ছিল না।
    ওই দু'মাসে খুবই ভাল সম্পর্ক হয়ে গেছিল ওই দাদার সঙ্গে। সদ্য প্রেমে পড়ে, অন্তত তাতে কিছুটা সাফল্য পেয়ে একটু আবার সব নতুন করে শুরুও করবে ভাবছিল। আমরা কয়জন মিলে একসঙ্গে খেতাম প্রায়ই, উইকেন্ডে এদিক ওদিক যেতাম।

    কানপুরে ফিরে আসার কিছুদিন পরেও যোগাযোগ ছিল।  যে দিদিটাকে প্রোপোজ করে গ্রিন সিগনাল আছে ভেবে আনন্দে ছিল, সে তারপর দুম করে কাটিয়ে দিয়েছিল, সেই নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। আমাকে বলেছিল ওই দিদিকে বোঝাতে ইত্যাদি। এদিকে গাইডের সঙ্গে ঝামেলাও লেগেই ছিল।  খুবই চাপে ছিল পিএইচডি নেই।

    তারপর একদিন একটা মেল পাই।  তখন তো এমন ইন্সটান্ট মেল দেখার অপশন ছিল। কম্পিউটার সেকশনে গিয়ে রেড হ্যাট লিনাক্সে দিনে দু'দিনে একবার দেখতাম।  মেলটা পড়ে পুরো আঁতকে উঠে ফোন করি যখন সব শেষ। সুইসাইড নোটই বলা চলে, কাউকে দোষ দেওয়া ছিল। আমি আর আর কয়েকজন পেয়েছিলাম। 

    গাইড খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন,  তাঁর ফিল্ডে। কিছু হয়েছিল বলে জানিনা।

    ট্রমা ছিল বহুদিন। এটা আর ভাবতেই চাইতাম না।

    এই ঘটনার পর মনে এলেও বারবার তাড়াতে চাইছিলাম।
  • syandi | 45.25.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১১500055
  • আপনি অবাক হচ্ছেন কেন? গত ১৫ বছর ধরেই তো কোন ভারতীয় ইউনিভারসিটি বা রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রথম ৩৫০ এ নিয়মিতভাবে আ্য়াবসেন্ট। আই আই টি - এর সুনাম খুব সম্ভবত আন্ডারগ্রয়াড কোর্স এবং ঐ কোর্সের স্টুডেনটদের ভালো চাকরি বাগানোর ট্র্য়াকরেকর্ডের জন্য। রিসার্চে আই আই টির অবস্থা গ্লোবাল পার্সপেকটিভে বলার মত কিছু নয়। আই আই এস সি-ও তাই। আসলে এরা বাঁশবাগানে শেয়াল রাজা। ভারতের অ্যাকাডেমিক ম্যাপে এরা ভাল বলে গ্লোবালি ভাল হবে তা তো নয়। 
  • syandi | 45.25.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৮500054
  • আইসার কলকাতার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলি - এই ঘটনাটা ইন্ডিয়ান আ্যাকাডেমিয়াতে নতুন কিছু নয়। ১৯৯৮-১৯৯ নাগাদ এনসিএল পুণেতে একই ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু কিছুই বেরয় নি তদন্তে। আর ঐ সুপারভাইসর তো রীতিমত বিগ শট। কেউ ওনার কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারে নি। আর উনিও ওনার বসগিরি কায়েম রাখেন, আর প্রতি ২-৩ বছর অন্তর নিয়ম করে ১-২ জন স্টুডেন্টকে ডিগ্রী না দিয়ে ল্য়াব থেকে তাড়িয়ে দেন। এই মহান বিজ্ঞানীপ্রবর ফিফথ ইয়ারেও তাড়িয়ে দিয়েছেন এমন একজনকে পারসোনালি জানি। বিজ্ঞানীপ্রবরের নাম আন্দাজ করুন দেখি।
  • ~ | 134.238.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৫:২০500053
    • পাই দি সরি | 185.107.57.88 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫১500051
    • ...আমি কি করে বুঝবো।.. 
    -
    • π | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০১500045
    • ওদিকে বিপ্পাল কীসব মণিমুক্তো ছড়িয়েছেন। অবাক লাগছে লেখায় সমর্থনের বন্যা দেখে! 
       
