*সূর্য্যের
অহো।
বলে দিস দুকুরে নিলে বেরিয়েই স্যুর্যের দিকে তাকিয়ে মার্তন্ড মার্তন্ড জপ কত্তে হয় তবেই ওষুধ করে।
তবে ভোরবেলা নিক, আরো এফেক্টিভ হবে।
সকাল দশটার মধ্যে নেওয়া ভ্যাকসিনে কাজ হচ্চে, দুফুরের গরমের মধ্যে যারা নিচ্চেন তারা ঘন্তা উপকৃত হবেন, আর গোধূলি লগ্নে নেওয়া ভ্যাকে কিছু কাজ হতে পারে, তবে শিওর না, -- এইই আমার বাজার লব্ধ জ্ঞান।
আর্সেনিকাম অ্যালবাম বোধহয় নাম ছিল।
আরে ন্যাড়াদা, গতবছরে হুমোপাথির কি একটা আর্সেনিক ওষুধ যেন খুব চলছিল করোনা প্রতিরোধে। ঐন্দ্রিলের লেখাতেও ছিল রুগীরা এসে এসে বলছে। এবারে আবার সেটার কথা শুনছি না। কে জানে ওটা হয়ত ২০২০ ইস্পেশ্যাল ছিল।
লিঙ্ক কি ভেঙ্গে গেল??
ইন ফ্যাক্ট এই শাহী স্নান ইত্যাদি কে গ্লোরিফাই করেন সেকুলার মেডিয়েভাল হিস্টরিয়ান রা, সেটাও এবারে না করাই ভালো হত। বা উইথ লট অফ ডিসক্লেইমার্স। এই পরিস্থিতিতে এসব কেউ বলে বিশেষ করে এমন একটা সরকার , এর আমলে জারা কদিন আগেও তবলিঘি সুপারস্প্রেডার দের নিয়ে আলাদা ফর্মাল বুলেটিন করেছে, আলাদা ক্যাটিগোরি করে রোগ ছড়ানোর নিউজ দিয়েছে, তাদের আমলে মেডিয়েভাল হিস্টরি কে একটা স্টুপিডিটির রেশনাল হিসেবে ইউজ করতে দেওয়া উচিত ই না। ইন এনি ফর্ম।
এখানে কলকাতার আরবান প্রাইমারি হেল্থ সেন্টারগুলোর লিস্ট আর কনট্যাক্ট নাম্বারের পি ডি এফ রয়েছে।
যদি কারো কাজে লাগে..
@ সিএস একদম, গ্রাউন্ডে এখানেও ৪২-৫৬ দিন চলছে।
বইটি ভালো যা শুনেছি, শুনছি, পড়িনি , বৈজয়ন্ত রিভিউ করেছে বলেই পড়ার ইচ্ছে আছে, সে তো বাজে বকার লোক না, কিন্তু এই প্রবন্ধে বৈজয়ন্তর আর্গুমেন্ট আর মেসেজটা কতটা দাঁড়িয়েছে, আই অ্যাম নট শিয়োর আবাউট দ্যাট। আমার মতে আর্গুমেন্ট আর মেসেজ টা ডিসকর্ডান্ট।
কুম্ভমেলা বন্ধ করতে না পারা টা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ফেলিওর , এন্ড অফ স্টোরি। সচেতনতার ফেলিওর , আমাদের জেনেরাল নাগরিক গান্ডুমি ।
তার সঙ্গে হিন্দুত্ত্ব মুভমেন্ট এর আভ্যন্তরীন কনফ্লিক্ট এর ইতিহাস এর সম্পর্ক নেই। যেটা আসলে সাধারণ ভাবে ধর্ম রাজনীতি ইত্যাদির জেনেরাল ইতিহাস, তাকে আভ্যন্তরীন কনফ্লিক্ট বলে মনে হচ্ছে আজকের সংঘ পরিবার এর রেসপেক্ট এ। এবং এই আলোচনা অনেকটাই অর্থহীন, কারণ এই আলোচনায় শেষ পর্যন্ত যে মেসেজ উঠে আসে, সেটা হল, প্রতিটি আভ্যন্তরীন কনফ্লিক্টেই আরো বিশুদ্ধ মিলিটান্ট টেন্ডেন্সির জন্ম হয়। এবং সেই আলোচনা ফাটালিজম e ভরে যায়, প্রায় অনেকটা লেখাটার হেডিং এর মত।
এরকম দিন আসতেই পারে, যখন মোদী কে লিবেরাল মনে হবে, অ্যাট লিস্ট ধান্দা ধনতন্ত্রের , বিজনেস গ্রীড বি ই ং সেকুলার, তার মধ্যে ছিল। সফ্ট হার্ডের এই খেলাটা বহুদিনের নতুন কিসু না। কিন্তু তাই বলে সরকারের অসহায়তার সেটা কোন জাস্টিফিকেশন ই না।
যারা পড়েছেন বইটি , তারা বইটি সম্পর্কে , নিজেদের মতামত দিলে ভালো হয়, তাদের এই বিষয়ের এই সময়ের ইতিহাস সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গী তাহলে বোঝা যায়।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
আমাদের এতদিনের বন্ধু, ব্যাচমেট, ছোটবেলাত বন্ধুর বর, আমাদের বম্বের দিনগুলো কত একসঙ্গে কাটানো বন্ধু চলে গেল কোভিডে। দিল্লিতে৷
নাক্সভমিকা থার্টি আর আর্নিকা। ক্যান্সার থেকে কোভিড, ম্যালেরিয়া থেকে মাথার ব্যামো - সব রোগ সেরে যায়।
দ দি আপনার ওই রিক্সাওয়ালা বেশ আপডেট রাখেন বলতে হবে।
সিংগল k কে বলার, হাই টেক ভাজপা বাহাদুর ২৮-৫৬ দিন টাঙিয়ে রাখলেও, মাটিতে যাকে বলে গ্রাউণ্ডে ৪২-৫৬ দিন চলছে। আরো দুই হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য এটাই।
বলে ফ্যাল। :-)
"রঞ্জনদা সারাদিনে নিঃশ্বাস ফেলবার সময় পাই নি। সবাই ভালো থাকবেন, সাবধানে।"
এটাই হলো করোনা আটকানোর সবচাইতে ভালো উপায়।
হাঃ হাঃ হাঃ, তাও তো দমদি সকালের ভ্যাকসিন আর দুফুরের ভ্যাকসিনের গল্প শোনে নি। :)
মায়ের দেখভাল করার জন্যে যাঁরা আসেন তাঁদের মধ্যে সুন্দরবন অঞ্চলের একজন বললেন গ্রামের পুরুষরা সব বিজেপিকে ভোট দিচ্ছে কারন বিজেপি টাকা দিয়েছে। তবে মহিলারা তৃনকে দিচ্ছে।
শোনা কথা, সত্যাসত্য জানি না।
লুরুতে শুক্রবার স্যাম্পল দিয়েছিলাম, আজও রিপোর্ট আসেনি! (চিন্তা করবেন না, ট্র্যাভেলের জন্যে)
ওদিকে আগরতলায় রাতের কার্ফিউ, সেসময় কিছু বিয়েবাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল, শৈলেশ যাদব নামে এক ডিএম সেসব জায়গায় গিয়ে লোকজনকে মারধর করেছে, মারধোরের ভিডিও করেছে।
এখানকার লোকজন মনে হয় চায়ের দোকানে অটোর লাইনে খুব একটা দাঁড়ান না, টোটোওলা বা দোকানঅলার সাথে গপ্পসপ্প করেন না। ওইজন্য নানারকম বিচিত্র থিওরির সাথে পরিচিত নন।
এই শনিবারে একজন রিক্সাওলা আমাকে বোঝালেন কাক কমে যাওয়ায় করোনা বেড়ে গেছে। বললেন কাক যতসব জার্ম (এটাই বললেন)৷ খেয়ে নিয়ে আমাদের এলাকা ফ্রেশ করে দিত। ওইসব কমে গেছে আর অসুখবিসুখ এমন বাড়ছে। ওইজন্য সকালে উঠে কাঁচা হলুদ আখের গুড় দিয়ে খেয়ে নিতে হয়।
সেদিন একটা দোকানে শুনছিলাম একজন বলছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টও হোমিওপাথি খায়। ওইজন্য ওদের অসুখ হয় না। মনমোহন সিঙের উচিৎ ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের থেকে অষুধের নামটা জেনে নিয়ে খাওয়া। দিনে মাত্র দুটি ডোজ ব্যাসসস করোনার বাপও ধারে ঘেঁষবে না। ইত্যাদি।
আপনারা বড্ডই এলিট। তাই এসব খবর রাখেন না।
এখানকার লোকজন মনে হয় চায়ের দোকানে অটোর লাইনে খুব একটা দাঁড়ান না, টোটোওলা বা দোকানঅলার সাথে গপ্পসপ্প করেন না। ওইজন্য নানারকম বিচিত্র থিওরির সাথে পরিচিত নন।
এই শনিবারে একজন রিক্সাওলা আমাকে বোঝালেন কাক কমে যাওয়ায় করোনা বেড়ে গেছে। বললেন কাক যতসব জার্ম (এটাই বললেন)৷ খেয়ে নিয়ে আমাদের এলাকা ফ্রেশ করে দিত। ওইসব কমে গেছে আর অসুখবিসুখ এমন বাড়ছে। ওইজন্য সকালে উঠে কাঁচা হলুদ আখের গুড় দিয়ে খেয়ে নিতে হয়।
সেদিন একটা দোকানে শুনছিলাম একজন বলছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টও হোমিওপাথি খায়। ওইজন্য ওদের অসুখ হয় না। মনমোহন সিঙের উচিৎ ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টের থেকে অষুধের নামটা জেনে নিয়ে খাওয়া। দিনে মাত্র দুটি ডোজ ব্যাসসস করোনার বাপও ধারে ঘেঁষবে না। ইত্যাদি।
আপনারা বড্ডই এলিট। তাই এসব খবর রাখেন না।
ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার ১৫ দিন পরে কাল একজনকে আইসিওউ তে যেতে হয়েছে। রিটায়ার্ড কর্নেল, প্রচুর সুপারিশ নিয়েও কতক্ষণ আর্মি হাস্পাতালে বেড পাননি।
- ইনি মারা গেলেন।
রঞ্জনদা, এই বইটা পড়ে ফেলুন। বই লাগলে বলবেন পাঠায়ে দেব।
রঞ্জনদা সারাদিনে নিঃশ্বাস ফেলবার সময় পাই নি। সবাই ভালো থাকবেন, সাবধানে।
একজন ডাক্তার এখানে করোনা রোগী দেখছেন গিজগিজ করছে ভীড় তার চেম্বারে। যার হয়তো করোনা হয়নি বা ফ্যামিলির লোক যে কিনা সুস্থ সাথে এসেছে তাদেরও করোনা হয়ে যাবে। ভয়ংকর অবস্থা।
@এন্ডোর গুরুর বাইরে আলাদাভাবে কোনো সামাজিক মাধ্যমে নেই। কিন্তু হোয়াট সাপে দু এক জন গায়ে পড়ে এসব আলতু ফালতু কিছু ফরোয়ার্ড করেছিল। হেবি ঝেড়েছি। আবার লান্সট এর নাম করে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এরা। লান্সট এ নাকি বেরিয়েছে মাস্ক খুলে ফেলুন, সবাই মিলে বাইরে বেরোন, এসব হাবি জাবি। আমি বললাম শিক্ষিত লোক হয়ে এসব বলেন কি করে। ফেবুতে মনে হয় এসব চাষ হয়।
এদ্দিন ধরে যেখানে যেখানে ভোট নেওয়া হচ্ছিল সেখানেই যদি সবাইকে ভ্যাকসিন দিয়ে দিত তাহলেও এই ভোটনিধনযজ্ঞের কিছু অন্তত উপকার বুঝতাম!
অন্তত কেন্দ্রীয় বাহিনীর মেশিনারির কিছু সদগতি তো হত!
ভোটকেন্দ্রে অনেক ছাউনি হচ্ছে। আধ ঘ্ণটা সেখানেই বসানো যেত। আমরা যেখানে নিলাম, সেখানে এত ভিড়ে ভিড়াক্কার, বদ্ধ ছোট ঘর, ওখানে গাদাগাদি করে বসাই তো এক রিস্ক। সবাইকে ২০ মিনিট বস্তে বলছে, কেউ না বসলেও দেখছেনা। কাউকে শুইয়ে রাখেনি। শোওয়ানোর জায়গাই নেই! অনেকেই বাইরে গিয়ে মনদির চাতাল, গাছ্ব্র তলায় খোলামেলায় বসছেন। ভোট দিয়েও সেভাবেই পারতেন। একটা ছাউনি করলেই হত।
আমাদের কোন মেডিকাল হিস্ট্রি জানতে চায়নি। চাইলেও কাজটা ভোটের কাজের পর ৩-৪ মিনিটের বেশি জুড়বেনা। এখন ভ্যাক্সিনেশনের লাইনে যে পরিমাণ ভীড় হচ্ছে সেতো ইনফেক্সনের সূতিকাঘর। প্লাস আপো পাওয়া নিয়ে কী হুজ্জুতি!
হ্যাঁঁ, দিল্লির অবসস্তগা ভয়াবহ। আমার ব্বহু পরিচিত, কলীগ পুরো পরিবার আক্রান্ত। বেশ কিছু পরিবারে কেউ না কেউ বা একাধিক মৃত :(
ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়ার ১৫ দিন পরে কাল একজনকে আইসিওউ তে যেতে হয়েছে। রিটায়ার্ড কর্নেল, প্রচুর সুপারিশ নিয়েও কতক্ষণ আর্মি হাস্পাতালে বেড পাননি।
কোলকাতার অবস্থাও ৭ দিনে এরকম হতে পারে, এই ভয়টাই পাচ্ছি। অলরেডি বেজায় চাপে।
গুরুরই একজনের মাকে শুনলাম টেস্ট নেগেটিভ আসার আগেই।ইইডিএফ থেকে ছেড়ে দিয়েছে, বাড়িতে বাবা একা মা বাড়ি এসে বমি করছেন।
রঞ্জনদা, খুব খুব সাবধানে। মেয়ে বেটার? আপনারা দিল্লিতে?
আমাদের আবাসনে গুচ্ছ লোকের জ্বর, অসুস্থ। কেউ টেস্ট করাবেন না।
এদিকে ভ্যাকসিনের লাইনে ৫ টা থেকে ৪ ঘ্ণটা লাইন দিয়েও সব ফেরত আসছেন। ৭৫-৮০ বছরের লোকজন সব। দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়ে।
এই লাইন থেকেই তো ইনফেকশন হয়ে যাবে!
আর এখন রোজ প্রতি মুহূর্তে কাঁটা হয়ে আছি, কী কী খারাপ খবর শুনতে হয়!
পাই দি, দিল্লীতে স্যাম্পেল কালেকশন করতে আগে দু তিনদিন সময় লাগছিল, এখন সম্পূর্ণ বন্ধ শুনলাম। যারা থাকে তাদের কাছ থেকেই শুনছি। ল্যাবের একটি ছেলে থাকে ইলাহাবাদে। তার বাবা মারা যান ফার্স্ট ওয়েভে। এবছর তাঁর বাৎসরিক কাজের পর পুরো ফ্যামিলিই কোভিডে। কয়েকজন মরণাপন্ন। তার কাছে শুনলাম টেস্টিং এসব গল্প হয়ে গেছে। লোকে সিম্পটম মেলাচ্ছে শুধু। আজ আবাপয় দেখলাম অযোধ্যার ষোলোটা হাসপাতাল ঘুরে বেড না পেয়ে এক দম্পতি পশ্চিমবঙ্গে এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন।