শুকতারা তে কী কী থাকতো যাদের মনে নেই তাদর কে বলি। "যাদের সান্নিধ্যে এসেছি", ফ্রান্সিস এর ধারাবাহিক উপন্ন্যাস থাকতো। গল্প প্রতিযোগিতা থাকতো। প্রথম আর দ্বিতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত গল্প গুলো ছাপা হবে। যথেষ্ট উচচ মানের সেই গল্প। সেই সময় পুরষ্কার মূল্য ছিল যথাক্রমে 15 আর 10 টাকা। অরুণ দে র হাসির গল্প থাকতো। হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের অলৌকিক গল্প থাকতো। বিদেশী গল্প থেকে সরাসরি অনুবাদ গল্প প্রতি সংখ্যায় থাকতো।
ময়ূখ চৌধুরীর "শের উড বনে রবিনহুড" এইরকম গল্প প্রতি সংখ্যায় দুপাতা থাকতো।
ময়ুখ চৌধুরীর আরো কমিক্স থাকতো যেমন একটা মনে আসছে "লংবো" বনাম "ক্রশবো" এই দুই টাইপের ধনুক নিয়ে। বিশ্বনাথ রায়ে র "একটি আবিষ্কারের কাহিনী" থাকতো।
আর কেউ একজন লিখেছিলেন, এখন তো লেখাপত্তর নরক সংকেতে ভরে যাচ্ছে। ইতিহাস বা বাঙালীর ইতিহাসেও ভরে যাচ্ছে, ছোট ও বড়দের লেখাও।
এর সোশাল সাইন্সটা কী ? এ কি শুধু বিষয়ের অভাব বা লেখকদের অক্ষমতা ? কে বলবে ?
২১ জুলাই ২০২১ ১৪:০৩,
আমিও আছি, আঁতেলপাড়া আমাকে খেলতেও নেয়না।
বোধি তার পুরোন লেখায়, কোনি বইটার যে অংশটার উল্লেখ করেছিল, খুঁটিয়ে পড়লে দেখা যাবে সেটি সাবটেক্সটে ভর্তি !!
বোধির যে মত তাতে আমি সাব্স্ক্রাইব করি না (কারণটা লেখার মধ্যেও আছে) , বরং এই মনে করি যে তথাকথিত ছোটদের জন্য একটি জন্য লেখায় মতি নন্দী কিছু তর্ক তুলছেন। সাঁতারু শব্দটির বদলে ঐ পরিচ্ছেদটিতে 'আর্টিস্ট' শব্দটি বসিয়ে দেখুন, বুঝবেন যে মতি নন্দীর প্রশ্ন যেন এটাই যে খাওয়া - পরার সুরাহা হয়ে গেলে একজন প্রতিভাশালী মানুষ বা আর্টিস্ট তার কাজ করে উঠতে পারে কিনা ? নাকি, তাকে বিশেষ কিছু হতে গেলে বা করতে গেলে, আর্টিস্ট হিসেবে সফল হতে গেলে স্ট্রাগল না করে উপায় নেই ?
আর একটি সাবটেক্স্ট দেখুন , আবাপ হাউজে যখন কৃত্তিবাসী 'প্রতিভাশালী' লেখকদের সুযোগ দেওয়া হল, যার মধ্যে মতি নন্দীও ছিলেন, তো সন্তোষকুমার ঘোষের বক্তব্য ছিল, ঐসব লেখকদের খাওয়া - পরার সুরাহা করে দিলে তারা লেখায় মন দিতে পারবে। মতি নন্দী ঐ সমবেত লেখককুলের সদস্য হয়েও, খিদ্দার আইডিয়া বা বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই যেন 'ভাল' লেখা হয়ে ওঠার ব্যাপারে অথবা নিজেদের লেখক অস্তিত্বের ব্যাপারেই প্রশ্ন করছেন !!
(মতি নন্দী খিদ্দার মধ্যে দিয়ে কথা বলছেন, কিন্তু কী বলছেন সেটা বোধি যা বুঝছে আমি সেরকম বুঝছি না । )
এবার " বাজার" বলেই বাজারকে ছাড় দিচ্চি ক্রেতার ঘাড়ে দোষ দিয়ে এমনটা উদ্দেশ্য নয়। বক্তব্য হল সিম্পটম কে শুধু পাকড়ে থেকে আলোচনা এগুবে না।
বোধিবাবু এট আল এর কাছে যে তুলনামূলক আলচনা গুলো পেতে চাই যে, ব্যর্থ যুব আন্দোলনের ভয়নকর রূপ একা বাংগালী দেখেচে তা ত নয়। আয়ারল্যান্ড থেকে আম্রিগা সরবত্র। তো সেক্ষেত্রে, পীস টাইমে কিশোর সাহিত্য শিল্প কোন ধারা নিল? সেখানেও কি সেফটি ক্যাপ্সুলে মুখ গুজল?? ইত্যাদি।
"... কেউ আছে কিনা যে শুধুই আনন্দমেলা পড়ে রাজনীতিহীন হয়ে গেছে ..."
নিয়মিত আনন্দমেলা পড়ত, এবং পরে গাঁতিয়ে কলেজ পলিটিক্সে অংশগ্রহণ করেছে এমন অনেক দেখেছি - - বেসিক্যালি আমি সেরকম কোনো কোরিলেশন খুঁজে পাই নি।
তবে হ্যাঁ, আনন্দমেলা তাদের ক্লায়েন্টেল এর চাহিদা অনুযায়ী বুঝে কনটেন্ট দিত সেটা তো বটেই।
এগজ্যাক্টলি! এর ওপরে ছিল নকশাল আন্দোলন নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের দগদগে স্মৃতি।
একক একদম ঠিক জায়গায় ধরেছে।
একটা দরকারী কথা পড়লুম কে লিখলে হুতো নাকি যে , নকশাল আন্দোলনের বীভৎসতা বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে সেই যে ঘাবড়ে ঘোড়া করেদিল "সেফ লিটারেচার "এ মুখ গোঁজার ঐটে বড় কারন। এরপর বাজারি পত্রিকা বাজার বুঝে চলবে তাকে হাওয়াকল বানিয়ে কী লাভ।
লোকে ঐটে চাইছিলো।
দেখো, এটাকে এজেন্ডা বা প্রোপাগান্ডা কি করে বলি।
আনন্দমেলার যা দাম ছিল, তাদের যে টার্গেট অডিয়েন্স ছিল, মানে যারা পয়সা দিয়ে এই ম্যাগাজিন কিনে পড়বে, তারা সমাজের যে শ্রেণীতে বিলং করত, তারা যা পড়তে চায়, ম্যাগাজিন সেইরকম লেখাই ছাপাত।
চটকলের ধর্মঘটে আটকানো শ্রমিক পরিবারের বাচ্চারা যে পয়সা দিয়ে এই ম্যাগাজিন কিনে পড়বে না, সেটা জানা কথা, তাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কন্টেন্ট এতে থাকার কথাও নয়।
কলেজের ছাত্র রাজনীতি কিন্তু লেখাপড়ায় ভাল স্টুডেন্টরাও করে। মানে, আগে অন্তত করত দেখেছি। এখন মুশকিল হল, ছাত্র রাজনীতি এত ভায়োলেন্ট - মারপিট, গালাগালি, রক্তারক্তি এসব এত হলে তো ন্যাচারেলি লোকজন এসবের মধ্যে জড়াতে চাইবে না।
কলেজের মধ্যে দুদল ছেলেমেয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট করার একটি উপায় হল স্টুডেন্ট পলিটিক্স - এই পারসেপশন তো একেবারে মিথ্যে নয়।
সঞ্জীব চাটুজ্জে মাইরি পড়া যেত না। পাগলের গুষ্টি। এক মামা রাতে উঠে অংক করত, আরে মামা রোজ রাতে ঘুমোতে যাবার সময় জোরজবরদস্তি এক ঘন্টা সেতার শোনাত রেকর্ডে। যে কেউ পাগল হয়ে যাবে।
লসাগুদা, মেসেজ আমিও পাইনি। ট্রেন্ড বিচার করতে গেলে এখন এসব মনে হয়। এবার কথা হলো আমরা তো সবই পড়তাম, নিয়মিত আনন্দমেলা পড়তাম, তার বাইরে, আমি অন্তত, দিনে দু তিন ঘন্টা লাইব্রেরিতে কাটাতাম, ধরো ক্লাস থ্রি থেকে ক্লাস সেভেন এইট পর্যন্ত, এইবার আমি জানি না এমন কেউ আছে কিনা যে শুধুই আনন্দমেলা পড়ে রাজনীতিহীন হয়ে গেছে, বা আমার দেখা এমন লোকজনও আছে যাদের বাড়িতে ছোটবেলায় ভয়ানক সমাজসচেতন বিপ্লবী সাহিত্য ছাড়া কিছু ঢুকতো না এবং বড় হয়ে চাড্ডি হয়ে গেছে।
এবার হতেই পারে অনেকে মেসেজটা পেয়েছে, তাদের আমি চিনি না। কিন্তু এখন ফিরে তাকালে মনে হয় এজেন্ডাটা ছিল।
আচ্ছা আমি ছাড়া শিশুসাথী , ঝলমল এই বইগুলো আর কেউ পড়েনি?
