ঠিক, রমিত। সেদিক থেকে বাদ দেওয়া যায় না।
মেয়েদের রিপ্রেসেন্টেশন আছে বলেই পা গো র কথা তুললাম। এমনিতে পা গো একটা পড়ে নিলে , বাকি গুলো আর পড়ার দরকার নেই। খালি লোকেশন আর ভিলেন বদলায়, আর কিছু না।
হ্যাঁ, সেই হিসেবে ধরতে হবে ঠিকই।
আর মান ভালো মন্দ যাই হোক, জনপ্রিয়তাও আমি একটা বড় ব্যাপার বলে মনে করি, সেদিক থেকেও ধরা উচিত।
বাচ্চু বিচ্ছুকে ধরবে না কেন? যেটা বিষণ বসুর সাথে তর্কে আমি আর হুচি বলেছিলাম যে পান্ডব গোয়েন্দা পড়লে এট লিস্ট মেয়েদের পাওয়া যায়। পুরো সমাজ থেকে তাদের মুছে দেওয়া নেই। বাব্লুর মা ইত্যাদিও উপস্থিত।
এবার পান্ডব গোয়েন্দা গল্প হিসেবে খাজাস্য খাজা। সে ধর আমি ছোটবেলাতেই শার্লক হোমসের অনুবাদ পড়ে ফেলেছিলাম। ফলে একবার হাউন্ড অব বাস্কারভিলস বা সাইন অব ফোর পড়ে ফেলার পর আর ফেলুদা কিকিরা সন্তু কাকাবাবু কিচ্ছুই তেমন জুতের লাগে নি। অক্ষরের খিদেয় সবই পড়ে ফেলতাম অবশ্য। তা এদের মধ্যে পা-গো বিশেষ খারাপ। কিন্তু ঐ আর কি।
এসব বাজারি মিডিয়ার অপপ্রচার, মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। আইপ্যাকের টাকা খেয়ে হলদি নদীর কুমীরেরা সিপিআইএম নেতার ছদ্মবেশে এইসব বিবৃতি দিচ্ছে।
তবে নলিনী দাসের গোয়েন্দা গন্ডালু ছিল, সব্বাই মেয়ে, সেই ষাট-সত্তরেই।
হ্যাঁ, কলাবতী, কোনি তো প্রবাদপ্রতিম।
পাণ্ডব গোয়েন্দাকে আমি হিসেবে আনছি না।
রমিতবাবু, ওগুলো যখন শুরু হয়েছে ততদিনে আর আমার কিশোর সাহিত্যে খুব রুচি ছিল না :)
আরেকটা ছিল বোধয় গোয়েন্দা দময়ন্তী, ক্যাটস আই বলে একটা ডিটেকটিভ এজেন্সি ছিল তার।
আনন্দমেলা তে দীপ কাকু আর মিতিনমাসির যে উপন্যাস গুলো বেরোত, সে গুলো ভালোই হতো। দুটো তেই মেন এসিস্ট্যান্ট ঝিনুক আর টুপুর ভীষন ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। আর মিতিনমাসি র চরিত্রে তো একজন ওয়ার্কিং মাদার ভালোই ফুটে উঠেছে। এছাড়া মতি নন্দীর কলাবতী ছিল। পাণ্ডব গোয়েন্দা তেও মেয়ে রা ছিল গ্রুপে।
মেসি আর বার্সা র বিচ্ছেদ হয়ে গেল। শতাব্দীর স্বপ্নভঙ্গ।
ওই সময়ের সবার লেখাতেই মেয়েদের কমই দেখা যেত। এখন কী হয় জানি না, অনেক বছর হল বাংলা কিশোর সাহিত্য পড়ি না। থাকলেও আনইমপর্ট্যান্ট এক্সট্রা। পাগোতে ছিল কিন্তু ও হিসেবে এনে লাভ নেই। তার ওপর রায় পরিবারের ব্রাহ্মপনা। এই সব অবাঞ্ছিত এবং পাল্টানো দরকার তবে একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে নিন্দে করতে হলে বিংশ শতকের ব্যাকড্রপটা মাথায় রাখা ভালো।
কাকাবাবুতে দেবলীনা আসার পর কেমন একটা ঘেঁটে গেল। কলকাতার জঙ্গলে অবশ্য ভালো লেগেছিল। ঋভুর শ্রাবণে বুলবুলিকে মনে থাকবে সব সময়। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখায় মেয়েরা থাকতো। কিশোর সাহিত্যে মেয়েদের কথা এলে গন্ডালুর কথা আসে, আমি খুব মুগ্ধ হইনি যদিও কখনো, তার ওপর আরো অনেক আগের কথা।
সবই আনন্দমেলার লেখাপত্র, এর বাইরেও এই নিয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু মনে পড়ছে না।
আর বিশেষ মনে টনে পড়ে না। ছোটবেলায় মুগ্ধ হয়ে পড়তাম, তবে ক্লাস নাইনের পর আর কোনদিন সত্যজিৎ রায় পড়িনি, জানি না এখন, বা এমনকি দশ বছর আগে পড়লেও কেমন লাগতো। ছোটগল্প গুলি বোধহয় ভালোই লাগবে, কিন্তু থাক বাপু।
বাংলা কিশোর সাহিত্য মেয়েরা - এই নিয়ে কেউ একটা প্রবন্ধ লিখে ফেলুন না।
এই ক্রিকেট নিয়ে আদিখ্যেতা একটু কম হলে হকি-কুস্তি -বক্সিং -আর্চারি -শুটিং-ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি আরো অনেক খেলাতেই ইন্ডিয়া কনসিস্টেন্টলি ভালো রেজাল্টস করবে গ্লোবালি।
বেশির ভাগ স্পনসরশিপ /এনডোর্সমেন্ট/ লাইমলাইট এই একটা খেলা টেনে নেয়। এদিকে আইপিএল র মত সব টুর্নামেন্ট আদতে চালায় যত বেটিং সার্কিটস।
ওহ অরণ্য মিসিয়ে গেছিলাম। আসলে ওই ধরনের সিনেমা পছন্দ হয় না। আর শারুক খানকে তো আরও নয়।
হ্যাঁ, ছেলেদের ৫ থেকে ৩ এ উঠে এসেছে, মেয়েদের ৯ থেকে ৭ এ এসেছে। ২ ধাপ করে উঠেছে।
ভেরি গুড।
আর এখানে এখনকার .
নিস্চয়ই করবে । ভারতীয় হকি-র পুনর্জন্ম হল, বলা যেতে পারে
আশা করি এই মোমেন্টামটাকে কাজে লাগিয়ে এর পরে আরো ভাল করবে।
প্রাউড তো বটেই
বেশ কিছুক্ষণ একজন প্লেয়ার কম নিয়ে খেলেছে
অসম্ভব লড়াই। কুর্ণিশ।
হার্টে ব্রোকেন না অরণ্যদা, সুপার প্রাউড অফ দেম।
অভ্যু মশাই,
লেঁবু-চঁকোলেটটাঁ কেমন ছিঁলো? আজ তো বৃহস্পতিবার।
৪-৩ এ হেরে গেলো মেয়েরা। ব্রোঞ্জ আর এলোনা। তবে ছেলে মেয়ে দুটো দলই দারুন খেলেছে এবার। মাচ এবোভ এক্সপেকটেশন।
হার্ট ব্রোকেন
এই না না আমার গল্পের সব চরিত্র কাল্প-নিক। আসল শাসমলবাবু দীর্ঘজীবী হউন।
ব্রতীন, খেলা দেখছো নাকি?
'চায়ের দোকানে ফটিক কাজ করছিল, বাচ্চা মেয়েরা কাজ করে না?'
ইয়ে, ঠিক কয় জায়গায় করে? ঘরের কাজে যেমন বাচ্চা ছেলে খুব কম দেখা যায়, চায়ের দোকানের কাজেও তো বাচ্চা মেয়েরা প্রায় দেখাই যায়না, আজও।
এইসব দেখলে আজ বিশ্বজ এসে তিন তিরিক্কে করে লাফিয়ে নিতেন। হয়তো অজস্র ভয়ানক ভয়ানক গুগল ট্রান্সলেট নামিয়ে নামিয়ে য র ল ব হ করে দিতেন। ঃ-)