নাগরমুথা জিনিষটা ঠিক কি বলতে পারেন? সন্ধানিকা বা আম-্তেলের আচার বানাতে কাজে দ্যায়!
আচ্ছা।
না ওটা কলকাতা কর্পোরেশান এলাকার নিয়ম ডিসি। রেশান কার্ড জমা দেওয়াটা কর্পোরেশানের বাইরে সমস্ত মিউনিসিপালিটি ও পঞ্চায়েতের জন্য প্রযোজ্য
দ দি, আমার বাবার বেলায় রেশান কার্ড জমা দিতে হয়নি। শুধু ডাক্তারের সার্টিফিকেট দেখতে চেয়েছিলো। এটা বোধায় নতুন নিয়ম হয়েছে।
ব্যাকরণ বইতে সম্প্রদান কারকের উদাহরণ হিসেবে হর্ষবাবু সহর্ষে বিরাজ করতেন। ঐ একখানা কারক যার দু তিনটের বেশি উদাহরণ হয় না। হবেই বা কী করে, এক্কেরে বিনা স্বার্থে কেই বা কবে কাউকে কিছু দিয়েছে?
কীরকম শুনি? মাস স্কেলে চাল গম খোলাবাজারে বেচবে বলে?
অন্য কেও জালি কার্ডে রেশন তুলে নিতে পারে সেই ক্ষুদ্র চুরির কথা হচ্ছে না।
কোনোরকম রাজনৈতিক কারণ ছাড়াও রেশন কার্ড সারেণ্ডারকে সর্বতোভাবে আটকানো হয় কারণ চুরি। রেশন তুলছেননা মানেই সেটা সরকারের বেঁচে যাচ্ছে এমননা। এ এক বিশাল চক্র।
আরে ছবিটা দেখে মানেও বুঝতে পারলাম।
মাফ, অক্সিজেন হাপিস।
আরে রশন কার্ড আইডি প্রুফ হিসেবে নয়। রেশন কার্ড জমা নেয় যাতে ঐ কার্ডে জালি রেশন না তোলা যায়। আজকের কাগএই খবর আছে এরকম রেশন তোলার। এবার আমি তো জমাই দিতে চাইছি। সেও ওরা নিতে রাজী নয়। বিচিত্র পরিস্থিতি বটে।
যাক আজ স্থানীয় আধিকারিকের আফিসে গিয়ে খানিক ঝামেলা করে ওদের রেকর্ডে মায়ের নামের এগেইন্স্টে কোন ডিলারের নাম আছে সেই নাম ঠিকানা বের করে এনেছি। আশ্চর্য্যের ব্যপার হল আগে মানে গতবছর এরা সম্পূর্ণ অন্য দোকানের কথা বলেছিল। ন্যচারালি সেই ডিলার মায়ের নামে কিস্যু খুঁজে পায় নি।
সে,
আমার এক্কেবারে আপনার সেই বার্থ সার্টিফিকেট বের করার হেনস্থাটা মনে পড়ছিল জানেন। আমি আবার ভাইকে বললামও।
অনেকেই বলছেন যে মিউনিসিপালিটিতে প্রথম যখন জিগ্যেস করেছিল রেশান কার্ড আছে কিনা তখনই যদি বলে দিতাম না নেই ছিলও না। তাহলেই এত ঝামেলা ঝঞ্ঝাট হত না। সত্যি কথা বলে ঝামেলা ডেকে এনেছি।
কি আর বলব!
এটা ভীষণ বাজে ব্যাপার। পড়লাম পুরোটা। এটা জাস্ট গা জোয়ারি করছে। কোথাও এটা লাগে না ডেথ সার্টিফিকেট এর জন্য। গ্রিভান্স সেল বা এরকম কিছু তে কমপ্লেন করা উচিত । প্লাস পেপারেও চিঠি লেখা দরকার।
ওই আর কি। ভুয়ো রেশন যাতে না ওঠায়।
ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে হেনস্থার ব্যাপারটা খবরের কাগজে ছাপিয়ে দেয়া উচিত। "এই সময়" কাগজে বের করা যায় না?
ডেথ সার্টিফিকেট বা বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য ডাক্তারের ইস্যু করা সার্চিফিকেট এবং শেষকৃত্যের কাগজই যথেষ্ট। আর একটি কাগজও দরকার হওয়ার কথা নয়। এর সঙ্গে নাগরিকত্বেরও কোনও সম্পর্ক নেই। শ্মশান থেকে ইস্যু করা কাগজের ভিত্তিতেই পাবার নিয়ম। যারা এটা নিয়ে টালবাহানা করছে তারা হয় ঘুষ চাইছে নয় আইন জানে না নয় জাস্ট বদমাইসি করছে।
ডেথ সার্টিফিকেট এ আই ডি হিসেবে রেশন কার্ড লাগবে এটা কোথায় বলেছে ?
সম্প্রতি বাবাকে হারিয়েছি। একমাত্র ডেথ সার্টিফিকেট টাই ঠিক ঠাক পেয়েছি, পঞ্চায়েতের ব্যবস্থায়। আর সব কিছুই নানা আনরিলেটেড কারণে ঝুলে আছে। রাজনৈতিক বা অন্য প্রভাবশালী ব্যক্তি ধরা ছাড়া আর কি সলুশন জানি না।
রেশন কার্ড নতুন ইসু করার ব্যাপারটা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে, ওয়ান নেশন ইত্যাদি হওয়ায়, এটাই এখন পশচিম বঙ্গে ভবিষ্যতের এন আর সি সি এ এ র ভিত্তি হবে। এবং এটাই তৃণমূল আর বিজেপির ডিল হিসেবে এমার্জ করবে। প্রি ইলেকশন রেফারেন্স এলেও অবাক হবার কিছু নেই।
কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেট এ রেশন কার্ড ছাড়া আর কিছু আই ডি কেন গ্রহণযোগ্য হবে না বুঝলাম ই না।যাক উপকার যখন করতে পারবও না, ভাট বকে লাভ নেই।
ব্যাকরণ বই ?
এই হর্ষবাবুই একমাত্র রাজা যিনি একই সঙ্গে ইতিহাস ও ব্যাকরণ বইতে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
ধ্যাত, কৌপীন পরে ফিরবেন কেন? বোন রাজ্যশ্রীর থেকে একটা শাড়ি ধার করে সেটাকেই ধুতির মত করে পরে ফিরেছিলেন। আমাদের ক্লাস থ্রীর ইতিহাস বইতে ছিলো।
ব্যাপারটা কৌপীন অব্দি চলে গেলে হয়তো কোনো এক মন্ত্রী ফিস ফিস করে বলেছিলেন, মহারাজ এবার থামুন, নইলে এর পরে ক্লাস নাইনের হিস্ট্রি বইতে লেখা হবে সর্বস্ব দান করিয়া তিনি হাতচাপা দিয়া বাড়ি ফিরিতেন ।'
হর্ষবর্ধন তো কোন মেলায় যেন দানধ্যান করতেন। বিক্রি করতেন না। প্রজাগণকে ধনরত্ন, বস্ত্র অলঙ্কার ইত্যাদি দান করতেন। এই করতে করতে নিজের পরনের কাপড়ও দিয়ে দিলেন, কৌপীন পরা অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন। (প্রশ্ন হল মন্ত্রী সান্ত্রী অমাত্যেরা কেউ ঝট করে ধুতি-উত্তরীয় রাজাকে এনে দিতে পারলেন না? ঃ-) )
ওটা কি হরিশচন্দ্র ছিল ? নাকি হর্ষবর্ধন ? ভুলে গেছি।
ঈশ, যেন হরিশ্চন্দ্র! উত্তরীয় পর্যন্ত নিলামে চড়াচ্ছে।
আরে তেনার বৃন্দাবনে অতগুলো গার্লফ্রেন্ড মেনটেন করার খরচা আছে তো নাকি ? মাসের মাঝে পকেট ফুরোলে হয়তো সেই সোনালি ধুতি আর উত্তরীয় নিলামে চড়িয়ে তিনি কৌপিন পরেই কাটাতেন। তারপর মাস পয়লায় দুধ বিক্রির টাকা হাতে পেলে আবার কিনে নিতেন।
বলে গিয়ে কলেজকালে মাত্তর একখান মেনটেন করতেই আমার হেভি চাপ হয়ে যেত।
তিনি সোনালি সিল্কের ধুতি আর উত্তরীয় পরেন। ঃ-)
গিরিধারী তো গোপাল। তিনি তো কৌপীন পরেন না!
বা মোহন বংশীধারী। ঃ-)
বিড়িধারী তখন কৌপিন পরে গিরিধারী সেজে বসে যাবে।
আচ্ছা এই এন্ডর্সমেন্টের খবর মেসির কানে গেলে উনি পয়সা চাইতেই তো পারেন। কি হবে তখন ঐ বিড়িধারীর?
পুরোনো টই ফের পড়ে দেখলুম আগন্তুক নিধানকে চেনে, নিশ্চয়ই ঘোরতররূপে।
উনার সম্পর্কে প্রচুর কল্পকথা শুনে অবশেষে সাক্ষাত হল যখন বিয়ে করতে দেশে যাব - তার আগে আগেই। নিধান সারাটি রাত জাগিয়ে রেখে আমায় বোঝাল কেন আমার ফ্লাইট পাল্টে থাইল্যান্ড দিয়ে যাওয়া উচিত। খুবই বিস্তারিতভাবে সে বুঝিয়েছিল থাইল্যান্ডের বিশেষ সংস্কৃতির পরিচয় নেবার এই শেষ সুযোগ। একাডেমিক ডিসকাসানে ক্ষান্তি না দিয়ে পেন-্পেপার সহযোগে ট্রাভল প্ল্যান পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছিল।
কালচক্রে নিধানের খবরাখবর আর জিজ্ঞেস করা হয় না। এমনকি সে নিজে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে উঠতে পেরেছে কি না, তাও জানা হয় নি!