যদুবাবু, টইতে একজনের পদবী শাসমল দেখলাম। আপনি আবার কিনা মিঃ শাসমলের শেষরাত্রি বললেন?
ভারতবর্ষ 3-2 এ এগিয়ে।
যারা নিজের নামটাও লিখতে পারছে না কোন গল্প থেকে এক ডজন গপ্পের কোন গল্প টোকা হয়েছে সেইটা ঠিক করে লিখতে পারছে না তারা আবার সত্যজিত রায় ঋণস্বীকার করে নি বলে ন্যাজ নাড়াচ্ছে? কি খোরাক মাইরি। সত্যজিতবাবু কবেই মরে ফৌত হয়েছে। বেঁচে থাকলেও গুচ্চন্ডালি পড়তেন না। তাও ভয়ের চ্চোটে এরা নিজের নাম গল্পের ১-২-১ ম্যাপিং কিছুই বলতে পারছে না। চালুনি কি মশাই এ ত মশারি বলে ছুচকে ভাই পোদে তোর কেন ছ্যাঁদা?
যাকে বলে 'লিটিল ডিড আই নো'। :(
তবে হলফ করে বলছি ঐ ঘুরঘুট্টি রাত্তিরে কেবিনে বসে বসে খুব ভেবেছিলাম জীবনে তো দমদমের কুখ্যাত মশা ছাড়া কোনো প্রাণী-ই হত্যাটত্যা করিনি, আমার নিশ্চয়ই সেই মিঃ শাসমলের শেষ রাত্রির দশা হবে না।
গীতাঞ্জলি ঝেড়ে Songs of Offering লেখাটা বাদ গেছে।
ও আচ্ছা, দৌড় বুঝেছি।
Death of a Salesman
শুধু গল্প?
নাটককে নাটক সীন বাই সীন চুরি হয়েছে। ভিডো ক্যাসেট জোগাড় করে কপি পেস্ট। নামকরা নাটকের দল এটা করেছে। ফেরিওয়ালার মৃত্যু।
দুজনের ভয়েস ম্যাচ করেনি। উৎকট শোনাচ্ছিল। কিছু একটা ভক্তিমূলক গান।
তবে আজকালকার জেনারেশন নাকি ফেলুদা পড়ে না তেমন।
ছোটোগল্পগুলো তো অধিকাংশই অনুপ্রাণিত। এইরকম নেট যুগ এসে সব পর্দা ফাঁক হয়ে যাবে তা মনে হয় সেইসময়কার বহু মহারথীই কল্পনাও করতে পারেন নি। তাই বড় বড় ইংরেজীওয়ালা বড় বড় লাইব্রেরীর অ্যাকসেসওয়ালা বিদেশী পত্রপত্রিকা লেনেওয়ালা সেইসময়কার বহু লেখকই ওভাবে 'অনুপ্রাণিত" লেখা লিখে জাতিকে কৃতার্থ করতেন। কোনো ঋণস্বীকার অনেকেই তখন করতেন না।
ওই গান নিজেই গেয়ে দিয়েছেন নাকি? কী সাংঘাতিক! ভালো ভালো শিল্পী তো ছিলেন, হেমন্ত টেমন্তরা ছিলেন, তাঁদের দিয়ে গাওয়ালেন না কেন?
"এক ডজল গপ্পো " এবং "আরো এক ডজন" এর গল্পগুলোর মধ্যে প্রচুর তো টোকা, থুড়ি অনুপ্রাণিত।
রায় মশাই নো ডাউট সিনেমা খুব ভাল বানাতেন। গান বাজে গেয়েছেন উৎপল দত্তের লীপে আগন্তুক সিনেমায়।
বৈকুণ্ঠ মল্লিকের কবিতা নিয়েও সেম কেস।
নিজে ভাল কবিতা লিখতে পারতেন কি রায় মশায়?
ফেলুর গল্পে ডিটেকশন দুর্বল। আমার ধারণা, কোথাও পড়েওছিলাম বোধহয়, রায়মশাই ফেলুর গল্প গোয়েন্দা গল্প হিসেবে প্রজেক্ট করতে চাননি। অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী হিসেবে লিখেছিলেন। তারপর কী হইল জানে আনন্দবাজার মার্কেটিং।
সত্যজিতের কলমের মহিমা ছোটগল্পে। বিশেষতঃ এক ডজন আর আরও এক ডজনে।
সিনেমাতে তো একেবারে "তাং মাত করো" করিয়ে ছেড়েছে ।
বাচ্চাদের জেনারেল নলেজ বাড়াতে চাও কেও মানা করছে না, কিন্তু একজন মানুষকে হাস্যস্পদ করে মজা নেওয়ার কী দরকার বাপু?