ম্যায় হুঁ না? বালকবৃন্দ ও স্নেহের হিজিবিজবিজ, ঝালে-ঝোলে-অম্বলে যেখানেই আমাকে স্মরণ করিবে, দেখিবে আমি আছি। খালি আঁতেলপাড়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলি।
হ্যাঁ
"... রাজনীতি খুউব খারাপ। রাজনীতি ভাল ছেলেমেয়েরা করে না ..."
এরকম কোনো মেসেজ আমি কিন্তু শুধু আনন্দমেলা কেন, অন্য কোথাও কোনোদিন পাই নি। অ্যাকচুয়ালি আমি কোনো মেসেজই পাই নি। আমার শৈশব কি তাহলে সব মিসড কল ময় হয়ে গেল -
দমদি, হ্যাঁ, সেসব আছে, একেবারেই আছে।
মুশকিলটা হয়েছে ঐ সময়ের সব শক্তিশালী লেখকরা ঐদিকটায় ভিড়ে গেছেন। তার পেছনে আবাপ'র টাকা কড়ি, লবি এইসব তো কাজ করেছে একশোবার। শীর্ষেন্দুর গ্রাম, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের উচ্চবংশজাত প্রতিভাবান পরিবার, খুবই টিপিক্যাল। কিন্তু সুখপাঠ্য ইত্যাদি।
সামাজিক কন্ফ্লিক্ট ইত্যাদি আনন্দমেলার কোন লেখায় আসেনি তা না, কিন্তু সেটা ট্রেন্ড ছিল না তা স্বীকার করতেই হয়।
"গুরুতে সফল মোরগে আত্মজীবনী লেখে" - ওটা নিয়ে ভাববেন না, ওটা সম্ভবতঃ আমাকে টন্ট করে লেখা। কিছু মাস আগে যেখানে যাই লিখি বা কমেন্ট করি সেটাকে ভাটে টেনে টেনে এনে টন্টিং চলেছে। বিরক্ত হয়ে মাজ্ঝে কয়েকমাস ভাট খুলিও নি। আবারও শুরু হলে আবারও ছাড়াতে হবে এই আর কি।
হুতো, রাজনীতিহীন লেখা পড়ে পড়ে সবাই রাজনীতিহীন হয়ে গেল তা বলি নি কিন্তু। আবাপ আমেলা এবং অন্যান্য পত্রিকা , আবাপ কাগ্জটা ইত্যাদি দিয়ে আগাগোড়াই একটা মেসেজ দিয়ে গেছে যে রাজনীতি খুউব খারাপ। রাজনীতি ভাল ছেলেমেয়েরা করে না। এবারে সন্তু, বল কি কলাবতী স্কুল টুল মনে হয় একেবারে আদর্শ জায়গা। বন্ধুবান্ধব সবারই বেশ পরিপাটী টাইপ। আমার যে কারণে মনে হত এইসব ইস্কুলগুলো শুধু বইতে থাকে। আমি কলকাতায় স্কুলে পড়ার সময়ও শিক্ষকদের পক্ষপাতিত্ব বা অন্যান্য ব্যপার স্যাপার দেখেছি কিন্তু সেগুলো মূলতঃ আমেলা নির্ভর গল্পে আসত না। এবার এই পক্ষপাতিত্বের নানা কারণ থাকে। যেমন স্কুলছুট হবার পিছনেও রাজনীতি থাকে। লীলা মজুমদার বা আশাপূর্ণা দেবী ইত্যাদিদের গল্পে কিন্তু এইসব তথাকথিত অসুন্দরের দেখা দিব্বি পাওয়া যায়। ওদিকে শীর্ষেন্দু গ্রামের কথা প্রচুর লেখেন। কোন সময়ের গ্রাম না ভূমি সংস্কারের আগের সামন্ততান্ত্রিক গ্রাম। এইসব নানারকম প্যাঁচাল আর কি।
শুকতারায় মনে আছে শুধু কমিকস - হাঁদাভোদা, নন্টেফন্টে, বাঁটুল দ্য গ্রেট। অন্য কিছুর মধ্যে, শান্তিপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়ের খেলা নিয়ে লেখা। কিশোরভারতী পুজো সংখ্যায় - ময়ূখ চৌধুরী - কমিক্স গল্প।
আমার দেখা - অফ কোর্স - স্রেফ নিজের এক্সপেরিয়েন্স- কলকাতার মধ্যবিত্ত স্বচ্ছল শিক্ষিত পরিবারে - আনন্দমেলা, দেশ - এসবের সানস্ক্রিপশন থাকত - বামপন্থী পরিবারে প্রায় নিশ্চিতভাবে থাকত।
আর ইংরেজি কাগজ নিয়ে, বিশেষ করে স্টেটসম্যান নিয়ে বেশ একটা এলিটপনা - আমাদের বাড়িতে স্টেটসম্যান ছাড়া অন্য কাগজ ঢোকে না - এটা বিভিন্ন জায়গায় শুনেছি।
আচ্ছা আমি ছাড়া শিশুসাথী , ঝলমল এই বইগুলো আর কেউ পড়েনি?
শুকতারা বলতে আমার মনে আছে পান্ডব গোয়েন্দা একেবারে নিয্যস, আর বোধহয় ট্যাঁপা মদনাও। তবে ট্যাঁ - ম অমেলাতেও বেরোত। শুকতারায় আশাপূর্ণা দেবী থাকত মোটামুটি ।
কি একটা ফেবুগ্রুপে যেন আমি আর হুচি বিষাণ বসুর সাথে তর্ক করছিলাম মেয়েদের রিপ্রেসেন্টেশান ইত্যাদি নিয়ে। তখন শুকতারা, পান্ডব গোয়েন্দা ইত্যাদি ম্যলা কথা হয়েছিল।
কেন এটা আর কেন এটা নয়, তা নিয়ে ভাবতে গিয়ে মনে হয় শহরবাসের জন্যে গ্রাম মফস্বলের সঙ্গে একাত্মতার অভাব এমন কিছু কিনা। কিন্তু পথের পাঁচালী বা বুড়ো আংলা পড়ে অভিভূত হতে তো বাধা হয়নি। (বিভূতিভূষণ ব্রাহ্মণ্যবাদী ডেকাডেন্ট এমন অভিযোগ আছে অবশ্য।) কিশোর ভারতীতে শক্তিপদ রাজগুরুর লেখা পশুবাক বলে একটা গল্প পড়ে খুবই মুভড হয়েছিলাম। কিন্তু এছাড়া এই মাছচুরি, মাস্টারমশাইকে উত্যক্ত করা - এগুলো মনে হত পাঠকের ছোটবেলার থেকে লেখকের ছোটবেলার সঙ্গে বেশি কানেক্টেড। সেটা হয়তো পঞ্চাশ বছর আগে ম্যাটার করতো না, কিন্তু সত্তর আশি থেকে সময় তাড়াতাড়ি বদলেছে।
আমি আনন্দমেলা, দেশ - এসব ছোটোবেলায় খুব একটা পড়ি নি। এর কারণ ছিল অন্য - এগুলোর দাম বেশি ছিল। মনে আছে একবার শারদীয়া বর্তমান কেনা হয়েছিল, কারণ তার দাম (খুব সম্ভবত ৮ টাকা) ছিল শারদীয়া আনন্দবাজারের থেকে অনেক কম (খুব সম্ভবত ১৬ টাকা)। আমার অনেক আত্মীয়র বাড়িতে গেলে প্রসাদ, নবকল্লোল, শুকতারা, কিশোরভারতী দেখতাম - এখন বুঝতে পারি তার একটা কারণ বোধহয় ছিল দাম, এগুলো দামে শস্তা ছিল। আনন্দবাজার প্রকাশনার ম্যাগাজিন ও পুজোসংখ্যা গুলোর পাতার এবং প্রিন্ট কোয়ালিটি ভাল ছিল। সে তুলনায় কিশোরভারতী, প্রসাদ - এগুলো ছিল ম্যারম্যারে, হলদেটে শস্তার কাগজে ছাপা।
গুরুতে সফল মোরগে আত্মজীবনী লেখে - হেইডা আপনে কি কইলেন কত্তা? এক ন্যাড়াস্যার সুদু মাঝে মাঝে ভুতের গপ্পো লিকে ছেলেমেয়েদের রাজনীতিহীন পথভ্রষ্ট করেন, এ বাদে ত ফুলহাউস আঁতেল। দাঁত ফোটানোর জো নাই।
পলিটিশিয়ান'কে চিনতে পারছি মনে হচ্ছে।
অ্যাদ্দিনে?!
আমি একেবারেই আনন্দমেলাফেড। আর কিছু আমাদের ওদিকে নিয়মিত পাওয়া যেত না। শুকতারা মোটামুটি, সপ্তাহখানেকের গ্যাপ ইত্যাদি ছিল। কিশোর ভারতী, কিশোর মন এইসব বেড়াতে গেলে, কলকাতা এলে কেনা হত, আর ফিরে গিয়ে ভাবতাম কলকাতায় কত রকমারি বইপত্র পাওয়া যায়। তো, আনন্দমেলা ছিল স্টেপল।
লাইব্রেরিতে শুকতারা আর চাঁদমামা পাওয়া যেত - চাঁদমামা ছিল নাক সিঁটকানোর বস্তু - রাজা রানী, বেতাল ব্রহ্মদৈত্য, অমুক নগরীতে এক ব্রাহ্মণ, সে এক বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার। যাহা পায় তাহা পড়ে টাইপের ব্যাপার ছিল বলে পড়ে তো ফেলতাম, তবে নিতান্ত অপাঠ্যজ্ঞানে। শুকতারা পড়তাম, কিন্তু তাতে কী ছিল এখন আর মনে নেই, কমিকস আর দাদুমনির চিঠি বাদে। এবার ঐ 'দাদুমনি' ব্যাপারটা খুবই কেনু মনে করতাম। দাদুমনি আবার কী?পাঠক কি দুগ্ধপোষ্য নাকি? এইসব গোঁয়ার্তুমি ছিল।
আর রাশিয়ান বইপত্র নিয়মিত ছিল।
এবার ব্যাপার হল, শক্তি নীরেন সুনীল তারাপদ শঙ্খ মতি নন্দী অতীন বন্দ্যো - যখন এঁরা সবাই ছোটদের জন্যে লিখছেন, সাহিত্যমূল্যে তাদের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার সমকক্ষ আর কেউ মার্কেটে ছিলেন না, সেটা নিয়ে তর্ক অবশ্য হতে পারে, তবে সেটা সাহিত্যমূল্য নিয়ে তর্ক।
আবাপ'র এজেন্ডা নিয়ে ইনফ্যাক্ট হনুদার সঙ্গে দ্বিমত আমার কখনোই নেই। কিন্তু কলমের জোর যাঁদের ছিল তারা সবাই আবাপ'র দিকে গেলেন, ছোটরা ঠিক এজেন্ডা বেছে সাহিত্য খাবে, এটা হয়না তাই শুধু না, হওয়া উচিতও না। আবার রাজনীতিহীন কিশোর সাহিত্য পড়েই লোকজন পাইকারীহারে রাজনীতিঅ্যাগ্নস্টিক হয়ে গেল এমন কথা শুনলে এক শিশি জোয়ানের আরক খেতে হয়। আশির দশকের রাজনীতিহীনতার বড় কারন তো নিরাপদ অভিভাবকদের ষাট সত্তর দর্শনের আতঙ্ক।
তো, আমার হল গিয়ে, আবাপ'র এজেন্ডা নিয়ে সন্দেহ নেই, আবার তার কিশোরসাহিত্যের উচ্চ্মান নিয়েও নেই। আবাপ'র সাহিত্য বাস্তবের ক্রাইসিসগুলোকে স্পর্শ করেনি, আর রাজনৈতিকভাবে "সঠিক" সাহিত্য সময়টাকে ছুঁতে পারেনি। এজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করতে গেলে তো ক্রাফ্ট লাগবে, কলমের জোর লাগবে। টাকার জোরের ব্যাপারও আছে, নিয়মিত সার্কুলেশন ইত্যাদি।
কিন্তু চাঁদমামার নাম আসায় অবাক হলাম, চাঁদমামাও কি আনন্দমেলার থেকে সহী?
পলিটিশিয়ান'কে চিনতে পারছি মনে হচ্ছে।
ভয়ঙ্কর সুন্দরের শেষাংশটি শুক্রবারে বের হবে। এখানে লিংক দিয়ে দেব।
কী যে বালের বাঁxx লেখে। লম্বা ছ প্যারায় দাঁড়ি-কমার কোন বাপ-মা নেই। আগাপাশতলা পড়ে কোন মানে বের করা যায়না।
একদম।
ব্র্যান্ড বুদ্ধের প্রচার সিপিএমের ক্ষতিই করেছে।
ব্র্যান্ড বুদ্ধ টাইপ?
শুয়োরের খোঁয়াড় পন্থীদের ইমেজ বানানো এবং ধরে রাখাতে সরকারবাড়ী অনেক কাজ করেছে। সেটা মনে হয় সকলেই স্বীকার করবেন।