@&/দেখুন প্রথমত বিধিসম্মত সতর্কীকরণঃ আমার জ্ঞান সীমাবদ্ধ এ ব্যাপারে, এ ব্যাপারে কেন- সব ব্যাপারে, সীমাবদ্ধ কেন- শূন্যের দিকে...ইত্যাদি কাঁদুনি/ ন্যাকামো।
তবে, মিথোলজির গপ্পের যা মজা- কে বলছে... কে শুনছে... কি শুনছে... আপন মনের মাধুরী মিশছে তো।
আমার দৌড ঐ নীল স্টিভেনসনের "স্নো ক্র্যাশ" নভেলে টাওয়ার অফ ব্যাবেল/ ফল অফ ব্যাবেল যতটা উল্লেখ আছে ততটা। ওখানে এটাকে কিন্তু ভালো বলেছে। কিন্তু আপনি যেভাবে ভেবেছেন সেভাবে নয়। ভালো- সোসাল ডিস্টান্সিং- আইসোলেসন- কোয়ারান্টাইনের মতো। ভাষার আলাদা হওয়ার কারনে, কেউ কাউকে বুঝবে না, কুচিন্তার আদান প্রদান হবে না (ফেক নিউজ ভাইরাল হবে না)।
অনেকে দুঃখের ভাবে এই কারণেঃ ফল অফ ব্যাবেলের আগে মানুষ প্রায় ভগবানের কাছাকাছি পৌঁছে গেছিল। খেয়াল করুন টাওয়ারটা স্বর্গ পর্যন্ত পৌঁছে গেছিল। মানে এক ভাষায় কথা বলা মানুষ কত শক্তিমান, ভগবানের প্রতিস্পর্দ্ধি। কিংবা ভগবানের কাছাকাছি (আদম ইভ তখনও ইডেনে ঘুরে বেড়াচ্ছে)। সে যুগে, মানে, মেসোপটেমিয়ান প্যান্থিয়নে দেবতারা সব ভালো ছিল না, ভালো মন্দে মেশানো, কয়েকটা তো বেশ বদ। এসময়ের আগে তো ভগবানও ছিল না- সব "ডেমন"- শুধু ভালো বা খারাপ। তা এখানে ভগবান হিংসুটে, প্রতিশোধপরায়ণ। টাওয়ার ভাঙল। তারপর "ডিভাইড এন্ড রুল"। মানুষ একত্রে থাকতে পারবে না- ভিটে মাটি ছেড়ে চলে যেতে হবে দূরে দূরে। স্বর্গ থেকে দূরে।অন্য অন্য ভাষায় কথা বলবে- অন্য সংস্কৃতি হবে- এতটাই হবে মানুষ নিজেদের মধ্যে মারামারি হানাহানি করবে- শুধু যুদ্ধের ভাষা বুঝবে।
বঙ্গ ভঙ্গ কিংবা '৪৭ এর পার্টিশনের ক্ষত তিন প্রজন্ম পরে এখনও ভুক্তভোগীদের নাতি নাতনীদের কাছে বেদনাদায়ক। যদি বলেন পার্টিশনের জন্য কিছু উপকার হয়েছে- তারা তাড়া করবে লাঠিসোটা নিয়ে। আবার ব্রেক্সিটও হয়।
আপনার যুক্তি আমারও। ভাবের আদান প্রদান- বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান। আরো বিশেষত এখন- যোগাযোগ বেড়েছে বলে। আমরা দু মহাদেশে বসে গ্যাঁজাচ্ছি, সরি, ভাটাচ্ছি!
ভবিষ্যতে 5G (মিনিমাম টাইম ল্যাগ) আর ট্রান্সস্লেশন এ.আই উন্নত হয়ে গেলে ভাষার ব্যবধান আর থাকবে না। যে যার নিজের ভাষায় রিয়েলটাইমে বাতচিত করতে পারবে। এমনিতেই ট্রাডিশনাল ভাষার জায়গা সংকুচিত- মিম, ইমোজি, ইন্স্টাগ্রামের ছবি আর টিকটক ভিডিওর জন্য- সে অন্য কথা। অন্যত্র।