আহা গো, স্রেপ আব্বাসের জন্য বাধ্য হয়ে তৃণমূলকে সাপোর্ট কত্তে হচ্চে! কী অসহনীয় পরিস্থিতি হে হুজুর।
নাঃ। জটায়ু ইংরিজি বলতে পারছেন না, ' ফার্স্ট গিয়ারে রওনা দিয়ে সেকেন্ড গিয়ারে আটকে গেছেন, (লেখকের উক্তি )'। ইয়েস বলতে গিয়ে হাঁয়েস বলে ফেলছেন। সেটা সোনার কেল্লার জটায়ুর সাথে একেবরেই যায় না।
সিনেমাটার কথা এই জন্যেই বলছি যে উপন্যাসের জটায়ু চরিত্রকে সন্তোষ দত্তের কমেডি একেবারে আত্মসাৎ করে নিয়েছিলো।
এখানে ইন্ডিয়ান মেডিয়েভেল হিস্ট্রির কোনো বিশেষজ্ঞ আছেন? 'দিন-ই-ইলাহী' সম্পর্কে প্রামাণ্য গ্রন্থ বা গবেষণা পত্র বিষয়ে সন্ধান চাই।
বাপস, পুরো পলিটিকাল কেরিয়ার যিনি বানিয়েছেন মিথ্যে কথা আর দুর্নীতির ওপর দাঁড়িয়ে, তিনি নাকি আবার টর্চ বেয়ারার!
তৃণমূলকে নিয়ে তাত্ত্বিক কথা বলার কোন মানে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ও পরিবারের সুবিধা দেখার জন্য পার্টি বানিয়েছেন। নিজেদের সুবিধা হবে বলে অনেক লোক সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছে। নব্বইয়ের পরেও উনি বিজেপি বা কংগ্রেস দুটো পার্টির নেতৃত্বেই সরকারে যোগ দিয়েছেন, যখন ঘোষিতভাবেই তারা কেউ ভর্তুকিতে বিশ্বাস করে না।
আজকে ওনার সরকার ভর্তুকি দেয় কারণ ভর্তুকি দিলে মিডিয়া ফুটেজ খেতে, ও কাটমানি খেতে সুবিধা হয়।
নব্বই দশক অবধি যে ভর্তুকি-নির্ভর অর্থনীতি প্রায় সবদলই চালাত, এই মুহূর্তে তার একমাত্র টর্চবিয়ারার তৃণমূল।
তৃণমূলকে নিয়ে তাত্ত্বিক কথা বলার কোন মানে নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ও পরিবারের সুবিধা দেখার জন্য পার্টি বানিয়েছেন। নিজেদের সুবিধা হবে বলে অনেক লোক সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছে। নব্বইয়ের পরেও উনি বিজেপি বা কংগ্রেস দুটো পার্টির নেতৃত্বেই সরকারে যোগ দিয়েছেন, যখন ঘোষিতভাবেই তারা কেউ ভর্তুকিতে বিশ্বাস করে না।
আজকে ওনার সরকার ভর্তুকি দেয় কারণ ভর্তুকি দিলে মিডিয়া ফুটেজ খেতে, ও কাটমানি খেতে সুবিধা হয়।
নব্বই দশক অবধি যে ভর্তুকি-নির্ভর অর্থনীতি প্রায় সবদলই চালাত, এই মুহূর্তে তার একমাত্র টর্চবিয়ারার তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় বাহিনী যদি ঠুঁটো জগন্নাথ হয় আর পোলিং এজেন্টরা যদি টাকা খেয়ে সাবোতাজ করে তাহলে খুবই হতে পারে। কিন্তু শুধু বললেই তো আর হয় না,অভিযোগকারীরা সে সময়ে দর্শকের ভূমিকা পালন করছে কি না সেটাও জানা দরকার। সেক্টরকে ফোন করা তো খুবই সহজ ব্যাপার। সেক্টর তো আর কেন্দ্রের নয়।
সত্যি নাকি?
যাঁরা ছাপ্পা হচ্ছে বলেন তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনির ঠুঁটো জগন্নাথ আর পোলিং এজেন্টদের টাকা খেয়ে সাবোতাজ করার কথাও বলেন। না থাকতে পারা তো আছেই। আর প্রিসাইডিং অফিসারদের ভয় দেখানো, সেটিং ইঃ.