      জীবনের দাম ডিগ্রী বা চাকরির থেকে অনেক বেশী!
         -বিপ্লব পাল, ৭ই এপ্রিল, ২০২২
  • | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫২500052
  • মনিমুক্ত | 185.107.57.88 | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৬
     
    পাইএর পোস্টে ওটা পাই লিখেছে ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়লেন? এই যে লেখা অছে না 
    "ওদিকে বিপ্পাল কীসব মণিমুক্তো ছড়িয়েছেন। অবাক লাগছে লেখায় সমর্থনের বন্যা দেখে! 
     
    জীবনের দাম ডিগ্রী বা চাকরির থেকে অনেক বেশী!
       -বিপ্লব পাল, ৭ই এপ্রিল, ২০২২"
    এটার মানে হল পাই এটা বিপ্পালের দেওয়াল থেকে কপি করে এনেছে। পরবর্তী বক্তব্য পুরোটাই বিপ্পালের পাইএর নয়। কাজেইআপনার প্রশ্ন ফেবুতে বিপ্পালকে করতে হবে। 
     
    আর হ্যাঁ ​​​​​​​বিপ্পালের ​​​​​​​স্ট্যাটাসটা ​​​​​​​ফেসবুকে ​​​​​​​পাবলিক ​​​​​​​করা। ​​​​​​​ফেসবুকের পাবলিক স্ট্যাটাস সারা দুনিয়ার জন্য খোলা, প্রাইভেসীর গল্পই নেই। 
  • পাই দি সরি | 185.107.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫১500051
  • তা বাঁড়া আমি কি করে বুঝবো রে বাঞ্চোদ? যদি অন্য কারো পোস্ট কপি পেস্ট করে তাহলে কোটেশনে রাখা উচিত। আমি ফেবু করি না।
     
    পাই দি, সরি। আমার বুঝতে ভুল হয়েছে। ওগুলো তাহলে বিপ্লব পালের উদ্দেশ্যে। 
  • উফ | 192.184.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৪৫500050
  • আরে গান্ডু ওটা ফেবুতে বিপ্লব পালের পোস্ট। ছেনছিটিভিটি মারানোর আগে একটু কে লিখছে কী লিখছে পড়ে দ্যাখ।
  • মনিমুক্ত | 185.107.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৬500049
  • "ডিপ্রেশনের রোগ থাকলে, বা মানসিক দিক দিয়ে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের  পি এইচ ডি করতে আসাই উচিত না।"
    বাহ দারুণ বললেন তো। এবার তাহলে পিএইচডি সিলেকশনে এই প্রশ্নটাও করা উচিত "আর ইউ ডিপ্রেসড"? ইন্সেন্সিটিভির চরম পর্যায়ে। 
     
    আট বছর!! সময়টা কম না। তার মধ্যে আবার দুবছর কোভিডে গেছে!
     
     
    " সুতরাং আমার অনুমান, এটি ডিপ্রেশন, একিউট ডিপ্রেশনের কেস।"
    "ভাল করে অনুসন্ধান না করে, তার গাইড চিরঞ্জীব মিত্রকে এইভাবে মব জাস্টিসের সামনে ফেলা উচিত না"
    ওহঃ দি আইরনি!
     
