আমার মতে কবিদের এরকমই প্যাশনেট হওয়া উচিত। কবিতার জন্যে যদি চারটি মারপিট না করলো তাহলে আর কী। নিটপিটে কবি আমার দুচক্ষের বিষ।
আমার বন্ধু শান্তনু ঘোষ দস্তিদার যেমন, কেউ কবিতা শুনতে না চাইলে খিস্তি দিয়ে চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে দিত। ওর অবশ্য নানান অনিয়ম অত্যাচারের কারনে গায়ে বেশি জোর ছিল না কিন্তু ঝাঁকড়া চুল আর ঠোঁটে মাধবীর মত বাঁকা হাসি দেখে বড় বড় গুন্ডাপান্ডা লোকও ঘাঁটাতে সাহস করতো না।
(মাধবীর বাঁকা হাসি জানেন তো? এলারবির প্রবাদপ্রতিম গান আছে, চোখে সানগ্লাস, মুখে হাসি - বাঁকা হাসি - নয় ফুল, নয় পাখি, সে যে মাধবী।)
"এই ঘটি-বাঙাল নিয়ে তাঁরাই টাইম পাস করেন যাঁদের দেশভাগ নিয়ে সেনসিটিভিটি বলে কোনও বস্তু নেই" এতে আমি কিছুটা একমত। যদিও জিনিসটা নর্মালাইজ হয়ে গেছে অনেকটাই, অনেক সেন্সিবল এবং সেন্সিটিভ মানুষও এটা করেন, কিন্তু এই বেদনাটা বাঙালী না ভুললে বোধহয় ভালো হত। আজ পূর্ববঙ্গ থেকে ছিন্নমূল হয়ে আসা মানুষদের উত্তরপ্রজন্মের অনেকে যখন মোসলমানেরা আমাদের সাজানো বাগান ছিনিয়ে নিলো বলে লম্ফঝম্প করে, তখন কলকাতার আম হিঁদু বিরাদর কেমন ভাবে বাঙালদের অভ্যর্থনা করেছিল সেই স্মৃতি রেখে দিলে হয়তো ধর্মীয় মেরুকরণ কত বড় ফ্যালাসি সেটা বুঝতেও একটু সুবিধে হত।
সে যাক। ঘটি বাঙাল ভেবে লাভ নেই, তবে কবি সম্মেলন দেখতে হয় তো আপনাদের আগরতলা যেতে হবে। কবি সম্মেলনের মঞ্চ থেকে হাতাহাতি শুরু করে রবীন্দ্রভবনের দোতলার সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়া মারপিট করতে করতে দুই কবির গল্প তো আগেই বলেছি। আরেকবার কবিরা কিছুতেই মঞ্চ ছাড়তে রাজি নন, সভাপতি বলে বলে তিতিবিরক্ত, শেষে দুটো কবিতায় রফা হলো। একজন বরিষ্ঠ কবি উঠে দুটো কবিতা পড়ার পর বললেন মানুষ পরিবর্তনশীল। আমি স্থির করেছিলাম মননীয় সভাপতির নির্দেশ মত দুটো কবিতা পড়বো। কিন্তু মঞ্চে উঠে। আমি আরো কয়েকটি কবিতা পড়বো। এবং তারপর ক্ষুব্ধ কবিদের হই হ্ট্টগোল আমুদে শ্রোতাদের উস্কানী, এক প্রবল ক্যাকোফোনি।
কিন্তু দুঃখের কথা হলো তিন বছর আগে আমি একবার আগরতলার সরকারী কবি সম্মেলনে আমন্ত্রন পেয়েছিলাম, পাঠের পর মিস্টির বাক্স এবং দুশো টাকাও পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু স্টল সামলাতে গিয়ে আমার স্লট মিস হয়ে গেছিল। আশা করি গুরু আমার এই বলিদান মনে রাখবে।
কালকে দ্য রেস অব মাই লাইফ মিলখা সিঙের, কিন্ডলে ফ্রি দিচ্ছিল। আজও দিচ্ছে কিনা জানি না। তো রঞ্জনদা ত বোধয় কিন্ডলে স্বচ্ছন্দ। আগ্রহী হলে তুলে নিতে পারেন।
খাড়াইল এটাই যে কলকাতা একটি বৃহত্তর গ্রাম। শক্তি চট্টো কব্বে বলে গেছেন। কিন্তু কলুটোলা-কুমোরটুলি-তেলিনীবাগান-লোহাপট্টি-শাঁখাপট্টি-চুনুরিপট্টি-জোড়াসাঁকো-শ্যালদা-কালীঘাট পল্লির বাসিন্দারা নিজেদের নাগরিক ভাবতে ভালোবাসেন।
হ্যাঁ রঞ্জনদা উনিই।
এই লোক দীপ্তেনদাকে বেজায় হিংসে কিরত। কি বাজে বাজে কথা প্রচন্ড পেঁচিয়ে লিখত। সেই দীপ্তেনদার আমার সত্তর আর তীর্থঙ্করের সত্তরের রূপকিথা বেরোল, সে ক্কি গালাগালি ওদের। আকা তখন এর উৎপাতে রেগেমেগে কবিতা লিখেছিল।
আমরা সবাই দীপ্তেনদাকে ভালবাসি, নতুন যারা আসে তারাও ভালবেসে ফেলে আর এ পাবলিক আমাদের ময়মনসিঙ্গা ভাষায় পুরো কইমাসের লাহান ফাল পাইরতে থাহে। :-))))
ডিডিদা প্রায় কিস্যুই বলেন নি উলটে কোনোদিন। ডিডিদার কাছে একটা মোক্ষম শিক্ষা আমি পেয়েছি। ডিডিদা বলেছিলেন কাউকে স্রেফ দেওয়ালের মত ইগনোর করার চেয়ে বড় অপমান আর কিচ্ছুই হয় না। সে লাফাচ্ছে গাইলাচ্ছে আপনি তাকে দেখতেই পাচ্ছেন না। এ একেবারে সলিড।
ব্রতীনবাবু ছেলেমানুষিটা কাটান। আপনার সঙ্গে ফোনে কী কথা হয় না হয় সেসব ইচ্ছে করলে এখানে লিখতেই পারেন। আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমি যে লিখব না সে গ্যারান্টি আগাম দিয়ে রাখলাম। শুধু তা-ই পবিত্র, যা ব্যক্তিগত। বাকিটা আপনার ব্যাপার।
নবদ্বীপে এই বর্ষাকালে না আসাই ভালো। আসলে শীতে বা দোলে। মায়াপুরে কিছু নেই। আমি আপনাকে চুপির চরে নিয়ে যাব, প্রচুর পাখি দেখবেন ও ছবি তুলবেন।
বাকি রইল ঘটি প্রসঙ্গ। আমার চতুর্দিকে গিজগিজ করছে নবদ্বীপের স্পেশ্যাল শিরোমণি বংশের ঘটিরা। অন্ততপক্ষে আট-দশ পুরুষের তো বটেই। তাঁর শিরোমণি মামার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে দাদু কুষ্টিয়া থেকে চলে আসেন ১৯৪৬-এ এবং 'বাঙাল' আখ্যায় ভূষিত হন। কাজেই আমি ঘোল। এবং ঘটিদের জীবনযাপন খুব কাছ থেকে দেখা।
এই ঘটি-বাঙাল নিয়ে তাঁরাই টাইম পাস করেন যাঁদের দেশভাগ নিয়ে সেনসিটিভিটি বলে কোনও বস্তু নেই। আমি আজ ইস্তক কোনও ট্যানজিবল বেনিফিটের ধার ধারিনি, সেটাকে অনেক গোঁয়ার্তুমি আখ্যা দেন। সৈকতের বিষয়টা সেদিন জানলাম তাই লিখেছি। না, গুরুর লোকজন আমার কাছে অত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নন যে তাঁদের প্রত্যেকের হাঁড়ির খবর জানতে হবে।
দ
তোমার দস্তিদার শুনে মনে পড়ল কয়েক বছর আগে সুন্দরবনের নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশন ঘুরে এসে ভাটপাতায় লিখেছিলাম যে অটো ড্রাইভার থেকে অনেকের মুখে আয়লার পরবর্তী সময়ে কান্তি গাঙ্গুলির ত্রাণকার্য্যের বিশেষ প্রশংসা শুনেছি। তখন জনৈক বাপ্পা আমাকে খুব বকে বললেন - কিছু না জেনে ফালতু মন্তব্য করবেন না। কান্তি ও তাঁর ছেলে খুব করাপ্ট। আবার কোত্থেকে যেন বাঘাযতীনের খোকন ও চন্দনা 'ঘোষ দস্তিদারের' প্রসংগ এল।
আমি কাঁচুমাচু --সত্যিই এঁদের সম্বন্ধে কিস্যু জানিনা। কিন্তু রাস্তাঘাটে লোকের মুখে প্রশংসা শুনেছি এবং নিজের চোখে ধবংসের পরে নির্মাণের কিছু নিদর্শন দেখেছি, তাই লিখেছি।
যাকগে, এসব ছেঁদো কথা।
বি
আপনার লিং এর কল্যাণে আজ খেয়ে দেয়ে পুরনো বাংলা সিনেমা দেখা হবে। প্রথমে তিতাস, তারপরে 'দেয়ানেয়া'। দেখতে চাই অর্ধশতক পরে দেখলে একই সিনেমাটা কেমন লাগে? সবটা দেখা যায় কিনা। তবে সুপারহিট গানগুলো কৈশোরের স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে নিশ্চয়।
আপাততঃ ' এ মোহ আবরণ' শুনে বুঁদ হয়ে আছি। আগে শুধু রাজেশ্বরী দত্তের গলায় ভালো লাগত।
আচ্ছা, স্বাতীলেখা অভিনীত "আন্তিগোনে' র লিং দিতে পারবেন ? সেদিন চেষ্টা করলাম, টুকরো টুকরো পেলাম। যদী টানা গোটাটা পাওয়া যায়? বা উৎপল দত্তের টিনের তলোয়ার?
