আপনার প্রশ্নটা এরকম ছিল --- (১) ৩৪ বছরের সমকালে কোন অ-বাম শাসিত রাজ্যে প্রকৃতি-প্রেমী অর্থনীতির বাস্তবায়ন হয়েছে।
সেখানে জনঘনত্ব উল্লিখিত হয়নি। হ্যাঁ ইচ্ছে থাকলে সিকিম মডেল এখানেও প্রয়োগ করা যেত। পঞ্চায়েত-পৌরসভাগুলোকে স্বনির্ভর করা যেত। প্লাস্টিক-থার্মোকল ব্যান করা যেত। কয়েকটা কাগজের কল স্থাপন করা যেত।
বড়েস, ল অ্যান্ড অর্ডারের শাক দিয়ে পলিটিক্যাল নেক্সাসকে ঢাকার অপচেষ্টা করবেন না। এটা নবদ্বীপের হোটেলগুলোর বিগত ৩০ বছরের চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ও জনবসতির ঘনত্ব - বড় কারখানা তৈরির জন্য জমি নেওয়ার প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা। সিঙ্গুরে ঐ সামান্য ৯৯০ একর জমি নিতে গিয়ে দেখা গেছে ১৪০০০ চাষী পরিবার সেই জমির মালিক, আরও ৫-৬ হাজার ভূমিহীন চাষী পরিবারের জীবিকা তার ওপর নির্ভরশীল। গড়ে একর প্রতি ১৪-১৫টি পরিবার। এই ইকুইশনে জমি নেওয়া খুব ঝামেলার। রাজ্য সরকার এই ঝামেলার সম্মুখীন হয়েছে। পরের সরকার তো আর এসবের মধ্যে যায়ই নি।
ওটা কিছুটা ল অ্যান্ড অর্ডার সমস্যা। হোটেল না থাকলেও এই সমস্যা থাকতে পারে। অন্য কর্মসংস্থান না থাকলেই এসব বাড়ে।
are we really serious? পবর আলোচনাতে সিকিমের উদাহরণ?
জনঘণত্বের তুলনাঃ
সিকিমঃ 86/km2 (220/sq mi)
পবঃ 1,029/km2 (2,670/sq mi)
আমি তো মদে আপত্তি করিনি, করেছি বিনা লাইসেন্সে মদ বিক্রিতে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগসাজশ না থাকলে যেটা করা যায় না। মায়াপুরের হোটেলে যান। মালিক আপনাকে মেয়েদের ছবি দেখাবেন। এমনি এমনি?
তার থেকে বরন্চ সিগারেট ব্যান করলে সমর্থন জানাবো।
"মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই কিন্তু চাইলেই বিলিতি মদ আছে! আপনারা এনারাই তো, তাই পব-র খবর রাখেন না।"
দেশের বহু জায়্গা আছে যেখানে পাণীয় জল নেই, কিন্তু কোকা কোলা, পেপসি পাওয়া যায়। কলেজের সময়েই দেখেছি। তাতে কিছুই পরিবর্তন হয়না। আমি নিজে পাণ না করলেও, বিলিতি বা দেশি মদের উপর কোনও আক্রশ নেই। পূর্ণবয়ষ্ক লোক মদ্যপাণ করলে আমি কেন আপত্তি করবো, সেটা এখনও বুঝিনি।
ঘরের পাশে সিকিমকে দেখুন। আমি ২০০৫ সালে মুসৌরিতে কাগজের ঠোঙা ছাড়া বাকি কিছু নো নো দেখেছি। উত্তর পেয়ে যাবেন। ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর আমার থেকে আশা করবেন না কারণ আমি তখন এখানে ছিলাম না।
@লসাগুদা,
"হঠাৎ ২০০৭ সালে সমস্যাটা তৈরি হল তা তো নয়।"
না সমস্যাটা ২০০৭ সালে হঠাৎ তৈরী হয়নি। কিন্তু সমাধানের একটা সূত্র হঠাৎ পাওয়া গেছিলো।
আর আপনি খুব ভালো মতনই জানেন যে এইসব ক্ষেত্রে পার ক্যাপিটা হিসাব দেখতে হয়। আমি সেই টেবিলের লিন্ক দিয়েছি।
@এলেবেলে
আমি এই তক্কে সিপিএম- তিনোমূলের বাইরে যেতে চাইছি। কর্পোরেটদের পদলেহনকারী বামেদের ক্ষমতা থেকে তাড়ানো হয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারি বা না পারি সেটা অন্য ব্যাপার। কিন্তু যেটা আপনি দেখাতে পারছেন না সেটা হলঃ
(১) ৩৪ বছরের সমকালে কোন অ-বাম শাসিত রাজ্যে প্রকৃতি-প্রেমী অর্থনীতির বাস্তবায়ন হয়েছে, আর
(২) যারা কর্পোরেট তাড়িয়েছিল তারা কর্পোরেটের বদলে সাধারণ মানুষের জীবন- জীবিকার জন্য কোন বিকল্পের সন্ধান দিয়েছে?