     
    "যেসব ছাত্ররা ফিজিক্সের মতন জটিল সাবজেক্টে সফল পিএইচডি করার ক্ষমতা রাখে, তারা ফাইনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনালাইটিক মার্কেটে ভাল চাকরি পায়। ইনফ্যাক্ট পিএইচডি করার পরেও ৯০% ফিজিক্সের  তাত্ত্বিক পিএইচডি আমেরিকাতে শেয়ার মার্কেটে এনালিস্ট হিসাবেই কাজ করে।"
     
    দিদি এবার ইন্ডিয়ার স্ট্যাটিস্টিকস টাও একটু দিন। কদ্দিন আর মুরিকা মুরিকা বলে চেঁচাবেন?
  • Typical বিপ্পাল | 45.35.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:১৮500048
  • "একসময় আমিও পি এইচ ডি করেছি। আই আই টির পি এইচডি হলের প্রেসিডেন্ট ছিলাম।"
     
    "যারা ম্যাক্সিম গোর্কি পড়েছেন, তারা বুঝবেন।"
     
    "জগন্নাথ পালের এই ধরনের চিন্তাধারাকে পাশ্চাত্য দর্শনে বলে স্টয়িসিজম-বা যারা এই ধরনের ভাবনায় বিশ্বাসী-তারা স্টয়িক।"
     
    " জীবন মানেই চড়াই-উৎরাইএর পথ। পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক বা জেফ বেজোসের জন্যও এটাই ধ্রুব সত্য।"
     
    কিন্তুক কম্যুনিজম আসেনি। ইটা কি সত্যই বিপ পালের পোস্ট?
  • dj | 2405:8100:8000:5ca1::c6:***:*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:১০500047
  • b, গুরু কি লিংক দিলে, যশপাল ভাট্টির পিএইচডি এপিসোডের ভিডিও পুরো ঝক্কাস। তুম বিকারকো জার কহো তো জার কহেঙ্গে :-) :-) :-)
  • π | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০৪500046
  • হু, পাব্লিকেশনে গাইডের নাম আছে মানেই তিনি পাব্লিকেশনে সাহায্য করেছেন, এমন কিন্তু নাও হতে পারে।
  • π | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০১500045
  • ওদিকে বিপ্পাল কীসব মণিমুক্তো ছড়িয়েছেন। অবাক লাগছে লেখায় সমর্থনের বন্যা দেখে! 
     
    জীবনের দাম ডিগ্রী বা চাকরির থেকে অনেক বেশী!
       -বিপ্লব পাল, ৭ই এপ্রিল, ২০২২

     একই সাথে ফেসবুকে দুটো খবর পেলাম। আইসার কল্যানীর  ফিজিক্সের পি এইচ ডি ছাত্র, শুভদীপ রায় আত্মহত্যা করেছে।
     
    আর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধ জগন্নাথ পাল অঙ্কে পি এইচ ডি ডিগ্রি পেয়েছেন। তার বিষয়, গণিতশাস্ত্রের সব থেকে জটিল সাবজেক্ট-টপোলজি। 

     গবেষকদের হতাশা, ডিপ্রেশন, এবং তার থেকে আত্মহত্যা নতুন কিছু না। এক্ষেত্রে শুভদীপ তার গাইড চিরঞ্জীব মিত্রকে তার আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে গেছে। ফলে গোটা ফেসবুক জুরে পিএইচডি গাইডদের অত্যাচার এবং টাইরানির বিরুদ্ধে সিভিক সমাজের সুনামী দেখতে পাচ্ছি। যদিও এটা সত্য অনেক ক্ষেত্রেই গাইডরা পি এইচ ডি স্টুডেন্টদের ডিপ্রশনের জন্য দায়ী থাকেন,  এক্ষেত্রে  প্রপার ইনভেস্টিগেশন না করে,  একজন সজ্জন অধ্যাপককে ফেসবুকের হাড়িকাঠে ঝোলানো ঠিক না। যদিও সুইসাইড নোটে শুভদীপ রায় লিখে গেছেন তার গাইড তাকে ঠিকঠাক গাইড করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে, সে আত্মহত্যা করছে- আমি পুরো ব্যাপারটার মধ্যে কোন যুক্তি পাচ্ছি না। কারন কদিন বাদেই তার থিসিস ডিফেন্স ছিল।  যদি ধরেই নিই দুর্বল কাজের জন্য, তার থিসিস বাতিল হওয়ার চান্স ছিল-তাহলেও সে আরো ছমাস বা একবছর এক্সটেনশন পেত। যদ্দুর জানি তার ভাল জার্নালে পেপার ছিল। সুতরাং থিসিস বাতিল হওয়ার চান্স তেমন ছিল বলে মনে হয় না।  সুতরাং আমার অনুমান, এটি ডিপ্রেশন, একিউট ডিপ্রেশনের কেস। ভাল করে অনুসন্ধান না করে, তার গাইড চিরঞ্জীব মিত্রকে এইভাবে মব জাস্টিসের সামনে ফেলা উচিত না। 

