সেটা হয়েছিল ২০১৯-এ, যেটাকে বলত বামের-ভোট-রামে ।
২০১৯ এ হয়েছিল -
সিপিএমের ভোট কমেছিল ১৭%,
কংগ্রেসের ভোট কমেছিল ৪%,
আর,
বিজেপির ভোট বেড়েছিল ২২%
তৃণমূলেরও ভোট বেড়েছিল, কিন্তু অল্প ৩%
এবারে বেশির ভাগ বিজেপি-বিরোধী ভোট গিয়ে পড়েছে তৃণমূলে।
মাটির মানুষ সাব - অল্টার্ণ অনুব্রত মণ্ডল কি বললেন
সিপিএম হেটাররা এর মধ্যে অপূর্ব বৈষ্ণববিনয় খুঁজে পাবেন। মাইরি। আচ্ছা বুদ্ধবাবুর ওরা ৩৫, আমরা ২৩৫ মনে আছে? সেই যে লিবারবালরা সিপিএমের ঔদ্ধত্যে খুব আহতবোধ করেছিল। শুনে নিন মদনদার বানী
আনন্দধারা বহিছে পবতে!
প্রভাবটা তো এখনকার না। প্রাক-৬৪ পার্টি তো সোভিয়েট-্পন্থী ই ছিল, তাই বুমার জেনারশন আর তার পরবর্তী জেনেরশেনে লেনিন স্ট্যালিন'্নাম রাখাটা কমন। ইন্টারেস্টিংলি, পূব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টিতে একটু বেশীই এরম চল আছে মনে হয়। আমি ইন্ফ্যাক্ট একজন ব্রেজনেভ রহমানকেও চিনতাম : ))
####
'স্টালিন' নাম টা এই যুগে কতটা প্রবলেমেটিক সেটা মাঝে মাঝে ভাবি। যেখানে পশ্চিমী বামদের স্ট্যালিন ভক্তি কার্ভ টা ঐ ৫er দশক থেকেই খুব স্টিপলি ফল করেছে, আর এখনতো নিশ্চিত এক্স এক্সিস ক্রস করেছে, আমাদের (দেশীয় বামদের) কার্ভটা বেশ হেভি-টেলড। দেশের ভেতর প্রবলেম না হলেও বিদেশে হয়তো লোকের চোখ টাটাবে।
বিজেপি ৩৮% ভোট পেয়েছে দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, সেটা তো অনেক। ২০১৯ সালের লোকসভায় পেয়েছিল ৩৭%, ২০১৪ সালে তো আরও কম ৩১% ভোট পেয়ে জিতেছিল। বিরোধী ভোট ভেঙ্গে গেলে ৩৮% ইজ এনাফ টু উইন, সেটা পশ্চিমবঙ্গে এবার হয় নি, বেশির ভাগ বিজেপি-বিরোধী ভোট গিয়ে পড়েছে তৃণমূলের বাক্সে।
অ্যানেকডোটাল, তাও বলি - বিজেপির সাপোর্টার বন্ধু আর সিপিএম সাপোর্টার বন্ধু - দুজনরাই ইন্ডিপেন্ডেন্টলি বলেছে বাম ভোট বিজেপির দিকে ঠেলার চেষ্টা হয়েছে। কিন্ত ফলপ্রসূ হয়নি।
সে যাক, ঠিক লোকেরা জিতেছে এবার তাদেরকে একটু দেখেন যাতে কাশমীর সিএএ র মত হিন্দুরাষ্ট্র গটাপ করে না পাশ করায়।
হ্যাঁ, সংসদীয় ভোটের রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গে বাম দলগুলির অবস্থা খারাপ, বিশেষ সিট নেই। সিপিএম ১৩৭ টি আসনে, এসিউসিআই ১৯৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এবার, কিন্তু কোনো সিট জিততে পারে নি।
