দেখুন ছ. ছ 2600:1002:b020:60dd:7d83:b102:d923:cf7e
আবার তৃ ভা স ফ-ও 2600:1002:b020:60dd:7d83:b102:d923:cf7e
আপনারা বুঝি জুড়ুয়া! দুজনেই দারুণ বুঝেছেন যা হোক!!
আপত্তি তো জানাবই, মানে অবশ্যই জানাব তবে সৈকত ঠিক এমনটিই বোঝাতে চেয়েছেন কি না সেটা জানার পরে।
"যাহার স্থানীয় ভাষা বা মাতৃভাষা বাংলা সে অথবা তাহারা সংস্কৃত পড়িতে পারিবে নতুবা তাহাদিগকে বাধ্যতামূলক বাংলা/নেপালি/সাঁওতালি পড়িতে হইবে"
এই তো পরিষ্কার বুঝেছেন!
মানে, আমি ও এরকম ই বুঝেছি!
এইবার এতে আপনার আপত্তিটা জানিয়ে দিন!
আমার এই লজিকে আপত্তি নেই, এখনও।
আজকাল আলজেরিয়া থেকে কলকাতায় লোক আসছে নাকি?
এই যে ছ. ছ জানেন অথচ জিজ্ঞাসা করতেই কোথায় কেটে উঠেছেন ভগায় জানে! তবে উনি যে নিয্যস বুঝেচেন এ মাইরি আল্লার কিরে!!
সমাধান চাইছি তো। কীভাবে আপনি বাংলাকে বাধ্যতামুলক করবেন তার রাস্তা বাতলান। নিদান হেঁকে লাভ নেই।
আমরা দ্বিতীয় তৃতীয় ভাষা নিয়ে যত তর্ক করতে থাকবো জট পাকাব, তত দেখব হিন্দি আর আরবি বাংলা কে খেয়ে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গের সবার জন্যই বাংলা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। নইলে ওই বড়বাজার কেস আরো ঘটতে থাকবে। পশ্চিম বঙ্গের ডেমোগ্রাফিক বদলে যাচ্ছে এটা সত্যি না মিথ্যে ? বিহার, রাজস্থান থেকে প্রচুর লোোক আসছে। বাংলাদেশ থেকে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে লোক আসছে। এটা যত তাাড়াতাড়ি স্বীকার করবেন, সমাধান খোঁজায় তত তাাড়াতাড়ি হবে
আজ্ঞে আপুনি যদি তৃতীয় ভাষার সহজবোধ্য ফর্মুলাটা এই মোটা মাথায় গাঁথিয়া দেন, তাহলে বড়ই উপকৃত হইব। মানে যাহার স্থানীয় ভাষা বা মাতৃভাষা বাংলা সে অথবা তাহারা সংস্কৃত পড়িতে পারিবে নতুবা তাহাদিগকে বাধ্যতামূলক বাংলা/নেপালি/সাঁওতালি পড়িতে হইবে?
আচ্ছা সৈকতের কথা আমার মত হেঁড়ে মাথাও বুঝতে পারল আর এলের মত মহামান্যর মাথায় ঢুকল না এটা আমায় মানতে হবে? যে বাঙ্গলা মাতৃভাষা পড়ছে সে তো সন্স্কৃত তৃতীয় ভাষা নিতেই পারে, বিশেষত সে যদি ঐ লাইনে পড়াশুনা করে।
প্রসঙ্গত, যারা পালি ভাষায় গবেষনা করেন, কি করে শিখ্লেন ঐ ভাষা? স্কুলে ক্লাসে পড়ায় বলে তো শুনিনি। আর মার্কিন মুলুকে কি স্কুলের ক্লাসে বাঙ্গলা পড়ায়? ক্লিনটন সিলি ব্রায়ান হ্যাচার - এই সব পান্লিক কিভাবে আসে?
কাউন্টার করতে হলে ঠিক পয়েন্টে কাউন্টার করুন, আর তার তো অনেক স্কোপ। নইলে নিজের গর্বে কে যে ছড়াচ্ছে বলা মুশকিল!
একই সঙ্গে সরকার ব্যবসা করবে অথচ ব্যবসায়ীরা টেন্ডার ম্যানিপুলেশনের স্বার্থে এবং আরও নানা কারণে প্রোটেকশনিজমের পক্ষে হবেনা, এটা কীকরে সম্ভব, হনুবাবু এট্টু আলোকপাত কল্লে ভালো হয়।
সরকার মানে আদোউ ব্যবসা করবে না এরকম বিশুদ্ধতা থেকে সরে আস্তে রাজি আচি, কিন্তু " স্বচ্ছতা আনতে হবে" জাতীয় ভেগ জিনিসে বিশ্বাসী নই। যা জোচ্চুরি কাওতাল আচে এটা ধরে নিয়েই কীভাবে সম্ভব??
*দু-বছরের জন্য বদলে
সংস্কৃত পড়াটাও তো তৃতীয় ভাষা পড়াই। তার জায়গায় স্থানীয় ভাষা পড়লে কী চাপ পড়বে বুঝলামনা। আর স্থানীয় ভাষা মানে কী সে তো আগেই বললাম। আপাতত বাংলা সাঁওতালি নেপালি।
এতে করে সংখ্যাগরিষ্ঠের সংস্কৃত পড়াও আটকাবেনা। গবেষণাও না। তারা তো তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ছেই। সংখ্যালঘু অবশ্য পড়তে পারবেনা। তবে ও না পড়লেও গবেষণা আটকায়না। দুই ক্লাসে থাকে তো আটটা শব্দরূপ ছটা ধাতুরূপ। খুবই আগ্রহ থাকলে এক মাসেই মুখস্থ করে নেওয়া সম্ভব।
কোঠারি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়বে ক. মাতৃভাষা, খ. দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি এবং গ. একটি ধ্রুপদী ভাষা। এর মধ্যে ক ও খ বাধ্যতামূলক এবং গ কেবল সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির জন্য।
১. এখন সৈকতের প্রস্তাব অনুযায়ী ধ্রুপদী ভাষার পরিবর্তে তারা স্থানীয় ভাষা পড়বে এবং তা হবে বাংলা/নেপালি/সাঁওতালি। বেশ। তাহলে উর্দু, হিন্দি, ওড়িয়া ও মালয়ালম মাধ্যম স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে তৃতীয় ভাষা এটাই হবে। বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে স্থানীয় ভাষা তাহলে কোনটা হবে? সাঁওতালি? নাকি নেপালি? সেটা তাদের স্থানীয় ভাষা!
২. কেলোর এখানেই শেষ নয়। সৈকত হুড়মুড়িয়ে লিখেছেন, "এতে করে সংখ্যাগরিষ্ঠের সংস্কৃত পড়াও আটকাবেনা। গবেষণাও না। তারা তো তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ছেই।" তার মানে? এই তো ঠিক হল তৃতীয় ভাষা বাংলা/নেপালি/সাঁওতালি। সেখানে সংস্কৃত এল কোদ্দিয়ে? আটকাবে না কে বলল? আপনি আটকে দিচ্ছেন তো! আবার তারা সাঁওতালিও শিখতে পারবে না সেটা তাদের স্থানীয় ভাষা না হওয়ায়! তাদের বুঝি সংস্কৃত শিখতে দেবেন!! মানে কতটা উল্টোপাল্টা বকছেন, সে খ্যাল আছে?
৩. আরও হাস্যকর "সংখ্যালঘু অবশ্য পড়তে পারবেনা"। ভাষার দিক দিয়ে সংখ্যালঘু না ধর্মের দিক থেকে? পড়তে না পারার কারণ? কবি কিছুই লেখেন নাই!
৪. তা বাপু দুই ক্লাসে যদি "আটটা শব্দরূপ ছটা ধাতুরূপ"-ই থাকে আর "খুবই আগ্রহ থাকলে" তা যদি "এক মাসেই মুখস্থ করে নেওয়া সম্ভব" তাহলে স্থানীয় ভাষা শিখতে দু-বছরের জন্য তিন বছর বরাদ্দ করছেন কেন?
কর নিয়ে যা বলেছেন সেসব নিয়ে অর্থনীতির লোকেরা বলুন, কিন্তু ভাষা নিয়ে তো ছড়িয়ে ছত্তিরিশ করে ছেড়েছেন!
আমিও পড়লাম এটা। তিনোদলে সবই সম্ভব :-)
"দিদিকে ব্ল্যাকমেল করেছেন অনুব্রত! ভাইরাল ভিডিয়োয় বিস্ফোরক ফিরহাদ "
লে হালুয়া!!
ফেডেরালিজম er বিপক্ষে একটা কথা ই মূলত আছে, স্থানীয় মানেই প্রোগ্রেসিভ তা না, আসাম, হরিয়ানা , এসবে সেটা স্পষ্ট। এবং স্থানীয় তে পাতি বাংলা অসহ্য পুরোনো ধরণের এক্সপ্লয়েটেশন নেই তাও না, সুতোরাং কমিউনিটি নামক বস্তুটা রক্ষার্থে স্থানীয় যেটাকে বাংলায় বলে কায়েমি স্বার্থ সেটা কে কিছুই না ভাঙলে , নতুন প্রোর্গেসিভ অ্যালাই না তৈরী হলে সমস্যা আছে। ইত্যাদি। সেজ ন্যেই কনস্টান্ট নেগোশিয়েশন হবে। এবং সেটার কোনো বড় ফর্মুলা নাই।
ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে একটা কথা বলতে পারি, এটা আমার অবসারভেশন, এর প্রচুর এভিডেন্স আমি পেয়েছি, প্রবন্ধ লেখার ইচ্ছেও আছে, সেটা হল ভারতে পার্টিশনের পরে ইতিহাস এর গবেষণা টা অ্যাজ অ্যান এন্টারপ্রাইজ স্টেটক্রাফ্ট er অংশ না হলেও, ন্যাশনাল হিস্টরি র চক্করে পড়ছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলংকা, ভুটান , নেপাল, বর্মা সহ, গোটা এলাকাটার ন্যাশনাল হিস্টরি অনেকগুলো হতেই পারে, কিন্তু একটা ট্রান্সন্যাশনাল হিস্টরি রাইটিং দরকার ছিল, কমন সোর্স আছে বলে, এবং প্রচুর তুলনীয় সোর্স আছে বলে। এটা কিছু কাজ এই বর্ডার্স অ্যান্ড মাইগ্রেশন স্টাডিজ ওয়ালারা কিছু করেছেন, কিন্তু আমার মতে গোটা হিস্টরি রাইটিং টাই , ক্যান বি সিন অ্যাজ আ লোকেল ফর কন্স্ট্যান্ট নেগোশিয়েশন বিটুইন লোকাল, রিজিওনাল, ন্যাশনাল অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল। এবার ট্রান্সন্যাশনাল এর বিপদ হল, সেটা যে কোনো সময়ে এই হিস্টরি রাইটিং টা, যে কোনো সময়ে, শ্লা বোরিং এবং বদমাইশ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজওয়ালা দের হাতে যেতে পারে। তাই সেটাকে রক্ষা করে , ঔ হাওয়ার্ড জিন দের মত পিপল্স হিস্টরি মডেল ছাড়া রাস্তা প্র্যাকটিকালি নাই, আমাদের সোশাল হিস্টরি রাইটিং এর ঐতিহ্য আপাতত যথেষ্ট শক্তপোক্ত, যা করার এঁদের কেই করতে হবে। এবং স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ওয়ালা দের ফান্ডিং এর লোভে পা না দিয়ে। নতুবা আমাদের রিজিয়োনাল হিস্টরি কালচার ডিবেট er প্রকৃত এনরিচমেন্ট এর কোন আশা নেই, গান্ডু মেডিয়া গুলোর মত কেবল সব পক্ষ চেচা পক্ষ হয়ে যাবে, যাতে পক্ষের সংখ্যা আদৌ জেনুইন পার্সপেক্টিভ এর পার্থক্যর আদৌ কোন ইন্ডিকেটর ই না। ইত্যাদি।
এবার হল মানুষের মুভমেন্ট মাইগ্রেশন এটা বাড়ে কমে গোটাটাই ইকোনোমিক কারণে। সেটার ডিসব্যালেন্স কে ম্যানেজ দিতে গিয়ে মুভমেন্ট কেই রেস্ট্রিক্ট করেছে চীন , সেটা ভারতে হলে তার বিরোধিতাই হবে, কারণ আমরা গণতন্ত্র এবং ভাগ্যিস এবং যা পারা যায় ভোটের বালাই যদ্দিন থাকে ইত্যাদি।
:))
স্টেট রাইটস অফ কিপিং দা স্লেভারী এলাইভ। অন্য কিছু বললেই স্যাটা ভেঙে দিন
সেইজন্য বলেছিলাম যে ফেডারিলিজম নিয়ে তক্ক এই ক্ষুদ্র পরিসরে হয়না। আমেরিকা আর ভারতের গণতন্ত্রের ইতিহাস এবং প্রেক্ষিত একেবারেই আলাদা।
বহু কনজারভেটিভদেরই বক্তব্য হল সিভিল ওয়ার ওয়াজ নট অ্যাবাউট স্লেভারি, ইট ওয়াজ অ্যাবাউট স্টেট রাইটস। যত্তসব কুযুক্তি, ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
ফেডারেলিজমের গল্পটা সব জায়গায় এক রকম নয়। আমেরিকায় স্টেট রাইট কথাটা রেসিজমের ইউফেমিজম হিসেবে ব্যবহার হয়। সিভিল ওয়ারের সময় স্লেভ স্টেটগুলোর অভিযোগ ছিল লিংকন স্টেটের অধিকারে হাত দিচ্ছে। এখনো কোন প্রোগ্রেসিভ এজেন্ডা আটকাতে রিপাবলিকানরা স্টেট রাইটের ধুয়ো তোলে।
একদম।
সরকার যদি আম্পায়ারের কাজ না করে এবং কাউন্টার ব্যালান্স জন্য ডি আর এস (সুপ্রিম কোর্ট?) না থাকে তাহলে মাৎসন্যায় হয়ে লিবারেল ক্যপিটালিিজম ভোগে যাবে।
মুশকিল হল বঙ্গে অনেকের মান মানসপটে পাবলিক সেক্টর = সোশ্যালিজম, আর শুধু প্রাইভেট সেক্টর = ক্যাপিটালিজম।
সমস্ত টৌটালিটেরিয়ান স্টেটে -- অর্থ বা রাজনীতি -- সেন্ট্রালিজম প্রবল। সে সোশ্যালিস্ট হোক বা ফ্যাশিস্ত।
এলসিএমদার সাথে পুরো একমত। সরকারের কাজ হলো মার্কেট রেগুলেটার হিসেবে থাকা। নানারকম রুলস আর রেগুলেশান বানানো, সেগুলো ইমপ্লিমেন্ট করা, মাঝে মাঝে ফাইন টিউন করা ইত্যাদি। সরকারের কাজ সরকার চালানো।
Government intervention and regulation are integral part of modern capitalist economy.
সরকার ছাড়া, সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া, রেগুলেশন ছাড়া -- ফ্রি মার্কেট, ওপেন মার্কেট ইকনমি হয় না।
Without a whole host of government rules, capitalism could not exist.
In reality, a market economy does not exist separate from government - it is very much a product of government rules and regulations.
All capitalist market economy have evolved and survived through the Government rules and regulations.
Opposing Govt regulations and rules to promote open market economy, is like "kill the goose that lays the golden eggs."
ফেডারালিজমে একেবারেই আমার কোন আপত্তি নেই। ট্যাক্স ভাগাভাগি রেশিও নিয়েও আন্দোলন বা আলোচনা নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই। আমি ব্যারিয়ার তোলার বিরুদ্ধে (লজ্জায় আর ইংরেজিটা লিখলাম না, বড়োদের আড্ডা কিনা), তারপরে ট্যাক্স ভাগাভাগি হোক না।
আমাদের এখানে বিশাল প্রবলেম হল, ব্যাবসায়ী রাই একাধারে এফ ডি আই আর প্রোটেকশনিজম এর পক্ষে , অলিগোপোলি গুলোর এটাই নেচার। সুতরাং স্থানীয় ক্যাপিটাল , অ্যাজ এক্সপ্রেস্ড ইন পলিটিক্স, সব সময়েই ফেডেরালিজম এবং সেন্টার অ্যালাইনমেন্ট এর মধ্যে ঢেঁকি খেলবে। এটা আটকানোর উপায় প্রায় নেই। এবং উগ্র লোকাল পলিটিক্স সরাসরি স্টেট ফেলিওর এর গল্প বলে দেখাও মুশকিল আছে। কারণ আসাম যদি কেবলি তার অহোম গোল্ডেন ডেজ e ফিরে যেতে চায়, সেটা স্টেট ফেলিওর নাও হতে পারে। অতএব ইতিহাস কঠিন বস্তু ঐতিহাসিকের সুবিধার জন্য ব পোলিটিকাল রেটোরিকের সুবিধার জন্য ঘটে না।
দেখ এসব প্রবলেম বহুদিন আগে সল্ভড। কনকারেন্ট লিস্ট, সেন্ট্রাল লিস্ট , রাজ্য লিস্ট এসব আছে। মোদী হঠাৎ কৃষি তে কেন্দ্রীয় আইন আনলে তো হবে না। একদম বড় ব্যবসার বাঁধা চাকর না হলে এটা কেউ করে না।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধনতান্ত্রিক দেশগুলো তে অনেক বেশি ফেডেরালিজম আছে। গান্ডু সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো ই বেশি কেন্দ্রানুগ। এটা খুব ই লজ্জার। সুতরাং ডিসি , ইফ ইউ আর আ ক্যাপিটালিস্ট ওয়ার্থ আ গ্রেইন অফ সল্ট, তাইলে দিকে দিকে ফেডেরালিজম এর পক্ষে ভোট দিন। আর যেখানে ফেডেরালিস্ট রা বাঙালি দের বিরুদ্ধে, বা মুভিং পপুলেশন এর বিরুদ্ধে তাদের গ তে ব দিন। :-)
বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
যেকোনো রকম সেন্ট্রালাইজড মেথডের ঘোর বিরোধী। যত বেশী সম্ভব অর্থ রাজ্য, জেলা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ব্লক বা পঞ্চায়েতে যাওয়া উচিত।
"বেশ তো, রিসোর্সের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রন থাকবে না। কিন্তু তাহলে কেন্দ্রই বা ট্যাক্সটা নিচ্ছে কেন? ট্যাক্স না নিলে সরকার চলবে না। তাহলে বেশ তো, বড় সরকারের বদলে ছোট সরকার বেশিটা নিক। তাছাড়া রিসোর্সের ওপর এক্কেবারেই নিয়ন্ত্রন না থাকলে শিক্ষা স্বাস্থ্য প্রশাসনটাই বা চলবে কী করে?"
"রিসোর্স মানে ট্যাক্স অ্যান্ড টারিফ। কর এবং রাজস্ব"
এই দুটোর উত্তর একসাথেই দিলাম। রিসোর্স মানে শুধু ট্যাক্স আর টারিফ হলে তো খুবই ভালো। এবার দেখুন, বিহারের আর রাজস্থানের লোক যদি পবতে এসে থাকেন, তাহলে তাঁরা পবতে কিছু খরচ করবেন। খাবার কিনবেন, বাসে ট্রামে চড়বেন, বাড়িভাড়া দেবেন, ইত্যাদি। সেসব খরচের ওপর যা ট্যাক্সো আছে সেটা সরকার ইনকাম করবে। আর কিছু সঞ্চয় হলে সেটা বিহারে বা রাজস্থানে পাঠিয়ে দেবেন, সেখানে ওনাদের বাড়ির লোক খরচ করবেন, আবার ট্যাক্স ইনকাম হবে। সেরকমই, পবর লোক বিহারে আর রাজস্থানে গিয়ে থাকলে সেখানে কিছু খরচ করবেন, আবার কিছু পবতে পাঠিয়ে দেবেন। ফলে পব, বিহার, আর রাজস্থান, তিন রাজ্যেরই লাভ (রিকার্ডোর জয় হৌক)। সব রাজ্যেরই উচিত ব্যারিয়ার যতোটা সম্ভব কমিয়ে যাতায়াতে উত্সাহ দেওয়া। ভূমিপুত্র কনসেপ্টটাই আমার উদ্ভট লাগে। কিসের ভূমি আর কোথাকার পুত্র! আর কয়েক দশকের মধ্যেই মার্স-আর্থ কমার্স শুরু হবে, আর এদিকে আমরা ভূমিপুত্র নিয়ে পড়ে আছি :-)
আর ট্যাক্সের কতো ভাগ কে পাবে সে নিয়ে আলোচনা বা আন্দোলন হতেই পারে। আমার মনে হয় বেশীটা কেন্দ্র সরকারের কাছে যাওয়া উচিত, কম ভাগ রাজ্য সরকারের কাছে। তবে রেশিওটা নিয়ে তো ডিবেট হতেই পারে।