      একসময় আমিও পি এইচ ডি করেছি। আই আই টির পি এইচডি হলের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। আই আই টি খরগপুরের  সেনেটে পি এই চ ডি ছাত্রদের প্রতিনিধিও ছিলাম। সেইসূত্রে  অনেক ছাত্রছাত্রীদের " গাইড ঝোলাচ্ছে" এই কেস বহু দেখেছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেইসব গাইডদের সাথে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করতাম। আমি এটাই বলব, সবদোষ গাইডদের এমনটাও ঠিক না। অনেক গাইড একটা ভাল স্টান্ডার্ড মেইন্টেইন করার জন্য ছাত্রদের প্রতি কঠোর হোন। যারা ম্যাক্সিম গোর্কি পড়েছেন, তারা বুঝবেন।  ওই কঠোরতা ট্রেনিং এরই অংশ। সংখ্যাতত্ত্বেই প্রমান পাবেন। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই যারা এই ধরনের কঠোর অধ্যাপকদের  ছাত্রছাত্রী, তারাই ভবিষ্যতের ভাল গবেষক হিসাবে নাম করে।

    ডিপ্রেশনের রোগ থাকলে, বা মানসিক দিক দিয়ে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের  পি এইচ ডি করতে আসাই উচিত না।  

     বরং জগন্নাথ পালকে দেখে পিএইচডির ছাত্রছাত্রীরা শিখুন। উনি বহুদিন আগে গণিতে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। পি এই চ ডি করার, উচ্চশিক্ষার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্ত মধ্যবিত্তর সংসার টানতে ব্যাঙ্কের কেরানীর নিশ্চিত চাকরি নিতে বাধ্য হোন।  এই কেস আমি বাংলায় প্রচুর দেখেছি। অসংখ্য ভাল ছেলেমেয়ে পিএইচডি ছেড়ে সামান্য চাকরি করতে চলে গেছে নিশ্চয়তার সন্ধানে।  জাস্ট মিডলক্লাস ক্রাইসিস। কিন্ত অঙ্কের প্রতি ভালোবাসা ছিল অটুট। ফলে চাকরি থেকে অবসরের পর, স্ত্রী মারা যাওয়া সত্ত্বেও- দশ বছর ধরে পি এই চ ডির কাজ সম্পূর্ন করেছেন। এবং জাস্ট পিইএচডির জন্য পিএইচডি করেন নি। গণিত শাস্ত্রের সব থেকে দূরহ বিষয় নিয়েই সফল ভাবে কাজ করেছেন এই বৃদ্ধ। 
     
    জগন্নাথ পালের এই ধরনের চিন্তাধারাকে পাশ্চাত্য দর্শনে বলে স্টয়িসিজম-বা যারা এই ধরনের ভাবনায় বিশ্বাসী-তারা স্টয়িক। যার মূল বক্তব্য- মেনে নাও পৃথিবীটা তোমার জন্য কঠিন- সব ধরনের  ঘাত প্রত্যাখ্যাতের  ঝাপটা তোমার ওপর আসতেই থাকবে। কিন্ত ওই ধাক্কাটা আসবে জেনেই তোমাকে তার মধ্যেই এগোতে হবে।  এটা পিএইচডির জন্য আরো সত্য!