জটায়ু তো সোনার কেল্লা য় এসে যোগ দিলেন।
ঐ সব গল্পে তখনও জটায়ু আসেন নি।
জটায়ু আসার পরে জিনিসটা উটের পাকস্থলী হয়ে গেল। এবং সম্ভবত ওটাই ঠিক।
শশধর যে কেন ভাগ্নের বিয়ের কথা বলতে গেলেন কেজানে! বলতে পারতেন ভাগ্নের জন্মদিন বা অন্য কোনোরকম উৎসব। বানিয়েই যখন বলছেন, বিয়ে ফিয়ের প্যাঁচে কেন পড়তে গেলেন কেজানে। বিধিনিষেধ তো বিয়ে টিয়ের টাইপের ব্যাপারেই থাকে, অন্য কোনো সেকুলার কিছু অনুষ্ঠান ছিল বললেই পারতেন।
হেলমুট উঙ্গার নাকি তার মায়ের মৃত্যুর পর বাবা আবার বিয়ে করলেন দেখে বাবার ওপর শ্রদ্ধা হারায়। রাবিশ!
বীরেন্দ্রের আরেকটা নাম ছিল হেলমুট উঙ্গার। এঁকে তোপসে বলত হেলমেট। ঃ-)
শেলভাঙ্করের ক্যামেরায় সব উঠে গেছল। সে তার বাবার খুনের ঘটমান ফোটো টেলিফোটো লেন্স দিয়ে তুলে রাখে। নিশিকান্তবাবুও কিছুটা জানতেন। শশধর বোস আবার চৈত্র মাসে ভাগ্নের বিয়ে দিয়ে ঘাটশিলা থেকে ফিরলেন। ফেলুদা বুঝিয়ে দিল ওটা নিষিদ্ধ মাস, ও মাসে হিন্দুদের বিয়ে হয় না।
ফেলুবাবুর গোয়েন্দাগিরিতে যে বুদ্ধিটা কোনদিক দিয়ে তাকে খরচ করতে হল, সেটাই তো এক রহস্য! অধিকাংশ কাহিনিতে শুরু থেকেই বোঝা যায় কারা শেষে ধরা পড়বে। গ্যাংটকে গন্ডগোলে তো রীতিমতন কার ক্যামেরায় সব ছবিই উঠে গেছিল, তিনি আবার নিজেই ফেলুবাবুকে দিয়ে গেলেন সেসব।
কিশোর মন মানুষের প্রাণের চেয়েও যক্ষীর মাথা নিয়ে বেশি কনসার্ণড। ছিটকে পড়া পোড়া মাংস ছাই ধ্বংসস্তুপ সব আনইমপরট্যান্ট, যক্ষীর মাথা চাই, যক্ষীর মাথা কোথায় গেল?
ওফ্ফ, কী মাথা! ঃ-)
একটা বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গেল, সব যাত্রী মৃত। ফেলুদা সেই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে যক্ষীর মাথা খুঁজছে। হরিবল!
তারচেয়ে টুকে টুকে যেগুলো লিখেছেন সেগুলো খানিক দাঁড়িয়েছে। আগাথার থেকে কয়েকটা টুকলে পারতেন। জমে যেত।
হীরক রাজার দেশে সিনেমায় পণ্ডিতমশায়ের পাঠশালায় সব ছাত্র ছেলে। সেই সিনেমা আবার শেষে গিয়ে "সাম্যের" কথা বলে। দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। এই সাম্যের ইকুয়েশনেও একটি বালিকাকে দেখা যায় না।
ফটিকচাঁদ কি একটা বাচ্চা মেয়ে হতে পারত না? প্রবলেমটা ঠিক কোথায় ছিল? একজন বালিকা যখন ফটিকচাঁদ পড়ে বা সিনেমাটা দেখে, সে কি গল্পটা একজন বালকের চেয়ে কম উপভোগ করে? চায়ের দোকানে ফটিক কাজ করছিল, বাচ্চা মেয়েরা কাজ করে না?
মুশকিল হচ্ছে যে এসব প্রশ্ন তুললেই " সাহিত্যে পোলিটিক্যাল কারেক্টনেস-এর কী আছে?" বলে কিছু লোক হাঁ হাঁ করে তেড়ে আসেন। না। পোলিটিক্যাল কারেক্টনেস শব্দটা ব্যবহার করে ব্যাপারটার মোড় ঘুরিয়ে দেবার দরকার নেই। সাহিত্যে শ্রষ্টার স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি। তবে সেটা টোকা গল্প বলতে গেলে যেমন পোলিটিক্যাল কারেক্টনেস নিয়ে খোঁচা দেবার স্কোপ থাকে না, তেমনি একপেশে নারীবর্জিত বললেও ঐ একই গ্রাউন্ডে খোঁচা দেওয়া চলবে না। রায় মশাই মাঝারি মানের লেখক ছিলেন। সেটাও গ্রেস দিয়ে বলছি। এবং ওঁর কিশোর সাহিত্য নিয়ে আহাউহু করবার আগে একটু ভেবে দেখা দরকার, (কিশোরীদের বাদই দিলাম) কিশোররা কী শিখছে।
একটা লোকও বিশ্বাসযোগ্য কোনো পেশায় নেই। সব হয় জমিদার বাপদাদার পয়সায় মোহর, মূর্তি, ছবি এইসব কিনে বেড়ান, নয়ত "বুঝলে রঘু, করতে পারতাম অনেক কিছুই" মোসাহেবদের কাছে এইসব আঁতলামি করে বেড়ান।