তালে খাড়াইলটা কী? শিলিগুড়ি দুর্গাপুর শহর না শহর নয়?
সছিদ্রবাবু, হ্যাঁ, সিউড়ি। মাথায় ঘোরে কখনও, শহরটার কথা। কবিরুল ইসলাম থাকতেন ও কবিতা লিখতেন, সেটা জানি বলেই হয়ত।
কিন্তু বোধিবাবু খুশী হওয়ার জন্য কি বোলপুরের নাম নিতে হবে না ? অবশ্য সে শহরের আর কী বা মুল্য যে কে দেয়, আশ্রমের ধূলো মাখার জন্য তার যা মুল্য আর কি !!
কোচবিহার শহরের কথাও তো তাহলে বলতে হয়। শুনেছি, সে জায়গা সাজানো ও পরিকল্পিত, সুন্দর, মদনমোহনের মন্দির ও রাজবাড়ী সমেত ইতিহাস আশ্রিতও বটে। কিংবা ধরুন চুঁচড়ো অথবা chundernagar, সেসবও তো অনেকটাই ইতিহাসের জায়গা। এখন তো অনেককিছু সংস্কারও হয়েছে, পুরোন চার্চ বা স্ট্র্যাণ্ড।
ভুল কিছু লেখেননি, কারণ এরকম একটা কথা তো আছেই যে, অন্তত পবঃ-র ক্ষেত্রে, যে রাজ্যটি মূলতঃ বেশ কিছু গ্রাম - শহরের সমষ্টি, তার মধ্যে কলকাতা সবচেয়ে বড় গ্রামটি।তার চন্ডীমণ্ডপটিও অন্য জায়গাগুলির থেকে একটু বেশী বড়।
হুঁ বাবাগো!
ওহ সেই বাপ্পাদিত্য - আমারো আছে মনে - গুরু কি, সেই মজলিশের সময় থেকে শ্রদ্ধায় সম্ভ্রমে দূরে থাকাই বাঞ্ছনীয় ছিল।
দমুদি তোমার অসীমবাবুকে মনে আছে? আমার মহাপাজি বন্ধুটি টেম্পলেট কাকু নাম দিয়েছিল? :)
উফ ওই এলেবেলে কথিত B এর পদবীও ঘোষ দস্তিদার, বরিশালও বটে। ওইরকম মিসোজিনিস্ট আর চুকলিপ্রিয় জীব এমনকি ইন্টারনেটের অ্যানোনিমিটিতেও কম দেখা যায়।
আচ্ছা তপন রায়চৌধুরির সিরিয়াস ইতিহাস বইগুলো কে কে পড়েছেন? কিরকম? অন্য লেখার মত সরস?
এবং মহাবিশ্বের যাবতীয় ঘোষদস্তিদার গাভা (ঐ ) থেকে । ইনক্লুডিং রবি ঘোষ। উনি দস্তিদারটা বাদ দিয়েছিলেন।
দুনিয়ার চারটি খুব কঠিন কাজ --
পিরানহা কে লিপস্টিক মাখানো
মশা কে শাড়ী পরানো
হাতি কে কোলে বসানো
বাঙাল কে কিছু বোঝানো।
ও হ্যাঁ syandiকে বলা হয় নি, আপনার furanocoumarin সংক্রান্ত পোস্টের জন্যে থ্যাঙ্কু। আমি এতো কিছু জানতাম না। আমাকে আমার প্রাইমারি কেয়ার ফিজিশিয়ান যা বুঝিয়েছিলেন আমি সেটা লিখেছিলাম।
অভ্যু, আমি কী বলবো আমাকে ঠিক করতে দাও। কেমন? :))
হ্যাঁ ব্রতীন্দা তুমি কী বলবে সেটা তোমার ব্যাপার। তোমার পাবলিক পোস্ট নিয়ে আমি কী বলব সেটা আমার ব্যাপার।
হ্যা। একদম।
বাঙাল হ ওয়া যদি গর্বের হ য়, ঘটি হ ওয়া কেন গর্বের হবে না?
হ্যা। সেইসময়ে সম য়ে বেশ বিতর্ক হ য়েছিল আমার লেখা কে ডিলিট করা নিয়ে। তা সেটা তো আমার আর সৈকতের ব্যাপার। তার মধ্যে তুমি নাক গলাচ্ছো কেন এলেবেলে দা? কোন ট্যানজিবল বেনেফিট আছে কি? :)))
তোমার সাথে ও তো আমার অনেক কথা হ য় ফোনে। সে গুলি কী লেখে উচিত হবে? কাজেই গুরুর এই ঘটনা জানি ওই ঘটনা জানি ওসব ছাড়ো। 2007 সাল থেকে লিখছি। কাজেই 3/4 বাদে সবার নাড়ী নক্ষত্র জানি।
আমার বিরুদ্ধে কে কে আছে ভালোমানুষীর মুখোশ পড়ে আর না প ড়ে। কিছুই অজানা ন য়। তবে আজকাল আর বেশী তর্কে যাই না।
এসবে আমার কিছূ যায় আসে না।
আজকাল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে সব দেখি। বুইলে কিনা? :)))
অভ্যু, জান্নি তো। ওদের ইপেপারটা পেইড হয়ে গেছে তাই লিঙ্ক দিতে পারি না। ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার কল্লে দেবনে। এটা মূলত জানাতে দিলাম যে খুঁজে পড়ে নেবে আগ্রহীরা।
সিএস বাবু, ২০ জুন ২০২১ ০০:৩০: সিউড়ির নামটা না লেখাটা ন্যায্য হলো না। আমাদের বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত গুরু লগিন বাবু বোধহয় দুঃখই পাবেন। আর কয়েকটা শহর কি লিস্টিতে যোগ করা যায় না? নয় শিল্পশহরের মতো গ্রাম্য শহর নামই দিলেন।
বাদ্যও, ছোট্ট বেলায় ইতিহাস বইতে ছাপা অক্ষরে লেখা ছিলো সিন্ধু সভ্যতা নাগরিক আর আর্য সভ্যতা গ্রাম্য। এখন সিন্ধু সভ্যতা যেহেতু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং যা চলছে সেটা ওই আর্য সভ্যতারই এক্সটেনশন, তাই সব ক'টা সো কল্ড শহরই বিবর্ধিত গ্রাম্যরূপ মাত্র। কোত্থাও কোনো শহর নাই -- এই উপমহাদেশে।
যা নাই তা নিয়ে তক্কো ক্যানো?
অভ্যু, আমি কী বলবো আমাকে ঠিক করতে দাও। কেমন? :))
ওসব কাটাও। তোমার বাড়িতে কবে নেমোতন্ন্ করছো বলো, এলেবেলে দা? মায়াপুর যাই নি কখনো।নবদ্বীপ ও। খুব যাবার ইচ্ছা আছে। দেখা যাক কবে হয়?
রঙ্গনদার লেখাটা পড়া যাচ্ছে না।
আর সব গুহঠাকুরতাই তাহলে বাঙাল।
তবু রনো গুহঠাকুরতার এ মোহ আবরণ খুব ভালো লাগে।
পৃথিবীর যাবতীয় গুহঠাকুরতারা বরিশালের একটি গ্রাম (বানরিপাড়া ) থেকে উদ্ভুত। তাই ওনারা সবাই সবার আত্মীয়।
বিবাহসূত্রে, সেই হিসেবে ঋতু এবং রুমা জারতুতো-খুড়তুতো ননদ-ভাজ। রুমা সতী দেবীর কন্যা। সতী দেবী বিজয়া রায়ের দিদি।
শুভ গুহঠাকুরতা জানতাম। ওনারা যে আত্মীয় সেটা জানতাম না।
হ্যাঁ গো, রুমাদেবীও কি ওঁদের আত্মীয়?