      আর শুভদীপ যে ভাবনায় চলেছেন-সেটা হচ্ছে "তিনি ভিক্টিম", তার গাইডের জন্য। সেটা সত্য হতেই পারে। একজ স্ত্রী স্বামীদ্বারা বা একজন স্বামী স্ত্রী দ্বারা নির্যাতিত হতেই পারে।  কিন্ত সেই সত্যের ওপর ও আরেকটা সত্য আছে। " আমি ভিক্টিম" এই ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে ডিপ্রেশনে লাভটা কি?  বরং ওই জায়গাটা থেকে দ্রুত বেড়োতে হবে।  স্টয়িক দর্শনে বলে, পৃথিবীর সবাই আসলে কঠিন সংগ্রামরত। শুধু আমিই ভিক্টিম এই চিন্তাটাই বোকাদের। যেমন ভগবান  বুদ্ধ সন্তানহারা মাকে সেই গৃহের অন্ন আনতে পাঠিয়েছিলেন, যে গৃহে কোন মৃত্যু হয় নি!  বুদ্ধি, পরিশ্রম, ধৈর্য্য এবং সাহস থাকলে সব গাড্ডা থেকেই উদ্ধার পাওয়া সম্ভব। আরো দরকার এটা ভাবা, জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে এই ধরনের খাদ আসবেই- রোগভোগের সমস্যা, বৌ এর সাথে ঝামেলা, বাবা-মা-ভাইদের সাথে ঝামেলা, চাকরি স্থলে সমস্যা , পি এই চ ডি করতে হলে গাইডের সাথে সমস্যা এগুলো পার্টস এন্ড পার্সেল অব লাইফ! ইনফ্যাক্ট আমি আরো এগিয়ে বলব এই সমস্যাগুলোই আসলে জীবন! Life is not pursuit of happiness but fulfillment of life by facing these problems boldly. 

    শুভদীপ বা যেকোন পি এইচ ডি ছাত্রকে স্টয়িকদের মতন ভাবতে হবে-যে সব থেকে খারাপ কি হতে পারে? ৫-৬ বছর কাজ করে পি এইচ ডি পেলাম না- তাইত?  তাতে কি ক্ষতিবৃদ্ধি? যেসব ছাত্ররা ফিজিক্সের মতন জটিল সাবজেক্টে সফল পিএইচডি করার ক্ষমতা রাখে, তারা ফাইনান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, এনালাইটিক মার্কেটে ভাল চাকরি পায়। ইনফ্যাক্ট পিএইচডি করার পরেও ৯০% ফিজিক্সের  তাত্ত্বিক পিএইচডি আমেরিকাতে শেয়ার মার্কেটে এনালিস্ট হিসাবেই কাজ করে। তাতে ডিগ্রি থাকা না থাকা সমান। আসল সমস্যাটা দৃষ্টিভঙ্গীর। আমি ভিক্টিম-এই চিন্তা মারাত্মক স্লিপারি স্লোপ। পলিটিক্সের জন্য ভাল। ব্যক্তিগত জীবনে প্রশয় দিলে, এত শুধু ডিপ্রেশন ভুগবে।  

     জীবন মানেই চড়াই-উৎরাইএর পথ। পৃথিবীর ধনীতম ব্যক্তি ইলন মাস্ক বা জেফ বেজোসের জন্যও এটাই ধ্রুব সত্য।
  • এলেবেলে | 202.142.***.*** | ০৮ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৫৭500044
  • আরে এসেম যে! বহু দিন পর। সব মঙ্গল কুশল তো? আপনি [তুমি] ছাড়া [ভাট] শূন্য লাগে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত