গ্রাসরুট পলিটিশিয়ান ধরুন, সব হয়ে যাবে।
এবং আমার 18.47pm এর সম্পূরক আরেকটা প্রশ্ন হল বেঁচে থা(আকালীন প্রবেশানারি ডেথ সার্টিফিকেট বের করে রাখা যায়? প্রবেশানারি ট্যাক্স সার্টিফিকেটের মত? ফাইনালি মরলে ডেট টাইম বসিয়ে স্ট্যাম্প মেরে দেবে।
আমি তাহলে সুস্থ সমর্থ থাকতে থাকতে নিজেরটা বের করে রেখে যেতাম।
আচ্ছা ইসে, একটা সাহায্য যদি কেউ করতে পারেন, বড় ভাল হয়।
আমার মা ২০২০র ফেব্রুয়ারী মাসে মারা যান। অতঃপর উত্তরপাড়া পৌরসভা থেকে বার্নিং সার্টিফিকেট বের করে কোন্নগর পৌরসভায় ডেথ সার্টিফিকেট নিতে গেলে গেলে তাঁরা জানান রেশান কার্ড জমা দিয়ে সেই জমা দেবার প্রমাণপত্রসহ আবেদন করতে হবে। রেশান অফিসে রেশান কার্ড নিয়ে জমা দিতে গেলে তাঁরা নিতে অস্বীকার করেন o জানান যে রেশন ডীলারের কাছে কার্ড জমা দেবার আবেদন জানিয়ে সেই আবেদনপত্রে ডিলারের সই o সীল নিয়ে আসতে হবে। এবার আশির দশকের পরে আর রেশন তোলা হয় নি, কেরোসিন তোলা হত কার্ডে। সেও ১৯৯৮ কি ৯৯র পরে আর তোলা হয় নি। যে রেশন দোকান থেকে তোলা হত সেটি উঠে গেছে। ফলী আমরা জানিই না আমাদের কার্ড সম্বলিত তথ্য কোন ডিলারের কাছে গেছে। রেশন অফিস থেকে আমাকে একটি ডিলারের কাছে পাঠানো হয়। সেই ডিলার সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন আমার ময়ের নাম বা কার্ড সম্পর্কিত কোনও কিছুই তাঁর কাছে নেই। আরো বলে যে কার্ড জমার ক্ষেত্রে ডিলারের কিছুই করার নেই। স্থানীয় আধিকারিকের কাছে জমা দিয়ে ওঁদেরকে সেই প্রমাণপত্র দেখিয়ে যাবার অনুরোধ ওঁরা করেন, কেউ তা মানেন অনেকেই মানেন না। আবার জিটিরোডের রেশন আধিকারিকের অফিসে গেলে তাঁরা আবারও ফিরিয়ে দেন ডিলারের কাছ থেকে স্ট্যাম্প মেরে আনতে বলে। আরও বলে কোন ডিলারের কাছে গেছে সেটা খবর রাখা রেশন কার্ডহোল্ডারের কর্তব্য। ওঁদের পক্ষে লক্ষকোটি কার্ড হোল্ডার কোত্থেকে কী তোলে সেসব খবর রাখা সম্ভব নয়।
এ পুরো সাইক্লিক লুপ। কোনওভাবেই ctrl + C মেরে বেরোতে পারছি না। আমার প্রশ্ন হল
১) রেশন আধিকারিক অফিসে সকলেই এক একখান ডেস্কটপ সামনে নিয়ে বসে আছেন। তো রেশান কার্ড হোল্ডারদের কোথায় কোন দোকানে দেওয়া হয় তার ডিটেলস কি রেশনব্যবস্থা কম্পিউটারইজেশানের সময় কোনও সেন্ট্রালাইঅজড সিটেমে তোলা হয় নি? যদি না হয়ে থাকে তাহলে এমন অপদার্থ সিস্টেম বানানোর জন্য আমাদের মানে ট্যাক্সদাতাদের পয়সা কেন খরচ করা হয়? এরা একটা করে জাবদা খাতায় হিসেব রাখলেই পারেন।
২) আমি কার্ড জমা দিতে চাই, নতুন কার্ড বানাতে নয়। সেক্ষেত্রে রেশন অফিস কেন জমা নিতে চাইছে না? নতুন কার্ড নেবার ব্যপার হলে রেশন দেবার সামর্থ্য আছে কিনা দেখার প্রশ্ন উঠত। জমা নেবার সময় তো বরং রিসোর্স ক্লিয়ার হচ্ছে। তাহলে এভাবে ঘোরাচ্ছে কেন? ঠিক কী উদ্দেশ্যে?
এখন তাহলে আমার কর্তব্য কী?
বিড়িটা খুব মেসি না হলেই হলো।
বাংলাদেশী লিবারাল কলামনিস্টদের লেখায় যে বায়াস তা আগুনের তাপ খুব কাছ থেকেনেবার কারনে। শুধু অভিজিতবাবু নন অনেকেই। পরিস্থিতিকে যুক্তি দিয়ে বিচার করতে যে নৈর্ব্যক্তিকতা লাগে সেইটে অনুপস্থিত। রাত্রদিনে ঘাড়ের ওপর চাপাতি নিঃশ্বাস পড়লে সেইটেই বোধহয় স্বাভাবিক।
হুঁ অভিজিৎ রায় তক্কাতক্কিতে খুব উদার এমনটা আমারও মনে হয় নি। সচলে দেখেছি যদি বিপক্ষ খাজা টাইপের যুক্তি / কুযুক্তি দেয় তাহলে উনি খুবই লেভেল হেডেড আচরণ করেন এবং বেশ ভালভাবে নিজের বক্তব্য রাখেন। কিন্তু যদি বিপক্ষের যুক্তির সত্যিই জোর থাকে, উনি খানিক খেই হারিয়ে রীতিমত অ্যাগ্রেসিভ আচরণ করতেন। এরপরই ঐ তনু যেটা বলল, ভ্ক্তবাহিনী এসে পরিস্থিত নিজেদের হাতে নিতে চায়।
কিন্তু হ্যাঁরে তিতাস তুই এমন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে তক্কো করে বেড়াতিস, তোর তো হেব্বি জোশ ছিল রে!
দেখুন আমার এক বন্ধু প্রেসিতে পড়ত। অধ্যাপক ক্লাস এসাইনমেন্টএর শেষে একটা দুর্বোধ্য ও দুষ্পাঠ্য কমেন্ট লিখে ফেরত দিয়েছেন। মাথার অনেক চুল ছিঁড়েও মর্মোদ্ধার না করতে পেরে স্যারের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছে। স্যার ঐ কমেন্টটা অনেকবার এদিক ওদিক এপাশ ওপাশ করে পড়ে বললেন, "তোমার হাতের লেখা খুব খারাপ, সেটাই লিখেছি "
ইনোভেটিভ ভয়ানক আরকি।
আমি ছোটবেলায় কুশপুতুল ব্যাপারটা কিছুতেই বুঝতাম না - একটা এবড়োখেবড়ো খড়ের মানুষ পুড়িয়ে লোকেরই বা কী লাভ আর পুলিশেরই বা কেন আপত্তি (মাঝে মাঝে স্থানীয় নেতাদের কুশপুতুল নিয়ে গোলমাল হত। বাইডেনের কুশপুতুল নিরাপদ জিনিস, দমকল ছাড়া কেউ কিছু বলবে না)।
দক্ষিন ভারতে যে বাড়ির সামনে একটা রাক্ষসের মুখোশ লাগানো থাকে এটা বেশ। রাস্তার ধারে মাটির জিনিসের দোকানে সারিসারি রাক্ষস পাওয়া যায়।
বেশি ইনোভেটিভ, সুন্দর দেখতে হলে আবার আগুন দিতে খারাপ লাগবে।
আগেকার কুশপুত্তলিকা অনেক ইনোভেটিভ হত, পরিবেশবান্ধবও। এ কী ফ্লেক্স কাটিং করে বাইডেন বানিয়েছে।
(ফ্লেক্স শুনলে পাই আবার উতলা হয়ে পড়ে)
আমার চিরকালই বানান ভুল হত, কিন্তু তার জন্যে আগে কোন সমস্যা হয়নি।
আমার হাতের লেখা এত খারাপ যে স্কুল কলেজে শিক্ষক অধ্যাপকদের অনেকটাই আন্দাজে ভর করে পড়তে হতো। তার ওপর ভয়ঙ্কর লম্বা বাক্য লেখার ঝোঁক ছিল, শেষে এসে শুরুটা কী ছিল মনে করার জন্যে আবার পড়তে হত। তাই বানান বোঝার তো প্রশ্নই নেই, মোটামুটি একটা ভাবার্থ উদ্ধার করতে পারলে তাঁরা হাঁপ ছেড়ে বাঁচতেন।
এখন কম্পিউটারে লেখার চক্করে বানান ভুল গুলো বুঝে ফেলে সবাই।
ঈগলটা নারকেল খাচ্ছে ? ঈগলটাকে পতাকায় ওভাবে মুড়ে দিলে উড়তে পারবে? একই ছবিতে পাখি আর প্রেসিডেন্ট, দুজনেই অ্যাবিউজড
বেচারা বাইডেনের শেষে এই প্রাপ্য ছিল?
খেয়েছে! এরকম মোক্ষম জায়গায় আগুন --
কিউবার উপরে অর্থনৈতিক অবরোধ এবং মার্কিন মদতে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টার প্রতিবাদে রাস্তায় নামল এসইউসি। কলকাতায় বিক্ষোভ হয়েছে মার্কিন তথ্যকেন্দ্রের সামনে। মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট বাইডেনের কুশপুতুলে আগুন দেন এসইউসি-র রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাসবাবু।
১৫ জুলাই ২০২১ ০৩:৪৪ লাস্ট প্যারা ক্ক।
১৫ জুলাই ২০২১ ০৩:৫৬ গুড অবসার্ভেশন।
কেকে, আছো আজ? আরে তোমার উত্তরটা এখন দেখলাম। কেমন করে জানি আগে চোখ এড়িয়েছিল।
তোমার রেসিপি জগন্নাথের মুখে অবশ্যই রুচবে। তিনি জগতের নাথ, জগতের সব দেশের রান্নাই আনন্দ করে খান নিশ্চয়ই। ঃ-)
ভবদুলালবাবুর খাতা তো কে যেন ছিঁড়ে দিয়েছিল। তাতে অবশ্য ভবদুলাল দমেন নি। বলেছিলেন নতুন করে লিখবেন চলচিত্তচঞ্চরি। ঃ-)
এঁদের কমন টপিক হচ্চে খাতাচুরি। কে কার খাতাচুরি করেচে তাই নিয়ে পাতার পর পাতা ভবদুলালগিরি। হেহে।
তার উপরে আবার একদল ভক্ত ফলোয়ার। এঁরাও শেষ অবধি ওই চাড্ডিদেরই আরেক সংস্করণ। সেই "মিশরে গিয়ে রামেরা (মানে রামরাজত্বের জ্ঞানীগুণীরা আরকি) পিরামিড বানিয়েছিল" টাইপের নানা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় রত। ঃ-)
মুক্তমনা নাম নিলেই কেউ মুক্তমনা হয়ে যায়না। অভিজিৎবাবুর লেখা যা পড়েছি তাঁকে আরেক র্যাবেল-রাউজার মনে হয়েছে। অবশ্যই অনেক ঠান্ডা মাথার। কিন্তু অন্য ড্রেন ইনস্পেক্টিং র্যাবেল রাউজারদের মতনই দুটো মূল দোষ -
১। আগে থিসিস খাড়া করে রিসার্চ করেন, এবং চেরি পিক করে তথ্য থিসিসে ফিট করান।
২। ডিডাকশন আর ইন্টারপ্রিটেশনে যুক্তির পারম্পার্য্য দিয়ে সিদ্ধান্তে উপস্থিত হবার প্রমাণ দিতে পারেন না।
আসলে রিসার্চ করা স্পেশালাইজড স্কিল। বহু তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ মনে করেন প্রচুর বই-টই পড়াই রিসার্চ। এখান থেকে খাবলা কোটেশন, অখান থেকে খাবলা, চাট্টি বড় নেম ড্রপিং এই হল ভারতীয় ও বাঙালি ইন্টালেকচুয়ালিজম। সেই সঙ্গে যদি বাগাড়ম্বর যোগ হয় তো সোনায় সোহাগা। উদাহরণ খুঁজতে বেশিদূর যেতে হবে না। এই পাতাতেই মাঝে মাঝে রিপিট টেলিকাস্ট হয়।
এ ব্যাপারে বিপ পাল কি বলে? নির্ঘাত সিপিয়েম কাঠি কচ্চে। ভদ্দরলোকের অনেকদিন খপর নাই।
ঐ ফিবুনাচি বিরহাঙ্ক নিয়ে লেখাটায় গিয়ে ঢুকলাম। কিন্তু কুম্ভিলক কেন লিখেছেন? বানানটা কুম্ভীলক হবে না?
ওরে বাবা, মাইলের পর মাইল ঝগড়া চলছে, ওসব কে পড়বে? তার উপর আবার সেই "নজরুলের কবিতা চুরি করে রবীন্দ্রনাথ নোবেল পান, তারপরে নিজের এক বোনের সঙ্গে নজরুলের বিয়ে দিয়ে দ্যান। সেই বোন ধুতুরা খাইয়ে নজরুলকে পাগল করে দেয়।" এই ধরণের মতবাদের লোকেরাও ওখানে ভাচ্চুর ভুচ্চুর কমেন্ট করেছেন যা দেখলাম। ঃ-)
অভিজিত বাবু যে সুস্থ মত বিনিময় পছন্দ করতেন সেরকম মনে হয় নি, অবশ্য ওঁর সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশন ঐ রবীন্দ্র রাহাজানি পর্বেই একমাত্র হয়েছে। ঐ থ্রেডে 'যাত্রী' নিকে কমেন্টগুলো আমারই। ওঁদের ক্লেমের সাপোর্টিং এভিডেন্স খুব স্ট্রং কিছু না। প্রমথনাথের লেখা মূল পান্ডুলিপি উদ্ধার হলে দাদু ব্যাপারটা কতখানি ঝেঁপেছেন বোঝা যেত।
&/, সময় নিয়ে পড়ুন না, তাড়া কিসের। আগে মুক্তমনাতে খুব ভাল ভাল লেখা বেরোত আর দারুন তর্কবিতর্ক হত।অভিজিৎ রায় এই সুস্থ মত বিনিময়ের ব্যাপারটা খুব ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন। উনি খুন হয়ে যাওয়ার পর মুক্তমনা মজে যাওয়া খালের মত হয়ে গেছে।
হয়েছে মানে হয়েছিল, দেখলাম ২০১১ সালের ব্যাপার ওসব। দশ বছর কেটে গেছে।
ওরে বাবা, স্যান্ডি, আপনার ঐ মুক্তমনা বিশ্বপরিচয় রাহাজানি লিংকটায় গিয়ে জাস্ট চোখ বুলিয়ে দেখে পালিয়ে গেছিলাম। আজ গিয়ে ভালো করে দেখতে গিয়ে টরেটম! বিশা আ আ ল তর্কবিতর্ক হয়েছে সেখানে, ওরে বাপরে বাপ। খানিক দেখে পালিয়ে এলাম। ঃ-)
মনে হয় বানানের ভুলের ব্যাপারটা নেটে অনেকের হয়। বহুক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত নয়। অনেক সময় লেখার কলটি এমন যে ঠিক বানান লেখাই যায় না। আবার কখনো অটোকারেক্ট করে কল ভুল বানান করে দেয় এমনও হয়।