অত্যন্ত জরুরি কাজটি দায়িত্ব নিয়ে শুরু করেছ।মাঝপথে কাউকে উত্তর না দিয়ে এটা সম্পূর্ণ কর। তারপর এনগেজমেন্ট। সঙ্গে আছি, প্রতীক্ষায় আছি।
এলেবেলে, আমি তো এগুলো একটুও অস্বীকার করছিনা। পলিটিক্স ছাড়া যে অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়না, সেটুকু অর্থনীতি কলেজে পড়েছি। আমি তো বলেই চলেছি যে সিঙ্গুরের আন্দোলন পুরোপুরি পলিটিকালি মোটিভেটেড ছিল, সিঙ্গুরের চাষীরা ছিল জাস্ট অজুহাত। আমিই তো বলছি যে আমি আপনি চাইলেই বড় পুঁজি চলে যাবেনা। আজকে ট্যাক্সি চালানোর মতন একটা একেবারেই ব্যক্তিগত কাজও বড় পুঁজির অধীনে। ফলে তাদের সাথে নেগোশিয়েট এবং ট্রানজাক্ট করেই এগোতে হবে।
নবদ্বীপের হোটেলগুলো সম্পর্কে আমি সম্যক ওয়াকিবহাল। সবচেয়ে বেশি বিদেশি আসে এই শহরে। ট্যুরিস্টও। সম্প্রতি অযোধ্যা পাহাড়ে গিয়েছিলাম। যথেষ্ট দুর্গম অঞ্চল, মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই কিন্তু চাইলেই বিলিতি মদ আছে! আপনারা এনারাই তো, তাই পব-র খবর রাখেন না।
এই যে ভারতের রাজ্যগুলির জিডিপির তালিকা
"হোটেলের মালিক কারা হবে? সেখানে বিনা লাইসেন্সে ঢালাও মদ বিক্রি? দেহব্যবসার রমরমা?"
হোটেল মানেই এইসব হয় নাকি? আমি তো এতো জায়্গায় এত হোটেলে থেকেছি, এক থাইল্যন্ডের একটা হোটেল ছাড়া এইসব কোথাও দেখিনি। তবে সেখানে দেহব্যবসা মনে হয় ঠিক বেআইনি নয়। আর মদ বিক্রির লাইসেন্স আজকাল খুব সহজেই পাওয়া যায়। বিনা লাইসেন্সে করতে হবে কেন? খুবই জুভেনাইল চিন্তাভাবনা।
পিটিস্যার এবং বড়েস, আপনারা যতই মুখে বলুন না কেন আপনারা সিপিএমকে আলোচনায় আনছেন না, আসলে প্রতিটা বাক্যে আনছেন এবং তাদের পব থেকে চলে যাওয়াকে মানতে পারছেন না। আমি কিন্তু একবারের জন্যও তিনোকে ক্লিনচিট দিইনি। বলিনি ক্ষুদ্র শিল্পের জোয়ার বয়ে গেছে। কারণ তারাও কর্পোরেটের পদলেহনই করে। হর্ষ নেওটিয়া-সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা শিবির বদল করেছেন মাত্র। রাজ্যটা কিন্তু কর্পোরেটের অঙ্গুলিহেলনেই চলছে দীর্ঘকাল। এটাকে স্বীকার করুন।
কিন্তু বিকল্প যে ছিল এবং তা যে এক বিশাল সংখ্যক মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে পারত অনুদাননির্ভর না হয়ে, সেটাকেও স্বীকার করার সততা দেখান।
"...বামেদের যাওয়ার পরে রাজ্যবাসী খুব সুখে আছে। তাদেরকে পরিবর্তনের অভিনন্দন..."
বামেদের সময়ে সবাই খুব সুখে ছিল, এই ধারনাটাও তো ঠিক নয়। ২০০৭ এর সিঙ্গুরের আগের ৩০ বছর ধরেও তো বড় কারখানা হয় নি, তাতেও তো লোকের চাকরির সমস্যা ছিল। হঠাৎ ২০০৭ সালে সমস্যাটা তৈরি হল তা তো নয়।
এই লিস্টে রাজ্যের স্থান ২৩। জনপ্রতি এনেসডিপি। দেশের গড়ের থেকেও কম।
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Indian_states_and_union_territories_by_GDP_per_capita
সিঙ্গুরের কারখানা হলে বামেরা আরও ৩০ বছর, মানে, মোট প্রায় ৬০-৭০ ব্ছর একটানা ক্ষমতায় থাকত --- এটা একটু ইয়ে মানে ফারফেচড।
"তার দায়ভার নেবেন না অথচ তিনো-বিজেপিকে একতরফাভাবে দুষবেন!"
নিলাম নাহয়। কিন্তু তাড়ানো হয়েছে বামেদের সে তো এক দশক হল। এখন দেশে মোদী, রাজ্যে দিদি। পরবর্তী ৫ বছরে তো সেই মোদী-দিদি নাহলে মোদী-মোদী। ১০ বছরে যে বিশেষ কিছু হয়নি সে তো দেখাই যাচ্ছে। তো ১৫ বছরেও বামেদের "ভুল" শোধরানো হবে তো?
আর কতদিন লর্ড ক্লাইভের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেশটাকে Global Hunger Index-এ ১১৭ টা দেশের মধ্যে ১০২ নম্বরে আটকে রাখার ব্যব্স্থা করবেন? আর দেশ থাকবে ১০২ নম্বরে অথচ পব-তে ঘি-মধুর স্রোত বইবে সেটাই তো গত দেড় দশকের সবচেয়ে বড় ইউটোপিয়া।
চা বাগান সমগ্র অবহেলিত উত্তরবঙ্গের প্রাণস্পন্দন। চটকল সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমির। সেখানে জনসংখ্যা কত? ফুলচাষিদের হিমঘর নেই কেন? মালদা-বারুইপুর-শিলিগুড়ির বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফলচাষ নিয়েই বা হেলদোল হল না কেন? শুধু ক্যারিব্যাগ আর থার্মোকলের থালা-বাটি ব্যান করলেই জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ মানুষ রোজগেরে হতে পারেন। এটাকে সামগ্রিক উন্নতি বলে। সঙ্গে আছে হাঁস-মুরগি-ছাগল পালন, পুকুরগুলোকে বুজিয়ে ফ্ল্যাট না তোলা।
ট্যুরিজম? হোটেলের মালিক কারা হবে? সেখানে বিনা লাইসেন্সে ঢালাও মদ বিক্রি? দেহব্যবসার রমরমা? পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন নিগমকে অকেজো করে রাখা বছরের পর বছর? তন্তুজ-মঞ্জুষায় পুকুরচুরি?
এই যাবতীয় অকর্মণ্যতাকে ঢাকা হবে দু-চারটে ছুটকো কারখানা দিয়ে? তোফা বিকল্প মাইরি!
লসাগুদা, সিঙ্গুরের ন্যানো শুধুমাত্র একটা বড় কারখানা ছিলনা। ওটা একটা ফ্ল্যাগশিপ কারখানা হত। তাছাড়া আমার ধারণা ২০০২র গুজরাতের পর দেশের বহু মাইনরিটি ব্যবসায়ীরা (টাটা, প্রেমজি) একটু সেকুলার স্টেট চাইছিলো। পেয়ে গেছিলো পব। আর একটা কারখানায় অর্থনীতি বদলাবে না, এই কারণে তো সিঙ্গুর আন্দোলন হয়নি। আন্দোলন করা হয়েছিলো কারণ একদল বুঝেছিল যে বামেদের আমলে শিল্পায়ন যদি কিছুটাও হয়ে যায়, তাহলে আরো ৩০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। এনিওয়ে, আমি নিশ্চিত যে বামেদের যাওয়ার পরে রাজ্যবাসী খুব সুখে আছে। তাদেরকে পরিবর্তনের অভিনন্দন।
পশ্চিমবঙ্গে সেরকম কোনো বড় কারখানা হয় নি ৬০ এর দশক থেকে। কিন্তু অনেক রাজ্যেই হয় নি। আবার অনেক রাজ্যে হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তো মোটামুটি চলছে গত ৫০ বছর ধরে। ইকনমিতে ভারতের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে। চলে যাচ্ছে। চলতা হ্যায়।
যেটা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের লোকজন আগে বেরোতে চাইত না। এখন কর্মসংস্থানের জন্য অন্যত্র যাচ্ছে। কেরালা, পাঞ্জাব, গুজরাট, রাজস্থানের, বিহার, উত্তরপ্রদেশের লোকজন বহুদিন হল যাচ্ছে।
বড়েস,
আমি স্বাধীনতার পর থেকে জামশেদপুরের বিহারের কথা বলছি, একটি বড় কারখানা একা একটি রাজ্যের ভোল পাল্টে দেবে, এমন ভাবা মুশকিল।
আর, ২০০৬ সালে বামফ্রন্টের পক্ষে ২৩৫-৩৫ ফলাফল সাংঘাতিক ক্ষতিকারক হয়েছিল বলে আমার ধারনা। এই ফলাফলে সুপিরয়িরিটি কমপ্লেক্স আসতে বাধ্য। কিছুটা তো এসেইছিল।
তা বড় কারখানা তো পবে হয়নি বিগত ২০-৩০ বছর। তাহলে রাজ্যবাসীর তো খুবই ভালো থাকার কথা। ক্ষুদ্র এবং কুটীর শিল্পে রাজ্য ভরে যাওয়ার কথা।
বাম সরকার চলে যাওয়াটা আমার কাছে বড় ইস্যু নয় এই আলোচনায়। যে মানুষগুলোর উপগারের জন্য কর্পোরেটকে ভাগানো হয়েছিল তাদের ঠিক কি লাভ হয়েছে?
ইন্ডাস্ট্রি বড় বা কত বড় হলে ঠিক হয় সেটা পন্ডিতেরা জানে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি একদমই না এলে যে অর্থনীতি জমে ওঠে না সেটা পরিষ্কার। পাঞ্জাব বা কেরালাকে তুলে এনে তো পবতে বসিয়ে দেওয়াও যায় না। "With the Gulf boom in its twilight, the best way to economically empower the youth of Kerala is to bring about a visionary policy that supports and facilitates research and development (R&D) into into technology that will shape the next few decades..."-এমনও বলছেন কেউ কেউ।
চা বাগান আর চটশিল্প দিয়ে তো ৯ কোটি লোকের পেট ভরবে না। চা বাগান রাজ্যের কেবলমাত্র একটা ভৌগলিক স্থানেই হতে পারে। তাছাড়া কফি এবং অন্যান্য পাণীয়ের সঙ্গে তীব্র কম্পিটিশান চলছে। আর চটের ব্যবহার তো প্রায় উঠেই গেছে। আর এগুলো আছে মানে অন্য কোনও শিল্প করা যাবেনা, সেটা খুবেকটা কাজের কথা নয়।
বরন্চ যে শিল্পটা নিয়ে বামেরা একদমই ভাবেনি, অথচ সাসটেনেবল, প্রচুর কর্মসংস্থান হয়, সেটা হল ট্যুরিজম। এটাতে প্রচুর বিনিয়োগ টানা উচিত।
কাঁচরাপাড়া রাষ্ট্রীয় কারখানা, হিন্দমোটর রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঠিকাদারের কারখানা। ওতে অর্থনীতির এদিক-ওদিক হয় না। কসমেটিক সার্জারি হয় বড়জোর। তার কী হাল হয় তা পববাসী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।
কৃষি সংক্রান্ত সিরিজটি নিয়ে কয়েকটি কথা বলার রয়েছে। ওয়েবিনারের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশের অব্যবহিত পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ আমার নাম এবং অনুলিখিত বক্তার নাম করে একটি প্রশ্ন করায় মনে হল, এই কথা গুলি বলে রাখি। সরাসরি উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, সেরকম গুরুত্ত্বপূর্ণ কিসু প্রশ্ন না :-)))) রাজনৈতিক শুধু না, ব্যবহারিক ভাবে কৃষি সংক্রান্ত অপিনিয়ন এর স্পেকট্রাম যদি দেখা হয়, ওয়েবিনারের মধ্যে ও অন্য সংকলিত লেখা গুলির মধ্যে প্রচুর মতভেদ রয়েছে। সেটাকে কেউ গুরুত্ব দেবেন কিনা তাদের ব্যাপার।
১ - এটি যেহেতু পন্ডশ্রম , এবং সেটা জেনেই যেহেতু এই কাজে হাত দেওয়া হয়েছে, তাই এটা আরো অন্তত কদিন চলবে, আরো কয়েকটি দৃষ্টি কোণের উপস্থাপনা করার ইচ্ছে রয়েছে। আমার এরকম আজগুবি কোন আশা নেই, এই লেখাগুলি পড়ে কেউ কারো অপিনিয়ন বদলাবেন, বা অপিনিয়ন ফর্ম করবেন। একজন পাঠক ও আগ্রহ পেলে , পরে কি পড়ব ঠিক করার জন্য এগুলি পড়লে যথেষ্ট। সেটাও খুঁজে নেওয়ার অন্যান্য পদ্ধতি রয়েছে। তাই যাঁদের এটা পোসাবে না, তাঁর অন্যত্র হাঁটা দেবেন। গুরুচন্ডালি বা আমি এই বিষয়ের প্রধান তথ্যসূত্র হবার দাবী করি না।
২ - প্রাথমিক ভাবে আমার অবস্থান রাজনৈতিক ভাবে কৃষকদের পক্ষে, এই বোকা বোকা ডিক্লেয়ারেশন টি ছাড়া , আমি এখনো অবদি এই সিরিজে নিজের মতামত বিশেষ বলিনি। টীকাও এভিডেন্সিং e সীমাবদ্ধ রেখেছি।বোকা বোকা কারণ যে আন্দোলন করতে গিয়ে লোক মরছে, সে আন্দোলনের পক্ষে একটা ক্যালানে সাক্ষাৎঅকার গ্রহণকারী বা অনুলেখক বা তথ্য সংগ্রাহক আছে না নেই , তাতে বিশেষ কিসু এসে যায় না রাজনৈতিক ভাবে। তবে পরে নিজের অপিনিয়ন এর কথা কিছু ডিটেলে এখানে বা অন্যত্র বলতে পারি , নাও বলতে পারি, সময় বা অনুভূত প্রয়োজনের উপরে নির্ভর করছে। আর যে কটি অন্যদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছি, সে সম্পর্কেও নিজের অবস্থান ইচ্ছাকৃত ভাবেই উপেক্ষা করেছি বা অনুল্লেখিত রেখেছি। নিজের ই প্রস্তাবিত সংকলনের উদ্দেশ্যের মধ্যে সেই বিষয়টা বড় ছিল না, তাই। পরে বড় হবে কিনা বলা যাবে না, আমি কোন সিদ্ধান্ত নেই নি।
এবং আপাতত সম্পাদকমন্ডলীও এই কৃষি বিতর্কে তাঁদের অবস্থান সংক্রান্ত কোন বক্তব্য পেশ করেন নি, ভবিষ্যতে করবেন কিনা জানা নেই। এখনো পর্যন্ত আমি এবং সম্পাদকেরা উপস্থাপন / সংকলন er কাজেই মন দিয়েছি। এবং এটা আরো কিছুদিন অন্তত চলবে।
৩ - যাঁরা বক্তব্য রেখেছেন, তাঁরা অনেকেই অনেক তাঁদের নিজেদের বিষয়ের নানা সাধারণ ভাবে পরিচিত পরিভাষা ব্যাবহার করেছেন, সেটা যথা সম্ভব কমিয়েই অনুলেখন করা হয়েছে। তবে রতন খাসনবিশ এর বক্তব্যের অনুলেখনে যে কটি পরিভাষা ব্যাবহার করা হয়েছে, এবং (কৃষি তে ) "বিনিয়োগ" শব্দটি যে অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে (বা খাসনবিশ ব্যাবহার করেছেন) , সেগুলি এ বিষয়ে আগ্রহী দের কাছে নতুন ঠেকার কথা না।
৪ - গুরুচন্ডালিকে অনুরোধ করা হয়েছে, এই বিষয়ে আলোচনায় উৎঅসাহী অন্যান্য প্রাবন্ধিক দের কাছে পৌছতে। গুরুচন্ডালি এই বিষয়ের বিভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গীর সংকলন স্থল হয়ে উঠলে, প্রাথমিক সংকলক হিসেবে খুশি ই হব।
৫ - এই লেখাগুলিতে ব্যাবহৃত টীকাগুলি তৈরীর সময় এবং সাধারণ ভাবে কি তথ্যসূত্র ব্যাবহার করা হয়েছে তার একটা তালিকা দেওয়াই যায়। তবে সেটা দেওয়া হবে কিনা ঠিক হয় নি। কারণ আর কিছুই না, সেটা এই মুহুর্তে প্রায়োরিটি না, আধা তৈরী লেখা গুলি সম্পাদকের হাতে তুলে দেওয়ার পর ভাবা যাবে।
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত