এ বাবা, বিবেকানন্দ বিদ্য়াসাগরকেও ছাড়েন নি? এটা জানতাম না। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে ওনার অনেক উষ্মা ছিল জানি। উনি বোধ হয় একটা স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন - ঠাকুর পরিবার গোটা বাঙালি জাতিকে শৃঙ্গাররসে ডুবিয়ে দিচ্ছে জাতীয় কিছু একটা। পরবর্তীতে এটা আরো প্রকট হয়ে ওঠে যখন রবীন্দ্রনাথ নিবেদিতাকে ওনার মেয়ের ইংরাজী শিক্ষার ভার নিতে বলেন। রবীন্দ্রনাথ কিন্তু ঢিলের উত্তর পাটকেলে না দিয়ে ভদ্রজনোচিত মৌনতা বজায় রেখেছিলেন।
একটা পর্যায়ে মিশনের ওই অসাধারণ স্কুলগুলো গড়ে উঠছিল। সম্ভবতঃ স্বাধীনতা-পরবর্তীকালের মিশনের বেশ কিছু সন্ন্যাসীর আন্তরিক চেষ্টায়। একটা সময়ে তো পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবিত্তশ্রেণীর ভালো ছেলেদের কাছে একটা অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল মিশনের ভালো স্কুলগুলোর কোনো একটি। এবং সেটা অকারণে নয়। পরবর্তীকালে যশস্বী হয়েছেন এমন বহু বড় বড় লোকের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা মিশনের স্কুলে।
কৃষ্ণকলি আমার কোনো দিন পোষায় নি, তার চেয়ে এইটা আমার অনেক ভালো লাগে
যাই হোক বাপু, আমার এই সব কমেন্টকে অতো সিরিয়াসলি নেবেন না কেউ, কোনো ভক্তের মনে আঘাত দিতে চাই না।
রন্জনদা উল্লেখ করলেন বলে মনে পড়ে গেল। রবি ঠাকুরের "কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক" আর মালিকা পুখরাজের গাওয়া "আভি তো ম্যায় জওয়ান হুঁ" এই গান দুইটি বহু চেষ্টা করেছি ভাল লাগানোর, তবুও ভাল লাগিয়ে উঠতে পারিনি। নিঃসন্দেহে ভাল গানই হবে, বিশেষত: রসিকজন যখন ভাল বলেন। হয়ত আমার নিজেরই লিমিটেশন। গানের লিরিকসের তুলনায় সম্ভবত সুর আমায় বেশি টানে। সুর ভাল না থাকলে আমার কান বোধ হয় ভাল ফিডব্যাক দেয় না মস্তিষ্ককে। এই দুটি গানের সুরে সম্ভবত অত মাধুর্য্য নেই। গুরুরা কি বলেন?
গরীব মানুষকে খিচুড়ি খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বিবেকানন্দের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। কিন্তু শিক্ষা বা সাহিত্যভাবনা নিয়ে সেকথা বলা যায় না, বিদ্যাসাগর আর রবীন্দ্রনাথকে হ্যাটা করতে গিয়ে নিজেই হাস্যাস্পদ হয়েছেন।
একবার অভি বলেছিল অনুবাদটা আসলটার চেয়ে ঢের ভালো। ঃ-)
রঞ্জনদা, ঐ ধাঁই ধাঁই বীরত্ব আমার পোষায় না, সে আপনি যাই বলুন :)
জনৈক,
সলমা আগা পাকিস্তানের লাহোরে জন্ম বটে কিন্তু উনি ঠিক পাকিস্তানি নন। লন্ডনে বড় হয়েছেন। বর্তমানে মুম্বাইয়ে থাকেন, পাবলিক পারফরম্যান্স নেই।
