আমার মনে হয় যে কোন রাজ্যেই অন্য রাজ্য থেকে লোক আসতে বাধা দেওয়া উচিত না। পবতে বিহার থেকে লোক আসুক, কর্ণাটকে পব থেকে লোক যাক, রাজস্থানে আসাম থেকে লোক যাক, নাগাল্যান্ডে কেরল থেকে লোক যাক। অবাধ ইমিগ্রেশান বা এমিগ্রেশান হোক, তাতে সব রাজ্যেরই লাভ হবে। ফ্রি মুভমেন্ট অফ লেবার আর ক্যাপিটাল হতে দেওয়া উচিত। আর ভাষা সেরকম ইম্পর্ট্যান্ট কোন ব্যপার না। সবাই যদি হিন্দিতে কথা বলে তো বলুক, সবাই ইংরেজিতে বলতে চাইলে বলুক, কেউ কেউ তামিলে বলতে চাইলে বলুক। জবান আপনা আপনা।
কেন্দ্রীয় সরকার ফতোয়া দিয়েছেন, হিন্দি মাস্ট। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তানের ঘোষিত প্রজেক্ট চলছে। শিক্ষানীতি থেকে ওটিটি অবধি, সর্বত্র। এরই মধ্যে মীনাক্ষি বা দীপ্সিতাকে, ফেবুতেই দেখলাম, হিন্দিতে বক্তৃতা দিচ্ছেন। দিদি তো এর আগেই হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও এফ এম এ সর্বদা হিন্দি চলছে। কাস্টমার সার্ভিস থেকে সর্বত্র হিন্দি। এরই মধ্যে সব দলই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কর্মসংস্থানের। কথাটা হল কর্মসংস্থান মানে তো শুধু আইটি না। ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে শুরু করে কল সেন্টারের সাপোর্ট স্টাফ, সবই। সেসব বেড়ে লাভ কী, যদি বিহার বা ইউপির লোক এসে কাজগুলো নেয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার খরচা করে বিহারের লোকের কর্মসংস্থান করবে কেন।
এই একই সমস্যার জন্য বড় বড় রাজ্যগুলো সবাই নিচু তলার শিক্ষায় নিজের ভাষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। সরকারি চাকরিতে নিজের ভাষা জানা। বেসরকারি চাকরিতে ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যা সংরক্ষণ। অথচ ভোটে সেসব ইসু না। অথচ এগুলো আসা উচিত, এবং আসবেই। এইসব নিয়েই পোস্ট করেছিলাম।
আজই দেখলাম, গর্গ ইনার-লাইন-পারমিটেরও দাবী নামিয়ে দিয়েছে। এ সবই আসবে। মূল ধারার দলগুলোকে আজ না হলেও কাল অ্যাড্রেস করতেই হবে। যে আগে করত, সে সুবিধে পেত, এই আর কি।
দক্ষিনে খুব বেশী সাইনবোর্ড লোকাল ভাষায় লেখা দেখিনা কিন্তু। বেশীর ভাগ ইংরেজিতে, অল্প কিছু তামিলে, আর অল্প কিছু দুই ভাষাতে।
ইনসুলার কেন হবে। এই তো লুরুতে, সব দোকানে বড় বড় করে কন্নড় ভাষায় নাম লেখা, পাশে ছোট করে ইংরেজি। সারা পৃথিবীর লোক এসে হেসেখেলে থাকছে।
ইংরেজি বা হিন্দি বাদ দিয়ে শুধু বাংলার কথা বোধহয় কেউ বলছে না। এখন তো উল্টোটাই হয়ে আছে।
এই লিঙ্গুইস্টিক শভিনিজমের অর্থ বুঝিনা। মন্ট্রিয়েল-কিউবেক অঞ্চলে সব রোড সাইন ফ্রেঞ্চে। অন্ততঃ তাই ছিল। খুব অসুবিধে হয়। দক্ষিণেও কোথাও কোথাও দোকানের নামধাম স্থানীয় ভাষায়। অসুবিধে হয়। চাইব বাইরের লোকে আসুক, ইনডাস্ট্রি আসুক আর চর্চা করব ইনসুলারিটির - দুটো একসঙ্গে হয়না। মার্জিনাল হয়ে যাবেন না কমরেড।
এই লিঙ্গুইস্টিক শভিনিজমের অর্থ বুঝিনা। মন্ট্রিয়েল-কিউবেক অঞ্চলে সব রোড সাইন ফ্রেঞ্চে। অন্ততঃ তাই ছিল। খুব অসুবিধে হয়। দক্ষিণেও কোথাও কোথাও দোকানের নামধাম স্থানীয় ভাষায়। অসুবিধে হয়। চাইব বাইরের লোকে আসুক, ইনডাস্ট্রি আসুক আর চর্চা করব ইনসুলারিটির - দুটো একসঙ্গে হয়না। মার্জিনাল হয়ে যাবেন না কমরেড।
দোকানের সাইনবোর্ডে বাংলা - খুবই দরকার, রাজ্যসরকার করতে চাইলে করতে পারে নিশ্চয়, দক্ষিণে তো করেছে।
প্রাচীন কালে সুনীলরা এইটা নিয়ে একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন মনে আছে।
আমিও মনে করি ইংরেজী তুলে দেওয়া খুব ভুল কিছু ছিল না।
আমি নিজে ক্লাস ওয়ান থেকে ইংরেজী পড়েছি বাংলা মিডিয়ামে, তাতে এমন কিছু দিগ্গজ হইনি, আমার সহপাঠীরাও তাই। পরবর্তীকালে চাকরিবাকরির জন্যে ইংরেজী কাজ চালানোর মত রপ্ত করে নিয়েছি, ক্লাস সিক্স থেকে ইংরেজীও তাই।
কিন্তু যতদূর জানি গ্রামে গঞ্জে, প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুল ছুটের হার কমাতে এটা সাহায্য করেছে।
সেই না-জানার আনন্দ। আবার। ইংরিজি তোলার সিদ্ধান্ত বাম সরকারের ছিল না। এ বিষয়ে বিশদ এলেবেল জানেন।
কয়েক বছর আগেও এত কম জেনে বা নাম ভাঁড়িয়ে লোকজন তক্কাতে আসত না।
ওপরের ব্যানারে 'মেহনতী' শব্দটা বাদ পড়েছে। পুঁজিও। মানে এইরকম হওয়া উচিত -
কোনোরকম পুঁজিবাদী ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে মেহনতী ও নিপীড়িত জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত
ইংরিজি তুলে দিয়ে শিপিয়েম তাহলে ভালই করেছিল? মাস্টারমশাই লাইনে এসে গেছেন। হেহে।
""এসবের পেছনে সময় ব্যয় না করে"
মানে ঐ নির্দেশিকা। প্রায় তিন দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারি আপিসে চকারী করে মনে হয়েছে এসবের মধ্যে গভীরতা নেই, professional hazard বলে কাটিয়ে দেওয়া যায়।
আমি চিন্তিত অন্য কারণে। গরিয়াহাট থেকে গড়িয়া পর্যন্ত যত দোকান আছে তার কতগুলোর সাইনবোর্ড বাংলায় লেখা? আর শিক্ষায় "মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ" তত্বটিকে তো কুলোর বাতাস দিয়ে বিদেয় করেছি বহু আগেই। নিজের ভাষার ভিত্তি শক্ত না করে কি হওয়ার লাঠি ঘোরালে হবে?
সেটা তো ওরা বলে না কাউকে। জানতে পারলে আমিও লিখতাম যে।
কে লেখার জন্যে টাকা দিচ্ছে? আমিও লিখতে চাই।
আরে দুর, সমর্থক আসছে না, টাকা আসছে। মানে এসব লেখার জন্যে লিখিয়েরা টাকা পাচ্ছে এমন অভিযোগ।
"এসবের পেছনে সময় ব্যয় না করে" - কী সবের পেছনে? এইসব বলাবলি না করে চেপে গিয়ে অন্য কাজের কাজ করা? কাজের কাজ করা তো ভালৈ, কিন্তু তার জন্যে এগুলো চেপে যাওয়ার দরকারটা কী? নরেনবাবু যেমন আন্দোলনজীবি বলেন ঐরকম?
সিরিয়াসলি, এ আজব সার্কাস চলছে। ফেসবুকে ভোটের ইস্তেহারে বাংলা ভাষা নিয়ে সৈকতদার পোস্তে এক অত্যুৎসাহী তথাকথিত সিপিআইএম এসবের জন্যে সমর্থ্ক আসছে লিখে এসেছে (একটু পরে আবার ডিলিটও করেছে)!
তবে তার থেকে পরিতাপের বিষয় হলো বিকল্প সামাজিক মাধ্যমের দাবী দাওয়া করে গুরুচণ্ডা৯র কর্ণধারেরা সব গুরু বাদ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করছে।
কিন্তু,
কতদিন, আর কতদিন বলো দিদি?
**মেফিস্টোফিলিস
দানব বনাম দানবের সৃষ্ষ্টিকর্তা । অথবা রামছাগল বনাম কালো ছাগল। ডি লা গ্রান্ডি মরফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক।
এদিকে কয়েকদিন আগে মামার সাথে কথা হচ্ছিল। এমনিতে মামাবাড়ি ঘোর সিপিএম, দাদু তো পাট্টি মেম্বার ছিলো। তিনোরা জেতার পর ধমকিয়েও গেছে। মামা বললো এবারও নাকি তিনোরাই জিতবে, বিজেপি খানিক বাড়বে, কিন্তু সেরকম না। দেখা যাক।
:)
মীনাক্ষি ইনসেন খাটাখাটনি করছে। আমি তো চাইই যে দুটোর মুখে নুড়ো ঘষে ঐ জিতুক। কিন্তু সে এইবারে অসম্ভব। অন দি আদার হ্যান্ড ভোঁদুকে হারাতেই হবে।
শুভেন্দুর কেসটা অনেকটা আসামের হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কেস হতে পারে। ওর ডেডিকেটেড ফলোয়ার আছে নিজস্ব কন্সটিটুয়েন্সিতে। নানাভাবে, তাদের নারচারও করেছে। হিমন্ত যদি আজ এ ইউ আই ডি এফের হয়ে দাঁড়ায়, তাহলেও তারা ভোট দেবে।
অ্যাঁ? টি রাণীমার জিত চাইছে?
নন্দীগ্রামে মোট ভোট ঐ দুলাখ দশ মতন। লাস্ট লোকসভাতে তৃণমূল পেয়েছিল একলাখ তিরিশ। এই ভোটটা বরাবর পেয়ে আসছে। বিজেপি পেয়েছিল ষাট মতন। এক আর দু নম্বর ব্লক মিলিয়ে মুসলিম ভোটার প্রায় ষাট হাজার। এইটা মমতার দিকে কনসোলিডেট করে গ্যাছে। বাকি দেড়ের মধ্যে মীনাক্ষি যদি পঁচিশ সরিয়ে ফেলতে পারে তো হিঁদু ভোটের থাট্টি পার্সেন্ট পেলেও মমতা জিতে যাবে, যা অ্যামন কিছু আস্কিং না। এই জন্যই সব পক্ষ নন্দীগ্রাম টু তে কনসেন্ট্রেট কচ্চে। এগোও মীনাক্ষি।
সেতো অলরেডি রয়েছে। মমতা যে সার্কুলার জারি কল্ল, সব স্কুলে বাংলা ভাষা শেখানো বাধ্যতামূলক ইত্যাদি।
এসবের পেছনে সময় ব্যয় না করে আমি পবতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে। কোন পক্ষ যদি সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে সেটা কাজে দেবে।
রাণীমা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবেন মনে হয়। কয়েকটা পরাজয় দেখতে চাই শুদু। এক হচ্ছে নন্দীগ্রামে ভোঁদুর পরাজয়। ওখানে লেফটের ভোট হাজার দশেক মাত্র। মীনাক্ষি এটাকে টেনে পঁচিশ হাজারে নিয়ে যাক, বাকিটা রাণীমা মেরে দেবেন হান্ড্রেড পার্সেন্ট। দুই, ডোমজুড়ে ঐ আবালটা যাকে দেখলে মনে হয় কৃশানু বিকাশ যুগের ডিপ ডিফেন্সে দাঁড়ানো প্লেয়ার যে কিনা বিড়ি ফুঁকে স্ট্রাইকার হতে চেয়েছিল, আর তিন ঐ হাওড়ার কলঙ্ক হাড়বজ্জাত রুদ্রনীল।
হে খোদা। একটু দেখো।
শুধু মালদা না, সর্বত্র চলচে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির বিজ্ঞাপন দেখুন। আজ ছোড়দা বেঁচে থাকলে ওদের ওইখানেই কোতল করতেন।
নন্দীগ্রামে তো হুলিয়ে চলছে। আমার এক বন্ধু আইআইটি বি তে অ্যাসো। নন্দীগ্রামের ছেলে। সে খুব উৎসাহভরে বলল আমরা শুভেন্দু অন্ত প্রাণ। কী আর বলব। বাল বলে রেখে দিলাম।
শোনেন পিটিদা, বাঙালী অস্মিতার নামেই হোক আর যা কিছুর নামেই বিল কাটুন এইসব হিন্দি ছাগলামোর বিরুদ্ধে আছি। বাংলাপক্ষ ভীষণ রকম দরকার।