এক মহকুমাশাসকের কাছে এর আগের এক ভোট নিয়ে শুনেছিলাম, কত ঘ্ণটায় কত ভোটের হিসেব। যা ওঁদের হিসেবে আসা আবসার্ড, ছাপ্পা না হলে। সেখানে অবশ্য অবিজেপি দলের কাউকে ঢুকতেই দেয়নি।
"নব্বই দশক অবধি যে ভর্তুকি-নির্ভর অর্থনীতি প্রায় সবদলই চালাত, এই মুহূর্তে তার একমাত্র টর্চবিয়ারার তৃণমূল।'
আসলে ইহা একটি টুকলিবাজ সরকার। নিজস্ব চিন্তা ভাবনা কিস্যু নাই। সরকারি কর্মীদের DA সম্পর্কে তেনার উক্তি ও বিপুল সংখ্যায় সরকারী পদ খালি রাখা কোন ভর্তুকি-প্রিয় সরকারের কাজ হতে পারে না। তদুপরি তিনি রেলমন্ত্রী থাকা কালীন রেলে প্রতি বছর ১% (বা ঐরকম কিছু) কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন।
এবং নন্দীগ্রামের ডেমোগ্রাফি জানা থাকার পরে বড়েস কেন এত অবাক হচ্ছেন সেটাও বুঝতে পারিনি। শুধু অবাক হলেও তবু কথা ছিল, ওঁর কথায় যেন আফশোসের সুর!
নন্দীগ্রামে সবচেয়ে বেশি ভোট যে কেন্দ্রগুলোয় পড়েছে প্রায় সবই ব্লক ওয়ানে এবং সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
https://bengali.abplive.com/elections/west-bengal-assembly-elections-2021-90-percent-polling-at-89-booths-at-nandigram-second-phase-election-808417
"বিজেপির সঙ্গে তিনোদের তাত্ত্বিক কোনও সমস্যা নেই"
ভুল। তৃণমূল মানুষকে সামাজিক সহায়তা দেওয়ার রাজনীতি করে। পরিষেবার মূল্য বাড়তে না দেওয়া নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধে তৃণমূল ইউপিএ ছেড়েছিল। নব্বই দশক অবধি যে ভর্তুকি-নির্ভর অর্থনীতি প্রায় সবদলই চালাত, এই মুহূর্তে তার একমাত্র টর্চবিয়ারার তৃণমূল।
আচ্ছা পাই অন্যত্র লিখেছিলেন ছাপ্পা ভোট সম্পর্কে। দীর্ঘদিন প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনের সুবাদে এটুকু বলতে পারি ইভিএমে ছাপ্পা ভোট হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। প্রথমত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অকেজো করে রাখতে হবে দীর্ঘক্ষণের জন্য। দ্বিতীয়ত সেই বুথে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী এজেন্ট থাকতে পারবেন না। তৃতীয়ত সেকেন্ড পোলিং অফিসারকে সচিত্র পরিচয়পত্রের শেষ চারটে সংখ্যা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং ফার্স্ট পোলিংকে সেসব নাম তালিকায় কাটতে হবে। গোটা প্রক্রিয়াটা শেষ করতে অন্ততপক্ষে ঘন্টাদুয়েক লাগবে। সর্বোপরি কেউ যদি এটা টের পেয়ে সেক্টরে ফোন করেন, তাহলে দফারফা।
কেউ কেউ ৮৮% ভোট পড়ায় অবাক হয়েছেন। আবারও বলি একজনের ইভিএমে ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ করতে মোটামুটি লাগে ৩১ সেকেন্ড। অর্থাৎ মিনিটে দুটো ভোট। সেই মোতাবেক বেলা একটার মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়তে পারে ৭২০টি ভোট যা মোট ভোটারের ৭০% হওয়া খুব বিচিত্র নয়। গ্রামে যে ভোটিং প্যাটার্ন তাতে সকাল থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চুটিয়ে ভোট পড়ে। একটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটে অবধি খুবই ধীরগতিতে চলে। আবার জোরকদমে ভোট শুরু হয় বেলা সাড়ে তিনটের পরে।
নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে বলি, প্রার্থী মীনাক্ষী স্বয়ং বলেছেন যে নন্দীগ্রামের প্রতিটি বুথে মোর্চার পোলিং এজেন্ট ছিল। এর পরে সেখানে ছাপ্পার প্রসঙ্গ ওঠা উচিত নয়।
ভাঁড়ামো বলতে যদি জ্ঞানের অভাবের কথা বলেন তাহলে তাও বুঝি।
আমি শুধুমাত্র ফেলুদার কাহিনী অনুযায়ী জিজ্ঞেস করছি। চলচ্চিত্র বা নাটক বা tele-film বা web series ধরছি না।
দাশগুপ্ত?