পাকিস্তানের শিল্পীদের ব্যাপারে আমার দৌড় সেই ৮০-৯০ দশক অব্দি।
দেশ আলাদা হওয়ার পর যাঁরা পাকিস্তানে রইলেন বা গেলেন তাঁদের মধ্যে প্রথমেই নাম নিতে হবে মালিকা-এ-তরন্নুম বা সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী হিসেবে খ্যাত নুরজাহান। প্রথমে শুনুন ফৈজ আহমদ ফৈজের বিখ্যাত রচনাটি - মুঝসে পহলীসি মুহব্বত মেরে মেহবুব ন মাঙ্গ'। (আমার থেকে আগের মত ভালবাসা চেয়ো না প্রিয়ে)।
তারপরে মালিকা পোখরাজের গলায় "আভি তো ম্যায় জওয়ান হুঁ'। এখনও আমার যায়নি যৌবন।
এরপরে আসবে ইকবাল বানো, যাঁর বেশ কিছু গতকাল স্যান্ডি দিয়েছেন।
তারপর ধরুন কমার্শিয়াল হিট নাহিদ আখতার ও মেহনাজ।
ফোর্জি,
চমৎকার সাইট। কী নেই? গজল, নাৎ, কাওয়ালির দারুণ কালেকশন। এতে আমিরর খুসরো থেকে বুল্লে শাহ, ফৈজ, রুমী সবার রচনা আছে। গেয়েছেন সাবরি ব্রাদার্স, দুই ফতে আলি খান , আরও সব নামজাদারা। এমনকি জগজিত চিত্রাও বাদ নেই।
নিঃশেষে নিভেছে তারাদল---এটা অনুবাদ না? সত্যেন দত্তের? স্বামী বিবেকানন্দের মূল লেখাটা তো ইরেজীতে?
রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তনী অভ্যু বিবেকানন্দের গান নিয়ে হ্যাটা করছে দেখে বড় দুঃখ পেলাম।
বিবেকানন্দকে নিয়ে গিরিশ ঘোষ মশাইয়ের একটি মালকোষে রচনা রয়েছেঃ
'তারা উজ্বল পশিল ধরাপর সুন্দর হৃদয় প্রকাশি,
রত্নগর্ভা নারী রত্ন প্রসবিল--ইত্যাদি (ভুলেগেছি)'।
আরেকটি মিশ্র ছায়ানটেঃ
মূর্ত মহেশ্বরমুজ্বল ভাস্কর মিষ্টমমরনর বন্দ্যম,
বন্দে বেদতনুমুঞ্ঝিতগর্হিত কাঞ্চনকামিনীবন্ধম।
কোটিভানুকর দীপ্তসিংহমহো কটিতট কৌপীনবন্তম,
অভীরভীঃ হুঙ্কারনাদিতদিঙ্মুখ প্রচন্ড তান্ডব নৃত্যম'।
কিন্তু ত্রিপুরার সেই "সহৃদয় সাঁতারু কবি", কোনো তুলনা হয় না। কেউ কোনোদিন কল্পনা করতে পেরেছে এই বিশেষণগুলো পাশাপাশি বসতে পারে???? ঃ-)
নিঃশেষে নিভেছে তারাদল, মেঘ এসে আবরিছে মেঘে,
স্পন্দিত ধ্বনিত অন্ধকার, গরজিছে - ঘূর্ণ - বায়ুবেগে !
লক্ষ লক্ষ উন্মাদ পরাণ , বহির্গত বন্দীশালা হতে,
মহাবৃক্ষ সমূলে উপাড়ি' ফুৎকারে উড়ায়ে চলে পথে !
সমুদ্র সংগ্ৰামে দিল হানা, উঠে ঢেউ গিরিচূড়া জিনি'
নভস্তল পরশিতে চায়! ঘোররূপা হাসিছে দামিনী,
প্রকাশিছে দিকে দিকে তার মৃত্যুর কালিমা মাখা গায়।
লক্ষ লক্ষ ছায়ার শরীর! দুঃখরাশি জগতে ছড়ায়,
নাচে তারা উন্মাদ অন্তরে; মৃত্যুরূপা মা আমার আয়!
করালি! করাল তোর নাম, মৃত্যু তোর নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে
তোর ভীম চরণ - নিক্ষেপ প্রতিপদে ব্রহ্মাণ্ড বিনাশে!
