ভোটের ফল।
"ঘটনা ১ : সময় সকাল ৬টা ১৫। এমারজেন্সি তে অক্সিজেনসমেত ট্রলিতে একজন পেশেন্ট ঢুকলেন। বয়স্ক ভদ্রলোক, আনুমানিক ৪৫-৫০ এর মধ্যে বয়স। একটু ওবেজ, মাথায় চুল কম, কাঁচাপাকা মিশিয়ে৷ পেশেন্টের জ্ঞান নেই, চোখ আধবোজা, শ্বাসপ্রশ্বাস অনিয়মিত, Nasal cannula দিয়ে অক্সিজেন চলছে৷ দ্রুততার সাথে পালস অক্সিমিটার রোগীর আঙুলে পরানো হল। বি.পি কাফ পরানো হল৷ পালস অক্সিমিটারে খুব সামান্য ওয়েভফর্ম দেখাচ্ছে কিন্তু রিডিং দিচ্ছেনা। Nasal cannula র জায়গায় ফেসমাস্ক পরিয়ে হাই ফ্লো তে অক্সিজেন দেওয়া হল৷ এদিকে বি.পি মেশিনেও রিডিং দিলোনা। হাত দিয়ে দেখলাম পালস খুব মৃদু্। তৎক্ষণাৎ চ্যানেল করে ফ্লুইড বোলাস দেওয়ার প্ল্যান করা হল কিন্তু ভেইন কোলাপসড। ঠিক তখনই দেখা গেল শ্বাসপ্রশ্বাস যেটা অনিয়মিত চলছিল সেটাও পুরোপুরি বন্ধ। CPR দেওয়া শুরু হল, কয়েক বার অ্যাড্রেনালিন অ্যাট্রোপিন দিয়েও কাজ হল না৷ পুরো জিনিসটা কয়েক মিনিটে ঘটে গেছে। ডেথ ডিক্লেয়ার করে রোগী পরিবারকে বললাম," বড্ড দেরি করে ফেলেছেন। আমি তো কিছু করার সুযোগটুকু ও পেলাম না৷ " তারা মাথা নেড়ে জানালেন, "হ্যাঁ বুঝতে পারছি ডাক্তারবাবু। কাল রাত থেকেই এমন অবস্থা, কোথাও কোনো অ্যাম্বুলেন্স পাইনি৷ জানেন তো, ইনি এখনো ব্যাচেলর। গত মাশের তিরিশ তারিখে রিটায়ার করেছেন৷ এবছর ভোটের ডিউটিতেও গেছিলেন৷ সেখান থেকে ফেরার পর জ্বর কাশি শুরু তারপর শ্বাসকষ্টও হয়৷ কাল রাতে বাড়াবাড়ি হওয়ায় নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স পাইনি৷ কপালে লেখা থাকলে কি আর করা যাবে। "
ঘটনা ২: সকাল ৭টা ১০। একজন লোক এসে বললেন, " ডক্টর একটা পেশেন্ট এনেছি, শ্বাসকষ্ট। বেড হবে কি? " আমি বললাম, "দেখুন, বেড তো এখন ফুল, একেবারেই খালি নেই। তবে আপনার রোগী কি অ্যাম্বুলেন্সে আছে? অক্সিজেন চলছে? " উত্তরে বললেন " হ্যাঁ, চলছে তবে অক্সিজেনটা কমে এসেছে। " বললাম, " ঠিক আছে এমারজেন্সির ভেতরে নিয়ে আসুন রোগীকে অক্সিজেনটা অন্তত চালু করি "৷ হুইলচেয়ারে রোগী এলেন, একজন মধ্যবয়স্কা মহিলা। যিনি সাথে করে এনেছেন উনি সম্ভবত ওনার স্বামী। প্রথমেই পালস অক্সিমিটার দেখালো ৩৫% স্যাচুরেশন। রোগী তখনও সজাগ কিন্তু জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ক্লান্ত। পরিস্থিতি কত ভয়ানক তা বুঝে তৎক্ষনাৎ হাই ফ্লোতে অক্সিজেন চালালাম। কিন্তু নন-রিব্রিদিং মাস্ক দিয়েও অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৫০-৫৫% এর বেশি উঠছেনা। স্টেরয়েড ইনজেকশন একটা দিয়ে সংক্ষেপে কেস হিস্ট্রি জিজ্ঞেস করলাম। মহিলার স্বামী বললেন - " বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বর। আমি কালকে ভোটের কাউন্টিং এ ছিলাম, হঠাৎ করে বাড়াবাড়ির খবর শুনে বড়বাবুকে বলে চলে এলাম বাড়িতে তক্ষুনি। তারপর অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে চলে এলাম। বাড়ি থেকে বেরিয়েছি তখন স্যাচুরেশন ৬০%, আসতে দেড় ঘন্টা লাগল "। বুঝলাম ভোটের ট্রেনিং বা ডিউটি -থেকেই ভদ্রলোক বাড়িতে বয়ে এনেছেন এই মারণরোগ। এনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভর্তি ও আইসিইউ তে দেওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু বেড খালি নেই একটাও। অন্য কোথায় খালি আছে জানিনা আমিও, তাই ভাগ্যের ভরসায় এদের ছেড়ে দিয়ে কলকাতাময় বেড খুঁজে বেড়াতে দিতে পারিনা, কারণ ভাগ্যের থেকে নিজেদের ওপর ভরসা বেশি । অগত্যা এমারজেন্সিতেই চিকিৎসা চালু থাকল আর বেড খালি হবার অপেক্ষা।
ঘটনা ৩ : যার কথা বলব তার অবস্থা উপরোক্ত দুজনের মত অত ক্রিটিকাল নয়৷ এই রোগীর অক্সিজেন ছাড়া স্যাচুরেশন ৮৮-৮৯%, আর অক্সিজেন দিয়ে ৯৫-৯৬% থাকছেই৷ এনাকেও ভর্তি করার কথা কিন্তু ওই যে, বেড নেই একটাও খালি এখানে৷ রোগিকে এমারজেন্সি অব্জার্ভেশন রুমে অক্সিজেন দিয়ে রেখে রোগীর ছেলেকে বললাম "দেখুন, এখানে তো বেড নেই, আপনি স্বাস্থ্যভবনে একবার কল করুন। যতক্ষণে কোথাও বেড পাচ্ছেন ততক্ষণে ওনার অক্সিজেন চলুক। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাবেন নাহয় সেখানে। " কিছুক্ষণ বাদে রোগীর ছেলে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে হাতে পায়ে ধরার উপক্রম করল। বলল " এতবার করলাম, স্বাস্থ্যভবনে ফোন লাগল না। আপনি এখানেই একটা ব্যবস্থা করুন৷ আমার বাবাই আমার সব, মা নেই। আমি বি.টেক পাশ করেছি, বাবাকে এখনো চাকরি করে দেখাতে পারলাম না৷ আমি চাই চাকরি করে দেখাতে বাবাকে৷ আপনি প্লিজ বাবাকে বাঁচিয়ে নিন৷ কোনোভাবে ভর্তির একটা ব্যবস্থা করুন৷"
রোজকার শতশত ঘটনার তিনটি ঘটনা, কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বুঝিয়ে দিল কিছু শাসক-শাসিত সম্পর্কের কিছু সত্যি। আপনি নিজের প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্সটুকু যাতে পান, সেটা সুনিশ্চিত করতে পারবে না গণতন্ত্র , অথচ আপনার আমার মত সরকারি কর্মচারীদের কাঁধে ভর দিয়ে ভোট উৎসবে মেতে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ইতিহাস রচিত হবে। সেই ইতিহাসে বলিদান হবেন আপনি, ক্ষতবিক্ষত হবে আপনার পরিবার। কিন্তু বেড তো তবুও পাবেন না। একদিকের পৈশাচিক বিজয়োল্লাস আর অন্যদিকের বুকফাটা কান্নার মাঝে কোথায় মিলিয়ে যাবে শয়ে শয়ে "চাকরিটা আমি পেয়ে দেখাবই বাবাকে" এই আর্তি।
তিনটি ঘটনাই সত্য, কিন্তু ক্রনোলজি বুঝতে অসুবিধা হলে মনে করুন আপনার কাঁধে ভর করে ভোট উৎসব হল, আপনার বয়ে আনা ইনফেকশনে আপনার স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেড পেলনা, মা-হারা ছেলেটা চাকরিও পেলোনা, আর আপনি নিজে হাসপাতালে আসার অ্যাম্বুলেন্স পেলেননা৷ যা পাওয়ার রাজনীতিবিদরা সেটা ঠিক পেলো৷
Shahin Isha এর থেকে.."
"আমার সেকেন্ড পোলিং ভোট করিয়ে ফিরে এসে কোভিড আক্রান্ত হন। গোটা ডিসিআরসিতে প্রচুর বয়স্ক পোলিং অফিসার ছিল, আমাদের মত অল্পবয়সীদের অনেকেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে ফিরে পরিবারের বাকিদের ইনফেক্টেড করেছে। কোভিড প্রটোকল মানার জন্য নূন্যতম ব্যবস্থা ছিল না। যে স্কুলে ভোট নিয়েছি, সেটা সিআরপিএফ ক্যাম্প ছিল। তারা কোভিড বিধি ভঙ্গ করেই ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কোথাও কোনোরকম সান্যিটাইজেশন হয়নি স্পষ্ট ছিল। অধিকাংশ পোলিং অফিসার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটুকুই নেবার সুযোগ পেয়েছিলেন।"
sm | 42.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০৮:৩৮479943ঠিক আছি,ব্রতীন। তুমি ভ্যাকসিন নিয়েছো?
অপু | 2409:4060:294:a0bc::275a:***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০৮:২৪479942অরিন দা, এস এম দা খেমন আছো?
Abhyu | 47.39.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০৮:২৪479941আচ্ছা অরিনদা, Astrazeneca তার USA-তে বলেছে symptomatic infection আটকানোর ক্ষেত্রে তার এফিকেসি ৭৬%, যদি চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুটো ডোজ দেওয়া যায়। আবার ল্যান্সেটে বেরোনো পেপারে দাবী করা হয়েছে যে ছয় সপ্তাহের কম ব্যবধান থাকলে এফিকেসি ৬৫% মতো আর বারো সপ্তাহের বেশি ব্যবধান রাখলে তা বেড়ে ৮০% মতো হচ্ছে। এই দাবীগুলোর মধ্যে একটা আপাতবিরোধ দেখছি, এটা কি শুধুই ভিন্ন ভিন্ন ট্রায়াল বলে? এদিকে দেখলাম রিয়েল ওয়র্ল্ড ডেটার ভিত্তিতে UK-তে দেখা যাচ্ছে, mRNA টিকার চেয়ে এর কার্যকরিতা কিছু কম নয় (একটা স্টাডিতে তো বোধ হয় প্রথম ডোজের পর অ্যান্টিবডি মেপে দেখা হয়েছে)।
অপু | 2409:4060:294:a0bc::275a:***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০৮:২২479940সুপ্রভাত গুরু।
হ্যাঁ, অরিনদা যেটা বলেছেন। ফলস নেগেটিভ থাকলেও আডভান্টেজ ৫ মিনিটে রেজাল্ট আসা ফলস পজিটিভ না আসা, কম খরচ, খুব সহজে করতে পাারা। আর
আর ফলস নেগেটিভিটির সমস্যা দূর করতেই তো নেগেটিভ এলেই আর টি পিসিয়ার মাস্ট করা। নেগেটিভ ডিক্লেয়ার না করে রেজাল্ট আওয়েটেড থাকবে।
অরিন | 161.65.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০৭:৪০479938ইনিকুইটি, যদুবাবু। যাদের সমানভাবে পাওয়ার কথা, পাচ্ছে কার কত রেস্ত তার ভিত্তিতে। গরীব দেশগুলো ভুগছে। ৫১% এফিকেসি কিসের ভিত্তিতে স্থির করেছে?
হ্যাঁ সেই। ভ্যাকসিন ইনিকুয়ালিটি খুব-ই সাংঘাতিক। তবে এতো লোকে চেঁচামেচি করছে, হয়তো কিছু একটা হবে।
খুব-ই numb হয়ে গেছি। কালকেই পাশের বাড়ির কাকু চলে গেলেন। সারাজীবন চাকরি-বাকরি করেননি, বিয়েথাও করেননি, ঐ একটা ঝোলা কাঁধে পাড়া চরিয়ে টিউশনি করতেন আর সময় পেলেই নানারকমের কাজ করতেন - এই টিনের বেড়ার উপর আগাছা পরিষ্কার করছেন তো ওই পাড়ার কুকুর কোলে ভেটের কাছে ছুটলেন। পাড়ার ভুলোহুলোলক্ষ্মীমণি ওদের কি হবে কে জানে। মা বললো 'এই তো এক সপ্তা আগে দেখা, শান্তিদা চেঁচিয়ে জিগ্যেস করলো, 'কিগো, ভ্যাকসিন পেয়েছো?''
