এলেবেলে | ২৮ মার্চ ২০২১ ১৬:৪৫ - একমত। চাষির ছেলে নিজের ভালো বোঝে না, তাকে ঘাড় ধরে চাষের ক্ষেত থেকে টেনে এনে আইটইওলা বানাতে হবে, তার বদলে চাষ একটা সম্মনজনক ও লাভজনক পেশা, সে চেষ্টা করা অনেক ভালো।
চাষির ছেলের হাতের নাগালে স্কুল কলেজ এনে দিলে সে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তার উপকার করার জন্যে তার চাষের জমিটা কেড়ে নেওয়া আবশ্যক না।
তবে এসব জিনিস কী আর প্রাজ্ঞ লোকেরা বোঝেন না? তাই এসব বলারও মানে হয় না।
আরে সিঙ্গল k সহনামি, মিসোজিনিস্ট একটু তো বটেই। কিন্তু আবার শুধুমাত্র মেয়েদের জন্যি কোর্সও আছে।
বড় এস, ভুল হলো। আমার আর এলেবেলের বোধয় এক দাবি বা প্রশ্ন নয় (হওয়ার কথা না অন্তত, অনেক ক্ষেত্রেই এলেবেলের একটু চরম অবস্থান আর আমি মোটামুটি সুবিধাবাদি, নরম করে বললে কষ্টেসৃষ্টে বাস্তববাদি বলা যেতে পারে)। কোথাও একটা মিলে গিয়ে থাকবে। আমি অবশ্য সব রিসেন্ট পোস্ট পড়িনি।
সবাইকে হোলির শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেম...
জ্যয় শ্রীরাম।।
আচ্ছা হিন্দু পাকিস্থানের মূলে কুঠারাঘাত করতে গিয়ে নিজের পায়ে কুড়ুল মারা হয়ে গেল কি?
মানে, আমার বয়সটা কিছু বেশী েহলেও আমি ঐ রামকৃষ্ণদেবের প্রিয় অবিবাহিত গোষ্ঠীরই সদস্য।
কেসিদার kc | 188.71.214.26 | ২৮ মার্চ ২০২১ ১২:১৫ পোস্টের বিজ্ঞপ্তিটি ভারী মিসোজিনিস্ট।
বিজ্ঞপ্তিটিতে কেবলমাত্র অবিবাহিত 'যুবক'দের স্বনির্ভরতার পাঠ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। আবিবাহিত যুবতীরা বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা কি দোষ করল। তাঁদের কি স্বনির্ভরতার দরকার নেই। অবিবাহিত এবং যুবক শুধু বেছে নেবার কারনটা জানলে ভাল হত। আশাকরি কারনটি ধর্মীয় বা প্রতিষ্ঠানের আদর্শভিত্তিক নয়।
ঔত্সুক্যবশতঃ ওঁদের অনলাইন ফর্মটি পাঠ করে জানতে পারলাম সেখানে নিজের লিঙ্গ জানাবার কোন জায়গাই রাখা নেই। অর্থাত ঐ ‘যুবক’ কথাটি আক্ষরিক অর্থেই ‘যুবক’, যুবতী নয়, যুবতী হবার কোনো অবকাশই নেই। বরং শর্ত হিসেবে লেখা -
৫) গ্রামে বসবাসকারী কঠোর পরিশ্রমে সক্ষম অবিবাহিত যুবকরা আবেদনের যোগ্য।
৬) অবশ্যই স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং উত্সাহী হতে হবে।
রামকৃষ্ণ মিশন না হয় একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, তাঁদের নিজেদের আদর্শের ভিত্তিতে যোগদানকারী ছাত্র অথবা ছাত্রী অথবা অন্য কাউকে বেছে নেবার অধিকার আছে। কিন্তু নাবার্ড বা পাঞ্জাব ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্ক তো এখনও সরকারী প্রতিষ্ঠান, তারা বড়জোর যোগদানকারীদের বয়স এবং আর্থিক সঙ্গতির সীমা অব্দি বেঁধে দিতে পারে, এটা যেহেতু বিশেষ আর্থিক গোষ্ঠীর মানুষকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি করা হচ্ছে, তার বাইরে কোনোরকম লিঙ্গ বা বৈবাহিক অবস্থান সম্পর্কে অ্হেতুক নিষেধাজ্ঞা তারা ভারতের জনগনের ওপরে আরোপ করতে পারে কি? সেটা তো সংবিধানসম্মত নয় বলেই মনে হয়। এক্ষেত্রে তারা রামকৃষ্ণ মিশনের সহযোগী হিসেবে তাইই করছে।
নাবার্ডের জেন্ডার পলিসিতে রীতিমত লেখা - 1.1 The principle of gender equality is enshrined in the Indian Constitution in its Preamble, Fundamental Rights, Fundamental Duties and Directive Principles. The Constitution of India not only grants equality to women but also empowers the State to adopt measures for positive discrimination in favour of women for neutralizing the cumulative socio-economic, educational and political disadvantages faced by them.