কালি , তুই প্রলয়রূপিনী , আয় মা গো আয় মোর পাশে।
সাহসে যে দুঃখ দৈন্য চায় , মৃত্যুরে যে বাঁধে বাহূপাশে,
কাল - নৃত্য করে উপভোগ , মাতৃরূপা তারি কাছে আসে।
এর থেকে বাপু আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে অনেক ভালো :)
আবদুল আহাদ'এর কোনও আত্মজীবনী আছে কি? কেউ সন্ধান দিতে পারেন?
পাকিস্তানের সিঙ্গারদের সম্বন্ধে কিছু বললে ভাল হয় ।
সালমা আগা যিনি নিকাহ ছবিতে গান করেছিলেন এখন কি গান গায় ?
এখানে কদিন আগে গজল নিয়ে আলোচনা চলছিল দেখলাম। এই সাইটটা দেখতে পারেন। কিছু ভালো কালেকশন আছে।
আহা, তা কেন লিখবে না? হরপ্পাও থাকবে হিজলও থাকবে!
এখন হিজল দিয়ে হরপ্পা মোড়ার হলে হিজলের প্যাশনেট কবিরা হরপ্পার কবিদের সাথে সম্মুখ সমরে জড়িয়ে পড়বেন কি না, সেই এক্জিস্টেন্শিয়াল প্রশ্নটা ভেবে দেখার
তবে বিবেকানন্দের গান নিয়ে বেশি কিছু না বলাই ভালো।
বেশ, থ্যাঙ্কু দমদি
এই যে লিঙ্ক
https://www.epaper.eisamay.com/imageview_3193_13769_4_5_20-06-2021_2_i_1_sf.html
ছেলেটি খুশি, জুতো মারুক গে, ইগ্নোর তো করেনি।
মনে পড়ল রোমন্থনের গল্প। দাড়ি ধরে জুতো মেরেছে সেও সহ্য হয় কিন্তু তা'বলে অপমান করবে? :)
কবিদের বলেছে, গায়কদের বলেনি
আমার মতে কবিদের এরকমই প্যাশনেট হওয়া উচিত।
dukhe | 117.194.245.248 | ১৭ অক্টোবর ২০১১ ২২:০৩493592
হস্টেলের বিখ্যাত গায়ক ছিল যশোবন্ত ওরফে যশো । অমন স্বাভাবিক বেসুরো গলা অতি দুর্লভ । তার সঙ্গে গলায় দেখার মত দরদ । যশো হামেশা আবেগভরে গেয়ে উঠত -
লাল ছাড়ি ময়দান খাড়ি
কেয়া খুব লড়ি কেয়া খুব লড়ি
হম দিলসে গ্যয়ে
হায়
এই 'হায়' টা কোনক্কালে লিখে বোঝানো যাবে না ।
এক সকালে দোতলার বারান্দায় যশো 'পেয়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়' গাইছে, আর জ্যোতির্ময় তিনতলায় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে ভাবছে এত জোরে ধনধান্যপুষ্পভরা গাইছে কে ।
তো যশোর গানের একটা ফ্যান ক্লাব ছিল । যশৈ উদ্যোগী হয়ে চালু করেছিল । তাতে কোন এϾট্র ফি নেই, এক্সিট ফি আছে, আর বাই ডিফল্ট সবাই মেম্বার । ফ্যান ক্লাবের সদস্যদের যশো মাঝে মাঝেই পাকড়াও করে গান শোনাত ।
একবার সারারাত্রি ভাটিয়ে যশো বলল - ছেলেপুলে এত বেলা অবধি ঘুমোয়, এ তো ভালো কথা না । চল, ভোর ভোড় তুলে দিই গে ।
শীতকালের ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ চাদর জড়িয়ে যশো বেরোল । বগার ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়ে গান ধরল - তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে -
ভেতরে মহিষাসুরের চেহারা নিয়ে বগা রেগে গরগর করছে, আর বাইরে যশো অপাপবিদ্ধ বিস্ময়ে প্রশ্ন করছে - ভোরবেলা বিনিপয়সায় একটা ভক্তিমূলক গান শোনাচ্ছি, রেগে যাচ্ছিস কেন ?
