"গণতন্ত্র" বাঁচাতে ৫ জনকে মেরে ফেলতে হয়েছে। গণতন্ত্র বাঁচালো জরুরী তো তাই।
সেলিমের বিবৃতিতে ও তো 'দ্বর্থ্যহীন ভাষায় ধিক্কার' ই দেখলাম। আরও অন্য কোন বিবৃতির কথা বলছ?
মৃতদের নাম : হামিদুল মিয়া, সামিউল হক, মনিরুল হক, আমজাদ হোসেন, আনন্দ বর্মন
পিটি
আজকে ঘটনাটি ঘটেছে। আজকে চারজন তাজা প্রাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। সবাই খেটে খাওয়া মানুষ। সবাই মাইনরিটি কমিউনিটির। কেন্দ্রীয় শাসকদল এটাকে জাস্টিফাই করছে। এটাকে নিিন্দা করতে হলে আগে অমুক সালে তমুক ঘটনার সময় আমার স্ট্যান্ড কী ছিল তা নিয়ে আপনার থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে? তর্কের খাতিরে যদি ভুুল বলে থাকি তাহলে আজ আমার পুলিশের নিন্দে করার অধিিকার নেই? এর মধ্যে মিডিয়া ট্রায়াল কোত্থেকে?
অসুবিধে নেই করতে থাকুন। এর আগে নন্দীগ্রামের ঘটনারও তো মিডিয়া ট্রায়াল করেছিলেন। তার নিট ফল বিজেপির ক্ষমতায়ন।
তবে খ্যাল রাখবেন যে এই দলটার নাম সিপিএম নয়। এটার নাম বিজেপি। আর বর্তমানে এর নেতা বুদ্ধ ভট্টাচার্য নয়। এদের মোদি শাহ- ডবল ইঞ্জিন। সেসব দেখেই বুজিরা গত্তে সেঁধিয়েছে। ২০১১-র আগে হলে এতক্ষণে কয়েক টন মোমবাতি বিক্কিরি হয়ে যেত।
প্রমান ছাড়া বিজেপির মিডিয়া ট্রায়াল করা যাবে না...
ইউএপিএ বা আগেকার মিসা অনেকটা এরকম ছিল
পিকের কাজটা মনে হয় ইচ্ছাকৃত।
কেন পিটির "লজ্জা, ঘেন্না, ভয়" থাকবে কেন? পিটি তো কয়েকশ বার অনশন মঞ্চে বিজেপির নেতাদের উপস্থিতিকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে। যারা তা করেনি আর ভেবেছিল যে বামেদের সিধে করার জন্য বিজেমুল হায়্নাকে চিরকাল বশে রেখে যখন প্রয়োজন লেলিয়ে দেবে তারা তাদের বালখিল্যতার জন্য লজ্জা পাক।
লজ্জা, ঘেন্না, ভয়
পিটি থাকতে নয়
যাঁরা আবার এই গুলি চালানো নিয়ে লিখতে শুরু করেছেন তাঁরা কি আগের মিথ্যে ও গুজবকে মদত দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন?
দয়া করে কোন প্রমাণ ছাড়াই মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করুন ও মিডিয়া ট্রায়ালের বিরোধিতা করুন। নাহলে অদূর ভবিষ্যতে নিজেরাই বিপদে পড়তে পারেন। তার থেকে পিটি সহ বিজেমুলের তীব্র্র নিন্দুকেরাও বাদ যাবেনা।
বিজেপি একটি হায়্নার দল সেটা সবই জানে। তার জন্য তিনোর বাঁদরামোর নিয়ে মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে এখন হঠাৎ holier than thou জাতীয় বক্তব্য রাখা অর্থহীন।
এখানে কয়েকজনকে নিয়ে সত্যিই আর কিছু বলার নেই। তাঁদের বাণীই তাঁদের পরিচয়।
তবে সেন্সিবল কিছু লোকজন এখানেও আছেন, অন্যত্রও দেখলাম, এটুকুই যা খড়কুটো ভরসা।
সেলিম - ইয়েচুরি দুটি বিবৃতি পাশাপাশি পড়লাম। সত্যিই এনিয়েও আর কিছু বলার নেই। মোটামুটি বলা যায়, এদুই ধরণের সমর্থকদের দুই নেতা।
স্বাতী মৈত্রর পোস্টদুটো রইল। যদিও সেলিমের বিবৃতির নিয়ে বক্তব্য থাকলেও ভাল লাগত।
"গত কয়েকমাসে যেখানে সেখানে যখন তখন পুলিশ বদলি হয়েছে। এই গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা অফিসার বদলি হয়েছেন। ভোট শেষ হতে হতে আরও কত বদল হবে, বলা যাচ্ছেনা। সাধারণত একটা দলের ক্ষমতা যখন তলানিতে এসে ঠেকে, তখন পুলিশ তাদের হাতে থাকেনা। সন্দেহ হয়, নির্বাচন কমিশন ও কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মনে আশঙ্কা ছিল, হয়তো শাসক দলের ক্ষমতা ততটাও তলানিতে নয়। রিস্ক নেবেন না বলে যত্রতত্র বদলি করেছেন। একটা এলাকার পরিস্থিতি যেই পুলিশের হাতের তালুতে, সেই পুলিশিং ব্যবস্থা ডিস্টেবিলাইজ করে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করবেন নির্বাচন কমিশন? বাইরের রাজ্য থেকে আসা কিছু জওয়ান, যাদের স্থানীয়দের সাথে কোন পরিচয় নেই, যাদের এলাকা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই, যাদের কানের কাছে 'মিনি পাকিস্তান মিনি পাকিস্তান' করে যাচ্ছে একদল লোক রোজ - শুধু তাদের ভরসায় ভোট করাবেন নির্বাচন কমিশন?
এর মধ্যেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মতন অদ্ভুত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। মমতাকে তো ছেড়ে দিন, নোটিশের পর নোটিশ - বিধাননগরের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীকে পর্যন্ত ঘন্টা দুয়েক অফিসে বসিয়ে রেখেছিল কমিশন এক অভিযোগের কারণে। খালি একটি দলের সাত কেন, সাতশ খুন মাফ।
এটা লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ডে ভোট হচ্ছেনা। ৮ দফায় ভোট দিয়ে কোটি কোটি টাকা উড়িয়ে আমাদের ও বাকি দলগুলির ধৈর্য্যের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধের একটা পুরনো স্ট্র্যাটেজি আছে, সিজ করা। এটা সেই স্ট্র্যাটেজি। আপনি শেষমেশ ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে পালাবেন, এটাই উদ্দেশ্য। তার জন্য যদি কেন্দ্রীয় হানাদার বাহিনীর গুলিতে কিছুজন ও করোনায় আরো অনেকজন মরে, ক্ষতি কী?
--
১) গতকাল কোচবিহারের এসপি বদলি হয়েছেন। নতুন এসপি আজকে এলাকার ইন চার্জ ছিলেন।
২) গুলি চালানোর অনুমতি কে দিয়েছিলেন, এখনো প্রকাশ হয়নি।
৩) প্রধানমন্ত্রী আজকেও শিলিগুড়িতে বসেছিলেন। কষ্ট করে কোচবিহার যেতে পারেননি, তবে গুলি চালানোর জাস্টিফিকেশন দিতে পেরেছেন। শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার কতদূর?
৪) আজকে সকালে ইলেকশন কমিশন একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, জওয়ানদের ব্যবহার করে। সেখানে লেখা, ওরা দেশের জন্য মরতে পারে, আপনি ভোট দিতে পারেননা? তা ভোট দিতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরতে হবে কেন, এর ব্যাখ্যা দেবেন কমিশন?
সংযুক্ত মোর্চার বিমান বসুর বিবৃতির সাথে আমি সহমত। মুখ্যমন্ত্রী দোহাই ভাষা সংযত করুন, নিজের সমর্থকদের খাতিরে, এটা জেনে যে তাঁদের জীবন বিপন্ন। প্রধানমন্ত্রী ভোটের দিন রাজ্যে আসা বন্ধ করুন এবং তাঁর বিবৃতি ভোটের দিন সম্প্রচার হওয়া বন্ধ হোক।
এ ছাড়াও, মোর্চার সমর্থকদের দোহাই - গুলি চালানো জাস্টিফাই করবেন না। বাপি ধরের দোহাই আপনাদের।
চালিয়ে যান। অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হচ্ছে তো।
২০০৭ সালে গুলি চলল, আর ২০১১ অবধি বুদ্ধ-বিমান ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে রইলেন কেন। কারণ, বেশি তেড়িবেড়ি করলে অনেক কিছু প্রোকাশ্যে চলে আসবে যে!!
আরে আরাবুল কেন।
আলোচনাটা মুকুল- শুভেন্দুকে দিয়ে শুরু হোক। এই গুন্ডাদের কে দুধ- কলা দিয়ে পুষেছিল এক দশক ধরে মোদিশাহর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য?
সুশান্ত ঘোষকে দশ বছর নিজের গ্রামে ঢুকতে দেয়নি যে বিজেমুল সরকার তারা মুকুলের বিরুদ্ধে কটা সিরিয়াস মামলা রুজু করেছে?
বেশী তেরিবেড়ি করলেই ডেলোর মিটিং এর সব কিছু প্রোকাশ্যে চলে আসবে যে!!
এবারে দ্যাকা যাচ্ছে অমিতশা কে?
সে আরাবুলের থেকে বড় গুন্ডা কিনা?
*এবারে মালটা কথা ঘুরিয়ে বলবে আরাবুল অমিতশাকে এনেছে সেই কথা বলেছিল। আসলে যে আরাবুলকে বড় ভেবে অমিতশাকে ছোট ভেবেছিল সেটে আর স্বীকার করবে না মিথ্যেবাদিটা।
তদন্ত কিরকম হবে বোঝাই যাচ্ছে। নাগপুর থেকে রিপোর্ট আসবে।
কুচবিহারে নেক্সট তিনদিন কাউকে যেতে দেবে না। বাহ, চমতকার হচ্চে।
মাফিয়া।
হ্যাঁ, প্রিসাইডিং অফিসারকে সই করানোর কেসটা আমিও শুনছিলাম।
তৃণমূল জিতলে (যা কিনা হওয়ার চান্স বেশ বেশী) পাড়ায় পাড়ায় মারামারি হবেই। পুরসভা ভোট আসছে।
গতকাল কুচোবিহারের এস পি বদল হয়েছে। নির্বাচন কমিশান যখন তখন যাকে তাকে বদলি করছে। নতুন এস পি আজকে দায়িতএ ছিলেন। তিনি কি আদৌ এলাকা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হবার সময় পেয়েছিলেন?
গুলি কার নির্দেশে চলেছে এখনো জানা যায় নি। এদিকে কয়েকদিন আগে আমার এক বন্ধু (যে এবার প্রিসাইডিং অফিসার হয়েছে) সে বলছিল কোথাও কোথাও নির্বাচন কমিশান আগে থেকেই প্রিসাইডিং অফিসারকে দিয়ে গুলি চালানোর নির্দেশ সই করিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। এটা ৬ তারিখের ভোটের আগে। তো সেই সময়ে লোকজন একেবারে অস্বীকার করে বেঁকে বসায় নির্বাচন কমিশান ক্ষান্ত দেয়। এরকম আগাম অর্ডার সই করাতে পারে কি?
আজকের কাগজে নির্বাচন কমিশান একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছে আর্মি না সিআরপিএফ কাদের ব্যবহার করে যেন যে ওরা দেশের জন্য প্রাণ দেয় আর আপনি ভট দিতে পারবেন না? মানে কি আগাম বলে দিচ্ছিল যে ভট দিতে গেলে প্রাণ দিতে হবে?
আর গুলি চালনার আগে আরো অনেকগুলো স্টেপ থাকার কথা। লাঠি, রবার বুলেট জলকামান ইত্যাদি। সোজা বুক লক্ষ করে গুলি চালানো কোনোভাবে অ্যাকসেপ্টেবল নয়। সেটাকে যারা লেজিটিমাইজ করে তারা অতি নিকৃষ্ট জীব।
এখানে কি কোন বালখিল্য আছে যারা প্রত্যাশা করেছিল যে বিজেপি ঝামেলা করবে না?
দিদি বলেছিলেন "খেলা হবে"- তো এতো সবে খেলা শুরু।
তিনোরা জিতলেও বড় খেলুড়েরা এই বাঁদরামো চালাবে লোকসভার ভোট পর্যন্ত।
এদিকে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে পরের চারদফার জন্য প্রচারের সময়সীমা তিনদিন কমিয়ে দেওয়া হ'ল। এদিকে ভোটের দিন কিন্তু মোদু ও পিসির সভা লাইভ টেলিকাস্ট দেখানোয় কোনো বাধা নেই। ভালো চলছে।
আগে হিরোইনরা বলত, তারা চায় দর্শকরা যেন হিরৈনদের নিয়ে ফ্যান্টাসি করে (কেমন ফ্যান্টাসি তা জানিনা অবশ্য )! আজ্কাল হিরৈনরা কি আর ত্যামন ভাবে!
হা রাম!
হ্যাঁ, গাড়ির কাঁচ ভেতরে বসা কেউই ভেঙেছে।
বাপি ধরের ব্যাপারটা মনে আছে। সেটা ঘটার পর পিসীর বক্তব্য ছিল বাপি ধরের মত ক্রিমিনালকে গুলি করে পুলিশ ঠিক করেছে।
হ্যাঁ তিনোরা আজকে বহু জায়্গায় ঝামেলা করেছে। কে কে দাস কলেজে প্রায় আর কোনও এজেন্টকেই বসতে দেয়নি। যাদবপুরে অন্যত্রও গোলমাল করেছে। তারপরেও বহু জায়্গায় বিজেপি নেতারা পৌঁছে গিয়ে প্রোঅ্যাক্টিভলি ঝামেলা শুরু করেছে। তিনো কর্মীরা যথারীতি সেই প্ররোচনায় পা দিয়েছে। কারণ বহু জায়্গায় তাদেরকে টিভিতে বলতে শুনলাম যে সুন্দর ভাবে ভোট হচ্ছিলো, এই নেতা নেত্রী এসে গোলমাল শুরু করলো।
"পিটি একটু ভাবুন"
ভাবছি আর লিখছিও অনেকদিন ধরেই। সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে খেলতে খেলতে বড় খেলুড়ের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে বিজেমুল। নিজের লাগানো আগুনে নিজেই পুড়ছে আর গোটা পবকে পোড়াচ্ছে।
বিজেমুলের সাম্প্রদায়িকতার বিরোধীতা গুরুতে কতটা দৃঢ়্তার সঙ্গে করা হয়েছে? তিনোমুলী বুজিরাই বা কতবার এই নিয়ে রাস্তায় নেমেছে?
পিটিকে যত পারেন গাল দিন। শুধু মমতার অনশন মঞ্চে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতির সময়ে ব্যক্তি হিসেবে (শুধু RR নন) কি অবস্থান নিয়েছিলেন ভেবে দেখবেন।
আচ্ছা লকেট নাকি নিজেই নিজের গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে ঝামেলা করছে! চমত্কার মজা!