কর্মঠ বিষেশতঃ 'অবিবাহিত' যুবকদেরই একমাত্র স্বনির্ভর হতে পারার স্বপক্ষে কি সেই সর্বগ্রাসী যুক্তি যা অন্যান্য সমস্ত নীতিকে ওভাররুল করছে তা আমি জানতে আগ্রহী।
৭৭ থেকে ১১ বারবার আসবে কারণ আমার বলা প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্র আপনারা প্রথমে পাকড়াও করেছেন এবং তারপর সীমাহীন স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি করে প্রত্যেকটা বিষয়ের ন্যাতা মেরে ছেড়ে দিয়েছেন। তার জন্য দায়ী করা হবেই।
না, চাষির ছেলে চাষও করবে; আবার তার একটা কি দুটো ছেলে পিএইচডিও করবে। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। তবে সবার আগে চাষকে লাভযোগ্য করতে হবে এবং চাষির ছেলের প্রতি ছদ্ম দরদ দেখানো বন্ধ করতে হবে। দেবলীনা হেমব্রম তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
সত্যিই তো।
চাষীর ছেলে চাষ করবে। তার পিএইচডি করার দরকার কি? যদি সে ভাল চাকরী করে উডল্যান্ডেস জুতো পরে ফেলে? এই সর্বনাশের রাস্তাটা অবিলম্বে আটকানো দরকার!!!
এলেবেলে আর হুতো আমার সাথে লড়াই করতে গিয়ে শেষমেষ দুজনের অপোজিট পজিশান নিয়ে বসে আছে। যাক আমি কাটলাম।
হ্যাঁ, আইটি ভাইটিরাই এ রাজ্যে পোকিত উন্নয়নের বান আনবে। আর আমার পাশের লোকটা তার ফাইফরমাশ খাটবে আর বাড়ি বা বাগানবাড়ি বানিয়ে দেবে। আর রিয়্যাল এস্টেটের দৌলতে এলসিএসের ছেলে উডল্যান্ডের জুতো পড়বে!
রাজমিস্ত্রির কাজ বাড়বে, সবজিওয়ালার আয় বাড়বে, সরকারের ট্যাক্স কালেকশান বাড়বে। আইটিওয়ালারা দলে দলে কোলকাতায় ফিরলে কোলকাতার রিয়েল এস্টেটের দাম বাড়বে। তবে ঐযে বললাম যে যাতে ভালো থাকবে, থাকুক।
"এক একর জমির উপর ১৫-২০টি পরিবারের নির্ভরশীলতাই বোধয় কেন শিল্প প্রয়োজন তার সবথেকে বড় যুক্তি। তাছাড়া বইতেও এইসব লেখা আছে"।
বটেই তো। বইতে যখন লেখা আছে তখন তো বৃহৎ শিল্পের দাসত্ব করতেই হবে। এক একর জমি মানে ৬০ কাঠা জমির বেশি, আর ২০টি পরিবার মানে গড়ে ৮০-৯০ জন লোক। ধরে নেওয়া হচ্ছে এই লোকগুলোর এই পরিমাণ জমি আছে এবং তাঁরা জমি থেকে লাভ দেখছেন না বলেই ভিন্ রাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন।
তো হাঁস-মুরগি-ছাগল পালন করতে গেলে জমি লাগে? পতিত জমিতে ফলের গাছ লাগানো যায়? গাঁয়ের পুকুরগুলোতে মাছচাষ? কেঁচোসার করতে কতটা জমি লাগে? বর্জ্য থেকে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে? নাকি এগুলো বইতে লেখা নেই কারণ এগুলো কোনও শিল্পই নয়?
আমার প্রচুর ছাত্রের পরিবার ফুলচাষের সঙ্গে যুক্ত। তো ৬০ কাঠা জমিতে কত ফুলচাষ হতে পারে তার ধারণা আছে? তাঁরা কী দামে সেসব বিক্রি করতে বাধ্য হন? কেন বাধ্য হন? তাঁদের ফুল বিক্রি করার দৈনন্দিন পরিকাঠামো সম্পর্কে সামান্য ধারণা?
যাক, ওই মার্ক্স কোথায় নাকি লিখেছিলেন ব্রিটিশরা না আসলে ভারতে শিল্প পুঁজির বিকাশ হত না - ওই আপ্তবাক্য আউড়ে যান! পাছে সামন্ততন্ত্র ফিরে আসে!!
গুরুতে অনেকের মন্তব্য শুনলে মনে হয় যে পব-র ইতিহাসে ১৯৭৭ এ শুরু হয়ে ২০১১ তে শেষ হয়েছে। ক্ষমতা থেকে বামেরা বিতাড়িত হওয়ার এক দশক পরেও ক্ষমতাসীন দলেরা যদি আগের সরকারের ভুল বদলাতে না পারে তাহলে তারা করছেটা কি?
UPA-1 এর ১০০ দিনের কাজের মুক্তো মালা যে পবতে বাঁদরের গলায় ঝুলে জাহাজবাড়ি আর শন্তিনিকেতন খাড়া করার কাজে লাগবে তা কে জানত?
পশ্চিম্বঙ্গ থেকে শুধু বেঙালোর আমেরিকাতেই যায় না লোকে উত্তরপ্রদেশ উত্তরালহন্ড হিমাচলেও যায়। কেন যায়?সেখানে কত ভারি শিল্প আছে তা এ পোঁপন্ডিতরা ভাল জানে। ১০০ দিনের কাজে লোকে বিতশ্রদ্ধ ওদিকে সিপিএমের ইস্তেহারে ১০৯ফিনের কাজ বাড়িয়ে ১৫০ না ২০০ কত যেন করবে বলেছে। এদিকে চাষের কাজে লাভ নেই ওদিকে ভূমি সংস্কার ভীষণ সফল যা জমিকে রুমালের টুকরা বানিয়েছে। তারপরে কো অপারেটিব হয় নি কারণ আমরা জানি না কোওপারেটিব কোথায় সফল হয়েছে কিন্তু ভুমি সমস্কার দারুন ভাল আর চাষের কাজে লাভ নেই উতসাহ নেই।
জনঘণত্ব বাড়লে মাথাপিছু (চাষের) জমির পরিমাণ কমার কারণেই অন্য কোন কাজের ব্যব্স্থা করা দরকার। এটা আমার তত্ব নয়। মেদিনীপুরের গ্রাম ছেড়ে বোম্বেতে সোনার কাজ করতে যাওয়া এক যুবকের সঙ্গে ঘন্টা আড়াই সহযাত্রী হিসেবে শেখা।
গড়িয়ার মোড়ে এক রিক্সাচালক যুবক জানাল যে চম্পাহাটির কাছে তার গ্রামে দু টাকার চাল, বিদ্যুত ও পাকা রাস্তা আছে। কিন্তু জমির কাজে যন্ত্রের ব্যবহারের জন্য জমি-শ্রমিকের কাজ বাড়ন্ত। তাই শহরে এসে রিক্সা চালাচ্ছে। আমি অনেক রিক্সাচালক বা রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি যারা মুর্শিদাবাদের গ্রাম থেকে কলকাতায় এসে রিক্সা চালাচ্ছে। নানাবিধ কারণে গ্রামে কাজ নেই আর অনেকেই "১০০ দিনের কাজে"-র রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ।
এদের কেউ উতখাৎ করেনি। নিজেরাই চলে এসেছে কাজের সন্ধানে। মেদিনীপুর হাওড়া ট্রেন লাইনে নাকি ৪০০০ হকার আছে। করোনা তাদের হাঁড়ির হাল করে ছেড়েছে। আমি দু দশকে তাদের দ্বিতীয় প্রজন্মকে দেখছি। তারা কোন সুখে চাষবাস ছেড়ে এই কঠিন কাজ বেছে নিয়েছে?
যারা কাজের সন্ধানে গ্রাম ছাড়ছে তাদের কাছে কাজ নিয়ে গেলে সমস্যা কোথায়?
ওদিকে অসংখ্য মারোয়াড়ি গুজরাটি ব্যাবসায়ী কলকাতায় থাকছেন, আসছেন। (বাংলাপক্ষের অবশ্য ওদের ওপর একটু রাগ)।
এই ফিরে আসার সিনটা একটু পাল্টাতে পারে, যদি লকডাউন ইত্যাদিগুলো আরো কদিন চলে। আইটির লোকেরা দলে দলে পশ্চিমবঙ্গে ফিরছে। বাড়ি থেকে কাজ করছে। ওয়ারক ফ্রম হোম কালচারটা আমাদের দেশের আইটিতে ভালো রকম সেট হলে একটা চমৎকার ব্যাপার হবে।
লুরুর বাড়িওলা বা পিজিমালিকরা অবশ্য বেকায়দায়। এই জিনিসটাতে আরেকটা ভালো ব্যাপার হবে - এই জে লুরুর ভয়ানক বাড়তে থাকা রিয়েল এস্টেট, এর অনেকটাই হয় শুধু বিনিয়োগের জন্যে। এইটা একটু নুরুৎসাহিত হলে এই খাল বিল নদী নালা বুজিয়ে একটা আখাম্বা বাক্স দাঁড় করিয়ে দেওয়াটা কমবে।
আমি সত্যি বুঝি না, এতে কী এমন শিশিবোতলের মত শক্ত। এই উন্নয়নের মডেলে আমার কোটি টাকা মাইনে হলে আমার বাচ্চারা সবুজে ঘেরা লন, প্রকৃতি ঘেরা আকাশচুম্বীতে থাকবে, তাজা শাক সব্জী খাবে, ছবির মত বাগাবে প্রজাপতি ধরতে ছুটবে। আর সেই বাড়ির পরিচারিকা বা দারোয়ানের বাচ্চ্চা খালের ধরে অন্ধকার ঘরে থাকবে, কারন তাদের শহরের কাছে থাকতে হবে এবং আমার মহার্ঘ্য প্রকৃতি ঘেরা বাড়ির জন্যে শহরে জায়গা কমে গেছে।
আর কিছু না হোক, মানুষ তো অন্তত এইটা ভাবুক যে প্রাকৃতিক রিসোর্সগুলি অন্তত সমান ভাবে ভোগ করবে অন্য মানুষ। যেটা আমাদের ফ্লাইওভার ভারী শিল্প ও শহরকন্টকিত মডেলে অসম্ভব।
আমূল, হ্যাঁ, আমূলই তো প্রমান যে এটা হতে পারে। খুব সম্ভবত লিজ্জত পাপড়ও তাই। এক ধরনের চপশিল্প বলা যায়।
যাইহোক পরিবর্তন হয়েছে। হয়তো আরো হবে। সবই জনগণের ইচ্ছাতেই হবে। চপ, ক্ষুদ্র, কুটির, যৌথখামার, হালকা শিল্প যেটাইহোক লোকজন ভালো থাকুক।
ওদিকে ইন্ডিয়া এত সুন্দর শুরু করেও চারটে উইকেট পড়ে গেলো কম সময়ে। এরা স্পিন একদমই খেলতে পারেনা। হার্দিক পান্ডয়া সম্পূর্ণ সুস্থ কি আদৌ? খেলা দেখি।
স্পষ্টতই লোকে আরো শিল্পোন্নত জায়্গায় যাচ্ছে। পব থেকে লুরু বা গুজরাত থেকে আমেরিকা। কর্মসংস্থানের প্রয়োজনে। এখনও তো কাউকে দেখিনি যে আমেরিকা বা লুরুতে প্রচুর শিল্প আর কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে রাজ্যে ফিরে এসেছে। স্বর্গ যে কোথায় সেসব তো আমাদের আইপি অ্যাড্রেস খুঁজলেই পাওয়া যাবে। আর ভারী শিল্প এলে মোটেই মেহনতি মানুষের স্বর্গ হবেনা, কিন্তু কাজ হয়তো কিছু আসতে পারে। কিন্তু সেসব না থেকেও তো স্বর্গ কিছুই হচ্ছেনা।
খামার থেকে দুনিয়াজোড়া চপশিল্প সবেতেই এখন বড় পুঁজির রমরমা। কোঅপরেটিভ কিছু হয়েছে বটে। সেগুলো কেমন কাজ করছে সত্যিই জানি না। একটা যে সফল কোঅপারেটিভের নাম জানি, সেটি হল আমুল, গুজরাতিরাই চালাচ্ছে।
কারন যারা যায় তাদের নিজেদের জায়গায় কাজ নেই, তাই।
তবে যাদের কাজ আছে, এবং সে কাজটাই তাঁরা করতে চায়, তাঁদের ভালো চেয়ে তাঁদের মেরে ধরে উৎখাত করে দেওয়াটা খুব কাজের কথা না।
আবার সব আদর্শ শিল্পওয়ালা জায়গা যেমন গুজরাট হরিয়ানা ঐসব জায়গ থেকেও দেখি প্রচুর লোক লুরু বা আমেরিকা যায়।
কে জানে কেন।
সুন্দর শিল্পহীন আমি কখনোই বলিনি। কিন্তু ভারীশিল্প নিয়ে এলেই সুন্দর শিল্পসমৃদ্ধ মেহনতী মানুষের স্বর্গ হবে, অন্তত উদাহরন বা ইতিহাসের দিকে তাকালে তেমন বিশ্বাস হয় না, এইট্কুই।
ইনফ্যাক্ট আমি কোন মতামতই দিইনি, অবজার্ভেশন আর প্রশ্ন করেছিলাম। প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলে তার বদলে শ্লেষ একটা এফেকেটিভ রেসপন্স, মানে রেস্পন্ড যদি নিতান্তই করতে হয় আরকি।
কাজ শুরু করার পোস্টটি বোধিকে ওর কৃষিসমস্যা বিষয়ক লেখা গুলোর জন্য।
তা এমন সুন্দর শিল্পহীন রাজ্য ছেড়ে লোকজন ব্যাঙ্গালোর বা আমেরিকা যায় কেন?
@এলেবেলে, ধন্যাবাদ, আজই দোলপূর্ণিমা তাহলে।
এই ভারীশিল্পফিলিয়া ব্যাপারটা আমি ঠিক বুঝি না। বোঝার কথাও না, অর্থনীতি বাণিজ এইসব না বুঝলে আর কী করে বুঝবো। তবে সাধারন পাঁচ পাবলিক হিসেবে ভাবি।
শিল্প টিল্প, মানুষের কর্মসংস্থান সে তো ভালোই, খুবই দরকার। এই যে সবাই বলে এত এত কারখানা বন্ধ সেসব জায়গায় হোক। একদল লোক করে কম্মে খাচ্ছে তাদের উৎখাত করে শিল্প এবংল তাদের মধ্য অল্প কিছু লোক প্রতিবাদ করলে তাদের ধরে বাটাম, এবং তার দশকব্যাপী জাস্টিফিকেশন এ কেমন ধারা কে জানে।
এই যে লুরুতে দেখি, গত পঁয়ত্রিশ বছরে অন্তত চৌত্রিশটা লেক বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেগুলো আছে সেগুলোও দূষিত, শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো নর্দমা হয়ে গেছে, এতে চমৎকরা উন্নয়ন হয়েছে সন্দেহ নেই, কিন্তু ব্যাপারটা যে গোলমেলে তাও ঠিক। তাও লুরু তো ঠিক ভারী শিল্প্রে জন্যেও বিখ্যাত নয়।
ওদিকে ভারীশিল্পের জন্যে যেসব রাজ্য বিখ্যাত যেমন হরিয়ানা বা গুজরাট, সেসব জায়গার শ্রমিকদের হাল হকিকত তো ঠিক মেহনতী মানুষের পার্টির মনোমত হওয়ার কথা না। হয়তো মেহনতী মানুষের পার্টি ভাবে যে শিল্পটি ঐসব রাজ্যের মত হবে, শিল্পীরা পার্টির মত হবেন। সেটা বাস্তবসম্মত কিনা জানি না, ওঁরা নিশ্চত জানেন।
কৃষিতে কো-অপারেটিভ, বাস্তবানুগ যৌথখামার, হতে কি পারতো না? কে জানে, হয়তো সেসব ন্যে ভাবনা চিন্তা হয়েছে।
ওদিকে চপশিল্প হাস্যকর তো বটেই। কিন্তু ম্যাকডি বা ডানকিন ডোনাটস চপশিল্প করেই কেমন বিশ্বজোড়া জাল বানিয়ে ফেলল, কর্মসংস্থান থেকে অনুসারী শিল্প সবই হাউমাউ করে হচ্ছে। আমেরিকার গল্প আলাদা বটে তবে ব্যাবসা শিখতে হলে গুজরাটিদের বদলে আমেরিকানদের থেকে শেখাই ভালো।
এগজ্যাক্টলি সেটাই।
এত লোক, চাকরি চাই, তাই কারখানা চাই।
এত লোক, ফাঁকা জায়গা নেই, কারখানা কোথায় হবে।
এই যে এই ব্যাপারটা - এটা একটা কনোনড্রাম।
ভারতের ঘনবসতি ওয়ালা অন্যান্য রাজ্যে (কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পাঞ্জাব...) একই প্রবলেম আছে, সেখানকার লোকেরা বহুদিন আগে থেকে জীবিকার খোঁজে বেরোতে আরম্ভ করেছে।
কিন্তু জঙ্গলমহলে যে ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেসব কি পৌঁছয়নি।
পলিটিকাল নেক্সাসে প্রস্টিটিউশান তো ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশানই।
এক একর জমির উপর ১৫-২০টি পরিবারের নির্ভরশীলতাই বোধয় কেন শিল্প প্রয়োজন তার সবথেকে বড় যুক্তি। তাছাড়া বইতেও এইসব লেখা আছে - কৃষি থেকে শিল্প থেকে পরিষেবা ইত্যাদি।
আগে তো খাদ্যসমস্যা। খালি আমলাশোলের অনাহারে মৃত্যু নয়, অমর্ত্য সেনের প্রতীচী সংস্থার রিপোর্ট মনে করুন যাতে বাম সরকারের সোর্স এবং ফিল্ড স্টাডির ভিত্তিতে দেখানো হয়েছিল যে তিন দশকের বাম শাসনের পরও বঙ্গে অন্ততঃ এক কোটি প্রান্তিক মানুষের সারাবছর একবেলার খাবার জোটে। এঁরা ছড়িয়ে আছেন রাঢ় বাংলায় সুবিধা হীন অনুন্নত অঞ্চলে। এদের অধিকাংশের ভোটার লিস্টে নাম নেই। তাই কোন রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক ফোকাসে এরা নেই।
কিন্তু গত এক দশকে এদের মধ্যে পড়ে থেকে কাজ করেছে সংঘ পরিবারের বনবাসী কল্যাণ আশ্রম এবং অন্যান্য ফ্রন্ট সংগঠন। এবার ফয়দা তুলবে।
তিনোরা ব্যস্ত ছিল খেয়োখেয়ি কাটমানি নিয়ে।
অ্যাকচুয়ালি এলেবেলের একটা কথা তো কিছুটা ঠিকই, পশ্চিমবঙ্গের মুল শিল্প কিন্তু ছিল চট আর চা। ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানুফ্যাকচারিং তো তেমন বিশাল কিছু ছিল না। বৃটিশ আমলের পরের কথা বলছি।
আচ্ছা আপাতত কাটি। পড়তে বসি গে।
বড়েস,
হ্যাঁ, অফ কোর্স, জনসংখ্যার জন্য পার ক্যাপিটা জিডিপি স্লো। কিন্তু ওভারঅল জিডিপি উঠলে এক ওটাও আস্তে আস্তে বাড়বে।