সে এক দৃশ্য ।
ত্রিপুরার খবর আপাততঃ এইটে পেলাম ।
ttps://timesofindia.indiatimes.com/city/agartala/3-lynched-in-tripura-on-suspicion-of-cattle-theft-police/articleshow/83687170.cms
কিন্তু ভোগনরা মহাবিশ্বের দ্বিতীয় খারাপ কবি। প্রথমজন এই পৃথিবীরই।
শহর ছিলো বটে হরপ্পা।
দ
আমার মনে হয় ডিডি ঠিক। আমি যদি একটা জোক শোনালাম আর তুমি যদি না হাসো, তাহলে আমার কীরম কষ্ট হবে ভাব।
ইগনোর করার মত বড় পানিশমেন্ট হয় না। অল্পবয়সে ফচকে ছেলেরা কোন মেয়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে পেখম তুলে নাচে, মানে নানান হরকত করে। সাহস হয়না সোজাসুজি বলার-তোমাকে ভাল লাগছে।
মেয়েটি যদি ইগ্নোর করে রাজহংসীর মত গর্বিত চালে এগিয়ে যায় তার চেয়ে বড় কষ্ট আর কিছু হতে পারেনা।
কিন্তু যদি মেয়েটি বলে-চপ্পল খানা হ্যায় ক্যা? ছেলেটি খুশি, জুতো মারুক গে, ইগ্নোর তো করেনি।
তাহলে তো ভোগনদের মতো প্যাশনেট কবি আর কেউ নেই। মানুষকে বেঁধে রেখে কবিতা শোনায়।
ওফ! আবার সেই পিত্তি জ্বালানো ক্লাইভ আর ট্রাম!! হিজলের-কোয়েলের-দোয়েলের তাহলে কী হবে? লিখবেনাকো কেউ কবিতা তাহাদের নিয়ে? লিখলে সেটা যথেষ্ট আধুনিক হবে না?
সে যদি বল ত ন্যু ইয়র্ক, বেনারস দিল্লি বা বোম্বের কাছে কলকাতা বা ব্যাঙালোর কিসসু না।
শিলিগুড়ি বা দুর্গাপুর তো অর্বাচীন ঊনশহর, শহর নয়, শহরের মত, যা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
শহর হতে গেলে, ক্লাইভ স্ট্রীটের মাথায় চাঁদের দেখা পেতে হবে অথবা মুখ তুলে ওপরে তাকিয়ে ট্রামের তারের কাটাকুটি। অর্থাত, শহর সেটিই, যা নিয়ে কাব্য করা যায়। কিন্তু কাব্য মানে সুললিত লিরিক নয়, বরং উল্টোদিকে, বৈপরীত্য আর জটিলতা যার মধ্যে ধরা থাকে যা আসলে শহরটিরই বৈশিষ্ট্য।
অথবা, বোরহেস বুয়েনসএয়ার্সকে যেরকম eternal as water and air ভেবেছিলেন, সেরকম মিথিক্যাল হয়ে উঠলে, শহরনামাঙ্কিত একটি স্থান শহর হয়ে উঠতে পারে। বোম্বে যেমতি , মূলতঃ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের।
কলকাতা সেরকম মিথিক্যাল নয়, কিন্তু কলকাতা ক্রমাগত এদিক সেদিক জুড়ে বড় হতে হতে নিজের অন্ত্রের মধ্যে অনেক প্যাঁচ গুটিয়ে রেখেছে ও রাখছে।
(ত্রিপুরার কবি ও লেখককুলের কিছুজন তো লেখায় দড়। তবে , ভাজপা পরবর্তী সময়ে মনে হয় ঠোকাঠুকি চলছে , নিজেদের মধ্যেই। )