এর মধ্যে ভালো খবর এই যে, সাউথ আফ্রিকার B1351 ভ্যারিয়ান্টের জন্যে একটা প্রোটিন বেসড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হচ্ছিলো। আজকেই NEJM-এ পেপার বেরিয়েছে, বলছে এফিকেসি - ৫১%, আর mRNA-বেসড ভ্যাকসিনের থেকে সাইড এফেক্ট-ও কম।
পেপারের লিঙ্কঃ https://www.nejm.org/doi/full/10.1056/NEJMoa2103055?query=featured_coronavirus
আমার আগের পোস্ট-টা ডিলিট করলে ভাল হয়, একটা বাজে ভুল আছে ওটাতে | :-)
@sm, @পাই, @যদুবাবু,
"কোন দেশ ছড়িয়ে ফেললেও ,তাকে টেনে তুলতেই হবে। অথবা ভাইরাস ,তুষের আগুনের মতন কম্যুনিটি তে রয়ে যাবে।দিনকে দিন নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন তৈরী হবে।"
sm এর এই পয়েন্টটা খুব প্রয়োজনীয় এবং মনে রাখার মতন বিষয়। ভ্যাকসিন এক্ষেত্রে ৬০% কেন, আরো বেশী শতাংশ মানুষের মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়।
যদুবাবু , ক্লাসটার কন্ট্রোল, বিশেষ করে রিভার্স ক্লাসটার কন্ট্রোল না করলে এ মহামারী কোন মতেই ঠেকানো যাবে না। ক্লাসটার চেনার অনেক উপায় আছে। হার্ভার্ডের একটা পেপার আপনারা পড়ে দেখতে পারেন,
https://cyber.harvard.edu/sites/default/files/2020-11/RetrospectiveContactTracingMemo.pdf
তিন, পাইয়ের বক্তব্য যে রাপিড টেসটের ফলস নেগেটিভ ব্যাপার রয়েছে, এটা কিন্তু সমস্যা নয়, যদি রাপিড টেসট ঠিকমতন প্রয়োগ করা যায়। ফলস নেগেটিভ বেশী হচ্ছে মানে সে টেসটের সেনসিটিভিটি কম, কাজেই সত্যিকারের পজিটিভ করোনা কেস সে ভাল মতন ধরতে পারে না। তা না পারুক, এদের specificity অনেকটাই বেশী, যার জন্য, যারা নেগেটিভ, তাদের এই ধরণের টেসট করে বার করে ফেলায় কাজে লাগতে পারে। এতে করে একটি জায়গায় যদি ক্লাসটার তৈরী হচ্ছে বলে মনে করা যায়, সেখানে এই ধরণের চটজলদি টেসট করে দেখে নেওয়া যেতে পারে কারা পজিটিভ | একজন বা দুজন পজিটিভ বেরোন মাত্রই ক্লাসটার কন্ট্রোল করা, আবার সবাই নেগেটিভ বেরোলে সাময়িক ভাবে সেই ক্লাসটারটিকে রেহাই দেওয়া, ইত্যাদি অনেক রকমের কাজ করা যায়। আরেকটি কাজ করা যেতে পারে বর্জ্য জলের মধ্যে কোভিডের ডিএনএ দেখে নেওয়া |
যাকগে, বাজে বকে লাভ নেই , :-)
ভারতের ব্যাপার, ভারতের বড় বড় রাজনৈতিক নেতা আর বোদ্ধাদের হাতে ছেড়ে দেওয়াই ভাল।
&/ | 151.14.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০২:৫৩479933টইতে কী প্রচন্ড হারে বিজেপি ঢুকছে! নানারকম লেখা লিখছে।
&/ | 151.14.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০২:৫২479932সম্পত্তিও ভাগ করে নিল তো! ডিভোর্স না করলে সম্পত্তি ভাগ করতে অসুবিধে হয় কি? নিয়মটা কী?
পাল্টি | 165.225.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০২:৪০479931এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মারামারি করেই বোধয় এরা ডিভোর্স করে ফেল্ল!
ঐ | 157.4.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০১:৪৫479930আরে, এখানকার কর্তৃপক্ষ হাড়ে হার... এরা পিটি পোষে। আর পিটি ভাবে ফাটায়ে দিসসি।
sm | 2402:3a80:a72:7f2e:0:6c:7869:***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০১:১৩479929একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত! যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সমগ্র পৃথিবীর ষাট শতাংশ জনতার ভ্যাকসিন ডোজ কমপ্লিট হওয়া উচিত। কোন দেশ ছড়িয়ে ফেললেও ,তাকে টেনে তুলতেই হবে। অথবা ভাইরাস ,তুষের আগুনের মতন কম্যুনিটি তে রয়ে যাবে।দিনকে দিন নিত্য নতুন ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন তৈরী হবে। আপনার আগের পোস্ট কে সমর্থন। দরকার পড়লে চীনের সাহায্য ও নিতে হবে।কারণ চীন বিপুল ভ্যাক্সিন তৈয়ারী করতে সক্ষম। আর চীন থেকে ওষুধের কাঁচা মাল নিতে পারলে ভ্যাকসিন নয় কেন?? অবশ্যই ভালো করে চেক করে নিতে হবে।
@বিজেপিটি | 43.239.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০১:১৩479928কেন পিটির দাবি তো তিনো সরকারের কী কী করা উচিত সেটাই। তাইলে সেটাই খসড়া হল না? অন্তত ৫ টাকার থালি কবে থেকে কোথায় কোথায় তিনো সরকারের চালু করা উচিত।
কাউন্টারের লিস্ট যখন জানতে চেয়েছে, নিশ্চয় নিজের একটা ছক আছে কোথায় কোথায় কাউন্টার থাকা উচিত, নইলে আর সেই লিস্ট চাওয়া কেন? আমড়াগাছি করতে? বহুক্ষণ থেকেই বলা হচ্ছে এ বিষয়ে ঠিক কী বক্তব্য,দাবী দাওয়া খুলে বলা হোক। তো যেমন স্বভাব, অর্ধসত্য গুজব মিথ্যার চাষ এর সঙ্গে বক্রোক্তি টন্টিং করে করে গোটা সাইটটাকে ইউজারদের ইরিটেশনের জায়গা করে তুলেছে। এবং এটাই ইনটেনশন, গত দশ বছর ধরেই। বাকি যাদের গুরু সম্বন্ধে বিতৃষ্ণা ছিল তারা অন্যত্র গিয়ে জটলা করে গুরু বিষয়ে বিষোদ্গার করে থাকে। এ মাল এখানে থেকেই পরিবেশটাকে নষ্ট করার খুন্নাস নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে, সাইটকর্তৃপক্ষকে অ্যাকিউজ করাও চালিয়ে যাচ্ছে একইসাথে, কোনো ব্যত্যয় নেই।
lcm | ০৮ মে ২০২১ ০০:৫৫479927এসএম,
বিল গেটস পাল্টি খেয়েছেন।
Mark Suzman, CEO at the Bill & Melinda Gates Foundation, announced Thursday that the foundation is supportive of temporarily lifting coronavirus vaccine patent protections.
“No barriers should stand in the way of equitable access to vaccines, including intellectual property, which is why we are supportive of a narrow waiver during the pandemic,” he wrote in a statement, which was an about-face for the world’s largest private foundation.
Gates Foundation reverses course on COVID-19 vaccine patents
ঐ | 157.4.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:৫১479926সরকারের কী কী করা উচিত সে নিয়ে কি পিটি নতুন খসড়া প্রোপোজ করছে?
অষ্টম বামফ্রন্ট না প্রথম ধম্মোবাপ- কোন সরকারের কথা হচ্ছে?
ঐ | 157.4.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:৪৮479925কাগজের উদ্ধৃতির চেয়ে আপনার নিজের কথা বেশি বিশ্বাসযোগ্য? মাইরি আপনি নিজেও মনে করেন?
অন্যেরা এরকম একটা প্রস্তাব দিলে মেনে নেবেন?
kc | 37.39.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:৪৫479924পাঁচ দিন আগে দেবু চৌধুরী, আজ প্রতীকও। ঘরে ঘরে একই অবস্থা।
@বিজেপিটি | 103.76.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:৩৪479923কেন আড়াইশো টাকা দিয়ে প্রাইভেট নার্সিংহোমের ভীড়হীন ভ্যাকসিন নিতে প্রেস্টিজে লাগছে? একি সেই ষাঠোর্ধ চারজনের গল্প না কাজের মাসি বা রিকসাওলার থেকে শোনা বাস্তবতার নজির?
করোনার সময়ের কর্মহীন মানুষের জন্য ৫ টাকার ডিমভাত -- ক্যান্টিনে কি কর্মহীনতার সার্টিফিকেট দেখানোর দাবি আছে নাকি পিটির?
ভারতবর্ষের কোন কোন রাজ্যে এক বছর আগে থেকে করোনার জন্যে এরকম ক্যান্টিন আদৌ চালু হয়েছে সেটা পিটি জানে? যদি কোথাও করোনা স্পেশাল একটাও চালু না হয়ে থাকে তাহলে পশ্চিমবঙ্গে ১ টা চালু হওয়াই অনেক নয়? সেখানে ১টা কেন ১০০ টা কেন নয় ৩৩ টা কেন সমস্ত পঞ্চায়েত মিউনিসিপ্যালটিতে নয় কেন? এগুলো আমড়াগাছি নয়? এই লাইনে এবার সাইকেল কেন, স্কুটি কেন নয়, সেদ্ধ চাল কেন বাসমতি কেন নয় - ১৫০০০ কেন, ৩০০০০ কেন নয়, ৫ টাকা কেন, বিনি পয়সায় কেন নয় - মানুষকে ইরিটেট করে চলার নেশা সাংঘাতিক, এ জিনিস ইনসেন করে তোলে। এই সেই লুঙ্গী তুলে নাচ যা নিজেকে অজান্তে নগ্ন করে তোলে।
সরকারের কী কী করা উচিত সে নিয়ে কি পিটি নতুন খসড়া প্রোপোজ করছে? গুরুর তরফ থেকে তাহলে সেটা নবান্নে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
sm | 2402:3a80:a72:7f2e:0:6c:7869:***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:২৮479922ধৈর্য্য ধরে দেখুন। কোভিড চিকিৎসার যাবতীয় নির্যাস পেয়ে যাবেন;ইন এ নাট শেল। পাঁচ টাকার ডেক্সমেথজন ই ভরসা যোগ্য! ফালতু রেমডেসেভির, টসিলিযুমাব এর পেছনে দৌড়াবেন না।
সিংগল k | 171.79.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:২৮479921খামোকা পিটিদাকে দোষ দেবেন না। বাঘা বাঘা বুদ্ধিজীবীরাও বলছেন একই কথা---
কমরেড শ্রীলেখাজী বলছেন একথা।
ঘোর কলি | 2a0b:f4c2:2::***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:২৭479920ঢপ্পিটিদাকে খোরাক বলে অপমান করছেন? উনি হলেন খাঁটি মুক্তো, আর গুরু ভর্তি বাঁদর, থুড়ি, ছাগোল। ছাগলের গলায় পিটির মালা। ঘোর কলি। ঘোর কলি। যাই, পিটিদার গুরু সন্ময়দা কি বললেন শুনি।
PT | 203.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:২৪479919সেই ভাল।
প্রচুর খিস্তি খাস্তা করে গরীব মানুষের উবগার করে, ক্ষুধার্ত মানুষের পেট ভরিয়ে ক্লান্ত হয়ে বিপ্লবীরা এখন ঘুমোতে যাচ্ছে।
কাল সকলে উঠেই আবার কাচা নর্দমার জল হয়ে ধেয়ে আসবে।
মনের মানুষ | 2a0b:f4c2:2::***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:২৩479918পিটি খুবই সরল টাইপের মানুষ। পিটিকে কিছু বলবেন না। সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলেন। কাউকে ব্যঙ্গ করে বা খোঁচা দিয়ে কথা বলেন না। উনি ঝগড়া করতে পারেন না। এমন মানুষ হয় না। উনি আমাদের মনের মানুষ।
dc | 106.198.***.*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:২০479917খোরাক কি আর গাছে ফলে? :d
যাগ্গে ঘুমাই গিয়ে।
অপু | 2409:4060:294:a0bc::275a:***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:১৯479916
ভিক্টোরিয়া | 2a0b:f4c2:2::***:*** | ০৮ মে ২০২১ ০০:১৮479915ডিম্ভাত কোন অশ্লীল শব্দ নয়।
চৌরাস্তার মোড়ে খুলে দাঁড়িয়ে থাকলে পাঁচজনে এসে মেরে দিয়ে যাবে- এতেও কোন অশ্লীল শব্দ নেই।