সুজন চক্রবর্তীর গোয়েন্দা একেনবাবু অত্যন্ত ভালো এক গোয়েন্দা। ক্লাস সেভেন এইটে পড়ার সময় আনন্দমেলায় ওনার প্রথম উপন্যাস ম্যানহাটানে মুনস্টোন পড়ে মুগ্ধ হই। সেই একেনবাবুকে জটায়ুর অনুকরণে ভাঁড়স্য ভাঁড় করে তুলেছে সিরিয়ালে।
তাচ্চেয়েও বড়ো ডিগ্রেডেশন হল সেন, অদম্য সেন।
তবে কিনা এগুলো ঠিক ফেলুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ না।
সোনার কেল্লা উপন্যাসে জটায়ুর পড়াশুনার পরিচয় আছে। কিন্তু সিনেমা হবার পরে,সম্ভবতঃ সন্তোষ মিত্র এফেক্টে, , পরবর্তী গল্প উপন্যাসে জটায়ু আস্তে আস্তে ভাঁড় হয়ে যাচ্ছেন। লক্ষ করবেন, গল্পে মন্দার বোস ট্রেন থেকে পালাতে পারছে তোপসের কারণে, কিন্তু সিনেমাতে ওটা জটায়ুর ঘাড়ে চাপানো হল। এমনকি জটায়ুর ছবিও পাল্টে যাচ্ছে ।
জটায়ুর ডিগ্রেডেশন — এর ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না, উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা করলে বুঝতে পারতাম।
জটায়ুর ডিগ্রেডেশন ।
ফেলুদার কাহিনী নিয়ে কোন কোন অভিযোগ আছে তার একটা তালিকা দিলে উপকৃত হবো। একটা যেমন ধরুন নারী চরিত্রের বিরল উপস্থিতি।
সুন্দর গান।
বিজেপির সঙ্গে তিনোদের তাত্ত্বিক কোনও সমস্যা নেই। দুটই জঘণ্য রাইট উইঙ্গ পার্টি। সেই কারণেই দিদি শুধু বলে চলেছেন যে বিজেপি বহিরাগতদের পার্টি। মানে ঐধরনের কাউকে ভোট দিতে গেলে তিনোকেই ভোট দিন। দিদি অলমোস্ট নিজে মুখেই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে তিনোরাই বাংলার বিজেপি।
তিনোসমর্থকদের সমস্যা হল তারা ঠিক বিজেপিকে হারাতে চায় না। তারা চায় বামেরা চলে গিয়ে শুধু তিনো আর বিজেপি থাকুক, যাতে সময় মতন সুযোগ বুঝে দুদিক থেকেই সুবিধা করা যায়।
যখন দিদির বিজেমুলী গুন্ডারা মহানন্দে সিপিএমের পার্টি আপিস পুড়িয়ে RSS/BJP কে বেড়ে ওঠার সমস্ত সুযোগ করে দিচ্ছিল অথবা খর্গপুরে চাচার ভোট ভাগ করে ঘোষদাদাকে জিতিয়ে এনে বিজেপির জয়যাত্রার পথ সুগম করে দেয় তখন এইসকল নিননিছা মহাপন্ডিতেরা কোথায় ছিল?
বিজেপিকে শুধু ভোট দিয়ে হারানো যাবে না। পাল্টা narrative দরকার যেটা টিনোদের নেই।
No vote to bjp facebook group এ সিপিআইএম এর খিল্লি ওড়ানো হচ্ছিল এবং তিনোরা কত বড় ফাসিবিরোধী (এবং বাম) প্রমাণ করা হচ্ছিল। আমি বিরোধী শুন্য করার কথাটা তুলতেই সঙ্গে সঙ্গে ব্লক করা হয়। তাই সোজাসুজি তিনোকে ভোট দিন বলুন।
Anand Patwardhan is in Facebook