কিন্তু দক্ষিণ ভারতে, কেরালায় তো এবারও জিতেছে। আর সবথেকে বড় কথা হল, স্তালিন এবার ভারতের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন, দক্ষিণ ভারতে সোভিয়েত বামপন্থার এমন প্রভাব ভাবা গেছিল কখনও।
জগতে যেহেতু void কোথাও নেই, অতএব এক দল জনবিচ্ছিন্ন হতে থাকলে অন্য দল ঠিকই ঢুকে আসবে। তাদের অপছন্দ হতে পারে কিন্তু কাঁদুনি গেয়ে লাভ নেই।
আমি তিন দলের গান শুনেছি। গুরুতেই পোস্ট করেছিল বোধির খোলা ঐ স্লোগানের টই-তে। সিপিএমের টুম্পা, তৃণমূলের খেলা-হবে, আর বিজেপির এই-তৃণমূল-আর-নয়। তিনটে গানেই প্রভূত চেঁচামেঁচি, আর একই ধরনের, পাঞ্জাবি নাচের গানের মতন বিটস।
খুব খারাপ, খুব খারাপ।
এ নেতাদের দোষ না অক্ষমতা যে বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সাথে পাল্লা দিতে না পারা নাকি সমর্থকের ক্রমাগত রেটোরিক আর one upmanship করে যাওয়া, কে জানে। অথবা হয়ত এলিটিজমের বিষ।
সব মিলিয়ে জনবিচ্ছিন্নতার চূড়ান্ত হয়েছে।
'পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে' ভোটটা ফেবুতে হলেই সিপিএম একদম ছারখার করে দেবে। বালের হামবাগ অক্ষর শ্রমিকের গ্ৰুপ একটা। এই ফেবু প্রোপাগান্ডিস্টগুলো না থাকলে রেজাল্ট ভালো হত।
কম্যুনিটি কিচেনে নিডি লোকেদের হাতে খাবার দেওয়ার ছবি তোলা, যিনি নিচ্ছেন তিনিও কুঁকড়ে যাবেন, প্রথম দিকেই বলেছিলাম, শোনেনি, লাল ভক্তদের উল্টে লেলিয়ে দিয়েছে।
এইটা আমারও সন্দেহ হচ্ছে, সোশা মিডিয়া/ফেসবুকের বাইরে সিপিএমের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা।
আর এস এস এত ভালো কাজ করে, তারা মনে হয় ফেসবুকে নেই।
সিপিএমের লোকেরা আপাতত ফেসবুক ছেড়ে দেখতে পারে।
সইকত (দ্বিতীয়), সেটাই অ্যাপ্ট হত যদিও।
অনেক দিনই হয়েছে, তিনো আর ভাজপা হয়েছে 'ছোটলোক', সাব - অল্টার্ণদের পার্টি, আর অরিজিনাল ছোটলোকদের পার্টি সিপিএম হয়েছে এলিট মধ্যবিত্তর পার্টি। পরিহাস বললে পরিহাস, বাস্তব বললে তাই।
আর এলিটরা ফেসবুকে পোস্টার দেওয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারে না বলে, দলটি আপাতত উবে গেল।
তন্ময়বাবু উলঙ্গ শব্দটা ব্যবহার করলেন, আমি ল্যাঙটো লিখেছিলাম।
কে পার্টি ৱ্যাঙ্ক হোল্ডার?
এসবও কোন স্ট্রাটেজি থেকেই বলা নিশ্চয়। পার্টির র্যানক হোল্ডাররা বলেন যখন। একটা দুটো নমুনা মাত্র, এরকম অসংখ্য মণিমুক্তোর মধ্যে।এদ্দিন ছড়াই টড়াইনি, খামোখা দেখে আরো অনেক লোক বিরক্ত হবেন ভেবে। যাঁরা দেখেছেন, অনেকেই দেখেশুনে বিরক্ত, আলাদা করে জানিয়ে গেছেন। পুরানো স্মৃতিও উসকে দিয়েছে অনেকেরই। ক্ষমতাও না থেকেও এই ঔদ্ধত্য অবাকও করেছে অনেককে।অবাক করেছে এই ভোট দরকারি নয় বলে দেওয়ার স্ট্রাটেজিও।
আর ভাবেন যে, সোশাল মিডিয়ায় কী বলল তাতে আর কী আসে যায়। আর তা দিয়ে কী বা বোঝা যায়। কিন্তু লোকে ঠিক এই কথাটা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানাভাবে প্রিভিলেজড লোকেদেরই যারা এরকম ধমকি দিতে পারে, এই টোনে কথা বলতে পারে তারা বাস্তবে বিভিন্ন নট সো প্রিভিলেজড লোকজনের সঙ্গে কীভাবে ইন্টারাক্ট করছেন, এ থেকেই মোটামুটি বোঝা যায়। এরা নাকি ভোট 'প্রার্থনা' করবেন!
আচ্ছা, বড়েস কি আমার কোনও কথায় ক্ষুণ্ণ হয়েছেন? অনেকদিন হল দেখছি না ওঁকে। বড়েস, ফিরে আসুন প্লিজ। বামশূন্য বিধানসভা গত ৭৫ বছরে হয়নি বাংলায়। আপনাকে প্রয়োজন। আপনাদের প্রয়োজন।
তারপর এসব।
হুতো, আরো কিছু লোক বলেন তোমাদের/ আপনাদের ভোট আমাদের দরকার নেই!
এটাও কোন গভীর প্রজ্ঞাপ্রসূত স্ট্রাটেজি হবে নিশ্চয়৷
কামান দাগো সদর দফতরে,
https://www.facebook.com/1104575082/posts/10218856578941234/?d=n
কেসিদা, মেল দ্যাখো। সাহায্য চাই।
PT | 203.110.242.22 | ০৩ মে ২০২১ ০০:১৩ কমেন্টটা বুদ্ধিদীপ্ত, কিন্তু এই করে তো হয় না। আমিও এমন মানুষ দেখেছি। প্রাচীন ছাপোষা মানুষ, ষাট বছর ধরে সিপিআইএমকে সমর্থন করে, এখন আর সিপিআইএমকে ভোট দিয়ে লাভ নেই, আর কাউকে কী করে ভোট দেবো, বলে ভোট নষ্ট করেছেন।
সবার তো আর সমান প্রজ্ঞা থাকে না। আর সবার কথা না ভাবলে ভোট পাওয়া যায় না।
এবার সিপিআইএমের অনেকেই বলেন আমরা ভোট পাইনি তোমার কী। এটাও ঠিক কী ধরনের রাজনীতি বুঝি না। হবে হয়তো কিছু গভীর ব্যাপার। সেই তুমি-টা তাদের মত পার্টিজান না হলেও মোটামুটিভাবে দলের শুভচিন্তক হলেও হতে পারে, সেই ভরসা দেখি না।
"বহু লোককে দেখেছি, বামপন্থীদের ভোট দেবেন কিনা ভাবছিলেন, স্রেফ এদের কারণেই দেবেননা ঠিক করেছেন।"
তো শেষে তারা কোন মাটির মানুষ দিয়ে গঠিত দলকে ভোট দিল? অনুব্রত না দিলুদা?
সে চারটি অর্বাচীন যাই বলুক লিবারেল হওয়া এমনকিছু একটা কষ্টকর বা বিপদসঙকুল অবস্থান নয় ও। এতে ভারতবর্ষের হিসেবে বিজেপীর কোন।বিপদ ও নেই ।
বিজেপি কঙগ্রেস আর কমি ছাড়া কাউকে শেষ করতেও চায়নাা। এরপর হিন্দুরাষ্ট্্র্ বিল পাস হবে আর রাজ্যসভায় ভোোোটট না দেবারর কোন জরিমানা ও নেই
আমি সাধারণত গালাগাল করি না। মানে এতটাই কম করি যে একবার গুরুর ফেবু গ্রুপে গাল লেখার পরে তৎকালীন অ্যাডমিন তাপস দাশ সেটা খেয়াল করে আমার নাম ধরে লেখেন আইব্বাপ ওমুকে গালাগাল করছে মাইরি। ৩১ বছর হল চাকরি করছি এবং হেডু হইনি। তাই রাজ্যে সিপিএম-তিনো না বিজেপি তা দিয়ে আমার * ছেঁড়া যায়।
আর হ্যাঁ, এই প্রসঙ্গে শ্রীযুক্ত বাবু সুব্রত ঘোষালকে জানিয়ে রাখি আমি ২৩ সাল নাগাদ ৪৬-৪৭এর দাঙ্গা নিয়ে একটা বড় লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিজেপির পালের হাওয়া কেড়ে নেওয়ার জন্য লেখাটি বই আকারে প্রকাশ করার দায়িত্ব নেবেন? বেকার ফুট না কেটে ওটি করলে আপনার উবগার হবে।
কেসিদা, নদীয়া-মুর্শিদাবাদে RSS কী করছে সে নিয়ে কোনো ধারণা আমার নেই। ঐ অঞ্চল নিয়ে তোমার অবজার্ভেশন নিশ্চয়ই ঠিক কিন্তু আমি পুরো দেশের রেস্পেক্টে বলছিলাম।
আমি যা বলছি সেটা গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে। গুজরাটের কেসটা আমার কাছে একটা উদাহরণ যে RSS-এর হাতে দীর্ঘদিন প্রচুর ক্ষমতা থাকলে তারা সেটা কীভাবে ব্যবহার করে। গুজরাটে RSS আর BJP-কে খুব আলাদা মনে করার কোনো কারণ আমার জানা নেই। তো এদের মডেল তো সেটাই; ফলে সুযোগ-সুবিধা পেলে অন্যত্র তারা কী করবে, সেটা ঐ রাজ্যের দিকে তাকালে মোটামুটি বোঝা যায়। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশের ক্ষেত্রেও ছবিটা আলাদা কিছু নয়। আর যাই হোক, সমাজসেবার শাক দিয়ে এই রাজ্যগুলোতে মাছ ঢাকা আর দেওয়া যাচ্ছে না, সেটা তো স্পষ্ট।
RSS নিজের নামে কাজ করে কি না, সে প্রশ্ন এখানে উঠছে কেন? নিজের নামে করুক বা অন্যের নামে করুক, বিশ বছর ক্ষমতায় থাকার পর স্বাস্থ্য-শিক্ষা পরিষেবার (সরকারি এবং বেসরকারি) হাল যদি গুজরাটে এই হয়, তাহলে এটা তো অন্তত স্পষ্ট যে কাজের কাজ কিসুই হয় নি, সে স্বনামে হোক বা বেনামে। আর অকাজের কাজ যা যা হয়েছে সে তো সবার জানা এবং তাতে RSS-এর ভূমিকাও বেশ জোরদার, তাই না? বেনামে রুটি বানিয়ে বিতরণ করলেই তো আর এই জিনিসগুলো মুছে যায় না।
কেরালাতেও RSS অনেক কাজ করে বলে দাবী-দাওয়া করে, যদিও ক্রাইসিসের সময়গুলো LDF-ই পার করালো।
দমদি, এক অভিজ্ঞতা আমারও। আমার স্পেশালাইজেশন ওয়েস্ট ওয়াটারে, একটু বেশি বুঝি টাইপ, একটা কাজে জড়িয়ে গেছিলাম, রাজমহল থেকে নবদ্বীপ অবধি। ততদিনে কারা আছে বুঝে গেছি, ফান্ড ড্রাইভের সময় আমি বলেছিলাম যদি সোজাসুজি টেস্টিং কিট আর ভায়াল জোগাড় করে দিই!! ওরা গ্ল্যাডলি অ্যাকসেপ্ট করে নিল।